আয় বৃষ্টি ঝেঁপে
আমাদের শহরে আজকাল আর বৃষ্টি হয় না।
গত বছর ঠিক কত মিলি বৃষ্টি হয়েছে তার খবর খুঁজতে ইচ্ছা করছে না, শুধু জানি হাতে গোনা পাঁচদিন বা তারো কম ঝমঝমিয়ে রাস্তা-ঘাট ভিজিয়ে দেয়া দাবদাহে ক্লান্ত মানুষকে এক পশলা শান্তির হাওয়ায় ভিজিয়ে দিয়ে গিয়েছিল বারিধারা।
বিকেলের মিঠে রোদ খেলা করছিল চুলে, গালে। মৃদু বাতাসে কপাল, কানের পাশে থেকে চোখেমুখে এসে পড়া চুলগুলো না সামলে শক্ত করে রিকশার হুড ধরে বসে ছিল মৃত্তিকা। পহেলা ফাল্গুন, বসন্তের প্রথম দিন। আজকে ভিড়টা টিএসসি, বইমেলায় আরো বেশি। বিশ্বরোডে এ সময়ে কোনো জ্যাম নেই, রিকশা প্রায় উড়িয়ে নিয়ে চলেছে কমবয়েসী রিকশাচালক ছেলেটা।
রাস্তা আজকে তুলনামূলক ফাঁকা তাই দৌড় দেয়া যায় বসুন্ধরা সিটির দিকে, এই ভেবেই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে পড়িমরি করে বের হয়ে যাই। তাও বেলা পড়ে এসেছে, অনেক্ষণ ধরে অপেক্ষারত নূপুরাপুর সাথে দেখা করতে পৌঁছুতে পৌঁছুতে ৫টা বাজে। সিলেটের টিপু ভাই এদিকে ঢাকা এসেছেন, তাঁর কাছে শুনলাম অপু ভাইও নাকি ঢাকায়, আজকে একব
টিভি দেখিনা একদম, তাও বছর তিনেক হবে। সিনেমা বা অন্য যা কিছু দেখি সবই পিসিতে। হঠাৎ হঠাৎ টিভিতে কোন কিছু দেখার সময়ে মাঝের বিজ্ঞাপন বিরতিগুলো তাই সহ্য হয় না।
তোমাদেরকে একটা মজার ঘটনার কথা বলবো আজকে। কালকে সন্ধ্যায় আমার আর মায়ের সাথে কী হয়েছিল সেই গল্প। আমার বয়স বারো, আর আমি মেয়ে। আমার মায়ের বয়স চৌত্রিশ হলেও আমি কিন্তু এখনই প্রায় মায়ের সমান লম্বা।
কালকে বিকেলে মা আমাকে লন্ডনে নিয়ে গিয়েছিল ডেন্টিস্টের কাছে। ডেন্টিস্ট আমার পেছনের দাঁতে ফুটো খুঁজে বের করলো, বেশি ব্যথা না দিয়ে ফুটো ফিল-আপও করে দিলো। তারপর আমি আর মা গেলাম একটা ক্যাফেতে, আমি নিলাম একটা বানানা-স্প্লিট, আর মা নিলো কফি। আমরা যখন যাবার জন্যে উঠলাম তখন প্রায় ছ’টা বাজে, এদিকে ক্যাফে থেকে বেরুতেই শুরু হলো বৃষ্টি।
টিভিতে নিয়মিত অনুষ্ঠান প্রচারের মাঝেই নিচ দিয়ে ব্রেকিং নিউজ টা দেখলাম, ঢাকা শহরে আজকে রাতে আবার আগুন। ক্ষিলক্ষেতের কয়েল ফ্যাক্টরিতে কেমিকেল বিস্ফোরণে ইতিমধ্যেই নিহত পাঁচজনের লাশ উদ্ধার, আর ফায়ার ব্রিগেডের অন্তত ৬টি ইউনিটের তখনো আগুন নেভানোর প্রচেষ্টার আপডেট নিয়ে বিডিনিউজে কিছু নতুন তথ্য পাই কিনা দেখতে ঢুকেই হেডলাইনে চোখে পড়ল -
[সারি ভ্রমণ ফটোব্লগের প্রথম গল্পটা এখানে]
সারি নদী ধরে প্রায় দেড় ঘন্টার নৌপথ পাড়ি দিয়ে লালাখাল টি-এস্টের ঘাটে আমরা যখন নামলাম তখন দুপুর গড়িয়ে গেছে। দশমীর ছুটি ছিল, পূজো উপলক্ষে বন্ধ লালাখাল টি-এস্টেটের ফ্যাক্টরি আর অফিস।
মধ্য অক্টোবরের এই ছুটিটা কাজে লাগিয়ে দুষ্ট বালিকা, মনামী, অনিন্দ্য, পলাশ,
নজরুলভাই-নূপুরাপু-নিধি আর আমি হুট করেই সিলেট চলে এসেছি। সকালে অপু (আলবা ...
সকালটা যে পরিমাণ হাসি আনন্দ আর ঘটনাবহুল ছিল তার প্রেক্ষিতে গরম আর ঝাঁ চকচকে রোদ্দুরটা ঠিক মানানসই ছিল না তা বলা যায় না হয়ত। শীতের মিঠে রোদ বাদে এমনিতে কি রৌদ্র কারো ভালো লাগে? সেতো গরম আর আর কেমন ঝলসানো না? আর বিশেষত বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকলে ঘামে ভিজে চটচটে ভ্যাপসা একদম! অবশ্য তাতে কিচ্ছু যায় আসে না যদি কিছু জিনিস সাথে থাকে, যেমন- ছুটির দিন, গাড়ি ভর্তি আলাপ করবার মতোন কিছু মানুষ, ...
[একটা প্রায় গুবলেট প্ল্যান: সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে কোন একদিন কাজের মাঝে হাবুডুবু খেতে খেতে ফেসবুকে একটু ঢুঁ মারতেই ইনবক্সে নূপুরাপুর মেসেজটা চোখে পড়ল পূজোর ছুটির সাথে রেশমি হাওয়ার খোঁজ নিয়ে। আরেকবার সিলেট যাবার জন্যে যখন মনটা আঁকুপাঁকু করতে শুরু করেছে ঠিক এমন সময়ে সিলেট যেতে চাই কিনা জানতে চায়। ঠিক পূজোর ছুটিতে না পারলেও তারপরে ২/৩দিনের ছুটি ম্যানেজ করে নেয়া যায় এটুকু ভেবে ...
পরশু রাতে আমাদের শহরটায় অনেকদিনের পরে ঠান্ডা বাতাস বইছিল, দমবন্ধ করা গরমে অভ্যস্থ শহরের রাতে, ভেজা ভেজা একটা ভালো লাগা ছিল। অনেক দিন পরে ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে এড়াতে থাকা আমার বাইরে খানিক্ষণ হাঁটাহাঁটি করবার ছিল, মাথা হালকা করবার, কিছু মনে করার, কিছু হিসেব মেলাবার, কিছু ভাববার ছিল। শিউলি গাছটার নিচে দিয়ে হাঁটবার সময় গন্ধটা এলোমেলো করে দিলো, চিন্তাগুলো শরৎ হাওয়া হল। মাটিতে পড়ে ...