০১
দেশ ছেড়েছি আজ একান্নো দিন হয়ে গেলো।
সচলায়তনের কিছুটা পুরানো সদস্য এবং পাঠকদের হয়তো মনে আছে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ জে এস এম খালেদের কথা, আমাদের কাছে যার আরেকটি পরিচয়- সচল জিফরান খালেদের বাবা, তিনি দুরারোগ্য এক ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রতি আমাদের সমগ্র জাতির যে অপরিসীম ঋণ, কৃতজ্ঞতা- তারই অংশ হিসেবে আমরা চেষ্টা করেছিলাম উনার পাশে দাঁড়াতে। [url=http://www.sachalayatan.com/goutam/24557]যিনি লড়েছিলেন দেশের জন্য, আম
০১
সারা সপ্তাহ নানাবিধ মানসিক এবং শারীরিক পরিশ্রমের পর ঢাকা শহরের বাইরে যাওয়াটা একরকম জরুরী হয়ে পড়েছিলো। মহামতি ওডিনের সাথে কথাবার্তা বলে দেখা গেলো উনার চিন্তাভাবনাও কাছাকাছি- গতকাল সকালেই তাই আমি, মহামতি ওডিন, মহাকবি তারেক রহিম আর মহামতি ওডিনের বন্ধু সুমন ভাই মিলে বালিয়াটি আর পাকুটিয়ার জমিদারবাড়িতে গেলাম।
০১
মৃত্যু নিশ্চিত জেনে দুর্ঘটনায় পড়া একজন ড্রাইভার যখন বাস নিয়ে খাদের দিকে এগিয়ে যায়, সে তখন কী ভাবে ? কিংবা খাদের দিকে পড়তে থাকা অবস্থায় তার কী মনে হয় ? সময় কি তার কাছে মন্থর হয়ে যায় ? জীবনের সঞ্চয় সব স্মৃতিগুলি কি ভেসে উঠতে থাকে ?
চেষ্টা করেও অনেকদিন কিছু লিখতে পারিনি আর আজ অনেকটা না চাইতেই পারলাম। কবিতা লেখা আমার কর্ম কিনা সে ব্যাপারে আমি বরাবরই সন্দিহান, তবু সুযোগমতো পেলে দুয়েকটা লিখতে ছাড়িনি। এটাও তেমনই একটা কবিতা, যেটা আদৌ কবিতা কিনা তাও আমি জানি না!
সচলায়তনে যখন প্রথম হিমু ভাইয়ের ফুটোস্কোপিক গল্প পড়ি, তখন মাথাতে একটা আইডিয়া এসেছিলো। কিন্তু প্রথমত ফুটোস্কোপিক আইডিয়া হিমু ভাইয়ের একদমই নিজস্ব, তার উপর আইডিয়াটা নিয়েও একটা দ্বিধা দ্বন্দ্ব কাজ করছিলো।
আজ একটা বিশেষ কারণে গল্পটা লিখে ফেললাম। সাহসে ভর করে লেখাটা সচলেও দিয়ে দিলাম। নিয়ম সেই আগেরটাই, গল্প ভালো লাগলে সব প্রশংসাই লেখকের প্রাপ্য, আর খারাপ লাগলে সেইটা আমেরিকার চক্র ...
অনেক দিন আগে সচলে পোস্ট করেছিলাম অ্যালবাম রঙ্গ -০১।
এরপর বহুদিন যাবৎ বলার মতো পোস্টার চোখে পড়েনি, কিংবা মোবাইল (এবং সেই সাথে মোবাইল ক্যামেরাও) নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে অনেক সময় চোখে পড়া চমৎকার পোস্টারের ছবি তুলতে পারি নি।
এই দুটি পোস্টারের ছবির জন্য ধন্যবাদ জানাতে হবে আমার বন্ধু আরমান এবং সচল খেকশিয়ালকে।
এনজয় !
পুনশ্চ: কী মুসিবত ! প্রথম পাতাতেই দেখি ছবি চ...
আমি ব্লগে সবসময়ই একজন মানুষের লেখা পড়ে লেখার পেছনের মানুষটাকে রিকনস্ট্রাক্ট করার একটা প্রচেষ্টায় থাকি। মাঝে-মাঝে খুব চমৎকারভাবে মিলে যায়। তবে আনিস ভাইয়ের মতো মানুষের ক্ষেত্রে সেটা উল্টা-পাল্টা হয়ে যায়।
আনিস ভাইয়ের লেখা পড়ে প্রথমে ভেবেছিলাম মারাত্মক রাশভারি, কোনো একজন লোক। রাশভারি লোকজনদের সাথে মিশতে আমার আড়ষ্ট লাগে। মূলত সে কারণেই তাঁর সাথে তখন পর্যন্ত তেমন খাতির হয়...
০১
ছোটবেলা থেকেই সেইসব মানুষকে আমার পছন্দ, যাদের স্নায়ু শক্ত ধাঁচের, অনেক দুঃখ কষ্টেও যারা স্থির থাকতে পারে। সবসময়ই চেষ্টা করতাম এমন অটল ইস্পাত হয়ে থাকার। কিন্তু বাস্তবতা হলো আমি বেশ আবেগপ্রবণ। দুঃখ, কষ্ট- এসবে কাতর হয়ে পড়ি।
আমার এখনো মনে আছে খুব ছোট বেলায় একবার স্যান্ডো গেঞ্জিটা ছিঁড়ে যাওয়ার পর বাবা নতুন একটা গেঞ্জি এনে দিয়েছিলো। নতুন গেঞ্জিটা পরে, যখন হাতের ছিঁড়ে যাওয়া গে ...
একসময় ইচ্ছে জাগে, মেষপালকের বেশে ঘুরিফিরি;
অরণ্যের অন্ধকার আদিম সর্দার সেজে মহুয়ার মাটির বোতল
ভেঙ্গে উপজাতি রমণীর বল্কল বসন খুলে জ্যোৎস্নায় হাঁটু গেড়ে বসি-
আর তারস্বরে বলে উঠি নারী, আমি মহুয়া বনের এই
সুন্দর সন্ধ্যায় পাপী, তোমার নিকটে নত, আজ কোথাও লুকানো কোনো
কোমলতা নেই, তাই তোমার চোখের নীচে তোমার ভ্রুর নীচে তোমার তৃষ্ণার নীচে
এই ভাবে লুকিয়েছি পিপাসায় আকণ্ঠ উন্মাদ আমি
ক্ষোভ...