না চাহিলে যারে পাওয়া যায়

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০৬/২০০৭ - ৪:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি তোমার দূরে থাকি, কাছে আসবো বলে
আমি তোমার কাছে আসিনা, চলে যেতে হবে বলে
তোমাকে ভালোবাসিনা, তোমাকে হারাবার ভয়ে...

একটা সময় খুব ভাবতাম 'আধো বালি, আধো পানি'র একটা স্বপ্নের কথা। কী করে যেনো সেই স্বপ্নচিন্তাটা ভুলে বসে আছি। এখন আর ওসব চিন্তা ভাবায় না আমায়। একটু ভুল বললাম কি? হুম, হবে হয়তো। আসলে বলা উচিত, এখন অবশ্য ভাবতে ভালো লাগে না। বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয়, অঘটনকে না, বরং যা ঘটেছে কিংবা যা ঘটতে পারতো!

সবুজ প্যাকেটে মোড়া নীল-আকাশ! একটা একটা করে মায়ার সূতোয় বোনা বিশাল আকাশটায় আমার স্পর্শ দিয়ে খুব ছোট্ট একটা প্যাকেটে পুরে দেয়া কি দু:সাধ্য ছিলো কখনোই! আচ্ছা ওইযে ভেজা সিঁড়িটা। ঝুম বৃষ্টিতে চোখের পাতা মুদলেই যে ছাঁট এসে লাগে, ওখানটার কথা বলি? আমার যখন একুশ হলো, তখনকার 'হঠাত হারিয়ে যাওয়ার' কথা। চোখের সামনে দৃশ্যপটের ধীরগতিতে বদলে যাওয়ার কথাও বলা যায়। আচ্ছা হাউ এবাউট, সকালে উঠেই চলে গিয়েছিলাম যে, সেই গল্প!

আমার পেটে তো কথা পঁচে না। কিন্তু মেমোরী এতো বিট্রে করছে কেন? আলোক বর্ষ দূরত্বের তারাদের একে একে সরে যাবার আগের সব কিছুই নিকষ অন্ধকারে। উমমম, হ্যাঁ, আচ্ছা সেই যে রাতের বেলায় ল্যাপটপ ছেড়ে না চাহিলে যারে পাওয়া যায় শোনা, একেকটা ইচিঠিতে চাঁদের আগমন ঘটতো গগনে। একেকটা জুনের জন্য কেমন কেমন করে যেন প্রতীক্ষায় থাকা- যদিবা এই জুনই সেই জুন হয়! কিংবা সাবওয়েতে স্যান্ডউইচ সাপ্লাইয়ে শশ্রুমন্ডিত কোন সাধুর উপস্থিতি শেষে বাসায় ফিরে 'ধপাস'। নিজের বিছানা ছেড়ে যাবার কষ্টে অঝোর কান্না। উঁহু, সেইসব ও বলতে ইচ্ছে করছে না।

ঐযে একবার কাছে আসার খুব আগ্রহ হলো। বিশাল জলরাশি পাড় হবার সাহস ধরে গেলো। শেষে আর হলোই না, আচ্ছা সেই পাগলামীটা বাস্তব হলে কি হতো!
কোথাও বেড়াতে গিয়ে ফিসফিসিয়ে কথা বলার সেই যে ক্ষণটা, ওটা নিয়ে বলি বরং! মাউথঅর্গানটার সুর কানের ভেতর দিয়ে গিয়ে মস্তিষ্কে হাতুড়ি পেটা করেছিল যে, কানের সামনে সেই বেসুরো করে ফুঁ দেয়ার ঘটনাটা বলি!

কতো কিছুই বলতে ইচ্ছে হয়, লিখতে ইচ্ছে করে। তবু লেখা হয় না, শোনা হয় না, হিসাব করা হয় না এখন আর। কতদূর এলাম, কতদূর যাবার বাকি- এই ভাবনা আর ভাবতে হয় না এখন। মেইজটা বুঝি শাফলড হয়েই গেলো তবে! পৃথিবীটা ছোট হতে হতেও ক্রমশ: প্রসারিত হওয়া শুরু করলো গ্যালাক্সির অনুপাতে। অনেক হিসাব, অনেক নিকাশ সেখানে লুকায়িত। এখানে তাত্ত্বিক ভাবে অনেক ভ্যালু উপেক্ষা করা গেলেও ফলায়তভাবে করা গেলো না।

ফিরতে বড় ইচ্ছে করে, ফেরারী সেই পথটি ধরে-
কিন্তু লক্ষ্য বিন্দু বুঝি কক্ষচ্যুত। শত বারণের চোখ রাঙানী শেষেও কথা বলা থেমে থাকে না, ভাবনা থেমে থাকে না, দিন গুলোর কথা ভুলে যাওয়া হয় না, দেখার ইচ্ছাটা উবে চলে যায় না!

নিজের অজান্তেই হিসাব মেলানো হয়ে যায় ২৩ + ৬ - ১৭ = ১২

ছ'বছর আগের চমতকার করে শুরু হওয়া একটা দিনের মতো সেই ভাবনা গুলো আজোবধি জেগে আছে, কেবল ওপরে একটা ধূলোর ডিবি জমে গেছে। সেই ডিবির ওপরে লালসালু উড়ছে, বিপদের আভাস দিতে না বরং জানান দিতে যে জায়গাটা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ!

কতো কিছুই বলার ছিলো, থাকুক নাহয় সব তোলা-
আজ শুধু বলি - শুভ হোক এই পথচলা...


মন্তব্য

ঝরাপাতা এর ছবি

মাশাল্লাহ। ছয় বছর পূর্তিতে পার্টিটা কোথায় দেবেন বলুন। চলে আসবো নাকি জার্মানিতে?

_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

কাহিনী কি? খুইল্লা ক
লেখা যথারীতি জম্পেশ । 'সবুজ প্যাকেট মোড়া নীল আকাশ'!

-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সৌরভ এর ছবি

এইটা কার ছবি দিসেন দাদা?
লেখা পইড়া বড়ই মন উথাল-পাতাল করে।

------ooo0------
বিবর্ণ আকাশ এবং আমি ...


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দিছে রে দিছে আমার পেরেশটিজের তেরটা বাজাইয়া দিছে। সাইটটা ওপেন করার ডিসিশন নেওয়া হইলো কখন? আগে কইলে তো আমি মাধুরীর সৌন্দয্য এট্টা ফুটুক বাইর কইরা দিতাম। দেহো দেহি কামডা হইলো কি!

ফলেন আইসা পড়েন, ব্যাপার না। আপনে আইলেই সেলিব্রেশন হইবে। কিন্তু সেইটা যে কীসের- ঐটা টের পাইবেন আসলে চোখ টিপি

দাদা, আপনে যদি আমার ব্লগে আইসা ঘুইরা যান তাইলেই আমি আনন্দে নাচতে থাকি, আর লগে যদি "জম্পেশ" টাইপের কিছু যোগ করেন তাইলে আমারে পায় কে? পুরান স্মৃতি উগড়াইয়া উঠছে গো দাদা...

সৌরভ, কইছিলাম না, ভাইরাস ছড়াইয়া দিছেন! হাসি
_________________________________
<স্বাক্ষর দিমুনা, পরে জমিজমা সব লেইখা লইলে!>

সৌরভ এর ছবি

হায় হায়, আমার দোষ এখন?
এই জীবনই আর রাখবো না। মন খারাপ

আমার মন যে এমনিতেই উথাল-পাতাল কয়েকদিন ধরে।

------ooo0------
বিবর্ণ আকাশ এবং আমি ...


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

শিশু নিপীড়নের প্রতিবাদ জানাই।

অন্য প্রসঙ্গে, জিমেইলে একটা পত্র দিছিলাম।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ক্যাঁ, জীবন কারে দান করবেন সৌরভ?

শিমুল কারে কইলেন?
_________________________________
<স্বাক্ষর দিমুনা, পরে জমিজমা সব লেইখা লইলে!>

সৌরভ এর ছবি

সেইটাতো আর নাই।
দিয়া দিছি।

শিমুল, জি-পত্রের কথা আমারে কইলেন?

------ooo0------
বিবর্ণ আকাশ এবং আমি ...


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আপনেরে কইলাম।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

জি-পত্রের কথা ধু।গো-রে বললাম।
উনি যে মেইল একাউন্ট রেগুলার চেক করেন না, ঐটা আমারে দিছেন।
আমার তো শালীও নাই। (দীর্ঘশ্বাস)

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কটু কথা কইলে তো জেল হাজত হইয়ে যাইপে শিমুল। আমি ঐটা রেগুলার চেক করি, শুধু তাই না, দিনে বেশ কয়েকবার চেক করি। আপনারে ফিরতি ডাকে পোস্টম্যানের হাতে একটা পত্রও ধরাইয়া দিছি। ব্যাটা আপনারে দেয় নাই এখনো?
_________________________________
<স্বাক্ষর দিমুনা, পরে জমিজমা সব লেইখা লইলে!>

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ডাকপিওন কইলো আপনার ঘরে চিঠি দেয়ার পর আপনার ভূত খুশী হইছে নাকি কী কী নাকি কয়। আপনে ঘরে থাকেন না? আর ঐ ভূতটারে থামানো যায় ?
এনিওয়ে, আইজকে আরেকখান লেটার দিছিলাম। পাইছুন?

দৃশা এর ছবি

ইনি তাইলে হইল আপনার তনয়ার মা??
লেখা এজউজুয়াল ভাল......ধোয়াটে ধোয়াটে...

দৃশা

মৃন্ময় আহমেদ এর ছবি

ধূলি উড়ে যায়, শব্দরাশি দেয় দেখা
ফিরবো জেনো এই পথে, হে মোর সখা!

'

=========================================
নিজেকেই নিজে চিনি না, পরকে চেনার মিছে বাহানা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মৃন্ময় বাবুও তাইলে সচল হলেন!
যাক, আপনাকে বিলেটেড স্বাগতম জানিয়ে দিলাম হাসি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।