তপ্ত ভাতে নুন জোটে না, পান্তা ভাতে ঘি

দুর্দান্ত এর ছবি
লিখেছেন দুর্দান্ত (তারিখ: শুক্র, ১৬/১০/২০০৯ - ৮:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

autoনা, ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত রিক্সার ব্যাপারে অন্য কোন কথা মাথায় আসে না। কে চেয়েছে সিটি কর্পোরেশানের কাছে এই ধরনের রিক্সা? আমি? আপনি? আমার আপনার পরিচিত কেউ? উত্তর আসবে না না না।

আমরা চেয়েছি উন্নত মানের পরিবহন। ঢাকার স্থান 'ক' থেকে স্থান 'খ' তে যাবার নিরাপদ, দ্রুত ও সাশ্রয়ের উপায়। সদিচ্ছা থাকলে অনেক ভাবে সরকার ও পরিবহনশিল্প এই চাওয়া মেটাতে পারে। বড় বিনীয়োগ না করে ভোক্তার কথা মাথায় রেখে রুট পর্যালোচনা ও যথাযথ ব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে অনেকটাই উন্নতি করা সম্ভব। এসব উদ্যোগ শুধু বি আর টি সি আর ট্রাফিক পুলিশের মধ্যে না রেখে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতিগুলোকেও এগিয়ে আনানো যায়।

মনে চায় একটা ল্যাম্প পোস্টকে জড়িয়ে ধরে বলি (অন্যকেউ যেহেতু শুনবে না), ডার্লিং, আমরা কাহাকে বোকা বানাইতেছি? সমিতির নেতৃবৃন্দ, সংসদের পরিবহন বিষয়ক কমিটি, পরিবহন মন্ত্রী - ইহারা কি একই শরীরের বিভিন্ন অংশ নন? তেনারা যদি চান তাহইলে বিষয়টাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে পরিবহনশিল্পকে ঢেইলে সাজাতে পারেন। তাদের সদিচ্ছার ফলে এমনটাও হতে পারে যে পরিবহনশিল্প ও সরকারযন্ত্র আমার-আপনার, মানে ভোক্তার কাছে একটি ন্যুনতম মানের সেবা দিতে বাধ্য থাকবে। কিন্তু ল্যাম্পপোস্টও দেখি আমার এইসব কথায় ব্যাজার হয়। থাক স্বপ্ন দেখাটা আপাতত থামাই। জেগে উঠি। চোখ কচলে তাঁকাই, আদতে কি ঘটছে দেখি।

আদতে যা ঘটছে, তা হল চীনের বস্তাপচা কিছু ইলেক্ট্রিক মোটর আমদানি হচ্ছে। দেশের এতবড় ব্যাটারির শিল্প থাকতে চীন থেকে ব্যাটারীও আসছে। আমার আপনার ও আমাদের ভাই বোনের ঘাম ঝড়ানো টাকা সাঙহাই আর কুয়াঙচৌ (Guangzhou) এর কোন এক কারখানার মালিকের একাউন্টে যাচ্ছে। কি জানি দুইটা ব্যাংক আছে না? লাল ডুগডুগির মত লোগো, আরেকটা নীলসবুজ কেচুয়ার পেজগির মত? তাঁরা তো আবার বিদেশে থাকা বাংলাদেশীদের বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব খুলতে দেন, তাদের টাকা আবার শেয়ার বাজারেও খেলান। এদের হাত ঘুরেই যাচছে ঐ মোটর-ব্যাটারির এলসি। তো এদেরই কিছু লোকজনের কাছে শোনা যে শাংহাইয়ে বসবাসরত একজন প্রভাবশালী বাংলাদেশীই নাকি হাজার পাঁচেক মোটর পাঠিয়ে দিয়েছেন। বংশাল, বাড্ডা আর মিরপুরের কোনাকাঞ্চিতে যেখানে যতগুলি ওয়েল্ডিং মেশিন আছে, সেগুলো এখন ব্যাস্ত, বাঁশ-কাঠ-লোহায় বানানো রিক্সার আদলে জি-আই পাইপ আর রুপবান টিনের রিক্সার গড়তে। মোটামুটি কিছু একটা খাড়া হলেই তাতে জুড়ে দেয়া হচ্ছে মোটর-ব্যাটারি। তবে এই নতুন রিক্সাগুলোর কাঠামো কি ঢাকার রাস্তায় চলার মত? রাস্তায় হাঁটু সমান পানি উঠলে এগুলো কি ভাসবে না ডুববে? এগুলোর ব্যাটারি চার্জ দিতে বিদ্যুত কোথা হইতে আসিবে? রিক্সাওয়ালা সাহেবের কি হবে? এগুলোর উত্তর আমি জানিনা। তবে ঢাকার রিক্সার প্লাস্টিক শিট আর ক্রোম বুটপিনের সুন্দর কারুকার্য যে এই নতুন রিক্সাগুলোতে থাকবে না, সেটা পরিস্কার।

কিজানিএক্টা আজীব নিয়মে এইসব রিক্সার ছাড়পত্র দিচ্ছে সিটি কর্পারেশন। কেন? উত্তর আসে যে মানুষে টানা রিক্সার যে নিয়ম, সেটা এক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আমরা সবাই জানি যে একটি রিক্সার লাইসেন্স নম্বর নিয়ে পাঁচ-দশটি রিক্সা রাস্তায় আছে। রিক্সার মালিক পক্ষ যে অবিরত শ্রমিকশোষন করে চলছে, তার প্রতিকারে সিটি কর্পোরেশান বা শ্রমিকসমিতিকে কিছু করতে দেখিনি। বড় বড় রাস্তা থেকে রিক্সা তুলে দেয়ার ফলে রিক্সা শ্রমিক ও ভোক্তার যে ক্ষতি হয়ে গেছে, সেদিকটা নিয়েও সিটি কর্পোরেশনের কোন চিন্তা ভাবনা আছে, তাই বা বলি কি করে? আজ তক মানুষে টানা রিক্সা সমস্যারই কোন সমাধানে যে দিতে পারেনি, তার কাছে আরো হাজার সাতেক এই নতুন যন্ত্রের ব্যাবস্থাপনা দিলে এর ফলাফল কত ভয়াবহ হতে পারে? সিটি কর্পোরেশন জানবে ৭ হাজার রিক্সার কথা, রাস্তায় থাকবে আদতে দশ, বিশ, তিরিশ? এখানেও আবার আমাদের বোকা হবার পালা। রিক্সা মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, সংসদের স্থানীয় সরকার বিষয়ক কমিটি, মেয়রের দপ্তর, এরা কি একই শরীরের বিভিন্ন অংশ নন।

থুক্কু, সরকার আর মেয়রের দপ্তরে তো এখন দুই ভিন্ন পাট্টির লোক। তাই মনে হয় এইসব রিক্সার পারমিট বি আর টি এ'র হাতে দিলে সিটি কর্পোরেশন আর বখরার ভাগ পায় না। তাহলে, সৈয়দ আশরাফের মিন্টু রোডের বাসায় প্রতি শনিবারে যে মজলিশ বসে আর তাতে যে খোকার জন্য আধা বোতল স্কচ বরাদ্দ থাকে, এটা মনে হয় শুধুই মিছা কথা।

যাউগ্গা।

কেউ কেউ পরিবেশ বাচানোর ধুয়া তুলছেন। অন্য কেউ বলছেন এতে রিক্সাশ্রমিকের জীবন উন্নত হবে।

হ !

যদি কোন ভাবে জানতাম যে একটি বাঁশ-কাঠ-লোহায় বানানো রিক্সার বদলে, একটি জি-আই পাইপ আর রুপবান টিনের রিক্সা রাস্তায় নামছে, তাহলে না হয় কথা ছিল। কিন্তু সেটা কি এমনি এমনি হয়ে যাবে? এটা না হওয়ার গভীর আশঙ্কা আরো সুগভীর হয়ে যায় যখন জানা যায় যে ব্যাটারিচালিত রিক্সার জন্য যারা অনুমতি চেয়েছেন, তাদের কারো মালিকানায় একটিও বাঁশ-কাঠ-লোহায় বানানো রিক্সা নেই।

আসল সংখ্যাটি কত হবে সেটি না ভেবে শুধু সাত হাজার নিয়েই যদি ভাবি, তাহলে প্রতি রাতে বা একদিন পর পর যদি এগুলোকে চার্জ দিতে হয় তাহলেও তো বিদ্যুত লাগবে। সেটা আসবে কোথা থেকে। এবারো আমাদের আবার বোকা হবার পালা। থাক এই দফা না হয় আর খোকা আর চৌফিকের মামু-ভাইগ্না সম্পর্কের কথা নাই তুললাম। কিন্তু উত্তরটা কে দেবেন? যেখানে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের নতুন ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে দেয়ার মত অতিরিক্ত বিদ্যুত ডেসকোর কাছে নেই, সেখানে রিক্সার ব্যাটারি চার্জ দেবার বিদ্যুত কোথা থেকে আসবে? আর এই নতুন রিক্সার মালিকে যদি তার বাসার প্লাগ থেকে চার্জ করে রিক্সা রাস্তায় নামান, তখন আর সেটা ডোমেস্টিক রেটে দেয়া যায় কি না, এইগুলোর মত আজগুবি প্রশ্ন নাই বা করলাম।

লেখাটা এইপর্যন্ত যারা ধৈর্য ধরে পড়েছেন, তাদের জন্য এই ছোট্ট (অশ্লীল) কৌতুক,

ঐ ব্যাংকারের কাছেই শুনলাম। এল সি'র কাগজে নাকি লেখা আছে, এইসব রিক্সার ব্যাটারিগুলি পেডাল মেরেও চার্জ দেয়া যাবে, তবে সেটা করতে আট-বারো ঘন্টা লাগবে। মানে লোডশেডিং এর রাতে চার্জ চলে যাওয়া রিক্সাওয়ালার বাড়ির সবাই সারারাত পেডাল মেরেই রাত কাবার করে দেবে। অথবা হয়ত দেখা যাবে গড়ে উঠেছে নতুন ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প - যেখানে বস্তির কিছু লোক সারাদিন রিক্সা চালায়, আর কিছু লোক সারারাত পেডাল মারে?

না, ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত রিক্সার ব্যাপারে এর চাইতে শ্লীল কোন কথা মাথায় আসে না।

(ছবি সত্ত্বঃ http://shafiur.i-edit.net)


মন্তব্য

স্নিগ্ধা এর ছবি

প্রিয় দুর্দান্ত, পোস্টটা পড়ে যদিও অনেক কিছু জানতে পারলাম, লেখাটা পছন্দ হলো তাই - কিন্তু, একইসাথে পোস্টের শিরোনামটা একেবারেই যে পছন্দ হয় নি সেটাও সখেদে জানাতে হচ্ছে। আপনার ক্ষোভের কথা প্রথম লাইনেই যদিও স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, তবুও ......

এটা বুঝতে পারছি যে এই ব্যাটারি-চালিত রিক্সাগুলো বেশ কিছু লোকের 'ব্যবসা' সুযোগ তৈরী করে দিচ্ছে। কিন্তু সেটা ছাড়া, এগুলো যদি রিক্সাওয়ালাদের প্রতিস্থাপন না করে তাহলে এতে রিক্সাওয়ালাদের ক্ষতি কি হচ্ছে? লাইসেন্স পেতে আগের চাইতে বেশি ফী লাগছে, বা রিক্সাওয়ালাদের রিক্সার মালিককে দেয় দৈনিক টাকার পরিমাণ বাড়ছে, এরকম কিছু?

আরেকটা ব্যাপার - এই ব্যাটারি কি পরিবেশ বান্ধব?

দুর্দান্ত এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনার খেদ যুক্তিযুক্ত। তবে যদি একটু সহায়তা করেন, তবে তাড়াতাড়ি এই অপরাধ থেকে মুক্তি পাই। একই আবেগ প্রকাশ হয়, এমন অন্য কিছু মনে আসলে শিঘ্রি বলে ফেলুন।

স্নিগ্ধা এর ছবি

"গাজনের নেই ঠিক ঠিকানা, ডেকে বলে বাজনা বাজা"

বা

"আপনি ঠাকুর ভাত পায় না,শংকরাকে ডাকে"

বা

"হালে বয় না, তেড়ে গুঁতোয়"

বা

"যেতে ছাগল, আসতে পাগল"

বা

"ভাত পায় না কুঁড়ের নাগর, আমানি খেয়ে পেটটা ডাগর"

বা

"বাছার আমার এত বাড়, ছ‘আনার কাপড়ে ন‘আনার পাড়"

বা

"পিন্ডি পায় না, কেত্তন চায়"

বা

"তপ্ত ভাতে নুন জোটে না, পান্তা ভাতে ঘি"

হলো না, না? হাসি

দুর্দান্ত এর ছবি

হল না মনে, খুব হল।
অশেষ ধন্যবাদ।

সুমন চৌধুরী এর ছবি
খেকশিয়াল এর ছবি

ভাত পায় না চা খায়, হোন্ডা কইরা টয়লেট যায় দেঁতো হাসি

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

স্নিগ্ধা এর ছবি

খেকশিয়াল, আপনার মন্তব্যের জবাবে বলি - একদম লাজবাব দেঁতো হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনি তো দেখি বুড়ি ঠানদিদি টাইপ, বাতের ব্যথায় কোঁকাতে কোঁকাতে ফোগলা দাঁতে প্রবচন আউড়ান তিন বেলা! কী ভয়ানক কালেকশন!!

অন্য একটা কথা, এখন যখন আসল সমস্যাটা দূরীভূত হয়েছে, আপত্তিকর অভিযুক্ত পোস্টটিকে আগের মহিমায় ফেরানোর উপায় আছে কিছু, হে মডুগণ?

স্নিগ্ধা এর ছবি

আপনি কালকে থেকে দেখতেসি আমাকে ডায়নোসর, ঠানদি' এইসব বলে টলে আমার বার্ধক্য নিয়ে কুকথা বলতেসেন, বলেন কুনু অসুবিধা নাই, আমি ইক্টুও মাইন্ড কর্ত্তেসি না দেঁতো হাসি

কালেকশন কি আমার নাকি?? এই ইনফর্মেশন রেভ্যুলুশনের যুগে ই কী কতা, ইন্টারনেট আছে না?!

আর, আপত্তিকর অভিযুক্ত আমি করি নাই, করলে এবং সেটা ফেরানোর উপায় থাকলে এতোক্ষণে সেটা করেও ফেলতাম।

মডুদের প্রতি আমারও একই জিজ্ঞাসা রইলো ......

সবজান্তা এর ছবি

আপনি তো দেখি বুড়ি ঠানদিদি টাইপ

আপনার এই লাইনটা সচলায়তনে আমার দেখা সবচেয়ে সত্যি একটা কথা। আপনার এই লাইনটা একদম হীরা মণি মুক্তা জহরত দিয়ে বাঁধিয়ে রাখা দরকার। মণি-মুক্তা যা লাগে আমি সাপ্লাই দিবো। দেঁতো হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

স্নিগ্ধা এর ছবি

মণি-মুক্তা যা লাগে আমি সাপ্লাই দিবো। দেঁতো হাসি

আরে, বড় বড় কথা না বলে দাও না দেখি!!! নাহয় একটাই দাও? নাহয় ছোট একটাই দাও? এহহহহ ...... রেগে টং

খেকশিয়াল এর ছবি

বুড়ি ঠানদিদি টাইপ

হো হো হো

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

স্নিগ্ধা এর ছবি

আর, আপনাকে কি না আমি বন্ধুলোক ভাবতাম মন খারাপ

খেকশিয়াল এর ছবি

শয়তানী হাসি

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সাফি এর ছবি

দুর্দান্ত লেখার জন্য দুর্দান্তদাকে আর স্নিগ্ধাদিকে মন্তব্যের জন্য উত্তম জাঝা

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আহা ঠাকমা, আপনার কদর লোকে বুঝলোনা! এক কথার (প্রবচনের) জবাবে সাত কথা (প্রবচন)!! দুর্দান্তের মুখ তো বন্ধ হয়েছেই সাথে সাথে ভবিষ্যতে অন্য কেউ প্রবচন লিখতে আপনাকে মনে মনে পেন্নাম ঠুকবে।

এই লোকজ ঐতিহ্যগুলো হারাতে বসেছে। আবু রেজা ভাই কোথায় গেলেন? ঠাকমার স্মৃতিশক্তি ঠিক থাকতে থাকতে একটা প্রবচন-পুস্তক নামিয়ে ফেলুন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

স্নিগ্ধা এর ছবি

ষষ্ঠীচরণ - বারবার যে বলেই যাচ্ছি, বলেই যাচ্ছি যে ওগুলা ইন্টারনেট থেকে পাওয়া, তা গরীবের কথা কি কানে যায় না নাকি? আমিই নাহয় কারুর ঠানদি, কারুর ঠাকমা ( ওঁয়া ওঁয়া ) আপনারা তো যা বুঝি সব নওল কিশোরটি! বলি, তা'লে চোখ আর কানের এই অবস্থা কেনু, কেম্নে, কস্কি?!

দময়ন্তী এর ছবি

দেখেছো কান্ড! এদিকে আমি এতদিন ভাবতাম আপনিও আমারই মত একজন ছ্যাবলাগোছের মানুষ৷ অথচ আসলে আপনি কিনা বয়স্ক "ঠানদি'!! চিন্তিত
এহে ভারী অন্যায় হয়ে গেছে তো য়্যাদ্দিন৷ হো হো হো
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

স্নিগ্ধা এর ছবি

আহা অন্যায় কেনু হতে যাবে!! ছ্যাবলাগোছের বয়স্ক ঠানদিও কি আর নাই দুনিয়ায় ওঁয়া ওঁয়া

দুর্দান্ত এর ছবি

এগুলো যদি রিক্সাওয়ালাদের প্রতিস্থাপন না করে তাহলে এতে রিক্সাওয়ালাদের ক্ষতি কি হচ্ছে? লাইসেন্স পেতে আগের চাইতে বেশি ফী লাগছে, বা রিক্সাওয়ালাদের রিক্সার মালিককে দেয় দৈনিক টাকার পরিমাণ বাড়ছে, এরকম কিছু?

ধরে নিচ্ছি ভোক্তা একই দূরত্বে যেতে দুই ধরনের রিক্সায় সমান ভারা দেবেন (সন্দেহাতীত নয়); রিক্সা মালিক তার এই নতুন রিক্সায় মোটর আছে, এই অজুহাতে বেশী জমা হাঁকাবেন। - সেক্ষেত্রে তো পুরানো রিক্সার রিক্সাওয়ালা এই নতুন রিক্সা সাথে একটি অসম প্রতিযোগীতায় পড়বে। কায়িক পরিশ্রমের দাম আরেকবার যন্ত্রের কাছে হেরে যাবে।
যদি নতুন রিক্সায় ভাড়াটা বেশী হাঁকানো হয় (বেশী সম্ভাবিলিটি), তাহলে হয়তো সরাসরি প্রতিযোগীতা আসবে না, কিন্তু এটা বোধহয় দূরত্বের একটি সীমানা পর্যন্ত, আর সেই বড় দূরত্বের বড় দাঁওয়ের বাজারটি তখন রিক্সাওয়ালাদের কাছ থেকে চলে যাবে ব্যাটারি চালিত রিক্সার কাছে।

এই ব্যাটারি কি পরিবেশ বান্ধব?

দুটি বিষয়, ব্যাটারির রসায়ন পরিবেশ বান্ধব নয়। আমাদের দেশে আস্ত ব্যাটারি ফেলে দেবার প্রচলন খুব কম। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এর বিরূপ প্রভাব কয়েকজন দুর্ভাগা শিশুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। শুনতে খারাপ শোনাছে, কিন্তু এই কয়েকজন শিশু তাদের শরীর ক্ষয় করে রক্ষ করছে আমার আপনার সন্তান কেন। তবে এই রিক্সায় কি ধরনের ব্যাটারি ব্যাবহার করা হবে তা আমি জানিনা। এই সব ব্যাটারীর জীবন দৈর্ঘ নিয়ে কেউ কি কিছু জানেন? তাহলে আওয়াজ দিন।

যা দিয়ে এই ব্যাটারিগুলো চার্জ করা হবে, সেই বিদ্যুত (এখনো) অতটা পরিবেশ অবান্ধ্বব নয়।

হাসিব এর ছবি

বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এর বিরূপ প্রভাব কয়েকজন দুর্ভাগা শিশুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ।

সীমাবদ্ধ কথাটা লিখলে ভুল হবে । এই ব্যাটারি দুষণের সরাসরি ও প্রাথমিক ভুক্তভোগি তারা এটা বলা যেতে পারে ।

আমাদের দেশে আস্ত ব্যাটারি ফেলে দেবার প্রচলন খুব কম।

আস্ত ব্যাটারি আসলে ফেলে দিলে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচা সম্ভব না । এতে ব্যবহৃত শীসা মাটিতে গিয়ে মেশে কোন না কোন উপায়ে । এগুলো রিসাইকেল করা সম্ভব । তবে বাংলাদেশে কদ্দুর কি রিসাইকেল হবে এগুলোর সেটা আমি আপনি সবাই জানি ।

পাঠকদের জন্য উইকি থেকে একটা প্যারা তুলে দিলাম ব্যাটারি বিষয়ে


According to a 2003 report entitled, "Getting the Lead Out," by Environmental Defense and the Ecology Center of Ann Arbor, Mich., an estimated 2.6 million metric tons of lead can be found in the batteries of vehicles on the road today. There's little argument that lead is extremely toxic. Scientific studies show that long-term exposure to even tiny amounts of lead can cause brain and kidney damage, hearing impairment, and learning problems in children. The auto industry uses over one million metric tons of lead every year, with 90% going to conventional lead-acid vehicle batteries. While lead recycling is a mature industry, it's impossible to rescue every car battery from the dump. More than 40,000 metric tons of lead are lost to landfills every year. According to the federal Toxic Release Inventory, another 70,000 metric tons are released in the lead mining and manufacturing process. [Jim Kliesch, author of the Green Book: The Environmental Guide to Cars and Trucks]

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভাই কষ্টের মধ্যেও শেষাংটুকু পড়ে হাসলাম। সিএনজি দিয়ে কারো পৌষ মাস হয়েছিল, এবার ব্যাটারি দিয়ে যদি কারো হয়। কিন্তু এত বিদ্যুত পাবে কোথায়? আমদানী করবে?

আর পেডাল মেরে চার্জ দেয়ার ব্যাপারটা হয়তো এমন যে চালানোর সময় পেডাল মারলেই চার্জ হবে। সেক্ষেত্রে আর ব্যাটারীর কী দরকার, সে প্রশ্ন আসতে পারে। বিস্তারিত কেউ জাননে নাকি?

তিথি এর ছবি

“এমনিতেই ঢুকে না আবার তেনা পেঁচাইয়া” এই কথাটায় অশ্লীললতা আছে। আপত্তি জানাইলাম।
অনেকদিন আগের কথা, বর্তমান সচলদের অনেকের তখনও জন্ম হয়নি, বাংলাদেশ সরকার ঠিক করেছে দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্বতি চালু করবে, তারই ধারাবাহিকতায় এলো কনডম রাজা আর মায়া। সব ছাগুরা নেমে গেলো এর বিরুদ্বে, সে সময় এক যুদ্ধাপরাধী ছাগু কোন এক ওয়াজে জন্মনিয়ন্ত্রণ নিয়া কটাক্ষ করে একথা বলেছিলো।

দুর্দান্ত এর ছবি

(আরো) বুদ্ধিমান হোন ঠিক কাজটি করুন।
আরেকটা নাম প্রস্তাব করুন।
আমাকে ছাগু হওয়া থেকে বাঁচান।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

নিজের সমস্যা এভাবে ওয়াজ মাহফিলে প্রকাশ করে দিল! খাইছে

অরূপ এর ছবি

মেসেজে জানালাম..


অরূপের ব্লগ @ http://etongbtong.blogspot.com
অরূপের ফ্লিকার @ http://www.flickr.com/photos/harvie-krumpet

হাসিব এর ছবি

ঘটনাটা জানতাম না । এইসব ঐতিহাসিক ঘটনা লিপিবদ্ধ থাকা দরকার । একটা পোস্ট দেন সময় করতে পারলে ।

সৌরভ এর ছবি

হাসতেই আছি। লেখা পড়ে।

আমাদের বাংলাদেশটা, ধরে নেন কিছু ইডিয়ট চালায়। তাই ভালো কিছু আশা করা উচিত নয়।

এখন শুনি জ্যাম কমাতে নাকি অফিসের সময় একরকম হবে, স্কুলের সময় একরকম। কোন কতবেলের মাথা থেকে যে এই বুদ্ধি বের হয়!

বাবা-মা রা সকালে অফিসে যাবে। ছোট-ছোট বাচ্চারা তার দুই ঘন্টা পরে একলা একলা স্কুলে যাবে।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আরে কি কন, এর ফলে বাচ্চাদের স্কুলে দেয়া-নেয়ার লোকের জন্য যে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে সে বিষয়টা কি ভেবে দেখেছেন চোখ টিপি

কোন কতবেলের মাথা থেকে যে এই বুদ্ধি বের হয়!
গড়াগড়ি দিয়া হাসি

হাসিব এর ছবি

দিক্কার জানাই জাম্বুরাসম মাথাকে কতবেলের মতো নগন্য ফলের সাথে তুলনা করায় ।

হিমু এর ছবি

বাবা-মা রা সকালে অফিসে যাবে। ছোট-ছোট বাচ্চারা তার দুই ঘন্টা পরে একলা একলা স্কুলে যাবে।

আমার ধারণা ছিলো উল্টোটা করা হয়েছে। বাচ্চাদের স্কুল আগে, আর অফিস পরে ... নাকি?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

মাহবুবুল হক এর ছবি

কোন কতবেলের মাথা থেকে যে এই বুদ্ধি বের হয়!

হা হা হা হা।
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে লিখি কথা
আমি তো বেকার পেয়েছি লেখার স্বাধীনতা

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

আসমানী-মডু এর ছবি

পোস্টের টাইটেল ঠিক করার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু প্রথম পাতায় প্রদর্শিত ছবিটি পোস্টের বিষয়বস্তুর সাথে অসামঞ্জস্য পূর্ণ এবং অরুচিকর। অনুগ্রহ করে ছবিটি সরিয়ে পোস্টের ভিতরে দিন।

দুর্দান্ত এর ছবি

অনুরোধ রাখা হল।

মাহবুবুল হক এর ছবি

ছবিটাই তো লেখাটার প্রাণ। বাংলাদেশের বিখ্যাত রিকশা-পেইন্টিং। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে পৃথিবীর বহু দেশ জয় করে এসেছে। আলাদা আর্ট ফর্ম তৈরি করেছে ।
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে লিখি কথা
আমি তো বেকার পেয়েছি লেখার স্বাধীনতা

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

অতিথি লেখক এর ছবি

সরকার বাড়ি-ঘরে বিদ্যুৎ দিতে পারেনা আর এখন টাকা খাওয়ার ধান্ধায় রাস্তায় রাস্তায় বিদ্যুৎ দিতে চাইতাসে...:@

যে যাই বলুক ভাই...এ রকম দুর্দান্ত একটা লেখা আপনার দেয়া শিরোনামখানাই প্রত্যাশা করে হো হো হো

ভন্ড_মানব

স্পর্শ এর ছবি

আমার জীবনের একটা অপূর্ণ সাধ হচ্ছে- সি,এজ,জিওয়ালাদের ধরে ধরে থাপ্পড় মারা। এই ব্যাটারি রিক্সাওয়ালারাও সেই লিস্টে আছে। চালায় রিক্সা, ভাড়া চায় সিএনজিওয়ালাদের চেয়েও বেশি!! তার উপর দেখলেই তো মনে হয় এখনি উলটাবে!!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কুবের [অতিথি] এর ছবি

সি এন জি চালকদের আসলে খুব বেশি কিছু করার নায়, সমস্যা অন্য কোথাও। থাপ্পর মারতে হলে আর কোথাও মারতে হবে।

স্পর্শ এর ছবি

জরুরী মুহুর্তে সি এনজির প্রয়োজন না হলে আমার ব্যাপারটা ঠিক বোঝা যাবেনা। সব সি এনজি আলা এমন ফাউল। এদের শুধু থাপ্পরই না। দোররা ও মারা দরকার।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

হাসিব এর ছবি

দোষ কি হেগোর নাকি যারা ঐটা বানাইছে তাগোর ?

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

বিগত 'আপোষহীন' সরকারের আমলে ২-৩ যদু মিল্লা সি এন জি -র মধু খাইছিলো, এইবার কোন কদুরা জানি দান মরবো!! আমরা শুধু সমস্যার গভীরেই যাইতাছি, যারা সমাধান করার লোক তারা আমাগো গাতায় ফালাইলে কিই বা করার আছে?

-----------------------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

নৈষাদ এর ছবি

পত্রিকায় বিচিত্র এই রিক্সার (বা যে নামেই ডাকা হোক) ছবি দেখেছি। গত কিছু দিনের ব্যস্ততার কারনে বিস্তারিত পড়তে পারিনি। আপানার লেখায় কিছু ব্যাপার জানা গেল (ভিতরের ব্যাপারও কিছু জানা গেল)। ধন্যবাদ।

ঢাকার বিভিন্ন রাস্থা থেকে রিক্সা উঠিয়ে দেবার সময় রিক্সার পক্ষে যে কয়টা যুক্তি ছিল তার মধ্যে কিছুতো এমনকি এখানে প্রযোজ্য না। (যেমন জিরো ইমিশন, কায়িক শ্রমের ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ইত্যাদি)। তাহলে কী লাভ হল? যেভাবেই চলুক, শক্তির জন্য কিছু খরচ হবেই, এবং তা অবধারিত ভাবেই পাবলিকের উপর চাপানো হবে।

ভিতরের সম্ভাব্য ‘ডিল’ ছাড়াও একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার মনে পড়ল। এক বন্ধু কিছুদিন আগে বলল (অন্য কোন সূত্র থেকে নিশ্চিত করিনি) যে প্রযোজ্য ট্রাফিক অথবা বিআরটিএ রুলে নাকি রিক্সার ব্যাপারে কি করা হবে তা বলা নাই (শুধুমাত্র মোটরাইজড যানের ক্ষেত্রে সেগুলো প্রযোজ্য)। যার ফলে ট্রাফিক পুলিশরা আইনি কোন ব্যবস্থা রিক্সার বিরুদ্ধে নিতে পারেনা, তাই চড়-থাপ্পর, কিংবা স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে চাকার হাওয়া ছেড়ে দিয়ে ব্যবস্থা নেয়।

নতুন এই যান তো মোটরাইজড, ট্রাফিক পুলিশেরা ‘আইনি’ (অবথা এর অল্টারনেটিভ কুইক সলিউশন) ব্যবস্থাতো নিতে পারবে অ্যাট-লিস্ট।

দুর্দান্ত এর ছবি

নতুন এই যান তো মোটরাইজড

এটা আমি জানবো, আপনি জানবেন, আর সারা দেশের প্রাইমারি স্কুলের পোলাপানও জানবে। বাবার হোন্ডার হাতলে চড়ে যে দুই বছরের বাচ্চা (অনিরাপদভাবে) হাওয়া খেতে যায়, সেও রিক্সা দেখে বলবে 'ঐ দেখা দায় তালগাছ ঐ আমাদেল মোটলচালিত লিক্সা।'

কিন্তুক, ডি এম পি, বি আর টি এ, সিটি কর্পোরেশান সেই মোটর দেখবে না। তাদের কাছেই এই রিক্সা আর বাঁশ-কাঠ-লোহার রিক্সার কোন তফাত নেই।

সুতরাং ওম স্ক্রু ড্রাইভারায় নমহ।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

আজই এটা চড়ে বাড়ি ফিরলাম। রিক্সা হিসাবে মন্দ নয়। তবে মহাখালি'র রাস্তায় যখন সাই সাই করে বাস যাচ্ছিলো আর কচ্ছপগতিতে এই 'রিক্সা' চলছিলো, তখন অশেষ নেকি হাসিল হইয়াছে।

আর চড়বো না!

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অবাঞ্ছিত এর ছবি

সেকী ! দেশে নাকি বিদ্যুত ঘাটতি? তারথেকে সব ঘরে ঘরে একটা করে প্যাডেল মারা ব্যাটারি লাগানো হোক, লোডশেডিং এর সময় সপরিপারে প্যাডেল মেরে চালু রাখার মত।

কী আশ্চর্য সব নিত্য নতুন ফন্দি ফিকির।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

বর্ষা এর ছবি

শাহেনশাহ সিমন,
আপনি কি একটু খোলাসা করে বলবেন কেমন হয়েছে প্রজেক্টটা। মানে চড়তে কেমন, মিশুকের মতো না কি...রিক্সাওয়ালাদের কেমন লাগছে চালিয়ে?।এই ব্যাটারিগুলো বানানো খুব সহজ, কেনো চায়না হতে আমদানি করতে হবে?ব্যাটারী রিসাইকেল করা কোনো ব্যাপারই না কিন্তু বন্যায় ইঞ্জিনগুলোর কি হবে ভাবছি। কোনো কি কভার আছে? আমি খুব উৎসুক হলাম, এই প্রজেক্টটায়।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

s-s এর ছবি

লেখাটা দারুণ। ব্যাস॥ আর কোনো কথা নাই, দারুণ!

মামুন হক এর ছবি

এবার ঢাকায় গিয়ে এগুলো চোখে পড়েছে। সদরঘাট-গুলিস্তান রুটের সেই পুরোনো এক্কা গাড়ির ঘোড়াগুলোর মতোই হাড় জিরজিরে, চিমসে চেহারার। চড়ার সাহস হয়নি।
পোস্টের মূল বক্তব্যের সাথে একাত্মতা জানাচ্ছি। দুর্দান্ত লিখেছেন দুর্দান্ত ভাই!!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমার ভুল না হলে, Shanghai = সাঙহাই এবং Guangzhou = কুয়াঙচৌ; শাংহাই আর ঘোয়াংযু নয়।

সব সরকারের আমলেই নিজেদের মানুষজনদের জন্য টাকা বানানোর কিছু প্রকল্প থাকে। এটা অমনই একটা ব্যাপার। এই বিষয়টার অসারত্ব এতটাই স্পষ্ট যে এটা নিয়ে কিছু বলতেও বিরক্ত বোধ করছি। ঢাকার রাস্তার জঞ্জাল আরো একধাপ বাড়লো।

এক খবরে দেখলাম, আগামী বিশ বৎসরের মধ্যে নাকি উত্তর মেরুর সব বরফ গলে যাবে। আগামী বিশ বৎসর পরে ঢাকা শহরটাকে কি আদৌ কোন শহর বা সুস্থ্য মানুষের জনপদ বলে চেনার কোন উপায় থাকবে?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দুর্দান্ত এর ছবি

auto

ডেইলি স্টারে প্রকাশিত।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।