পার্কে প্রেমের উপাখ্যান

ফাহিম হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফাহিম হাসান (তারিখ: মঙ্গল, ১৪/০২/২০১২ - ১০:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই গল্পটা প্রেম ও অনুরাগের। ত্রিভুজ প্রেমের এই জমজমাট কাহিনিতে আমার ভূমিকা যথারীতি উঁকিবাজ টম হিসেবে, আর নায়ক-নায়িকা দম্পতি আপনাদের আধ-চেনা। আকাশে বাতাসে এখনো প্রেমের জীবাণু; পহেলা ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবসের আমেজটুকু খোমাখাতায় স্পষ্ট টের পাচ্ছি। এমন সময়ে ভালোবাসার গপ্পো বলার সুযোগটা হাতছাড়া করলাম না।

ভালোবাসার সাথে পার্কের বেশ ঘনিষ্ঠ একটা সম্পর্ক আছে। নাগরিক জীবনে প্রেম করার মত, দু-দন্ড কথা বলার মত নিরিবিলি পরিবেশ নেই বললেই চলে। এক আছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোর, আর না হলে স্থানীয় পার্ক (ফাস্ট ফুডের দোকান আর লিটনের ফ্ল্যাটকে গোণায় ধরলাম না – ওগুলো বড় গদ্যময় জায়গা)। চলন্ত রিকশাও একটা বিকল্প হতে পারে, কিন্তু তৃতীয় পক্ষ হিসেবে চালকের উপস্থিতি অকপট ভাব বিনিময়ের জন্য বিশেষ বিব্রতকর। সে হিসেবে পার্কের সুবিধা অনেক। পা বাড়ালেই সবুজ ঘাস আর হাত বাড়ালেই সস্তার বাদাম। দেশে থাকতে পার্কে প্রেম করার এই চমৎকার সুযোগটা পাই নি, বরং অনেকগুলো বিকেল নষ্ট করেছি টোয়েন্টি-নাইন নামক বিদঘুটে খেলায় হাত মকশো করে। প্রবাস জীবনে ল্যাবের সাদা দেওয়াল যখন চেপে ধরলো চারিদিক থেকে, মনে হল, কাছের পার্কে একটা ঢুঁ মারা দরকার।

আমার শহরে বেশ কিছু বড় পার্ক আছে, খুব সুন্দর করে সাজানো। অনেক গাছপালা, পুকুর, সাইকেল চালানোর রাস্তা, পায়ে হাঁটা পথ, বিশ্রাম করার জন্য চমৎকার জায়গা, এমন কী বার-বি-কিউ করার জন্য বন্দোবস্ত আছে। বিকেল হলে নানা লোকের ভিড় জমে। বাচ্চারা অর্থহীন চিৎকার করে ঢাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ে, স্বাস্থ্য রক্ষায় দৌড়ে বেড়ায় জিরো ফিগার তরুণীরা, তাদের পিছু নেয় কানে আইফোন গোঁজা নানা সাইজের ছেলে ছোকরা থেকে শুরু করে আধবুড়োর দল। উলটে রাখা ঝাড়ুর মত দেখতে গাছগুলোর নিচে খুনসুটি চলে জোড়ায় জোড়ায়।

এইসব টুকিটাকি দৃশ্য নানা আলোকচিত্রীর ছবিতে এসেছে (শুধু নিউইয়র্ক সেন্ট্রাল পার্কের উপরেই অগুণতি ফটোস্টোরি হয়েছে)। আমার আগ্রহ তাই ছিল পার্কের অন্যান্য বাসিন্দাদের দিকেই। এই বাসিন্দারা হলেন নানা জাতের পাখি। মূলত গাঙচিল আর হাঁস। শীতের সময়ে এদের অনেকেই উত্তরের হিম হিম পরিবেশ থেকে উষ্ণ ক্রান্তীয় অঞ্চলে যাত্রা করে – সে হিসেবে এই পরিযায়ী পাখিদের অনেকেই আপনাদের চেনা। আমিও প্রথম দেখায় তাদের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে পরিচিত হাসি দিলাম।

কিন্তু পাখিরা আমাকে পাত্তাই দিল না। প্রথম পরিচয়ের সামান্য সৌজন্য রক্ষাতেও তাদের অনীহা চোখে পড়ার মত। গাঙচিলগুলো মাথার উপরে পাক খেতে খেতে তারস্বরে চেঁচাতে থাকলো, ধেড়ে হাঁসগুলো আমার ক্যামেরা তোয়াক্কা না করে আগের মতই গ্যাঁট হয়ে বসে রইল। আর ম্যাগপাই গুলো পায়ে পায়ে ঘুরতে লাগলো পাঁউরুটির টুকরোর আশায়।

গাঙচিলের অত্যাচারে আমি যখন অতিষ্ঠ, তখন নজরে পড়ল কয়েকটা পাখির দেহে যৌবনের চিহ্। মৈথুনকালীন সময়ে দেহে নানা পরিবর্তন আসে, পালকের রঙ বদল এই পরিবর্তনের অংশ। এমনিতে অল্প বয়সী গাঙচিলের ডানার রঙে বাদামী ছিটে থাকে। মৈথুনকালীন সময়ে পালটে তা গিয়ে গাঢ় ধূসরে পরিণত হয়।

Young Ring-billed Gull (Larus-delawarensis)

Ring-billed Gull - radiating spirit from wings

বাড়ি ফিরে উত্তর আমেরিকার ফিল্ড গাইড খুলে দেখলাম আকাশ জুড়ে সত্যি আসন্ন মৈথুনের আভাস। আমি অনেকদিন ধরে একটা ছবিলেখ দাঁড়া করানোর চেষ্টা করছি। বিষয় আমাদের চারপাশের পশুপাখিদের সঙ্গমকালীন পরিবর্তন ও আচরণ নিয়ে। যৌবনে পশু-পাখি-পতঙ্গ সবার মাঝেই নানা পরিবর্তন আসে। এই পরিবর্তন তাদের পছন্দমত সঙ্গী খুঁজে পেতে সাহায্য করে। এই সঙ্গী খোঁজা পর্বগুলো খুব আকর্ষণীয়, নানা রোমাঞ্চকর ছলাকলায় পূর্ণ। নীচের ছবিগুলো Ring Billed Gull (অঙ্গুরিঠূঁটো গাঙচিল)পাখিদের প্রণয় নিয়েই।

এই অঙ্গুরি ঠুঁটো গাঙচিলেরা আকারে প্রায় ১৭-২০ ইঞ্চির মত হয়, তা মাঝারী আকৃতির একটা কবুতরের মত। ডানা ছড়ালে প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি আকারের দেখায়। পেটুক পাখিগুলো খুবই আগ্রাসী ও প্রায় সময়ই অন্য পাখির খাবার ছিনতাই করে। চমৎকার উড়তে পারে, শূন্যে নানা কসরতও দেখায়। তবে বাসা করে মাটিতে। এদের সঙ্গী নির্বাচন প্রক্রিয়াটা মোটেই অ্যা্রঞ্জড ম্যারেজ নয়, বরং নানা রাগ-অনুরাগের মাধ্যমে একটা পরিণয়ের দিকে গড়ায়।


প্রথমে পুরুষ সঙ্গী চারিদিক তোলপাড় করে ডাকাডাকি করতে থাকে (Mating Call)। সেই ডাকাডাকি হাঁকাহাঁকিতে আমরা অস্থির হলেও লাস্যময়ী কোন এক স্ত্রী পাখির মন নিশ্চয়ই গলে। সাড়া পেলে পুরুষ পাখি ক্ষণিকের জন্য শান্ত হয়।

তারপর কিছুক্ষণ হুটোপুটি চলে। ঠিক ছাত্রদল-ছাত্রলীগের মত ধাওয়া পালটা ধাওয়া নয়, আরেকটু শান্ত মেজাজে, রয়ে সয়ে। দুই পক্ষই বেশ আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকে। ডানা ঝাপ্টায়, একে-অন্যকে গুঁতো দেয়। এভাবেই পরস্পরের আরো কাছাকাছি আসে।

When Love is in the Air

পরিণয়ের এক পর্যায়ে ঠোঁট দিয়ে একে অন্যের পালক খুঁচিয়ে দেয়। গা ঘেঁষে উষ্ণতা বিনিময় চলে। কখনো ঠোঁটের সাথে মিলে যায় ঠোঁট।

Intimacy
Kiss

এরপর যা হয় তা কিঞ্চিৎ “ইয়ে”, লজ্জার ব্যাপার।

Courtship of Ring-billed Gull

এই ছবিগুলোর সবগুলোই স্থানীয় পার্ক থেকে তোলা। ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি সম্পর্কে অনেকের একটা ভুল ধারণা আছে যে ছবি তুলতে গেলে গহীন অরণ্যে বা আফ্রিকার সাভানায় বড় একটা লেন্স বাগিয়ে দৌড়াতে হবে। আসলে আমাদের চারপাশের জগতে একটু চোখ রাখলেই চমৎকার সব ছবির সন্ধান পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে তাই প্রস্তুতি হিসেবে প্রচুর পড়াশোনা করা চাই। পাখির ছবি তুলতে গেলে আগে তাদের আচরণ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হয়। একেক জাতের পাখির জীবনযাপনও একেকরকম। তাই ফিল্ডে সময় দিতে হবে। ধৈর্‍য ধরে দিনের পর দিন লেগে থাকতে হবে, পরিবেশের সাথে খাপখাইয়ে নিতে হবে।

যাই হোক, আসল কথা হল জীবজন্তুর ছবি তোলার জন্য স্থানীয় পার্ক খুব চমৎকার একটা জায়গা। কিন্তু আমরা এইসব পার্কে ঘুরতে গিয়ে গাছের পাতা ছিঁড়ে, ফুল ছিঁড়ে, ঝোপ-ঝাড় নষ্ট করে, আইস্ক্রিম-চিপসের প্যাকেট ফেলে, বিড়ি খেয়ে নোংরা করে একেবারে যা-তা অবস্থা করে রাখি। এর উপর আছে কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও উন্নাসিকতা। রাজ্যের ফুলের গাছ, বিদেশি ক্যাকটাস এনে লাগানো হয় অথচ দেশি ফলের গাছগুলো পড়ে থাকে অযত্নে। অথচ একটু যত্ন নিলেই স্থানীয় একটা পার্কে কাঠবিড়ালী বা বেজি বাসা করতে পারে। পাখিরাও আশ্রয় পায়।

আসুন, আমরা আমাদের পার্কগুলোকে পরিবেশবান্ধব, প্রণয়বান্ধব করি।


মন্তব্য

ফাহিম হাসান এর ছবি

* peeping tom >> উঁকিবাজ টম ( কৃতজ্ঞতা স্বীকার: জ্যোতির্ময় বণিক )

চরম উদাস এর ছবি

লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা লইজ্জা লাগে

ফাহিম হাসান এর ছবি

চরম উদাস লজ্জা পেলে কিভাবে হবে?

সচল জাহিদ এর ছবি

দারুন। ছবিগুলো কি হরেলাক পার্ক থেকে তোলা?


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ফাহিম হাসান এর ছবি

ঠিক ধরেছেন ভাইয়া হাসি
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথিঃ অতীত এর ছবি

শেষের ছবিটা দুর্ধর্ষ!!! দেঁতো হাসি

অতীত

ফাহিম হাসান এর ছবি

ধন্যবাদ অতীত

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

আসুন, আমরা আমাদের পার্কগুলোকে পরিবেশবান্ধব, প্রণয়বান্ধব করি

ফাহিম হাসান এর ছবি

আপনি এত ইমো কই যে পান!

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

প্রেম ও পর্নো বিষয়ে বিদগ্ধ ব্লগারের ইয়ে-ওলা ছবি দেখে খুব মজা প্লাম দেঁতো হাসি

ফাহিম হাসান এর ছবি

আপনি মজা পেয়েছেন জেনে আমিও মজা পেলাম

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

বরাবরের মতই (গুড়)

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ফাহিম হাসান এর ছবি

অনেক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নীড় সন্ধানী এর ছবি

মানুষ ছাড়া আর কোন প্রাণী চুমু খায় না বলে জানতাম। লজ্জার ব্যাপারের আগে তাদের তো চুমু খেতে দেখা গেল। তা হোক, আমার সমস্যা কী? আমার সমস্যা হলো একটা উদ্ভট ভাবনা। ওই চুমুতে উষ্ণতা বিনিময় কি করে হয়? দুই ঠোটই তো পেলাস্টিকে তৈরী চিন্তিত

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

কালো কাক এর ছবি

আমি একবার দুইটা কাককে দেখেছিলাম চুমু খেতে। তবে তখন তো এটার মানে চুমু খাওয়া বুঝিনি। বড়দের জিজ্ঞেস করেছি ঘটনা কী ? তারা বলে খাবার খাওয়াচ্ছে। অথচ দুইটাই বড় ছিলো, এভাবে ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে খাবার খাওয়ানোর কথা না। হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

কাউয়াদের মধ্যেও নিশ্চয়ই মৈত্রেয়ী দেবী এবং ক-হণ্যতে আছে। এবং সেখানে নিশ্চয়ই এই চুমু খাওয়া নিয়ে লেখা আছে, 'মুখের উপর শুষ্ক টাকটুক বাইরাবাইরি'।

ফাহিম হাসান এর ছবি

হে হে হে, নীড়দা

উষ্ণতা বিনিময়টা চলে ডানা ঘষে, বুকে বুক ঠেকিয়ে লইজ্জা লাগে উপর থেকে চার নং ছবিটা দেখুন।

যুমার এর ছবি

চমৎকার ছবি ও উপাখ্যান।
উঁকিবাজ টমকে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ফাহিম হাসান এর ছবি

আপনাকেও আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

এত কাছ থেকে পাখি তো আগে দেখিনি !! অ্যাঁ

খুব ভালো লাগল ফাহিম ভাই । আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ফাহিম হাসান এর ছবি

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রদীপ্তময় সাহা ভাই

শাব্দিক এর ছবি

ফালগুনের হলদে শুভেচ্ছা।
লেখা আর ছবি বরাবরের মতই চমৎকার!

ফাহিম হাসান এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ, ফাল্গুনের শুভেচ্ছা

তারেক অণু এর ছবি

চমৎকার।

ফাহিম হাসান এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ অণু ভাই

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

অনেক রোমান্টিক লেখা!!!!!!! লইজ্জা লাগে

ফাহিম হাসান এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ খাইছে

guesr_writer rajkonya এর ছবি

হাসি

ফাহিম হাসান এর ছবি
ধুসর গোধূলি এর ছবি

নাউযুবিল্লা কাজকারবার! ছি ছি, দেশের যুবপাখিসমাজ তো দেখি উচ্ছন্নে গেলো! এইজন্যই দেশটার কোনো উন্নতি হয় না।

সাফি এর ছবি

ফাহিম হাসানদের জন্য ব্লগ আজ এনিম্যাল পর্ন হয়ে যাচ্ছে। তওবা তওবা।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

বেলেল্লাপনায় লিপ্ত এইসব পাখিদেরকে কোমর পর্যন্ত মাটির ভেতর রেখে পাত্থর মারা হোক।

ফাহিম হাসান এর ছবি
সাফি এর ছবি

আচ্ছা, গালরা কি উপকূলীয় অঞ্চলের বাইরেও বাসা বাঁধে? উপরের ছবিগুলোর সময়কাল বোধকরী এক না, তাই না? নিচের ছবিগুলোর জমে যাওয়া পানির তাপমাত্রায় কি প্রথম ছবির ঘাস এত সবুজ থাকতে পারে?

ফাহিম হাসান এর ছবি

নাহ, ছবির সময়কাল প্রায় ছয়মাস। অনেকদিন লাগলো ছবিগুলো তুলতে মন খারাপ

গালরা উপকূল থেকে দূরেও বাসা করে। কর্নেল ল্যাবে আরেকটা মজার তথ্য পেলাম -

Many, if not most, Ring-billed Gulls return to breed at the colony where they hatched. Once they have bred, they are likely to return to the same breeding spot each year, often nesting within a few meters of the last year's nest site. Many individuals return to the same wintering sites each winter too.

সোর্স: http://www.allaboutbirds.org/guide/Ring-billed_Gull/lifehistory/ac

ধূসর জলছবি এর ছবি

পাখিরাও ছলাকলা করে!!! এতদিন ভাবতাম কেন পাখি হলা্ম না, খালি খেতাম, ঘুমাতাম আর উড়ে বেড়াতাম । এখন দেখছি পাখিদেরও সঙ্গি খুজতে হয়, ছলাকলা করতে হয়, প্রণয়ও করতে হয়।। ঝামেলা। চিন্তিত

ফাহিম হাসান এর ছবি

শুধু পাখি কেন? অনেক পশুও সঙ্গী খুঁজতে গিয়ে হয়রান হয় চোখ টিপি

কাজি_মামুন এর ছবি

ভালবাসা দিবসে আপনি অন্য এক ভালবাসার গল্প শোনালেন, যা প্রচলিত গপসপ থেকেও বেশী উপভোগ্য হয়েছে! আপনার ছবিলেখ ন্যাশনাল জিওগ্রাফির কথাই মনে করিয়ে দিয়েছে!

দুই পক্ষই বেশ আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকে। ডানা ঝাপ্টায়, একে-অন্যকে গুঁতো দেয়। এভাবেই পরস্পরের আরো কাছাকাছি আসে।

ভালবাসা পর্বের আগে এই সংঘাত পর্ব খুব কৌতূহল জাগাচ্ছে! কেন এমনটা হয়? পালকের রং বদলের যেমন বায়োলজিক্যাল কারণ পাওয়া যায়, এর পেছনে তেমন কারণ আছে কোনও?

আসুন, আমরা আমাদের পার্কগুলোকে পরিবেশবান্ধব, প্রণয়বান্ধব করি।

পরিবেশবান্ধব তো আমরা সব সময় শুনি; কিন্তু প্রনয়বান্ধব কথাটা (যা শুধু মানব-মানবীর জন্য নয়, বিহঙ্গ-বিহঙ্গীর জন্যও ) খুবই জটিল লাগল। এমনি জটিল লাগল, ''উল্টে রাখা ঝাড়ুর দেখতে গাছগুলো''' বা ''আকাশ জুড়ে সত্যি মৈথুনের আভাস'' ইত্যাদি মজার বাক্যগুলোও।
পরবর্তী লেখার পথ চেয়ে আছি। ভাল থাকবেন।

ফাহিম হাসান এর ছবি

প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ। সংঘাত পর্বের পিছনে নিশ্চয় কোন কারণ আছে। বিহেইভিওরাল বায়োলজিস্টরা ভাল বলতে পারবেন। তবে আমার মনে হয় এটা কিছুটা ছদ্ম, মানে মিছেমিছি আরকি!

কুমার এর ছবি

ডেভিড আটেনবুড়োর বার্ডস অব প‍্যারাডাইছে দেখছিলাম কিছু ছলাকলা।
লেখা এবং ছবি চ্রম ভালু পাইলাম।

ফাহিম হাসান এর ছবি

ঐটা আমিও দেখেছি। ডেভিড আটেনবুড়ো গুরু গুরু গুরু গুরু

ধন্যবাদ

নিটোল এর ছবি

দারুণ! চলুক

_________________
[খোমাখাতা]

ফাহিম হাসান এর ছবি

ধন্যবাদ আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তাপস শর্মা এর ছবি
ফাহিম হাসান এর ছবি

ধন্যবাদ তাপসদা

মিলু এর ছবি

গুল্লি গুরু গুরু

ফাহিম হাসান এর ছবি
উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

আপ্নে দেখি এনিমল-পর্নো ফটোগ্রাফার হয়ে যাচ্ছেন!!
ছবি যথারীতি সিরাম!!

---------------------
আমার ফ্লিকার

ফাহিম হাসান এর ছবি

আর না, পর্নোগ্রাফির এখানেই শেষ। এরপর থেকে অন্য ছবি দিব।
উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ধন্যবাদ, ভাল লাগলো ছবিগুলো ও বাংলা ভাষায় আপনার বর্ণন।

ফাহিম হাসান এর ছবি

উৎসাহের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রৌঢ়ভাবনা।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পার্কগুলো খুব বেশি "প্রণয়বান্ধব" না হওয়াই ভালো! চোখ টিপি

লেখা, ছবি, সবই খুব ভালো লাগলো।

ফাহিম হাসান এর ছবি

পার্কগুলো খুব বেশি "প্রণয়বান্ধব" না হওয়াই ভালো! - হা হা হা

অনেক ধন্যবাদ

সায়ন এর ছবি

চলুক

ফাহিম হাসান এর ছবি
দ্যা রিডার এর ছবি

চমৎকার । লেখায় (গুড়) , ছবিতে উত্তম জাঝা! , ছবি তোলার ধৈর্যের জন্য হাততালি

ফাহিম হাসান এর ছবি

ধন্যবাদ, ধন্যবাদ এবং ধন্যবাদ

রু (অতিথি) এর ছবি

পার্কে তো আমিও কত ঘোরাঘুরি করি (মর্নিং এন্ড ইভনিং ওয়াক আর কী), কই আমার চোখে তো এইসব বেলেল্লাপনা ধরা পড়ে না! আপনার মনেই আসল ময়লা, এইগুলা খুঁজে খুঁজে বের করেন খালি।

ফাহিম হাসান এর ছবি

আপনি চোখ থাকিতে অন্ধ খাইছে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।