ছড়ার ছক্কা - রেজুয়ান মারুফ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৫/০৭/২০০৯ - ১১:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছড়ার ছক্কা / রেজুয়ান মারুফ

[b]বাংলাদেশ

নানান রকম ভেজাল রে ভাই
ভেজালের কী শেষ আছে?
তাও তো শান্তি বলতে পারি
আমার একটা দেশ আছে!

দেশটা গরীব ভাঙ্গা-চোরা
ঋণের ওপর দাঁড়িয়ে -
তবু বাংলাদেশই সেরা
সকল দেশকে ছাড়িয়ে!

ধর্ম না তক্ত

মাইয়া লোকের নেতৃত্ব
এক্কেবারে হারাম!
এই ফতোয়া দিয়া যারা
পাইছিলো খুব আরাম,

তারাই এখন নাচে দেখি
মাইয়া লোকের আঁচল ধইরা
না যায়েজ কর্মটারে
ইচ্ছা মতোন যায়েজ কইরা।

হায় হায় হায় রে
হুজুররা কহন যে
কোন সুরে গায় রে!

হুজুরগো রাজনীতি
বোঝা বড় শক্ত
কোনটা যে প্রিয় বেশী
ধর্ম না তক্ত!

অমরেশপুরী

যোগ্য জাগায় অযোগ্য সব মেকি লোকের বাহারে
তাল-গোল যায় পাকিয়ে হায় দু:খ্য কবো কাহারে

এই লোকেরাই চালায় সমাজ
ক্যাসিনো আর রোজা-নমাজ

দেখলে পরে হবে মনে হিন্দি ছবির ভিলেন
এশার নামাজ শেষ করিয়া সঞ্জিবনী গিলেন

ভাবে বোঝান খুব জানেন
ভাসার কালে ডুব জানেন
দুনম্বরী –মুখোশধারী পান্ডা
আসলে তো জানেন ঘোড়ার আন্ডা!

চাপার চোটে পোয়াতি গাই যাবে হয়ে খালাশ
নিজের অছিহতটা শুধু করেন না যে তালাশ
ধান্ধাবাজি – গায়ের জোরে দখল করে চেয়ার
বহাল তবিয়তেই থাকেন- সদাই ডোন্ট কেয়ার।

এইম ইন লাইফ

ল পড়তে এসে আমি লন্ড্রিতে কাজ করি
গাদা গাদা কাপড় ধুয়ে ইস্ত্রী ও ভাঁজ করি
কাপড় ধুয়েই ধণ্য আমি
এই আমিটা অন্য আমি!
পোষায় না আর ছাত্র ছাত্র খেলা
আর কতোকাল পড়াশোনার ঠ্যালা!
তারচে ভালো ফুলটাইম কাম
ঝরলো না হয় খানিকটা ঘাম
ধোপাখানায় পয়সা আছে ম্যালা।

হঠাত দেখা

দীর্ঘ-দিন পরে হঠাত
আচমকাই দেখা হলো
অনুষ্ঠানের ব্যস্ততায় ও
ও যখনই একা হলো

হঠাত দেখার মতোই তখন
অল্প একটু কথা হলো –
বাকি সময় ইতি উতি
পায়চারী অযথা হলো

বাড়ি ফিরে থেকে থেকে
বুকের মধ্যে কষ্ট হলো
এই জীবনে ওরই অভাব
ভীষণই স্পষ্ট হলো

মনে হলো যেনো ---
এত্তোদিন পরে আবার
দেখা হলো কেনো!

টু-লেট

তেরো মাস ভালোবেসে
টুলটুলি অবশেষে
ছ্যাকা দিয়ে আমাকে
বিয়ে করে বসে আছে
মুতালেব মামাকে!

মুতালেব মামাটাতো আম্মার খালাতো
ওয়াশিংটনে সে ট্যাক্সি চালাতো

গ্রীনকার্ড দেখে টুলি হয়ে গেলো বউ যে
মুতালেব মামা তাই আছে খুব মৌজে

প্রাক্তন প্রেমিকা হয়ে গেছে মামী
নতুন প্রেমিকার খোঁজে আছি আমি।


মন্তব্য

আকতার আহমেদ এর ছবি

সচলে স্বাগতম, ছড়াকার!

অতিথি লেখক এর ছবি

জানিনা এটা আপনার চোখে পরবে কি'না আর।
সময়মতো আপনাকে ধন্যবাদ জানানোর সুযোগ পাইনি,
কারন এই পোস্টটা আমি অনেক দেরি করে দেখেছি।
অসংখ্য ধন্যবাদ!
নিয়মিত আপনার ছড়া পড়া থেকে বঞ্চিত করছেন কেন আমাদের?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ভাদাইমাগিরি ছেড়ে ছড়া লেখাটা নিয়মিত করলেও একটা কাজ হতো

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।