গল্প: পালাতে গিয়ে চির প্রস্থান।(প্রথম পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৭/১০/২০০৯ - ৫:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছোটবেলায় ইংরেজীতে “Morning shows the day” -বলে একটা কথা শিখেছিলাম। আমি জানি না সবাই বিশ্বাস করে কিনা? আমি যে বিশ্বাস করি না, এটা আমি ভালো করেই জানি। কীভাবে বিশ্বাস করি বলুন? সকালে ঘুম থেকে উঠে যে আকাশে চক্চকে রোদের দৌড়াদৌড়ি দেখি, দুপুরে সেখানেই দেখি ঘনকালো মেঘের আনাগোনা। সন্ধ্যায় দেখি চারিদিক আধার করে ঝুম বৃষ্টি। যে শিল্পী-সাহিত্যিকরা বসে ছিল সন্ধ্যায় গোধূলীর আবীর দেখে প্রিয়ার ঠোঁট রাঙাবে, তাঁরা এখন "বৃষ্টি পরে টাপুর টুপুর, নদে এল বাণ" টাইপের ছড়া লেখায় ব্যস্ত হয়ে পরে। সকালে রেডিওতে যখন আবহাওয়া সংবাদে শুনি আজ ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে হবে, দুপুরেই শুনি সাত নম্বর আর সন্ধ্যা শেষ হতে না হতেই শুনি দশ নম্বর। শেষে ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন,হ্যারিকেন, সিডর বা আইলা এসে লন্ডভন্ড করে দেয় প্রকৃতি, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ অসহায় হয়ে দেখে, কখনো পরাজিত হয়, মৃত্যুর কাছে নিজেকে সঁপে দিয়ে ভেসে যায় পানিতে। শেষে লাশ না পেলে সবাই বলে "সলিল সমাধি"।

মানুষের জীবন হাঁটাহাঁটি করে এক অনিশ্চিত রহস্যের পিচ্ছিল পথে। সব অনিশ্চয়তার মাঝে সব চেয়ে বড় অনিশ্চয়তা হলো মৃত্যু। এটা কখন এসে আপনাকে অভ্যার্থনা জানিয়ে বলবে চলুন সময় এসেছে চলে যাবার তখন আপনি আর কিছুই করার সুযোগ পাবেন না। তবু মানুষ সারাদিন জীবন সাজাতে ব্যস্ত থাকে। কাজ আর কাজ নিয়ে থাকে মগ্ন। এই কাজ করতে করতে মানুষ মাঝে মাঝে হাঁপিয়া উঠে, ধরাবাঁধা নিয়ম থেকে ক্ষণিক সময় বিরতি চায়। শহরের কৃত্রিম পরিবেশ থেকে মুক্তি চায়, ছুটে যায় প্রকৃতির কাছে নির্মল প্রশান্তির আশায়। মানুষ প্রকৃতির কাছে গিয়ে সব ভুলে মহাআনন্দ খোঁজে, বুক ভরে নিঃশ্বাস নেয়, জীবনকে সজীব করার মনোবাসনায়।

নব্বই কিঃমিঃ/ঘণ্টা বেগের গাড়িটা হুট্ করে ব্রেক চেপে ধরল শিপন। গাড়ির ভিতরে আসীন, ঝিমিয়ে পরা জনা চারেক বন্ধুরা সজাগ হয়ে উঠল। একে আরেক জনের গায়ের সাথে ধাক্কা ধাক্কি খেল। ড্রাইভিং সীটের পাশের সীটে বসা তমাল শিপনের দিকে বিরক্তির চোখে তাকাল। সে অনেকটা সামনের দিকে ঝুঁকে গিয়েছিল। সীট বেল বাঁধা না থাকলে নিশ্চিত গাড়ির সামনের কাঁচের সাথে ধাক্কা খেত।"কী রে হঠাৎ ব্রেক মারলি কেন?" তমাল জানতে চাইল।

"দেখছস না বেটা সামনে একটা বৃদ্ধা কোনোদিকে না চাইয়া রাস্তা পার হইতাছে।" শিপন মাথাটা স্ট্যায়ারিং এর সাথে ঠেকিয়ে বলল। নিজেকে নিরাপদ রাখতে পেরে যেন এখন মুক্ত। বড় বড় নিঃশ্বাস নিল।
"কই?" সামনের দিকে তাকিয়ে তমাল বলল। তমালের সাথে বাকিরাও সামনের দিকে তাকিয়ে দেখল। সবার সাথে শিপনও তাকাল। সামনে কেউ নেই।
"দোস্ত তুই মনে হয় ভ্রম দেখছস?" পেছন থেকে জাকির বলল।
"নে একটা সিগারেট টান"-পেছন থেকে সিগারেট এগিয়ে দিয়ে মিঠু বলল।
"জানছ না হালা, শিপন অধূমপায়ী" সিগারেট টা ছুঁ মেরে নিয়ে বলল তমাল।
"দোস্ত তোর মনে হয় ঘুম পাইছে , সামনে একটা চায়ের দোকান দেখে গাড়ি থামাইস, একটু চা বিড়ি খাইলে ঘুমটা কেটে যাবে।" গম্ভীর ভাবে বলল সাজ্জাদ।
"হালারা পেঁচাল কম মার। গাড়ির সব কয়টা ঝিমাইলে কী আমি ঠিক থাকতে পারি?" রাগের স্বরে বলল শিপন। নিজেকে স্বাভাবিক করে পানি খেয়ে আবার এগিয়ে যাবার তাড়না।

"একটা যদি আর চোখ বন্ধ করছস তাইলে খবর আছে।" গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বলল শিপন। সিডি প্লেয়ারে সদ্য রিলিজ পাওয়া কিছু হাই বীটের হিন্দি গান ছেড়ে দিল শিপন। গাড়ি এগিয়ে চলল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে। এইবার সবার সজাগ দৃষ্টি। সবার ঢুলু ঢুলু চোখ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখায় ব্যস্ত। দূরের ফসলের মাঠে কৃষক আপন মনে ধানের ক্ষেতে নিড়ানি দিচ্ছে। কেউ কেউ ক্ষেতের আইলে বসে বিড়ি টানছে। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে বাইরের রোদটা মনে হচ্ছে একটু বেশি তেজ নিয়ে পৃতিবীতে বিরাজ করছে আজ। তাই শীতের এই শেষ সময়তেও গাড়িতে এসি চলছে। তমাল সিগারেট ধরার জন্য লাইটার নিয়ে আগুন জ্বালাতেই শিপন বলল-"শালা সিগারেট ধরাবি না, দেখছনা এসি চলতাছে।"
"তাইলে দোস্ত এসিটা একটু অফ কর, আমরা গ্লাস নামাই, সিগারেট না টানলে আর চলছে না।" জাকির বলল।

"বান্দীর পোলা দশ মিনিট সয্য করতে পারবি না, না? সামনের বাজারে গাড়ি থামাইলে জন্মের বিড়ি গাইয়া লইছ।" শিপন বলল।
সবাই চুপ হয়ে গেল। তমাল অনিচ্ছাসত্ত্বেও সিগারেট আর লাইটারটা রেখে দিল পকেটে।

পাঁচ বন্ধু মিলে সাত দিনের সফরে যাচ্ছে কক্সবাজার। উদ্দেশ্য সেন্টমার্টিন, মহেশখালী ঘুরে বান্দারবন ও রাঙ্গামাটি ঢু মারা। সবাই বেশ ফুর্তিতে আছে। নিজেরা গাড়ি নিয়ে যাচ্ছে, সুতরাং মুভমেন্টের ঝামেলা নাই। ইচ্ছেমত গাড়ি থামিয়ে চা-সিগারেট খাওয়া যাবে, সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাপার হলো যখন তখন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়া যাবে নিরিবিলি জায়গা দেখে। পছন্দসই জায়গা গুলি ভালো করে দর্শন করতে পারবে, ছবি তুলেত পারবে মনের শখ মিটিয়ে। গাড়ি এগিয়ে যাচ্ছে, সবার চোখে ঘুম, কিন্তু শিপনের ভয়ে কেউ চোখের পাতা এক করতে পারছে না।

"দোস্ত একটু ব্রেক চাপবি?"-মিঠু বলল।
"কেন?" উইন্ডোর দিকে তাকিয়ে বলল শিপন।
"একটু মাইনাস করতে হবে।" মুখ বিকৃত করে মিঠু বলল।

অগত্যা শিপন গাড়ির ব্রেক চাপল। হাই ওয়ের পাশে, প্রচুর গাড়ি আসা-যাওয়া করছে। মিঠুর সাথে সাথে তমাল, জাকির, সাজ্জাদও নামল। শিপন গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়িয়ে আছে। দেখল চারজন জামাতে ইউরিন দিয়ে যাচ্ছে রাস্তার ধারে অযত্নে বেড়ে উঠা জঙ্গলা গাছপালা গুলিকে। শিপন একটু বিরক্ত মুখে দেখল। পানির বোতল নিয়ে পানি খেয়ে নিল।

সবাই গাড়িতে উঠে বসল। শিপন কোনো কথা না বলে গাড়ি চালাতে লাগল।
"দোস্ত যাইতে কতক্ষণ লাগবে?" সাজ্জাদ বলল।
"আমরা সন্ধ্যা নাগাত পৌঁছে যাবো আশা রাখছি।" শিপন বলল ।
"কেন তোর কী বড়টা ধরছে?" সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসা করল তমাল। সবাই হুহু করে হেসে উঠল। একটা ভ্যান গাড়িকে ধাক্কা দিতে দিতে বেঁচে গেল তাদের মাইক্রো বাসটা।

"শালারা ইয়ার্কি কম মার, দেখছিলি এখনই গাড়ি ভ্যানের সাথে লাগতে ছিল।" মিঠু বলল।

তাঁরা সবাই বয়সে সদ্য তারুণ্যের জৌলস পার করা যুবক। তারুণ্যের উচ্ছ্বাসটা এখনো চোখ থেকে মিলিয়ে যায় নি, মনের আকাশে তারুণ্যের রঙ এর ছটা এখনো লেগে আছে। তাই পাশ দিয়ে কোনো গাড়ি ওভারটেক করে গেলে তাদের মন মানতে চায় না। তবে বড় লোক বাবার একমাত্র ছেলে শিপন বেপরোয়া জীবন কাটালেও গাড়ি চালানোর সময় সেটা পরিলক্ষিত হয় না। বরং এখানে তাকে অনেক পরিপক্ব মনে হয়। মনে হয় অনেক সাবধানী। তাইতো বন্ধুদের উস্‌কে দেয়াকে ট্র্যাকল করে টেস্ট দলের অধিনায়কের মত। সে যেন এখন পাকিস্তানের কিংবদন্তী অধিনায়ক ইমরান খান। হিসেব করে তাকে খেলতে হবে, মাথা ঠাণ্ডা রেখে যেতে হবে শ শ মাইল। তাই নিজের নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেই গাড়ি চালায়। পাশ দিয়ে যখন কোনো প্রাইভেট কার বা মাইক্রোবাস যায় যদি তাতে কোনো মেয়ে থাকে (সুন্দর-অসুন্দর, ছোট-বড় বাদ যায়না) তাহলে সবাই কোরাস চিৎকার দিয়ে উঠে, অশ্লীল ভঙ্গি করে, ইতরামি ফাজলামী সবই করে।

তারা চট্টগ্রামে এসে পৌঁছল দুপুর দুইটা নাগাদ। ইস্পাহানী মোড়ে একটা রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার খেয়ে নিল। খাবার খেয়ে একটু রেস্ট নিচ্ছে, তিনটায় রওনা দিবে বলে শিপন আগেই বলে রেখেছে। সবাই ফোনে ব্যস্ত হয়ে উঠল। কেউ মাকে কেউ প্রেমিকাকে ফোন করছে। শিপন মাকে ফোন করে অবস্থানের কথা জানাল। তমাল প্রেমিকার সাথে খোশ গল্প করছে আর একটার পর একটা সিগারেট টেনে যাচ্ছে। সাজ্জাদ চুপ করে বসে আছে। কারো সাথে কিছু বলছে না। ফোনে কথা বললে বিল উঠবে এই ভয়ে সে নীরব। তাছাড়া সাজ্জাদের কোনো প্রেমিকা নাই, জীবনে ছিলও না, ভবিষ্যতেও থাকবে বলে কোনো লক্ষণ নাই। কারণ সে মেয়ে মানুষকে পটাতে পারে না, তার চেয়ে বড় পকেট থেকে টাকা বের করতে চায় না। মেয়ে পটাতে টাকা লাগে আর লাগে সাহস, এই দুইটাই সাজ্জাদের অভাব। তাই চুপ মেরে বসে আছে। সবার কীর্তিকলাপ দেখছে।

ঠিক তিনটায় গাড়ি আবার কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হলো। সবাই বসে আছে। শহর দিয়ে যাবার পথে সবাই মেয়েদের সাথে গাড়িতে বসেই টিজিং করল। তাদের টিজিং এর সিংহ ভাগই মেয়েরা দেখতে পেল না, তাতেও তাদের মনের আনন্দের সীমা নাই। শিপনও মেয়ে দেখলে গাড়ির গতি শ্লো করে দিতে লাগল। অল্প সময়ের মধ্যেই গাড়ি শহর ছেড়ে কক্সবাজারের পথে উঠে এল। আঁকা-বাঁকা পথ দিয়ে গাড়ি এগিয়ে চলল। সাজ্জাদ গাড়ির মধ্যে মোচ্‌ড়া মুচড়ি শুরু করল।
"এই এমন করতাছস কেন, তোর লাইগা কী একটু আরামেও বসতে পারুম না?" বলল জাকির।
"কী হইছে দোস্ত?" মিঠু জানতে চাইল।
"না মানে-----" থেমে গেল।
"জানস না হালার খাইলেই হাগু ধরে?" বলল তমাল। সবাই হা হা করে হাসতে শুরু করল।
"কিরে দোস হাগু ধরছে?" জানতে চাইল শিপন।
"না, তেমন না-----" আমতা আমতা করে বলল সাজ্জাদ।
"শালা ধরলে তাড়াতাড়ি ক', এখনো গাছপালা বেশী আছে, কোনো ঝোপের আড়ালে বসতে পারবি, পরে কিন্তু এই সুযোগটাও পাবি না।" বলল শিপন।
"দোস্ত শালায় তো গ্রাম থেকে উইঠা আইছে, ক্ষেতের আইলে হাইগা অভ্যাস আছে।" বলল তমাল। সবাই আবার হাসির রোল তুলল। কিন্তু সাজ্জাদ হাসি চেপে রাখে। হাসলে শরীর অনেক ইজি হয়ে যায়, পেশীগুলি স্বাভাবিক থাকে। সাজ্জাদের যা অবস্থা হাসতে গেলে যদি শেষে কাপড় নষ্ট হয়ে যায়, তাই হাসার কোরাস থেকে নিজেকে বিরত রাখল।
গাড়ি আরো কিছুক্ষণ আগানোর পর সাজ্জাদ বলল-"শিপন গাড়ি থামা আর পারছি না।"
(চলবে)


মন্তব্য

রেশনুভা এর ছবি

দলছুট ভাই না কী? হইলেও সাড়া দেন আর না হইলে ডাকার মতন কিছু একটা দেন।

সে যেন এখন পাকিস্তানের কিংবদন্তী অধিনায়ক ইমরান খান।

এই লাইনটা দেখে আহত বোধ করলাম। আপনার মনে হয় বেশ পাকি প্রীতি আছে!!!

অতিথি লেখক এর ছবি

রেশনুভা ভাই, ভালো আছেন। অপেক্ষা করেন, গল্পের শেষে অবশ্যই নাম পাবেন। গল্পটা একসাথে দিতে চেয়েছিলাম, দেখলাম বড় হয়ে যায়, তাই তিন পর্বে দেয়ার চেষ্টা করছি। নামটা শেষে লেখাছিল, তাই ভুল করে এখানে এর দেয়া হয়নি। আসলে অন্য ব্লগে নাম লেখার প্রয়োজন না থাকায়, এখানে আমি পূর্বের অভ্যাসবশতঃ ভুল করে ফেলি। এর জন্য প্রিয় পাঠক দুঃখিত।

ভাই, আমি পাকিদের গু খাওয়া কুত্তার চেয়ে বেশী ঘৃণা করি, কিন্তু আমি খেলাটা নিছক খেলা হিসাবেই নেই। আর ইমরান খানকে একজন খেলোয়ার হিসেবেই এক সময় পছন্দ করতাম। মাঠে তার বরফ শীতল ব্রেইনটাকে আমার বেশী পছন্দ,তাই বলে কী আপনি আমাকে পাকিস্তান প্রিয় বা রাজাকারের সমর্থক বানাবেন? আমি যদি ভারতকে অপছন্দ করি তাই বলে কী শচীনকেও অপছন্দ করতে হবে? শচীনের খেলা দেখে কী খোদ ভারত বিরোধীও হাত তালি দেয় না? আর আমরা যখন মাঠে খেলা দেখি তখন কী বিপক্ষ দলের খেলোয়ার সেঞ্চুরী মারলে দাঁড়িয়ে হাত তালি দেই না।

আর একটা কথা, আপনে আমার আর কোন লেখায় পাকিস্তান প্রীতি দেখলেন,বোঝলাম না। যাক লেখা কী ভালো লাগল কী না তা জানতে পারলাম না।
ধন্যবাদ।
দলছুট।

রেশনুভা এর ছবি

ভাই, আমি পাকিদের গু খাওয়া কুত্তার চেয়ে বেশী ঘৃণা করি, কিন্তু আমি খেলাটা নিছক খেলা হিসাবেই নেই।

--শুনে খুব খুশি হলাম কিন্তু ওরকম ঘৃণীত একজনের নামই কিন্তু আপনার লেখায় এসেছে। বুঝলাম সে বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কিন্তু সে পাকিস্তানী। আর খেলোয়াড়রা কিন্তু একটা দেশেরই প্রতিনিধিত্ব করে।

মাঠে তার বরফ শীতল ব্রেইনটাকে আমার বেশী পছন্দ,তাই বলে কী আপনি আমাকে পাকিস্তান প্রিয় বা রাজাকারের সমর্থক বানাবেন?

-- আপনি ইমরান খানের কথা রূপক অর্থে এনেছেন এটা বুঝেছি। কিন্তু ওনার চেয়েও সফল অধিনায়ক রয়েছে। স্টিভ ওয়াহ এর রেকর্ড তাই বলে। ব্যাপারটা দাঁড়াল আপনি রূপক হিসেবে ব্যক্তিগত পছন্দের একজনকে বেছে নিয়েছেন যাঁর জাতভাইদেরকে আপনি কি না "গু খাওয়া কুত্তার চেয়ে বেশী" ঘৃণা করেন। স্ববিরোধী হয়ে গেল না?

আমি যদি ভারতকে অপছন্দ করি তাই বলে কী শচীনকেও অপছন্দ করতে হবে?

--না। আমারও ইনজামামের খেলা ভালো লাগত। কিন্তু আমাদের লেখায় সেই উঠে আসে যাঁর প্রতি আমাদের মুগ্ধতা মাত্রা ছাড়ানো। এবার আপনি বুঝে নিন।

আর একটা কথা, আপনে আমার আর কোন লেখায় পাকিস্তান প্রীতি দেখলেন,বোঝলাম না।

--আর কোন লেখায় পাকিস্তান প্রীতি দেখেছি তা তো বলি নাই। দেখলে ঐ লেখাতেই মন্তব্য পেতেন।

আমার ধারণা যে ভুল মানে আপনার কোন পাকি প্রীতি নেই, এটা জেনেই খুব ভালো লাগছে। ভালো থাকবেন।

সোয়াদ [অতিথি] এর ছবি

ভাই লেখক, আপনি যে-ই হন না কেনো একটা ছোট্ট পরামর্শ দেই। সিরিজই যখন লেখবেন তখন আরও ছোট করেন, কাহিনীর ট্র্যাক রাখতে সুবিধাও হবে আর ভাষার ভুলভ্রান্তিও ধাপে ধাপে এড়ানো যাবে।

ভালো কথা, ইমরান খানের নামে একটা ভালো কথা বলা মানেই একজন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী এই ধারণা হাস্যকর।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনার পরামর্শের জন্য।

কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

দলছুট।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

লেখাটা কাল পড়েই বুঝেছিলাম- রেশনুভা ভাই ও বুঝেছেন বোধহয়। এই লেখাটা দলছুট ভাইয়ের স্বতন্ত্র স্টাইলের। নিজের স্টাইলকেই আপনি ভেঙ্গে বেরুতে চেয়েছিলেন- পুরো সফল হতে পারেন নি।
... গল্পের কথা বললে বলতে হয়, বন্ধুদের আড্ডাটা অনেক বেশি কৃত্রিম বলে মনে হয়েছে। এরকম না হলে ভালো হতো...

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ সুহান ভাই।

আমি আপনাদের পরামর্শ ও নির্দেশনা মাথায় রেখে লেখার চেষ্টা করছি। হয়তো এখনো আমি আমার স্টাইলে আছি তবে আশা করি এর থেকে খুব শীঘ্রই বের হয়ে আসবো।
আপনাদের পরামর্শ ও নির্দেশনা অনুসরণ করার চেষ্টা করছি।

আর আড্ডা কৃত্রিম হয়ে গেল? আসলে আমার জীবনে "সাজ্জাদ, শিপন ও তমালের মত" এমন কিছু বন্ধু যে ছিল, ওদের নিয়ে লিখতে গিয়ে হয়তো ভাষা আর বর্ণনা জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার জন্য কৃত্রিম করে ফেলেছি।
কী আর করা বলুন, সবারইতো জ্ঞানের কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে, আমিতো তার ব্যতিক্রম নই।
প্লিজ ভুল গুলি দিয়ে পরামর্শ দিন, যাতে আরো ভালো করতে পারি।
ধন্যবাদ।

দলছুট।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।