ছুটাগল্প ১: পরী ও পাপনের প্রেম - অনুভূতিতে বিলাস, বিচ্ছেদে বাহুল্য

গৌতম এর ছবি
লিখেছেন গৌতম (তারিখ: মঙ্গল, ১৫/০১/২০০৮ - ৩:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাপন জানে, অনুভূতির তীব্রতা নিয়ে সুস্থভাবে বেঁচে থাকা যায় না।

ইংরেজি নববর্ষে সে তাই কিছু সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলো। কিন্তু চেয়েছিলো- সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার আগে অন্তত পরীর সাথে যেন একবার দেখা হয়। তাতে সিদ্ধান্তগুলো নিতে তার সুবিধা হবে। আদৌ সেসব সিদ্ধান্ত নেয়ার দরকার আছে কি-না, সেই প্রশ্নটিরও একটি উত্তর পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পরীর সাথে দেখাটা হয়নি।

ফলে এক তীব্রতম আবেগের রাতে হাঁটতে হাঁটতে পাপন সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে নেয়। রোম্যান্টিক মুহূর্তগুলোতে আকাশে চাঁদের আলো থাকে। সেদিন ছিলো না, কারণ পরীকে তার চাঁদের চাইতেও বেশি কিছু মনে হয়। ফলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মুহূর্তগুলোতে সে পরীর আবেশের বেষ্টনীতেই আসলে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলো।

পাপনের মান-অপমানবোধগুলো খুব সূক্ষ্ম নয়। ফলে সাদা চোখে যে অপমানগুলো উপেক্ষা করা যায়, সেগুলো সে অনায়াসেই ডাস্টবিনের মতো করে ফেলে দেয়। তবে অভিমানবোধ অসম্ভব তীব্র। ফলে ফেলে দেওয়া অপমান জমা হয় তার মধ্যে অভিমানাকারে। কিছু কিছু ঘটনা সে উপেক্ষা করতে চেয়েছিলো, পারেনি। ফলে সেগুলো অপমান-অভিমান-ক্ষোভে মিশে অলিন্দ-নিলয়ে জমাট বেধে আছে।

পাপন ভাবে, কোনো রোম্যান্টিক মুহূর্তে আপাদমস্তক প্রেমিককে যদি প্রেমিকা জানায়- সে যে ধরনের পুরুষ চায় প্রেমিকটি সে ধরনের নয়; বরং তার প্রেমিকার কোনো বন্ধুর মাঝে সে তার কাঙ্ক্ষিত পুরুষটিকে খুঁজে পেয়েছে, প্রেমিকা যদি বলে- তার চাইতে ওই বন্ধুর সাথে সময় কাটাতে সে পছন্দ করে, তাহলে প্রেমিকের কি অপমানিত হওয়া উচিত? হাঁটতে হাঁটতে এসব অলস চিন্তা ভর করে পাপনের মাথায়। এ যেন এক ধরনের ধাঁধা। জীবন নিয়ে, মানসিক টানাপোড়েন নিয়ে ধাঁধা। পাপন ভাবতে চেষ্টা করে, তার পরী যদি কোনোদিন তাকে এ কথা বলে, সেদিন পাপন কি নিজেকে অপমানিত মনে করবে? আহত বোধ নিয়ে অভিমানের কাঁথায় নিজেকে জড়িয়ে ছেড়ে দিবে কয়েকটি ঘুমজাগানিয়া ওষুধের মাঝে? পাপন ভাবতে থাকে, হাঁটতে থাকে, ঘোর বাড়তে থাকে, ওষুধ কিনতে থাকে, ... থাকে, সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

পাপনের বোধ একসময় হোঁচট খায় নিজের বোধের সাথেই। তীব্রতম বোধ জানায়- অনুভূতির তীব্রতা নিয়ে সুস্থভাবে বেঁচে থাকা যায় না। সাথে সাথেই পাপন বুঝতে পারে তার কী করা উচিত। নববর্ষের সিদ্ধান্ত সে নেয় বর্ষ যখন আস্তে আস্তে বাসি হতে থাকে। পাপন এখন জানে- পরী তাকে যতোটুকু ভালোবাসবে, পাপন বাসবে তার বহুগুণ বেশি। পরী যখন তাকে কষ্ট দিবে, উপেক্ষা করবে, বাসবে না ভালো, আরেক যুবকের দিতে নির্ণিমেষ তাকাবে, পরীর যে অনুভূতি শুধু পাপনের দিকে আসার কথা ছিলো সেগুলো লক্ষ্যচ্যুত হয়ে অন্য কারো দিকে যাবে- তখন সে হয়তো থাকবে পরীর সাথেই, কিন্তু সে আসলে থাকবে না পরীর সাথে। কারণ তখন পাপন সঞ্জীব চৌধুরীর মতোন গাইতে থাকবে-
... কষ্ট পেয়ে চলে যাবো ফিরেও তাকাবো না;
... রাগ করে চলে যাবো কাছেও আসবো না।

পরী কি তখন বুঝবে পাপন আছে তার শরীরের কাছে, মনের কাছে নেই? পরী হয়তো কিছুই বুঝবে না; কারণ পাপন তাকে এগুলো বলবে না কখনোই, কখনোই না।


মন্তব্য

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কেউ যদি বেটার অপরচুনিটি পেয়েই যায়
তাহলে কি তাকে আটকানো উচিৎ?
নাকি তাকে আটকানো যায়?

অন্দ্রিলা এর ছবি

মানুষ কি টুথব্রাসের মতো? আগের চেয়ে ভালো একটা পেয়ে গেলে, পুরোনোটা বাদ দিয়ে দেবে?

অবশ্য মানুষকে আটকানো যায়না, এটা হচ্ছে কথা।

লেখাটা ভালো হয়েছে। পাপন আর পরীর প্রতি শুভেচ্ছা।

গৌতম এর ছবি

অবশ্য মানুষকে আটকানো যায়না, এটা হচ্ছে কথা।

পাপন জানে, সে যদি পরীকে আটকাতে না পারে, তাহলে সে নিজেই আটকে যাবে। পরীর কোনো সাধ্য থাকবে না পাপনকে সেখান থেকে বের করে আনে।

আরে, কী বেকুবের মতো কথা! পরীর তো তখন কোনো ইচ্ছেই হবে না পাপনকে নিয়ে কিছু করতে।

আপনার শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ। এটা হযতো গল্প। কিন্তু বাস্তব কাহিনী নিয়ে যদি গল্প হতে পারে, গল্পকেও হয়তো বাস্তবে রূপান্তরিত করা যাবে। আপনার শুভেচ্ছা পাপনকে পৌঁছে দিব। সে শক্তি পাবে।

..................................................
ছিদ্র খুঁজে বেড়াই, বন্ধ করার আশায়

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

মানুষের কাছে মানুষ টুথ ব্রাশের কাছেও খারাপ
টুথব্রাশ অন্তত মানুষ কিছুদিন রাখার চিন্তা করে
কিন্তু মানুষ এক মানুষের সাথে হাঁটতে হাঁটতেই অন্য মানুষ খোঁজে
পেয়ে গেলেই পুরোনোটা বাদ দিয়ে ছুট

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমার টুথব্রাশটা পাইতাছি না। ব্যাগে ভর কইরা সেইটা কয়েক হাজার ফুট উপরে অবস্থানরত মনেহয় মন খারাপ
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

গৌতম এর ছবি

তাকে আটকানোর চেষ্টা করাও উচিত হবে না তখন। রশির বাঁধন যতো শক্ত হবে, তাকে ধরে রাখার সম্ভাবনাও ততো কমতে থাকবে। পাপন জানে এটা। জানে বলেই তার সব কষ্ট। সে তো আটকাতে চায় না, ধরে রাখতে চায়। শুধু বেটার অপরচুনিটির সংজ্ঞাটাই তার কাছে অস্পষ্ট। সে জানে, এই নাগরিক জীবনে তার তীব্রতম ভালোবাসা কোনো বেটার অপরচুনিটির মধ্যে পড়ে না।

..................................................
ছিদ্র খুঁজে বেড়াই, বন্ধ করার আশায়

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সৌরভ এর ছবি

মানুষের কাছে মানুষ টুথ ব্রাশের কাছেও খারাপ
টুথব্রাশ অন্তত মানুষ কিছুদিন রাখার চিন্তা করে
কিন্তু মানুষ এক মানুষের সাথে হাঁটতে হাঁটতেই অন্য মানুষ খোঁজে
পেয়ে গেলেই পুরোনোটা বাদ দিয়ে ছুট

খুব সত্য। ঢের সত্য।
আমরা সব্বাই সবসময় বেটার সুযোগের খোঁজে আছি। মানুষ সেখানে গৌণ।
সুযোগ খুঁজে বিকিকিনিতে পারদর্শীদেরই জিত। এইটুকুই শিখেছি এইটুকুন জীবন থেকে।



আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

সবজান্তা এর ছবি

মানুষের কাছে মানুষ টুথ ব্রাশের কাছেও খারাপ
টুথব্রাশ অন্তত মানুষ কিছুদিন রাখার চিন্তা করে
কিন্তু মানুষ এক মানুষের সাথে হাঁটতে হাঁটতেই অন্য মানুষ খোঁজে
পেয়ে গেলেই পুরোনোটা বাদ দিয়ে ছুট

ব্যক্তিগতভাবে আমি এই মতের সাথে সহমত প্রকাশ করছি। এই ভয়াবহ আতংক জাগানিয়া কথাটা খুব বেশি পরিমানে সত্যি।

প্রশ্ন উঠতে পারে, কাজটা আদৌ ঠিক কি না ? সে নিয়ে তর্ক বিতর্ক হতেই পারে। কিন্তু সাদা চোখে দেখা যুক্তিতে, জটিল মানব মনের মনস্তত্ত্বকে কি আদৌ বোঝা সম্ভব ?

কাজেই কে ভুল, কে ঠিক তা নির্নয় করা সময়ে সময়ে খুব কঠিণ বৈ কি !
-----------------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

বেশীর ভাগ মানুষই কি আসলে এরকম?
অতোজন এভাবে বলতে থাকলে হতাশ লাগে । নির্ভর করার মতো মানুষ পাওয়া কি খুবই কঠিন ?
কে জানে...
তবে মানুষকে , জীবনকে , এরকম কঠিন করে ভাবতে ভালো লাগে না ।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মাহবুব লীলেন এর ছবি

হতার হবার তো কোনো কারণ নেই
সত্য জিনিস যত তাড়াতাড়ি মেনে নেয়া যায় হতাশার পরিমাণ তত কমে

বরং সত্যকে সহজে মেনে নিতে না পারা থেকেই বাড়ে হতাশা

গৌতম এর ছবি

আপনার কথাগুলোর সাথে অসম্ভব রকমে একমত।

..................................................
ছিদ্র খুঁজে বেড়াই, বন্ধ করার আশায়

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অনিন্দিতা এর ছবি

পৃথিবীতে সত্যিকার ভালবাসা থাকলে হয়তো কোন অপরচুনিটির প্রশ্নই উঠতো না। আসলেই প্রেম, ভালবাসা বলে কি কিছু আছে? এ নেহায়েত সাময়িক মোহ। কারো মোহ ক্ষণস্থায়ী কারো বা কিছুটা দীর্ঘস্থায়ী। যারা ক্ষণস্থায়ী মোহে আচ্ছন্ন হয় তারা শুধু টুথ ব্রাশই নয় ই , দ্রুত পোষাক বদলের মতো প্রেমিক প্রেমিকা বদল করে। আর যারা দীর্ঘস্থায়ী মোহে পড়ে তারাই কেবল বোকার মতো কষ্ট পায়। এরা আসলে ভুল করে এ যুগে জন্ম নিয়েছে। এদের বেঁচে থাকা কষ্টকর। স্রোতের উল্টো দিকে যেতে চাওয়া এত সহজ? এখনকার ফ্যাশনই তো হচ্ছে ভালবাসার নামে খুব ক্ষণস্থায়ী মোহে পড়ে মানুষ নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা। উভয় পক্ষ রাজী থাকলে সমস্যা নাই। তবে একজন খুব ব্যাকডেটেড হলেই সমস্যা শুরু হয়। যাবতীয় কষ্ট তাকেই
ভোগ করতে হয়। সুতরাং জীবনকে সহজ করার সহজ বুদ্ধি হলো- নো প্রেম, নো ভালবাসা।ভুল করেও কারো উপর নির্ভর করা যাবে না।
(লেখকের মনে আঘাত দিয়ে থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।)

সবজান্তা এর ছবি

এই সারছে।

দিদিতো একদম পুরা গুল্লি
-----------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ভালোবাসা নিয়ে আসোলে অত বেশি চিন্তা করার কিছু নেই
ভালোবাসার প্রব্লেম মূলত তিনটা
০১
আমি তাকে চাই কিন্তু পাই না
০২
আগে পেতাম এখন পাই না
০৩
আমি পাই না কিন্তু অন্য কেউ পায়

এবং এই তিনটা সংকটই কিন্তু ভিকটিমের
কিন্তু ভালোবাসায় স্থায়ী ভিকটিম বলে কিছু নেই
যে একবার ভিকটিম হয় সেও কিন্তু অন্যখানে অন্যজনকে ভিকটিম বানিয়ে ফেলতে পারে

সুতরায় এটা নিয়ে না ভাবাই ভালো

গৌতম এর ছবি

হা হা হা... এই গল্পের মূল চরিত্র তো আর লেখক নন। তিনি কেন আঘাত পাবেন? যাই হোক, আপনার মন্তব্য পাপনকে পৌঁছানোর ব্যবসথা করা যাবে।

আপনার কথা একদিক দিয়ে ঠিক। কোনো সম্পর্ক ভাঙার পর সান্তনা হিসেবে আপনার কথাগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু যে ভালোবাসার মোহে আছে, তার পক্ষে কি এই কথাগুলো বিশ্বাস করা সম্ভব? কেনই বা সে কষ্ট পাবে।

ভুল করেও কারো উপর নির্ভর করা যাবে না।

এই বক্তব্যের সাথে একমত নই। কারণ মানুষের স্বভাবগত প্রবৃত্তি হচ্ছে কারো না কারোর উপর নির্ভর করা, সেখানে প্রবৃত্তিবিরূদ্ধ কাজ করতে গেলেই বরং মানুষ কষ্ট পাবে অনেক। জন্ম থেকেই পিতামাতার ওপর যে নির্ভরতা চলে আসে, তা আস্তে আস্তে ধাবিত হয় অন্য কারো দিকে। এই নির্ভরতাতেই আনন্দ। নির্ভরতা চলে গেলে মানুষ কষ্ট পায় ঠিক, কিন্তু পৃথিবীতে কি স্থায়ী নির্ভরতা কোথাও পাওয়া যাবে? এই সম্ভাবনাটুকু মাথায় রাখতে হবে।

..................................................
ছিদ্র খুঁজে বেড়াই, বন্ধ করার আশায়

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ভুলে যাওয়া যায়নি বলেই ভুলে যাওয়ার এই সযত্ন ভান
তার প্রেমে প্রতারণা ছিল তাই তার লাগি এতো টান

প্রতারক ছাড়া কারো নাম বেশিদিন মনে থাকে না কারো
প্রতারণা ছাড়া কোনো প্রেম বেশিদিন মনে রাখে না কেউ

আমার দুটো কবিতার দুটো অংশ
আপনার বিষয়ের সাথে মিলে যায় তাই দিয়ে দিলাম

গৌতম এর ছবি

কবিতার লাইনগুলো চমৎকার। কিন্তু মানতে পারলাম না।

..................................................
ছিদ্র খুঁজে বেড়াই, বন্ধ করার আশায়

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আমিও ।
সবকিছুর পরেও মানুষকে বিশ্বাস করে তার ওপর নির্ভর করতে ভালো লাগে ।
ভালোবাসি ভাবতে ভালো লাগে । স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগে

..........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

গৌতম এর ছবি

মানুষ আসলে সবকিছুর মতো। পৃথিবীর সব দোষগুণ তার মধ্যে আছে। শুধু বুঝা যায় না কখন কোনটা প্রকাশ পাবে। এই যে পাপন এতো উতলা, সে কোনোদিন উল্টো আচরণ করবে না এই নিশ্চয়তা কি সে দিতে পারবে? সবকিছুই আসলে তাৎক্ষণিক আবেগের ব্যাপার।

একটা গল্প নিয়ে এতো মন্তব্য এসেছে দেখে ভালো লাগছে। আসলে ভালোবাসা নিয়ে বোধহয় কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছা সম্ভব নয়। সবার মন্তব্যই হয়তো ব্যক্তিভেদে সঠিক। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে, ব্যক্তির প্রত্যাশার সাথে বাস্তবতা মিলে কি-না।

তবে এ গল্প পড়ে পরীকে ভুল বোঝা উচিত হবে না। আপনাদের চুপিচুপি নয়, সজোরে বলে রাখি, পরী যখন ভালোবাসে তখন সে পৃথিবীর সে সবচাইতে বেশি ব্যকুল প্রেমিক ব্যক্তি। সমস্যাটা পাপনের। সে পরীর কাছ থেকে এই ব্যাকুলতা চায় ২৪টি ঘণ্টাই। কিন্তু পরী তো মানুষ!

..................................................
ছিদ্র খুঁজে বেড়াই, বন্ধ করার আশায়

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অনিন্দিতা এর ছবি

গৌতম ,মানুষ নির্ভর করে অনেকসময় ই ঠকে। তাই সাবধান হওয়া দরকার । আর তাই স্থায়ী নির্ভরতার কথা কথা চিন্তা না করাই ভাল্।
লীলেন,আপনার লেখা ৩টা প্রব্লেমকে বিবেচনা করা অবশ্যই যুক্তিযুক্ত। কিন্তু মুশকিল কী জানেন, সব ভিকটিম এক রকম নয়। এদের কেউ কেউ শুধু নিজেই ভিকটিম হয়। অন্যকে কখনো ভিকটিম বানাতে পারে না বা চায় না। এরা কখনো ঠেকে শিখতে চায় না। যা পায় না তা নিয়ে তাদের মাতামাতির শেষ নেই। হয়তো ভিকটিম হওয়ার মধ্যে সার্থকতা খুঁজে ফেরে। সব রকমের অপদার্থ বলা যায়। বেচেঁ থাকারই অযোগ্য।

অনিন্দিতা এর ছবি

সচলায়তনে কোন ব্লগে মন্তব্য প্রকাশের ক্ষেত্রে কি সদস্যদের অতিথিদের চাইতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়?নাকি যিনি আগে মন্তব্য দেবেন তারটাই আগে প্রকাশ করা হবে? অনেক ক্ষণ আগে আমার একটা মন্তব্য এই ব্লগে করেছিলাম। তারপর আরও কয়েকটা চলে এসেছে কিন্তু আমার টা খুঁজে পেলাম না।

অনিন্দিতা এর ছবি

সচলায়তনের বক্তব্য জেনে আশ্বস্ত হলাম।
ধন্যবাদ।
শিমুল, আপনার কথার সাথে আমিও একমত হতে চাই।
কিন্তু এ আদর্শ অবস্থা কি আমাদের চারপাশে দেখি?
কখনো হঠাৎ দেখলে মনে হয়, স্বপ্ন দেখছি অথবা ভিন গ্রহের কোন ঘটনা দেখছি। এটা পৃথিবীর কোন ঘটনা নয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।