ARRANGED, বন্ধুত্বের কোন ধর্ম নেই।

ধ্রুব হাসান এর ছবি
লিখেছেন ধ্রুব হাসান (তারিখ: সোম, ০৩/১১/২০০৮ - ৪:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছবি-০১
হয়তো অনেকেই নাম পড়ে বুঝে নেবেন কি বিষয় নিয়ে বানানো এই ছবি! তবে অনেক দিন পর আজ আবারো লো বাজেটে বানানো এরকম একটি ছবি দেখে ভীষন ভালো লেগে গেলো। গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নগরগুলো যেসব নানাবিধ সামাজিক মিশ্রনের ভেতর গড়ে উঠছে এই ছবিও তার আরেকটি ভালো দৃষ্টান্ত। ছবিটি ব্রুকলিনে নির্মিত হলেও এ হতে পারে যে কোন কসমো সিটির গল্প। আরো পরিস্কার করে বললে বলতে হয় এই ছবি যেন আমরা যারা এরকম কসমো সিটিতে বছরের পর বছর বাস করছি তাদেরই গল্প। জানিনা আপনাদের ছবিটা দেখে কেমন লাগবে, তবে আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি, ওয়েল ডান। গল্প ও স্ক্রিপট্‌ রাইটারকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দরভাবে সুক্ষ অনুভূতিগুলো তুলে আনার জন্য। সবচেয়ে বড় ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য হলেন ডিওপি, তিনি যেভাবে চিত্রিত করেছেন তা অনন্য! সম্পাদনা বেশ সাবলীল, কোনরকম ক্যারিশমা না দেখিয়ে সিম্পল গ্রামারে ছবি শেষ। সিমপ্লিসিটির যুগ এখনো শেষ হয়ে যায়নি বলেই মনে হয়! অনেকে হয়তো এতে ফিল্মের স্বাদ একটু কম পেতে পারেন তবে ড্রামা হিসেবেও দেখার মতো। যাক এবার এক নিঃশ্বাসে গল্পটা নীচে বর্ণনা করি...

ছবি-০২ছবি-০২
ছবির গল্প
ব্রুকলিন শহরের লোকাল বা স্থানীয় স্কুলে দুই পরিবার থেকে দু’জন তরুনী এসেছে শিক্ষকতা পেশায়। তাদের একজন এসেছে অর্থডক্স জুইস পরিবার থেকে, আরেকজন সিরিয়ান মুসলিম পরিবার থেকে। রাউল আর নাসিরা দু’জনেরই আছে তাদের নিজ নিজ মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। তাদের জীবনের সবচেয়ে কমন ব্যাপার হলো দু’জনের পরিবারই তাদের এরেঞ্জ ম্যারেজের মাধ্যমে সুখী জীবন উপহার দিতে চাই। কিন্তু তারা দু’জনেই পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলেও প্রতিদিনের নিত্য নতুন উতপাতে মহা বিরক্ত (যদিও দু’জনের বিরক্তির মাত্রা একই সমান নয়)! তার উপর আছে ঘরের ও বাইরে কর্মক্ষেত্রে ও সমাজের বাড়তি উতপাত! সব মিলিয়ে চতুর্দিক থেকে তাদের দু’জনের মানসিকভাবে শেয়ারিং-র জায়গা যেন সংকুচিত হয়ে এসেছে একটা সময়! এর ফলাফল স্বরুপ দু’জন দু’জনের বন্ধু হয়ে উঠে সমস্তরকম ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক সীমাবদ্ধতাকে ছাড়িয়ে। নতুন জীবনের স্বাদের সাথে সাথে যেন তারা দু’জনে মিলে উন্মোচন করতে থাকে নতুন এক সম্ভাবনার!

ছবি-০৩ছবি-০৩
ছবিটি সম্পর্কে সমস্ত ডিটেইল পাবেন এই ঠিকানায়, অথবা আগ্রহীরা চেক করতে পারেন এখানে

ছবিটি ফ্রি দেখতে চাইলে দেখুন এই লিংকে http://static.youku.com/v1.0.0349/v/swf/qplayer.swf?VideoIDS=XMTU1MDQ4OTY&embedid=-&showAd=0

ট্রেলর দেখুন এখানে

নোটঃ এটি একটি জার্নালিস্টিক বা সামান্য তথ্যবহুল রিভিউ; কোন ভাবেই একাডেমিক রিভিউ নয়। কেউ যদি আরো বিস্তারিত আলাপে যেতে চান এই ছবি নিয়ে, তাকে বা তাদের জানাই সুস্বাগতম।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

সিনেমাটা কয়েক মাস আগে দেখেছিলাম। মোটামুটি ভালো লেগেছিলো। তবে ইউকুতে যদি কেউ দেখতে যান, কপালে দুঃখ আছে। ভয়াবহ স্লো।


হাঁটুপানির জলদস্যু

শিক্ষানবিস এর ছবি

জোগাড় করতে পারলে দেখে ফেলবো। কারণ বন্ধুত্বের থিমটা ভালো লেগেছে।
আর এমনিতেই হলিউডের হাই বাজেটের হাইলি টেকনিক্যাল ছবি দেখতে দেখতে হাপিয়ে উঠেছি। মনে হয়, তারা ছবির গল্প আর থিমের দিকে নজর না দিয়েই টেকনিক্যাল বিষয়গুলো নিয়ে ভাবা শুরু করে। এজন্যই বোধহয় হলিউডের সিনেমা অনেক সময় অন্তঃসারশূন্য মনে হয়। ওরা যা চায় তা-ই দেখাতে পারে। স্কোপ এতো বেশী থাকার কারণেই হয়তো গভীরতা নিয়ে ওতো ভাবে না।
তাই এ ধরণের ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মগুলোকে সাধুবাদ জানাই।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হা হা হা... কিভাবে মিলে গেলো?
কালকে হলিউডি ফিল্ম দেখায় অনুত্সাহীতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অতন্দ্র প্রহরীকে ঠিক এই কথাগুলোই বলছিলাম।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমিও কিন্তু তাই ভাবতেসিলাম... এক্কেবারে ঠিক-ঠিক কিভাবে মিলে গেলো! হাসি

আশফাক আহমেদ এর ছবি

লিস্টিতে ঢোকালাম

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।