অ্যাবস্ট্রাক্টঃ স্বদেশ ছেড়ে মরার দেশে পড়ে থাকা পোড়া কপাইল্যা বলে একটা বিশেষ যে প্রজাতি আছে, তাদের মধ্যে অমাবস্যা-পূণ্যিমায় তথা চান্দে চান্দে বিবিধ ফান্দে পতনের কথা ছন্দে ছন্দে মাথার নানান রন্ধ্রে রন্ধ্রে জানান দিয়া থাকে। এমনতর শত শত ফান্দোপাদানের মাঝে শ্রদ্ধেয় শ্রীমতি ভাপা পিঠা অন্যতম। বিগত দশটি বৎসর যাবত এই শ্রীমতির ভাজ খুলে, আনন্দ দেখে, প্রেমের তর্জমা করার নিমিত্তে বহু দিনমানরজনী অতবাহিত হয়েছে। অবশেষে হপ্তাব্যাপি যথেষ্ট হাদুমপাদুম প্রদর্শনের পর বিগত শেষ রজনীতে তন্দ্রাযোগে পাওয়া সিস্টেমে শ্রীমতি ভাপা পিঠার চুনরি ম্যায় দাগ লাগানোর উপায় খুঁজে পেয়েছি। তার চোলি কে পিছে ক্যায়া হ্যায়, সে রহস্য উদ্ঘাটনে সক্ষম হয়েছি। তারই মহিমান্বিত বয়ান হবে আজকের মাহফিলে। সবাই বলেন আমিন।
মিশনঃ ভাপা পিঠা
এ বড়ই খতরনাক মিশন! কদম গাছের পাতার আড়ালে লুকিয়ে থেকে পুকুরের জলে ক্যালি করা রাধারাণীর জবজব অঙ্গ দেখার মিশনও বোধকরি এতো খতরনাক বিবেচিত হয় নাই। স্মরণকালের ইতিহাসে এই খতরনাক মিশনে নাক সামিল করিতে যাদেরকে পাইকারী দরে পামপট্টি মেরে গেছি, তারা কেউই কদম তলায় যাইতে রাজী হয় নাই। উলটা ভগ্নমনোরথে ভাওসিধা বুঝাইয়া আমার কামনার রথে রিভার্স গিয়ার মেরে দিছে! অতঃপর, সেই অমোঘ বাণী- 'থাকিতে নিজের হস্ত, হইবো না কারও দারস্থ!' - মন্ত্রদ্বারা ইয়োগামারাপ্রাপ্ত হয়ে, পরনের লুঙ্গিকে কেরালা স্টাইলে ডাবল ফোল্ডিং দিয়ে, দুই উরুতে খটাশ খটাশ শব্দে দু'দুবার করে থাবড়া মেরে লেগে পড়লাম, মিশনঃ ভাপা পিঠা'য়।
অস্ত্র ও গোলাবারুদ
মিশনে নামার আগে যে কথাটা মনেপ্রাণে না, বরং মাথার মধ্যে প্রাচীন মিশরীয়দের লিখন পদ্ধতির মতো খোদাই করে ফেলতে হবে প্রথমেই। সেটা হলো, এই মিশনের জন্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ দরকারী, কিন্তু গোলন্দাজ সমস্যার উদ্রেককারী! তাই যতদূর সম্ভব হয়, গোলন্দাজ নিযুক্ত করা, জমায়েত করা থেকে বিরত থাকুন। নিজের কামান নিজে দাগুন।
এবার মূল যে গোলাবারুদের সিস্টেম আপনাকে বুঝতে হবে, তা হলো, হোয়াট ইজ আতপ চাল! ফ্রাঙ্কলি স্পিকিং, আমি নিজেও জানি না এই জিনিস কী! তবে, ভাপা পিঠার জন্য এই জিনিস আপনার মাস্ট।
তো কী করবেন? ঘাবড়াবেন না জনাব, আমি আছি না? আতপ চাল, মশুরের ডাল আর সেদ্ধ চালের মধ্যে পার্থক্য করতে পাচ্ছেন না? এইটা কোনো ঘটনাই না।
তিন আইটেম থেকে তিনটা দানা আলাদা আলাদা করে মুখে দিয়ে পেয়ারছে একটা কুট্টুস কামড় দিন। তারপর জিব্বায় করে কামড়ে দেয়া জিনিসটা বের করে আনুন।
যদি দেখেন সেইটা লালচে কিসিমের, তাইলে এই মিশন থেকে ডাইল তোমায় দিলেম ছুটি বলে ফেলে দিন। এটা মশুরের ডাইল।
তবে, মনে রাখবেন, ডাইলই হোক বা ইয়াবা- আপাতত স্টক শেষ। তাই আজকে ভাপা পিঠা!
আর, যদি দেখেন, কামড় দেয়ার পর জিনিসটা গুঁড়া গুঁড়া ও ইউরোপিয়ানদের মতো ধবলা হয়ে গেছে। চোখ বন্ধ করে আমি পাইলাম, আমি ইহাকে পাইলাম বলে হৈমন্তী ভেবে বুকে জড়ায়ে ধরে বাকি সব কিছু উড়ো খই গোবিন্দায় নমঃ করে দিন।
তো আর কী, বসে না থেকে পানি নিংড়ে ফেলুন।
গুঁড়ির চেহারা দেখতে অনেকটা এরকম হলে ভালো, আরেকটু ভালো হলে আরও ভাল।
কিন্তু, ওরে আমার নবীন, ওরে আমার কাঁচা- আপনি যেনো দমে যাবেন না মোটেও, মারুন লুঙ্গিতে কাছা।
তো, শেষ পর্যন্ত সনাতন পদ্ধতির হাঁড়ির উপর দিয়েই পাড়ি দিতে হয়েছে এ যাত্রা। আসুন দেখে নেই তাদের এক নজরে-
এবার আসুন দেখি, এতোক্ষণ ধরে কুদাকুদির পর আউটপুট কী হাতিঘোড়া বের হইলো-
পর্যাপ্ত পরিমানে হাদুমপাদুমের পর পরিবেশনের জন্য উন্মুক্ত ভাপা পিঠা।
আরেকখানা বোনাস ফটুক, যথারীতি অন্য এ্যাঙ্গেল থেকে-
বিদ্রঃ গুড়ের পরিমানে কিছুটা অসামঞ্জস্য লক্ষ্যণীয়। এটা হয়েছে আসলে, 'পরিমানমতো' টার্মটার সাথে অপরিমিত পরিচিতির কারণে। কিন্তু সমস্যা নাই, দুই পিঠার গুড়ের গড় করলে ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা। আপনিও গড়, মিন, মিডিয়ান করে পরিমান ঠিকঠাক রাখতে পারেন।
আর কী তাইলে... শুভ খাওয়া, খান, খায়া বাঁচেন। দুইডা খাওনের জন্যই তো এই দুইন্যাতে আসা...
মন্তব্য
সাইজ তো ছুড। আমি বানাইলে বড় কইরা বানাই।
অঃ টঃ অ্যাবস্ট্রাকটের বাংলা জানতাম চাই।
আমার সামনেও শ্রীরাধা থাকলে বাটিটা নাহয় একটু দেখেশুনেই নিতাম!
অটঃ আমি কি আর অতোকিছু জানি বাপু!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কঠিন অবস্থা-- পেপারের উপর গুড় ভাঙা -- একেবারে দেশী স্টাইল
ছবি দেখে মনে হচ্ছে প্লাসটিকের পিঠা, খেতে কেমন কে জানে
পরে পড়ে বিস্তারিত মন্তব্য করা হবে।
বিস্তারিত মন্তব্য:
আমি পড়িলাম ইহা কী পড়িলাম। পড়িতে পড়িতে হাসিয়া কাশিয়া লুটিয়া পুটিয়া যখন হান্ডিপাতিলের প্যারায় আসিলাম তখন দ্বিতীয় লাইনে পড়িলাম -- সাথে একটা লম্পট পাত্র আর তার মুখে মদ্যপানের একটা ফানেল
আস্তাগফিরুল্লাহ। ইহা আমার পড়নের ভুল নয়, বরং শুরু থেকে পড়ার এফেক্ট।ইহার জন্য আপনিই দায়ী।
যাই হোক, ভাপা পিঠা বানানো খুবই কঠিন কাজ। শুধু অভিজ্ঞতাই নয় এখানে মন্ত্রটন্ত্রও দরকার। কেননা কোন কারণ ছাড়াই একদিন পিঠা হবে তো আরেকদিন হবে না! এ এক আজব চীজ পিঠা।
কিন্তু প্রশ্ন হলো কোকোর নারকেল কি শুধু জার্মানীতেই মিলে? এটা ছাড়া হবে না? থাই নারকেল দিলে হবে না?
বেসিক্যালি, ভাপা পিঠা বানানোর জন্য 'ভালো পাত্র' না, লম্পট পাত্রই শাস্ত্রসম্মত পিপিদা। এখন এই কথা তো আর সর্বসন্মুখে বলা যায় না। আমি কি আর আগের মতো আছি, বলেন!
আর, মন্ত্র তো লাগবেই। মন্ত্র ছাড়া যতোই কেরামতি হোক, কোনো ফায়দাফালু হবে না। ফায়দাফালু হলেও স্বাদু হবে না। স্বাদু হলেও বরকত হবে না। বরকত হলেও বাবর হবে না। বাবর হলেও ইয়ে হবে না... বুঝেনই তো!
থাই নারকেল চলিলেও চলিতে পারে, কিন্তু ভুলেও চাইনিজ নারকেল ব্যবহার কইরেন না। ঐটার ভরসা নাই। তবে চাইনিজ রাইফেলে কাজ হবে কিনা, কোবি এই ব্যাপারে কিছু বলে নাই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
"থাই নারকেল চলিলেও চলিতে পারে, কিন্তু ভুলেও চাইনিজ নারকেল ব্যবহার কইরেন না। ঐটার ভরসা নাই" - আর পারলাম না।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
"সাথে একটা লম্পট পাত্র আর তার মুখে মদ্যপানের একটা ফানেল" - এইটা আমিও প্রথমে এইরকম-ই পড়ে অট্টহাস্য সামলে আরেকবার পড়ে তবে আসল লাইনটা মালুম হল। নিজেকেই নিজে বল্লুম - কেলেঙ্কারিয়াস!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
বহুদিন পর আপনার লেখা দেখলাম নীরপাতায়!
শইল্যে দুব্বল পাই নারে ভাই, একেবারেই দুব্বল পাই না! নীড়পাতায় লেখা দেওয়ার খাটনি অনেক বেশি!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাসতেই আছি।
..................................................................
#Banshibir.
হাসি থামলে কইয়েন পীর বাহাদুর, একটা কথা জিগামু...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জিগান। হাসি কমছে বিকালের দিকে।
..................................................................
#Banshibir.
দুই পিঠার গুড়ের বরাদ্দের বৈষম্য দেখে মনে হচ্ছে পূর্ব পাকিস্তান-পশ্চিম পাকিস্তান।
একজন গুড়ে গুড়ান্বিত, অন্যজনের কপালে একটুকরো
-এর মানে কি? খেতে কেমন হল সেটাই তো জানা গেল না। ঘটনার আসল অংশইতো হিন্দি সিরিয়ালের মত পরের পর্বে চলে গেল। স্বাদ এর ব্যাপারটা পুরোপুরি খোলাসা না করে ধামাচাপা দেবার প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে
শুভেচ্ছা
বাটোয়ারা করার ক্ষেত্রে আমার অবস্থা আদ্দিকাল থেকেই গল্পের সেই বান্দরের পিঠা ভাগের মতো। কোনোদিনই সমভাবে বন্টন করতে পারি না। বহুত চেষ্টা করছিরে ভাই। লাইনে আসতে পারি নাই এখনতরি। তবে, আমার ধারণা একটুকরোওলা চোরাই কিসিমের পিঠা। ওর পেটের মধ্যে গুঁতা দিয়ে দেখেন, সুড়সুড় করে গুড় বেরিয়ে পড়বে।
আর, স্বাদের কথা বলিয়া লজ্জা দিবেন না জনাব। এই পিঠা খাইয়া উতসাহ পাইতেছি দেশে চলে যাওয়ার। আমি কোনো কাজের না হলেও, অন্তত না খেয়ে মরতে হবে না। 'ধুগো ভাপা বিতান' দিয়ে দিব্যি কয়েক জেনারেশন ঠ্যাঙের উপর ঠ্যাঙ তুলে টেবিল ফ্যানের বাতাস খেয়ে কাটিয়ে দিতে পারবো!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার রিটায়ার্ড হার্ট অবস্থা কাটলো তাহলে। আবার শুরু করে দিন স্লগিং।
---ইমরান ওয়াহিদ
হ, লুঙ্গিতে হপ্পায় গিট্টু দিছি... হোতায়ালামু এইবার সব।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই জটিল জিনিস উদ্ধার করে ফেলেছেন! আপনি তো এলেমদার লোক মশাই।
এইবার জ্ঞান্দান করি।
কাঁচা ধান কমপক্ষে ঘণ্টা দশেক পানিতে ভিজিয়ে রেখে একবার বা দুইবার ভাপিয়ে/ আধা সেদ্ধ করে রোদে শুকিয়ে নিয়ে তারপর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে যে চাল করা হয় সেটা হল সাধারণ ভাত খাবার সেদ্ধ চাল। আতপ মানে কিনা সূর্যালোক। তাই আতপ চালে অত হ্যাঙ্গাম নেই। সেটা ধান মাড়াই করার পর সোজাসুজি রোদে শুকিয়ে বস্তাবন্দি করে ফেলা হয়। এই ধান থেকে গরম বালিতে বাদাম ভাজার কায়দায় খৈ বানানো হয়। অথবা খোসা ছাড়িয়ে পোলাও এর চাল, মানে কিনা ঐ আতপ চাল করা হয়।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমিও জানতাম না আতপ চাল কেম্নে বানায়, দারুন আশাদি।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
হে হে হে, অনেক ধন্যবাদ অ্যাশলোটা!
কিন্তু প্রশ্ন হলো, চাল দেখে বুঝার উপায় কী, কোনটা আতপ আর কোনটা সেদ্ধপ।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আতপ চাল শুকনা সরু, ছোট্ট। মানে কিনা স্লিম সেক্সি ফিগার উইথ সুগন্ধ। নাকে/দাঁতে ফেল্লেই টের পাবেন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
লেখা পড়ে আগে একটু হেসে নেই।
কিন্তু মনে বড় দুঃখ দিলেন ধুগোদা, ভাপা এমনি আমার সবচেয়ে পছন্দের পিঠা, কতদিন খাইনা, তার উপরে এমন সচিত্র ভাপা পিঠা !!! নট ফেয়ার
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
গেলো দশ বছর যাবত ভাপা পিঠা, ভাপা পিঠা করে বহুত দুঃখ খাইলাম, ভাপা পিঠা আর খাইতে পাল্লাম না। ভাপা খাইতে চেয়ে আমার মতো যাতে আর কারো দুঃখ খাইতে না হয়, সেইজন্যই তো এই সিস্টেম। আজকেই কেরালা নাইলে মারাঠি নাইলে তামিল স্টাইলে লুঙ্গি গিট্টু মেরে মাঠে নেমে পড়ুন। কী আছে জীবনে...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বাহ! সেইরকম হইসে!! এদিকে চিনে রা 'পাউ' নামের একটা জিনিস খায়। সেইটা বানানোর সরঞ্জামাদি ভাপাপিঠার সরঞ্জামাদির মতই। একদিন ট্রাই দিতে হবে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
চাইনিজ দোকানে গুড়ির মতো যেটা পাওয়া যায় ঐটা দিয়া ভুলেও ট্রাই দিয়েন না। জিনিসটা পুরাই ফাউল। তিঁতা তিঁতা লাগে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মাসুদ সজীব
'ভাপা'র ঁ ঝরাতে গিয়ে 'ভাঁজ'-ও চন্দ্রবিন্দু হারা হয়ে পড়েছে, ব্যাপার না, ভাঁজ খোলা শুরু করলে শিখে যাবেন।
যদিও আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়নি, তবুও নিলর্জ্জের মতো কয়েকটা পয়েন্টার্স -
* আতপ চাল সিলেটের দিকের মানুষ ভাত খান যতদূর জানি। পোলাও-এর চাল দেশী ভাতের চালের থেকে সামান্য চিকন হয়, সুগন্ধ থাকে। ইওরোপে যে ইজি-কুক রাইস পাওয়া যায়, সেটায় পোলাও/চালের গুঁড়া ভালো হবে না। তবে চিকন চাল হলে এইটা পট করে হয়ে যাবে। ভাপা পিঠার জন্যে সুগন্ধী চাল না হলেই ভালো হবে মনে হয়। দেশে এখন চাল ভাঙিয়ে দেয় মিলে, আর রাস্তার ধারের ভাপা পিঠে ওয়ালারা ২০ টাকা দরে কেজি ধরে চাল ভাঙিয়ে নেন, সাম্প্রতিক এক ভাপাপিঠাওয়ালীর ইন্টারভিউতে জেনেছি এই তথ্য।
পায়েস মানে রাইস পুডিং-এর জন্যেও পোলাও-এর চালটাই হালকা ভেঙে নেয়া (একইভাবে পানিতে ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিয়ে, কিন্তু এতটা গুঁড়া করার দরকার নাই) যায়।
* গুড়টা আরেকটু মিহি করে নিলে ভালো হবে। বাটিতে চালের গুঁড়া দিয়ে, মাঝখানে খানিকটা গর্ত রেখে তাতে গুড় দিতে হবে। আমি যেমন গুড় ভালো পাই, তাই বেশি গুড় দেয়া ধুপি (ভাপা) পিঠা খেতে পছন্দ করি, আমি কখনো বানালে চাল দেব একটুখানি নিশ্চিতভাবে!
* আরেকটু চ্যাপ্টা বাটি নিলে চারিদিকে ভাপটা লাগবে ভালো করে, উপরের (মতভেদে তলের) দিকের ভেজা ভেজা থেকে যাওয়ার ব্যাপারটা তাহলে ঘটবে না। ত্যানার আর চালুনির ব্যাপারটা ভালো হয়েছে। ইনোভেটিভ আর সায়েন্টিফিক বেশ। রান্নাবান্না ব্যাপারটাই সায়েন্স, আমি সেদিনই বলছিলাম খুব গর্ব করে। কেমিস্ট্রি টু বি স্পেসিফিক।
* নারকেল জিনিসটা 'অরজিনিয়াল' ধুপি পিঠায় (আমাদের এদিকে) থাকে না। এটা গত ১০ বছর ধরে আমদানি হয়েছে দেখছি। কেন হয়েছে কে জানে! হয়তো এরপরে কোনদিন ভাপা পিঠায় গুড়ের বদলে চক্কেট দেবে, বা চিনি! যাই হোক, হতেও পারে অন্য অঞ্চলে হয়তো আগের থেকেই 'ভাপা' পিঠায় এটার অস্তিত্ব ছিলো। নারকেল না সেটা ভাপা পিঠাই হবে।
* পিঠাগুলোকে চ্যাপ্টা দিক উপরের দিক করে রাখার চল। উলটো করে পিঠ উঁচু করে রাখলে আমার কাছে কেন জানি বিদেশী পুডিং মনে হয়। যাই হোক, আপনার প্লাস্টিকের প্লেটটা খুব সুন্দর।
আপনাকে অভিনন্দন, এত চমৎকারভাবে এক অভিযানেই সফল ভাপা পিঠা বানিয়ে ফেলায়। আপনার আনন্দ দেখে ভালো লেগেছে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সেরের উপ্রে সোয়া সের হিসেবে আরেকটু জ্ঞান্দান করি।
সিলেট শুধু না, চাটগাঁ এবং দক্ষিনের ওদিকে অনেক জায়গাতেই আতপ চালই ভাতের চাল হিসেবে ব্যবহার হতে দেখেছি। সেদ্ধ আর আতপ দুই ধরনের চালের আসলে জাত আলাদা। মোটা চালের যে জাত তাতে ঐ চেনা সুগন্ধটা থাকেনা।
পায়েসে চাল আস্তই রাখা হয়, ফিরনিতে আধভাঙ্গা করে দেয়া হয়। আর পিঠায় নারকেল সরাসরি চিবোতে না চাইলে বেটে চালের গুঁড়ার সাথে মিশিয়ে দিলে স্বাদের সাথে পিঠা নরম থাকে দীর্ঘক্ষণ, ভাঙ্গেও কম। অনেকে সেদ্ধ চালের গুঁড়ার সাথে আতপ চালের গুঁড়া মিশিয়ে নেয়। এতেও পিঠা আঠালো আর নরম হয়।
এই পিঠাটা দেখেছি মানুষ কালচারালি খুবই গুরুত্বের সাথে নেয়। মরশুমের প্রথম বার বানালে পাড়ার সক্কলকে না দিয়ে খেলে সে বাড়ির বদনাম হয়ে যেত। উত্তরের কিছু যায়গায় তো দেখতাম ভাতের গামলা সাইজের বিরাট বিরাট করে বানায়। সাথে থাকবেই পুকুরের দৈত্যাকৃতির বোয়াল কিংবা আড় মাছের ঝোল সাথে নতুনআলু টমেটো বেগুনের ঘন্ট। কুয়াশা মোড়ানো ভোর বেলায় সুঁই সুতোয় হাতের কাজ করা ট্রেক্লথ দিয়ে ঢাকা ট্রেতে করে এ বাড়ি ও বাড়ি পিঠা নিয়ে যাচ্ছে বাড়ির ছোটোরা। বাড়ির বাকিরা চুলোর চারপাশে গোল হয়ে বসে। একটা একটা পিঠা নামছে আর খুশির হুল্লোড়...আহা! সেই রামও নাই সেই অযোধ্যাও নাই আর।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আশালতা, আপনি পাড়া-প্রতিবেশীর মাঝে পিঠা বিলানোর যে রেওয়াজের বয়ান করলেন সেটাতো মনে হয় ষাটের দশকের কথকতা । তা, তখন কি আপনার জন্ম হয়েছে ? যাহোক একটা কথা মানতেই হচ্ছে, আপনি জ্ঞানিগুণী ।
নাহয় দুইটা গিয়ানের কথা বয়ান করলাম। তাইতে গালি দেন ক্যান ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বাটি, ত্যানা, চালুনি - কিভাবে কি কাজে লাগানো হল, আর একটু বিস্তারিত পাওয়া গেলে ভাল লাগত।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
'রহস্য' তো, তাই মনে হয় পুরোটা উম্মোচন করে দেন নাই। পাঠকও খানিক ঘুরপাক খাক তার মতো, তন্দ্রাদ্রষ্ট হোক, এই ইচ্ছা লেখকের।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
খাবারের পোস্ট আমার খুব পছন্দের।
এই পিঠা বানানোর হাঁড়ি ইত্যাদি অংশটা মানে কোন বাসনটা কিভাবে কি ব্যবহার করা হল সেটা ধরতে পারি নি।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আচ্ছা, আপনাকে ধাপে ধাপে ধাপ্পাবাজীগুলো বলি।
১ নং ধাপ্পাবাজীঃ লম্পট পাত্রে অর্ধেকের বেশি পানি নিছি। অর্ধেকের বেশি নেওয়ার দরকার ছিলো না যদিও। কিন্তু ঐ যে, আমি 'পরিমান মতো' টার্মটার পরিমিত ব্যবহার জানি না!
২ নং ধাপ্পাবাজীঃ হলুদ ত্যানাটা লম্পট পাত্রের উপরে এমনভাবে বসাইছি যেনো ত্যানার ছিদ্রটা মাঝামাঝি অবস্থানে থাকে। সঠিক মাঝামাঝি অবস্থান সূচারূভাবে নির্ণয় করতে একটা পেন্সিল কম্পাস ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়। যদি না থাকে, তাইলে আন্দাজের উপরেই ভরসা করতে হবে। আমিও তাই করছি। ওহ, ত্যানাটা আগে ঠাণ্ডা পানিতে চুবায়া নিছি। এতে করে উপরের চালুনি আর লম্পট পাত্রের মধ্যে সম্পর্কটা একটু 'টাইট' হবে। ভাপের অপচয় কম হবে। নাইলে সব ভাপ ডানপন্থী, বামপন্থী, মস্কো পন্থী, পিকিং পন্থী ইত্যাদি পথ দিয়ে বের হয়ে গিয়ে হাতে রইবে শুধুই পেন্সিল!
৩ নং ধাপ্পাবাজীঃ এইবার চালুনিটারে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও পিঠিয় উদ্দীপনার সহিত হলুদ ত্যানার উপর এমনভাবে স্থাপন করেছি যাতে এর মাঝের ছ্যাঁদাগুলো ত্যানার ছিদ্রের সাথে হাড্ডাহাড্ডি মিলে গিয়ে পানি থেকে উত্থিত ভাপের সাথে গেইটলক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য হয়।
৪ নং ধাপ্পাবাজীঃ বাটিতে প্রথমে কয়েক টুকরা নারকেলের চিপস ফেলছি। তারপর চালের গুঁড়া দিছি। তারপর গুঁড় দিছি। তারপর আবার নারকেলের চিপস দিছি। তারপর আবার গুঁড়ি দিছি।
৫ নং ধাপ্পাবাজীঃ এবার, এইসব হাদুমপাদুমভর্তি বাটিটাকে আৎকা নিয়ে চালুনির উপর এমনভাবে খটাশ করে ফেলে দিছি যাতে কাকপক্ষীতেও টেরটা না পায়!
(সতর্কীকরণঃ এতোটা সতর্কতার দরকার ছিলো না আসলে। চালুনিটা লম্পট পাত্রের মুখ থেকে তুলে এনে উপর থেকে বাটির উপর রেখে সম্পূর্ণ জিনিসটা আপ-সাইড-ডাউন করে দিলেই কোনো অঘটন না ঘটিয়েই গুঁড়ি ভর্তি বাটি চালুনির উপর বসে যাবে। এরপর বাটিসহ চালুনিকে লম্পট পাত্রের উপর ৩ নং পন্থায় পুনঃস্থাপন করে দিলেই হয়।)
৬ নং ধাপ্পাবাজীঃ এবার বাটিটা আস্তে আস্তে তুলে নিছি। (এই বাটি ব্যাটা সহজে উঠে আসতে না চাইলে তার পুটুতে গোটা কয়েক আলতো করে টোকা দিলেই গুঁড়ির সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে চলে আসবে।)
৭ নং ধাপ্পাবাজীঃ এই ধাপে এসে হলুদ ত্যানার যে অংশগুলো লম্পট পাত্রের বাইরে এদিকে সেদিকে ঘোরাফেরা করছিলো, তাদের সবাইকে মঞ্চে তুলে দিয়ে কষে ঢাকনা মেরে দিছি।
৮ নং ধাপ্পাবাজীঃ কতোক্ষণ ফেসবুকিং করছি। এই ধরেন, মিনিট দশেক বা আরও কম। বেশিও হতে পারে, বয়স হইতে তো কিছুই মনে থাকে না।
৯ নং ধাপ্পাবাজীঃ ঢাকনা সরায়ে, ভাপা পিঠা চালুনিসহ উঠায়ে বাসনের উপর রাখতেই দেখি পিঠা ফাইট্ট্যা গেছে।
১০ নং ধাপ্পাবাজীঃ পরের পিঠাগুলোর ক্ষেত্রে শেষবারের গুঁড়ি দেয়ার পর গুঁড়ি ভালো করে কিলায়ে হিলায়ে দিছি যাতে না ভাঙে।
বোনাস ধাপ্পাবাজী-
১১ নং ধাপ্পাবাজীঃ কিলের পরিমান শেরে আলীর সমপরিমান হয়ে গেছিলো। সুতরাং, কিল দেন অসুবিধা নাই, আস্তে দিয়েন, পেয়ারছে, আলতো করে। তাইলে গুঁড়িতে বাতাস চলাচল করতে পারবে, ভাপ ঢুকবে ইউনিফর্মলি। পিঠা নরম নরম হবে।
১২ নং ধাপ্পাবাজীঃ কিলাকিলি করতে গিয়ে গুঁড়ের পরিমানে তালগোল পাকায়ে ফেলছি। গুঁড়ের অবস্থানেও। বাটিতে গুঁড়ি ও গুঁড় দেয়ার সময় গুঁড় একেবারে শেষের দিকে দিলে ফলাফল ভালো পাওয়ার কথা। কারণ, বাটিটা ভাপে বসালে ভাপটা সরাসরি গুঁড়ে গিয়ে লাগবে, গুঁড় গলবে এবং গুঁড়ের অণু আর গুঁড়ির অণু (তারেক অণুর বেইল এইখানে নাই) ভালোবেসে একে অন্যের হাত খাবলা দিয়ে ধরবে। মানে, গুঁড়ের স্বাদ দিল্লি তক যাবে আরকি!
মোটামুটি এইই তো...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পিঠা খাইতে ক্যামন হৈছিল জানি না। জাইন্যা আমার কাম-ই বা কি। কিন্তু ধাপ্পাবাজীর এই বিবরণ-টা অতীব সরেস হৈছে। এক্কেবারে ফাস্টোকিলাস।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধুগো'দা, পুরাই পাংখা ...
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
হ, আসেন এইবার বাতাস করি।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভাই বেরাদর ভুখা রইলো
চানমূখী কি পিঠা পাইলো?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
চানমুখী রেখে ভাইবেরাদরকে দেই কষ্ট,
আমি কি এতোই পাপিষ্ঠ!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চাল, গুড় সব হিসাব পাওয়া গেল, টুনির হিসাবটা পাওয়া গেল না।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
এই মন্তব্যটা সবচেয়ে জোশ হৈসে!
আমার সবচেয়ে ফেভারিট ভাপা পিঠা। ফ্যাঁচ ফ্যাঁচ। [ করুণভঙ্গিতে হাতের উল্টোপিঠে চোখ ডলার ইমো]
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মহামান্য বৌ যেদিন ভাপা পিঠা বানাইলো
আপনের পিঠায় গুড়ের ডিস্ট্রিবিউশন তো পুরা সরকারী দল আর বিরোধী দলের টেন্ডারবাজির মতন হৈছে! আমরা কী এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?
আমাদের এখানে এখন স্পেশাল হাঁড়ি কিনতে পাওয়া যায় সাফি ভাই, ঢাকনিতে ধরার যে কানাউঁচু knob-এর মতো জায়গাটা থাকে না, ঐটার বদলে ঐখানে ফুটো থাকে, আর ঢাকনিটা উলটো করে হাঁড়ির উপরে বসিয়ে সিল করে দেয়া থাকে। ঠিক ঐ ফুটো দিয়ে হাঁড়ির মধ্যে পানি দিয়ে, তারপরে চুলায় বসিয়ে, ফুটো বরাবর এভাবে মশারির নেটের উপরে চালের গুঁড়ো-গুড়ের পুর ভরা ধুপি উপর করে দিলেই ভাপা পিঠা হয়ে যায়। খুবই ইনোভেটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং! আমার দারুণ লেগেছে সিস্টেমটা।
ভাবী কি ঐ হাঁড়িতেই বানিয়েছেন নাকি? বেশ ভালো হয়েছে মনে হচ্ছে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সেই হাঁড়িতেই বানানো হয়েছে
দুনিয়ায় কত কিছু যে শেখার আছে! অবশ্য এই বিষয়টা এখনও শেখার প্রয়োজন পড়ে নাই, পিঠাওয়ালীরা আছে না? আমার বাড়ীর পিঠাওয়ালী জিনিষটা ভালই বানায়, আর অফিসের নিচের রসিয়া পিঠাওয়ালী আরও সরেস।
সেজন্যই আপনি বুঝি দুইডা পিঠা বানিয়েছেন !
তা কথা হলো, আকৃতি, পরিমান যাই হোক খেতে সুস্বাদু হওয়াটাই শেয কথা ।
চালিয়ে যান ।
হে হে হে, আমি কথায় না খালি, কাজেও বিশ্বাসী!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই পুত্তুম কোন পেপার পরে পাবলিশারস এ ১০ / ১০ দিলাম
হা হা হা , হাসতেই আছি
মাশাল্লা, সুভানাল্লা... আছেন আর কোনো মুমিন বান্দা?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বাহ বাহ, মারহাবা মারহাবা !
এবার নিশ্চয়ই আপনার শালী হবার জন্য মেয়েরা লাইন দিবে-
facebook
ধুগো সম্ভবত অন্যের শালীদের প্রতি মন দেন, নিজের একটা গতি হবে এই আশায়। নিজের শালীদের সাথে ইয়ে করবেন কেন! নিজের অবিবাহিত শালীদেরকে বরং অন্য ধুগোদের দুঃখ-মোচনের জন্যে 'ধুগো ইন্টারন্যাশনাল'-এ (এই সংস্থার বর্তমান হাল কী বাই দ্য ওয়ে?!) নিবন্ধিত করতে উৎসাহিত করবেন।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নিজের বানানো পিঠা খেয়ে ছেলের পেট বসে গেল নাকি? খবর নাই যে!
গলায় আটকাইসে মনে হয়।
একজন উঠতি, প্রতিভাবান পৈঠিক শিল্পীর নামে এইসব বাকশালী কুতসার দিক্কার জানাই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পেট বসে নাই পিপিদা, দিল বসে গেছে। পিঠায় না, কাঁঠালচাঁপায়!
আট বছর পরে আবার এই গান শুনে মনে কোবি কোবি ভাব চাগাড় দিয়া উঠছে...
ঘাস খাইতেছে দামড়া একটা খাসি,
কোকো লী, আমি তুমায় ভালোবাসি।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
****************************************
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া রাস্তায় নামিলেই যে পিঠা স্বল্পমূল্যে খরিদ করা যায়, সেইটা এতো কষ্ট কইরা বানানির কী আছে?
যাউগ্গা, লেখা ভাল্লাগছে। পরের লেখা রেডি করেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভাপা পিঠা আমার খুবই প্রিয়। একগাদা গুড় দিয়ে তৈরি করা পিঠাগুলা আরও বেশি মজা লাগে। আহা, এখনই তো খেতে ইচ্ছা করতেসে আবার! যাই হোক, আপনি দেখি ভালোই ভাপাভিযান চালাইসেন! তা, খালি কোকো-লি আপার কথাই দেখলাম, জিগলিন্ডে আপার খবর কী?
নতুন মন্তব্য করুন