এয়ারপোর্টে এক সন্ধ্যায়

ফাহিম এর ছবি
লিখেছেন ফাহিম [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ৩০/০৩/২০১০ - ১০:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফ্রাংকফুর্ট এয়ারপোর্টে অ্যারাইভাল সেকশান। আমার কাজিন একটু পরে নামার কথা, এমিরেটস-এর ফ্লাইটে। যাত্রীদের বের হবার গেটের সামনে একটা কোমর-সমান উঁচু কাঁচের দেওয়াল। এ-পাশে অপেক্ষমাণ দর্শনার্থীরা। আমি একটা কফি হাতে নিয়ে চুপচাপ এককোণে দাঁড়িয়ে গেলাম। ফ্লাইট প্রায় ৪০ মিনিট দেরী করেছে।

auto

কাঁচের দেওয়ালের এপাশে আমি-সহ প্রায় জনা তিরিশেক লোক অপেক্ষা করছে।

এক জার্মান দম্পতি অপেক্ষা করছিলো, তাদের দুই বাচ্চা। বড় মেয়েটা ৩/৪ বছর হবে বড়জোর, গোলাপী রঙের জামা আর মাথায় গোলাপী বান্ডানা। আর তার ছোটভাই মাত্র হাঁটা শিখেছে। টলোমলো পায়ে বেশ গম্ভীর মুখে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে, মুখে চুষনি। মা-বাবা তাদের ছেড়ে দিয়ে বসে আছে। মেয়েটা কিছুক্ষণ চেষ্টা করলো একটা ট্রলিতে চাপতে। না পেরে পাশের আরেক পিচ্চির দিকে মনোযোগ দিলো। আর তার ভাই কিছুক্ষণ কাচের দেওয়ালে থাবড়া-থাবড়ি করে ক্ষান্ত দিলো। সবচেয়ে মজা লাগলো তার বাবা-মার নির্লিপ্ততা। যাই করুক না করুক, কিছুতেই কিছু যায় আসে না। শুধুমাত্র পড়ে গেলে ধরে তুলে দিয়ে আবার জায়গায় গিয়ে বসে থাকে, পিচ্চি আবার তার মতো করে কর্মকাণ্ড চালাতে থাকে।

আরেক দম্পতি এসেছে, তাদেরও এক মেয়ে আর কোলে একটা ছেলে। মেয়ের বাবা তাকে একটা ট্রলিতে বসিয়ে ধুমসে চক্কর খাওয়াচ্ছে। মেয়েও খুবই মজা পাচ্ছে। এক চক্কর শেষ না হতেই, "আবার, আবার..."। দেখেই তো আমার মাথা ঘুরাচ্ছে, পিচ্চির দেখি কিছু হয় না!

ওদিকে আরেকটা পরিবার অপেক্ষা করছে। তাদের ছেলেমেয়ে দু'টো অনেকগুলো এ৪ কাগজে বিভিন্ন রকম ফুল, লতা পাতার ছবি এঁকে নিয়ে এসেছে। তার সবগুলোকে পাশাপাশি জোড়া দিয়ে লম্বা একটা পোস্টার বানিয়েছে। তারপর কাঁচের দেওয়ালে দু'কোণা দুজন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। সম্ভবতঃ যে আসছে, তাকিয়ে মুগ্ধ করে দেওয়ার একটা প্রচেষ্টা।

একটা ব্লন্ড মেয়ে চুপচাপ বসে আছে, খুবই শান্ত ও গোছানো ভঙ্গীতে। তার পাশে খুব সম্ভবতঃ ইউক্রেনিয়ান দম্পতি নিজেদের মধ্যে খুবই সিরিয়াস আলাপ আলোচনা করছে। ভাষা না জানায় বোঝা গেল না বিষয়বস্তু। তবে স্বামী বেচারার উত্তেজনা টের পাওয়া যাচ্ছিলো। আমার পাশেই এসে দাড়ালো একজন মহিলা, কন্যা-সমেত। এই মেয়ে ভীষণ লাজুক। কাঁচের দেওয়ালের ওপাশে কী হচ্ছে, তা দেখার জন্য তার ব্যাপক আগ্রহ বোঝা যাচ্ছে, কিন্তু লোকজন ঠেলে-ঠুলে গিয়ে দেখার মতো সাহস পাচ্ছে না। এক বুড়ি এসে জিজ্ঞেস করলো, "আমার কোলে এসো, আমি তোমাকে উঁচু করে ধরে দেখাচ্ছি...", কিন্তু ম্যাডাম রাজি হলেন না, বরং আরও জড়োসড়ো হয়ে মায়ের শরীরের সাথে প্রায় মিশে গেলো।

এরই মধ্যে ফ্লাইট ই.কে. ০৪৭ এর যাত্রীরা লাগেজ নিয়ে বের হওয়া শুরু করেছে। একটা ইন্ডিয়ান ছেলে বের হলো, বয়স খুব বেশি হলে ১৮/১৯ হবে। সে বের হওয়ার সাথে সাথে এক জার্মান মেয়ে দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো। পেছন পেছন মেয়ের বাবা-মা। ভাবে-সাবে মনে হলো ইন্ডিয়ান ছেলে আর জার্মান মেয়ে বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড হবে, কিন্তু কেম্নে কী, সেইটা বুঝলাম না।

এরই মধ্যে বান্ডানা-পরা পিচ্চি "ওমা, ওমা" (দাদী, দাদী) বলে চিৎকার করা শুরু করলো, দুই বুড়ো-বুড়ি বের হয়েছে, তাদের দিকে চেয়ে। বুঝলাম দাদা-দাদীর জন্য অপেক্ষায় ছিলো তারা। বুড়িও তার ট্রলি লাগেজ ফেলে এক চিৎকার দিয়ে নাতনীর দিকে দৌড় দিলো, সে এক দেখার মতো দৃশ্য!

auto

এক পৃথিবীর বুকে কতো রকম মানুষ, কতো রকম সংস্কৃতি, অথচ কি দূর্দান্ত মিল!


মন্তব্য

প্রবাসিনী এর ছবি

"Love Actually" সিনেমাটা মনে পড়ে গেল। সুন্দর লিখেছেন।
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

তারানা_শব্দ এর ছবি

আমারও তাই... সিনেমার প্রথম দিকে দৃশ্যগুলো.. দারুণ একটা মুভি...

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

হাহা - আমারও, হাসি শুরুর আগের কথাগুলো বিশেষ করে:
"Whenever I get gloomy with the state of the world, I think about the arrivals gate at Heathrow Airport. General opinion's starting to make out that we live in a world of hatred and greed, but I don't see that. It seems to me that love is everywhere. Often, it's not particularly dignified or newsworthy, but it's always there - fathers and sons, mothers and daughters, husbands and wives, boyfriends, girlfriends, old friends. When the planes hit the Twin Towers, as far as I know, none of the phone calls from the people on board were messages of hate or revenge - they were all messages of love. If you look for it, I've got a sneaking suspicion... love actually is all around."
আবারও দেখতে হবে সময় করে - আমার অল টাইম ফেভারিটগুলির মধ্যে একটা চোখ টিপি
ডিসক্লেইমার- ইউটিউব আর মারলাম না - বদলে ভালো লাগা স্ক্রিপ্টটা পুরাটাই তুলে দিলাম হাসি

ফাহিম এর ছবি

সিনেমাটা দেখা হয় নাই, দেখে ফেলবো...

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

তারানা_শব্দ এর ছবি

PAPA লেখা ছবিটার মত সুন্দর ছবি মনে হয় আমি এই জীবনে আর দেখি নি...অ-সা-ধা-র-ণ...
মেয়ে বলেই মনে হয় বাবার প্রতি একটু বেশিই পক্ষপাতিত্ত!!

আমার কখনো ২টা বাচ্চা হলে আমার জামাইকে অন্য দেশে পাঠায় দিব...তারপর সে যেই দিন আসবে সেই দিন এমন করে পাপা লিখে ওদের হাতে ধরায় দিব...কী মজা হবে!! বাচ্চার চাইতে আমারই বেশি মজা লাগতেসে... দেঁতো হাসি

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

ফাহিম এর ছবি

হুম, ভালোই হবে...

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

মূলত পাঠক এর ছবি

চমৎকার, খণ্ডকালের ছবি এমন ব্লগরব্লগর আরো আসুক।

ফাহিম এর ছবি

ধন্যবাদ মুলোদা।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

ফাহিম এর ছবি

ধন্যবাদ! দেঁতো হাসি

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

কাকুল কায়েশ এর ছবি

ভাল লাগল রে দোস্ত!
আচ্ছা, প্রথমে নিজের ছবিই পোস্ট করে দিয়েছিস মনে হচ্ছে? চিন্তিত লুকিং হ্যান্ডসাম! চোখ টিপি

====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

ফাহিম এর ছবি

না দোস্ত, ছবিসূত্র গুগল!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

শরতশিশির এর ছবি

ভাল লেগেছে বেশ।

ছোটবেলায় আব্বু যখন ট্যুরে যেত বাইরে, আমি একদম যতদূর যাওয়া যায় সি-অফ করতে, যেতাম। আর প্রত্যেকবার কাঁদতাম - কখনও রেলিং ধরে ভিআইপি লাউঞ্জের বাগানের, কখনও একদম টারম্যাকের সামনে থেকে। আব্বুও জানতো মেয়ে এই কাজ করবে প্রতিবার, তাই ঘুরে তাকাতো আর আমার দিকে প্লেনের দরজা থেকে হাত নাড়তো। এমন কী, আমি যখন বেশ বড়, তখনও একই কাজ করতাম। কিন্তু গত বছর আমার এখান থেকে সি-অফ করতে মন শক্ত করে রাখতে হয়েছিলো, যদিও আব্বু আমাকে ধরে কেঁদেছিলো খুব, দু'বার ফ্রেশ্ররুমে পাঠাবার পরেও। আমার এখন চোখ ভরে গেছে এসব মনে করে। বাপের মেয়ে, কী করবো!

এইসব কারণে, সি-অফ করতে যেতে ভাল লাগে না এয়ারপোর্টে, যদিও রিসিভ করতে যেতে কোনও আপত্তি নেই।

আসলেই, 'লাভ একচুয়ালি'র প্রথম সীনটুকু মনে হলো পড়ে।

আর, প্রচুর ইন্ডিয়ান থাকে তো জার্মানিতে, এমন কী যারা সুরিনাম, মাদাগাস্কার, ফিজি কিম্বা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বংশোদ্ভূত, তারাও কিন্তু এখনও দেখতে আমাদের মতোই। আমার এক ফ্রেন্ড আছে, হাঙ্গেরীয়ান, আসলে 'রোমা' (বা যেটা ভুল করে 'জিপসী' বলি আমরা) - ও একদম দেখতে ইন্ডিয়ানদের মতো। অথচ, বেশ কয়েক জেনারেশান ধরে ওরা 'রোমা', ভারতের সাথে কোনওরকম সম্পর্ক নেই।

সেই। আবেগের বহিঃপ্রকাশে আমরা সবাই প্রায় একইরকম।

ভাল থাকবেন। হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

ফাহিম এর ছবি

ধন্যবাদ!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

জীবনে একবার দুই বন্ধু এয়ারপোর্টে রিসিভ করতে এসেছিল। তাছাড়া এই জীবনে প্রিয়জনদের কাছ থেকে সি-অফ বা রিসিভ কোনটাই কপালে জোটেনি।

অতিপরিচিত দৃশ্য চমৎকার ভাবে বর্ণনা করেছেন। সত্যি আপনার দেখার চোখ আছে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ফাহিম এর ছবি

ঢাকায় আসলে সেইভাবে রিসিভ করার উপায় নেই, প্রচণ্ড ভিড় থাকে।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

দ্রোহী এর ছবি

ভালো লেগেছে লেখাটা।

ফাহিম এর ছবি

ধন্যবাদ!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

দুর্দান্ত এর ছবি

সুন্দর লেখা হয়েছে।
ঢাকা এয়ারপোর্টে নেমে অনেকদিনের অদেখা বাবা-মা কে জড়িয়ে ধরার আনন্দ তুলনাহীন।

ফাহিম এর ছবি

আসলেই তুলনাহীন! আসলেই...

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি

আপনার বর্ণনা এতো সুন্দর !
মনে হচ্ছিল সব চোখের সামনে দেখতে পারছি। চলুক

ফাহিম এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ভীষণ গরমে ঠান্ডা ভেজা এক ঝলক বাতাসের মতো লাগলো, ফাহিম।
সত্যিই আপনি দেখতে জানেন। হাসি
ছবি দুটোই অসাধারণ !

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ফাহিম এর ছবি

সহৃদয় মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ছবি গুগল থেকে মেরে দিয়েছি!!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

ফ্রুলিক্স এর ছবি

ফ্রাঙ্কফুটের ফাহিম ভাই নাকি??
লেখা ভাল্লাগছে। ফ্রাঙ্কফুট এয়ারপোর্টের লোকজনকে সিঅফ আর রিসিভ করতেই জীবনের অনেকটা সময় গেলো। অতি পরিচিত দৃশ্যের । বিশেষ করে পিচ্চিদের প্রতি মা-বাবার উদাসীনতা। এজন্যই ওরা ছোট থেকেই আত্মনির্ভরশীল হতে শেখে।
গাড়ি কেমন দৌড়াইতেছে?

ফাহিম এর ছবি

মাসুম ভাই না আপনে?? হ। চিনতে পারসি...

গাড়ি জটিল দৌড়াইতেসে, এর মইধ্যে ১০ হাজার কি.মি. রান কইরা ফালাইসি।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার লিখেছেন। প্রবাস জ়ীবনের টুকরো টুকরো অভিজ্ঞতাগুলো লিখতে থাকেন, আগ্রহ নিয়ে পড়ব।

সদস্যনাম: রেজওয়ান২২
email:

ফাহিম এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আগে চোখে পড়েনি... ওডিনদার সুবাদে পেলাম... বাহ! আসলেই আপনার দেখার চোখ আছে! হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

বাহ্‌! এটা আগে পড়া হয় নাই। আমার পাবলিক ট্রান্সপোর্টের জায়গাগুলোতে পিচ্চিদেরকে দেখতে খুব ভাল লাগে, মাঝে মাঝে আপত্তি না থাকলে ছবিও তুলি। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নীলকান্ত এর ছবি

কোনদিন কাউকে সিঅফ বা রিসিভ করতে যাইনি। অনুভূতি কেমন হয় সে বিষয়ে ধারণা কম। তবে আপনার দেখার চোখকে সমীহ না করে পারছি না।


অলস সময়

নিবিড় এর ছবি

এই লেখা আগে মিস করে গেছিলাম

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।