স্বাধীনতা আমার ভাল লাগেনা!!!

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: সোম, ০৪/১১/২০১৩ - ৪:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“রাজনীতিবিদদের জন্য জটিল করে যাব রাজনীতি” বলে ছিলেন মেজর জিয়া। কিন্তু তা পূর্ন বাস্তবে পরিণত করে দেখিয়েছে এরশাদ। “মুক্তিযোদ্ধারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান”। নীচে লেখা ছিল হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ। এই ধরণের ব্যানারে সাজানো ছিল রাজধানী ঢাকার পথ-ঘাট। ঠিক একই সময়ে অনেক সময় এরশাদের ব্যানারের নীচেই ঝুলত; মেজর ফারুক- রশিদের ফ্রিডম পার্টির বক্তব্য; “ শেখ মুজিবকে হত্যা করে দেশ স্বাধীন করেছি ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫। আমরা কুড়াল মার্কা নিয়ে ক্ষমতায় গেলে শেখ মুজিবের মরণোত্তর বিচার করবো”

বাঘে মহিষে এক ঘাটে জল ঘোলা করা “মধ্যলোকে চন্দ্রালোক” স্যাটায়ার লিখতেন আনিসুল হক। কবিতা ছেপে ইত্তেফাকের প্রথম পাতা আলোকিত করতেন মহা কবি এরশাদ। আর এরশাদের মন্ত্রীসভার সদস্যদের সাক্ষাৎকার ছাপা হতো বিচিন্তায়, কোন প্রকার সংশোধন ছাড়াই। সে এক বিনোদন বটে! আর একবার ছাপা হয়েছিল কর্নেল তাহেরের জল্লাদের সাক্ষাৎকার। মিনার মাহমুদের সাহস দেখে স্তম্ভিত হয়েছিলাম। ১৫ই আগস্ট পরবর্তী বিশেষত: জিয়ার উত্থান এবং বিএনপি প্রতিষ্ঠার সময়ে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষদের হয়রানী এবং আওয়ামী লিগের বিপক্ষে মিথ্যাচার যারা দেখেননি তাদের জন্য মিনার মাহমুদের সাহসকে অতিশয়োক্তি মনে হতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ করাই তখন অপরাধ! বাম দল বা জাসদের কথা ছেড়েই দিলাম। সেই সময় নিজের হাতে ফাঁসির দড়ি গলায় পরেছেন কর্নেল তাহের। সেটাকে হিরোইক করে বলেছেন কর্নেল তাহেরের জল্লাদ। তা কোন পত্রিকায় ছাপা হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। সে সাহস ছিল বিচিন্তার। এরশাদ বন্ধ করেছে বিচিন্তা। সেই বিচিন্তা বের হতে যাচ্ছে আবার! কোথায় যেন বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করলাম। আমি আর আমার সাংবাদিক হতে ঢাকায় আসা বন্ধু আমাদের গ্রামেরই প্রভাষ আমিন। খুনি মোশতাকের এলাকার লোক হিসেবে হয়তো আমরা ব্যতিক্রম হতে চাইতাম। অথবা ফেলে আসা ছেলেবেলার সদ্য স্বাধীনতার স্বাদ চৈতন্যের কোথায় যেন অবশিষ্ট ছিল আমাদের। শৈশব মানুষের জীবনে বিরাট প্রভাব ফেলে হয়তো। কারণ যাই হোক আমরা সমাজের বিবেক হব, আমরা হবো সাংবাদিক। কিন্তু এবার বিচিন্তা বন্ধ হল, প্রকাশ হওয়ার আগেই। আমি হাল ছেড়ে দিলাম। কিন্তু মিনার মাহমুদের সঙ্গ ছাড়ল না প্রভাষ আমিন।

প্রায় দুই যুগ সাংবাদিকতার পরে এবার তার প্রথম বই বের হয়েছে। তাও আবার প্রবন্ধের। আমি ঠাণ্ডা মাথায় যুক্তি দিয়ে আমার বক্তব্য বিশেষত মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির কাছে তুলে ধরতে পারি না কখনই। রেগে যাই, আবেগে কণ্ঠ রোধ করে, তখন মুখের বদলে হাত চলে বেশী। টং-দোকানের ঝাপের ঠেকা দেওয়া লাঠি নিয়ে পিটিয়েছি খুনি মোশতাকের ছাত্র সংগঠনের সাত্তারকে। এই সব দেখে প্রতিপক্ষ নতুন ছুতো পায়; এই দেখ এদের সাথে কোন আলোচনা করা যায় না। এরা জানে শুধু মারামারি করতে। কিন্তু প্রভাষ কথা বলে ঠাণ্ডা মাথায়। সেই সব কথার সমন্বয়ে ঘটেছে তার “স্বাধীনতা আমার ভাল লাগে না” প্রবন্ধ গুচ্ছে। পরিচিত মধ্যবিত্তের কথোপকথনের মতো। গভীর মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের প্রয়াস নেই, নেই কিছু শেখানোর তাগিদ। সবই দিবালোকের মতো পরিষ্কার। রাজনৈতিক দল ব্যক্তিদের অনৈতিকতাই যেন তাদের রাজনৈতিক দর্শন। রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি বা গুষ্ঠিকে আমরা যতই গালাগাল দেই না কেন; তারাও কিন্তু আমাদের বা আমাদের-সমাজেরই প্রতিচ্ছবি। সব পক্ষের এত স্বাধীনতা একটি সমাজের জন্য কখনো মঙ্গল জনক হতে পারে না। কিন্তু এই অমঙ্গল আশংকা “স্বাধীনতা আমার ভাল লাগে না” বইয়ের কোথায় লেখা নেই। বইটা পড়ে আপনারও মনে হবে সত্যিই তো “৭১-এ কিছু হইসিল নাকী!”, “ অথবা মুক্তিযোদ্ধারাও সন্ত্রাসী”। এধরণের কথা বলার মতো স্বাধীনতা বাংলাদেশে কোন মানুষের থাকা একটি জঘন্য অপরাধ।

আর সেই অপরাধীদের গণআদালতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল যখন যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায়। আমরা বলেছি, “এক দফা এক দাবী, এরশাদ তুই এখন যাবি”। কিন্তু এরশাদ গেলে কী ভাবে, কে আসবে, সে কথা তো বলিনি। কাজেই এসেছে রাজাকার। আমি পিঠ টান দিয়েছি। কিন্তু সবাই তা করনি। গ্রামে-গঞ্জে গিয়ে প্রভাষ আমিন সংগ্রহ করেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিপক্ষে সাক্ষী-প্রমাণ। গণআদালত প্রাঙ্গনে কাঁটাতারের ব্যারিকেড, লোহার বেড়া, জিয়ার আবিষ্কৃত দাঙ্গা পুলিশের বেষ্টনী, সব বাঁধা ভেঙ্গে ব্যবস্থা করে দিয়েছিল আম্মার দেয়া সেই বিখ্যাত রায়ের, “গোলাম আযমের ফাঁসি”। যা আজোও কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায়। সেই সব অভিজ্ঞতার ছাপ যেমন আছে তেমনি আছে বর্তমান রাজনৈতিক হাল হকিকত। হালের প্রথম আলোর অদিতী ফাল্গুনী আর আঃ হাইয়ের চটি গল্পের ব্যবচ্ছেদ বইয়ে যুক্ত হয়নি। কারণ; বইটি ছাপা হয়েছে এই সব মহামূল্যবান গল্প ছাপা হওয়ার আগে।

অনেকটা ঝাল-টক-মিষ্টির মতো। বইটার প্রবন্ধগুলো সাজানো হয়েছে বর্তমান থেকে অতীতের দিকে। প্রভাস আমিনের ভাষা সহজ, বক্তব্য স্পষ্ট। আমি প্রবন্ধ লিখতে পারি না বলেই হয়তো ব্রেকেটের বক্তব্যগুলো, পড়ার গতিতে ব্রেকের কাজ করেছে। আমি হলে ব্র্যাকেট তুলে উপমা হিসাবে চালিয়ে দিতাম।

শত্রু না চিনলে যুদ্ধ করাই অসম্ভব। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হলে সব চেয়ে বেশী প্রয়োজন নির্ভরযোগ্য বন্ধু। পুলিশের প্রহারে প্রভাষ আমিনের মাথা ফেটে রক্তের স্রোতে লাল হয়েছে কাল পীচ। লাঠি-গুলি-টিয়ার গ্যাসের কাছে মাথা নত করেনি, নিজের অবস্থান থেকে একচুলও সরে আসেনি। মুক্তিযুদ্ধ এখন নতুন করে শুরু হল, বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পরে। এই সময়ে প্রভাষ আমিনদের মতো নির্ভরশীল সহ যোদ্ধা আরো বেশী প্রয়োজন। ঐতিহ্যে-র প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যে কোন পাঠকের ভাল লাগবে বইটি।

ছবি: 
18/10/2007 - 10:08অপরাহ্ন

মন্তব্য

 মেঘলা মানুষ এর ছবি

বইটি কবে প্রকাশিত হয়েছে?

শত্রু না চিনলে যুদ্ধ করা অসম্ভব

চলুক
খুব দুঃখ পাই যখন দেখি ফেসবুকের এক পাতায় কে কি লিখল সেটাকে পুঁজি করে ঘর-বাড়ি-উপাসনালয় পুড়িয়ে দেয়া যায়।
মানুষ সম্ভবত: স্বাধীন থাকতে পছন্দ করে না। সিংহভাগ লোককে যখন দেখি দলকানা, ধর্মকানা হয়ে নিজের চিন্তার স্বাধীনতাটুকু বিলিয়ে বসতে, তখন আসলেই মনে হয় চিন্তায় স্বাধীন হবার চেষ্টাটাই বা কোথায় হারাল আমাদের?

শুভেচ্ছা হাসি

পুতুল এর ছবি

বইটি প্রকাশিত হয়েছে গত বই মেলায়। লেখক আরেক সাংবাদিক বন্ধুকে দিয়ে আমার কাছে পাঠিয়েছেন এই সামারে। পড়ে শেষ করেছি এক রাতে। কিন্তু লেখাতে বসতে পারিনি সময়ের অভাবে।

স্বাধীন তো অনেকেই। আমার দেশ বা ফরহাদ মগবাজার পড়লে মনে হয় সত্যিই কত স্বাধীনতা এরা ভোগ করে।

চিন্তার স্বাধীনতার মতো ভয়ঙ্কর অস্ত্র পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। সেটাই বন্ধ করতে আবিস্কার হয়েছে ইসলামী কিণ্ডার গার্টেন। অ তে অজু কর, আ তে আযান দাও। করুণা হয় এই সব মানষিক প্রতিবন্ধী তৈরীর কারখানা দেখলে।

আপনাকেও শুভেচ্ছা।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

স্পর্শ এর ছবি

দারুণ রিভিউ! বইটা দেশের বাইরে থেকে সংগ্রহের উপায় কি?


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

পুতুল এর ছবি

বইটা দেশের বাইরে থেকে কী ভাবে পাওয়া যেতে পারে সে উপায় আমার জানা নেই। কিন্তু আপনার ঠিকানাটা দিয়ে আমাকে একটা মেইল করলে আমার কপিটা ধার দিতে পারে ফেরত পাব সেই সর্তে। সাথে ফাও হিসাবে পাবেন শেরালীর এক কপি।

আমার ইমেইল

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অতিথি লেখক এর ছবি

রিভউ দুর্দান্ত হয়েছে, সংগ্রহ করে ফেলবো।

কিন্তু বেশিভাগ বাঙালিতো এখনো পড়তে শিখেনি, এখনো এখানে রাজনীতি চলে একটা বিশাল জনগোষ্ঠীকে অন্ধকারে রেখে নিজেদের লক্ষ্য হাসিল করতে। পড়লেই তো জেনে যাবে সত্যটা, তাই তাদের রাখা হয়েছে এইসবের অনেক দূরে। সেই দূরের পথ শেষ করে কবে বাঙালি নিজে বইয়ের পাতা থেকে ইহিতাস টা জানতে শিখবে? কোন নেতা নেত্রীর মুখ থেকে শুনা মিথ্যে ইতিহাস এর গন্ডি থেকে কবে বেরিয়ে আসবে? কবে?

মাসুদ সজীব

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ মাসুদ সজীব।

সেই অন্ধকারের বিশাল জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছানোর একটা ছোট চেষ্টা আমি একবার করেছিলাম স্বাক্ষর সংঘ নামের একটি সংগঠন করে। যারা মানুষকে অন্ধকারে রেখেছে তাদের সেই চেষ্টা কত কুটিল-জটিল এবং শৈল্পিক তা নিয়ে একখান মহাভার লেখা যায়।

কিন্তু একেবারেই পড়তে শেখেনি তাদের প্রতি আমার একটা অযৌক্তিক পক্ষপাতিত্ব আছে। তারা কিন্তু ভাল-মন্দটা আমাদের চেয়ে কম বোঝে না। কিন্তু তাদের শক্তি-সমর্থ এত দুর্বল যে; প্রতিপক্ষ অতি অল্পেই তা অঙ্কুরে বিনষ্ট করতে পারে।

নিরক্ষতার চেয়ে আমি বেশী ভয় পাই সেই সব পড়ুয়া বক ধর্মিকদের যারা যেনে শুনে সত্যকে মিথ্যার পোড়কে ঢেকে পরিবেশন করে। অথচ এরা আল-আমিনে-এর অনুসারী দাবী করে নিজেদের।

আশা করি একদিন আমাদের জাতি শিক্ষার অধিকার লাভ করবে।

শুভেচ্ছা জানবেন।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আশির দশকে যাযাদির স্বর্ণযুগের পর যে কয়েকটা সাহসী পত্রিকা বেরিয়েছিল বিচিন্তা পূর্বাভাস আর খবরের কাগজ অন্যতম। এই পত্রিকাগুলোর সাংবাদিক, রিপোর্টারদের নামগুলোও মুখস্ত হয়ে গিয়েছিল। সেরকম একটা চেনা নাম প্রভাষ আমিন। বইটা সংগ্রহ করার আশা রাখি।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

পুতুল এর ছবি

আহা পৌষের মাঝামাঝি রোদ মাখা সেই দিন। বিচিন্তার গদ্য লেখার স্টাইলটাকেই বৈপ্লবিক মনে হতো। বিষয়বস্তুর বৈচিত্র তো ছিলই। সেই সময়েই কিন্তু লেখা হয়েছিল একটি মোনাজাতের খসরা। কবিতাটা অনেকদিন মুখস্ত ছিল।

শুভেচ্ছা।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

মনের রাজা টারজান এর ছবি

আহারে ...
সেই যাযাদি আর শফিক রেহমান কে দেখলে এখন করুনা লাগে ...

সেই তাদেরকে মিস করি।

পুতুল এর ছবি

সেই তারা মরে গলে পচে গেছে ভাই।

গিয়াস কামাল চৌধুরীও প্রেস ক্লাবে জামাতের গোল টেবিল বৈঠকী আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন। সেই দিন আর আজকের বাস্তবতায় আকাশ পাতাল পার্থক্য।

শুভেচ্ছা মনের রাজা টারজান।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

guest_writer এর ছবি

এরশাদ মুক্তিযুদ্ধের সময় ২ বার ছুটি নিয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আসলেও যুদ্ধে যোগদান না করে পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরে গিয়ে ইয়াহিয়ার পদসেবা করেছে । যুদ্ধের শেষ দিকে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হলে এরশাদ রাজস্থান ফ্রন্টে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে ।যুদ্ধ শেষে যে সকল বাঙ্গালী সামরিক কর্মকর্তা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন তাদের বিচার করার জন্য একটি কমিশন গঠিত হয় যার *চেয়ারম্যান ছিল এরশাদ । ওর চাইতে বড় রাজাকার আর যুদ্ধাপরাধী আর কে আছে ? ওকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে শেখ মুজিব যে ভুল করেছিলেন, সেনাপ্রধান বানিয়ে একই ভুল করেছিলেন জিয়াউর রহমান ! ফলাফলঃ ২ জনেই নিহত আর বহাল তবিয়তে বেঁচে বর্তে আছে সবচাইতে বড় রাজাকার , যুদ্ধাপরাধী এরশাদ ! ম্যাঁও

পুতুল এর ছবি

নামটা লিখলে ভাল হতো। এরশাদ দাদুকে নিয়ে একটা লেখা দিন সচলায়তনে দয়া করে। এই সব কথা জানা থাকা খুব জরুরী।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম, যোগার করে পড়ে দেখতে হবে। কোন সফট কপি আছে?
(নির্লিপ্ত নৃপতি)

পুতুল এর ছবি

আমার জানামতে নেই। থাকলে ভাল হতো।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সাইদ এর ছবি

@লিখেছেন guest_writer (যাচাই করা হয়নি) (তারিখ: সোম, ০৪/১১/২০১৩ - ৩:২৮অপরাহ্ন)

বঙ্গবন্ধু ভুল করেছেন, কিন্তু জিয়া ভুল করেন নাই, জিয়া এরশাদের চেয়েও বড় ঘোড়েল মাল ছিলেন। বাংলাদেশের মূল চেতনা নষ্ট করার জন্য আগে জিয়ার বিচার হওয়া উচিৎ এরপর এরশাদের।

পুতুল এর ছবি

বাংলাদেশের মূল চেতনা নষ্ট করার জন্য আগে জিয়ার বিচার হওয়া উচিৎ

ঠিক কথা।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

শাহীন হাসান এর ছবি

অনেক ভাল একটা লেখা পড়লাম ।।

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

অতিথি লেখক এর ছবি

বাংলাদেশের মূল চেতনা নষ্ট করার জন্য আগে জিয়ার বিচার হওয়া উচিৎ এরপর এরশাদের।

চলুক

মাসুদ সজীব

তানিম এহসান এর ছবি

রিভিউ ভাল লাগলো। বইটা পড়তে হবে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।