পিলখানা ঘটনা পরবর্তি পরিস্থিতিঃ মনুষ্যত্ত্ব ভুলে না যাই

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১০/০৩/২০০৯ - ৭:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মনুষ্যত্ত্ব ভুলে না যাই

পিলখানার ঘটনার পরে তদন্ত শুরু হয়েছে, আমরা সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি সেদিন কি হয়েছিল আর এর পেছনে কারা ছিল সেটা জানার জন্য। এ কয়দিনে একটা বিষয় পরিষ্কার যে ওই ঘটনায় বেশিরভাগ বিডিআর জড়িত ছিল না। তারপর বিডিআরদের ব্যাপারে সেনাবাহীনির আক্রশ থাকতে পারে, এই বিষয়টা ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে দিন দিন - বিশেষ করে পিলখানার সামনে বিডিআর পরিবারগুলির কষ্ট এবং আর্তি দেখে। তাদের স্বজনরা বেশ কয়েকদিন হলো ভেতরে গিয়ে অন্তরীনের মত অবস্থায় আছে। কোনভাবেই তাদের আত্নীয় স্বজনের তাদের সাথে দেখা করা তো দুরের কথা, যোগাযোগই করতে পারছে না।

বিডিআর যে কান্ড ঘটিয়েছে, তার সাথে তুলনা করলে বিডিআর পরিবারদের কষ্ট হয়তো তুলনা করা যায় না, কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে এসব পরিবারদের বেশির ভাগই পরিস্থিতির স্বীকার তাই তাদের দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অতি স্বত্তর নেয়া দরকার। অনেকে দিনের পর দিন রাস্তায় থাকছেন, ঢাকার অপেক্ষা করার মতো টাকা-পয়সা নেই বা নিয়ে আসেনি। অনেককে দেখলাম দুই তিন বছরের বাচ্চা নিয়ে গেটে দিনের পর দিনে আসছেন।

ঘটনার আক্রশে যেন অন্ধ্ব না হয়ে যান আমাদের সেনাবাহিনী এবং সরকার, মনুষ্যত্ত্ব ভুলে না যাই।
arman


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

বিডিআর সৈনিকের স্বজনেরা যে উৎকণ্ঠা নিয়ে গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকছেন, তা গেটের সামনে দাঁড়িয়ে লাঘব হবে না, বা পরিস্থিতির নিরসনেও তারা কিছু করতে পারবেন না। সরকারের উচিত উদ্বিগ্ন এই স্বজনদের আশ্বস্ত করে তাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করা।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সরকার মানে কি প্রধানমন্ত্রী কিংবা অন্য যেকোনো বিগ প্রোফাইল মন্ত্রী?
সরকার কে এখানে টেনে না এনে এই দায়িত্বটাতো সেনাবাহিনী নিজেই নিতে পারে। কারণ বিডিআর-এর অভিবাবক তো তারাই এখন অবধি। হেড কোয়ার্টারের বড় কর্তা এসে এই স্বজনদেরকে সুন্দর করে কিছু বললেতো তাঁর জাত যাবে না। এর জন্যও সরকারকে আসতে হবে, আর এসে আবার কথাও শুনতে হবে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হিমু এর ছবি

হ্যাঁ। সরকারই হোক পরম সান্ত্বনাদাতা, অভয়দাতা কিংবা ভগ্নদূত।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

রানা মেহের এর ছবি

ধুসর গোধুলীর সাথে সহমত।
সেনাবাহিনীর নির্ভরযোগ্য কেউ এসে কথা বললে
ভীড় করা পরিজনেরা নিশ্চয়ই আস্থা পাবেন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ডোবার ব্যাং এর ছবি

দীর্ঘদিনের শোষন-বঞ্চনার প্রতিবাদে একটা পর্যায়ে গার্মেন্টস শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে অর্ধসঙ্গঠিত বা অসঙ্গঠিত হয়ে রাস্তায় নামেন...তখন এই ব্যাপারটাকেই মালিকরা এক ঢিলে একাধিক পাখি শিকারের কাজে লাগান...রাস্তার ওই হাজার হাজার শ্রমিকের মধ্যে মালিকপক্ষ্যের কিছু ভাড়াটে গুণ্ডা ঢুকে পড়ে...তারা পরিকল্পিতভাবে গাড়ী ভাংচুর আর লুটতরাজে নেমে পড়ে (বুঝে না বুঝে শ্রমিকদেরও একটা অংশ এটাতে যোগ দেয়)... অর্ধসঙ্গঠিত বা অসঙ্গঠিত গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মালিকদের এই কৌশল অধিক ব্যবহৃত এবং কার্যকর...এতে করে সবচে বড় যে উপকারটা হয়, সেটা হল পরদিন প্রথমালো টাইপের ভদ্রলোকদের পত্রিকায় কোনো ভদ্রমহিলার হাতজোড় করা ছবি ছাপা হয়; যিনি করুণভাবে অনুরোধ করার পরও বর্বর শ্রমিকরা তার গাড়ী ভাঙ্গছে...আমরা, সারাদেশের নগুরে পত্রিকাপড়ুয়া ভদ্রলোকেরা, এইসব বর্বরতা আর তাণ্ডব দেখে ওইসব হিংস্র আর নিষ্ঠুর শ্রমিকদের প্রতি ঘৃণায় শিউরে উঠি...দ্বিতীয় যেটা ঘটে, এইসব হট্টগোলের ফাকে, হাতে গোণা যে কয়েকজন শ্রমিক নেতৃত্ব দেয়ার সামর্থ্য রাখেন, তাদেরকে গুম করে ফেলে...মালিক সরাসরি যে উপকারটা পান সেটা হল, এই অরাজকতার কারণে কিছুদিনের জন্য গার্মেন্টস বন্ধ করে দেন...ফলে বকেয়া বেতনের আশায় কিছুদিন বন্ধ গেটের কাছে ভিড় করলেও একটা পর্যায়ে শ্রমিকরা পেটের দায়ে অন্যান্য জায়গায় কাজের আশায় চলে যেতে বাধ্য হন... ব্যাপক শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরিটুকুও শুষে নিয়ে মাসখানেক পর নতুন শ্রমিকে নতুনভাবে আবার গার্মেন্টস চালু হয়..

সশস্ত্র (বা প্যারা মিলিটারি) বাহিনীর অনুতপাদনশীল প্রভু-ভৃত্য আন্তসম্পর্কের ঔপনিবেশিক কাঠামোয় পরিবর্তন না এনে কেবল নিরপেক্ষ তদন্ত বা কঠোর শাস্তি টাইপের হম্বিতম্বি দিয়ে কোনো বালই ছেড়া যাবে না... যায় না...

তীরন্দাজ এর ছবি

সরকার এদের সামনে এসে কোনদিনই কিছু বলবে না। হতদরিদ্রদের সামনে কখনোই কোন সরকার ভালো কিছু বলেনি। এখনো বলবে না। ভোটের একদিন বা দেড়দিন আগে হলে হয়তো বলতো।

সেনাবাহিনির নির্ভরযোগ্য কেউ এসে কোন স্বান্তনাও দেবেনা, ভাল কথাও বলবে না। এদের রক্তের বদলে রক্ত না হলে উদরপূর্তি হবে না। তবে এক এক হিসেবে নয়, আরো অন্য কিছু, আমার জানা নেই।

আমি বরং আরেকটা কথা বলি। আসুন, সবাই মিলে পরামর্শ দেই, যাতে এসব আত্মীয় স্বজনরা জাপানী 'কামিকেজ' সৈন্যের মতো নিজেদের গায়ে গুলি করে মরে পরে থাকেন। সরকার, সেনাবাহিনীর একটা ঝামেলা তো কমলো!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

গৌরীশ রায় এর ছবি

অভয় দানের ক্ষেত্রে সরকারই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য।
ইনিশিয়েটিভ নেয়া উচিত অতি দ্রুত।

অতিথি লেখককে ধন্যবাদ এই বিষয়ে লিখার জন্য তবে দু পরিচ্ছেদের লিখায় অসংখ্য বানান ভুল।
বাংলা লিখায় একটু যত্নশীল হবার অনুরোধ থাকল।

s-s এর ছবি

মনুষ্যত্ব না ভুললেও বানানটা কিন্তু ঠিকই ভুলে গেছেন ভাই ! একটু ঠিক করুন প্লীজ, খুব চোখে লাগছে।

আদৌ কি পরিপাটি হয় কোনো ক্লেদ?ঋণ শুধু শরীরেরই, মন ঋণহীন??

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।