তীর্থের কাক-৩

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: সোম, ১২/০৪/২০১০ - ৪:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মে আই হেল্প ইউ?
৪ ‘৯১ মার্চ দুপুরে খবর পেয়েছিলাম বাংলাদেশের ভাত শেষ আমার। তারপর থেকে আড়ি হয়ে গেলো নিদ্রাদেবীর সাথে। দিনটা ছিলো মঙ্গলবার। বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা আটটার দিকে নামলাম ফ্রাংকফুর্ট এয়ারপোর্টে। দুই নম্বরী পাসপোর্ট নিয়ে ইমিগ্রেশনের ঝামেলায় আর গেলাম না। খূদের মতো ছোট চালের ভাত দিয়েছিলো বিমানে। জীবনের অথৈ পাথারের অস্থিরতায় খেতে পারি নি কিছুই। ক্ষুধা আর ক্লান্তির সাথে যোগ হয়েছে দুই দিনের অনিদ্রা। ব্যাগটা মাথার নীচে দিয়ে শুয়ে পড়লাম খালী একটা সোফা দেখে। শিরশির করে উঠানের নারকেল গাছটার পাতায় ঝড়ের আগে শীষ দিয়ে যেতো দূরন্ত বাতাস। এমনই একটা শব্দে ভেঙ্গে গেলো ঘুমটা। চোখ ধাঁধাঁনো নিয়ণ আলোর ঝলকে দেখলাম ফ্লোর ধোয়ার গাড়িটার পাশে কালো স্যুট পরা ভদ্রলোক প্রশ্ন করে দাঁড়িয়ে আছে আমার উত্তরের প্রতীক্ষায়। কি বলব? কিছু বুঝতে না পেরে আশে পাশে তাকিয়ে দেখি ভাগিনা আর শামীম এগিয়ে এসেছে।

ঢাকা থেকে বিমানে উঠার সময় বলে দিয়েছে ফ্রাংকফুর্টে নেমেই যেনো চিৎকার করে বলি আমি রাজনৈতিক আশ্রয় চাই। জনমানবের চিহ্ন মাত্র নেই। চিল্লানোর কারণ অনুপস্থিত দেখে অনেকটা ফিসফিসানীর মতোই রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলাম। ভদ্রলোক ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে নিয়ে গেলেন আমাদের তিন জনকে। গভীর রাত। তাচ্ছিল্যের সাথেই পুলিশ সোফার দিকে ইঙ্গিত করে বাকী রাতটা এখানেই পার করতে বললেন।

দুই নম্বর কাগজ-পত্র পকেটে রাখা ঠিক না। নামার সময় ছবি লাগানো পাতাটা ছিড়ে সীটের পকেটে রেখে এসেছি পাসপোর্ট। নাম ঠিকানা আমার সাথে কোন মিল না থাকায় পুরো পাসপোর্ট ছেঁড়ার মতো কঠিন কাজটা আর করলাম না। কিন্তু পুলিশের কাছে বললাম, দালাল দেয় নি। বিরাট রাজনৈতিক নেতা বনে জবান বন্দী দিলাম। সেই মিথ্যা এখানে আর বলব না। খুব সিরিয়াস ভাবে ভাষান্তর করা বক্তিমা রেকর্ড হলো জার্মান ভাষায়। বাপের জন্ম তারিখ, মায়ের পেশা বলার সময় কোলকাতার দোভাষী ভদ্রলোক সাহায্য করলেন টুক টাক। অবিবাহিত যেনেও আমার পোলা মাইয়া কয়জন এই জরুরী প্রশ্নটা করতে ভুললো না পুলিশ।

একই জন্ম তারিখ দেখে একটু আপ্লুত হলো আমার জন্মসূত্রে মিতা পুলিশ যুবক। শুরু হলো তল্লাশী। এক আঙ্কেলের পুরানো একটা স্যুট, একটা করে গেঞ্জী বলাকা ব্লেড লাগানো একটা রেজার, সাদা ধুতি, খদ্দরের পাঞ্জাবী, নামাবলী, জপমালার সাথে পৈতাটাও আছে, গুলিস্থান থেকে কেনা ট্রাভেল ব্যাগে। কি কারণে যেন এ.টি দেবের একটা ইংলিশ টু বেঙ্গলী ডিক্শেনারীও ঢুকিয়ে ছিলাম ব্যাগে। সব রেখে পুলিশের দৃষ্টি গেলো ধুতিটার দিকে।

মহাশ্বেতা দেবীর “অরন্যের অধিকার” উপন্যাস অবলম্বনে “বিরসা কাব্য” নাটক লিখেছেন মাসুম রেজা। দেশ নাটকের প্রথম মঞ্চ নাটকে অন্য দুটো ছোট চরিত্রের সাথে ফাও পেয়েছিলাম ঠাকুরের চরিত্রটা। সেটা করতে গিয়ে নামাবলী, জপমালা, ধুতি যোগাড় করেছিলাম নিজের খরচ এবং গরজে। ঢাকায় ধুতি পরলে মানুষ কেমন করে যেনো তাকায়। চরিত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা আনতে এবং এই পোষাকে অভ্যস্ত হতে টিকি রেখে ধূতি পরে ঘুরতাম ঢাকার নাটক পাড়ায়। জিনিসগুলোর প্রতি কেমন মায়া জন্মে গিয়েছিল। নাটকতো আর করা হলো না। স্যূভেনিরের মতো সাথে নিয়ে এলাম জিনিসগুলো। পোষাক, ড্রেস এইসব গাইগুই বলে কাজ হলো না! এইবার খাস বাংলায় কইলাম এটা গান্ধীর ধূতী। কাজ হলো! গান্ধী শব্দটা এরা চিনলো!

মালের তল্লাশী শেষ করে এখন ওরা মনোযোগ দিলো আমার জানের দিকে। মহিলা পুলিশটা গ্লভস লাগালো হাতে। কাপড়চোপড় খুলতে বললো। মহিলার সামনে কাপড় খুলি কি করে! এবার একটু ধমকের সুরেই বললো মহিলা। লাল কালিতে অ আ লেখা ছাই রং-এর টি সার্টটা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। কি যেনো নোট করছিলো ছেলেটা, আমার দিকে ঘুরে বললো,
-চটপট খুলে ফেলো পোষাক। আমাদের হাতে অনেক কাজ।
জাম্পকেডস, প্যান্ট খুললাম। স্যাণ্ডোগেঞ্জী খুললাম। মোজা আর জাঙ্গিয়া ছাড়া কিছু নেই। আবার ধমক,
-মোজা জাঙ্গিয়া খোল।
ফ্যাল ফ্যাল করে তাকালাম একটু মহিলার দিকে। না খুললে নিজেই সে দায়ীত্ব নিতে পারেন এমন ভাব দেখে খুলে দিলাম সদর দরজা। পা দুটো চিপা দিয়ে রেখেছি দেখে আবার ধমক,
-পা ফাঁক করো।
স্বর্ণকেশী আমার পুঁজী-বাট্টা সব নেড়েচেড়ে দেখে বললো,
-এবার সামনের দিকে ঝুকো।
মনে মনে ভাবলাম যাক; লজ্জায় মুখ ঢাকার সুযোগ হলো। টেবিল থেকে টর্চলাইটটা নিয়ে ব্ল্যাকহোলে ধরে মহিলা বলে;
-এবার কাশি দাও লক্ষীছেলে।
কাশি দিলে তার সাথে আপনা থেকেই এগিয়ে আসে আরেকটা বিপদ। সেটা এড়াতে ব্ল্যাকহোলের মুখ যতোটা সম্ভব চেপে রেখে গলা খাকড়ীর মতো একটা কিছু করলাম। কি যেনো লুকোতে চাই এমন একটা ধারণার বশবর্তী হয়ে টর্চলাইটটা দাঁতে চেপে হাতদুটো রাখলেন মহিলা আমার পাছায়। বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে ব্ল্যাকহোলের চামড়া টেনে ধরলেন দু’দিকে। আমি আমার উড়ুর ফাঁক দিয়ে লক্ষ্য রাখছিলাম মহিলার গতিবিধির উপর। মহিলার নাকের দূরত্ব বিপদ সীমার ভয়ংকর রকম কাছে।

গ্রাম থেকে শহরের বড় লোক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে আসা অনাহূত দরিদ্র অতিথির মতো, সব খানে সব কিছুতেই একটা বেখাপ্পা অসংলগ্ন হাব ভাব সাথে আছে। টয়লেটের ব্যবহার, আরামদায়ক সোফায় বসার কায়দা কানুন সব কিছুই যেনো অচেনা মনে হয়। এই ধরণের একটা অস্বস্তিতো আছেই, তার সাথে দেহ তল্লাশীর ব্যাপারটা একটু বাড়াবাড়িই মনে হচ্ছে। কিন্তু এখন সব সহ্য করা ছাড়া আর কিছু করার নেই।

নায়লনের মোজা খোলার পর থেকেই তিন দিনের জমানো বিকট গন্ধে নিজের নাকের পশম খসে পড়ে। এয়ার ফ্রেশনার দিয়ে গন্ধ কিছুটা কমানো গেলেও একেবারে বিদেয় করা সম্ভব হল না। মনে পরে ঢাকায় স্কুল গামী বাচ্চাদের কথা। শীত গরমে একই পোষাক, সাথে প্লাষ্টিকের বা কাপড়ের জুতার ভেতর নায়লনের মোজা। শীতের দুপুরেই রোদে চান্দি ফাঁটে। গরম পীচে জুতার ভেতর সিদ্ধ হয় পা। এই অবস্থায় ঠাণ্ডা মাথায় অংক মেলানো কঠিন বৈকি! অথচ এই শিক কাবাব দিয়েই আমরা তৈরী করতে চাই ভবিষ্যতের আদর্শ নাগরিক।

এই সব মহৎ ভাবনায় মগ্ন থাকায় বিপদ সংকেত না দিয়ে বয়ে গেলো ঝড়। এবার আত্মরক্ষার জন্য মহিলা একলাফে চলে গেলেন ঘরের অন্য কোণে। শব্দে সচকিত হয়ে অকুস্থলের দিকে মুখ তুলে নাকে গন্ধ লাগায় ছেলেটাও আশ্রয় নিলো মহিলার গা ঘেষে। গর্দান খড়গের নীচে রাখার ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আমি দু’হাতে আগলে রাখছি আমার একমাত্র সম্বল।
(চলবে)


মন্তব্য

কাকুল কায়েশ এর ছবি

আপনার এই স্মৃতিচারণটা ক্রমশঃ অবিশ্বাস্য ঠেকছে আমার কাছে! আপনার লাইফে এই টাইপের ঘটনা ঘটেছে???? ওহ, মাই ডগ!! খাইছে

অবশ্য আপনার লেখার বর্ননাশৈলীতে আমি অলমোস্ট হাহাহেফে তো বটেই, এবং স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, আপনার মত পরিস্থিতিতে পড়লে (বিশেষত ওই তল্লাশীর সময়্টায়) আমি নিশ্চিতভাবেই চিচিহেদি! চোখ টিপি
========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

সুমি এর ছবি

"হাহাহেফে" "চিচিহেদি"-এগুলো কী ভাই? নতুনতো বুঝি না।

কাকুল কায়েশ এর ছবি

কস্কি মমিন!
যাই হোক, আসলে আমিও জানি না (আর জানলেও বলাটা শোভন হত না); অবশ্য জায়গামত ব্যবহার করা শিখে গেছি! চোখ টিপি

তবে আশা করছি সচল শুভাশীষদা এসে এ ব্যাপারে আপনাকে হেল্প করতে পারেন, কেননা যদ্দুর জানি এই শব্দগুলা ওনার পেটেন্ট!

========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

কথা পুরা ঠিক না। "চিচিহেদি" আমি কোথাও ব্যবহার করি নাই।

হাহাহেদি থেকে হাহাহেফে-র উৎপত্তি। হাহাহেদি-র সাথে মিল আছে মনে হয়।

হাহাহেফে= হাসতে হাসতে হেজিমোনিয়ে ফেলেছি। দেঁতো হাসি

আপাতত যাই। অনিকেত'দা এই আসলেন বলে।

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ কাকুল কায়েশ।
বেশীর ভাগ ভ্রমন কাহিনীতে সুন্দর এবং বিখ্যাত স্থানের বর্ণনা ইত্যাদি থাকে। কেউ লেখা পড়া বা ব্যবসার জন্য ভ্রমনে যায়। লেখার মতো বা অন্যকে বলার মতো কোন অভিজ্ঞতা না। কিন্তু আমার মনে হলো- কী আছে জীবনে! লিখে ফেলি।
কিন্তু সুমির প্রশ্নটা আমারও। শব্দগুলোর মানে সত্যিই বুঝিনি।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তাসনীম এর ছবি

খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ছি এবং দারুন লাগছে। জীবনের গল্প মনে হয় কল্পনাকেও হার মানায়।

এই সব মহৎ ভাবনায় মগ্ন থাকায় বিপদ সংকেত না দিয়ে বয়ে গেলো ঝড়। এবার আত্মরক্ষার জন্য মহিলা একলাফে চলেগেলেন ঘরের অন্য কোণে। শব্দে সচকিত হয়ে অকুস্থলের দিকে মুখ তুলে নাকে গন্ধ লাগায় ছেলেটাও আশ্রয় নিলো মহিলার গা ঘেষে। গর্দান খড়গের নীচে রাখার ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আমি দু’হাতে আগলে রাখছি আমার একমাত্র সম্বল।

অস্ত্র তোমার গোপন রাখ কোন তুনে? হা হা হা, আপনার রসবোধের প্রশংসা করতে হয়।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ তাসনীম ভাই,

অস্ত্র তোমার গোপন রাখ কোন তুনে?

সাথে আছেন জেনে খুশী হলাম। আর একটু সামনে এগুলো সব খোলসা হবে।
কি আর করা! একটু রস দিলেই তো অনেক কঠিন বিষয় সহজ হয়ে যায়। তাই চেষ্টা টা জারি রাখি।

**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তিথীডোর এর ছবি

১)
পড়েছি প্রথম দুই পর্বও, মন্তব্য করা হয়নি বোধহয়...
অনেক কষ্টের সময় গেছে আর সেটা পার করে আসতে পেরেছেন বলে আজ সে সময়ের কথা জানানোর সুযোগ মিলছে! হাসি

২)
[খূদের> খুদের, ছিড়ে> ছিঁড়ে,
পুঁজী> পুঁজি, যেনেও> জেনেও, অরন্যের> অরণ্যের, গাইগুই> গাঁইগুই, দূরন্ত> দুরন্ত, উড়ু> উরু,
দায়ীত্ব> দায়িত্ব, ঝুকো> ঝুঁকো,
খাকড়ী> খাঁকড়ি, ফাঁটে> ফাটে]

ফিসফিসানি ,গ্লাভস, ডিকশন্যারী: এগুলোর জন্যে বুনোপাকে চাই! দেঁতো হাসি

৩) অ.ট: ভাইয়া, সিগনেচারে 'কাঁশ' হবে কি?
"কাশফুলের কাব্য" কবিতার সেই কাশ নয়?

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মুস্তাফিজ এর ছবি

পড়তে যত আরাম লাগছে ঘটনাটা নিশ্চয়ই সেরকম ছিলনা

...........................
Every Picture Tells a Story

পুতুল এর ছবি

মুস্তাফিজ ভাই,
পড়তে আরাম লাগছে শুনে ভাল লাগলো। দুঃখ-কষ্ট নিয়েই তো জীবন। তার কিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। চেষ্টা করবো ঝাল-টক-মিষ্টি সব কিছুই রাখতে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সুমি এর ছবি

ভাইয়া,খুব ভাল লেগেছে পড়তে কিন্ত ঐ সময়টা নিশ্চই আপনার জন্য খুব কষ্টের ছিল।পরবর্তী পর্বের আশায় রইলাম।

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ সুমি,
কষ্টের তো ছিলই। সব তো আর আমার মতো নাদানের পক্ষে নিঁখুত ভাবে তুলে ধরা সম্ভব না। পড়ছো, সেটা জেনে তো একটু চিপায় পড়লাম! সামনের দিকে একটু খোলামেলা কথা থাকতে পারে। সেগুলো তোমার দৃষ্টি এড়িয়ে গেলেই বাঁচি। ভাল থেকো।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

শরতশিশির এর ছবি

পড়ছি প্রথম থেকেই। সাবলীল বর্ণনা। সেসময় আপনার উপর দিয়ে যা গেছে, সেটা আরামপ্রদ ছিলো না ঠিকই কিন্তু এরকম পেছনে ফিরে কষ্টের দিনগুলো মনে করার প্রয়োজন আছে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

পুতুল এর ছবি

শরতশিশির,
আপনার প্রোফাইলের ছবিটা নিকের সাথে দারুন মানিয়েছে। শরৎ কালেই শাপলা ফুল ফোটে। জোছনা রাতে সে এক অপূর্ব দৃশ্য। প্রথম থেকে সাথে আছেন শুনে উৎসাহ পাচ্ছি। পড়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

শরতশিশির এর ছবি

ধন্যবাদ, পুতুল ভাই। শরৎকাল (এখানে, নিউইয়র্কে আর বাংলাদেশে) আর শাপলা (তা-ও সাদা), দুটোই প্রিয়। আরও প্রিয়, আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘের ভেলা, হালকা শিশির আর কুয়াশা। আগে দাদাবাড়িতে বেড়াতে গেলে সারি-সারি কাশবন দেখতাম নদীর ধারে, সেটাও খুব ভাল লাগতো। আমার জন্মও শরতে। কাজেই নিক আর প্রোফাইলের ছবিটা সেরকমই হবে, এ আর নতুন কী!

হ্যাঁ, সাথে আছি। লিখতে থাকুন প্রাণ খুলে! হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আমি পড়ছি।

পুতুল এর ছবি

কেমন লাগছে?
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

মূলত পাঠক এর ছবি

কী হলো, পরের পর্ব কই? হাপিত্যেশ করে বসে আছে অনেক লোক।

পুতুল এর ছবি

বস অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। পরের পর্ব এই সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই...।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

কারুবাসনা এর ছবি

একটা মেল করবেন বস। পছন্দ হচ্ছে।

karubasona@gmail.com


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

পুতুল এর ছবি

মেল করেছি। পছন্দ হল শুনে আনন্দিত হলাম। নতুন করে পুরানো যাত্রা শুরু হচ্ছে অচিরেই।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।