ভালোবাসায় প্রত্যাবর্তনের পথ

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: শুক্র, ০৮/০২/২০০৮ - ১:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এখন অবশ্য সূয্যিমামা উঠে গেছে গনগনে মূর্তি নিয়ে!এখন অবশ্য সূয্যিমামা উঠে গেছে গনগনে মূর্তি নিয়ে!

চোখের সামনে ভোর হচ্ছে। অসাধারণ এক দৃশ্য। একটু আগে কয়েকটা পাখির ডাকও কানে এলো জানালার মোটা কাঁচ ভেদ করে। দিনের শেষের বেলায় ঝাকিয়ে পড়া প্রচন্ড ঠান্ডাটাকে বাদ দিলে আজকেও আশা করা যায় কালকের মতোই ঝলমলে রোদে নেয়ে উঠবে চারদিক। দিনের শুরুটাই দেখুন না কেমন রাঙা, রোদেলা মনে হচ্ছে। শীতের ঘাপ্টি মারা গুমোট স্যাঁতস্যাঁতে বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠতে খিলখিল করে ওঠা রোদের দরকার, দরকার গ্রীষ্মের উষ্ণতার। তার সাথে টুংটাং করে পিয়ানোর সুর বেজে উঠলে আর কিছু লাগে?

রাস্ত পরিষ্কার করার একটা চিঙড়ির মাথার মতো গাড়ি উঁচুনিচু তে ঠেঠেঠেঠে শব্দে ঝাঁকি খেতে খেতে চলে গেলো। অন্যসময় হলে বোধকরি শব্দটা অসহ্য লাগতো, আশ্চর্য- এখন লাগলো না। এই যেমন ধরুন, গেলো রোববারেই তো বেলা ১১টার দিকে ঘুমের ভেতরেই আমার হঠাৎ মনে হলো এ্যালার্ম বাজছে, তাও ভয়ানক জোরে বিভিন্ন ঢুমঢাম শব্দে। কী যন্ত্রণা, আমি তো এ্যালার্ম সেট করে ঘুমাইনি, তাহলে বাজে কোত্থেকে! মোবাইল ধরে টানাটানি করি, উঁহু বাজেনাতো। আরি কী মুশকিল, এই পাগলা শব্দের উৎস কই! টেনশনে রুই মাছের মতো ফোলা ফোলা লাল চোখে জানালা গলে তাকিয়ে দেখি নিচে কার্ণিভাল শোভাযাত্রার অফিশিয়াল স্টার্ট হচ্ছে এখান থেকে। শব্দটা ওদেরই তৈরী। হাতের নানাপদের বাদ্যসরঞ্জামের শব্দ। এই দিনে যে কেউ একটু সকালের আরামের ঘুমটা দিতে পারে সেটা হয়তো তাদের মাথাতেই নেই। প্রচন্ড বিরক্ত হয়েছিলাম। জানালা কাৎ করে, মুখটা বের করে দিয়ে খাঁটি বাংলায় কয়েকটা আউলা কিসিমের গালি দিয়ে আবার বিছানায় ধপাস।

আগে ধুমধাম সিনেমা দেখার প্ল্যান হতো। ভাষাগত প্রেফারেন্সের কারণে যখন, যেখানে, যেমন খুশী দাঁত কেলিয়ে ঢুকে পড়া যায় না। খোঁজ লাগাতে হয় ভালো সিনেমাটার অরিজিনাল ভার্সন কোথায় চলছে। সবকিছু নিঁখুত, নিপাটে সম্পাদনার ব্যক্তিত্বের শূন্যতা বোধ হয় প্রায়শঃই। অনেকদিন হয় সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখা হয় না। এখন মনেহয় সেই আগ্রহবোধেও খানিকটা ভাটার টান লেগেছে।

এমনি কোন এক বিষণ্ণতা বিদেয় করা গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় দেখা হয়েছিলো মিউজিক এন্ড লিরিক্স। খুব আলোচিত সিনেমা না। কিন্তু ঐযে শিরোনামের গানটা থেকে গেলো যে মনে। পিয়ানোর টুংটাং-এ শুরু হয়ে গানটা যখন আমি যা করতে চাই তা হলো, ভালোবাসায় প্রত্যাবর্তনের একটা পথ খুঁজে পেতে চাই- লিরিক্সের এই টানেলটা দিয়ে পাড় হয়, তখন মনে হয় 'ছাইড়া দে আমারে।' পথ যে আমিও খুঁজে পেতে চাই এমন না।
'কোন কনভেনশনাল পথে হাঁটাই বুদ্ধিমানের কাজ না'- কোন এক মহর্ষী জানি বলেছিলো। আমি মহর্ষীর বাণী মানি বলে আপনিও মানবেন তাতো হয় না! গানটা শুনে ভালো লাগলে সবাই পথ খুঁজে পেতে উঠে পড়ে লেগে পড়বেন, কামনা করি। কোন কিছুই ধ্বংস হয় না, রূপান্তরিত হয় কেবল। আপনার ভালোবাসার মেঠো পথটাও রূপান্তরিত হোক পাকা হাইওয়েতে, আর সেই হাইওয়েতে ঢোকার জন্য জ্যামবিহীন শর্টকাট মোটরওয়ে যেনো খুঁজে পান সবাই (যাদের দরকার), তার জন্য শুভকামনা। মনে রাখবেন, যেকোন পথের শুরু এবং শেষ স্টেপটিই হয় ভালোবাসার। মধ্যকার স্টেপগুলো মনে করার বা রাখার দরকার নেই। হাসি


মন্তব্য

বিপ্লব রহমান এর ছবি

কোন কিছুই ধ্বংস হয় না, রূপান্তরিত হয় কেবল। আপনার ভালোবাসার মেঠো পথটাও রূপান্তরিত হোক পাকা হাইওয়েতে, আর সেই হাইওয়েতে ঢোকার জন্য জ্যামবিহীন শর্টকাট মোটরওয়ে যেনো খুঁজে পান সবাই (যাদের দরকার), তার জন্য শুভকামনা।

হুমম, বুঝলাম। তা আপনার খবর কী? চোখ টিপি


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমার তো মেঠোপথই নাই। হাইওয়ে-মোটরওয়ে তো পরের কথা মন খারাপ
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

স্বপ্নাহত এর ছবি

"মনে রাখবেন, যেকোন পথের শুরু এবং শেষ স্টেপটিই হয় ভালোবাসার। মধ্যকার স্টেপগুলো মনে করার বা রাখার দরকার নেই"

মনে রাখমু।কিন্তু গুরু একটা কতা...
মধ্যের স্টেপগুলা যদি দরকার নাই হয় তাইলে করার কি দরকার? ইয়ে, মানে...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আরে গুরু, আপনে কিশোর কুমারের 'পড়োসান' সিনেমাটা দেখেছেন? ঐ সিনেমার ঘটনাগুলোর জন্যই আসলে মধ্যের স্টেপগুলো দরকার হয় চোখ টিপি
মেরে সামনেওয়ালি খিড়কি মে, এক চান্দকা টুকরা রেহতা হ্যায় (চামহাসি)
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধুসরের সামনেওয়ালি খিড়কিসে কোন চানকা টুকরা রেহতে হ্যায়?

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

ধুসর গোধূলি এর ছবি
মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

যাক, আর বমি পাচ্ছে না তাহলে! চোখ টিপি

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

পুরো লেখার কোথাও নারী বিষয়ক একটা শব্দও নেই! পড়া শেষ করে তাই লেখকের নামটা ধুসর গোধূলিই কি না, আবার দেখে নিলাম।

ঠিক বিশ্বাস হতে চায় না চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

কারে
উদ্দেশ্য
কইরা
কি
কারণে
এইটা
লেখা
লেখা
হইছে
সেইটা
স্পষ্ট
কইরা
বলেন।

ফটুক,
টেক্সট,
ভিড্যূ ;
এত
সব
কিছুর
মর্তবা
কি?
(খুক খুক)

ধুসর গোধূলি এর ছবি
আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এত
কথা
বুঝি না।
ব্লগে
ভরা
জমায়েতে
প্রলাপ
দিবেন,
আর
মূল
কাহিনী
বুঝার
লোকটারে
মেইলে
লিংক
পাঠাইবেন
গুপনে।
এইটা
কেমন
বিচার?
আমরা
আম-জনতা
বিস্তারিত
জানতে
চাই।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- লও
হালুয়া।
এইটা
আবার
কুন
দোষারোপ?
মিয়া
আপনের
উপর
তো
মেম্বার
সা'বের
লাহান
বউয়ের
মুগুর
পড়বো!
আপনেও
তখন
ফোঁশফোঁশ
করে
কাঁদবেন।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আহারে!
মেম্বর
সা'বের
শালীটার
কথা
মনে
পড়ে
গেল।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।