সেন্টমার্টিন অভিযানঃ ১৯৯৪ (শেষ পর্ব) রাতের আঁধারে অপরূপা সেন্টমার্টিন

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শনি, ২৫/০৪/২০০৯ - ৭:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আগের পর্ব এখানে


যারা অপরূপা রাতের সেন্টমার্টিনকে দেখেননি তাদের জন্য এই পর্ব উৎসর্গ করা হলো

বৃষ্টি থেমে গেছে। আঁধার নামেনি তখনো। আমরা কটেজ থেকে বেরিয়ে ভেজা বালির উপর দিয়ে খালি পায়ে হেঁটে দ্বীপের পশ্চিম প্রান্তের দিকে রওনা দিলাম। সামনে তাকালে সোজা ধূধূ ভারত মহাসাগর। বঙ্গোপসাগর তো ভারত মহাসাগরেরই অংশ। তবে একটা মহাসাগরের তীরে দাঁড়িয়ে আছি ভাবতেই বেশী ভালো লাগলো।

পুরো সৈকত জুড়ে বিশাল বিশাল কেয়া গাছ। আনারসের মতো ফল ধরে ধরে ঝুলে আছে। এই গাছগুলো কে লাগিয়েছে খোদা মালুম। এত্তবড় দৈত্যাকার কেয়াগাছ কোথাও দেখিনি। ঘুরে ঘুরে ছবি তোলা হলো বেশ অনেকগুলো। ঘোরাঘুরি করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে এল। নৌকাঘাটের এলাকায় এলাম। সেন্টমার্টিন হাইওয়ে। ওই কংক্রীট হাইওয়ে দিয়ে পুরো গ্রাম ভ্রমন করা যাবে। প্রথমে হোটেলে গিয়ে রাতের খাবারের অর্ডার নিশ্চিত করলাম। পাশের কোন এক বাড়ী থেকে একটা মোরগ ধরা হয়েছে। সেটা রান্না হচ্ছে আমাদের জন্য। আরেক বাড়ীতে কয়েকটা ডিমের সন্ধানও পাওয়া গেছে। চাইলে এনে ভেজে দিতে পারবে। বাহ্ রাতে তো শাহী ভোজন হবে। ডিম ভাজি আর দেশী মুরগীর ঝোল দিয়ে দারুন খাওয়া হবে। মাছ খেতে না পারার শোকটা মোটামুটি ভুলে থাকা যাবে।

গ্রামের রাস্তা ধরে হাঁটছি। হাঁটতে হাঁটতে একটা জায়গায় গিয়ে হঠাৎ সেন্টমার্টিন হাইওয়েটা শেষ হয়ে গেল। এরপর বালির পথ। জুনায়েদ বলেছিল এই রাস্তার শেষে আছে হুমায়ুন আহমেদের অসমাপ্ত বাড়ী। আলোচিত বাড়ীটা দেখার ইচ্ছা সবার। কিন্তু অন্ধকারে লোকেশান ঠাহর করা যাচ্ছে না। বালির পথে কিছুদুর হাঁটার পর কিসের যেন গুড়গুড় শব্দ শোনা গেল। থমকে দাড়িয়ে কান পেতে শুনলাম। শব্দটা তখনো চলছে। ঘুর্নিঝড়ের সময় এ ধরনের শব্দের সাথে পরিচিত আমরা। শরীরে কেমন কাটা দিয়ে উঠলো। আরেকটু এগিয়ে ঝোপের ফাঁক দিয়ে দেখি সামনেই সমুদ্র, তীরে বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে। ব্যাপার তাহলে এই।

আসলে দ্বীপটা খুবই ছোট। যেদিকেই যাওয়া হোক, দশ-পনেরো মিনিট সোজা হাঁটলে সমুদ্র চলে আসবে। দ্বীপের এই এলাকাটা লোকবসতি বিবর্জিত। নির্জনতার একটা শিহরন আছে। এতগুলো মানুষ একসাথে আছি তবু কেমন ভয় ভয় আধিভৌতিক অনুভুতি হলো। আমরা জঙ্গলের ছায়ায়, সামনে কেয়াঝোঁপের ফোঁকড় দিয়ে বালির উপর আছড়ে পড়া গর্জানো ঢেউগুলো দেখা যাচ্ছে। ওই পাগলা সমুদ্রে কাটিয়েছি অনেকটা সময় আজ ভাবতে কেমন যেন লাগলো। জঙ্গলটা যেন কেমন রহস্যে ঘেরা। অন্ধকারের কারনেই এমনটা লাগছে? কে জানে! তবে এই জায়গাটার কী যেন অস্বাভাবিকতা আছে। কেন যেন সামনের জঙ্গলটা পেরিয়ে সমুদ্রের দিকে যেতে ভালো লাগলো না। মনে হচ্ছে পৃথিবীটা ওখানে কাত হয়ে আছে, সমুদ্রের কাছাকাছি গেলে খাদের কিনারা গড়িয়ে নীচে পড়ে যেতে পারি। যেন ওটা পৃথিবীর উল্টোদিক। এমন লাগলো কেন?

ফেরার পথে ঠিক হলো একেবারে খাওয়াদাওয়া শেষ করেই কটেজে যাবো। কারন কটেজ এখান থেকে অন্ততঃ পোয়ামাইল দুরে, বালির উপর দিয়ে হেঁটে আসার ঝক্কিও কম না। হোটেলের প্রবেশ মুখে টিমটিম করে কেরোসিনের হারিকেন জ্বলছে। রান্না শেষ। যাওয়া মাত্র খাবার পরিবেশন করা হলো। মুরগীর ঝোলটা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশী স্বাদু হয়েছে। পেঁয়াজ মরিচ কেটে সালাদের মতো একটা বস্তু তৈরী করা হয়েছে। দারুন লাগলো।

খাওয়া সেরে সিগারেট ধরিয়ে সমুদ্রতীর ধরে বালিয়াড়ির উপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে কটেজে ফিরছি। সমুদ্রে জোয়ার এখন। আসার সময় যেদিক দিয়ে হেঁটে এসেছি সেখানে এখন অথৈ জল। অন্ধকার টর্চ জ্বেলে হাঁটছি। সাবধানে হাঁটতে হচ্ছিল, কারন জেলে নৌকাগুলো এক ধরনের লোহার চোখা আকশি দিয়ে বালির ভেতর আটকানো, কোন কোনটার চোখা মাথা বালির ভেতর থেকে উঁকি মেরে আছে, ভুলে একবার পা পড়লেই হয়েছে, এফোড় ওফোড় হয়ে যাবে পা।

কিছুদুর হাঁটার পর কটেজের কয়েকশো গজ আগে সমুদ্রের গর্জানো ঢেউগুলোর দিকে চোখটা হঠাৎ আটকে গেল। ঢেউগুলো সাদা সাদা ফেনা মাথায় নিয়ে সৈকতে আছড়ে পড়ছে। সমুদ্রের ঢেউ সাদা ফেনা নিয়ে আছড়ে পড়বে এটা তো বিরল কোন দৃশ্য নয়। তবু কী যেন মিলছে না?

আকাশে চাঁদ নেই। তারার আলোয় এতটা দ্যুতি নেই যে দুরবর্তী সমুদ্রের ঢেউ দেখা যাবে। এখানে কোথাও বিদ্যুত নেই। দশদিগন্ত অন্ধকার। তবু কেন সেই ঢেউগুলো এত স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে? নিজে নিজে দেখছি, ওদের কাউকে তখনো বলিনি। নিজেকে কোন ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট করতে না পেরে হেঁটে সমুদ্রের দিকে এগিয়ে গেলাম কাছ থেকে দেখার জন্য। এবার সাদা নয় নীলাভ দেখাচ্ছে। যেন ঢেউয়ের মাথায় কেউ মার্কারি বাতি জ্বালিয়ে দিয়েছে। রহস্যময় ঢেউগুলো যেখানে আছড়ে পড়ছে সেখানে পৌছালাম।

এ কী দেখলাম! বিরল অবিস্মরনীয় একটা দৃশ্য পুরো সৈকত জুড়ে। লক্ষ কোটি তারার মেলা বসেছে যেন সেন্টমার্টিনের পুরো সৈকতে। যে আলো ঢেউয়ের মাথায় জ্বলছিল, তা এই সকল আলোক দানার সমষ্টি। উপরে আকাশে যেমন লক্ষ কোটি তারার নানা রঙের মেলা, এখানেও বালিতে যেন তারার হাট বসেছে। জ্বলজ্বল করছে লাল, নীল, সবুজ, হলুদ, বেগুনী হরেক বর্নের হীরক খন্ড।

বাহারী আলোতে উদ্ভাসিত এইসকল সাগর তারকারাজি। ছোট বড় নানান উজ্জ্বলতায় জ্বলছে তারাগুলো। দেখে সবাই বাকহারা। আস্তে আস্তে শব্দ বের হলো। সেই কী চিৎকার!! উন্মাদনা। শুরু হলো সৈকত জুড়ে বাচ্চাদের মতো লাফালাফি। সেই অপরূপের বর্ননা আমার অসাধ্য। নিজ চোখে না দেখলে কেউ বুঝবে না কী অপূর্ব, কী অপূর্ব। নিমেষেই জীবন নিয়ে সব হতাশা উবে গেল। পৃথিবীতে আমাদের আর কোন চাওয়া পাওয়া নেই। সব হিসেব মিটে গেছে।

এই দৃশ্য প্রানভরে উপভোগ করতে দ্বীপটাকে অবশ্যই বিদ্যুৎবিহীন হতে হবে। নইলে বিদ্যুতের আলোকে হারিয়ে যাবে এই বিস্ময়কর সৌন্দর্য। যারা পূর্নিমা দেখতে সেন্টমার্টিন যায় তাদের বলি - পূর্নিমা দেখার জন্য কষ্ট করে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত আসার দরকার নেই, কক্সবাজার-ইনানীই যথেষ্ট।

হুমায়ুন আহমেদ অনেক পূর্নিমা রাত কাটিয়েছেন এই দ্বীপে। সম্ভবতঃ তিনি পূর্নিমা নিয়ে বেশী ব্যস্ত থাকাতে এই দৃশ্যটা থেকে বঞ্চিত থেকেছেন, নইলে তাঁর লেখায় এমন একটা বিরল সৌন্দর্যের বর্ননা আমার চোখে পড়েনি কখনো। অন্য কেউ লিখেছে কিনা পড়িনি। তবে Robert M. Ballantyne এর The Coral Island (1857) বইটির একটা অংশে এই সৌন্দর্যের ভালো বর্ননা পড়েছি, নীচে তার খানিকটা দিলামঃ

"......when on rising one night, after my three hours' nap, while it was yet dark, I was amazed and a little alarmed to find myself floating in what appeared to be a sea of blue fire! I had often noticed the beautiful appearance of phosphorescent light, but this far exceeded anything of the sort I ever saw before. The whole sea appeared
somewhat like milk and was remarkably luminous.

I rose in haste, and, letting down a bucket into the sea, brought some of the water on board and took it down to the cabin to examine it; but no sooner did I approach the light than the strange appearance disappeared, and when I removed the cabin lamp the luminous light appeared again. I was much puzzled with this, and took up a little of the water in the hollow of my hand and then let it run off, when I found that the luminous substance was left behind on my palm. I ran with it to the lamp; but when I got there it was gone. I found, however, that when I went into the dark my hand shone again; so I took the large glass of the ship's telescope and examined my hand minutely, when I found that there were on it one or two small patches of a clear, transparent substance like jelly, which were so thin as to be almost invisible to the naked
eye. Thus I came to know that the beautiful phosphoric light, which I had so often admired before, was caused by animals, for I had no doubt that these were of the same kind as the medusae or jelly-fish which are seen in all parts of the world............."

আমরা কটেজের সামনের সৈকতে গিয়ে আলোকদানাগুলো হাতে নিয়ে খেলতে লাগলাম। ফসফরাসের সেই তারাগুলো যেখানে ছড়িয়ে পড়ছে সেখানকার বালিগুলো কেমন যেন একটু উষ্ণ। এই বস্তুগুলোর কারনেই কী? তারাগুলোর উপর দিয়ে হেঁটে যেতে রাজকীয় অনুভুতি হলো। আমি যেন এই পুরো মহাবিশ্বের অধীশ্বর। উচ্ছ্বাস শেষে ক্লান্ত হয়ে বালির চড়ায় বসে পড়লাম। ব্যাগে করে ছোট একটা ব্যাটারীচালিত ক্যাসেট প্লেয়ার এনেছিলাম । রুম থেকে ওটা এনে মান্না দে ছেড়ে দিলাম। মান্না দে গাইছে -"গভীর হয়েছে রাত, পৃথিবী ঘুমায়......"

কোথাও কোন শব্দ নেই। একটানা সমুদ্রের শোঁ শোঁ গর্জন। সামনের সৈকতজুড়ে আলোর মিছিল। নীল রঙের ঢেউগুলো ঝাঁপিয়ে পড়ে রাঙিয়ে দিচ্ছে সমস্ত সৈকত অপূর্ব এক আলোয়। নিঃশব্দের জগতে হারিয়ে গেছে সবাই। ভীষন ভালো লাগায় কী খানিকটা বিষাদের ছোঁয়া থাকে? সেই রাতটা ছিল জীবনের সবচেয়ে সুন্দর রাতগুলোর একটি। স্মৃতিতে সেই মুগ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। কিছু কিছু স্মৃতি এরকম তাজা থাকে চিরকাল।

পরদিন সকালে আমরা শেষবারের মতো ঘুরলাম দ্বীপের চারপাশ। বিদায় জানালাম সেন্টমার্টিনকে। নৌকা ছাড়লো। এগিয়ে যাচ্ছে উত্তরমূখী পথে বাংলাদেশের মূল ভুখন্ডে। আশ্চর্য এবার একফোঁটা ঢেউ নেই। শান্ত সমুদ্র। সামান্য দোলা। কিছুক্ষন পর বিরক্তই লাগলো। ঢেউ না থাকলে সমুদ্র একটা বিরক্তিকর জিনিস। এক ঘন্টার মধ্যে শাহপরী দ্বীপের কাছাকাছি চলে এলাম। যাবার সময় দ্বিগুন সময় লেগেছিল প্রতিকূল ঢেউয়ের কারনে।

পেছন ফিরে দেখলাম সেন্টমার্টিনের রেখা দিগন্তে মিলিয়ে গেছে। আবার কখন যে ফিরবো ওখানে! 'ফিরবো' বললাম কেন? ওটা কী আমার দ্বীপ? হয়তো। সেরকম ভাবতেই ভালো লাগলো।

[সমাপ্ত]

নীড় সন্ধানী
২৫ এপ্রিল ২০০৯


মন্তব্য

বিপ্লব রহমান এর ছবি

খুব সুন্দর, ঝরঝরে লেখা। হাসি
এবারও ছবি নেই। মন খারাপ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

নীড় সন্ধানী [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ বিপ্লব। ছবিগুলো নষ্ট হয়ে গেছে প্রায়, তাই দিতে পারিনি। স্মৃতির রেকর্ডারেই আছে কেবল।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আহা কী অসম্ভব সৌন্দর্যের অসাধারণ বর্ণনা। আপনি ভাগ্যবান। এখনো কি এমনটা দেখা যায়? এর কোনো ছবি কোথাও থেকে দিতে পারেন?

অন্য প্রসঙ্গ: আপনি "অতিথি লেখক" হিসেবে না থেকে অতিথি হিসেবে লিখছেননা কেন? সাইন আপ করলেই তো হয়?
...............................
নিসর্গ

নীড় সন্ধানী [অতিথি] এর ছবি

আপনার ভালো লেগেছে বলে আমি আনন্দিত। আমি এই জিনিসের ছবি দেখিনি কোথাও। তখন ছবি তোলার চেষ্টা করেছি, কিন্তু ফিল্ম ক্যামেরায় সম্ভব ছিল না। এখনকার অত্যাধুনিক ডিজিটাল ক্যামেরায় সম্ভব হলেও হতে পারে। বিশেষতঃ যে ক্যামেরা রাতের আকাশের তারার ছবি ধারন করতে পারে। 'ব্লু লেগুন' ছবিতে রাতের আধারে নীলচে ঢেউয়ের দৃশ্য খানিকটা দেখিয়েছিল। হয়তো কৃত্রিমভাবে।

অন্যপ্রসঙ্গে। আমি সাইনআপ করেছিলাম। কিন্তু সেই পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করতে গেল এই মেসেজ পাই- "The username নীড় সন্ধানী has not been activated or is blocked."

blocked হবার কোন কারন নেই, হয়তো activated করা হয়নি। কিভাবে করতে হবে ধারনা নেই আমার। হা হা হা।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনি contact এ্যাট sachalayatan.com এ একটা মেইল দিন। ওনারা নিশ্চয়ই ঠিক করে দিবেন।

নীড় সন্ধানী [অতিথি] এর ছবি

পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ পিপিদা। মেইল দিলাম।

মুস্তাফিজ এর ছবি

ভালো লাগলো

...........................
Every Picture Tells a Story

নীড় সন্ধানী [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই।

জুলফিকার কবিরাজ [অতিথি] এর ছবি

আলোর কণার বর্ণনা ভাল লাগল।
আপনি আজিম পুরের পাঠ চক্রের সদস্য। হয়ত আপনাকে চিনি। তাই সাক্ষাতে আরো বিস্তারিত জানার অবকাশ আছে।

নীড় সন্ধানী [অতিথি] এর ছবি

আমি আজিমপুর পাঠচক্রের সদস্য নই। আমি চাটগাঁর লোক। তবে আমার গ্রামের নাম আজিমপুর। হা হা।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

সমু্দ্রের পাড়ে বসে বাতাসের শোঁ শোঁ গর্জন যে কতটা আনন্দায়ক তা বলে বোঝানো যাবে না! সুন্দর বর্ণনায় সবকিছু যেন জলজ্যান্ত দেখা মিললো। চলুক

নীড় সন্ধানী [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

কালো কাক এর ছবি

সবগুলো পর্ব পড়লাম একসাথে। ভাগ্যবান আমি যে আলাদা আলাদা পড়তে হয়নি। এমন অসাধারণ লেখার এক টুকরা পড়ে আরেকটার জন্য অপেক্ষা করা কঠিন।
পড়তে পড়তে অনুভব করতে পারছিলাম প্রতিটা মূহুর্ত, যেনো চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম প্রতিটা দৃশ্য। অসাধারণ লিখছেন হাততালি

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

আমার জীবনের আফসোস আপনি আরো বাড়িয়ে দিলেন। আপনার এই লেখা পড়ে আমার এখন মন খারাপ লাগছে, ইশ! আমার দেখা হহবে না। ২০১২ তে সেন্ট মার্টিন সেই ১৯৯৪ এর মত থাকবে না। আর আমি কবে সেখানে যেতে পারব তাও নিশ্চিত না। হতে পারে, এই জীবনে যাওয়া হবে না, হতে পারে যে ২০১৩ তে যেতে পারি আমার প্রিয় মানুষটার সাথে। আবার নাও হতে পারে।

আপনার লেখার হাত অসাধারণ! এত সুন্দর ভ্রমনকাহিনী আমি খুব কমই পড়েছি। শৈশব থেকেই ভ্রমণে আমার প্রচন্ড আগ্রহ আর এই জন্যেই হয়ত আমি একটা কুয়ার মাঝেই জীবন কাটিয়ে দিচ্ছি; সব ভ্রমণই পত্রিকা, বইএ আর ইদানিং সচলায়তনে পড়ছি। আপনি ভালো থাকুন, আরো লিখুন।

সচলের মডারেটরদের ধন্যবাদ এই "মনের মুকুরে" এর জন্য।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।