নারী মাংসে বা আমার পাহাড়চূড়ায় খোদা কই ??

ধ্রুব হাসান এর ছবি
লিখেছেন ধ্রুব হাসান (তারিখ: সোম, ০৩/০৯/২০০৭ - ৪:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকাল আর নারী মাংসেও ভরে না মন, হয়তোবা মাংসেও প্রান খুঁজি ! প্রাণ এক অদ্ভূত ব্যাপার...!!

সেদিন যেন কোত্থেকে শুরু করেছিলাম ? কি যেন নাম ছিলো রাস্তাটার ? যেদিন আমরা নতুন মাংসের খোঁজে বেড়িয়েছিলাম হাতে ডিলারের আঁকা চিত্রটি সাথে করে...(ঐ ছবিটা একদিন কাজে লাগাবো ভাবছিলাম)...?

আমার স্প্যানিশ বন্ধু যাকে আমি সোউল-মাইট বলি...আমি ফাঁক পেলেই খুঁড়তে থাকি তার স্মৃতির গু...তাতে যদি পাওয়া যায় একটা প্রাণসহ ব্যাকটেরিয়া ...নাকি চিন্তাসহ ? এরমাঝে আমার খদ্দেরের ফোন আসলো...দাঁড়ান আগে মাংসটা বিক্রি করে নেই, আমি আবার ভালো বিক্রেতা!...কি জানি কেনো তারে আমি আকাশ আর জল,পাহাড় আর নারীর সম্পর্ক বোঝাতে গেলাম !...আমি প্রায়ই ভুল করে মাংসের সাথে প্রাণের সম্বন্ধ বোঁঝাতে চাই মাংসখেকোদের...কিন্তু পারি না আমি......আমার খোদা কি পারে ??......প্রশ্নগুলো শুধু দাঁড়িয়ে থাকে মাংস নিয়ে......

আমার বন্ধুর ৯ বছরের এক্স-বাইসেক্সুয়্যাল বান্ধবীও কি খুঁজতো খোদা ? তা না হলে পুরুষাঙ্গ ফেলে নারীর কোমল ঠোঁঠ কেন হয় আশ্রয় তার??......আমার বন্ধু, তার বান্ধবী কিংবা তুমি কি খুঁজে পাও তাকে...?

গালিব আমায় নিরন্তর বলতে থাকে, মাংসের বাজারে খোদা খোঁজার কাহিনী ...আমি চাইনিজটাকে উল্টো ঘুরতে বলি...ছট্‌ করে ঘুরে যায় সে....সেও আমার মতোই ভালো বিক্রেতা...আমার মতো হয়তো সেও বলে “ ওরে শুয়োরের বাচ্চা তাড়াতাড়ি কর, তোর ঐ খোঁজা বন্ধ কর!ওতে কিছু নেই ত্যাগ ছাড়া...হারামী আর কত খুঁজবি ??...১৫ মিনিট শেষ, দড়জায় আঘাতের শব্দ শুনি...বুঝি, খোদা খোঁজার টাইম শেষ...।......যাই, আর ভাল্লাগেনা লিখতে...ক্ষুধা লেগেছে খুব......আজ পেট ভরে ভাত খাব ।।


মন্তব্য

থার্ড আই এর ছবি

...পাও দুইটা ক্যামুন আলগা আলগা লাগে !!

---------------------------
জল ভরো সুন্দরী কইন্যা, জলে দিছ ঢেউ।
হাসি মুখে কওনা কথা সঙ্গে নাই মোর কেউ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

ধ্রুব হাসান এর ছবি

কি মিয়া কি পান করেছেন? নাকি হুদায় আলগা আলগা লাগে?? ধন্যবাদ কমেন্টের লাগি...কেমন চলে সাংবাদিকতা (হল্‌দে বা গ্রিন যাই হোক)...??

দ্রোহী এর ছবি

আমি আলুভাজি আর ডাল খাইছি।

মাংস- তা সে নারীরই হোক আর মুরগীরই হোক, খুব সহজে মেলে না! রান্নার ভয়ে কিংবা নিজে রান্না হবার ভয়ে !


কি মাঝি? ডরাইলা?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

পড়িলাম।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কি খাইছি কমু না। চোখ টিপি
তয় কবিতা সেরম হইছে। কিপ ইট আপ!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ঝরাপাতা এর ছবি

অনন্য।


রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

জিফরান খালেদ এর ছবি

প্রথমেই বলি এই কবিতার সাথে আমার নিজের লিখা সমাধানমালা কবিতাটির সাবজেক্ট ম্যাটারে কিছু মিল পেলাম, বিশেষ করে ইভেন্ট এর সিকোয়েন্স এবং প্রকৃতিতে অ্যাবসার্ড ও অ্যাবস্ট্র্যাক্ট এর যে সচেতন অবস্থান, সেটা লক্ষ্য করলাম...

আপনার এই লিখায় বেশ কিছু দৃশ্য ফোর্সড মনে হইলো; প্রতিটা চিন্তাকে ওই চিন্তার বাহির থেকে অবসার্ভ করার যে চেষ্টা, সেটার ও স্ট্রীম অফ কনশাসনেস এর যে না-ডিটেইল্ড রূপ দেখলাম, তাতে বেশ কিছু অস্বস্তিবোধ জেগে ওঠে; বারবার মনে হচ্ছিল ইন্টিরিয়র মনোলগে আপনি অ্যাবস্ট্রাক্ট ও ডাডাইস্ট টোন তুলে ধরতেসেন, সেটা ভালোই আগাচ্ছিলো, হাল্কা স্বরে হলেও ভেতরের নার্সিসাসকে বিদ্রুপ করা, সুররিয়ালিস্টিক যে ফ্রি-এসোসিয়েশন-রাইটিং উদ্ভুত ইন্সিডেন্ট এর যে পরম্পরা, এগুলোই সার্বিক টোনটা ধরে রাখসিলো, কিন্তু, চাইনিজ গণিকার ওখান থেকে শেষটুকু পর্যন্ত আমার খুবই ছন্দপতন মনে হলো; ক্যারেক্টারের আবির্ভাব ঠিকই আছে, কিন্তু গণিকার বয়ান শুরু হওয়ার পরপরই কবিতাটির পরবর্তী অংশটুকু স্থূল হয়ে পড়ে এবং শেষটাকেও মনে হলো আপনি জোর করে একটা way-out খুঁজে নিলেন। এই জায়গাগুলোকেই আমার ফোর্সড মনে হয়সে, এইটা আমি আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি বলেও হতে পারে; সো, ... যদ্দূর সম্ভব এইটা আমার ভুল ধারণা। সেটাই হয়তো কাম্য ছিলো আপনার।

সম্পর্কায়িত করার প্রবৃত্তি থেকেই সম্পর্কহীনতাকেও বিচার করছি; বের না হতে পারার আরেকটা চক্র...

আর, এটাও বুঝি যে আমার এই আতলামিতে আপনি এবং অন্যরা অট্টহাসি দিতে পারেন... আমিও কিন্তু যোগ দিবো অইটাতে।

যাই হোক, আমি এখন পাউরুটি আর স্প্রেড দিয়ে নাস্তাটা সারি।

ফারুক হাসান এর ছবি

কবিতাকে কাধে নিয়ে অনেক গিয়েছি কুয়োতলা...সেখানে শক্ত গ্রিপ কঠিন পেয়ালা...ভালোবাসি ভ্রম, যা কিছু কম তা কেবল পড়ে থাকে আরশে.....কবিতারও প্রাণ আছে, মেদ কিংবা মাংসহীন দেহে...

-----------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

ধ্রুব হাসান এর ছবি

জিফরান খালেদ ধন্যবাদ তোমার মন্তব্যের জন্য, ভাল লেগেছে তোমার চিন্তাশীল আগ্রহ দেখে...তবে মামা মজাটাতো ঐ জায়গাই, একই শরীর, কিন্তু ভাব-টাতো একটু ভিন্ন হওয়াই ভালো নাকি? তবে কেঊ যখন আদতেই স্ট্রীম অফ কনশাসনেস থেকে লেখে, তখন বোধহয় আরোপ করার ইচ্ছে থাকলেও কাজ করে না......এমন কি পরে আর কিছুতেই ভাবনাটা রিকল করা যায়না (অন্তত আমারা এইরকমই ঘটে)...এই লেখাটাও পরের দিন পড়ে আমার নিজেরই সংকোচ হচ্ছিল কোন কোন জায়গায়! তবে তোমার যে জায়গাটা ফোর্সড মনে হয়েছে ওই জায়গাটা এখনো আমার তা মনে হয়না...তবে একটা অনুভূতি এখনো কাজ করে...আমি পালাতে চাইছিলাম...যেন নিজের কাছ থেকেও...আর জানইতো পালানোর একমাত্র পথ হঠাত উধাও হয়ে যাওয়া...মৃত্যুর মতো...।

সবাইকে ধন্যবাদ পাঠের জন্য (যদিও অনেক দেরী হয়ে গেল)...আশা করি আমরা অনুভূতির প্রকাশে নিঃসংকোচ হবো...।

জিফরান খালেদ এর ছবি

আমি লিখেই দিসিলাম মামা যে আমার ধারণাগুলো ভুল হওয়ার কথা, অন্যান্য অনেক কিছুর মতোই; সে যাই হোক...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।