চাকুরী - ০২

দেবোত্তম দাশ এর ছবি
লিখেছেন দেবোত্তম দাশ (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/১১/২০০৮ - ২:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

small
প্রশাসনিক কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে বৃটিশদের সাথে কোনকালে পাল্লা দিয়েছে বা আজো দিতে পারে এমন জাতি বোধহয় পৃথিবীতে নাই, আর থাকলেও খুব কম আছে। সাধে কি আর শালার পুতেরা এককালে অর্ধেক পৃথিবী রাজত্ব করেছে ? গুছিয়ে যে কোন কাজ করতে এরা একেবারেই পাকা উস্তাদ।

কোথায় জানি পড়েছি বৃটিশ শাসনের জুড়ি মেলা ভার আর ছোটবেলা ঠাকুমা আর লোকমুখে শোনা, বৃটিশে শাসনে নাকি একটা কুকুর খুন হলেও তার বিচার ছিল।

আমার তখন প্রশ্ন ছিল ওরা অন্যায় করলে কি ওদের বিচার হতো ? মনে আছে ঠাকুমা বলতেন ছিল না বলেই তো স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ওদের খেদালো। ঠাকুমা বুড়ো বলে আর তর্কে যেতাম না।

শনি আর রবি, এখানে সপ্তাহে এই দুইদিন ছুটি। কিন্তু ছুটির দিনে বাড়ীর নানা কাজ আর ব্যক্তিগত কাজ এতো থাকে যে মাঝে মাঝে মনে হয় ছুটির দিনও বোধহয় অফিসে চলে যেতে পারলে ভালো হতো। এখানে প্রায় সবাইকেই নিজের কাজ নিজেদের করতে হয়, ছুটি বোধহয় তাই একদিনের জায়গায় দুদিন থাকে। হেন কাজ নেই যা এখানে নিজেকে করতে হয় না, বস্তুতঃ আমার মনে হয় এমন একটা কাজও নেই যেটা তোমার জন্য অন্যে করে দেবে। তাই রেষ্ট নয় বেশীরভাগ সময়ই উইকেণ্ডে গুতা খেতে খেতে আলুভর্তা হবার উপক্রম হয়।

মনে আছে দেশে কাজকরাকালীন আমাদের সপ্তাহে একদিনই ছুটি হতো। অবশ্য এখন শুনেছি আজকাল দেশেও সপ্তাহে দুদিন ছুটি হয়। এখনো মনে আছে কি ভালোই না কাটতো সপ্তাহে একদিন মাত্র ছুটির সেই দিনটি!! সারাদিন আড্ডা মেরে দুপুরে খেয়ে দেয়ে ভাতঘুম, তারপর সন্ধ্যায় আবার মুড়ী চপ কাঁচালঙ্কা আর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে চা সহযোগে টপাটপ মেরে দিয়ে ক্লাবে গিয়ে আড্ডা মারা। ক্লাবে কখনো আবার তাস নিয়ে বসলে আর কথা নেই, কোনদিক দিয়ে যে রাত বারোটা বেজে যায় কেউ বলতে পারে না, খেলতে খেলতে আবার তর্কাতর্কি শুরু হয়ে গেলে বিপদ।

“কোথায় হারিয়ে গেছে সোনালী বিকেল গুলো আজ আর নেই, আজ আর নেই”

ইশ্‌ কেন যে মাঝে মাঝেই নস্টালজিক হয়ে যাই ? ভালো লাগে না আর, কবেই বা দেশে পাকাপাকি ভাবে ফেরত যেতে পারবো ? পোড়ার এই দেশে আরো কতদিন যে বেগার খাটতে হবে কে জানে।

যাউকগা, যতদিন থাকতে হবে ততদিন তো কিচ্ছু করতে পারুম না, সুতরাং চিন্তা কইরা লাভ নাই। বরং চিন্তা ছাইড়া নো চিন্তা ডু ফুর্তি টাইপের কিছু একটা করা অনেক ভালো।

তাই দুই বন্ধুতে মিলে উইকেণ্ডে মাল খেয়ে গলা জড়াজড়ি করে উদাত্ত কণ্ঠে বরং গান গাওয়া অনেক উপকারী, তাই কখনো কখনো আসর বসে, মাল খাই আর গান গাই “আমরা দুই ভাই শিবের গাজন গাই”।

একবার আমার এক দোস্ত মাল খেয়ে টাল হয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করছিল “আইচ্ছা বলতো মদ জিনিশটা কে বা কারা প্রথম আবিষ্কার করেছিল” ? মনে আছে আমি বিজ্ঞের মত উত্তর দিয়েছিলাম “মদ মাইনষে আবিষ্কার করে নাই, মদে মাইনষেরে আবষ্কার করছিলো”।

পরদিন হুঁস ফেরার পর এক কথা সজ্ঞানে মনে পড়ায় মনে মনে বেধুম হাসি হেসেছিলাম। শুনেছিলাম মাল খাইলে মানুষ নাকি খেচাখেচি বিজ্ঞ হইয়া যায়, সেবারে তার প্রমান হাতেনাতে পেয়ে গেলাম।

দেখতে দেখতে ছুটির দুটো দিন শেষ হয়ে এলো, প্রতিবারই শেষ হয়ে যায়, করার থাকে না কিছু। প্রত্যেক সপ্তাহান্তের মতই আরো একটা সোমবারও এলো। অনিচ্ছা সত্তেও নিজেকে টেনে-হিঁচড়ে অফিসে নিয়ে যেতে হলো, তয় আইজকা অফিস গেলাম একটু সেজেগুজে।

*****************

নুতন প্রজেক্ট বিগ (মনে রাখার সুবিধার জন্য একটা নাম দেওয়া আরকি!) এর ইণ্টারভিউ আজ।

অফিসে পৌঁছে কম্পুটার খুলেই দেখি এজেন্সি থেকে ইমেইল, সাথে একটা ছোট্ট নোট, মিঃ ড্যাস, একটা নতুন সি ভি পাঠানো হলো, তোমাদের চাহিদার সাথে এর সি ভি ভীষন ভাবে মিলে যাচ্ছে আর তাছাড়া এর এক্সপিরিয়েন্সও বিশাল, তোমার মতামত জানলে আমরা আবেদনকারীর সাথে যোগাযোগ করতে পারি।

কোনো কারন ছাড়াই “ধুত্তোর নিকুচি করেছে নুতন সি ভি র”। আজকের ইণ্টারভিউর সব প্ল্যান করা হয়ে গেছে, তাই ঠিক করলাম নো মোর সি ভি। কি একটা অন্য কাজে ডুবে গেলাম। সপ্তাহের শুরু, এসময় মনটা এমনিতেই একটু খিঁচকে থাকে, কারনে অকারনে মেজাজ একদম সপ্তমে চড়ে যায়।

কিছুক্ষন পরে কেন জানি না, কিছু একটা ভেবে এজেন্সীর সেই পাঠানো ইমেইল খুলে বসলাম। সি ভি টা যেই খুলবো ওমনি বসের আওয়াজ, “ব্যস্ত না থাকলে একটু এদিকে চলে আসো, কাজ আছে”। চলে গেলাম মা জননীর (বস) কাছে।

বসের ওখান থেকে ফিরে আর মনেই রইলো না এজেন্সির পাঠানো ইমেইল পড়ার কথা। আবার ব্যস্ত হয়ে পড়লাম কিসব অকাজে।

কিছুক্ষন পরে এজেন্সি থেকে ফোন করে জানালো কোন এক কারনে দুইজন আবেদনকারী আজ ইণ্টারভিউ দিতে আসতে পারবে না তাই তারা একটা নুতন সি ভি আজ সকালে আমার কাছে পাঠিয়েছে, প্রয়োজনে এই আবেদনকারী আজই ইন্টারভিউর জন্য চলে আসতে পারবে। এবার বুঝলাম এজেন্সী কেন সকালে ইমেইল করেছে। এজেন্সির পাঠানো ইমেইল ভালো করে পড়িনি বলে খারাপ লাগলো। তাই দশ মিনিটের মধ্যেই জানিয়ে দিচ্ছি বলে ফোন নামিয়ে রাখলাম।

এজেন্সির পাঠানো ইমেইল এটাচমেণ্টটা খুললাম, মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লেখা সি ভি খুললো। শুরুতেই হয়েছে এভাবে

নেইম ঃ- নীলোৎপল চক্রবর্তী
ইমেইল ঃ- নীলোৎপল@জীমেইল.কম
কণ্ট্যাক্ট নম্বর ঃ- ০৭৯৮৬৮৫৬৫৭৮

তরতর করে চোখ নিচের দিকে চলে যেতে লাগলো। যা যা দেখার নিমেষে দেখে নিলাম, পুরোটা শেষ করার প্রয়োজন দেখলাম না। হ্যাঁ একেই আমাদের চাই, প্রফাইল ভীষন রকম মিলছে। এজেন্সিকে ইমেইল না করে ফোন করলাম।

এজেন্সী তক্ষুনি জানালো আবেদনকারী এই মুহুর্তে কাজ করছে না তাই আমরা চাইলে সে আজই ইণ্টারভিউর জন্য হাজির হতে পারে।

তাহলে তো ভালোই হলো, আজকেই ওকে পাঠিয়ে দাও বলে আমার বসকে ইমেইল করে আপডেট করে দিলাম যে অমুকের জায়গায় তমুক আসছে।

এজেন্সি থেকে পাঠানো শেষ ইমেইল আর আজকের যারা ইণ্টারভিউ দিতে আসবে তাদের একটা লিষ্ট বসকে ফরোয়ার্ড করে দিলাম। জানি বসের সময় নেই, বেচারী ওসব দেখার টাইম পাবে না। একাবারে ইণ্টারভিউ নেবার সময়ই আমাকে বলে দিতে হবে।

প্রথম রাউণ্ড ইণ্টারভিউ বস নেবে, আমি পাশে বসে থাকবো, আমি সাধারনতঃ কোন প্রশ্ন করি না, অনেক সময় মালকিন (বস) চাপাচাপি করলে দু-একটা আমি যা পারি তা থেকে দু-একটা জিজ্ঞেস করি। সেগুলো শুনে প্রত্যেক আবেদনকারীরাই বোধহয় মনে মনে হাসে আর ভাবে এই গণ্ডমুর্খটা এখানে কি করছে। “আমি যা সবাই সেটাই ভাববে” ভেবে আমি আর মন খারাপ করি না।

*****************

বাছাই পর্ব শুরু হলো যথা সময়ে। ইণ্টারভিউ নেওয়ায় আমার বস বেজায় উৎসাহী।

ইণ্টারভিউ দিতে আসা পদপ্রার্থিদের রুমে ঢোকার আগেই আমার বস বলে চলেছেন, হ্যলো কাম ইন প্লিজ, কাম ইন। যেনো আপ্যায়ন করে নিয়ে আসা। বেচারা/ বেচারীরা ভেতরে এসে বসতে না বসতেই আবার বস জিজ্ঞেস করবে, কি নেবেন আপনি, চা কফি নাকি ড্রিঙ্ক !!! ইণ্টারভিউ রুমে ঢোকার পরই নাম ধরে সম্ভাসন, হ্যালো মিঃ অমুক, “হাও আর ইউ টুডে” বলেই হাত বাড়িয়ে দেওয়া? যত সব আদিখ্যেতা, মুখে মধু ঢেলে কৃত্তিম হাসি দিয়ে টুথপেষ্টের বিজ্ঞাপন হয়ে আমাকেও হাত বাডিয়ে দিতে হয়। মিট মাই গাই, মাই রাইটহ্যাণ্ড ডেবস্‌।

গরুকে আমরা গাই বলি, ভাগ্যিস আমার বস এখনো এটা জানে না তাইলে তো আমার অবস্থা কেরসিন। তাও যদি বলতো মিট মাই বলদ/ষাঁড় তাইলেও মানতাম, অন্ততঃ লিংঙ্গ তো ঠিক থাকতো।

যাহোক,বসকে যতই বলি এসব বলো না, তবুও এইসব কথা বলে আমাকে গাছের ডগায় তুলবে।

বেশ কয়েকজনের ইণ্টারভিউ হয়ে যাওয়ার পর এবার ডাক পড়লো বাঙালী বাবুর। সি ভি র দিকে তাকিয়ে বসের চোখ কপালে উঠলো, ডেবস্‌ ল্যুক, “হি ইজ ফ্রম সিটি অফ জয়, ক্যালকুটা, হি মাষ্ট বি ইয়োর লষ্ট ব্রাদার, ডু ইউ নো হিম !!”...... বলে বস একটা মুচকি হাসি হাসলো

এণ্ড হ্যালো হ্যালো, লুক এ্যট হিজ এক্সপিরিয়েন্স, অহ মাই গড, ডেডলী ওয়ান,?

হুমম্‌ এই সিভি টা আজই এজেন্সী পাঠিয়েছে লাষ্ট মিনিট এডিশন, বলে আমিও একটা মুচকি হাসি ফেরত দিলাম।

***************

শান্ত ধীরস্থির নিলোৎপল ইণ্টারভিউ রুমে ঢোকার পর যথারিতি সেই সম্ভাসন, হ্যলো মিঃ নীল, হাও আর ইউ টুডে, বলে লাইনের শেষ কথাগুলো একটু পাল্টালো, মিট মাই রাইট হ্যাণ্ড, হি ইজ ফ্রম ইয়োর সিটি, বাকিটা বলার আগেই চোখে মুখে হাল্কা হাসি মেরে হাত বাড়িয়ে দিলাম, “নাইস মিটিং ইউ নিলোৎপল পরিষ্কার বাংলা উচ্চারণ করে জানালাম আমার নাম দেবোত্তম।

স্মার্ট নীলোৎপল মুহুর্তের শক সামলে উঠতে এতটুকু সময় নিল না। একদম পাকা শিল্পীর হাসি দিয়ে নীলোৎপল আমার সম্ভাসনের প্রত্যুত্তর করলো।

প্রথমেই প্রশ্ন, সে ভারতের গোয়া আর আগ্রায় গেছে কি না? আমার বস বেচারীর কাছে ভারত মানেই গোয়ার বিচ আর তাজমহল। সেই কোন আমলে এই দুটো যায়গা বেচারী ঘুরে এসেছে তার স্মৃতি আজো অমলিন রয়ে গেছে। তাই তার কাছে ভারতবর্ষ মানেই গোয়া আর তাজমহল।

তবে হিমালয় নিয়ে বেচারী খুব অবসেসড। সে নাকি মরার আগে একবার কাঞ্চনজঙঘা দেখে মরতে চায়। বস জেনেছে নেপাল বা দার্জিলিং থেকে নাকি কাঞ্চনজঙঘা দেখা যায়। আমার থেকে খোঁজ়ও নিয়েছে।

আমাকে মাঝে মাঝেই বলে ডেবস্‌ দিস টাইম আই আম গনা গো টু ক্যালকুটা। হাসি পেলেও শোধরানোর চেষ্টা করি। ক্যালকুটা নয় ওটা ছিল ক্যালকাটা আর এখন হয়েছে কলকাতা। বেচারী চেষ্টা করেন, হয়ে যায় কোলকুটা। জানি চেষ্টা করে লাভ হবে না, চেষ্টা করার কোন মানে নাই।

তোমাদের ভারতীয় নাম গুলো খুবই নাইস, কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা আবার তোমাদের নাম ভালো করে উচ্চারন করতে পারি না, বিশেষ করে দক্ষিন ভারতীয়দের নাম। তাই বাধ্য হয়েই তোমাদের নাম আমদের শর্টকাট করে ফেলতে হয়, তাই তোমাকে নীলোটপল (বসের মুখে নীলোৎপল যে নীলোটপল হবে তা স্বাভাবিক, আরো খারাপ অবশ্য হতে পারত)। না বলে নীল বলেই সম্ভাসন করবো, “ইজ দ্যাট ওকে উইদ ইউ” ?

“নো প্রব্লেম এট অল”, সপ্রতিভ নীল।

তোমার সি ভি দেখে আমি ইম্প্রেসড, বিশেষ করে তোমার এক্সপার্টাইজড এক্সপিরিয়েন্স প্রচুর। এগুলো আমাদের এই প্রজেক্টের জন্য খুব রেলেভেণ্ট মনে হচ্ছে। যদিও আমি টেকনিক্যাল নই তবুও আমাদের কিছু কিছু ধারনা করতে হয়, তার থেকে মনে হচ্ছে, তোমাকে আমাদের প্রয়োজন হবেই। যাইহোক আমাদের আজকের এই সাক্ষাৎকার ঠিক ইণ্টারভিউ নয়, বলতে পারো এটা একটা পরিচয় পর্ব।

ওহ বাই দ্য ওয়ে, তোমার কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই জিজ্ঞেস করতে পারো, তবে যেহেতু বাকী ইণ্টারভিউগুলোতে তুমি আসছই সুতরাং এখন কিছু মনে না এলেও তখন জিজ্ঞেস করে নিতে পারবে, আর আমার যতদুর মনে হচ্ছে তোমার কোনো অসুবিধা না থাকলে তুমি আমাদের সাথে কাজ করছো আর কাগজে কলমে আমিই তোমার ইমিডিয়েট বস হবো,

আমরা টীম ওয়ার্কে বিশ্বাসী, হাইয়ারার্কিতে নয়, সুতরাং যে কোনো ব্যাপারে তুমি তোমার মতামত নির্ধিধায় প্রকাশ করতে পারবে, যার মতামত যত বেশী ভারী, তার মতামতে তত আমল দেওয়া হয়, তুমি কে সেটা পরে বিবেচনা হয়।

ভাবলাম আবার শুরু হলো লেকচার। এসব শুনতে শুনতে এখন বোর হয়ে গেছি।

বস এদিকে বলেই চলেছে, আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে আমাদের গ্রাহকদের সন্তুষ্ট রাখা, যতক্ষন অবদি আমাদের গ্রাহকরা সন্তুষ্ট ততক্ষন আমাদের সব ঠিক আছে। আমরা চাই এখানে সবাই নিজের নিজের মত কাজ করবে। সুতরাং আমাদের এখানে মনখুলে, স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে এইটুকুন তোমাকে কথা দিতে পারি।

এবার মালকিন আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, “ডেবস্‌, হি ইজ নাউ অল ইয়োরস্‌”।

মনে মনে ভাবলাম একি আমার বউ নাকি!!!

......... আইজকা আর ভাল্লাগতেসে না, কাম আসে এখন যাই পরে দেখা হইবোনে ......

(চলবে ...)

আগের পর্ব পড়তে চাইলে


মন্তব্য

হাসান মোরশেদ এর ছবি

দাদা, ঐ ভদ্রলোকের মেইল আইডি আর মোবাইল নাম্বারটা বোধ করি মুছে দেয়া ভালো ।
লেখা ভালো লাগছে ।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

না গো মোরশেদভাই, শুধু নামটাই ঠিক আছে, পদবী, ইমেইল, ফোন সব মনগড়া। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

চলুক চলুক

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

পান্থ ভাই, আমি সত্যি ভীষন দুঃখিত আপনার সাথে এখনো যোগাযোগ করতে না পারায়। বুঝতেই পারছেন দৌড়ের উপর আছি। আশা করি ভালো আছেন। মাঝে মাঝে ইমেইল করবেন। আমি সময় পেলেই আপনাকে ফোন করবো
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

কর্ণজয় এর ছবি

@+

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

হাসি = দেঁতো হাসি
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

কীর্তিনাশা এর ছবি

চলুক চলুক
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

কীর্তিনাশাভাই, আপনার লেখার মতো জোস নেই, তবে চেষ্টা করি । আপনাকে থ্যাংকু

------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দেবু'দা, অনেক অ-নে-ক ভালো লিখছেন এই সিরিজটা। পড়তে বেশ লাগে। কেমন সহজ-সরল একটা ভাব। এই ধরণের লেখা পড়তে বড়োই আরাম বোধ হয়।

আমি ভেবেছিলাম আপনি বাংলাদেশি, এখন লন্ডনে আছেন। ভুল ভাঙলো এখন।

সিরিজটা চলুক... অবশ্যই নিয়মিত পড়বো। ভালো থাকবেন। হাসি

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

আমি তো অবশ্যই বাংলাদেশি। এপার আর ওপার দুটোই তো বাংলা। ভাষা, খানা পিনা, সবই তো এক, এবার বলুন তাহলে বাংলাদেশি হলাম না কি করে ?

------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ঠিক কথা, তাই তো এতো আপন মনে হয়... হাসি

রণদীপম বসু এর ছবি

হা হা হা !
মন্তব্য নাইক্কা !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

কেন ?
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

রণদীপম বসু এর ছবি

যেইখানে আইসা কৌতুহল বাড়লো, সেইখানে বেরসিকের মতো ফুট দিছেন !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

আইচ্ছা
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

তানবীরা এর ছবি

চলুক দেবুদা

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

চলবে, লণ্ডন আবার কবে আসা হচ্ছে ?
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

তাও যদি বলতো মিট মাই বলদ/ষাঁড়...
হা হা হা
পড়তে ভালো লাগছে, মিঃ ড্যাস। হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

দেখো আবার হ্যাস বানিও না কিন্তু ।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।