'ওয়াই ইউ আড় লুকিং লাইক ড্যাট! আইয়েম গেটিং ম্যাড়িড'— কথাটা শুনেই মনে পড়ে গেলো তাসনীম ভাইয়ের সেই বিখ্যাত উক্তি। 'চেহারায় চোর চোর ভাব' থাকলে কপালে খারাবি আছে! হাতের কাছে কোনো আয়না না থাকায় বুঝতে পারছিলাম না, চেহারায় আসলেই চোর চোর ভাব ছিলো, নাকি এইটা কেবলই মিডিয়ার সৃষ্টি! যাইহোক, হাতের কাছে মতান্তরে চোখের সামনে নিদেনপক্ষে একখানা খোমা দর্শনযোগ্য দর্পণ না আসা পর্যন্ত কাহিনির ভেতরে প্রবেশ করে দেখি ঘটনাটা কী ঘটেছিলো!
আমি ভগবান বুদ্ধের অনুসারী না। কিন্তু তারপরেও তাঁর মতো দারাপুত্রপরিবার ফেলে রেখে গৃহত্যাগী হতে আমার বরাবরই ব্যাপক আগ্রহ। তবে, কন্ডিশন্স এ্যাপ্লাই। আর এই কন্ডিশনগুলোর মধ্যে লিডিং দুইটা হলো আড্ডাবাজী এবং ঘুম।
কেউ যদি আমাকে বলে পার্কের ভাঙা টুলে তোমার ঘুমানোর সুবন্দোবস্ত করা আছে। সেখানে কোনো হাদুমপাদুম নাই। কেউ তোমার ঘুমে বাগড়া দিবে না। কাজকাম করার কোনো তাড়া নাই। কেউ তোমাকে খুঁজবে না। তুমি আছো নাকি সৌরজগতের বাইরে হাওয়া খেতে গেছো, সেইটা নিয়ে কেউ মাথা ঘামাবে না- তাইলে আমি নির্দ্বিধায় নরম সরম বিছানা ছেড়ে চাট্টিবাট্টি গোল করে পার্কের দিকে রওনা হয়ে যাবো। এর অবশ্য একটা কারণও আছে। কারণটা পরে বলছি (যদি ভুলে না যাই আরকি! ভুলে গেলে মনে করায়ে দিতে হবে। বুঝতে হবে বয়স হইছে, চোখে ভালো দেখি না আজকাল।)
আরেকটা হলো আড্ডাবাজী, যেমনটা বললাম। সেই আবহমানকাল থেকেই দেখে আসছি আড্ডার নাম শুনলে আমি আর আমি থাকি না। মেট্টিক পরীক্ষার আগের রাতেও পাটক্ষেতের আলের ধারে পোলাপানের সাথে আড্ডাবাজী করে বাড়ি ফিরছি সন্ধ্যার পর। এর পরের কাহিনি আর না বলি। ঐটা সেমি অফটপিক!
তো গঙ্গার জলের সাথে সাথে আমিও সেই পাটক্ষেতের আল, রেললাইনের ঢাল, খালের পাড়, পুকুরের ঘাটলা, বাবুলের বাপের আলু পুরির দোকান, ফকিরাপুল পানির ট্যাংকির পাশের পুরি-সিঙারা-সমুচার দোকান সব ছাড়ায়ে ভাসতে ভাসতে মরার পরদেশে এসে পড়লাম। কিন্তু ঐ যে কথায় বলে, যে জন্মায় বঙ্গে, স্বভাব থাকে চাঙ্গে! সেই চাঙ্গে ওঠা আড্ডার স্বভাব এখানে এসেও চাঙ্গেই উঠে থাকলো। ঝাঁটায়েও আর নামাতে পারলাম না। খালি সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। সুযোগ না পেলে সুযোগ বানিয়ে নেয়। কিন্তু আড্ডাবাজী চলেই। তেমনি এক আড্ডাবাজী চলছিলো আরকি। লোকেশন, একটা খাওয়ার দোকানের বাইরে জনগণের বসার জন্য ব্যবস্থা করা টুলটেবিল। তরলপূর্ণ পেটমোটা একটা স্বচ্ছ গ্লাস টেবিলে নামিয়ে রেখে খুব কাছ থেকে তার গায়ে তৈরী হওয়া সূক্ষ্ণ বুদবুদের সৌন্দর্য অবলোকন করছিলাম মনদিয়ে। আর, কী কী জানি ভাবছিলাম। তো সেই সময়েই নাকে 'সাঁ ডিওপঁ' (saint dupont) এর মনকাড়া ঘ্রাণ এসে আঘাত হানলো।
স্বচ্ছ গ্লাসের তরলের কেরামতি মনে করে গ্লাসটা হাতে তুলে নিয়ে এক চোখ বন্ধ করে আরেক চোখের সামনে গ্লাসটা ধরে মুখ তুলে তাকাতেই উপরের সেই প্রশ্নটা কানে আসলো। কয়েক ন্যানো সেকেন্ডের জন্য আমার মনে হলো, এই বিদেশ বিভূঁইয়ে খাস বাংলায় কথা বলে কে? তাও এমন ঝলমলে কণ্ঠে! ঐভাবেই এক চোখ বন্ধ রেখে স্বচ্ছ গ্লাসের ভেতর দিয়েই দেখতে পেলাম কয়েকটা ম্যানিকুইন দাঁড় করানো। এই টুলে আড্ডাবাজীতে বসার সময়ে তো ম্যানিকুইনগুলো চোখে পড়েনি! ভালো করে ব্যাপারটা বুঝার জন্য চোখের সামনে থেকে গ্লাসের পর্দাটা নামালাম স্লোমোশনে। এক চোখ তখনও বন্ধ! তখন কানে এলো কতোগুলো কাঁচের চুড়ি ভাঙার শব্দের মতো হাসি। সাথে সেই ঘ্রাণ। এক খাবলা মেঘের আড়াল হয়ে থাকা সুরুজ মিয়া যেমন অল্প অল্প করে বের হয় তেমনি করে আমার মাথায়ও কাহিনির জট খুলতে শুরু করলো।
বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়ে যাবার পরে পাত্র এবং পাত্রী তাঁদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বা বান্ধবী সমভিব্যহারে আলাদা আলাদা বের হয়। ব্যাচেলর পার্টিই বোধ'য়। কিন্তু হলিউডি সিনেমায় যেমন দেখি তেমন না। পাত্র যখন বের হয়, তার বন্ধুদের পরনে থাকে সব একই রকমের পোশাক। পাত্রেরটাও একই রকম হয়। তবে দুয়েকটা স্পেশাল লাইন লেখা থাকে। একবার যেমন দেখেছিলাম, 'মাই ফ্রিডম ইজ ওভার'! পাত্রীর বেলায়ও একই রকম কেস। কিন্তু সখী পরিবেষ্টিত পাত্রী চেনা যায় মাথায় মুকুট দেখে। তাঁদের হাতে থাকে টুকটাক কিছু পসরা। চকোলেট, কুকি, ললিপপ, ছোট্ট শ্যাম্পেইনের বোতল, কিউট করে সাজানো। তারা 'সেলামী' নেয়, ঐসব পসরার বিনিময়ে। ওহ, গুলাব ফুলও থাকে। কিন্তু সেই ফুলে গন্ধ নাই। কিনে লাভ নাই। তার চেয়ে মানুষের বাড়ির চুরি করা গোলাপই ভালো।
পাত্রপক্ষের ঐ রকম পার্টিতে কোনো পসরার কারবার নেই। তবে তাদের সাথে কেসের কেস পাগলা পানি থাকে। আর থাকে প্রবল হৈ হুল্লোড়। ট্রেনের কামরা মাতিয়ে তোলে হাউকাউ করে। এরে তারে পঁচায়ে। এদের সাথে মিশে হাউকাউ করার মজাটা দশ-বারো দিন পর পেট ভরে ভাত খাওয়ার মতো। বেশ কয়েকবার এমন হইছে। চিনি না জানি না কাউরে, অথচ তাদের সাথে মিশে হাহাহিহিতে শামিল হয়ে গেছি। রন্ধ্রে রন্ধ্রে আড্ডাবাজী থাকলে যা হয় আরকি!
তো, ফিরে আসি সেই তিন ম্যানিকুইনের কাছে। সাঁ ডিওপঁ এর ঘ্রাণে কুপোকাত হয়ে তখনও মনোযোগী কাওয়ালী শ্রোতার মতো এক চোখ বন্ধ করে হাতে পেটমোটা গ্লাসটা ধরেই আছি। এর মধ্যেই ম্যানিকুইনদের একজন একটা বাঁশের ডালা আমার দিকে এগিয়ে দিলো। আমি মনে মনে বললাম, শ্যালকপুত্রের সারা জীবন বাঁশ ঝাড়ের ঝড় বয়ে গেলো আমার উপরে, এই বালিকাও ফুল না দিয়ে দেয় বাঁশ। অবশ্য কনভার্টেড বাঁশ। অতোটা খারাপ না! বললাম, এইটা দিয়ে কী করবো? বালিকা বলে, এই টুকরি না তো, তুমি এর মধ্য থেকে কিছু জিনিস কিনো। তুমি জিনিস কিনলে শাদীর এঞ্জেল তোমার ওপর খুশি হবে। খুব শীঘ্রই তোমারও গতি হবে। বলেই আবার কাঁচের চুড়ি ভাঙার শব্দে হাসতে শুরু করলো, তিনজনই। জিজ্ঞেস করলাম, গতির ক্ষিপ্রতা কতোটা তীব্র? বলে, সাত দিনের মধ্যেই ফল পেয়ে যাবা। তখন আর এমন সুন্দর ওয়েদার ছেলেদের সাথে বসে উপভোগ করতে হবে না!
বালিকার কথা শুনে দিলটা খোশ খোশ হয়ে গেলো। একটা তালমিছ্রি হাসি দিয়ে বাঁশের টুকরিতে কোনো পসরা তুলে নেয়া ছাড়াই পাঁচ টাকার একটা নোট রাখতে রাখতে বিবাহোদ্যত ম্যানিকুইনটির দিকে ঝুঁকে পড়ে বললাম, তোমার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা প্রিন্সেস। গরমের কারণেই হতে পারে, ম্যানিকুইনের মুখ দেখলাম রাঙা হয়ে গেলো! সামনে গিয়ে পেছন ফিরে তাকাতেই টাটা দিয়ে বুড়ো আঙুলটা উঁচু করে দেখালাম। ম্যানিকুইন প্রিন্সেসটিও তার দুই হাতের তালু এক করে বুকের কাছে নিয়ে একটু ঝুঁকে পড়ে বিদায় জানালো।
প্রথম স্পর্শ
৯-১০ বছর আগের কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের ডিভাইডারের ওপরে সিটিসেলের কিছু বিলবোর্ড দেখেছিলাম। তার একটাতে ছিলো সবুজ একটা ধান গাছের পাতায় এক ফোঁটা বৃষ্টির ফোঁটা পড়ার ছবি। তার নিচে শিরোনামের শব্দটা লেখা। সেই থেকে মাথায় খালি এই শব্দটা ঘুরে।
আগে নিয়ম করে বছরের প্রথম বৃষ্টিতে ঘটা করে ভিজতাম। বৃষ্টিবিলাস করতে যে ভিজতাম এমন না। আমি জীবনেও ছত্রী হাতে রাস্তায় বের হতে পারি নাই। একটা আজাইরা ভেজাল মনে হয়। তো এই ভেজাল থেকে বাঁচার খেসারতই দিতে হতো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। পাবলিককে বুঝানো, আমি একজন উঠতি কোবি। বৃষ্টিতে কেলি করি আর কাব্য রচনা করি!
দেশ ছাড়ার সাথে সাথে এই বৃষ্টিকেলি করার সিস্টেমেও এরর দেখা দিলো। এই পোড়ার দেশে বৃষ্টির ফোঁটা চামরার ওপর পড়ে ঠিকই কিন্তু অনুভূতি পাস করে দেয় একেবারে ভেতরে। হাড্ডিতে। রোকেয়া স্মরণীর রাস্তার ওপরের টং দোকানের চা হাতে নিয়ে রাস্তায় বসে ঝুম বৃষ্টি সহযোগে সেই চা উপভোগ করার কথা এখন কেবল অনেক আগে পড়া গল্প কোবতের কোনো ছত্র হিসেবেই মনে হয়।
এই শহরে, রাইন নদীর পাড় ধরে সাতটা পাহাড় সার ধরে দাঁড়িয়ে আছে শহরের সর্বোচ্চ স্থান হয়ে। গত মাসের মাঝামাঝি, নিজের বড়ো হয়ে যাওয়ার দিনকে উপলক্ষ করে, অপরিকল্পিত এবং অবধারিতভাবেই ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে গেলাম সেই সাত পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে। এই সাত পাহাড় নিয়ে আগেও একবার লিখেছিলাম। কোনো এক সন্ধ্যায় ইয়া বড় এক হালকা সোনালী চাঁদ দেখার অনুভূতি নিয়ে। এবারের অনিভূতিটা অন্যরকম। উপর থেকে নিচে তাকিয়ে কিছুই দেখা যায় না। ডানেও না, বামেও না। খালি মেঘের ধোঁয়া। মাঝে মাঝে মেঘ কেটে গেলে নিচে রাইনের অবস্থানটা স্পষ্ট হয় একটু। তারপর আবার মিলিয়ে যায় ধোঁয়ার মাঝে। এর মধ্যে ভিজেই চলেছি। মাথার চুল বেয়ে চিকন বৃষ্টিধারা বেয়ে পড়ে গাল বেয়ে। বহু বছর পর আবার ঝুম বৃষ্টির স্পর্শে চুপসে যাওয়ার সুযোগ এলেও সেই যে বছরের প্রথম স্পর্শ, সেটা আর পাওয়া হয়নি। হবেও না বোধ'য় কখনো!
মন্তব্য
ম্যানিকুইনের পসরা বেচার সিস্টেমটা আসলে ঠিক পরিচিত না আমার মতো বাঙ্গালের কাছে। একটু ব্যাখ্যা করবেন বস ??
আর বৃষ্টিতে ভিজি না ম্যালাদিন, খেলাধূলা ছাড়া...
[কসম, ভাবতেসিলাম আপনার দেয়ালে আজকে চিকা দিবো- লেখেন না ক্যান জিগায়া লাগলো না...]
\
এইটা ধুগোদার পুরাই ছলনা হইছে! শালীসাধারণের কাছে নিজের ভাবমূর্তি টিকিয়ে রাখতে এই ঘটনা ৭০ তবক সেন্সর করে লিখছেন বলে সন্দো করি!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আরে কী কাণ্ড, আমিও কিছুদিন ধরেই ভাবছি রঙিন ভাইরে কই, একটা লিখাটিখা দেন, তো তিনি শুঞ্ছি কী কী নিয়ে মহাব্যস্ত দিন কাটান ইদানীং, অনার্য ভাই তো জম্মন্দেশেই আছেন, জানেন্নাকি আমগো রঙিন ভাই ক্যাম্নে মেয়েদের পারফিউমের এত বিখ্যাত গন্ধবিশারদ?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এ কী প্রশ্ন করলেন! জানা তো দূরের কথা, বড়ভাইদের ওসব ব্যপার জানতে চেষ্টা করাও পাপ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এটা ব্যাচেলর পার্টির একটা রূপ সুহান, যেমনটা লেখায় বললাম। হলিউডি সিনেমায় আমরা দেখি না, কনের সব বান্ধবীরা মিলে এটাসেটাকিছুএকটা করে নানা আনন্দ, হাসি, তামাশার মাঝে ব্যাচেলর জীবনের শেষ সন্ধ্যাটা কাটায়। এখানে সেই সন্ধ্যাটার আগে সকাল (বা দুপুর) থেকে কনে তার সকল সখীসনে ইস্পেশাল সাজুগুজু করে বের হয় হাতে কিছু পসরার ডালা সাজিয়ে। সেখানে আহামরি কিছু থাকে না। খুবই সাধারণ কিছু জিনিস থাকে। কিন্তু এখানে ডালা'তে কী আছে সেটা মূখ্য না হয়ে সেলামী আর সেটা আদায়ের আনন্দটাই মূখ্য হয়ে যায়।
আমাদের দেশের মতো তো এখানে সেলামী দেয়া বা নেয়ার প্রচলন নেই, তাই এরা স্যুভেনির স্বরূপ কিছু একটা দিয়ে সেই সেলামীটা আদায় করে আরকি! কনে এবং তাঁর সখীকূল জনগণের সাথে নানা মজা করে সময়টা উপভোগ করে। জনগণও খুশী হয়ে সেলামী দেয়। বিনিময়ে ডালা হতে কিছু একটা তুলে নেয়। এই হলো মোটামুটি সিস্টেম।
দিনশেষে যে টাকাটা সেলামী হিসেবে পায়, সেটা সন্ধ্যায় খরচ করে সবাই একসাথে হৈ হুল্লোড় করে।
এইটা তো বললাম, ৭০ তবক সেন্সর করে। বাকিটা অনার্য সঙ্গীত বলবে। তার তো আর শ্যালীকার ভয় নেই। আমি তো আর মেম্বরের মতো শ্যালীখেলাপি না।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
'এ ফিউ গুড ম্যান' এর ভাষায় বললে, ক্রিস্টাল !!
ভাবী বাপের বাড়ি থেকে ফিরে নাই এখনো?
ক্যান, চা টা খাইবেন? দিতে কই?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আরে দ্রোহীদা দেখেন, জনগণ ক্যাম্নে রঙিন ভাইয়ের বাইম মাছের মতন পিছলায়া এক কথার মাঝে আরেক্কথা শুরু করে দেয়ার ভেলকিবাজিতে ধোঁকা খেয়ে জরুরি পয়েন্টগুলান ভুলে যায়! যেমন, এখনতক কেউ জিজ্ঞেস করছে, যে সাতদিনের কয়দিন অতিবাহিত হইছে? প্রগ্রেস কদ্দূর? আমাগো ব্যাটেলিয়নের হেল্পাইতে যাওন লাগবো কিনা? (জনগণ ভুল না বুঝে, খাওন্দাওন গুলান সারতে হইবো তো, নাইলে অতবড় পাট্টির খাওন কি আর জম্মন সচলেরা একাই খেয়ে শেষ করতে পারবো, পারবো না)।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আরো বড় লেখা চাই, তাহলে আরো কিছুক্ষন আনমনে হাসতে পারি !
facebook
মডুগোরে কন পয়সা দিতে। লেইখ্যা ভাইঙ্গাহালামু সব।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কয়দিন পর লেখলেন?
আমারে দিয়া আঁক কষাইতে চান?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার এধরনের লেখাগুলো পড়লে প্রথমটায় হেসে ফেলেও মুখটা গম্ভীর হয়ে ধীরে ধীরে মনটা বিষণ্ণ হয়ে যায়। কোথায় যেন এক লুকোন কষ্টের ছায়া দেখি আমি। এটা আপনার লেখার গুণ নাকি আমার স্বভাবদোষ জানিনা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এইটা কলমের ডগার দোষ অ্যাশলোটা। কালি সব ডগা ফাইট্যা বাইরাইয়া যায়!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মানুষ বিয়ে করে ক্যান?
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
খবদ্দার, এই প্রশ্ন ভুলেও মেম্বররে কৈরেন না...!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কী আশ্চর্য! আপনাকে আজকেইনা লেখার কথা বললাম। খানিক আগেই! কী আজিব!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আরে, হ তো!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্রিন্সেসের ছোট বা বড় (আপনার বয়সের উপর নির্ভর করে) অবিবাহিত বোন আছে কিনা খোঁজ নেন নাই?
সবই মিডিয়ার কারসাজি, বুঝলেন!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মন খারাপ করায়ে দিলেন তো বদ্দা
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ক্যাংকা?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার নবুয়ত পাইতে আর বেশী দেরি নাই! ঠিক গতকাল সন্ধ্যায় আমি এরকম ম্যানিকুইন সখীকূলের খপ্পরে পড়ছি ভেবেছিলাম ব্যপারটা লিখে ফেলি। পরে ভাবলাম, থাকুক! সত্যি বর্ণনা দেয়া যাবে না। আর সেন্সর করলে মজা থাকবে না! তয় আপনে কিন্তু পাঠকদের ঠকাইলেন
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সইত্য বিবরণ তুলে ধরেন হে অনুজীববিজ্ঞানী। নবীজি, থুক্কু, ধুগো বলিয়াছেন - তোমরা জ্ঞান আরোহণে প্রয়োজনে সুদূর জম্মন দেশে গমন করো।
জনগণ জ্ঞান আরোহণ করতে চায়, কাজেই ইহা জম্মন প্রবাসী বিজ্ঞানী হিসেবে আপনার দায়িত্ব ও কর্তব্য।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বিবরণ তুলে ধরাটা বিপজ্জনক। খানিক চিন্তার খোরাক দিতে পারি।
ম্যানিকুইনদের ডালায় কেনার মতো খাদ্য-অখাদ্য, সভ্য-অসভ্য, ব্যক্তিগত-গোষ্ঠীগত, কবচ-রক্ষাকবচ সবরকমের বস্তুই থাকে তাছাড়া সেবা'র বিনিময়েও অর্থ সংগ্রহ করা হয়
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হা হা হা! পার্টিটাতো আসলে মেয়েদেরই! ছেলেরা পাঠিকাদের ঠকানোর মত এত চিন্তা করলে হবে?
এখানে এক মার্কিনী কন্যার জার্মানির ব্যাচেলরেট দলের সাথে মজার অভিজ্ঞতার বর্ণনা আছে, পাঠিকারা জানতে চাইলে। পাঠকেরাও বঞ্চিত হবেন না আশাকরি।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
পাঠিকারা তো আর ঠকে নাই!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তা বটে। আমি আপনার লেখার টার্গেট রিডার বিষয়ক অদৃশ্য ট্যাগ'টা খিয়াল করিনাই!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কী চমৎকার সাবলীল লেখা!!! মুগ্ধ!!!
এখানে ছেলেদের ব্যাচেলর পার্টি হয়, মেয়েদের মনে হয়- হয় না!!! আর সেটাও শুধুমাত্র বরের বন্ধুরাই করে বিয়ের দিনই- আগে নয়, একটু ভিন্ন আর কী!!!!
বৃষ্টির প্রথম স্পর্শের অনুভূতিগুলো ছুঁয়ে গেল..........বিষণ্ণও করলো..........
_____________________
Give Her Freedom!
এখন তো শুনি দেশে নাকি 'আইবুড়্যাভাত' বলে কী একটা জিনিসের প্রচলন হইছে। এইটা কি ব্যাচেলর পার্টির আদলের কিছু নাকি!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কতকিছুর প্রচলন হয় ধুগোদা!!! রিমিক্স আর রিমেইকের দুনিয়া!!!
_____________________
Give Her Freedom!
কোবি তব মনোভূমি রামের জন্মস্থান, অযোধ্যার চেয়ে সত্য জেনো, কোবি বলেছেন
সুতরাং মনে মনে ভিজলেও হপে। কিন্তু নিজের জন্মভূমির চেয়ে সত্য কিছু নাই, এইটাও যে সত্য ...
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
এইটা খালি সত্য'ই নারে ভাই। এইটা হলো হাড্ডাহাড্ডি সত্য।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্রথম দিকে তো মজা পাচ্ছিলাম। হাদুমপাদুম শব্দটা ব্যাপক। শেষের দিকে মন খারাপ এই লেখাটিকে পূর্ণতা দিল, যদিও এটা জীবনের-ই গল্প
ধন্যবাদ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ম্যানিকুইনের ব্যাপারটা ঠিক বুঝিনি।
আমিও অনেকদিন বৃষ্টিতে ভিজিনা। তবে এখানে দেশের মত ঝুম বৃষ্টি হয়ও না।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ঝুম বৃষ্টি মরার পরদেশেও হয়। কিন্তু পার্থক্য হলো, দেশের বৃষ্টির মতো ইয়ে'টা থাকে না। এখন, এই ইয়েটা কী, সেটা আমাকে জিজ্ঞেস কইরেন না। বুঝায়া বলতে পারবো না।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
খ্রান, আমি বড় হয়ে নেই, তাপ্পর এইইইইরকম আমিও লেখুম, হাছা! লেখা পইড়া জনগণ বিমুগ্ধ হয়ে হতবিহ্বল হয়ে যাবে, একই সাথে হাসবে আর কানবে, দেইখেন, আমিও একদিন...
অনেকদিন পরে লিখলেন (আগের লেখাটা যে কী ছিলো, আর কবে ছিলো, আবার ব্যাকট্র্যাক করে গিয়ে পড়ে আসতে হলো!), আর মনে হলো আবারও পুরানো, অনেক পুরানো, তব্দা লাগানো চমৎকার একটা ধুসরগোধূলীয় লেখা পড়লাম!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
"বড় হয়ে নেই" হলে তো হবে না, "বড় হৈয়া লই" হৈতে হবে।
আপনে লেইখ্যা ফাডায়ালান, আমিও বড় হৈয়া তাতে মন্তব্য করুমনে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঠিকমত কথা বলতে শিখি নাই বলেই তো বড় হতে পাল্লাম না!
নরম বিছানা ছেড়ে পার্কে চলে যাওয়ার কারণটা বলেন নাই। মনে করায় দিলাম।
প্রথম লাইনটা পড়ে ভেবেছিলাম কারো (কোন সচলের) বিয়ের ঘোষণা দিবেন। তা না, কীসের মধ্যে কী! যাই হোক, আপনি বিয়ের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেন। আমি একটা চির কুমার সভা খুলবো ঠিক করেছি (মেয়েরাও আমন্ত্রিত অবশ্য)। আপনাকে অনারারী সদস্যপদ ধরায় দেওয়া হবে।
জোকিং এপার্ট, লেখাটা খুব ভালো লেগেছে, বিশেষ করে শেষ অংশটা।
বিয়ের চিন্তা তো সেই কবেই মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে বসে আছি। গোল্ডের দাম দেখছেন? হে হে হে, টুয়েন্টি ফোর-সেভেন চিন্তা করলেও কোনোই লাভ নাই! খাড়ান, বাড়িতে জানায়া দিতে হবে, 'আমি বড়জোর প্রাচীন গ্রীকদের মতো জলপাই পাতার একটা মুকুট দিতে পারুম। এর বেশি কেউ দাবী করলে আমি গেলাম চিরকুমার সংঘে। খুদাপেজ!'
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধন্যবাদ বরকন্দাজ (ভাই, আপনের নামটা অনেক কঠিন গো)
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্রথম অংশের জন্য
পরের অংশের জন্য
আপনার মন্তব্যের দুই অংশের জন্যই আপনার জন্য দুই দুইটা তেজপাতা। (ধইন্যাপাতা সব পোতায়া গেছেগা)
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনি পোস্ট না দিলেও দেখি নানান পোস্টে আপনাকে টেনে আনা হয়, ব্যাপক রস রসিকতা হয়, মাঝে মাঝে দেখি সেগুলোতে আপনি মন্তব্য করেন, লগ-ইন করেননা বলে লেখেন “ ধুগো কহিতেছি, দৌড়ের উপর আছি”! ভালো লাগে, আপনার পুরনো লেখাগুলো পড়ে সেইরকম মজা পেয়েছিলাম, তারপর থেকে কিছুটা কৌতুহল নিয়েই দেখি আপনার পোস্ট কিংবা আপনাকে নিয়ে মন্তব্য!
লেখা ভালো লাগলো, আরো লেখার অপেক্ষায় থাকলাম! দৌড়ের উপর থাকা শুভ হোক!
আরে, আজাইরা মানুষ হলো জগতের সবচেয়ে বিজি মানুষ, খালি দৌড়ের উপর থাকে। আমি হইলাম সেইরকম একজন!
ধন্যবাদ আপনাকে
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ভাদ্রের ভেঁপসা গরমে একপশলা বৃষ্টির মতো পোস্টটা।
রসে রসময় আবার বিষাদও ছুঁয়ে দেয়।
ধন্যবাদ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বেশ অনেক অনেকদিন পর লিখলেন৷
আহা পারফিউম -------- পারফিউম বড় ভাল জিনিষ
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
হ, ভাবলাম বছর তো চলে যাইতেছে, একটা কিছু আবঝাব লিখে ফেলি!
যাইহোক, আপনারে একটা ডাউনলোডেবল পারফিউম গিফ্ট দিলাম। প্যাকেট শুদ্ধা।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অনেক হাসলাম। ভালো থাকুন।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
হাসছেন, এইবার পয়সা দেন। খাতির নাই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দেশের বৃষ্টি... আহ!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
নতুন মন্তব্য করুন