জয়শ্রীর বাড়ি

ফারুক হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফারুক হাসান (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০৮/২০১০ - ১২:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তোমার বাড়ি আমাকে বারবার টানে নতুন গন্ধ হয়ে
জয়শ্রী যেখানে শোয়, চুল শুকায়, গুন গুন করে নায়
আমি তার উঠোনে পৌঁছুলে দুপুরের ছায়া গাঢ় হয়
একটা শালিক শুধু লেবুর ঘ্রাণ বেয়ে উড়ে আসে ভুলে ।
 
যে কারণে কারো কারো মনে যৌবন ফিরে আসে
জমাট বুকের ভেতর জমা আদর পেয়ে ঘুমায় পাথর
বেঁচে থাকা তাই শুধু জয়শ্রীর বাড়ি, তোমার আলতা
ভেজা আঙিনায় টহল দেয় না কোনো সভ্যতার জীবাণু ।
 
এইসব শুনে জয়শ্রী হাসে, তার ভ্রূ নাচে আর খুলে যায় খোঁপা
আর আমি, ফিরতে গিয়েও ফেরা হয় না আর ।

 


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এইসব শুনে জয়শ্রী হাসে, তার ভ্রূ নাচে আর খুলে যায় ব্রা
আর আমি, ফিরতে গিয়েও ফেরা হয় না আর

ওয়াহ্ ওয়াহ্ হাততালি

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ফারুক হাসান এর ছবি

ব্রা-ভো। ব্যাপক প্যারডি হইছে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

প্যারোডি না। সত্যিই ভাল্লাগছে। কোট করতে গিয়ে দেখলাম শব্দটা বদলে দিলে বেশী সুইটেবল লাগছে। তাই স্বাধীনতাটা নিয়ে নিলাম। খাইছে

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ফারুক হাসান এর ছবি

হাসি

স্পর্শ এর ছবি

আমিও একই কথা ভাবসিলাম খাইছে


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অনিকেত এর ছবি

আলাদা করে কোট করতে গেলে দেখলাম পুরো কবিতাটাই করে দিতে হয়---তাই আর দিলাম না।

ফাহা ভাই---আপনার জন্যে রইল অনেকগুলো 'আহা'...!!

ফারুক হাসান এর ছবি

আর আপনার জন্য কৃতজ্ঞতা।

তিথীডোর এর ছবি

কী অদ্ভুত একেকটি লাইন!!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অর্জুন মান্না [অতিথি] এর ছবি

অনেক দিন পর একটা কবিতা পড়ে মনে হল- আহা!

অতিথি লেখক এর ছবি

এক কথায় প্রকাশ করি, অসাধারণ।

---- মনজুর এলাহী ----

সাবিহ ওমর এর ছবি

লাইক!

মণিকা রশিদ এর ছবি

'জমাট বুকের ভেতর জমা আদর পেয়ে ঘুমায় পাথর'
--------------ছুঁয়ে গেল!

____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

সৈয়দ আফসার এর ছবি

সাবলাইম...
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!

__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ব্রাহ্মণমাধ্যমের উন্নাসিক কবিরা একবার এই ব্লগটাতে ঢুঁ মেরে যান। সপ্তাহ সপ্তাহ জুড়ে হাজার হাজার পাতা কাগজ আর কালি খরচ করে যে আবর্জনা আমাদের উপর ঢেলে দিয়ে যান সেগুলোকে সরিয়ে একটা ঝক্‌ঝকে সকাল আনার জন্য এমন একটা কবিতা যথেষ্ট।

কেউ কেউ এখানে অগ্রজের পায়ের ছাপ আবিষ্কার করতে পারেন। আমি বলব কবিতো ভূঁইফোঁড় কেউ নন। অগ্রজের দেখানো পথ ধরে চলতে চলতে অনুজ নিজেই নতুন পথ নির্মাণ করে নেন। বিশ্বাস না হয় কবিতাটা আরেকবার পড়ে দেখুন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ফারুক হাসান এর ছবি

বলতে দ্বিধা নেই, প্রিয় কবি জীবনানন্দ থেকে আমি অনুপ্রাণিত।

তবে ঐটুকুই যা।

স্পর্শ এর ছবি

কেমনে লেখেন এত সুন্দর! অসাধারণ!! এরকম কবিতারই অপেক্ষায় থাকি।
এ বইমেলায় কিন্তু বই চাই। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ফারুক হাসান এর ছবি

না রে ভাই, বই লেখার সাহস এখনো হয় নাই। বড় হয়ে কবি হলে তখন বই লিখুম। তত বড় এখনো হৈ নাই মন খারাপ

তিথীডোর এর ছবি

ভাইয়া, আপনার বড় হওয়ার আর কত দেরি? চোখ টিপি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

চলুক

ইয়ে, মেসিরে নিয়ে কোন কোবতে লেকবেন্না ?? দেঁতো হাসি

_________________________________________

সেরিওজা

ফারুক হাসান এর ছবি

ভাবছিলাম লিখুম কিন্তু পোলাটা তো কাপই হাতে নিতে পারলো না। নেক্সট টাইম!

সাবিহ ওমর এর ছবি

ধীরে বৎস, ধীরে...আগে মেসি একখান বিশ্বকাপ গোল দিয়ে দেখাক, তারপর...
তবে মুলারকে নিয়ে কিন্তু একটা মহাকাব্য লেখাই যায়...সলিড অভিমন্যু...চক্রব্যূহ ভাংলো, কিন্তু কার্ড খায়া আসল ম্যাচটাই খেলতে পারল না মন খারাপ

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এই যা, খিয়াল করি নাই তো... জার্মান্দের হাতে শেষ য্যান কবে কাপ গেস্লো ?? দেঁতো হাসি

_________________________________________

সেরিওজা

সাবিহ ওমর এর ছবি

থার্ড আর ফিফথ হওয়ার মধ্যে পার্থক্যটা কি খালি চাইর গোলের বৎস?

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এইতো লাইনে আইলেন... আমার্দল ফিফথ, ইতালি ফোর্থ আর আপনার হার-মানি থার্ড দেঁতো হাসি

_________________________________________

সেরিওজা

সাবিহ ওমর এর ছবি

মেয়েদের আন্ডু-২১ এ কিন্তু জর্মনিই জিতলো বটেক... এই মেয়েরা যখন বড় হবে, বিয়ে করবে, তারপর এদের যখন ছেলে হবে, সেই ছেলে যখন ওজিলের বয়সী হবে, তখন দেখায় দিব হুঁহ...

নীল রোদ্দুর [অতিথি] এর ছবি

আমি জীবনানন্দের দার্শনিক রোমান্টিকতায় হাবুডুবু খাই। ফিরতে গিয়েও কখনও ফেরা হয় না আমার। আমি শক্তি চট্টোপধ্যায়ের শক্তিশালী কবিতাগুলো নতুন করে সাহস পাই।

"যেতে পারি
যে-কোন দিকেই আমি চলে যেতে পারি,
কিন্তু কেন যাব?
সন্তানের মুখ ধরে একটি চুমো খাব

যাব
কিন্তু, এখনি যাব না।
একাকী যাবো না অসময়ে।"

ভাবছি, ঘুরে দাঁড়ানোই ভাল। হাসি

ভাইয়া, আপনার কবিতা আমাকে বারেবারে ছুঁয়ে যাচ্ছে, বারবার ঘুরে দাঁড়াতে বলছে। ফিরে যেতে গিয়েও আমার ফেরা হয় না যে।

ফারুক হাসান এর ছবি

মন্তব্য পড়ে ভাল লাগলো। কবিতার পাঠকও তাহলে আজকাল দেখা যায়!

তিথীডোর এর ছবি

শাতিল আপু,
খোমাখাতায় জলদি ফিরে এসো তবে.. হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নীল রোদ্দুর [অতিথি] এর ছবি

খোমাখাতায় মন নেইরে দিদিভাই। বিজ্ঞ আঁতেল বলে খ্যাতি হয়ে গেছে হেথায়। বিজ্ঞাপনের যুগে থাকি না একটুখানি অবিজ্ঞাপনী হয়ে। থাকি না একটু নির্জন পরবাসে। মন টানলে ফিরবনে।

তোর সাথে কথা হবে চিঠিতে। হাসি

দ্রোহী এর ছবি

জয়শ্রী কিডা গো ঠাকুর?


কি মাঝি, ডরাইলা?

ফারুক হাসান এর ছবি

যার বাড়ি যাইতে মঞ্চায় চোখ টিপি

দ্রোহী এর ছবি

সে কি বিবাহিতা? খাইছে


কি মাঝি, ডরাইলা?

ফারুক হাসান এর ছবি

হৈতে পারে, আবার নাও হৈতে পারে। জিগাই নাই। আপ্নে চাইলে জিগাইতে পারি।

কবিতায় মন নাই, পরনারীর বৈবাহিক অবস্থা নিয়া পৈরা আছেন। আপ্নাকে দিক্কার।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

মারাত্মক লাগলো.....কবে যে এমন কিছু একটা লিখতে পারবো!!

মূর্তালা রামাত

বাবুবাংলা এর ছবি

ফারুক হাসান লিখেছেন:

আমি তার উঠোনে পৌঁছুলে দুপুরের ছায়া গাঢ় হয়
একটা শালিক শুধু লেবুর ঘ্রাণ বেয়ে ভেসে আসে ভুলে

দারুন লিখেছেন।

ভর দুপুরে চুপি চুপি জয়শ্রীর বাড়ী যান, অথচ চূনোপুটি এক শালিক ছাড়া আর কিছু বাইর হইয়া আসে না!
আপনার ভাগ্য ভালো যে জয়শ্রীর বাড়ীতে পালা কুত্তা নাই।

জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

আঃতআঘদঋতঋঋইআ এর ছবি

ফারুক,কোন কোন দিন তোমাকে তোমার বাসায় পাওয়া যাইতনা। সকালে খেলার মাঠে, ২৯ এর আড্ডায়তেও না। বিকালে স্যুট বুট পইরা ক্রিকেট খেইলা বিড়িতে দুইটা টান দিয়া চুলে জল মাইরা (নট জেল স্যার) মেরুন রং এর পিরান কালা রং এর প্যান্টের ভিতর গুইজা আবারো "জরুরী" কাজ, সো চায়ের জলসার জৌলুস তোমারে টানেনা। খিক-----খিক-----এই "জয়শ্রী" রে আমি চিনি। রোদে পুইরা যাওয়া কোন কোন দুপুরবেলাতে এই "জয়শ্রী" কে দেখতাম কোন এক দূরদেশ থিকা বাড়ি ফিরতেছে!!যাক, না ফেনাই।মোগল আমলের ইতিহাস না খাই।কালীবাড়িতে "জয়শ্রী"র ওই বাড়ি কি এখনো ভালু পাও নাকি উঠানটারে এখন ১নং ইটার নীচে চাপা পরা মরা হলুদ ঘাসে ভরতি ন্যাটোং মনে হয়?

তানিম এহসান এর ছবি

কি সুন্দর একটি কবিতা!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।