নীলকান্ত এর ব্লগ

মনে কিছু নিয়েন না

নীলকান্ত এর ছবি
লিখেছেন নীলকান্ত (তারিখ: শুক্র, ২০/০৬/২০১৪ - ৪:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সচলে লেখা শুরু ২০১০ সালের ১৪ এপ্রিল।

তারিখ মনে আছে কারণ কোন কাজ না থাকায় সেদিন বাসাতেই ছিলাম। ঘরকুনো এই আমি তখন অধিকাংশ সময় নেটে আর টিভি দেখে কাটাই। নেটের লাইনের গতি তখন আমার ১৬ কিলোবাইট, একটা গান ডাউনলোড দিয়ে তখন ঘন্টা বসে থাকি, এমন অবস্থা।

সময় বদলাইছে। কাল রাতে নেটের স্পিড দেখে মাথা খারাপ হবার যোগাড়। ১২৫৪ কিলোবাইট স্পিডে সিনেমা ৫ মিনিটে নেমে গেল! ভাল লাগার কথা।


বুয়েটের সোনালী ব্যাংক শাখা এবং কিছু কথা

নীলকান্ত এর ছবি
লিখেছেন নীলকান্ত (তারিখ: সোম, ১২/০৫/২০১৪ - ৬:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ অনেকদিন পর বুয়েটের সোনালী ব্যাংকে যাওয়া হলো। পাশ করে গেছি বছর দুয়েকের বেশি হচ্ছে।

ধরেই নিয়েছিলাম অন্তত ঘন্টাখানেক লাগবে। তো গিয়েই তব্দা খেয়ে গেলাম। নতুন এক পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।

যেখানে অনেক উচ্চমার্গীয় ব্যাংক এবং সেবা প্রতিষ্ঠানের মত টোকেন নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে।


হাত

নীলকান্ত এর ছবি
লিখেছেন নীলকান্ত (তারিখ: মঙ্গল, ২৯/০৪/২০১৪ - ৯:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সুলতা কেঁপে কেঁপে ওঠে।
না, না, ওর এখন আর ভয় লাগে না। কিন্তু সবাই ভাবতে থাকে, আহা, মেয়েটার ওপর দিয়ে কত ঝড়ই না গেছে।
এখনকারটাও ঝড় বলা যেতে পারে। পাঁচ তারা হোটেলের ভেন্টিলেশন দিয়ে আসা ঠাণ্ডা কনকনে ঝড়।

শীতে কত কষ্টই না হয় সুলতাদের। আর এখানে! সুলতা আশেপাশে তাকায়। নিজের মানুষদের খোঁজে সে। পায় না কাউকে।


আমার দিনলিপি ২৮-১২-২০১২

নীলকান্ত এর ছবি
লিখেছেন নীলকান্ত (তারিখ: শনি, ২৯/১২/২০১২ - ৪:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রচণ্ড ঠান্ডা।
সাইকেল ছাড়া বের হতেই চোখে পড়লো সামাদ ভাইকে। আমাদের এলাকার মুদি দোকানি। সারা জীবন তাকে কোর্ট আর বুট পড়ে দেখছি, তার কাছে তার দোকানটাই অফিস।
দেখি সাইকেল চালাতে চালাতে যাচ্ছে।
-আপনে সাইকেলে?
-"অনেকদিনের চর্চা নাই। তাই একটু চেষ্টা করতেছি।
আঁকাবাঁকা পথে সুন্দরমত সাইকেল চালিয়ে গেলেন সামাদ ভাই। ভালই লাগলো দেখতে।
রাস্তাঘাট ফাঁকা।


রূপা

নীলকান্ত এর ছবি
লিখেছেন নীলকান্ত (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৫/১০/২০১২ - ৩:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম প্রথম যখন প্রেমের গল্প পড়ি, বয়স তখন ৬ কি ৭। মাথামুন্ডু তার কমই বুঝেছিলাম।

তবে ছেলে মেয়েতে যে রসায়ন ভিন্ন ধরনের তা বুঝতে বই পড়ার দরকার ছিল না। স্কুল ছিল সকল লিঙ্গের, সুতরাং বয়স কম থাকলেও ছেলে-ছেলে বা মেয়ে-মেয়ের রসায়নের চেয়ে ছেলে-মেয়ে রসায়ন ভিন্ন তা বুঝতে সময় লাগেনি।


হয়তো...

নীলকান্ত এর ছবি
লিখেছেন নীলকান্ত (তারিখ: মঙ্গল, ২৩/১০/২০১২ - ১:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সবাই আশা করে তার সন্তানরা তাকে বৃদ্ধ বয়সে দেখবে একটু কথা বলবে, একটু যত্ন নিবে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কথাটা পুরোপুরি সত্য।

আর সন্তানরা কি আশা করে?

প্রশ্নটা করা হয় না যদিও। মা-বাবা তাদের দায়িত্ব পালন করে থাকেন, তারা খেয়ে না খেয়ে পড়ালেখার টাকা যোগাড় করেন। সকল সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা করেন। বেড়ে উঠবার পথ সুগম করেন। সে এক লম্বা লাইন।
আর কি করেন?


সাইকেল কাহিনী-৪

নীলকান্ত এর ছবি
লিখেছেন নীলকান্ত (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০৯/২০১২ - ১১:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


বিষয়টা নতুন না। সাইকেল চালানোর প্রথম দিন থেকেই বিষয়টা টের পাচ্ছি।
সাইকেল জিনিসটাও যথেষ্ট পরিমাণে সামাজিক মর্যাদা বহন করে। অন্তত মানুষের ব্যবহারে তাই বোঝা যায়।

সাইকেল হাতে খড়ি যদিও ছোটবেলায়, প্রাধান সড়কে সাইকেল চালানোটা তখনও অকল্পনীয় এক বিষয়। বালক বয়সের শেষের দিকে দেবব্রতের সাইকেলটা কিছুদিন মাঠে চালিয়েছিলাম, তাও স্কুল ছুটির পর ৫-১০ মিনিট।


দ্য স্টোনিং অফ সোরায়া এম

নীলকান্ত এর ছবি
লিখেছেন নীলকান্ত (তারিখ: মঙ্গল, ৩১/০৭/২০১২ - ৩:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সোরায়া মানুতচেরি। তার বাবার মুখে না শুনলে পুরো নামটা জানাই হতো না।
গ্রাম জুড়ে প্রস্তুতি চলে। অনেক কাজ। কবর খোঁড়া, পাথর সংগ্রহ করা, নিক্ষেপকারীদের অবস্থান ঠিক করে দেওয়া। গ্রামের মোল্লাও তৈরি হয়। অন্যদিকে আলি, সে তো অনেক আগে থেকেই প্রস্তুত।
জাহরা নিয়ে যাচ্ছে সোরায়াকে। রাস্তায় ছেলে-বুড়ো সব বয়সিদের হাতে পাথর। পাথরে পাথরে 'ঠকাঠক' শব্দ ।


সাইকেল কাহিনী-৩

নীলকান্ত এর ছবি
লিখেছেন নীলকান্ত (তারিখ: বুধ, ২৫/০৭/২০১২ - ৪:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাইকেল চালাতে চালাতে অনেক কিছু মাথায় আসে। দুনিয়ার সবকিছু মনে হয়...অনেক বেশি ...

"উল্টোপুরাণ

প্রমোশন হয়েছে।আগের তিন বারের মত এবারও হলো।

কাজ করবার পরিবেশ ভাল। সবাই সবসময় সহায়তা করে। বিধবা হিসেবে সবাই অন্য চোখে দেখে না।
উর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রতিদিন প্রশংসা করেন, উৎসাহ দেয়।
আমার আত্মহত্যা করবার ইচ্ছা হয় না। জীবন যখন এত ভাল, কারই বা ইচ্ছা হয় বলুন?


দেশ্চিন্তা-১

নীলকান্ত এর ছবি
লিখেছেন নীলকান্ত (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/০৫/২০১২ - ২:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হিলারী বাংলাদেশের সাথে আড্ডা দিয়ে গেলেন। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের সাথে। আসলেই কি তাই?
হিলারী আরো অনেক আড্ডা দিছেন এবং ভুল না হয়ে থাকলে দিবেন। মনে করি, এই আড্ডাসকল হিলারীর জন্য গুরুত্বপুর্ণ না হলেও অন্য পক্ষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

হিলারী বাংলাদেশের সাথে আড্ডা দিয়ে গেলেন। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের সাথে। আসলেই কি তাই?