চাকুরী - ০৪

দেবোত্তম দাশ এর ছবি
লিখেছেন দেবোত্তম দাশ (তারিখ: সোম, ১৭/১১/২০০৮ - ১১:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

smallমূল লেখায় যাবার আগে পাঠকদের একটু অবগত করালে ভালো হয় যে আমি এই লেখায় একই সাথে আমার বর্তমান এবং অতীতে বিচরন করার চেষ্টা করছি। ট্রানজিশনটা হয়তো ঠিক মত ফুঁটিয়ে তুলতে পারছি না অনেক ক্ষেত্রেই তাই পাঠকাংশ কাহিনীসুত্র ধরতে কিছুটা বলা ভালো বেশ বিব্রত হয়েছেন। এখানে জানিয়ে রাখা মনে হয় আবশ্যক যে আমার বর্তমানের ঘটনাক্রমের সাথে অতীতের একটা নিবিড় সম্পর্ক আছে, যা ঘটনাক্রমে আসবে আর তাই বলেই বিশেষ করে অতীত টেনে আনা এবং তার সাথেই আপেক্ষিক ভাবে চলে আসা আমার অতীত অনুভুতি বা উপলব্দি গুলো। প্রত্যেক মন্তব্যকারী পাঠকদের আমার বিশেষ ধন্যবাদ। আশা রাখবো আপনারা এভাবেই আমকে দিকনির্দেশে সাহায্য করবেন। ধন্যবাদ।

____________________________

জীবনের প্রথম চাকুরী এমন একটা কোম্পানীতে যে নিজেও শিশু, তবে শিশুটি আশাতীত ভাবে বড় হচ্ছে, সাথে বড় হচ্ছি আমরাও, লেজ গজাচ্ছে আমাদেরও, বলা ভালো গজানো লেজ লম্বা হচ্ছে। হাসি

কোম্পানীতে নিত্য নতুন টেকনোলজি আসছে, আর আমরা তরুন তাজা রক্তে সেগুলোকে সিঞ্চন করে নিচ্ছি। বিশাল বিশাল সার্ভার ইনষ্টল হচ্ছে, মাইক্রোসফট (Microsoft), সিসকো (Cisco), থ্রীকম (3Com), সান সোলারিস (Solaris), এইচ পি (HP), কে নেই? তখন মার্কেটে কম্প্যাক(Compaq) সার্ভারের বিশাল নাম, এইচ পি (HP) তখনও কম্প্যাক(Compaq) কে গিলে খায় নি, এমনকি থ্রীকম (3Com) এরও বাজার বেশ ভালো। (যাক অত ট্যাকনিক্যাল কিছু লিখার মানে নেই) তা হেড অফিসে এগুলো ইনষ্টল হচ্ছে আর আমাদের ইনষ্টল করতে হবে অন্যান্য শহরে গিয়ে। তাই আমাদেরও রাত দিন বলে কিছু নেই, নোটবই নিয়ে পড়ে আছি, যা যা দরকার সব নোট নিয়ে ছিচ্ছি, মাঝে মাঝে টিপসও পাওয়া যাচ্ছে। বোকা বোকা প্রশ্ন যে কত করছি তার ইয়ত্তা নেই, তবে নিজেকে বোকা ভাবার অবকাশ পাইনি, আজ অবসরে মাঝে মাঝে ভাবি তখন কত বোকাই না ছিলাম।

কত ভালো ভালো অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাথে পরিচয় হচ্ছে তখন। তখনকার দিনে এরা আমাদের লাইনে (কাজের ক্ষেত্রে) এক একজন দিগগজ। সেইসময় আমাদের সাথে একই টেবিলে বসে এঁরা চা কফি সিগারেট খাচ্ছেন ভাবা যায় না, আর কি অমায়িক মাইডিয়ার এক একজন, কারো কোনো গরিমা নাই, যা খুশী জিজ্ঞেস করো এখন নাহোক পরে হলেও উত্তর মিলবে। অসাধারনদের দেখে স্বপ্ন দেখার পালা চলল।

***************

তখনকার একজনের কথা খুব মনে আছে, নাম সুবিনয় স্যান্যাল। সে আবার গাঁজা না খেয়ে কাজ শুরু করতে পারতো না। নেটওয়ার্কিং এ তার বিশাল জ্ঞান, গুলে খেয়েছে সিসকো (Cisco )। তখনকার দিনের কথা, নেটওয়ার্কিং জগতে আলোড়ন ফেলছে Cisco, বাকী সব নেটওয়ার্কিং কোম্পানীগুলোকে গিলে খেতে শুরু করেছে। ইউজার ফ্রেণ্ডলী অপারেটিং সিষ্টেম মানেই মাইক্রোসফট আর নেটওয়ার্কিং মানেই Cisco। ইউনিক্স অবশ্য চিরকালই ষ্টেডি (মরা হাতির লাখ টাকা দামের মত)। তা তখনকার দিনে Cisco কোম্পানীর Cisco certification (CCNA, প্রাথমিক ডিগ্রী) হলেই চাকরী মোটামুটি পাকা ছিল। সেই Cisco র সবথকে বড় ডিগ্রীধারী সুবিনয় স্যান্যাল CCIE পাশ (দুটো পার্ট হয়, থিওরী আর ল্যাব)। সেইসবদিনে দিনে ভারতে CCIE র ল্যাব কোথাও দেওয়া যেত না, এশিয়ার মধ্যে একমাত্র জাপানে বা হংকং এ দিয়ে আসতে হতো। সুবিনয়দা সেই তখনকার দিনের CCIE পাশ।

সারা ভারতবর্ষে তখন CCIE র সংখ্যা হাতে গোনা। সত্যি বলছি সেই সময় এসব ভাবলেই সারা গায়ে শিহরন দিত। লোকটাকে দেখে কেমন জানি একটা শ্রদ্ধা ভাব আসত না, সাধারন জামা কাপড় পরা, চোখদুটো মরা মাছের মত। কিন্তু লোকটার তেমন একটা ভাব ছিল না, সবার সাথেই স্বভাবিক ভাবে কথা বলতো। আমার এক বন্ধু কাম কলিগ আমাকে না বললে হয়তো জানতাম না লোকটা কি!

স্বপ্ন দেখতাম তখন, আমিও একদিন এই রকম প্রচুর বাল ছিঁড়বো, ছিঁড়ে ছিঁড়ে আটি বাঁধবো। সিগারেটও খেতাম প্রচুর, তবে তখন মদ খেতাম না। নিজেকে মাঝে মাঝে বাদশাহ মনে হতো।

সুবিনয়দার গাঁজা খাওয়াটা আমার ঠিক পছন্দ ছিল না, মনে হতো একমাত্র ছেছড়ারাই গাঁজা খায়। তা যাই হোক একদিন গাঁজা খেতে খেতেই কথায় কথায় সুবিনয়দা বলছিল গরীব ঘরের ছেলে ছিল বলেই নাকি সে কোনোদিন দামী নেশা করতে পারে নি।

উত্তরে আমি বলেছিলাম গরীব না হয় মানলাম, কিন্তু তাই বলে নেশা করতে হবে এমন দিব্যি তো কেউ দিয়ে রাখে নি ? উত্তরে সেদিন লোকটা যা বলেছিল সেটা শোনার পর নিজে থেকেই চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে এসেছিল।

তাদের ছয় ভাই বোনের সংসারের অবস্থা নাকি এতই খারাপ ছিল যে, পাটকলে কাজ করা বাবার পক্ষে একা এতো বড় পরিবার টানা কিছুতেই সম্ভব ছিল না, কেউই দুবেলা ঠিকমত পেটপুরে খাবার পেত না। সেই সময় পাড়ার কয়েকটা বখাটে ছেলের সাথে মিশে এই গাঁজা খাওয়া শুরু। রাস্থার রকে বসে আড্ডা মারা ছেলে গুলি তাকে বিনে পয়সায় গাঁজা খাওয়াতো।

গাঁজা খেলে নাকি প্রথমে খুব খিদে পায়, আর কিছুক্ষন সেই খিদে চেপে রাখলে তারপর অনেক্ষন খিদে পায় না, নেশায় মনকে তখন একাগ্র করা যায়। একমুখী মনকে তখন নাকি যা বলবে তাই শুনবে। জেদ চেপে যেত গাঁজা খাবার পরে, দুঃখ-কষ্ট লাঘব করার জন্য মরিয়া হয়ে পড়াশোনা করত সুবিনয়দা।

হয়েছে, কষ্ট লাঘব হয়েছে, অনেক মান সম্মান পেয়েছে, টাকা পয়সা তো বটেই, ছাড়তে পারে নি শুধু পচা নেশাটা।

কেন জানি না, খৈনিখোর,গাঁজাখোর দের আমি দেখতে পারি না। নাঃ সুবিনয়দাকে কিছু বলি নি, পারিনি বলতে, অতবড় লোকটাকে আমার কিছু বলার মত ছিল না।

হতে পারেন ঈশ্বর নির্গুন। সুবিনয়দা তো সাধারন মানুষ, তার হাজারটা গুনের মধ্যে একটা খারাপ গুন থাকতেই পারে, থাকাটাই স্বাভাবিক। তবু লোকটা আমার নমস্য, আজো তার কথা মনে এলে অজান্তেই নিজের মাথা নুয়ে আসে। থাকুক না একটা খারাপ দিক, তাতে তো আর পৃথিবী হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে না, কারো কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। লোকটা যদি তার পুরোনো দিনগুলিকে ভুলতে দিতে না চায় তাতে কারো কোনো অসুবিধা তো হবার নয়?

***************

প্রায় বছর তিনেক আগে যখন নিজে থেকে খোঁজ নিয়ে সুবিনয়দার সাথে দেখা করতে গেলাম, ভেবেছিলাম আমায় চিনতে পারবে না, কিন্তু আমায় ঠিক চিনতে পেরেছে দেখে আমি তো একেবারে আপ্লুত। আমাকে টেনেটুনে রেষ্টুরেণ্টে নিয়ে গেল। সেবার অনেকবার বলেছিল যাবার আগে একবার বাড়ী যেতে, সেবার আর সুবিনয়দার বাড়ী যাওয়া হয় নি।

এখনো প্রতিনিয়তঃ যখনই মনে পড়ে, যে লোকটাকে আমি শ্রদ্ধা জানাই, যে লোকটার দিকে তাকিয়ে আমি ঠিক করেছিলাম আমিও একদিন উনার মত হবার চেষ্টা করবো, যে লোকটা আমাকে বলেছিল পৃথিবীতে অসাধ্য বলে কিছুই নেই, কিছু চাইলে সেটা সত্যিকারের হৃদয় দিয়ে চাইতে হয়, আর না পাওয়া পর্য্যন্ত ছাড়াছাড়ি নেই বলে কামড়ে পড়ে থাকতে হয় সেই, লোকটা আমার কাছে সেদিনও ঈশ্বর ছিল, আজো আছে আর আমরণ থাকবে, সামান্য গাঁজা খাইয়ে বলে আমার কাছে অপাংতেয় বা অচ্ছুৎ হতে পারে না।

ঈস্বর বলে কেউ আছে কি না জানি না, এরকম কাউকেই আমি দেখি নি, কাউকে দেখার ইচ্ছেও আছে কি না সন্দেহ। কিন্তু সেই লোকটা সেদিন আমার বুকের আগুন জ্বালিয়ে না দিলে স্বয়ং ঈস্বর আজো আমাকে সাহায্য করতে পারতেন কি না তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

তাই রোজকার মত সুবিনয়দাকে আজ সবার সামনে জানাই আরেকটা স্যালুট। “হেইল দ্যা লর্ড”।

***************

হেড অফিসে মোটামুটি ভালোভাবে সার্ভিস শুরু হয়ে গেল, বড় বড় হনুরা তাদের বড় বড় কাজ প্রায় শেষ করে এসেছে, আমরা ছোট থেকে মাঝারি সাইজের স্বকল্পিত হনুরা এবার ভারত অভিযানের জন্য তৈরী হতে লাগলাম। চলতে লাগলো মিটিং এর পর মিটিং। শুরু হবে এবার ভারত জয়ের অভিযান, এবার আমরা ছড়িয়ে পড়বো নানাদিকে। বেশ কয়েকটা ছোট ছোট দলে সবাইকে ভাগ করা হলো।

ঠিক করা হলো চারটে মেট্রোপলিটন সিটি দিল্লী মুম্বাই (বোম্বে) আর চেন্নাইতে (মাদ্রাজ) হবে নক (NOC, Network Operations Centre ) আর আরো প্রায় ১০০ টা শহর বাছাই করা হলো পপ (POP Point-of-Presence) সেট আপ করা হবে বলে।

সাধারন ভাষায় বোঝাতে গেলে ভারতকে চারটা জোন এ ভাগ করা হলো, প্রত্যেকটা জোন এ এক একটা মহানগরী আর সেখান থেকে বাকি ১০০ টা ছোট শহরকে কণ্ট্রোল করা হবে।

তিন ধরনের গ্রুপ তৈরী করা হলো। কোর গ্রুপ, নক গ্রুপ আর পপ গ্রুপ।

অত কিছু বলার মানে নাই। কোর গ্রুপের কাজ হলো বড় বড় বিশেষ করে NOC সাইটগুলোতে গিয়ে সার্ভার ইণষ্টল করা, নেটওয়ার্ক সেটআপ করা এবং মুল কাজ শেষ হলেই তড়িঘড়ি অন্য সাইটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়া।

টানা প্রায় দু-বছর, সাথে চলল ভারত পরিভ্রমন। তখনো বিয়ে টিয়ে কিছুই হয় নি। কাজের সুত্রে ভারতবর্ষের এতো জায়গা ঘুরে বেড়িয়েছি যে তা নিয়ে আলাদা করে লিখলে কয়েকশ পাতার ভ্রমন কাহিনী হয়ে যাবে। ( কোনো একদিন অবশ্যই লিখবো)

যাই হোক, দশ জন টেকি নিয়ে আমাদের কোর গ্রুপ। বিক্রম সেন শর্মা আমাদের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর। এক নম্বরের মদাড়ু আর ঘাগু মাল। আই আই টি খড়্গপুর থেকে ফাইবার অপ্টিকে বিশাল ডিগ্রীধারী। পেটে সত্যিকারের বিদ্যা প্রচুর তাই তো এতো বড় কোম্পানীর টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর। বয়েস কম, আর ডেঞ্জারাস রকমের পলিটিসিয়ান।

সোমরাজ সাহা আমাদের মধ্যে সবথেকে বয়স বেশী (আমাদের কোর গ্রুপের একমাত্র নন টেকী) যে মেয়েবাজ বলে আমাদের মধ্যে বেশ বদনামী ছিল, তাকে আমাদের সাথে সাথে কোম্পানীর হয়ে কি সব কাগজে (কণ্ট্রাক্ট হবে আরকি) সই করতে যেতে হতো। তবে লোকটা কিন্তু বেশ আমুদে ছিল, বাশ হাসাতে পারতো সবাইকে।

টীমের বেশীরভাগ সদস্যই ছিল অবিবাহিত আর তাই সবাই হোটেলের চেয়ে অফিসেই বেশী সময় কাটিয়ে দিত আর সুযোগ পেলেই মাঝরাতে সবাই মিলে অফিসের গাড়ী নিয়ে হুল্লোড় করতে বেরিয়ে পড়তো।

টেকনিক্যাল ছেলেগুলোর কথা কখনো না কখনো এ লেখেতে আসবেই, এদের ছাড়া আমার আমার পেশাদার জীবন যেমন পেশাদার হয়ে উঠতো না তেমনি এদের অনেককেই আমার জীবনে বন্ধু হিসেবে পাওয়া হতো না। এরা এক একজন নিজেদের বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে আজ একেকজন দিগগজ।

আজ অনেকের সাথেই যোগাযোগ নেই আবার অনেকের সাথেই আছে, তবে যতদুর জানি এদের খুব কম সংখ্যকই এখন দেশে আছে। নানা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও যাদের সাথে যোগাযোগ আছে তাদের সাথে কথা হলেই পুরোনো দিনগুলির কথা আজো উঠে আসে।

আজো সেই দিনগুলির কথা ভাবলে মনটা ব্যাথা ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। জীবনের সবচেয়ে আনন্দঘন দিন কাটিয়েছি সেই বছরগুলোতে।

সবার জীবনেই নাকি একটা সময় আসে যখন সে যা চায় তাই পায় ? সেইদিনগুলি ছিল সবকিছুই পাওয়ার দিন। যা চেয়েছি তাই পেয়েছি, যা করতে চেয়েছি তাই করতে পেরেছি।

আজকের পোড় খাওয়া আমি অনেক পরিপক্ক অনেক পরিনত, তবুও কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে তাহলে আমি অপরিণত অপরিপক্ক থাকা সেই দিনগুলোকেই এগিয়ে রাখবো। সত্যিকারের জোস তখন ছিল, ফাঁকি মেরে ভেল্কি দেখানোর প্রয়োজন পড়ত না। গায়ের জোরেই বল বাউণ্ডারীর বাইরে পাঠাতাম, আজকের বুড়ো হয়ে যাওয়া টেকনিকের উপর ভরসা করে নয়।

__________________

আজকের পুরো পর্বটাই অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাটিঁ, বলা ভালো স্মৃতি রোমন্থন। ফেলে আসা সেই দিনগুলো হারিয়ে গেলেও আজকের আমির জন্ম সেইদিনই হয়েছিল। আগামী পর্বগুলিতে চেষ্টা করবো বর্তমানের ঘটনাগুলি নিয়ে আসতে।

(চলবে ...)

আগের পর্বগুলি পড়তে চাইলেঃ-

চাকুরীঃ-১চাকুরীঃ-২চাকুরীঃ-৩


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি
দেবোত্তম দাশ এর ছবি

ধুগোভাই, গাঁজাকে তো খারাপ কই নাই, তয় আরো তো ভালো ভালো জিনিষ আছে নেশা করার।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

হাসান মোরশেদ এর ছবি

দাদা, সুবিনয় সান্যালের গল্পের মধ্যে প্র্দ্যুৎ এলো কেনো?
চাকরী জীবনের শুরুতে ভারতীয়দের সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছে । আপনার লেখা পড়ে অনেককেই মনে পড়লো ।
আমার গ্রুপলিডার দীপ্তিমান চক্রবর্তী শিখিয়েছিলো প্রফেশনালিজম কাকে বলে । প্রফেশন বদলেছে সেই শিক্ষাটা ভুলিনি ।

সিরিজটা ভালো লাগছে ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

মোরশেদভাই, লেখাটা এডিট করার সময় গণ্ডগোল করে ফেলেছি। কোন সহৃদয় মডুভাই কি ঠিক করে দেবেন প্লীজ। ওটা সুবিনয়দাই হবে
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

মুস্তাফিজ এর ছবি

প্রদ্যুত মনে হয় সুবিনয়দার ডাক নাম?

আচ্ছা গাজাঁ কী?

...........................
Every Picture Tells a Story

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

আমি হাসুম না কান্দুম, আইচ্ছা আগে কন আপ্নের নামের পাশে ছবিটা কার ?
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

মুস্তাফিজ এর ছবি

দাদা আমি অতিথি মানুষ

...........................
Every Picture Tells a Story

রানা মেহের এর ছবি

আপনার এই সিরিজটা খুব ভালো লাগছে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমি কিন্তু আপনার এই সিরিজের ভক্ত হয়ে গেছি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।