মুভি রিভিউঃ থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার

ফাহিম এর ছবি
লিখেছেন ফাহিম [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১৯/০৯/২০১০ - ৭:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অবশেষে থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার দেখা হলো। যদিও এই ছায়াছবি নিয়ে ব্লগ জগতে ও পত্র পত্রিকায় অনেক আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছে এবং এই লেখাটি সম্পূর্নভাবে লেবু কচলে তিতা বানানোর মতো মনে হতে পারে, তবুও মতামত বা বিশ্লেষনটুকু শেয়ার করার লোভ সামলানো গেল না।

auto

প্রথমেই আসি ওপেনিং সিকোয়েন্স বিশ্লেষনে। প্রথম দৃশ্যেই দেখানো হলো একটা মেয়ে, রুবা, একটা প্রায় অন্ধকার গলি দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, তাকে অত্যন্ত ভীত মনে হচ্ছে, মনে হচ্ছে সে কোন কিছু অথবা কারো কাছ থেকে পালাতে চাইছে। গলির অন্ধকারে তাকে বারবার লুকিয়ে পড়তে দেখা যায়। কেন? কার কাছ থেকে পালাচ্ছে রুবা?

দ্বিতীয় দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে একটা ছেলে গলির মধ্যে মোবাইলে কথা বলতে বলতে হঠাৎ রুবার সামনে এসে ফোনটা কেটে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। রুবা শুরুতে শান্ত ও সাহসী ভঙ্গীতে কথা বললেও, এক সময় সে দৌড়ে পালিয়ে যেতে চায়।

তৃতীয় দৃশ্যে রুবার সাথে "সীমা চৌধুরী"র, যাকে পুলিশ ফাঁড়িতে ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়েছিল, একটা কথোপকথন দেখানো হচ্ছিল। স্পষ্টতঃই এটা একটা রূপক দৃশ্য। এখানে পুলিশের কাছেও যে রুবা নিরাপদ না, সেটা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

চতুর্থ দৃশ্যে রুবার হাত গ্রিলের ভেতরে দিয়ে একটা ছেলে ধরে ফেললো ও আরো কয়েকটা ছেলে তাকে ধরার জন্য গ্রিলে টপকাতে চেষ্টা করলো। রুবা কোনমতে হাত কামড়ে তাদের হাত থেকে দৌড়ে পালালো।

পঞ্চম দৃশ্যে রাস্তার পাশে রুবাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে একজন লোক খুব অশ্লীলভাবে তাকে নিশিকন্যা সাব্যস্ত করে সাথে যাওয়ার জন্য বললো।

তার পরের দৃশ্যে রুবাকে পুলিশ এসে থানায় নিয়ে গেল। থানায় অফিসারের সাথে তার কথোপকথন থেকেই মূলতঃ কাহিনীর বাস্তব অংশের শুরু। এর আগের দৃশ্যগুলোতে রূপকের মাধ্যমে এই সমাজে মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতার ব্যপারটা তুলে ধরা চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু উপরোক্ত পাচটি দৃশ্যের সমন্বয়ে যেই রূপক প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হয়েছে, সেই দৃশ্যগুলো অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর। একটা ছায়াছবির কল্পনা দৃশ্যেও ন্যূনতম কিছু বাস্তবতা থাকতে হয়। প্রথম, তৃতীয় ও পঞ্চম দৃশ্য রূপক হিসেবে ঠিক আছে। দ্বিতীয় ও চতুর্থ দৃশ্য ঠিক নেই। ঢাকার রাস্তায় ছেলেরা একলা মেয়ে দেখলেই তাদের রেপ করার উদ্দেশ্যে দৌড়ানি দেয়, এটা একাধারে হাস্যকর, বালখিল্য ও চরমভাবে বাস্তবতা বিবর্জিত একটা কষ্টকল্পনা। ইভ টিজিং বা মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতা একটা বাস্তব বিষয়, কিন্তু পরিচালক যেভাবে ব্যাপারটা ভিজুয়ালাইজ করেছেন, তা অত্যন্ত অপরিণত ও খেলো মনে হয়েছে।

এই ছবির প্রতিটি পুরুষ চরিত্র রুবার দিকে লোভী দৃষ্টিতে তাকিয়েছে, তাকে ভোগ করতে চেয়েছে। বৃদ্ধ ঢাকাইয়া বাড়িওয়ালা, গলির যুবক থেকে শুরু করে তার ছোটবেলার বন্ধু পর্যন্ত। প্রত্যেকটা পুরুষ উন্মুখ হয়ে আছে তাকে বিছানায় নেওয়ার জন্য, তাকে ভোগের বস্তু ছাড়া অন্য কিছু মনে করতে পারে না। এমনকি তার ছেলেবেলার বন্ধু, যার কাছে সে নিরুপায় হয়ে আশ্রয়ের জন্য গিয়েছে, সেও রাতের বেলা রুবার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে, দরজায় ফোকর খোজার চেষ্টা করে। বিশেষ করে অত্যন্ত কুৎসিত লেগেছে তাকে সাহায্য করতে চাওয়া সেই বৃদ্ধটি, যে কিনা দাবী করে তার বয়স ছেচল্লিসে আটকে আছে। গাড়িতে বসিয়ে তিনি রুবাকে "** ইউ" জাতীয় গান শোনান ও রুবার দিকে অর্থপূর্ণ দৃষ্টিতে তাকান। এই দৃশ্যে পরপর তিনবার রুবা ও বৃদ্ধের পোষাক ও মেকআপ পরিবর্তন করে সম্ভবতঃ বৃদ্ধের ক্রমবর্ধমান আকাঙ্ক্ষার রূপটাকে বোঝাতে চেয়েছেন। ব্যাপারটা সম্ভবতঃ অন্যভাবেও দেখানো যেত, কিন্তু ঠিক এইভাবে এই কুৎসিত গানটা ব্যবহার করার লজিকটা কী হতে পারে? আমাদের কুৎসিত মানসিকতার দিকে আঙ্গুল তুলে দেখাতে চেয়েছিলেন? এটা কি আমাদের অন্তরীণ লোলুপ, আগ্রাসী ও ধর্ষকামী কামনার একটা প্রকাশ?

মায়ের সাথে ছাদে রুবার কথোপকথনের দৃশ্যটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে পরিচালক আমাদের নতুন কিছু তথ্য দেন। কেন রুবা ঘর ছেড়ে বেরিয়েছে, মা বাবার সাথে তার সম্পর্ক কী। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, মায়ের চরিত্র রূপদানকারী ভদ্রমহিলার অত্যন্ত আড়ষ্ঠ অভিনয় বিরক্তির উদ্রেক করেছে। যতো ছোটই হোক না কেন, একটা ছায়াছবি বা নাটকে একটা চরিত্রের ন্যূনতম কিছু প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে হয়। তা না হলে সেই চরিত্রের কাছে এসে কাহিনীর গতি মুখ থুবড়ে পড়ে। এই দৃশ্যের মধ্য দিয়ে পরিচালক দর্শকদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিতে চেয়েছিলেন রুবার অতীতের ব্যপারে। কিন্তু মায়ের চরিত্রটির জড় পদার্থের মতো অভিনয় পুরো দৃশ্যটা মাটি করে দিয়েছে। এই দৃশ্য বাদ দেয়াই সমীচিন ছিলো। এই তথ্য অন্য কোনভাবে, উদাহরণ স্বরূপ রুবা ও তার আশ্রয় দানকারী বোনের কথোপকথনের মাধ্যমে দেয়া যেত। ওই চরিত্রের ভদ্রমহিলা বেশ সাবলিল অভিনয় করেছেন।

দুই মূল পুরুষ চরিত্রের প্রথমজন রুবার স্বামী বা বয়ফ্রেন্ড। তাদের ভাষ্যমতে তাদের বিয়ে হয়নি ও তারা ভদ্রলোকের বাড়িতে লিভ টুগেদার করছেন। করতেই পারেন, তাতে কোন সমস্যা নেই। সমস্যা হলো ভদ্রলোকের চরিত্রটার। সে কি মানসিকভাবে অসুস্থ্? তার কথা বলার ভঙ্গী তাই সাজেষ্ট করে। বাবার সাথে তার কথোপকথনের দৃশ্য দেখে কিছুটা সন্দেহ জাগে। কথা বলার ভঙ্গী স্বাভাবিক নয়, কেমন ছাড়া নিরাবেগ রোবটের মতো। মোশাররফ করিমের শক্তিমান অভিনেতার এতো বাজে অভিনয় করার কথা না। তার মানে দাঁড়ায় পরিচালক চাইছেন তিনি ওইভাবে কথা বলুন, অর্থাৎ চরিত্রটির মধ্যে একটু অস্বাভাবিকতার বীজ তিনি বুনতে চেয়েছেন। তারপর যখন জানা যায়, রাগের মাথায় খুন করে এখন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে জেলে আছে, তখন চরিত্রটির অস্বাভাবিকতা সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হওয়া যায়।

দ্বিতীয় মূল পুরুষ চরিত্র তপু। যিনি একজন প্রতিষ্ঠিত গায়ক এবং রুবার ছেলেবেলার বন্ধু। বেশ কয়েকবার বলা হয়েছে, সেই সময় সে রুবার জন্য ফিদা ছিলো। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, চরিত্রটির রূপদানের জন্য একজন গায়কের আসল নাম ব্যবহার করা হলো কেন? বা সেই আসল গায়ক ভদ্রলোককেই চরিত্রটির রূপদানের জন্য বেছে নেওয়া হলো কেন? এই চরিত্রটা পুরো ছায়াছবির একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটা নিয়ে এই ধরণের ছেলেখেলা না করলেই কি হতো না? তপুর অভিব্যক্তিহীন অভিনয় পুরো ছবির জন্য একটা মারাত্মক নেতিবাচক দিক হিসেবে কাজ করেছে।

অভিনয়ের ক্ষেত্রে যদি আসি, রুবাকে কেন্দ্র করে পুরো ছবির কাহিনী এগিয়েছে। তিশা অভিনেত্রী হিসেবে মাঝারী মানের, তবে নিদেনপক্ষে তাকে সাবলিল মনে হয়েছে। তাকে কেন্দ্র করে বিন্যস্ত হয়েছে মোশাররফ করিম ও তপুর চরিত্র। মোশাররফ করিম অত্যন্ত শক্তিশালী অভিনেতা। তার ছিড়া ও পাগলা টাইপের চরিত্র তিনি পরিচালকের চাহিদা মোতাবেক ভালোই ফুটিয়ে তুলেছেন। যদিও চরিত্রটির তার ছিড়া হওয়ার কোন যৌক্তিক কারণ বোধগম্য হয়নি। আরেক পুরুষ চরিত্রে তপু ভরাডুবি করেছেন। তার ভবিষ্যতে অভিনয়ের পথে পা না বাড়ানোই ভালো। সুযোগসন্ধানী কামুক বৃদ্ধের ভূমিকায় আবুল হায়াত মানানসই অভিনয় করেছেন। এছাড়া রুবার বোনের চরিত্রটিও ভালো অভিনয় করেছ।

এছাড়া বাদ বাকি প্রত্যেকটি চরিত্র অখাদ্য অভিনয় করেছেন। এদের দিয়ে ফারুকী ঘরাণার বিশ মিনিটের নাটক হয়তো উৎপাদন করা সম্ভব, কিন্তু দুই ঘন্টার একটা সিনেমা কোনভাবেই নয়।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পরিচালক মোস্তফা সারওয়ার ফারুকী একজন মেধাবী ব্যক্তি, এ নিয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। তপু বা অন্যান্য জড় চরিত্রগুলোতে যে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হচ্ছে না, সেটাতো তাঁর বোঝার কথা। তাহলে তিনি তার ভাই বেরাদার গোষ্ঠীর ব্যবহৃত চেনা অভিনয়জ্ঞানশুন্য লোকজনকে দিয়ে অভিনয় করানোর ঝুকিটা কেন নিলেন? তার কি বিশ্বাস ছিলো এদের মধ্য থেকে তিনি কিছু দূর্দান্ত অভিনয় বের করে নিয়ে আসবেন? নাকি আর্থিক অস্বচ্ছলতা তাকে কিছু ভালো অভিনেতা অভিনেত্রীর দিকে যেতে দেয়নি? নাকি চরিত্র রূপায়নের চেয়ে বন্ধুবাৎসল্যই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে তাঁর কাছে? তবে কারণ যাই হোক না কেন, দর্শক হিসেবে কেউ প্রতারিত বোধ করলে তাকে বোধ হয় দোষ দেয়া যাবে না।


মন্তব্য

রনি [অতিথি] এর ছবি

ছবিটি দেখা হয়নি, তবে মুভি রিভিউ ভালো হয়েছে।

ফাহিম এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সিনেমা দেখিনি বা দেখার ইচ্ছে/সময় কোনটাই নেই। ফারুকীর নাটক আমি গিলতে পারিনা। আপনার রিভিউ ভালো লেগেছে। নেগেটিভ-পজিটিভ মিলিয়ে একটা ধারণা পেলাম।

ফাহিম এর ছবি

সময় করে পড়া ও মন্তব্য করার ধন্যবাদ পিপিদা।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আপনার বর্ণনায় দ্বিতীয় আর চতুর্থ দৃশ্যের কথা রাগীমন সিন্ড্রোমের কথা মনে করিয়ে দিলো! পরিচালকের মনেহয় এই রোগ হয়েছিলো। এই রোগ হলে জগতের সবাই রোগীর সাথে 'ভাব' করতে চায় বলে রোগীর মনে হতে থাকে। আর পরিচালক যেহেতু একজন পুরুষ রোগী, তাই তাঁর কাছে 'ভাব'টা পরিণত হয়েছে 'মাথাব্যথার অসহনীয় কারণ' হিসেবে।



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

ফাহিম এর ছবি

হা হা হা... ভালই বলেছেন!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

সচল জাহিদ এর ছবি

সচলায়তনে এই ছবিটির রিভিউ নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছিল নাদির জুনাইদেরএই পোষ্টটিতে

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ফাহিম এর ছবি

অসম্ভব দূর্দান্ত একটা রিভিউ ও আলোচনা। ধন্যবাদ লিংকটার জন্য!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

পাঠক [অতিথি] এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার সাথে একমত পোষণ করছি। ছবিটা যেভাবে শুরু হয়েছে পরবর্তীতে তা সেভাবে মোটেও এগোয়নি। আর তেমন কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ ছাড়া একটা মেয়ে কেন মাঝ রাত্রে পথে নেমে পড়বে তা বোধগম্য নয়। গৃহ পরিচারিকা হলেও বোঝা যেত। কিন্তু রুবা শিক্ষিত, সংস্কৃত। তার উচ্চ পর্যায়ের বন্ধু-বান্ধবও আছে। তাদের কাউকে ফোন করে নিয়ে যেতে বললেই চলত। আমার মনে হয় দর্শকের কল্পনাকে উসকে দিতেই এই ফালতু নাটক সাজানো হয়েছে। মোশাররফ করিম এখন টাইপড। যেভাবেই হোক তাকে সে রকমই দেখাতে হবে- এই প্রবণতা হালের পরিচালকদের মধ্যে দেখছি। মোশাররফের বাবা যে রকম যাত্রার ঢঙে ডায়লগ দিলেন তাতে যাত্রার নট-নটীরাও লজ্জা পাবেন। হঠাৎ করে তপুর আগমন অনাকাঙ্খিত ও আরোপিত। এ রকম আরও অসংখ্য অসঙ্গতি দেখানো যায়। সর্বোপরি ছবির আখ্যানভাগ বাস্তবাতা বর্জিত। বোঝা যায় ছবি নিয়ে যত লাফালাফি তা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য পূরণার্থেই।

জহিরুল ইসলাম নাদিম

ফাহিম এর ছবি

সহমত!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

অর্বাচীন [অতিথি] এর ছবি

আগের রিভিউ পড়া হয়নি তাই আপনার রিভিউ থেকেই বলছি। ফারুকীকে আমার স্যাডিস্ট মনে হয়েছে সবসময় । জীবনের শুধুমাত্র নেগেটিভ দিক তুলে ধরা কোন নাট্যকার কিংবা চলচ্চিত্রকারের মূল উদ্দেশ্য হতে পারে না । থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার এ কাতারে নতুন সংযোজন মাত্র । বেশী অবাক হই যখন শুনি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এ মানের মুভি আবার প্রশংসিত হয়।পুরুষ মানেই পরকীয়া আর নারীলোভী হবে -এটাই যদি বাস্তব হতো আমাদের মতো গুটিকতক আমজনতাও আর এ সমাজে টিকতে পারত না । আর আমজনতা হিসেবে ব্যক্তিগত মতের প্রকাশ কাউকে ক্ষুন্ন করে থাকলে অধম ক্ষমাপ্রার্থী।

ফাহিম এর ছবি

ফারুকীকে আমার স্যাডিস্ট মনে হয়েছে সবসময়

ঠিক স্যাডিস্ট কি বলা যায় ভদ্রলোককে? আমার মনে হয় না। তবে তার মেথড অফ এক্সপ্রেশনে সমস্যা আছে মানতেই হবে।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

নাশতারান এর ছবি

ফারুকীকে আমার স্যাডিস্ট মনে হয়েছে সবসময় । জীবনের শুধুমাত্র নেগেটিভ দিক তুলে ধরা কোন নাট্যকার কিংবা চলচ্চিত্রকারের মূল উদ্দেশ্য হতে পারে না ।

আপনি সম্ভবত পেসিমিস্ট বোঝাতে চেয়েছেন। কারণ স্যাডিস্ট (সঠিক উচ্চারণ সেইডিস্ট) হলো সেই বিকৃতমনস্ক ব্যক্তি যে নিষ্ঠুরতার মাঝে আনন্দ খুঁজে পায়।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ফাহিম এর ছবি

পেসিমিস্ট বলতে আমি যা বুঝি তাতে হতাশাবাদটা প্রধাণ। এই ধরণের শিল্প বা সাহিত্যে তীব্র বিষাদগ্রস্থতা থাকবে। আর স্যাডিজ়ম খুব জটিল টার্ম, এক ধরণের মানসিক বিকৃতি থেকে অন্যকে শারিরীক বা মানসিক অত্যাচারের মাধ্যমে সুখ চরিতার্থ করা।

ফারুকী সাহেবকে আমি পেসিমিস্ট বা স্যাডিস্ট, কোনটাই বলবো না। তাকে তুলনা করা যেতে পারে খুব রঙচঙ্গে একটা ঘুড়ির সাথে, সুতো কেটে যে গন্তব্যহীন ভেসে চলছে আর বেছে বেছে বেপাড়ায় গিয়ে ঠোকর খাচ্ছে।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

অতিথি লেখক এর ছবি

তাকে তুলনা করা যেতে পারে খুব রঙচঙ্গে একটা ঘুড়ির সাথে, সুতো কেটে যে গন্তব্যহীন ভেসে চলছে আর বেছে বেছে বেপাড়ায় গিয়ে ঠোকর খাচ্ছে।
উঁহু! একমত না। ফারুকীর ঘুড্ডি ঠিক জায়গামতো গিয়েই গোত্তা খেয়েছে। কীভাবে তিশাকে বগলদাবা করল, দেখেন নাই? চোখ টিপি

কুটুমবাড়ি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার রিভিউ খুবই ভাল হয়েছে। পরিচিত কারো কাছ থেকেই ভাল মন্তব্য না পাওয়ায় সিনেমা হলে গিয়ে দেখিনি মুভিটা (আল্লাহর অশেষ রহমত!)। এবার ঈদে দেখার সুযোগ হয়ে গেল আর শুরুটাই এত যুক্তিহীন যে তখনি বুঝলাম বাকিটা কেমন হবে। এটা সামাজিক ছবি কেন তা আমি এখনো বুঝিনি। বাকিদের কথা জানিনা...কিন্তু আগের দৃশ্যটা মিস করার কারনে আমার আম্মা যখন তপু পকেট থেকে কী ছুঁড়ে ফেল্ল এবং কেন ফেলল...এ ধরনের প্রশ্ন করে, তখন আমি অস্বস্তি ফিল করি...:@ (আমি ব্যকডেটেড হয়তো)। কিন্তু তারপরো, এটা পুরা ফাউল আর অসম্ভব স্লো একটা মুভি!

ফাহিম এর ছবি

খাপছাড়া অনেক দৃশ্য আছে যেগুলো সিনেমাটার আবেদন নষ্ট করেছে। ছবির মূল থিমটা কিন্তু ভালোই ছিল।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

পাঠক [অতিথি] এর ছবি

অর্বাচীন বলছেন


পুরুষ মানেই পরকীয়া আর নারীলোভী হবে -এটাই যদি বাস্তব হতো আমাদের মতো গুটিকতক আমজনতাও আর এ সমাজে টিকতে পারত না ।

আমার তো 'মনে হয়' দেশের বেশীরভাগ পুরুষই নারীলোভী/পরকীয়া সন্ধানী।

স্টাটিসটিকস কী বলে?

ফাহিম এর ছবি

আমার তো 'মনে হয়' দেশের বেশীরভাগ পুরুষই নারীলোভী/পরকীয়া সন্ধানী

আপনার তাই মনে হয়!!? অদ্ভূত তো, আমার কিন্তু কখনোই এমনটা মনে হয়নি।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

জাহামজেদ এর ছবি

তপুকে এই ছবিতে অভিনয় করানো হয়েছে ইয়াং জেনারেশনের কাছে তপুর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগানোর জন্য, এছাড়া আর কোনো কারণ নেই।

তবে ছবির সবচেয়ে বাজে জিনিষ হচ্ছে, এই ছবির সিনেমাটোগ্রাফী। আমি কখনোই সরওয়ারের কাছ থেকে এমন সিনেমাটোগ্রাফীর ছবি আশা করিনি, তার বোঝা উচিৎ ছিলো এটা টিভি নাটক নাটক না। ছবিতে এমন কিছূ দৃশ্য আছে যেগুলো দেখানোর সময় আমার মাথা ঘুরেছে। দৃশ্য ধারণে এক্সপেরিমেন্ট করতে দর্শককে সরাসরি বিভ্রান্ত করেছেন, বিশেষ কিছু দৃশ্যে ক্যামেরা যে পরিমাণে কাঁপাকাপি করেছে তাতে আমার মনে হয়েছে হ্যান্ডিক্যাম দিয়ে বানানো একটি ছবি আমি দেখছি !

লিমনের গানগুলো ভালো ছিলো।

এই ছবির সবচেয়ে বড় বিতর্কিত বিষয়টা আপনার রিভিউতে উঠে আসেনি।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

ফাহিম এর ছবি

তপুকে এই ছবিতে অভিনয় করানো হয়েছে ইয়াং জেনারেশনের কাছে তপুর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগানোর জন্য, এছাড়া আর কোনো কারণ নেই।

বুলস আই!!

তবে ছবির সবচেয়ে বাজে জিনিষ হচ্ছে, এই ছবির সিনেমাটোগ্রাফী।

একমত না, সিনেমাটোগ্রাফীতে কিছু কাজ ভালো লেগেছে আমার!

লিমনের গানগুলো ভালো ছিলো।

সহমত।

এই ছবির সবচেয়ে বড় বিতর্কিত বিষয়টা আপনার রিভিউতে উঠে আসেনি।

হয়েছে কী, এক ঘন্টা পাঁচ মিনিট পর ইন্টারনেট কানেকশন চলে গিয়েছিল, তারপর আর বাকিটা দেখার উৎসাহ হয় নি। আমার রিভিউ পুরো সিনেমার না, প্রথম অর্ধের। তাই সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয়টি উঠে আসেনি।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

দ্রোহী এর ছবি

চমৎকার রিভিউ।


কাকস্য পরিবেদনা

ফাহিম এর ছবি

ধন্যবাদ দ্রোহীদা!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

রাশু [অতিথি] এর ছবি

রিভিউ ভালো লেগেছে। মুভি দেখা হয়নি, সচলেই অন্য আরেকটি রিভিউ পড়ে সে ইচ্ছে উবে গিয়েছিল। আমর ক্রমশঃই ধারণা বাড়ছে যে ফারিকী তার নিজের আবস্থানে আটকে গেছেন। তার এই সেনামার কাহিনীতে আমাদের নাগরিক জীবনের প্রেক্ষাপটে কিছু পরীক্ষামূলক কাজ করার চেষ্টা করলেও সেগুলো তার স্টেরিওটিপিকাল কাঠামোর বাইরে যেতে পারেনি। রিভিউতে সম্পর্কগত দ্বন্দ্বের বিষয়টি আরো আসতে পারতো।

রাশু

ফাহিম এর ছবি

তার এই সেনামার কাহিনীতে আমাদের নাগরিক জীবনের প্রেক্ষাপটে কিছু পরীক্ষামূলক কাজ করার চেষ্টা করলেও সেগুলো তার স্টেরিওটিপিকাল কাঠামোর বাইরে যেতে পারেনি।

অত্যন্ত ভালো পর্যবেক্ষণ। ধন্যবাদ আপনাকে।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

অতিথি লেখক এর ছবি

সিনেমাটায় খাবলা খাবলা ভাবে কয়েকটা সিন ভাল্লাগছে। তবে সিনেমার মূল কাহিনীর আগা মাথা কিছু বুঝলাম না। আমি বলবো কয়েকটা সিনে মোশাররফ করিমের এক্সপ্রেশন খুব ভাল হইছে (অবশ্য এইটা তার অভিনয়গুণে)। একটা ছোট চরিত্রের কথা আপনি উল্লেখ করেন নাই সে হচ্ছে রূবার বান্ধবী যার কাছে রূবা আশ্রয় নিতে গেছিল, এ কিন্তু অভিনয় খারাপ করে নাই। এই সিনেমায় কয়েকটা ইন্টারেস্টিং দৃশ্য আছে যা বাংলা সিনেমায় আগে দেখি নাই (অবশ্য আমি বাংলা সিনেমা তেমন দেখিও নাই খাইছে ), যেমন তপু ফার্মেসীতে কনডম কিনতে গিয়ে দ্বিধায় ভুগে যদি কেউ তার চিন্না ফালায় দেঁতো হাসি তবে সিনেমার কাহিনীগুলা বড়ই খাপছাড়া। পাবলিক সিনেমাটা কেন খাইলো বুঝলাম না।

সত্যান্বেষী

ফাহিম এর ছবি

পাবলিক সিনেমাটা কেন খাইলো বুঝলাম না।

বুঝতে আমারও সমস্যা হইসে!!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

ধুসর গোধূলি এর ছবি

পাবলিক সিনেমাটা কেন খাইলো বুঝলাম না।
পাবলিক আদৌ সিনেমটা খাইছে নাকি? পরিচিত সবাই-ই তো বের হয়ে নেতিবাচক কথাবার্তা বলছে শুনলাম। আর তারা সিনেমাটা দেখতে গেছে পাবলিসিটি তথা বিজ্ঞাপনের কারণে। খাওয়ার কারণে না।


বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

রাশু [অতিথি] এর ছবি

সম্পূর্ণ একমত

রাশু

জিয়া [অতিথি] এর ছবি

রিভিউ পড়ে ছবিটা দেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি।

ফাহিম এর ছবি

কেন ভাই, দেখুন আগে, তারপর বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিন...

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

অতিথি লেখক এর ছবি

ছবিটা দেখি নি, দেখার কোন ইচ্ছেও নেই। তাই আলোচনার সমালোচনা করা আমার পক্ষে সম্ভব না! তবে মোশারফ করিম শক্তিমান অভিনেতা হলেন কোনদিক দিয়ে বুঝলাম না!

আর ফারুকীদার কাছ থেকে এর চেয়ে ভাল কি আশা করেন আপনারা???

---থাবা বাবা!

ফাহিম এর ছবি

তবে মোশারফ করিম শক্তিমান অভিনেতা হলেন কোনদিক দিয়ে বুঝলাম না!

বলেন কী? !!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

অতিথি লেখক এর ছবি

এক্কেবারে ভূয়া একটা ছবি,
আরেকবার দেখলে নির্ঘাত আমার বমি হবি !!!

ফিসফিস

ফাহিম এর ছবি

হুমম...

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

সুমন চৌধুরী এর ছবি

দেক্সি।
ভাল্লাগে নাই।
ফাইজলামিরো একটা মান থাকা লাগে।



অজ্ঞাতবাস

সুমন চৌধুরী এর ছবি

তার থিকা এইটা অনেক ভালো



অজ্ঞাতবাস

ফাহিম এর ছবি

এইটাও দেখসিলাম আগে, ভালো লাগে নাই!!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

সুমন চৌধুরী এর ছবি
ফাহিম এর ছবি

আবার জিগায়...

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

অমিত আহমেদ এর ছবি

সিনেমাটা দেখিনি। দেখাই ইচ্ছেও তেমন নেই। ফারুকী এবং তার অনুসারীদের পরিচালনা, প্রযোজনা, ও পরিবেশনার প্রতি আগ্রহ পাই না। প্রথম দিকে অনেকের প্রশংসা শুনে কয়েকটি নাটক ডাউনলোড করে বুঝেছিলাম ব্যান্ডউইথ অন্য কিছুতে খরচ করাটাই বুদ্ধিমানের। সিনেমালোচনা কিন্তু ভালো হয়েছে।

ফাহিম এর ছবি

একটু দ্বিমত পোষন করি। সবসময় ভাল জিনিষই দেখতে হবে, এমনটা কিন্তু কাজের কথা নয়। "ততটা ভাল নয়" গোত্রের জিনিষও দেখা উচিত ও বোঝার চেষ্টা করা উচিত সমস্যাটা কোথায়।

পড়া ও সহৃদয় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

অমিত আহমেদ এর ছবি

যুক্তি ঠিক আছে। হাতে সময় থাকলে দেখাই যায়।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সিনেমাটা দেখিনাই। তাই আপনার বিশ্লেষণের পক্ষ বিপক্ষে যেতে পারছিনা। তবে আপনার বিশ্লেষণ ভঙ্গীটা চমৎকার লেগেছে। দারুণ বিশ্লেষণ ক্ষমতা আপনার! থাম্বস আপ!

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ফাহিম এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

তাসনীম এর ছবি

এই ছবিটা প্রবাসে হলে বসে দেখা প্রথম বাংলা ছবি। আমাদের ছোট শহর অস্টিন, টেক্সাসের বাংলাদেশিরা ছবিটার একটি মাত্র শো করেছিলাম, মেইনস্ট্রিম থিয়েটার হলে। পনের বছরের প্রবাস জীবনে এটা আমার হলে বসে দেখা একমাত্র বাংলা ছায়াছবি। এর পরেরটা কবে দেখব জানিনা। দেখার সময় ছবিটা এঞ্জয় করেছি এই কারণেই।

আপনার রিভিউয়ের সাথেও একমত। এই ছবি দেখার পরের দিন সকালে এর কথা ভুলে যাওয়ার কথা, হয়েছেও তাই। তিশাসহ ফারুকীর সব নায়িকারাই চেঁচামেচি আর ঝগড়া ছাড়া কথা বলতে পারে না। কন্ডোম কেনার দৃশ্য নাকি কোন একটা হিন্দি ছবি থেকে মেরে দেওয়া (নামটা তখন কে যেন বলেছিল)।

তবে ছবির গানগুলো ভালো লেগেছে। লিমনের গলা অনবদ্য।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ফাহিম এর ছবি

তবে ছবির গানগুলো ভালো লেগেছে।

আমারও!! স্টিকে এখনো আছে অ্যালবামটা।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

...ডুপ্লি ঘ্যাচাং...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

সিনেমাটা দেখি নাই। নিজে না দেখে কোন কিছু নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। তবে, ফারুকীর বেশ কিছু নাটক, সিনেমা দেখেছি। সেই প্রসঙ্গে বলতে চাই, তার তৈরি কোন কিছুই এখনো সেভাবে মনে দাগ কাটে নাই। সবকিছুরই কাহিনির প্লট, চরিত্রগুলো আর ডায়ালোগ একই রকম মনে হয়েছে ঘুরে ফিরে। নতুনত্ব নাই, বৈচিত্র নাই। হ্যাঁ প্রথম দিকের কিছু জিনিস নতুন লেগেছিল, আধুনিক শহুরে (তাও ঢাকাই মূলত) সমাজের একটা নতুন দিক তুলে ধরছে মনে হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তী বাকি সব কিছুই ঐ প্রথমগুলোর রিপিটেশন ছাড়া আর কিছুই মনে হয় নাই। তার তৈরি জিনিসগুলোর মাঝে তাই তেমন কোন কিছুই বিশেষভাবে স্টিক আউট করে না।
একই জিনিস বারবার দেখতে ভাল লাগে না। অন্যদের কাছে শোনা প্রতিক্রিয়া থেকে মনে হল আবার ঐ একই জিনিস, একই চরিত্র, একই ভাবে বলা একই ডায়ালগ, তাই আর এইটা দেখবার আগ্রহও নাই।

তবে অর্ধেক সিনেমা দেখে লেখা রিভিউও অসম্পূর্ণই হয় আমার মতে। পুরোটা দেখে লেখলেই মনে হয় বেশি ভাল হত। কিন্তু যেটুকু লিখেছেন ভাল লেগেছে পড়তে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ফাহিম এর ছবি

তবে অর্ধেক সিনেমা দেখে লেখা রিভিউও অসম্পূর্ণই হয় আমার মতে।

আপনার সাথে একমত, রিভিউটা অসম্পূর্ণ!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

তানভীর এর ছবি

সিনেমা দেখলাম গতকাল। আমার কাছে অবশ্য খারাপ লাগে নাই। অন্তত দেখতে গিয়ে ঘুমায়ে পড়ি নাই দেঁতো হাসি

ফাহিম এর ছবি

আপনার হজমশক্তির প্রশংসা না করে থাকা যাচ্ছে না!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।