সীমান্তে বিএসএফ'এর হত্যার তুলনামূলক চিত্র এবং 'ভারত বনধ'

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: বুধ, ২৯/০২/২০১২ - ১০:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হাবিবুরের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে আপনাদের। সেই যে, যাকে উলঙ্গ করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জোয়ানরা উষ্ণ চায়ে সুড়ুৎ সুড়ুৎ চুমুক দিতে দিতে পিটিয়ে ছিলো একটা পশুর মতোন। সেই হাবিবুর, যার সাথে 'ম্যানেজ'-এ বনিবনা না হওয়ায় যার জননাঙ্গে পেট্রোল ঢেলে দিয়েছিলো ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী'র জোয়ানেরা। সেই হাবিবুরের কথাই জিজ্ঞেস করছি। আমি জানি আপনারা জানেন এই হাবিবুরের কথা।

জানেন, কারণ হাবিবুরের অত্যাচারের সবাক চলচ্চিত্র আপনারা দেখেছেন। এনডিটিভিতে, ইউটিউবে। অনেক কিছুই বিশদে পড়েছেন পত্রিকাগুলোতে। এমনকি আনন্দব্যাজার নামক সার্কাসের জোকারবৃন্দ দ্বারা পরিচালিত একটা পত্রিকায় এই অত্যাচারের চেয়ে 'ভিডিও ছড়ানোতে পাকিস্তানের হাত আছে'- এমন জনগুরুত্বপূর্ণ খবরও পড়েছেন আপনারা। এতো কিছুর পরেও হাবিবুর বেঁচে আছে, এই ঢের! আসুন, কর্তা আর দাদাবাবুদের লম্বা একটা সেলাম করি মাটিতে জোরসে পা ঠুকে। অন্তত হাবিবুরের মতো লুঙ্গির নিচে বিধ্বংসী মারনাস্ত্র বহনকারী আতঙ্কবাদীদের জান বখশ তো দেয়া হয়েছে কর্তা-দাদাবাবুদের সৌজন্যে। জয় দাদা ঠাকুর!

হাবিবুরের ব‌্যাপারে আপনারা আমার চেয়ে ঢের বেশি জানেন। তাই সেটা নিয়ে আর বলে আপনাদের বিরক্তির উদ্রেক করবো না। আমি বলবো অন্য হাবিবুরকে নিয়ে। তার নাম সাইদুর। বয়স ১৮। কিছু কম বেশিও হতে পারে, কে খবর রাখে! তার চেয়ে মহাগুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার স্যাপার আছে আমাদের সামনে। সারা দিনের ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেলের অনুষ্ঠানসূচী মনে রাখা তো চাট্টিখানি কথা না! যাইহোক, সাইদুরের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সাহাপাড়া-ডাকাতপাড়া গ্রামে। গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ তারিখে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।

বিএসএফ, সাইদুরের হাত এবং পায়ের রগ কেটে পদ্মায় ফেলে রেখে যায়। সাথে রেখে দেয় সাইদুরের অণ্ডকোষ!

হাবিবুরের জননাঙ্গে পেট্রোল ঢালা আর সাইদুরের অণ্ডকোষ কেটে নেয়ার মধ্যে কোনো মিল খুঁজে পাচ্ছেন? পাওয়ার কথা না। কারণ, সাইদুরের ভিডিও এনডিটিভি বা ইউটিউবে আসেনি। দৃষ্টিসীমার বাইরে আমরা আবার চিন্তা করতে অক্ষম। কোথায় কোন সাইদুর-আবিদুর মরলো বিএসএফ'এর হাতে, তাতে আমাদের কী? আমরা মনের আনন্দে ভারতের পকেটে টাকা যোগান দিয়ে যাই তাতে করে মাত্র ডেড় বছরের ব্যবধানে হাবিবুরকে উলঙ্গ করে জননাঙ্গে পেট্রোল ঢালতে পারে বিএসএফ!

তবে, আনন্দব্যাজার পত্রিকা লুঙ্গিতে কড়া গিঁঠ মেরেই সেবার 'ভিডিও প্রচারের পাকিস্তানী হাত' রুখতে পেরেছিলো। কিন্তু পারেনি ভারতের মানুষের পয়সায় এবং আমাদের পয়সার যোগানে লালিত-পালিত বিএসএফ'এর অত্যাচার থামাতে! কিংবা, কে জানে- হয়তো চায়ইনি। চাইনি আমরাও। তা না হলে বিএসএফ প্রধান শ্রী বনসাল কী করে গলা উঁচু করে ঘোষণা দেন, 'সীমান্তে গুলি চলবেই!'

বিএসএফ প্রধান শ্রী বনসালের এই ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তির পরেও আমরা কী করে আমাদের পয়সা ভারতের কোষাগারে দেই?

শালকাঠ দিয়ে পিটিয়ে বিএসএফ শিবগঞ্জ উপজেলার সেনারুলের দুটি পা-ই ভেঙে দেয়। এর পিছনে যে আপনার দায় আছে, সেটা ভেবেছেন কখনো? ভেবেছেন আপনি স্টার জলসা আর এই জাতীয় বালছাল দেখে বছরে যে ২ লাখ ডলার ভারতের পকেটে দিচ্ছেন সেটা থেকেই বিএসএফ এর বেতন হচ্ছে, রেশন হচ্ছে, গোলাবারুদ হচ্ছে এমনকি শালকাঠ কেনার টাকাও হচ্ছে। আমাদেরই টাকায় কেনা সেই গোলাবারুদ আর শালকাঠ নিয়ে বিএসএফ জোয়ান প্রবল উল্লাসে ঝাঁপিয়ে পড়ছে সীমান্তে আমাদেরই সাইদুর, সেনারুল, শফিকুল, ইসমাইল, শ্যামল, হাবিবুর প্রমুখদের উপর।

আসুন, এক নজরে দেখে নেই এ সংক্রান্ত তথ্য আর উপাত্ত যেগুলো সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত এবং যেগুলো আপাতত আমাদের হাতের কাছে আছে। [কৃতজ্ঞতাঃ http://bsfchronicle.blogspot.com]

সীমান্তবর্তী জেলা সমূহে বিএসএফ কর্তৃক হত্যার চিত্র (মার্চ ২০০৯ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১২)
Killing_Bangla

সীমান্তবর্তী জেলা সমূহে বিএসএফ কর্তৃক নির্যাতনের চিত্র (মার্চ ২০০৯ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১২)
Injury_Bangla

সীমান্তবর্তী জেলা সমূহে বিএসএফ কর্তৃক অপহরণের চিত্র (মার্চ ২০০৯ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১২)
Abduction_bangla

সীমান্তবর্তী জেলা সমূহে বিএসএফ কর্তৃক সংঘটিত অত্যাচারের সামগ্রিক চিত্র (মার্চ ২০০৯ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১২)
overview

সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক হত্যার প্রকৃত চিত্রটা আরও অনেক বিস্তৃত। শুধুমাত্র সরকারী/প্রাতিষ্ঠানিক দাবিগুলোই যদি দেখি-
Unbenannt

সংবাদপত্রের আড়ালে থাকা সীমান্তে বিএসএফ-এর হাতে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা কিংবা বিডিআর/ বিজিবি'র দাবির কথা নাহয় বাদই দিলাম। কিন্তু ভারত বা বিএসএফ'এর সরকারী দাবির সাথে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবির আকাশ পাতাল ফারাক, এটা ছবিতেই স্পষ্ট।

এরমধ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২, দিল্লীতে ভারতের স্বরাস্ট্রমন্ত্রী চিদাম্বরম বলেন, "গত আট মাসে এ ধরনের মাত্র তিনটি ঘটনা ঘটেছে-নভেম্বরে একটি এবং ডিসেম্বরে দুটি। এ তিনটি ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। সীমান্তে যে কোনো ধরনের প্রাণহানির জন্য আমরা দুঃখিত। তবে গত আট মাসে এ তিনটি ঘটনায়ই হামলা থেকে সহকর্মীদের বাঁচাতে গুলি করা ছাড়া বিএসএফ সদস্যদের আর কোনো উপায় ছিল না।"

শুধুমাত্র সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর থেকে ২০১২ সালের প্রথম দুই মাসেই সীমান্তে বিএসএফ'এর হাতে ৪টি হত্যার ঘটনা ঘটার প্রমাণ আছে কিন্তু চিদাম্বরম সেটাকে গত আট মাসে টেনেও ৪টি ছাড়াতে পারেন নি। ২০১১ এর ডিসেম্বরেই সংবাদপত্রে আসা সীমান্তে হত্যার সংখ্যাটা ৬ ছাড়িয়ে যায়। তাছাড়া, চিদাম্বরম "সহকর্মীদের বাঁচাতে গুলি করা ছাড়া বিএসএফ সদস্যদের আর কোনো উপায় ছিল না"- এই কথার মাধ্যমে বিএসএফকে এক ধরণের ইনডেমনিটিই দিচ্ছেন ইচ্ছাকৃতভাবে। সেটা তিনি করতেই পারেন। বিএসএফ প্রধানের 'সীমান্তে গুলি চলবেই' আর এরপর স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর "বাঁচতে হলে গুলি করতে হবে" মনোভাবের ফলে আর যাইহোক, সীমান্তে আমাদেরকে পাখির মতো হত্যা বন্ধ হবে না। আর বিএসএফ এর বিচার বা শাস্তি? সে দূর অস্ত!

তাই, এর প্রতিকারের পথ খুঁজতে হবে আমাদেরকেই। আমাদের নিজেদেরই ঠিক করতে হবে আমরা এই হত্যায় সমর্থন দিবো কিনা! আমাদের নিজেদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হত্যাকারী বিএসএফ'এর অর্থ সংস্থান করে যাবো কিনা!

একটু সময় নিন। নিজেকে দিন। নিজের ভেতরের আত্মসম্মান নামক জিনিসটার অস্তিত্ব খুঁজে বের করে নিজেকেই জিজ্ঞেস করুন, কোনটা আপনার কাছে জরুরি- নিজের আত্মসম্মান নাকি আপাত বিনোদিত-ব্যক্তিগত লাভ! অন্তত একটাবার ভাবুন, সীমান্তে যে বাংলাদেশী নাগরিকটা বিএসএফ এর হাতে নিহত হচ্ছে, অত্যাচারিত হচ্ছে কিংবা অপহৃত হচ্ছে নিজেরই দেশের ভূমি থেকে- তা বন্ধ করতে আপনি বদ্ধ পরিকর কীনা!

যদি হোন, তাহলে দয়াকরে, ১লা মার্চ ভারতকে একটা বার্তা দিন। বলে দিন, আমরা মানুষ। জানিয়ে দিন, আমরা তোমাদের বাজার নামক ভাগাড়ে পরিণত হতে আপত্তি করছি যতোদিন সীমান্তে একটা বাংলাদেশী নাগরিককেও মানুষের অন্যথা হিসেবে বিবেচিত হবে!

আর যারা বাকি ৩৬৪ দিন নিয়ে কান্নাকাটি করতে মশগুল হচ্ছেন, তাদেরকে সবিনয়ে জানাই, হাজার মাইল পাড়ি দিতে হলে প্রথমে নিজের পা-টা সামনে বাড়াতে হয় সবার আগে। সেই কাজটাই করতে অনুরোধ করি, চলুন। এক লাফে হাজার মাইল পাড়ি দেয়ার স্বপ্নটুকু নাহয় বিছানায় শুয়েই দেখা যাবে খন।

[একটা ভিডিওচিত্র যোগ করার ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু নানাবিধ ব্যস্ততা আর ঝামেলার কারণে সেটা করা হয়ে উঠলো না এযাত্রা। তবে, ভিডিওটা এই সপ্তাহান্তেই ছাড়া পাবে, ঈমানে কইলাম]


মন্তব্য

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ এর বর্বরোচিত আচরনে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ও অপমানিত।
ধন্যবাদ, তথ্যবহুল ও সময়োচিত একটি অতি প্রয়োজনীয় পোস্টের জন্য।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

গ্রাফ এবং ম্যাপগুলোর ইংরেজি ভার্সন করে দিতে পারবেন? ভারতীয় এবং অন্য দেশের মানুষদের সাথে শেয়ার করতে সুবিধা হয় তাতে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

অবশ্যই যুধিষ্ঠির'দা। ইনফ্যাক্ট এখানে উল্লেখিত ম্যাপ এবং গ্রাফ কেবল সচলায়তনের পাঠকদের জন্যই তৈরী করা হয়েছে আলাদা করে। প্রকৃত ম্যাপ এবং গ্রাফগুলো বাংলা এবং আংরেজী- দুই ভাষাতেই করা হয়েছে। সেগুলো ভিডিওতে যোগ করা হয়েছে, দুই ভাষার অডিয়েন্সকেই টার্গেট করে। ছবিগুলো আলাদা করেও প্রকাশ করা যাবে। সপ্তাহান্তে করে দেয়ার ইচ্ছে আছে।

লেখায় উল্লেখ করার সুযোগ পাইনি, এখানে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে নিচ্ছি বন্ধু-বড়ভাই দ্রোহী'র কাছে। নিজের শত ব্যস্ততার মাঝেও সময় বের করে অতিদ্রুত ম্যাপগুলো রেন্ডার করে দেয়ার জন্য।

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

দুর্দান্ত এর ছবি

রংপুরের তো ভারতের সাথে কোন সীমানা নেই। সেখানের কি ঘটনা?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

এটা আসলে ডাটা এন্ট্রির ত্রুটি। হত্যার ঘটনাটা কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারি সীমান্তে। খবরটা এসেছিলো ইউএনবি- রংপুর এর সূত্রে। ভুলে হত্যার স্থান হিসেবে রংপুরকেই উল্লেখ করা হয়েছে ডাটায়। যে কারণে ম্যাপগুলোতে পরে রংপুর থেকে গেছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ম্যাপগুলোর ভ্রান্তি সরিয়ে নতুন ম্যাপ যোগ করা হলো।

সত্যপীর এর ছবি

চলুক

..................................................................
#Banshibir.

কুমার এর ছবি

চলুক

কুঙ্গ থাঙ এর ছবি

(‌Y)(‌Y)

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

খুব খুব প্রয়োজনীয় একটি লেখা, সবাই ছড়িয়ে দিন............


_____________________
Give Her Freedom!

দিগন্ত এর ছবি

সুন্দর তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ। দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের পশ্চিম-সীমান্তে হত্যা-অপহরণের সংখ্যা পূর্বের তুলনায় অনেক বেশী।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

সজল এর ছবি

দারুণ ইনফরমেটিভ গ্রাফ। এই ক্রমাগত অপমান সবার বোধগম্য হোক, এটাই আশা করি।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

দ্রোহী এর ছবি

ফাডায়ালাইছেন মনির হোশেন! হাততালি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কাজের। গুরু গুরু

সুপ্রিয় দেব শান্ত এর ছবি

চমৎকার তথ্যপূর্ণ লেখা।

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

গুরু গুরু

বিলাস এর ছবি

গুরু গুরু আমাদের আত্মসম্মানবোধ জাগ্রত হবে এই আশায়।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

চলুক
অসাধারণ কাজ!
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

সচলায়তন মডারেশন টিমকে অনুরোধ করবো এই লেখাটা স্টিকি করার জন্যে। শুধু আজকের দিনের জন্যে হলেও এটা স্টিকি থাকা প্রয়োজন!!

ধুগো'দাকে অনুরোধ করবো লেখাটার একটা ইংরেজী ভার্শন প্রকাশ করবার জন্যে, অতিসত্ত্বর! (সেখানে ইংরেজীতে গ্রাফ/চার্ট গুলো দিতে হবে।

ভিডিও দ্রুত আসুক!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

অসাধারণ কাজ করেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আজ থেকে আমি ও আমার পরিবার ভারত বনধ শুরু করলাম। সব ভারতীয় পণ্য, চ্যানেল বর্জন করলাম।

নিঃসঙ্গ পৃথিবী এর ছবি

পোস্টটি স্টিকি করা উচিত বলে মনে করি।

চলুক

উচ্ছলা এর ছবি

বারবার অপমানিত, লাঞ্ছিত হবার পরও যে জনগোষ্ঠির টনক নড়েনা, আক্কেল হয়না তারা 'বেহায়া/বেয়াক্কেল' বৈ কি!
এদের 'হায়া/আত্মসম্মান/আক্কেলবোধ' জাগ্রত করতে যাঁরা নিরলস এভাবে লিখে যাচ্ছেন, আমাদেরকে সতর্ক করছেন, সচেতন করছেন, তাঁদের আন্তরিকতার প্রতি সবটুকু শ্রদ্ধা।

রবীন এর ছবি

আমার ভারত বন্ধ সফল, চিল্লাফাল্লা করে বন্ধুদেরও লেইস খাইতে দেই নাই(আমার সান চিপসই পছন্দ)। আজকের দিন ছাড়াও আমার ভারতীয় পন্য ব্যাবহার খুবই সীমিত।

সত্যপীর এর ছবি

অনেক পরিশ্রমী লিখা গুরু গুরু

ম্যাপটি প্রচন্ড আগ্রহোদ্দীপক। নওগাঁ কুষ্টিয়া বেঁচে গেছে দেখা যায়।

..................................................................
#Banshibir.

ধুসর গোধূলি এর ছবি

যে চিত্রটা দেখা যাচ্ছে সেটা কেবল মার্চ ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সংগ্রহে থাকা সংবাদপত্রের খবর।

কুষ্টিয়া কিংবা নওগাঁ- কোনো জেলাই বাঁচে নাই। ২০০৯ এর আগে গেলেই এই দুই জেলায় হতাহতের সন্ধান মিলছে।

সত্যপীর এর ছবি

এইবার বুঝছি। আমারই খেয়াল করা উচিত ছিল। ধন্যবাদ।

..................................................................
#Banshibir.

ভারতীয় এর ছবি

ভারতীয় সীমান্তে অবৈধভাবে ঢোকে কেন বাংলাদেশীরা? আগে ঢোকা বন্ধ করেন, তারপর বিচার চাইয়েন।

চরম উদাস এর ছবি

ধরলাম আমি অবৈধভাবে ঢুকলাম, তার জন্য কি আমার জননাঙ্গে পেট্রোল ঢালবেন নাকি অণ্ডকোষ কেটে নিবেন?
মানুষ হন আগে তারপরে নিজেকে ভারতীয় বলে দাবী কইরেন।
যেকোনো সুস্থ্য ভারতীয়ও আপনার মতো লোককে ভারতীয় বলে পরিচয় দিতে লজ্জা পাবে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আর বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে যে অপহরণ করে নিয়ে যায় তার কী হবে?! তাও আবার সিভিলিয়ান অনুপ্রবেশ না!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

জনাব ভারতীয়, বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষে ভারতীয়দের যে ফেন্সিডিলের কারখানাগুলো আছে, সেগুলোতে উৎপাদিত ফেন্সিডিল কোন পথে বাংলাদেশে আসে? কেনো আসে? সেইটা নিয়া আগে নিজেরে জিগান। পারলে কারখানাগুলো বন্ধ করেন। তারপর বাংলাদেশীদের অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়া কিংবা ভারতীয় সেনাবাহিনীর জননাঙ্গ কত্তো বড়- সেগুলা নিয়া কথা বলতে আইসেন।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ধুগো'দার অনুমতিক্রমে এই পোস্টটার একটা ইংরেজী অনুবাদ প্রস্তুত করলাম। এখানে পাওয়া যাবে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

কালো কাক এর ছবি

চলুক

স্বাধীন এর ছবি

দারুন কাজ হয়েছে ধূগো চলুক

নীল রোদ্দুর এর ছবি

মাঝে মাঝে সারাদিন হিন্দী/বাংলা টিভি সিরিয়াল দেখা বঙ্গরমনী দেখলে মনে হয়, বাঙ্গালীর মান/অপমান বোধই নেই। এইসব ইফরমেটিভ গ্রাফ তাদের কাছে নিতান্ত একটা ব্লগের চেয়ে বেশী কিছু কি? এর চেয়ে তো স্টার প্লাসের রোমান্টিক/ ঘর সংসারের চক্রান্ত গাঁথা বেশী আকর্ষনীয়!

-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়

তানভীর এর ছবি

দারুণ পোস্ট! চলুক

ম্যাপগুলো কি জিআইএস-এ বানানো?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমিও জানতে ইচ্ছুক। শেইপ ফাইলগুলো কি ফ্রি পাওয়া যায়?

দ্রোহী এর ছবি

@তানভীর ভাই: হ্যাঁ।

@পিপিদা: বেসিক শেপ ফাইলগুলো বেশিরভাগ সময়ই ফ্রি। কিন্তু শেপ ফাইলে যদি ডেটা টেবিল থাকে তাহলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পয়সা দিয়ে কিনতে হয়।

এখানে যে শেপ ফাইলটা ব্যবহার করেছি সেটা এখানে পাবেন।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

খুবই ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে, ভাবছি হাতে একটু সময় ফেললে এইটা ঘেঁটেঘুঁটে শিখে ফেলতে হবে!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

দ্রোহী এর ছবি

তেমন একটা কঠিন কিছু না। ভালোভাবে সবকিছু বুঝে উঠতে দুই সপ্তাহ লাগবে বড়জোর। ক্যাড জানলে আরো কম। হাসি

স্বপ্নহারা এর ছবি

গুরু গুরু

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

পারী এর ছবি

অসাধারন লিখা অনেক পরিশ্রমী কাজ, দিনরাত যারা সাধারণ মানুষদের সচেতন করার লক্ষ্য কাজ করে যাচ্ছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধ্বা রইলো।
এই সব বিষয়ে কাউকে বলতে গেলে গা এলিয়ে থাকে যেন এটাই স্বাভাবিক এটাই নিয়ম। যখন বলে চ্যানেল বন্ধ্ব করলাম না হয়, শ্যম্পুও না হয় দিলাম না কিন্তু আদা পেয়াজ সবই তো ওদের দেশ থেকে আসে সেই সব না কিনে কি উপায় আছে? তখন রাগ লাগে খুব মন খারাপ

ডাইনোসর এর ছবি

আন্দোলন অব্যহত থাকবে।

দ্রোহী এর ছবি

এখানে একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস বলে রাখা ভালো:

মানচিত্রগুলো তৈরিতে যে সংখ্যাগুলো ব্যবহার করা হয়েছে তা বিএসএফের দাবি করা সংখ্যার চাইতে কম। অর্থাৎ, যে ডেটাসেটটি ব্যবহার করা হয়েছে তা অসম্পূর্ণ। তাহলে একবার ভেবে দেখুন বিজিবি বা মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দেওয়া সংখ্যাগুলো ব্যবহার করে নতুন মানচিত্র তৈরি করলে মানচিত্রগুলো কেমন হবে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

মানবাধিকার সংস্থার সংখ্যার সাথে তুলনার সুবিধার্থে মানচিত্রে ব্যবহৃত সংখ্যার একটা লেখচিত্র যোগ করা হলো পোস্টে।

এখান থেকেই আন্দাজ করা সম্ভব সীমান্তে বিএসএফ এর নিজের দাবী করা সংখ্যাটাও এমনকি পত্রিকায় আসে না। আর যেগুলো আসে আমাদের চোখে পড়ে তার চেয়েও কম।

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ডাটা সংগ্রহ করা সম্ভব হলে সীমান্তের অবস্থাটা কতোটা ভয়াবহ আর কতোটা মারাত্মক, তার একটা পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যেতো।

এর পরেও যারা ভারতের পণ্য, সেবা আর বিনোদন- দেশীয় বিকল্প হাতের কাছে থাকার পরেও ব্যবহার করে যেতে চান, তাদেরকে বলার আর কিছুই নাই। সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যায়-অত্যাচারে আর্থিক সহায়তা যুগিয়ে চলতে চান, সেটা মানুষ হিসেবে আপনার বিবেচনা। কিন্তু আশাকরি, আপনারা একটা ব্যাপার উপলব্ধি করতে পারবেন, বিবেক আর আত্মসম্মানবোধ বাইরে থেকে শত চেষ্টার পরেও ভেতরে পুশ করা যায় না, এটা থাকতে হয় নিজের ভেতরেই।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

চলুক

কল্যাণ এর ছবি

গুল্লি চলুক গুরু গুরু

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।