প্রবাসী শিশুর ভাষা সংকট!

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০১/২০১২ - ৫:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শিশুর বাসযোগ্য বিশ্ব একটা বিমূর্ত ধারণা। তাই এ বিশ্বে বাসযোগ্য শিশু তৈরীর চেষ্টাতে মনোযোগ দেই আমরা। পরিবেশ সব মানুষের জীবনেই বিশাল প্রভাব ফেলে। শিশুর উপড়ে পরিবেশের প্রভাব আরো বেশী। সমাজবদ্ধ জীব হিসাবে দলগত ভাবে যে কোন কাজেই মানুষ সব চেয়ে বেশী উৎসাহ ও আনন্দ পায়।

এমন একটা ধারণা থেকেই মিউনিখে বসবাসকারী অভিবাবকদের একটা বাংলাভাষা শিক্ষার স্কুল করতে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেছি।
বাংলা শিখে আমার ছেলের কী লাভ হবে! বাংলাদেশেই ইংরেজী না জানলে কোন কাজ পাওয়ার সম্ভবনা নেই। এই জার্মানীতে জার্মান ভাষা পাঠদানের মাধ্যম। অনেক প্রবাসী শিশু পড়া-লেখায় পিছিয়ে যায় জার্মান না জানার কারণে। বাধ্যতামূলক অষ্টম শ্রেনী পাস করতেই অনেক তরুণী-তরুণের বেহাল অবস্থা। অভিবাসী শিশুদের বাড়িতে নিজনিজ দেশের ভাষায় কথা বলে বলেই সে সব শিশুরা জার্মান ভাষা এবং সে ভাষায় পাঠদান ঠিকমতো বুঝতে পারে না। ফলে পড়ালেখা এবং কর্মজীবনে পিছিয়ে পড়ে।

এই বাস্তবতার বিপরীতে শিশুকে বাংলা শেখানোর পক্ষে যুক্তি খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস নিয়ে গর্ব করা একটা জাতির সন্তান হয়ে আমি এখানে পরাজিত হব! আমি তুলে ধরি একটা মানুষের একাধিক ভাষা জানার সুবিধা গুলো।

জলে থেকে কুমিরের সাথে লড়াইয়ের জেতার কোন সম্ভবনা নেই। আমাদের শিশুরা জার্মান শিখবেই। কিণ্ডার গার্টেনে গেলেই সে প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিণ্ডার গার্টেনে যাওয়ার তিনমাস পরেই মোটামুটি জার্মানে কথা বলে শিশুরা। কাজেই জার্মান নিয়ে চিন্তা করার কোন কারণ নেই। অর্থনৈতিক কোন কারণ না থাকলেও গুনগত ভাবে মাতৃভাষার মতো করে শেখার বা শিক্ষা দেয়ার বাংলা ছাড়া কোন ভাষা আমাদের জানা নেই। বাবা-মার চেয়ে বড় শিক্ষক পৃথিবীতে আর কে আছে! আমরা আমাদের মাতৃভাষাটা আমাদের বাচ্চাদের শেখাতে পারি। ধরুন; এখানে সব বাচ্চাই জার্মান জানে। আপনার আমার বাচ্চাটাই শুধু দুটো ভাষা জানবে, যদি আমরা তাদের বাংলা শেখাই। দুটো ভাষা জানা মানে; দ্বিগুন সুবিধা। তার সাথে বাড়বে শেখার ক্ষমতা। সংস্কৃতির শ্রেষ্ঠ বাহক ভাষার সাথে আপনার বাচ্চাটা স্বতঃস্ফূর্তভাবে চিনবে-জানবে দুটো সংস্কৃতি। সেই সৌভাগ্য পৃথিবীতে বেশী মানুষের ভাগ্যে জোটে না। যে শিশুদের সে সুযোগ নেই তাদের জন্য যে কোন একটি বাদ্যযন্ত্র বাজানো শেখার পরামর্শ দেন মনস্তত্ব গবেষকরা। এতে চিন্তা করার প্রসারতা বাড়ে যে কোন মানুষের।
মেয়ের মা “সা রে গা মা” জানে। আমি জানি “তে রে কে টে”। ভাষা-সংস্কৃতি দুটো মিলিয়েও যদি কোন ভাবে আগ্রহী করা যায় কিছু বাবা-মাকে। কিন্তু আমাদের কোন চেষ্টাই সফল হয়নি।

শতদেড়েক বাঙ্গালীর তিনটি নিবন্ধিত সংগঠন আছে মিউনিখে। একুশে ফেব্রুয়ারী, স্বাধীনতা দিবস, শহীদ দিবসে তাদের কর্ম-কাণ্ড তেমন পরিলক্ষিত হয় না। কিন্তু ঈদ-ইফতার পার্টিতে দাওয়াত পাই নিয়মিত। বর্ষ বরণ অনুষ্ঠানও পালিত হয় ঘটা করে। নতুন যোগ হয়েছে পূজা। তাদেরও দুটি পূজামণ্ডপ। সামান্য টুটাং বাজনা জানি বলে দুই পূজামণ্ডপের একটায় যাই বিনে পয়সায় গানা-বাজনার ফরমায়েশ খাঁটতে। সেখানে দেখা হয় সমীরের সাথে। মেয়েকে পূজা দেখাতে নিয়ে এসেছে। আরতি দেখছে মায়ের সাথে আঁচল। অন্য বাচ্চাদের সাথে মণ্ডপের বাইরে খেলছে সমীরের মেয়ে। কী অবস্থা দোস্ত? বাজনা আর বাচ্চার তাবেদারী শেষ করে মণ্ডপের বন্ধ ঘর থেকে বের হয়েছি একটু খোলা হাওয়ায় দম নিয়ে রক্তে নিকোটিনের স্তর বাড়াতে। সমীরকে দেখেছিলাম অনেক আগেই কথা বলার সুযোগ এল এখন।

আমাদের কথাবার্তা অতি অল্পেই বাচ্চা-কাচ্চার কুশলাদিতে নেমে যায়। সমীর গর্বের সাথে জানায় তার মেয়ে "থরলি" জার্মান কইতে পারে। যাকে আমি ভয় পাই। কিণ্ডার গার্টেনেই সঠিক বা শুদ্ধ করে জার্মান বলতে শেখে বিশেষ করে অভিবাসী শিশুরা। তারপর থেকে ধীরে ধীরে সব কাজে, সব জায়গায় জার্মানটাই চালাতে চেষ্টা করে বাচ্চারা। শিশুরাও যে কোন মানুষের মতো সুযোগসন্ধানী ও আরাম প্রিয়। যে ভাষায় সব খানে, সব কিছুতে কথা বলতে পারে তার দিকেই আকৃষ্ট হয়। মেয়ের জার্মান শুনে সমীরের গর্ব আমি বুঝতে পারি। আঁচলের যে কোন সাফল্যও আমাকে হয়তো অহংকারীই করে তুলবে। কিন্তু একটা বাচ্চা থ্রোলী জার্মান বলতে পারে সেটা নিয়ে আমি গর্ব করার কিছু খুঁজে পাই না। চব্বিশ বছর বয়সে জার্মানে এসে আমার মতো মূর্খ শুধু জার্মান ভাষাটাই শিখিনি, এই ভাষায় স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ে একটা ডিপ্লোমা করেছি। শিশুদের শেখার ক্ষমতা একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের কমপক্ষে তিনগুণ। কাজেই আমার মেয়ের জার্মান শেখা নিয়ে আমার কোন ভয় নেই।

ভয় হচ্ছে বাংলা নিয়ে। পার্থ, পার্বণী এখন যুবক, যুবতী। পার্থ-র ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ সেমিস্টার চলছে। পার্বণী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। স্কুলে পিছিয়ে পড়ার ভয়ে মাহবুব ভাই-ভাবী জার্মানের উপড়েই জোর দিয়েছেন বেশী। দুজনেই সাদা চামড়ার মানুষদের মতো টুকটাক বাংলা বলতে পারে। ল্যাটাইন হরফে কথাগুলো লিখে পার্বণী গায় “বাংলা আমার প্রাণের ভাষা, বাংলা প্রাণের সুর”। উচ্চারণ শুনে খারাপই লাগে।

জানিনা আমার মেয়ের কপালে কী আছে! এতো কঠোর থেকে মাঝে মাঝে দুশ্চিন্তা হয়। মেয়েটার কোন ক্ষতি করছি না তো! আবার আশায় বুক বাঁধি। মাধ্যমিক পাশ করে রিশাল বাংলাদেশে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে। ভ্রমনটা উপলক্ষ্য হলেও ঢাবিতে ভর্তি হয়েছে বাংলা শেখার জন্য। আশা করি আমার মেয়ে বড় হয়ে শিকড়ের সন্ধান করতে যাবে। এখন যদি কঠোরতা দিয়ে বাংলাটা শিখিয়ে রাখি, তখন হয়তো এর সুবিধা পেয়ে আনন্দিতই হবে। কারণ; বয়স বাড়ার সাথে সাথে যৌক্তিক বিষয় বোঝার ক্ষমতা বাড়ে, আর কমে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে শেখার ক্ষমতা।

এই স্বতঃস্ফূর্ততা কাজে লাগিয়েও বাংলা শেখানো কোন সহজ কাজ না। মেয়েটা বর্ণবাদের ধারণায় কালো। হয়তো সে কারণেই শুভ, মেয়ের জন্য বর্ণমালা শেখার খেলনা কিনেছে অনেক। ল্যাটাইন বর্ণ সব গুলো চেনে। শিশুদের ছবির বইয়ের সবকিছুই এখানকার সংস্কৃতি নির্ভর। শব্দ গঠন বা গঠিত শব্দ পড়তে শেখেনি। ছবি দেখে কেঁচো, ঝিনুক, শামুকের বাংলা বলতে পারলেও স্ট্রবেরী, স্ক্রু বা স্ক্রুড্রাইভারের বাংলা মাথায় আসে না। অতি যত্নে তাকে সাজিয়ে রাখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “সহজ পাঠ” পড়ার বয়স এখনো হয়নি মেয়ের। বাংলায় শিশুদের কিছু বই এনেছেন আনিস ভাই। সেই বইয়ে ভুল দেখে আমার মতো মূর্খেরও মাথা খারাপ হয়! ইচ্ছে করে ঐ সব প্রকাশকদের মাথায় মারি বই। রং-ছবি-বাঁধা-ছাপার কথা ছেড়েই দিলাম। বিষয় বুদ্ধি দেখলে মনে হয় এ সব বইয়ের লেখক-প্রকাশকদের মাথার ঘিলু পোকায় খেয়েছে। নাস্তিক বলে আরোপিত ধর্মীয় বর্ণ শেখানোর “অ-তে অজু করো” পদ্ধতির সমালোচনায় নাই বা গেলাম।

জার্মান ভাষায় রচিত বইয়ের ছবি দেখিয়ে গল্পটা বলি বাংলায়। মেয়ের মা হায় হায় করে উঠে। আমার উচ্চারণ ভুল। ঢাকায় নাটক করতে গিয়ে প্রথমে টের পাই আমি আসলে বাংলাই বলতে পারি না। আঞ্চলিক টানের সাথে অশুদ্ধ উচ্চারণ। সেটা কাটাতে ভর্তি হয়েছিলাম কণ্ঠশীলনে। শিখেছি অনেক কিছুই। কিন্তু চর্চা করার সুযোগ পাইনি। দুজনে মিলে শুধু সঠিক বাংলায় কথা বলার চেষ্টা করি। কিন্তু মেয়ে ধরে রাখে বাপের ভুল উচ্চারণ গুলো। কারণ; শিশুরা মায়ের থেকে বেশী অনুকরণ করে বাবাকে। কাজেই সাবধান হই। একটা ভুল উচ্চারণ ঠিক করতে অনেক সময় এবং শ্রম লাগে। যত্নের কোন কমতি নেই আমাদের। তারপরেও সফল হতে পারি না। বাইরে গিয়ে সব চেয়ে বেশী বলতে তাগাদা দেই “ডাংকে” শব্দটি। হাটে-ঘাটে-মাঠে সব খানে সব সময় যে কোন সংকটে মেয়ের সাথে বাংলা বজায় রাখি। বিদেশী এবং শিশু বিদ্বেশী জার্মানদের অভিযোগের জবাব আমরা জার্মান ভাষাতেই দেই। তাদের লাল-রাগী মুখের কর্কশ জার্মান আঁচল বুঝতে পারে না। কিন্তু কিছু কিছু শিশুবান্ধব মানুষের দেখাও মেলে মাঝে মাঝে। সুন্দর সব প্রশংসার পাশাপাশি অনেকে ছোট-খাট উপহারও দেয়। তাদের বোধগম্য ভাষায় ধন্যবাদ দেয়ার জন্য শিখিয়েছিলাম ডাংকে শব্দটি। ধন্যবাদের চেয়ে ছোট বলে মেয়ে এখন আমাদেরও ডাংকে বলে। ছোট-খাট কাজের জন্য বা অনাকাঙ্খিত অনেক কাজ না করার জন্য ধন্যবাদ শব্দটি এখনই এক তরফাভাবে আমরাই বলি আঁচলের উদ্দেশ্যে।

এত সংকটের ভেতরেও একটা বিষয় খেয়াল করে ভাল লাগছে। সচল তীরন্দাজ-এর বউ ঊশী ভাবীর সাথে প্রায়ই দুএকটি জার্মান শব্দ মিলিয়ে অনেক অর্থহীন অদ্ভূত শব্দ দিয়ে কথা বলে আঁচল। যে কোন মানুষের দুশ্চিন্তা হবে বোধের অতীত সে ভাষা শুনলে। কিন্তু আমার ভাল লাগে। মেয়েটা বুঝতে শিখেছে যে; ঊশী আমাদের মতো বাংলা বোঝে না। তার সাথে অন্য একটি ভাষায় কথা বলতে হবে। হোক সেটা আপাতত দূর্বোধ্য কিছু। এখানে দুটো ভাষা ব্যবহারের চেষ্টাই আমার কাছে প্রধান। জার্মান তো কদিন বাদেই শিখবে।

কিন্তু শুধু বলার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে তো আর একটা ভাষা পূর্ণাঙ্গ ভাবে শেখা হলো না। লিখতে পড়তেও শেখাতে হবে। সেটা কী করে করা যায়!
শিশুদের বাংলা শেখার একটা বe করার কথা ছিল সচলায়তনের। কাজটা এখনো হয়নি। শিশুদের পক্ষে কথা বলার লোক বেশী নেই। সে জন্যই তার পরে শুরু করা অনেক কাজ হয়ে গেছে সচলায়তনে। কিন্তু শিশুদের বইটা এখনো হয়নি। এমন একটা কাজে যে কোন রকমের সহযোগীতা করার অযোগ্য আমি। শুধু আশা করা ছাড়া আর কিছু করতে পারি না। এদিকে মেয়ে বড় হয়ে যাচ্ছে। তার বেড়ে উঠা আমার চোখে পড়ে না। শুধু অনেক পছন্দে কেনা জামা-জুতো ছোট হয়ে যায়!

কাজেই নিজের পক্ষে করা যায় এমন কাজটা এগিয়ে রাখি। রবীন্দ্রনাথের ছবির নীচে “নব আনন্দে জাগো” লেখা আমার গায়ের টি শার্টের ছবিটি দেখিয়ে মেয়ে প্রশ্ন করে; বাবা এটা কী? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জবাব দেই আমি। মেয়ে আবার প্রশ্ন করে; রবীন্দ্র ঠাকুর? নাথ বাদ দিলেও তৃতীয় জন্মদিনে এটাই কম কী! ভাল লাগে আমার। যে কোন ছবি ওয়ালা টি শার্ট গায়ে দিলেই মেয়ে প্রশ্ন করে; বাবা এটা কী? আমি বলি শহীদ মিনার, বাংলাদেশ, নজরুল ইত্যাদি, যখন যে ছবি ওয়ালা টি শার্ট গায়ে থাকে। কুড়ি বছর আগে দেশ ত্যাগের সময় সাথে এনেছিলাম অ অ ক খ বর্ণের নীচে “মোদের গরব মোদের আশা, আমরি বাংলা ভাষা” লেখা ছাই রং-এর একটি টি শার্ট। সময়ের স্রোতে সে টি শার্টের লেখা এত মলিন যে; আর পড়া যায় না।

কিন্তু বউ সব ব্যাঞ্জন বর্ণ লেখা লাল একটা টি শার্ট এনেছে দেশ থেকে। সেটাতে লেখা বর্ণ দেখে; এটা কী, ওটা কী, করে করে ক্ষ সহ বেশ কয়েকটি বর্ণ চিনতে শিখেছে মেয়ে। শুনেছি তিন বছরের আগের স্মৃতি শিশুরা ভুলে যায়। কিন্তু আজকে মেয়ের তিন বছর হল। পাঁচটি টি শার্টে ব্যাঞ্জন বর্ণ, আর একটাতেই স্বরবর্ণ লিখে পরব অদল বদল করে। শিশুসুলভ কৌতুহলটি কাজে লাগিয়ে যদি বর্ণ গুলো সব চিনিয়ে রাখতে পারি, ক্ষতি কী! সময় হলে পড়তে-লিখতে শিখবে মেয়ে। সে পর্যন্ত সচলায়তনের শিশুর বাংলা ভাষা শেখার বe শেষ হলেও হতে পারে। কিন্তু মিউনিখে এতো ধনী-জ্ঞানীর মাঝে শিশুর বাংলা শেখার স্কুল হবে সে দূরাশা না করাই ভাল।


মন্তব্য

তাসনীম এর ছবি

এই সমস্যাটাতে আপনার মতো আমি নিজেও ভুক্তভোগী। ইংরেজির তোড়ে একসময়ে বাংলা বিস্মৃত হতে থাকে।

তবে কিছু দিন আগে দেশ থেকে এক বন্ধু এসেছে, বাসার কাছেই থাকে। বন্ধুর মেয়েটি আমার মেয়ের বয়েসি। বাংলাদেশ থেকে আসায় মেয়েটি টরটর বাংলা বলে শুনতে বেশ লাগে। মজার ব্যাপার হলো ওর সাথে মিশে মিশে আমার মেয়ে ভুলে যাওয়া বাংলার অনেক উন্নতি হয়েছে।

আমাদের ছোট শহরে গত দশ বছর ধরে বাংলা স্কুল নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। আপনার কয়েকজন মিলে উদ্যোগ নিয়ে দেখতে পারেন।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

পুতুল এর ছবি


সেটাই সমস্যা। বাচ্চারা ইংরেজী বা জার্মান বলতে শিখেলে বাংলাটা আর বলতে চায় না। বাবা বা মায়ের একজনকে তখন খুব শক্ত থাকতে হয়। এমন ভান করতে হয় যে, বাবা বা মা ইংরেজী/জার্মান একদম বোঝেন না। তখন বাংলাটা চালু থাকার সম্ভবনা থাকে।

দলগত ভাবে শেখার বিকল্প আসলেই নেই।

চেষ্টা করতে হবে।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আঁচল, মেয়েটা এতো বড় হয়ে গেলো!
জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা আঁচল মা'কে।

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ, ধূগো। এই সামারে একটা আড্ডার ব্যবস্থা করতে হবে।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আপনার চিন্তায়, এবং দুশ্চিন্তায় চলুক

শিশুদের বই লিখাটাও কঠিনও বটে। খুব সাবধানে লিখতে হয়। তারপরও শুরু হোক।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ অনিন্দ,
কঠিন কাজের জন্য সচলায়তন আমার মতে খুবই উপযুক্ত জায়গা। এখন গুনীরা শুরু করলেই হয়।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

উচ্ছলা এর ছবি

চলুক
আপনার প্রচেষ্টা সফল হোক, শুভ কামনা রইল।

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ উচ্ছলা।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

লাবণ্যপ্রভা এর ছবি

আঁচল মামনিকে জন্মদিনের আনেক আদর। আপনারা মা-বাবা হিসেবে যেহেতু বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি এতটা যত্নবান, তাই মেয়ে নিশ্চই নিজের দেশ-ভাষা-সংস্কৃতি জানতে আগ্রহী হবে আশা করি।

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ লাবণ্যপ্রভা,
দেখাযাক কতটা আগ্রহী করতে পারি মেয়েকে।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

কালো কাক এর ছবি

বাংলাদেশের মানুষ দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকে বাচ্চাদের মুখে বিদেশি ভাষা শুনলে খুব গর্ববোধ করে ! বিদেশে থাকলে তবু ব্যবহারিক প্রয়োজনে ঐ ভাষাটা জান্তেই হয় কিন্তু দেশে উচ্চবিত্তরা বাচ্চা ইংরেজী জানলে আর মধ্যবিত্তরা হিন্দি জানলে সেটা খুব গর্বের সাথে প্রচার করে কেন বুঝে পাইনা।
আপনার প্রচেষ্টার জন্য শুভকামনা।

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ কালো কাক,
বাচ্চারা বিদেশী ভাষা শিখলে তো ভালই। কিন্তু আগে চাই মাতৃভাষার শক্ত গাথনী। মাতৃভাষা ভাল জানলে যে কোন বিদেশী ভাষাও সহজ আর সঠিক ভাবে শেখে মানুষ। বেশীর ভাগ অভিবাবক সেটা মনে রাখেন না।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সাজ্জাদ সাজিদ এর ছবি

শ্রদ্ধা, অনেক অনেক শ্রদ্ধা রইলো আপনার প্রতি এইভাবে ভাববার জন্য। কণ্ঠশীলন-কে ধারণ করছেন জেনে কি যে ভালো লাগলো বলে প্রকাশ করতে পারবো না। আমার বুকের এই ভাষাটাকে ঐ দূর-দূরান্তে বসেও আঁচলের জন্য আগলে রেখেছেন, আঁকড়ে ধরে আছেন, চিন্তা করছেন......সাধুবাদ।
এই শক্তিশালী সংস্কৃতি, শিল্প-সাহিত্যের সম্ভার আঁচলের অজানা থাকবে এ আমিও মেনে নিতে পারছি না। আপনার এই যুদ্ধ চলুক, ঢাল তলোয়ার নিয়ে ভয় পাচ্ছেন? রবীন্দ্রনাথের চেয়ে বড় কোন ঢাল-তলোয়ার নেই।
সহজ-পাঠের তিনটি খণ্ড শিশুশিক্ষার জন্য সারা পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। সহজ-পাঠকে সম্বল করুন।

পুতুল এর ছবি

আমি কণ্ঠশীলন থেকে শেখা অনেক কিছুই ধরে রাখতি পারিনি। কিন্তু ভালবাসা আর নিজের মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধটা আছে এখনো। ওহিদুল হক স্যার চলে গেছেন, স্বর্গবাসী হয়েন নরেন বিশ্বাস। এখন আছেন বিপ্লব বালা। জীবনের সুন্দরতম দিনগুলো ভরে রেখেছে কণ্ঠশীলন। কত যৌক্তিক এবং বৈজ্ঞানিক আমাদের মাতৃভাষা! কণ্ঠশীলনে না গেলে সেটা জানতেই পারতামনা।
সেই অমৃতভাণ্ডার আমার মেয়ের জন্য অধরা যেন না থাকে তার সব চেষ্টা করবো। তাছাড়া একটা ভাষা জানা অবশ্যই অতিরিক্ত একাডেমিক কোয়ালিটি।
ওহিদুল হক স্যারের পরামর্শে নিজের জন্য কিনেছিলাম সহজ পাঠ। মেয়ের কাজেও যদি লাগে, সে আশায় খুব যত্ন করে রেখেছি। আশা করি মেয়েকে সহজ পাঠে আগ্রহী করতে পারব।
আচ্ছা কণ্ঠশীলনের কোন ওয়েব সাইট বা এই ধরণের কিছু আছে? শুরুর দিকে কিছু ছড়া পড়িয়েছিলেন বিপ্লবদা। এখন কোথাও সেগুলো খুঁজে পাচ্ছিনা। কত মিষ্টি আর সুন্দর সে সব ছড়া। মেয়েটাকে শেখাতে পারলে খুব ভাল হতো।
হাজার বছর বেঁচে থাক আমার প্রিয় কণ্ঠশীলন। এর সব ছাত্রী-ছাত্র-শিক্ষককদের নিরন্তর শুভেচ্ছা।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

পিয়াল এর ছবি

বিদেশে জন্ম আর বড় হয়ে আমাদের মেয়ে বাংলা শিখবে না এটা আমি আর আমার স্ত্রী কেউই মেনে নিতে পারিনি । মেয়ের বয়স ৫ বছর,এমাসেই স্কুল শুরু করবে । স্কুলে গেলে ইংরেজি এমনিতেই শিখবে,তাই আমাদের ইচ্ছা ছিল এর আগেই বাংলা শেখানো । ইন্সাআল্লাহ সে এখন বাংলা লিখতে পারে, ছোটদের গল্পের বই পড়ে উৎসাহ নিয়ে। ইংরেজি শিখেছে আরও সহজে, কিছুটা টি ভি দেখে আর সামাজিক প্রভাবে। বলে রাখা ভালো এক্ষেত্রে তার মায়ের অবদানই ১০০% । আমারা ওকে বাংলা-ইংরেজি মিশিয়ে কথা বলাকে নিরুৎসাহিত করি। দেখা যাক স্কুল শুরু করার পর কি হয়।

আমার মতে শৈশবে শিশুদের বাংলা শেখানোর জন্য সবচেয়ে বেশী দরকার বাবা-মা'র আগ্রহ, এটা দেশে-বিদেশে সব জায়গায় প্রযোজ্য । এখনতো দেশেও ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ার কারণে বাচ্চারা ভালভাবে বাংলা শিখেনা । বাবা-মা'রাও উদাসীন,ভাবেন ইংরেজিটাই আসল । বাচ্চাদের মুখে বিদেশি ভাষা শুনলে বেশিরভাগ বাবা-মাই গর্ববোধ করেন কারণ এই ভাষা ঠিকভাবে না জানার কারণে তারা নিজেদের জীবনে সমস্যায় পড়েছেন। তবে প্রবসী বাবা-মা'দের বুঝতে হবে ছোটবেলাতেই যদি বাংলার চর্চা না করা হয় তাহলে পড়ে কাজটা আরও কঠিন।

আপনার অগ্রাধিকার তালিকায় যদি শিশুকে বাংলা শেখানো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে, তাহলে কাজটা খুবই সহজ, হাজার হলেও এটা শিশু আর তার বাবা-মা সবারই মাতৃভাষা ।

পুতুল এর ছবি

আপনাদের সফলতায় অনুপ্রাণিত হলাম পিয়াল। আপনার উত্তম অর্ধেককে অভিনন্দন। আঁচলের পেছনে ওর মায়ের অবদানটাই বেশী।
বাচ্চার সাথে দুটো ভাষা মিলিয়ে বাক্য বলা খুব বিপদ জনক। কিন্তু কিছু কিছু শব্দ আমরাই মেয়েকে বেখেয়ালে বা মেয়ের জন্য কঠিন হবে বলে ইংরেজীতে শেখাতে বাধ্য হয়েছি। যেমন জুতো "টাইট" হয়ে গেছে। টাইট-এর যুতসই বাংলা শব্দ আমরা বের করতে পারিনি যা বাংলায় নৈনন্দিন ব্যবহার হয়। কিন্তু জুতো ছোট হয়ে গেছে সেটাও শেখাতে পারতাম। কাজের সময় মাথায় আসেনি।
আর বাচ্চারাতো বাড়িতেই সব থেকে বেশী শেখে। চেষ্টা চলছে চলবে। আপনার মেয়ের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

গোলাম মোস্তফা এর ছবি

উদ্যগের জন্য সাধুবাদ রইলো। ঠিক একই রকম চিন্তা থেকে কিছুদিন আগে আমরা কানাডার ক্যালগ্যারিতে বাংলা স্কুল শুরু করেছি। খেয়াল রাখবেন কোন ক্রমেই এটা যেনো আবার মাদ্রাসায় রূপান্তরিত না হয়, আপনি বাংলা স্কুল খুলে কিছুদিন চালানোর পরে না চললে হুজুরেরা জায়গাটা দখল করবে, তাই যারা এর নিয়ন্ত্রনে থাকবে তাদের দেশ ও মাতৃভাষার প্রতি মনোযোগ যেনো একটু বেশি থাকে। আমরা স্কুল খোলার পরে এই রকমই কিছু আভাস পাচ্ছিলাম, যেহেতু আমাদের সঙ্গঠনটা একটু বড় তাই বাংলার ঐতিহ্যকে যোগ্য নেতৃত্ব ছাড়া ধরে রাখা কঠিন। আমাদের বাংলা স্কুল করার অন্যতম একটা কারন এখানে "জামাতের লোকজন নাকি বাসা বাড়িতে গিয়ে ফ্রী আরবি শিক্ষা এবং সাথে সাথে কোমলমতি শিশুদেরকে টিউন করতেছে অন্যদিকে"। বাহিরে আসল বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য আপনার এই শুভ উদ্যগটির জন্য অসংখ্য শুভ কামনা রইলো!

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ গোলাম মোস্তফা,
জামাতী সমস্যার কারণেই আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ীত হতে সময় লাগছে। এখানে নামাজের দাওয়াদ দেয়ার মানুষ অনেক। আরবী শিক্ষার কথা বললে অনেক আগেই একটা স্কুল হতে পারতো। কিন্তু সে দিকে আমরা যেতে চাই না। আপাতত একলা চলো নিতী হলেও ঠিক স্কুলে যাওয়ার আগে বা একই সময়ে বাংলা স্কুলের চেষ্টটা করবো আর একবার।
লিংকটা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। সময় মতো আপনাদের সাথে যোগাযোগ করব।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তাপস শর্মা এর ছবি
পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ তাপস শর্মা।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

হাসিব এর ছবি

অভিবাসী শিশুদের বাড়িতে নিজনিজ দেশের ভাষায় কথা বলে বলেই সে সব শিশুরা জার্মান ভাষা এবং সে ভাষায় পাঠদান ঠিকমতো বুঝতে পারে না। ফলে পড়ালেখা এবং কর্মজীবনে পিছিয়ে পড়ে।

এটা ধারণাটা ঠিক না এই মুহুর্তে। এ্যাকাডেমিক এ্যাচিভমেন্টে বাসায় কোন ভাষায় কথা বলা হয় এটার কোন প্রভাব নেই এখন। ছেলে মেয়ে বিভেদও নেই। একসময় গিমনাযিউমে গ্রাম থেকে উঠে আসা মেয়েরা ভর্তি হবার যোগ্যতায় সবচেয়ে এগিয়ে ছিলো। এই মুহুর্তে সেটা ইমিগ্র্যান্টদের ছেলেপিলে। আমি এখন শিক্ষা নিয়ে একটা গবেষণায় যুক্ত আছি। আমার লিটারেচার রিভিউ এরকমই বলে।

পুতুল এর ছবি

সেটাই বোঝাতে চেয়েছি হাসিব ভাই।
কিন্তু কথা দিয়েও আপনি আসলেন না কেন?
শুভ তো রেগে গিয়ে আমাকে ফোন করতেও দিল না।
এই প্রবাসে আপনার লোক বলতে শুধু সচলরাই। তাদের অবহেলা নিজের জন্য সহনীয় হলেও মেয়ের জন্য হজম করা কঠিন। ভাল থাকবেন সব সময়।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

হাসিব এর ছবি

আমি এক ফাকে হসপিটাল হয়ে এসেছি। গলায় সমস্যা। কথা বলার মতো অবস্থায় নাই। ফোন করবো শিগগিরি।

পুতুল এর ছবি

আশা করি ভাল হয়ে যাবে দ্রুত।
দুঃখিত খোঁজ না নিয়ে অভিযোগ করার জন্য।
সুস্থ হয়ে উঠুন। তারপর কথা হবে। আর একটা আড্ডার আয়োজন করতে হবে।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

দ্রোহী এর ছবি

উদ্যোগে শুভকামনা।

আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে প্রবাসে বাংলা শেখানোর পেছনে বাবা-মা'ই পারে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে। কাজটা কঠিন সন্দেহ নেই, কিন্তু অসম্ভব না।

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ মেম্বর,
চেষ্টা করছি, দেখযাক কতটা সফল হই।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

টানাপোড়েনের গল্প। কী বলব বুঝতে পারছি না!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

কিছু বলার দরকার নাইরে ভাই, খালি বিয়াটা করিস না! বহুত ভেজাল!

পুতুল এর ছবি

অনার্য সঙ্গীত,
সংস্কৃতি গুনগত মানের কারণে বেঁচে থাকেনা। বেঁচে থাকে শক্তির কারণে। দুর্বলের সংস্কৃতি সব সময়ই টানাপোড়নের গল্প। এর মধ্যেই বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে হবে।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

আকামের আবদুল এর ছবি

কোন সমস্যা নাই। আম্রিকাতে (আগমণ বছর তিনেক) মা-বাপদের এসব নিয়ে কোন মাথাব্যথা দেখিনা। বাচ্চারা ইংরেজিতে কথা কইতে পারে-এই গর্বে বাপ-মায়ের পা পড়েনা মাটিতে। এক্কেবারে বেশী যে সব বাচ্চা জানে তা হলো বাংলা কইতে পারা। ঝগড়া-ঝাটি সব ইংরেজিতেই হয়, বাপ-মায়ের সাথেও। সব চেয়ে মর্মান্তিক দেখি দেশ থেকে সদ্য আসা ইংলিশ মিডিয়ামের ছেলেমেয়েরা-এরা (নিজেদের সমাজে) বাংলা বলতেই চায় না, যেন কে কত তুখোড় ইংরেজি বলতে পারে, তার প্রতিযোগিতা সর্বক্ষণ।
এই অধমের ঘরেও এরকম একটা চিজ আছে।

আরিফুর রহমান এর ছবি

যুক্তরাজ্যেও অবস্থা সেরকমই। সমাধানের জন্য শিশুদের ভাষা শেখা'র বাংলা উপকরণ তৈরিতে বাংলা একাডেমী'র কোনো ভূমিকা আছে কি না জানি না। তবে, আপনার প্রয়োজনটা প্রায় প্রত্যেক প্রবাসী বাবা/মা ই অনুভব করেন।

আছেন কি কোনো সংস্থা, ব্যবসা যিনি বা যারা প্রবাসী বাংলাভাষী বাবা মাকে সাহায্য করতে পারেন:

১. বাংলায় শিক্ষা উপকরণ বিষয়ে গবেষণা, প্রস্তুতকরন, বিতরণ ইত্যাদিতে আগ্রহ দেখাবেন?
২. শিক্ষা উপরকণ প্রস্তুতকারী জার্মান/ ইংলিশ প্রতিষ্ঠাণগুলির সাথে যোগাযোগ করে তাদের উপকরণের বাংলা 'ভার্সান' বের করে মুনাফা'র লোভ দেখাবেন?
৩. এই শিশুরা যখন বড় হবে, শিশুকালে শেখা ভাষা'র প্রকৃত কোনো ব্যবহার 'সৃষ্টি'তে উদ্ভাবণী ভূমিকা রাখবেন?

পুতুল এর ছবি

আরিফুর রহমান,
বাংলা একাডেমির তেমন কোন ভূমিকা আমার জানামতে নেই।
প্রবাসী বাবা মাকে সহযোগীতা করার জন্য কোন বানিজ্যিক সংস্থা এগিয়ে এলে ভালই হতো।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

আশালতা এর ছবি

আহা। উদ্যোগে শুভকামনা।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ আশালতা।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

guest_writerনীলকমলিনী  এর ছবি

আমি আমার মেয়েদের বাংলা লিখতে পড়তে শিখিয়েছি পাঁচ বছর বয়েসে যখন ইংলিশ শিখে গেছে স্কুলে গিয়ে।সবসময় বাংলায় কথা বলেছি। আমেরিকার দীর্ঘ গরমের ছুটিতে ওদের বাংলা লেখা আর পড়া শিখাতাম। এখন বড় হয়ে কাজ করছে, লিখতে বা পড়তে পারে সময় নিয়ে কিন্তু বলে সুন্দর করে সঠিক উচ্চারণে।
আমদের কার্ড দিলে বাংলায় এক দুই লাইন লিখে বাংলায় নাম লিখে।
বাংলাদেশ সম্বন্ধে ভাল খোঁজ খবর রাখে।
আপনাদের ইচ্ছে আছে যখন মেয়ে বাংলা শিখতে পারবে। আঁচলের সাথে সবসময় বাংলা বলবেন, এর যেন অন্যথা না হয়। আমি দেখেছি অনেক বাবা মাই অনেক সময় ভুল ইংরেজিতে কথা বলে,বাংলা বলে না।
আমার মেয়েদের বাংলা কথা বলাতে আমার মোটেই কষ্ট হয়নি।আমি শুধু কড়া ছিলাম আমার সাথে বাংলা বলতে হবে।
আমি অফিস থেকে ফোনে ইংলিশ কথা বললে ওরা বাংলায় উত্তর দেয়।দুই বোনে ইংলিশ এ কথা বলে জদিও। আমাদের সব বন্ধুদের সাথেও বাংলা বলে। আমি সবাইকে উৎসাহ দিচ্ছি চাইলে বাচ্চাদের বাংলা শেখানো সম্ভব।
গত ষোলোই ডিসেম্বর আমার মেয়ে আমাকে টেক্সট করেছে শুভ বিজয় দিবস লিখে।

আর আমাদের এক বাঙালি ভাই পাকিস্তানিদের জন্য (মসজিদের বন্ধু)পার্টি দিয়েছে সেদিন।

পুতুল এর ছবি

বুকে ভরসা পেলাম আপনার সাফল্য দেখে। চেষ্টা চলছে চলবে।

কিন্তু শেষের অভিজ্ঞতাটা শুনে খারাপ লাগছে। আমাদের পাকীপ্রীতি শেষ হবার নয়।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

আকামের আবদুল এর ছবি

১৫ নম্বরে আমার মন্তব্যটি অসম্পূর্ণ ছিল। আম্রিকাতে আরেকটা ব্যাপার দেখছি ধর্মীয় শিক্ষার বাড়বাড়ি। সেদিন শনিবার এক বাসায় ফোনে আলাপ সেরে জিজ্ঞেস করলাম ছেলে (ফোরফাইভ পড়ুয়া) কেমন আছে? তিনি মহা উৎসাহে বললেন ছেলে মসজিদে আরবি পড়তে গেছে। হুজুরটা খুব সহি করে আরবি পড়ায়। আমি বললাম সহি করে পড়ায় জানলেন কি করে? সবাই বলে। বললাম সবাই বললে তো হবে না, আপনাকে নিজে জানতে হবে সহি পড়ায় কি-না। আরবি পড়া মানে শুধু দোয়া কালাম শেখা, অর্থ না বুঝে। এই করে ছেলের সময় নষ্ট হচ্ছে বুঝতে পারি। বহুদিন আগে তাকে বলেছি একটা ভাল ওয়েবসাইটে (চৌধুরী একাডেমি) ছেলেকে নেবার
জন্য। তিনি এখনো সে সময়টা বের করতে পারেন নি।

পুতুল এর ছবি

আকামের আবদুল,
আপনার ১৬ নম্বর মন্তব্যটাই বাস্তবতা। এখানে দেখি ইউরোপিয়নরা চেনা লোকের সাথে তাদের আঞ্চলিক টোনে কথা বলে। আর আমরা চেষ্টা করি পাণ্ডিত্য জাহির করার জন্য অনেক সময় অকারণে বিদেশী বা ইংরেজীতে কথা বলতে।
এখানেও অবস্থা ভিন্ন নয়। ধর্মীয় শিক্ষার স্কুল খুললে অনেক আগেই সফল হতাম। পরকালের শান্তিতে মানুষ খুবই আগ্রহী।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সাজ্জাদ সাজিদ এর ছবি

http://www.facebook.com/groups/kanthashilon এটা কণ্ঠশীলনের ফেইসবুক গ্রুপ।
বিপ্লব বালা এখন নেই। কাইয়ুম চৌধুরী বর্তমান সভাপতি। প্রশিক্ষক মীর বরকত, গোলাম সারোয়ার, এনায়েত কাজল, জহিরুল হক খান। সনজীদা খাতুনও খানিকটা সম্পৃক্ত। ছড়াগুলো কণ্ঠশীলনে এখনও চর্চা হয়। hard copy রক্ষিত আছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ সাজ্জাদ সাজিদ,
ইয়ে মানে কোন ভাবে স্ক্যান-টেন করে হার্ড কপিটা অন্তর্জালে পাওয়ার ব্যাস্থা করা যায় না?
বিপ্লব বালা নেই কেন?

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

জিজ্ঞাসু এর ছবি

বিপ্লব বালা এখন "জিয়নকাঠি" নামক সংগঠনের সাথে যুক্ত। সংগঠনের সকলেই কণ্ঠশীলনের সাবেক ছাত্রছাত্রী।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

পুতুল এর ছবি

ওহ!
আশা করি কোন ভুল বোঝাবুঝির কারণে নয়।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আপনার উদ্যোগটির কথা জেনে ভাল লাগলো। শুভকামনা...।

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ প্রৌঢ় ভাবনা।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

গৌতম এর ছবি

আপনার সন্তান কি ভবিষ্যতে জার্মানিতেই থাকবে? যদি তাই হয়, তাহলে তাকে আপনি বাংলা শিখাবেন কেন সেই যুক্তিটা পরিষ্কার হলো না। পিতা হয়ে আপনার বাংলার প্রতি আবেগ কি সন্তানের প্রতি চাপিয়ে দিচ্ছেন না যেখানে এই শেখাটা তার হয়তো কোনো কাজেই আসবে না?

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

পুতুল এর ছবি

জার্মানিতেই হয়তো থাকতে হবে গৌতমদা।
কিন্তু জার্মানীতে থাকলেই কী বাংলা শেখা অকারণ?
আমাদের দেশেও তো প্রায় সব ছেলেমেয়ে দুটো ভাষা জানে। জার্মানীতে জানে জার্মান ছাড়া আরো কমপক্ষে একটি বিদেশী ভাষা। আর্টস পড়লে ল্যাটাইন কম্পলসারী। অথবা তিনটি বিদেশী ভাষা। সাইন্স পড়লে ল্যাটাই জানতেই হয়। এখানকার পাঠ্যক্রম এমনই। ল্যাটাইন এবং ইংরেজী প্রায় সব স্কুলেই আছে।
দেশে ইংরেজী জানেনা এমন আত্মীয়ের সংখ্যাই বেশী মেয়ের। তাদের সাথে অনুবাদকের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হবে বাংলা না জানলে। বাস্তবিক এই সব সমস্যাতো আছেই আরো আছে গ্লোবাল গ্রামের সুবিধা অসুবিধা। অনেক কম্পানী বা সরকারী আমলারাও বিভিন্ন দেশে যেতে হয়। অনেক সময় ভাল অনুবাদক পাওয়া যায় না। ভাষাটা ভাল করে জানলে মেয়ে তো অনুবাদকের কাজও করতে পারবে।
আমার আবেগ হয়তো একটু আছে কিন্তু বেশী আছে অতিরিক্ত ভাষা জানার সুবিধা গুলো। একটা ভাষা জানা থাকলে আর একটা শিখতে সহজ লাগে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যত বেশী জানা জায় ততই ভাল। এতে ক্ষতির কিছু নেই লাভ ছাড়া।
ফরাসী বা ইংরেজী শেখাতে পারলে হয়তো আরো ভাল হতো। কিন্তু আমরা এতো ভাল ইংরেজী জানি না। তা ছাড়া স্কুলে গেলে তো ইংরেজী শিখবেই। তাই ইংরেজী নিয়ে দুশ্চিন্তা করি না। আমাদের সাধ্যের ভেতরে আছে বলেই বাংলাটার প্রতি বেশী আগ্রহ। ব্যাপারটা এমন ধরুণ আপনি দোতারা বাজাতে জানেন। এখন গিটার বাজিয়ে গান হচ্ছে কোথাও আপনার না জানা একটা ভাষায়। সে বাজনাটার সাথে দোতারা বাজাতে আপনার খুব বেশী কষ্ট হবে না। বেশী জানা মানে চিন্তা করার বা নতুন বিষয় বোঝার জানার ক্ষমতা বাড়ানো। যেমন একটা ভাষা জানা মানে এমন একটা পথ যেখেনে একদিকে কেবল একটা গাড়ি চলতে পারে এমন একটা রাস্তা। দুটো জানা মানে পাশাপাশি দুটো গাড়ি চলতে পারে এমন রাস্তা। এভাবে যত বেশী বিষয় জানা যায় নতুন কোন বিষয় চেনা জানার সামর্থ্যও তত বাড়ে।
মেয়েকে বাংলা শেখানোর পেছনে এই সুবিধা গুলোও মাথায় আছে। আমার জানামতে বাংলা বা অন্য যে কোন অতিরিক্ত ভাষা শেখালে মেয়ের ক্ষতির কোন সম্ভবনা নেই।
আমি খুব ঘুচিয়ে কিছু বলতে পারি না। আশা করি আপনাকে এই অগোছালো কথায় আমার অবস্থান কিছুটা পরিস্কার করতে পেরেছি। মন্ত্ব্যের জন্য ধন্যবাদ গৌতমদা।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

গৌতম এর ছবি

অতিরিক্ত ভাষা শেখানো নিয়ে আমার কোনোই আপত্তি নেই, বরং একজন বড় মানুষের চেয়ে একজন শিশু খুব সহজেই অন্য ভাষা শিখতে পারে যেহেতু, সুতরাং তাকে ছোট থাকতেই অন্য ভাষা শেখানো উচিত। আমার প্রশ্নটা অন্য জায়গা থেকে ছিল- শিশুর পারস্পেকটিভ থেকে।

সাধারণত যেটা হয়, শিশুকে শেখানোর ক্ষেত্রে পিতামাতার কালচার এবং আবেগ বেশি কাজ করে (এবং এই কারণেই আমিও আমার সন্তানকে বাংলাটা ভালোভাবে শেখানোর চেষ্টা করবো হয়তো)। কিন্তু আবেগ বাদ দিয়ে একটু নির্মোহভাবে যদি দেখি, তাহলে শিশুর ভবিষ্যৎ এবং তার ভালোলাগাটাকে কেন্দ্র করে ভাষাশিক্ষার বিষয়টি নির্ধারণ করা দরকার। আপনার শিশু এখন যে পর্যায়ে আছে, ঠিক একইরকম অবস্থা মোকাবিলা করতে হয় পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীনে থাকা একজন আদিবাসী শিশুর।

আপনার সন্তানের জার্মান এবং ইংরেজি ভাষা শেখা নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই- এটা মোটামুটি বুঝা গেছে কারণ সিস্টেমের কারণেই সে এই দুটো ভাষা শিখবে। আপনি ভাবছেন বাড়তি ভাষা নিয়ে। সেটার জন্য বাংলাকে বেছে নিয়েছেন। এই বেছে নেয়ার পিছনে মূল পোস্টে যে যুক্তিগুলো তুলে ধরেছেন, সেগুলো কনভিন্সিং বলে মনে হয় নি, বরং উপরের মন্তব্যে বিষয়টা ভালোভাবে তুলে করেছেন। সে হিসেবে আপনি আপনার অবস্থানে ঠিক আছেন।

তবে আপনি অভয় দিলে আমি অতিরিক্ত ভাষা শিক্ষার আরো একটি উপায়ের কথা বলতে পারি। হয়তো তাতে লাভ ছাড়া ক্ষতি হবে না।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

পুতুল এর ছবি

তাড়া তাড়ি বলেন গৌতমদা আর কী কী উপায় আছে? টি সার্টের উপায় কিন্তু আমার উদ্ভাবিত।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সচল জাহিদ এর ছবি

প্রায় একই রকম ভাবনা থেকে লেখা এই লেখাটা


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

পুতুল এর ছবি

লিংকটার জন্য ধন্যবাদ জাহিদ ভাই।
সময় নিয়ে পড়ে মন্তব্য করব।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।