তারার ফুল (কল্পগল্প)

স্পর্শ এর ছবি
লিখেছেন স্পর্শ (তারিখ: শনি, ২৬/০৪/২০০৮ - ১২:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক্লাস ফাইভের ফাইনাল পরীক্ষায় একটা মন্ত্র পারলেই পাশ। সেটা হল উড়ার মন্ত্র। জ্বিনিদের স্কুলে এই ক্লাসে আজ পর্যন্ত কেউ ফেল করেনি। সেই দিক দিয়ে ভাবলে আমাদের এই গল্পের জ্বিনিটা একদম ইউনিক! কারন সে এই ক্লাসেই ফেল করে বসে আছে!!! একটা জ্বিন উড়তে পারেনা, এমনটা কি ভাবা যায়? যাকে বলে একেবারে ‘ওয়ান-অফ-এ-কাইন্ড’!! ফেল করার অবশ্য উপযুক্ত কারনও আছে। এমনিতেই এই জ্বিনিটা বোকা টাইপের। এসব জটিল তন্ত্র মন্ত্র তার মাথায় ঢুকেনা। তার উপর এসব পেরেই বা হবেটা কি। শেষ মেষ তো তাকে সেই একটা চেরাগের মধ্যে ভরে, বাজারজাত করে দেবে। মানুষের মত একটা পুচকে প্রানীর গোলামী করতে হবে তখন!!

তবে পড়াশুনা করলে লাভ যে নেই তা না। ভাল রেজান্ট করলে লাভ কিছুটা আছে। তাদের দাম হয় অনেক বেশি। অনেক বড় বড় বাদশা, আর সউদাগররা তাদের কেনে তখন! এদের কাজ করেও মজা!! সেই যে, তাদের স্কুলের সবচেয়ে সেরা ছাত্র যে, একে বারে রেকর্ড মারক্স পেয়ে ফার্স্ট স্টান্ড করা!!! তার মনিব ছিল শাহ্‌জাদী দুনিয়া। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী আর মায়াবতী রাজকন্যা সে! শাহ্‌জাদী দুনিয়াকে পালঙ্কে বসিয়ে যখন সে বাগদাদ শহরের উপর দিয়ে উড়িয়ে নিয়ে যেত কোহেকাফের দিকে। সব লোকজন মুগ্ধ হয়ে ভয়ে ভয়ে দেখতো তাদের!! আরো একজন বিখ্যাত ছাত্র আছে তাদের স্কুলের। তার যাদু শক্তি ছিল সবচেয়ে বেশি! তার মনিব ছিল আলাদিন। তাদের গল্প তো সবার মুখে মুখে!! এদের মত জ্বিনি হওয়া হচ্ছে জ্বিনি স্কুলের সবার জীবনের স্বপ্ন।

আমাদের বোকা জ্বিনিটা কি আর করবে! সে তো আর এদের মত ভাল ছাত্র না। তাই ঐ রকম মনিবও তার আর জুটবেনা। আর জুটলেই বা এমন কি? সেই গোলামীই তো করতে হবে তখন। তার চেয়ে এই ভাল! তার চেরাগটা কেউ নেয় না! চেরাগটা দেখতেও ভালনা বেশি একটা। সে খালি বসে বসে চেরাগের মধ্যে ঘুমায়। একবার এক গরীব কৃষক কিনেছিল সেটা! তখন খুব খারাপ কেটেছে সময়টুকু। সে তো কিছুই পারেনা! তাই কৃষক প্রদীপটাকে বাতি হিসেবেই ব্যবহার করত। কেরসিনের গন্ধ সহ্য হয়না বোকা জ্বিনির। তার উপর আগুন জ্বাললে চেরাগ গরম হয়ে যায়! এসময় সে বাইরে থেকে ঘুরে হাওয়া টাওয়া খেয়ে আসে। পরে চেরাগ ঠান্ডা হলে ফিরে এসে আবার ঘুম!

তার পর অনেক অনেক দিন কেটে গেছে। কেউ আর চেরাগটা বাতি হিসেবেও জ্বালায় না। সে একবার কৌতুহলি হয়ে বাইরে বেরিয়ে দেখে। কেমন উচু উচু সব দালান!! দালানের গায়ে শত শত বাতি জ্বলছে! কিন্তু সে সবের কোনটাতেই কেরসিনের গন্ধ নেই!! এই গুলো মনে হয়ে কোন বড় জাদুকর বানিয়েছে। কি অবাক কান্ড!! ধ্যাত, তার চেরাগের একমাত্র ব্যবহারটাও গেল।

তার পর আবারো অনেক দিক কেটে গেছে। একদিন হঠাৎ কে যেন তার চেরাগটা জ্বেলে দিল! কেবলই জ্বিনিটা স্বপ্নে, তাদের ভার্সিটি থেকে পাশ করেছে। রীতিমত গোল্ড মেডেল পেয়ে! নিজুক্ত হয়েছে শাহজাদি দুনিয়ার খেদমতে। যেই তাকে পালঙ্কে বসিয়ে উড়তে যাবে! অমনি এই বিপত্তি!! মেজাজ কার ঠিক থাকে? যে এই কাজ করেছে আজকেই তার ঘাড় মটকাতে হবে!! কোন মাফ নাই। নো মাফ!

রাগে গজরাতে গজরাতে বেরিয়ে আসে বোকা জ্বিনি। বেরিয়ে দেখে বেশ অন্ধকার একটা ঘর। শুধু তার চেরাগ টাই জ্বলছে। ঘরটা কেমন যেন ভাঙ্গাচোরা। অবশ্য এমনই হবার কথা। তাকে কি আর ধনী কেউ কিনবে? প্রদীপের সামনেই বসে আছে ফুট ফুটে একটা পিচ্চিমেয়ে!! জ্বিনিটা রাগী কন্ঠে জিজ্ঞেস করে, “এই তুমি কি এই চেরাগ টা জ্বালিয়েছ?” মেয়েটা বলে, “হুমম। কিন্তু তুমি কে?”...“আমি হলাম এই চেরাগের জ্বিন!” মেয়েটা বলে, “ধুর বোকা! চেরাগে কি কখনো জ্বিন থাকে! ওসব তো গুল্প” আর তুমি এ বড় মানুষ চেরাগের মধ্যে থাক কি করে?” ...“আমি মানুষ না! আমি হলাম জ্বিন” জ্বিনির বোকামি দেখে মেয়েটা এবার হাসে। বলে,“তাইলে তুমি কি আলাদিনের সেই জ্বিন?” ...“ না আমি সে না। আমি হলাম অন্য জ্বিন।” মেয়েটা এবার অবাক হবার ভান করে। বলে,“ওমা! আরো জ্বিনি আছে নাকি!!”...“হুমম আছে। কিন্তু তুমি এই চেরাগ টা জ্বালিয়ে আমার ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিলে কেন? কি মজার একটা স্বপ্ন দেখছিলাম! সেই জাদুর বাতিটা জ্বালাতে পারতে তো। ঐ যে যেটাতে কেরসিনের গন্ধ নেই।” মেয়েতা বলে“ঐ টা জ্বালানো মানা! আব্বু বলেছে রাতে ঐটা জ্বালালে তারার ফুল পড়তে পারে ঘরে। তার উপর আজ বিকাল থেকে সেটা জ্বলছেও না।”...“তারার ফুল!! সে আবার কি?”...“তারার ফুল আমার খুব প্রিয় একটা জিনিশ! আরেকটু পরেই দেখতে পাবে।”

অনেক কথা হয় বাচ্চাটার সাথে। এক সময় মেয়েটা বলে,“আচ্ছা জ্বিনি, তুমি কি উড়তে পার? পারলে আমাকে একটা তারার ফুল এনে দিবা”। এই বার জ্বিনিটা লজ্জা পেয়ে যায়। মাথা চুলকে বলে, “না মানে, ইয়ে উড়াটা শিখতে পারিনি। সেকারনেই তো ক্লাস ফাইভে ফেল করলাম!”...“ওমা! তুমি ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়েছ। আমি পড়ি ক্লাস ওয়ানে। তবে এখন স্কুল বন্ধ।”

এই মেয়েটা কে মনিব হিসেবে বেশ পছন্দই হয় বোকা জ্বিনির। শাহ্‌জাদী দুনিয়ার চেয়ে অনেক ভাল! কি সুন্দর! আর বুদ্ধিমতি। শাহ্‌জাদীদের মত হুকুম দিয়ে কথাও বলেনা। নাহ্‌! এর ঘাড় মটকানো যাবেনা। এর গোলামী করা যেতে পারে। মনে মনে খুশি হলেও একটু রাগী রাগী কন্ঠে সে বলে, “আমার চেরাগটা তুমি যখন জ্বালিয়েই ফেলেছ তখন আমি বাইরে থেকে একটু ঘুরে আসি। অনেক দিন বাগদাদ শহরটা দেখিনা” মেয়েটা বলে, “যাও ঘুরে আস। কিন্তু একটু সাবধানে!” সে হাতনেড়ে বিদায় জানায়। বোকা জ্বিনিটার এত ভাল লাগে! মনে হয় থাক বাইরে যেতে হবেনা। তার চেয়ে এখানে বসে মনিবের সাথে গল্প করি। কিন্তু বিদায় জানানো তো শেষ! তাই সে বাইরে চলেই যায়।

একটু পরেই হন্ত দন্ত হয়ে ফিরে আসে সে। মেয়েটা তখনো সেই ভাঙ্গা ঘরে বসে আছে। একা। মেয়েটা বলে শোন জ্বিনি তোমার জন্য একটা রাইমস বানিয়েছি! এর পরই হাত তালি দিতে দিতে সে ছড়া কাটে...

জ্বিনি জ্বিনি ব্যাড জ্বিনি
জ্বিনি কান্‌নট ফ্লাই,
ফাই ফাই ফাই!

ছড়াটা না বুঝলেও। বাচ্চাটার যে খুব বুদ্ধি তা বুঝতেপারে সে। ছড়া টাও ভাল লাগে তার। কিন্তু “একি! শহরটার এই অবস্থা হল কি করে? সেই উচু দালান গুলো কই! ঐ যে যেগুলোয় হাজার হাজার জাদুর বাতি জ্বলে” প্রশ্ন করে সে। মেয়েটা জ্বিনির বোকামি দেখে অবাক হয়। একটু বিরক্তও হয়। বলে, “ধ্যাত, তুমি তো খুব বোকা। কিছুই জান না! ঐগুলোতে তারার ফুল পড়েছে!! তারার ফুল পড়লে খুব আওয়াজ হয়। তার পর বিল্ডিংটা ভেঙ্গে যায়। সেখানে যেসব লোক থাকে তারা আর ফিরে আসে না। আব্বু বলে ওরা সবাই খুব মজার একটা যায়গায় চলে জায়। তবে, সেখানে নাকি এরকম তারার ফুল নেই। তারার ফুল না থাকলে মজাটা থাকলো কি? আব্বুর খুব ভয় তারার ফুলকে! আমার কিন্তু খুব ভাল লাগে” জ্বিনিটা বোকা বলেই হয়তো তারার ফুল ভাল লাগার ব্যাপারটা বুঝতে পারেনা। তার তো কেমন জানি ভয়ঙ্করই মনে হচ্ছে ব্যাপারটা।

মেয়েটা আরো বলে, “আব্বুর ভাল লাগে বৃষ্টি। যদিও সেটা হয় বছরে খুব কম। আব্বু বলেছে, আল্লাহ এখন বৃষ্টির চেয়ে তারার ফুল বেশি দিচ্ছেন। যাতে আমরা সবাই সেই মজার যায়গাটাতে যেতে পারি তাড়াতাড়ি! এই তো কিছুদিন আগেই আম্মু চলে গেল। আম্মু যে হাসপাতালে ডাক্তার ছিল সেখানে একদিন হঠাৎ করে তারার ফুল পড়ল একটা। আব্বু বলে, রাতে আলো জ্বাললে তারার ফুল পড়তে পারে ঘরে। আব্বু খুব মানা করে। তবু আব্বু যখন থাকেনা, তখন আমি ঘরে আলো জ্বেলে দেই। মজার দেশটায় যেতে আব্বু কি যে ভয়! বুঝিনা!! কিন্তু আজ লাইট জ্বলছেনা। সেই জন্যেই তো তোমার চেরাগ টা জ্বালালাম!”

এমন সময় কেমন যেন গর্জন শুরু করে আকাশটা সাথে শো শো আর চিইই করে একধরনের শব্দ। মেয়েটা বলে, “ঐ তো তারার ফুল এসে গেছে। দেখ দেখ!” জ্বিনি জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকায়। দেখে আকাশ চিরে তারার মত কি যেন ছুটে যাচ্ছে। শত শত হাজার হাজার। এরা দূরে গিয়ে পড়ছে কোথাও। সাথে সাথে প্রচন্ড একটা শব্দ! জ্বিনিটা বোকা বলেই হয়তো তার কাছে কেমন অসুভ লাগে ব্যপারটা!! এমন সময় শব্দ গুলো যেন এগিয়ে আসতে থাকে তাদের দিকে। একটার পর একটা, ক্রমাগত আরো জোরে শব্দ করতে করতে।

জ্বিনির ভয়টা যেন আতঙ্কে রূপ নেয় এবার। এই ছোট্ট মনিবের প্রতি কেমন যেন মায়া পড়ে গেছে তার। সে কিছুতেই যেতে দিতে চায় না মেয়েটাকে। সেই মজার দেশে! শব্দ আরো বেড়ে গেছে। তার ছোট্ট বুদ্ধিমতি মনিবটাকে কোলে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে বোকা জ্বিনি। প্রানপনে দৌড়াতে থাকে সে। সন্ধার অন্ধকারে সেই ভাঙ্গাচোরা একটা শহরের মধ্য দিয়ে। মেয়েটার তারার ফুলে কোন ভয় নেই। এ আর এমন কি! নিয়মিত ব্যপার। মেয়েটা ছড়া কাটতে থাকে...

জ্বিনি জ্বিনি ব্যাড জ্বিনি
জ্বিনি ক্যান্‌নট ফ্লাই
ফাই, ফাই, ফাই!

জীবনে এই প্রথম উড়তে না পারার জন্য প্রচন্ড আক্ষেপ হয় বোকা জ্বিনির। প্রচন্ড ব্যার্থ মনে হয় তার নিজেকে.....

গল্প এখানেই শেষ হবার কথা। কিন্তু জ্বিনিটা ছুটতেই থাকে, ছুটতেই থাকে। তারার ফুল গুলোর কাছে হেরে যাবার ভয়ে; তীব্র হাহাকারে বাচ্চাটাকে বুকে আঁকড়ে ধরে সে। তার পর যেন হঠাৎ করেই সে খেয়াল করে, তার চোখটা ভিজে যাচ্ছে পানিতে!!! পাঠক হয়তো ভাববেন, জ্বিনিরা আগুনের তৈরি। তার চোখে পানি আসবে কি করে?!!! আসলে বোকা জ্বিনির কোন দোষ নেই। দোষ হচ্ছে লেখকের। সেই লোকই রূপকথা লিখতে গিয়ে, এরকম একটা জগাখিচুড়ি পাকিয়ে ফেলেছে।

[গল্পটা উৎসর্গ করছি ইরাকের সেই সব শিশুদের প্রতি, যারা বড় হবে তারার ফুল দেখতে দেখতে। অথবা চলে যাবে সেই মজার দেশটাতে। বড় হবার অনেক আগেই...]

[সবাই অনু-পরমাণু গল্প লিখছে এর মধ্যে একটু বড় গল্প দিয়ে দিলাম, এই পর্যন্ত পড়লেই আমার তরফ থেকে ধন্যবাদ]

-------------
স্পর্শ


মন্তব্য

স্নিগ্ধা এর ছবি

হায়রে, আসলেই যদি এটা কল্পগল্প হত !
আমার খুব প্রিয় একজন গাইয়ে লেবানিজ শিশুদের নিয়ে একটা গান গেয়েছে, তার ভিডিওটা দেখলে .........

তবে এটা পড়ে আমার একটা সন্দেহ আরো দৃঢ় হলো - সচলায়তন নিশ্চয়ই গোপনে গোপনে কারখানা জাতীয় কিছু একটা বানিয়েছে, নইলে এমনি এমনি এতসব ভালো লিখিয়েরা উদয় হচ্ছে কোত্থেকে? ফাজলামি নাকি? হাসি

লেখাটা চমৎকার !

অতিথি লেখক এর ছবি

হায় হায়! আমাকে ভালো লেখক বললেন নাকি?!! উৎসাহ দিয়ে দিলেন তো! হাসি

আল জাজিরার একটা প্রতিবেদন দেখে মনটা খারাপ হয়েছিল। তখন লিখেছি। মন খারাপ
আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মেয়েটার তারার ফুলে কোন ভয় নেই। এ আর এমন কি! নিয়মিত ব্যপার।

খুব ভাল লেগেছে। আপনাকে ধন্যবাদ এই চমৎকার লেখাটা উপহার দেওয়ার জন্য। খুব তাড়াতাড়ি সচল হয়ে যান, এই শুভকামনা করি।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ! সুন্দর কমেন্ট টার জন্য হাসি

----
স্পর্শ

ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

আপনার পুরো নামটা জানতে ইচ্ছে করছে------- অসম্ভব ভাল লেগেছে গল্পটি ------ একেবারেই অন্যরকম -------- খুব খুব খুব ভাল
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ! হাসি

নাম জেনে ফেললে কৌতুহল টা থকবেনাতো! খাইছে
আমার আসল নাম সৈকত।
আমার পিচ্চি বোনদের জন্য প্রচুর রূপকথা টাইপের গল্প লিখতে হয়। এটা লেখার পর মনে হল। বয়স্কদের গল্প হয়ে গেছে। তাই এই বুড়োদের আসরে পোস্ট করে দিলাম। খাইছে
ভবিষ্যতে হয়তো নিতান্তই শিশুতোষ কিছু পোস্ট করব। ওদের জন্যও তো কিছু লেখা উচিৎ নাকি? যদিও এই ব্লগ শিশুরা মনে হয় পড়েনা। চিন্তিত

আপনার কমেন্টটা পেয়ে আমারও খুব খুব খুব ভাল লাগছে! হাসি

------
স্পর্শ

অযান্ত্রিকক এর ছবি

গল্পটি সামহয়্যারেও প্রথম পেজে দেখলাম কিছুক্ষন আগে। সরিয়ে ফেলুন ওখান থেকে। ডুয়েল লেখা সচলে লোকজন পছন্দ করে না।
http://www.somewhereinblog.net/blog/tomaderblog/28791510

অতিথি লেখক এর ছবি

এখানে (সচলে) দিয়েছি গতকাল!
আর ওখানে দিয়েছি আজ রাতে! ২৪ ঘন্টা পরও কি অন্য কোথাও দেওয়া যাবেনা?
নিয়মটা আমার কাছে ক্লিয়ার না! মন খারাপ
কেউ কি একটু বলবেন?

অতিথি লেখক এর ছবি

অতিথী লেখক হবার এই এক হ্যাপা! কখন যে লেখাটা পাবলিশ হবে ঠিক নাই! মন খারাপ
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আলিফ লেয়লা, আলিফ লেয়লা, আলিফ লেয়লাআআআ!

লেখাটা ভালো লেগেছে।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ! ধুসর গোধূলি ভাই।
আপনার লেখা গুলোও আমার খুব ভাল লাগে! হাসি

----------
স্পর্শ

রায়হান আবীর এর ছবি

লেখাটি মিস করে গেছিলাম। এখন পড়লাম...দারুন!!

ভাইয়া দয়া করে ডুয়েল পোস্টিং দিয়েন না...না দিলে অতি দ্রুত সচল হয়ে যাবেন.....শুভ কামনা রইলো...
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠিক আছে! দিবনা! হাসি

রায়হান আবীর এর ছবি

আপনার চিন্তা ভাবনা অসাধারণ!!! পুরা গল্পটা দুই বার পড়লাম...

আমি ভালো মন্তব্য করতে পারি না...এই জন্য খুব দু:খ হচ্ছে...

অনু গল্পের চেয়ে বড় গল্পই ভালো।

---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

অতিথি লেখক এর ছবি

দুই বার পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ হাসি

বড় গল্প পড়তে আপনার আপত্তিনেই দেখে ভাল লাগছে!
আমি নিজে কিন্তু গল্প একটূ বড় হয়ে গেলেই আর ধৈর্য রাখতে পারিনা। ইয়ে, মানে...

আবারো অনেক অনেক ধন্যবাদ! হাসি

বিপ্রতীপ এর ছবি

তানভির,
যাক শেষ পর্যন্ত তোর লেখা এলো। শুভকামনা রইল...আশা করি খুব শীঘ্রই সচল হবি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
বিপ্রতীপ ব্লগ | ফেসবুক | আমাদের প্রযুক্তি

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ দোস্ত!! হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

তানভির ভাই, আপনার লেখা সচলায়তনে সবাই খুব প্রশংসা করছে দেখে ভাল লাগলো...ভাল লাগারই কথা, আমি সবসময়ই আমার প্রিয় ব্লগারদের একজন ছিলেন...

রিজভী

--------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;

অতিথি লেখক এর ছবি

তানভির ভাই, আপনার লেখা সচলায়তনে সবাই খুব প্রশংসা করছে দেখে ভাল লাগলো...ভাল লাগারই কথা, আপনি সবসময়ই আমার প্রিয় ব্লগারদের একজন ছিলেন...

রিজভী

--------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ রিজভী
তুমিও দারুণ লিখ!!

-------
স্পর্শ

মামুন হক এর ছবি

এই লেখাটা না পড়লে আমার পাঠক জীবন বৃথা যেত। অসাধারণ লিখেছেন স্পর্শ!

স্পর্শ এর ছবি

হায় হায়!
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মূলত পাঠক এর ছবি

আমি ঠিক ততোটা আবেগপ্রবণ পাঠক নই বোধ হয়, তাই গল্প পড়ে আপ্লুত কমই হই। আমার মন্তব্যে সমালোচনাই বেশি থাকে, প্রশংসা তুলনায় কম। কিন্তু সে কথা এই গল্প নিয়ে বলতে পারলাম না। এমন লেখা যিনি লেখেন তার অন্যান্য সব লেখা সযত্নে পড়তে হবে। আগে জানতাম না আপনি এই জাতীয় ভয়ঙ্কর প্রতিভাবান।

আপনি এমন গল্প আরো লিখুন, প্রকাশায়তনে সংকলন বেরোলে তার জন্য দরকারি, তবে আপনার নিজের লেখারও সংকলন হওয়ার দরকার।

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ পাঠক দা। একটু ভয় পাইয়ে দিলেন কিন্তু! ইয়ে, মানে...
আমার পুরাতন লেখাগুলো একেকটা বানান ডিজাস্টার। আমি নিজেই পড়তে গেলে এখন কষ্ট পাই।

আর আবারো, অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

দেখলেন, পাঠুদাও আমার সাথে সহমত। এবার আর ফাঁকিবাজি নাই। এখন তো পূর্ণ সচল। একে একে নিজের লেখাগুলোর বানান সংশোধন করুন। চাইলে পরিমার্জনও করুন।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

মাস্টারপিস বোধহয় একেই বলে...
কেবল ঈর্ষা, আর কিছু নয়।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

স্পর্শ এর ছবি

ইয়ে, মানে... হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দময়ন্তী এর ছবি

কি ভাল একটা গল্প৷ যিনি এটাকে আজ টেনে তুলেছেন তাঁকে অজস্র ধন্যবাদ৷ নাহলে জানাই হত না৷
--------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

দময়ন্তী এর ছবি

কি ভাল একটা গল্প৷ যিনি এটাকে আজ টেনে তুলেছেন তাঁকে অজস্র ধন্যবাদ৷ নাহলে জানাই হত না৷
--------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

স্পর্শ এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

হ্যাটস অফ...

স্পর্শ এর ছবি

হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সুমন সুপান্থ এর ছবি

এই গল্প আমি কি করে যে মিস করেছিলাম ! আফসোস !
স্রেফ অ-সাধারণ । স্যালুট ।

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

স্পর্শ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ সুপান্থ দা। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

গল্পটা অসামান্য। কীভাবে যে চোখের আড়ালে থেকে গিয়েছিলো! বানানগুলো একটু শুদ্ধ করে দিয়েন। গল্পের প্রতি অবিচার করছে।

স্পর্শ এর ছবি

লেখা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে খুব।
বানান দুয়েকদিনের মধ্যে ঠিক করে ফেলব ইনশাল্লাহ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

বর্ষা [অতিথি] এর ছবি

প্রিয় লেখকের লিস্টি তো বাড়ছে দেখি!!! লেখকের নিজের অনুভূতি বোধের গভীরতা না থাকলে এমন লেখা বের হয়া সম্ভব নয়।

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ বর্ষা। হাসি
মাঝে মাঝে অনুভূতিরা হানা দেয়। ইয়ে, মানে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ইমরুল কায়েস এর ছবি

যাক আমার 'গদ্যহিংসা'র কমেন্টের সূত্র ধরে আরো কিছু পাঠক এই গল্পটা পড়ল। প্রহরী ভাইকে ধন্যবাদ লিংকটা শেয়ার করছেন।
......................................................
পতিত হাওয়া

স্পর্শ এর ছবি

থ্যাঙ্কু হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তানবীরা এর ছবি

প্রহরীকে ধন্যবাদ, সুন্দর লেখা, চোখ ভিজিয়ে দেয়ার মতো।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

হিমু এর ছবি

কী অপূর্ব এক গল্প! সচলায়তনে কত না মানিকরতন চোখের আড়ালে রয়ে গেছে!

স্পর্শ-র উচিত আরো সক্রিয় হওয়া।

প্রাসঙ্গিক মনে হলো বলে একটা লিঙ্ক দিয়ে গেলাম। মুরসালিন হাবিবের সৌজন্যে ফেসবুকে কুড়িয়ে পাওয়া।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

পেন্সিলে আঁকা পরী এর ছবি

খুব চমৎকার লাগলো। ইস্তিকে ধন্যবাদ, ফেসবুকে লিঙ্ক শেয়ার করার জন্য।

-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।

-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।

মধ্যসমুদ্রের কোলে এর ছবি

ভালো লাগলো পড়ে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আহ্ ,কেবল মন খারাপ হয়ে যায়...লেখকরা কেমন করে এমন ভালো লেখে !!! *তিথীডোর

আনন্দ [অতিথি] এর ছবি

স্তব্ধ হয়ে বসে ছিলাম খানিক ক্ষণ। ক্যান লিখেন ভাই এইগুলা? নিজেরে বোকা জ্বিনিটার মত লাগছে।
অ-নে-ক ভাল লাগলো। আলহামদুলিল্লাহ।

অতিথি লেখক এর ছবি

সামুতে এই গল্পটা পড়ে এতো মুগ্ধ হয়েছিলাম বলার মতো না ।

কি অসাধারন লিখেন !
মুগ্ধতা জমে জমে বিস্কুট !

আপনি আমার লেখা পড়ে কমেন্ত করেছেন বলে চোখে একটা রোদচশমা এঁটে নিলুম হাসি
---
ইমতিয়াজ মির্জা

অতিথি লেখক এর ছবি

কি বলবো বুঝে পাচ্ছিনা।এরকম কোন গল্প চোখে পরেনি আগে।এরকম একটা থীম-এ এতো সুন্দর গল্প।একদম অন্যরকম একটা শুরুর পর তারার ফুলের আনাগোনায় আরো অন্যরকম হয়ে গেলো।মনটা কেমন আনমনা হয়ে গেলো।

আপনার লেখার ভক্ত বনে গেলুম।সামনে আপনার কাছ থেকে আরো গল্প পাওয়ার প্রত্যাশায় থাকলাম।

ভালো থাকুন।।োনেক ভালো।।সবসময়।।

[বিষন্ন বাউন্ডুলে]

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

কষ্ট যে সুন্দর হতে পারে তার প্রমাণ এই লেখাটা, স্পর্শ!
অপূর্ব!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

তিথীডোর এর ছবি

গুরু গুরু

মন খারাপ থাকলে আমি পুরোনো লেখাগুলো বের করে পড়ি।

গল্পটা উৎসর্গ করছি ইরাকের সেই সব শিশুদের প্রতি, যারা বড় হবে তারার ফুল দেখতে দেখতে। অথবা চলে যাবে সেই মজার দেশটাতে। বড় হবার অনেক আগেই.।

এই লাইনটা পড়ে আরো খারাপ লাগছে।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।