অংকের মজা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৪/২০০৯ - ১০:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অংকভীতি দূর করাতে শিক্ষক বাবা আমাকে মজার গাণিতিক ধাঁধাঁ নামে একটা রাশান বইয়ের অনুবাদ কিনে দিয়েছিলেন বহু বছর আগে। তার মধ্য থেকে দু'টা মজার সমস্যা এখনো মনে আছে। দেখিতো আপনাদের মাথায় ঘিলু আমার চেয়ে কম না বেশী...আমার ধাঁধাঁ দু'টো সমাধান করতে সময় লেগেছিল সর্বমোট পনেরো মিনিট হাসি
সমস্যা ১ :
ধরুন একটা বাড়ীতে লিনা, মিনা আর রিনা নামে তিনজন কর্মজীবি মেয়ে বাস করে। তাদের রান্না ঘরে গ্যাস নাই, তাই লাকড়ি দিয়েই তাদের রান্না-বান্না সারতে হয়। প্রতিরাতে রান্না করতে তাদের লাকড়ির প্রয়োজন হয়।একদিন সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরে লিনা লাকড়ি যোগাড় করে আনল পাচঁটি , মিনা দিল তিনটি আর রিনার কাছে কোন লাকড়ি না থাকায় সে তার ভাগের মূল্য বাবদ আট টাকা দিল।
এখন আপনি এই আট টাকা ওদের দু'জনের মধ্যে ভাগ করে দিন... বলুন তো লিনা আর মিনা কার ভাগে কয় টাকা পড়বে?

সমস্যা ২ :
চাকরি- বাকরি খুজে হয়রান বেকার যুবক রহিমুদ্দি একদিন মনের দুঃখে গভীর জংগলে চলে গেল। সেখানে তার এক দরবেশ বাবার সাক্ষাত মিলল। বাবা তার মনোকষ্টের কথা শুনে দয়া পরবশ হয়ে মানি মেকিং এর সহজ এবং অতি দ্রুত পন্থা বাতলে দিলেন।
ডীল হইল রহিমুদ্দি তার পকেটে যত টাকা আছে তা দরবেশের হাতে দিবে, আর বাবাজান সেই টাকা তার স্পেশাল ক্ষমতা সম্পন্ন চাটাইয়ের নিচে রাখিয়া চক্ষূ মুদিয়া সুপার স্পেশাল মন্ত্র পাঠ করিবেন। ইহাতে টাকা মুহুর্তেই ডাবল মানে দুইগুন হইয়া যাইবে । রহিমুদ্দি ভালো বংশের ছেলে হওয়ার উছিলায় হুজুরের এই বিশেষ কেরামতি আন লিমিটেড ব্যবহার করিতে পারিবে। তবে.........ছোট একখান কিন্তু আছে... প্রতিবার টাকা ডাবল করিবার পর সালামী হিসাবে জনাবকে বারো টাকা করিয়া দিতে হইবে। রহিম বেচারা আকাশের চাদ হাতে পাইবার আনন্দে উদ্ভাসিত হইয়া বত্রিশ দাঁত কেলাইয়া পকেট খালি করিয়া সব টাকা দরবেশের হাতে দিয়া উত্তেজিত ভাবে দাড়াইয়া কান্ড দেখিতে লাগিল। সত্যই টাকা দুইগুন হইয়া গেল, বাবা তাহার সার্ভিস চার্জ হিসাবে বারো টাকা রাখিয়া বাকী টাকা রহিমকে দিয়া দিলেন। রহিম দ্বিগুন উতসাহে সব টাকা আবার কামেল সাধকের চাটাইয়ে ইনভেস্ট করল। দ্বিতীয়বারেও একই জিনিষ ঘটল...টাকা ডাবল হইল...বাবা তার ভাগের বারো টাকা নিয়া বাকীটা ফেরত দিলেন। ভেজাল লাগল তিন বারের বেলায়... টাকা যথারীতি ডাবল হইল...কিন্তু দরবেশকে তার সালামী বাবদ বারো টাকা দেয়ার পরে রহিমুদ্দি দেখল যে তার হাতে আর একটা ফুটা পয়সাও অবশিষ্ট নাই।
প্রশ্ন হইল বেচারা রহিম কত টাকা নিয়ে জংগলে প্রবেশ করেছিল???

যারা উত্তর দিতে ব্যর্থ হইবেন তাহারা দয়া করিয়া খাজা বাবার মন্ত্রসিদ্ধ পানি পড়া পান করিবেন...প্রতিদিন বাইশ বার।


মন্তব্য

মূলত পাঠক এর ছবি

আরে মশয় খাটনি কইরা লিখলেন, নামটা দিলেন না? আমি পেটেন্ট নিয়া নিলাম, এইটা এখন থিকা আমার লিখা।

অতিথি লেখক এর ছবি

কুন আপত্তি নাই। তয় আমি দস্তখত করতে এখনো শিখি নাই। ভালো মত খুজলে বুড়া আংগুলের ছাপ পাইবেন। তাতে চলবে?
(মামুন হক)

মূলত পাঠক এর ছবি

লিনা পাবে সাত টাকা, মিনা এক টাকা।

মাত্র সাড়ে দশ টাকা নিয়ে রহিমুদ্দি জঙ্গলে গিয়েছিলো! সত্যি তার দশা করুণ!

হিমু এর ছবি

১. লিনা পাবে সাত টাকা, মিনা পাবে এক টাকা।

২. দশ টাকা পঞ্চাশ পয়সা।

সময় লাগলো চার মিনিটের মতো মন খারাপ



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

বন্য রানা এর ছবি

লিনা পাবে সাত টাকা, মিনা পাবে এক টাকা।
দশ টাকা পঞ্চাশ পয়সা।

সময় লাগলো আধা মিনিটের মতো (নকল করছি হি হি হি)

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

১. লিনা পাবে সাত টাকা, মিনা পাবে এক টাকা।

২. দশ টাকা পঞ্চাশ পয়সা।

আমার কপি পেস্ট করার সময়টুকুই লাগছে খালি। এক ফোটাও ভাবতে হয় নাই... দেঁতো হাসি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হুহু এর ছবি

দারুণ! হাসি হো হো হো)
আগে গেলে বাঘে খায়, পিছে গেলে সোনা পায় কেস দেখি!

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আফনে লোকটা অঙ্কে ভালা হইলেও সচলে প্রশ্ন করবার সময় বেজায় মিশটেক করসেন...
আমি তো অঙ্ক করনের টাইমই ফাইলাম না- হেতেরা আগে আগে উত্তর লিখি ফালাইসে...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

মামুন হক [অতিথি] এর ছবি

উত্তর সঠিক হয়েছে। সাবাস!!!
আপ্নেগোরে বুদ্ধু ভাইবা আমি এখন নিজেই নিজের হাত কামড়াই।

অতিথি লেখক এর ছবি

হা..হা..হা..

(জয়িতা)

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।