ফেসবুক, আমি এবং আমাদের স্বপ্ন

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি
লিখেছেন সাবরিনা সুলতানা (তারিখ: বুধ, ২৬/০৫/২০১০ - ৬:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিংশ্ব শতাব্দীর এই আধুনিক যুগে কম্পিউটার এখন আর আশ্চর্যের বিষয় নয়। আর যোগাযোগ ব্যবস্থায় ইন্টারনেট কানেকশন এত্তোবড় পৃথিবীটাকে অনেকখানি ছোট করে এনেছে। ফেসবুক এমন-ই একটি মাধ্যম। পুরো দুনিয়াজুরে বিচিত্র সব রঙবেরঙের মানুষের মিলনস্থল এই ফেসবুক। পৃথিবীর এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত সাদা-কালো, হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খৃস্টান, নানা জাতের নানান ভাষাভাষি, খ্যাত অখ্যাত প্রচুর মানুষের বিচরনভূমি এখানে.... এই ফেসবুকের সাথে সখ্যতা আমার খুব বেশীদিনের নয়। মাত্র একবছরে আমাদের সখ্যতা এত্তো গভীরে গিয়ে পৌছেছে যে একটা দিনও ফেসবুকহীন থাকার কথা ভাবতেও পারি না এখন। তার কারন হয়তো কিছুটা চরম একাকিত্ব ও বন্ধুত্বহীনতা। সে ইিতহাস বলতে গেলে অনেকটা পেছনে ফিরে তাকাতে হবে....

বয়স যখন দশ Muscular Dystrophy নামের এক ভয়ানক পোকা আমার শরীরে এসে বাসা বাঁধে। যার ফলে খুব ধীর গতিতে ক্ষয়ে যাচ্ছে আমার শরীরের প্রতিটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। এরিমধ্যে আমার জীবনের অনেকখানি ক্ষতি সে করে ফেলেছে। শুনেছি যেদিন দু’চোখ মেলে প্রথম ধরনীর আলো দেখলাম পরমমমতায় সেদিন বাবা আমায় কোলে নিয়ে নামকরন করেছিলেন ’সাবরিনা’। দশবছর বাদে সমাজে আবার নতুন করে আমার নামকরন হলো ’প্রতিবন্ধি’! বোধকরি এই নাম ও সমাজের কটাক্ষ চাউনি বাবা মার পছন্দ হলো না। শুরু হলো তাদের প্রানান্ত চেষ্টা সমাজের চোখ থেকে আমাকে আঁড়াল করার। বন্ধ হয়ে যেতে লাগলো আমার জন্যে একে একে সবার দুয়ার। আত্মিয়-স্বজনের বিয়ে, আচার অনুষ্ঠান....বন্ধ হয়ে গেলো স্কুলের দুয়ারও! দূর দূরান্তে ঘুরে বেড়ানো....টোঁ টোঁ করে পাড়া বেড়ানো....সেই প্রানবন্ত উচ্ছলতা কোথায় যেনো হারিয়ে গেলো! আমি বন্দি হয়ে পড়লাম চার দেয়ালের কাল কুঠুরিতে !

আমার বেড়ে ওঠার পরিবেশটা ছিলো এমন-আমার সামনেই ছোট ভাই গুলো স্কুল কলেজে যাবে। বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যাবে কিংবা পারিবারিক অনুষ্ঠানগুলোতে বাবা-মার সাথে স্বাভাবিকভাবেই উপস্থিত থাকবে আর আমাকে থাকতে হবে ঘরবন্দী হয়ে। আচমকা যদিবা কখনো বের হতাম রাস্তার মানুষজন হা করে তাকিয়ে থাকতো এবং চারপাশ থেকে ছিটকে আসা বিরুপ মন্তব্যে বাবা মা বিব্রতবোধ করতেন। মানুষের নানা মুখী প্রশ্নের তোড়ে আমার ঘর থেকে বাইরে বেরুনোর আনন্দে ভাটা পড়তো। ভাবতাম আমার মতো যারা সবাইকেই বুঝি একই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। এবং আমাদের জন্য এটাই স্বাভাবিক। দিনের পর দিন এভাবেই চলতে থাকবে.......
তারপর .... এভাবেই কেটে গেলো জীবনের অনেকগুলো বসন্ত আমার ছোট্ট কক্ষটায়। সারাদিন মূর্তির মতো বসে থাকা, মাঝে সাঝে টিভি, গল্পের বই। ভোরে বিছানা ছেড়ে চেয়ার, রাতে আবার সেই বিছানায় ফিরে যাওয়া একঘেয়ে এই রুটিনে বেশ কাটছিলো আমার অভ্যস্ত জীবন !

আচমকা একদিন মাথায় আকাশ নেমে এলো যখন জানলাম আমার অতি আদরের ছোট্ট বোনটির শরীরেও বাসা বাঁধছে সেই পোকা। আমারি মতো `Muscular Dystrophy’তে আক্রান্ত হয়েছে সেও। চোখের সামনে দেখতে লাগলাম তার জীবনে চলার পথের সবগুলো দরোজা একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমার অসহনীয় যন্ত্রণাময় জীবনের প্রতিচ্ছবি তার চেহারায় ভেসে উঠতে দেখে মনটা বিদ্রোহী হয়ে উঠলো। পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর চিত্র তো ভিন্ন। তবে আমাদের দেশেই কেনো প্রতিবন্ধি মানুষের প্রতি এহেন বৈষম্যমূলক আচড়ণ? জীবনের শুরুতেই তাদের জন্যে সব কিছুতেই কেনো হয়ে যায় ’না’!? স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, খেলার মাঠ, বিনোদন কেন্দ্র, আত্মিয়-স্বজনের বিয়ে, আচার অনুষ্ঠান, সব কিছুতেই তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। ধীরে ধীরে এই সমাজের হয়েও যেনো অবিচ্ছিন্ন একটি অংশ হয়ে পড়ে তারা। বাক্-শ্রবণ ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধিদের জন্যে প্রয়োজনের তুলনায় স্বল্পসংখ্যাক কিছু বিশেষ স্কুল থাকলেও শারিরিক প্রতিবন্ধি মানুষেরা না পারে বিশেষ স্কুলে যেতে না পায় স্বাভাবিক স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার সুযোগ। আর কত পিছিয়ে থাকবে আমাদের দেশের প্রতিবন্ধি মানুষেরা?

ঠিক এমনি সময়েই ঘরে বসে বাইরের জগতের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে খুঁজে পেলাম ইন্টারনেট, ফেসবুক। এমন একটি মাধ্যম যেখানে খুব সহজেই সবাইকে একত্রিত করা যায়। এক বন্ধুর প্রবল উৎসাহে চেষ্ঠা করতে লাগলাম নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই চিঠিটা যতটা বেশী পারা যায় নানান পেশার বিভিন্ন মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার। সেটা করতে গিয়েই ফেসবুকে একটি গ্রুপ খোলার চিন্তা মাথায় এলো। যে গ্রুপটার কাজ হবে সব ধরণের প্রতিবন্ধী মানুষের নিজস্ব কথা বা তাদের বিভিন্ন ধরণের সমস্যা যা সাধারণ মানুষের কাছে একেবারেই অজানা তা তুলে ধরা। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে সচেতনতার বীজ ছড়িয়ে দেয়া। যা মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে সহায়ক হবে।

ঠিক এমনি সময়ে ফেসবুকেই আমার পরিচয় হয় আমারই মতো ভুক্তভোগী পোলিওতে আক্রান্ত সালমা মাহবুব এবং সিআরপিতে কর্মরত ‘রিওমাটায়েড আথ্রাইটিস’ এ আক্রান্ত সেলিমা শারমীন রুমার সাথে। মনে মনে যেন এমন কাউকেই খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম আমি। খুশি মনেই তারা আমার আহবানে সাড়া দিলেন। চারটা লক্ষ্যকে সামনে রেখে ১৭ জুলাই ২০০৯ সালে শুরু করলাম আমাদের ভলান্টিয়ার গ্রুপ ‘বাংলাদেশ সিস্টেমস্ চেঞ্জ এডভোকেসী নেটওয়ার্ক (বি-স্ক্যান)। লক্ষ্য চারটি হলো,
১. শিক্ষা
২. কর্মসংস্থান
৩. যাতায়াত
৪. সর্বত্র প্রবেশের সুবিধা

ইন্টারনেট এখন আমার একমাত্র মাধ্যম বাইরের দুনিয়ার সাথে যোগাযোগের। ফেসবুকেই আমার প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে লাগলাম তাই। মনে একবুক আশা নিয়ে ফেসবুক গ্রুপ B-SCAN ( http://www.facebook.com/profile.php?id=1679276218#!/group.php?gid=108090941470 ) -এর আড়ালের গুটি গুটি পায়ে যাত্রা শুরু করলো আমার ছোট্ট স্বপ্ন। প্রতিবন্ধি মানুষের শিক্ষা, কর্মসংস্থান, সর্বোচ্চ প্রবেশের সুবিধা ও সামাজিক মর্যাদা আদায়ের লড়াইয়ে নেমেছি আমরা ক’জন অবহেলিত। আমাদের মূল লক্ষ বাংলাদেশের ঘুমন্ত মানুষগুলোকে জাগিয়ে তোলা, তাদের দেশে তাদের আশে পাশেই অনাদরে অবহেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রতিবন্ধি মানুষের কথা সবাইকে জানানো। আমরা মনে করি, সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমাদের শক্তিশালী গণমাধ্যম রাখতে পারে বিশেষ ভূমিকা। প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া গেলেই সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবার ও সমাজ প্রতিবন্ধি মানুষকে যথাযথ মূল্যায়ন করবে। সমাজ তাদের বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করলে সবকিছুতেই তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা তৈরি হবে এবং তারা তাদের হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে।

বাংলাদেশের আর দশজন সুস্থ্য স্বাভাবিক মানুষের যা নাগরিক অধিকার অথচ এই দেশেরই নাগরিক প্রতিবন্ধী মানুষেরা তা থেকে বঞ্চিত। আমাদের মূল লক্ষ্য প্রতিবন্ধী মানুষের সেই সব অধিকার আদায়ে আমাদের দেশের অসচেতন মানুষকে সচেতন করে তোলা। তবে ঘরে বসে দেশের পনের কোটি মানুষকে সচেতন করে তোলা আমাদের মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা চেয়েছি তাই বি-স্ক্যানের সদস্যদের প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার সম্বন্ধে সচেতন করে তুলতে। এবং চেষ্ঠা করেছি তারাও যেন যার যার অবস্থান থেকে প্রত্যেকে নিজে সচেতন হয় এবং অন্যকে সচেতন করে তোলার কাজটি করে। আমরা যেন প্রতিবন্ধী মানুষকে মানুষ হিসেবে গন্য করি। তার স্বকীয়তাকে ফুটিয়ে তোলার এবং তার প্রতিভাকে বিকশিত হতে সাহায্য করি। তাকে অবহেলা না করে তার চলার পথকে সুগম করার জন্য আমরা প্রত্যেকে যার যার অবস্থান থেকে করুণা নয় সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেই।

আমরা জানি শুধুমাত্র ফেসবুক এ গ্রুপ খুলে বাংলাদেশের মানুষের মানুষিকতা পরিবর্তন সম্ভব নয়। আমরা কতটুকু সফল হব তাও জানি না, তবে এটি আমাদের জনমত গড়ে তোলার ছোট্ট একটি প্রয়াস মাত্র। এখান থেকেই আমরা অনেক কিছু করতে চাই। এবং আমরা বিশ্বাস করি আমাদের দেশের প্রতিবন্ধি মানুষেরাও একদিন ফিরে পাবে তাদের ন্যাযা অধিকার। ঘর থেকে বেরিয়ে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে প্রাণভরে নিতে পারবে স্বস্তির শ্বাস। হয়তো অনেকখানি সময় লেগে যাবে....হয়তো আমরা দেখে যেতে পারবো না....কিন্তু আমরা প্রবলভাবে বিশ্বাস করি এমন একটা দিন আসবে....অবশ্যই আসবে.....

শয়নে -স্বপনে -জাগরণে এই একটি স্বপ্নই এখন আমার নিত্যসঙ্গি ।

সাবরিনা সুলতানা


মন্তব্য

রূপায়ান এর ছবি

সাথে আছি
সাথে থাকবো

অতিথি লেখক এর ছবি

"সাথে আছি সাথে থাকব" কথাটি না বলে যদি বলতেন "নিজে সচেতন হলাম, অন্যকেও সচেতন করার চেষ্টা থাকবে ...." আমার কষ্ট করে লেখার সার্থকতা খুঁজে পেতাম ।
তারপর ও ধন্যবাদ ।
ভালো থাকুন ।
পাল্টে দিন সমাজের দৃষ্টি ভঙ্গি ।
সাবরিনা সুলতানা

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

মানুষ তার স্বপ্নকেও পিছে ফেলে দিতে পারে, স্টিফেন হকিংস পেরেছেন, আপনিও পারবেন। বেস্ট অফ লাক।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ।
ভালো থাকুন ।
পাল্টে দিন সমাজের দৃষ্টি ভঙ্গি ।
সাবরিনা সুলতানা

 রূপায়ান এর ছবি

নিজে সচেতন হলাম, অন্যকেও সচেতন করার চেষ্টা থাকবে

শুভ কামনা রইলো

এনকিদু এর ছবি

সচেতন ছিলাম, আছি । ফেসবুক গ্রুপটায় ঢুকলাম । আমার নিউজ ফিড দেখে অন্যরাও জানতে পারবেন, এভাবে আরো ছড়িয়ে পড়বে ব্যাপারটা । আর কোন ভাবে সহযোগীতা করার অবকাশ থাকলে জানাবেন, যথাসাধ্য করব ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্যে ।
বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ নিজে সচেতন হোক অন্যকেও সচেতন করে তুলুক এই সামান্যটুকুই আমার চাওয়া । এখন আমার একটাই স্বপন, আমি যে পরিবেশ পাইনি, আমাদের দেশে সে পরিবেশ গড়ে তুলতে জনমত সৃষ্টি করা । আমাদের বঞ্চনার কথা যতভাবে পারা যায় বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে দেওয়া । বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষ যদি একটুকু অনুভব করতে পারে ... একটু ভাবে.... তবে এই অসম্ভব ও সম্ভব হবে একদিন । এতদিনে এইটুক বুঝে গেছি বাংলােদেশর মানুষ যদি কিছু অনুভব করে...আমূলে পুেরা দেশটাকে বদলে দিতে পারে.....সবাইকেই যার যার অবস্থান থেকে কিছু না কিছু করতে হবে... আমরা প্রত্যেকে যদি আমাদের ব্যাস্ত সময় থেকে অন্তত ১৫ মিনিট সময় ব্যায় করি জনসচেতনতা সৃষ্টিতে তাহলেই এই দেশে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন সম্ভব । প্রত্যেকের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে প্রতিবন্ধি মানুষের জন্যে বাসযোগ্য সুন্দর একটি দেশ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। সহযোগীতা যদি করতেই চান, নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অন্যকেও সচেতন করে তুলুন । অভিভাবকগণ যেন তার অপ্রতিবন্ধী শিশুটির সাথে তাদের প্রতিবন্ধী শিশুটিকেও শিক্ষার এবং বিনোদনের সুযোগ সমানভাবে দেন ।
সাবরিনা সুলতানা

মামুন [অতিথি] এর ছবি

আমাদের সমাজের সবজায়গায় দেখি নিচু /অক্ষম লোক দেখলেই তিরষ্কার করে।এটা ঠিক না আমরা সবাই মানুষ আমি সুস্হ আছি বলে আরকজনের অসুস্হাতা নিয়ে ফান করবো এটাতো অমানুষের কাজ।সবসময় চেষ্টা করবো যাতে কেউ শারিরীকভাবে দুবর্ল লোকদের নিয়ে হাসি তামাশা না করতে পারে।আপু তুমি সফল হও।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ।
ভালো থাকুন ।
পাল্টে দিন সমাজের দৃষ্টি ভঙ্গি ।
সাবরিনা সুলতানা

রণদীপম বসু এর ছবি

মানুষ তাঁর স্বপ্নের চেয়েও বড়, তবু স্বপ্নই মানুষকে সামনে এগিয়ে নেয়।
আপনার স্বপ্ন সফল ও কার্যকর হোক, মনেপ্রাণে তাই কামনা করছি। নিজের অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব সচেতন থাকা ও করার চেষ্টা করবো তো অবশ্যই।

আপনার লেখাটা বুকে ভেতরে কোথায় যেন নাড়া দিয়ে গেলো !

ভালো থাকবেন সাবরিনা, সব সময়, সবাইকে নিয়ে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অতিথি লেখক এর ছবি

অসন্ক্ষ ধন্যবাদ ।
ভালো থাকুন আপনিও ।
অনেককক ভালো হাসি
পাল্টে দিন সমাজের দৃষ্টি ভঙ্গি ।
সাবরিনা সুলতানা

অগ্নিবীণা এর ছবি

সাবরিনা, আপনাকে স্যেলুট! নতুন কিছু (ছোট হোক কিংবা বড় আঙ্গিকেই হোক) শুরু করাটা যে কত সাহসের ব্যাপার তা, যে না করেছে সে কখনো বুঝবে না! আপনি তো বিশাল একটি কাজ হাতে নিয়েছেন...সচেতনাকে জাগিয়ে তোলার কাজ! আমাদের দেশে প্রকৃ্তপক্ষেই প্রতিবন্ধী মানুষের প্রতি সমাজের দৃষ্টি ভঙ্গি অনেক অনুদার। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে সরকারী পৃষ্টপোষকতা নেই বললেই চলে! আমি কানাডাতে বাস করি এবং আমেরিকা সহ পৃথিবীর অনেক গুলো দেশে conference attend করতে গিয়েছি! সেই অভিজ্ঞতার আলোকে প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য সরকারী পৃষ্টপোষকতার কিছু উদাহরণ দিচ্ছি!

১. পথচারীকে রাস্তা পারাপারের জন্য এখানে নির্দিষ্ট বাটন চেপে "ওকে" সিগনালের জন্য অপেক্ষা করতে হয়! কিন্ত অন্ধ ব্যক্তি তো সেই সিগনাল দেখবেন না, তাই তার জন্য আছে পাখীর কুজনের মত মিউসিক্যাল সিগনাল।
২. চলৎ শক্তিহীন মানুষের জন্য নামমাত্র মুল্যে অটোচেয়ার স্কুটারের ব্যবস্থা আছে, এবং public transport যেমন বাসে সেই সব স্কুটারের access এর জন্য আছে চমৎকার ব্রীজ।
৩. car parking place এ প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য reserve parking থাকা mandatory option.

লিখতে গেলে বিশাল এক তালিকা তৈরী হয়ে যাবে।
ভাল থাকুন! শুভেচ্ছা।

অগ্নিবীণা এর ছবি

সাবরিনা, আপনাকে স্যেলুট! নতুন কিছু (ছোট হোক কিংবা বড় আঙ্গিকেই হোক) শুরু করাটা যে কত সাহসের ব্যাপার তা, যে না করেছে সে কখনো বুঝবে না! আপনি তো বিশাল একটি কাজ হাতে নিয়েছেন...সচেতনাকে জাগিয়ে তোলার কাজ! আমাদের দেশে প্রকৃ্তপক্ষেই প্রতিবন্ধী মানুষের প্রতি সমাজের দৃষ্টি ভঙ্গি অনেক অনুদার। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে সরকারী পৃষ্টপোষকতা নেই বললেই চলে! আমি কানাডাতে বাস করি এবং আমেরিকা সহ পৃথিবীর অনেক গুলো দেশে conference attend করতে গিয়েছি! সেই অভিজ্ঞতার আলোকে প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য সরকারী পৃষ্টপোষকতার কিছু উদাহরণ দিচ্ছি!

১. পথচারীকে রাস্তা পারাপারের জন্য এখানে নির্দিষ্ট বাটন চেপে "ওকে" সিগনালের জন্য অপেক্ষা করতে হয়! কিন্ত অন্ধ ব্যক্তি তো সেই সিগনাল দেখবেন না, তাই তার জন্য আছে পাখীর কুজনের মত মিউসিক্যাল সিগনাল।
২. চলৎ শক্তিহীন মানুষের জন্য নামমাত্র মুল্যে অটোচেয়ার স্কুটারের ব্যবস্থা আছে, এবং public transport যেমন বাসে সেই সব স্কুটারের access এর জন্য আছে চমৎকার ব্রীজ।
৩. car parking place এ প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য reserve parking থাকা mandatory option.

লিখতে গেলে বিশাল এক তালিকা তৈরী হয়ে যাবে।
ভাল থাকুন! শুভেচ্ছা।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি ঠিকই বলেছেন, আমাদের দেশে সরকারী পৃষ্টপোষকতা তেমন নেই .....মুষ্টিমেয় কিছু এনজিও আছে, তারা কি করে তারাই জানে !
আপনি যেই ছোট তালিকাটি দিলেন সেই ধরনের বিশেষ কিছু সুবিধার ছবি আমাদের গ্রুপে আছে । আমাদের দেশের মানুষ খুব একটা এসবের সাথে পরিচিত নয় ।
সেই কারণে আমি সচেতনতা সৃষ্টিতে আমাদের শক্তিশালী গণমাধ্যমের ওপর জোর দিচ্ছি বারে বারে । কিছু নাটক, বিজ্ঞাপন, আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী মানুষের জীবন ধারণে উপযোগী সহায়ক ব্যবস্থা সম্পর্কে পরিচিত করে তুলতে মিডিয়া যুগোপযুগী মাধ্যম ।
অসন্ক্ষ ধন্যবাদ ।
সাবরিনা সুলতানা

প্রবাসিনী এর ছবি

প্রিয় সাবরিনা,

অনেক দিন পর শুধু লগইন করলাম খালি আপনার লেখায় মন্তব্য করার জন্য। আমার ছোট ভাই সেলিব্রাল পলসিতে আসক্ত। হয়তো ওর শারীরিক অসুবিধা আপনার মত না হলেও সে আপনার মতো একই ইসুগুলো ফেস করে। হ্যা, তবে আমরা কখনো ওকে অন্যদের থেকে আলাদা ভাবে ট্রীট করিনি, সবখানে নিয়ে যাই, স্কুলে নরমাল এক্টিভিতে পারটিসিপেট করতে উৎসাহ দেই। কিন্তু কিছু মানুষের অহেতুক প্রশ্ন (আচ্ছা, ওর চিকিৎসা কেন করান না?), অহেতুক ফালতু কথা (ওমুক পীরের কাছে নিয়ে যাও), চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থাকা, পাশেরজনকে ডেকে দেখানো, কিংবা নিন্তান্তই অহেতুক বাজে কথা বলা আমাদের খুব কষ্ট দেয়। হয়তো আমার ভাইকে আরো বেশি কষ্ট দেয় আমার থেকে, যদিও সে কখনো তেমন কিছু প্রকাশ করে না তবে ওর আচরণে মাঝেমাঝে বোঝা যায়। ছোটবেলায় খুব ঝগড়া করতাম যখন মানুষ উলটা পালটা কথা বলার জন্য, কিন্তু এখন আর করি না। হয় তো জাতিগত ভাবে আমাদের শিখতে হবে, জানতে হবে যে হাতের পাঁচটা আঙ্গুল সমান হয় না।

ভালো থাকবেন আর লিখতে থাকুন।

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার মন্তব্যটি পড়ে আমার নিজের ছেলেবেলাটা চোখের সামনে ভেসে এলো । আমাদের শিখতে হবে, জানতে হবে যে হাতের পাঁচটা আঙ্গুল সমান হয় না । আর তার জন্যে আমাদেরকেই সচেষ্ট হতে হবে ।
ধন্যবাদ আপু,
ভালো থাকুন ।
অনেককক ভালো হাসি
পাল্টে দিন সমাজের দৃষ্টি ভঙ্গি ।

সাবরিনা সুলতানা

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

সাবরিনা,

আমার বোধটা এরকম। প্রাণি হিসেবে মানুষের মনুষ্যত্ব ছাড়া দাবী করবার মতো কোন গুণ নেই। শক্তিতে, ক্ষীপ্রতায়, সৌন্দর্যে, অনন্যতায়, যোগ্যতায় মানুষের চাইতে হাজারগুণে এগিয়ে থাকা অসংখ্য প্রাণি আছে সৃষ্টিতে। যে প্রাণি কারও কোনরকম অক্ষমতা/অসুস্থতার জন্য তাকে ছোট করে বা অন্য চোখে দেখে সে আর যাই হোক মানুষ নয়। আপনার মনুষ্যত্বের জন্যেই আপনি অনেকের চাইতে অনেক বেশি মানুষ।

ভাল থাকবেন। মানুষের পৃথিবীতে আপনি নিজের সমস্যার জন্য কষ্ট পাবেন না। আপনাকে সহানুভূতি জানাচ্ছি না। আপনাকে সাহায্য করতে চাইছি না। দয়া বা করুণার আপনার কোন প্রয়োজন নেই।

তবে মানুষের সঙ্গে থাকার যে প্রয়োজন থাকে মানুষের, সেই প্রয়োজনের তাগিদেই আপনার সঙ্গে আছি।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্যে অসন্ক্ষ ধন্যবাদ ।
আশা করি ভাল থাকবেন আপনিও মানুষের এই পৃথিবীতে মনুষ্যত্ব বোধ নিয়ে হাসি
আর যদি পারেন চেষ্টা করবেন, নিজের অবস্থান থেকে কিছুটা হলেও পাল্টে দিতে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ।

সাবরিনা সুলতানা

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারন।দোয়া করি যেন প্রত্যেকটা মানুষ এই কথাটা উপলব্ধি করতে পারে
সৌরভ

অতিথি লেখক এর ছবি

অসন্ক্ষ ধন্যবাদ আপনাকে ।
ভালো থাকুন ।
অনেককক ভালো হাসি
পাল্টে দিন সমাজের দৃষ্টি ভঙ্গি ।

সাবরিনা সুলতানা

শরতশিশির এর ছবি

সাবরিনা, বি-স্ক্যান-এর কাজ সম্পর্কে জানি, ফেইসবুক পেইজ-এ অনেক আগেই জয়েন করেছি। আমি বরং আগ্রহী দেখতে কী কী কাজ করছেন আপনারা এখন, আর ভবিষ্যতেও কী কী পরিকল্পনা আছে আপনাদের। গত বছর ওয়ার্ল্ড ব্যাংক হেডকোয়ার্টারে গিয়েছিলাম, সেখানে বাংলাদেশ টিমের তরফ থেকে বলা হয়েছিলো যে বিরাট একটা অনুদান আসছে। সে যাই হোক, আমি আপনাদের কাজে জড়াতে আগ্রহী এবং দেশে আসলে এ ব্যাপারে কথা হবে।

শুভেচ্ছা রইলো। আর, বেশী বেশী করে এ ব্যাপারে লিখুন, অ্যাওয়্যারনেস ক্যাম্পেইন করাটা খুব, খুব জরুরী। ভাল থাকবেন। হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

অতিথি লেখক এর ছবি

জেনে খুব ভালো লাগলো যে, আপনি আমাদের বি-স্ক্যান-এরই একজন সদস্য । আপনার মনে আছে কিনা জানি না, আমরা মেসেজ করে সদস্যদের জানিয়েছিলাম কিছু লিফলেট ও স্টিকার এর কথা যা "আমারব্লগ ডট কম" তথা আমার প্রকাশনীর সহযোগিতায় ছাপিয়েছিলাম । চেষ্টা করছি সেগুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিলি করার এবং সেই সাথে আমরা চাইছি বড় বড় স্কুল ও কলেজ গুলোতে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের প্রতিবন্ধী মানুষের পড়ালেখার সুযোগ প্রদানের জন্য স্কুল কর্তুপক্ষ, অভিভাবক এবং সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মতবিনিময় সভা করতে । বিভিন্ন স্কুলে আমরা প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে তাদের স্কুলে একটি মতবিনিময় সভা করার আহবান জানাচ্ছি যেখানে আমরা প্রতিবন্ধী শিশুদের ব্যপারে শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করার জন্য কিছু বলতে পারবো। প্রতিবন্ধী শিশুরা সহপাঠি এবং কোন কোন সময় শিক্ষকের দ্বারাও বৈষম্যমুলক আচরনের স্বীকার হয়ে থাকে, যেই কারণে তারা স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয় আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অভিভাবকেরা তাদের স্কুলে দিতে আগ্রহী হন না । দেখা যাক আমাদের এই প্রচেষ্টা কদ্দুর সফল হয়!

আমার খুব ইচ্ছে এইডস নিয়ে মিডিয়াতে যেভাবে প্রচারণা চালানো হয়েছিল, প্রতিবন্ধী মানুষের জীবন ধারণে উপযোগী সহায়ক ব্যবস্থা সম্পর্কে পরিচিত করে তুলতে মিডিয়াতে সেভাবেই প্রচারণা চালানো হোক । সফল প্রতিবন্ধী মানুষের গল্প কিংবা বঞ্চিত অবহেলিতদের নিয়ে নাটক, বিজ্ঞাপন, আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জন সচেতনতা সৃষ্টি হোক । মানুষ যত বেশি জানবে ততই অনুভব করবে যে, তাদের ঘরেও একজন প্রতিবন্ধি থাকতে পারতো! আর যদিবা থাকতো তাদের সাথে কেমন আচড়ণ করা প্রয়োজন....করূণা নয় একটু সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিলে প্রতিবন্ধি ব্যাক্তিরাও পারে রাষ্ট্রের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হতে । আর এর জন্যে প্রয়োজন ব্যপক জনসচেতনতা । আমি মনে করি, আমাদের শক্তিশালী গণমাধ্যম এবং সুশীলসমাজ এতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন। প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া গেলে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবার ও সমাজ প্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের যথাযথ মূল্যায়ন করবে । সমাজ তাদেরকে বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ দেবে । সুশীলসমাজের নৈতিক দায়িত্ব প্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করা এবং তাদের প্রাপ্য অধিকার কে ”না” না বলে ”হাঁ” বলতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তোলা । তাহলেই তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা তৈরী হবে সব ক্ষেত্রে এবং তারা নিজেদের এই সমাজের বোঝা ভাববে না ।

আপনি যদি কিছু করতে পারেন খুব-ই ভালো লাগবে আমাদের ।
আমাদের ইমেইল এডরেস-
ভালো থাকুন ।
পাল্টে দিন সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ।
ধন্যবাদ ।

সাবরিনা সুলতানা

তাসনীম এর ছবি

এ বিষয়ে সচেতন আছি। ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করলাম। কোন ভাবে আপনাদের উদ্যোগে সহায়তা করতে পারলে খুবই ভালো লাগবে।

শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা রইল। এওয়ারনেস ও সাপোর্ট গ্রুপের কনসেপ্টটা বাংলাদেশে এখন খুব কমন নয়। আপনাদের প্রয়াস অব্যাহত থাকুক। নিয়মিত লিখুন এই ব্যাপারে।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

অসন্ক্ষ ধন্যবাদ আপনাকে ।
ভালো থাকুন ।

সাবরিনা সুলতানা

বোহেমিয়ান এর ছবি

ফেইসবুকে ও টুইটারে শেয়ার করলাম । জয়েন ও করেছি ।

ভালো থাকুন , কাজ চালিয়ে যান ।

_________________________________________

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

অতিথি লেখক এর ছবি

অসন্ক্ষ ধন্যবাদ আপনাকে ।
ভালো থাকুন আপনিও ।

সাবরিনা সুলতানা

প্রাকৃতজন [অতিথি] এর ছবি

সাবরিনা, আপনাকে শুভ ইচ্ছাসহ অভিবাদন। নিয়মিত লিখুন ও ছড়িয়ে দিন।

অতিথি লেখক এর ছবি

অসন্ক্ষ ধন্যবাদ আপনাকে ।
ভালো থাকুন ।

সাবরিনা সুলতানা

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বাংলাদেশের মতো অসচেতন জনতার দেশে সাবরিনার এই উদ্যোগটা অসম্ভব কঠিন একটা কাজ। মানুষক, সমাজকে, সরকারকে সচেতন করতে যে পরিমান শক্তির ধাক্কার প্রয়োজন সেই পরিমান শক্তির যোগান দিতে আমাদের বহু জোড়া হাতের প্রয়োজন।

আমরা সাবরিনার সাথে থাকবো বলছি। কিন্তু বাস্তবে কতটা পারছি সেটা বলাটা লজ্জার। এবং সেই ব্যর্থতার নজীর আমি নিজেই। হুইল চেয়ারে বসে সাবরিনা যতটুকু করে যাচ্ছে আমরা অনেকে সুস্থ থেকেও তার কিয়দংশও করতে পারিনি। অথচ এটা আমাদের সবার সামাজিক নৈতিক দায়িত্ব।

যদি একটু কষ্ট করে ভেবে নেই আমার পরিবারেও এমন একজন সদস্য আছে, তাহলে আমাদের বাড়ানো হাতটা অনেক বেশী সক্রিয় হতে পারে।

প্রয়োজনীয় পোষ্টটির জন্য সাবরিনাকে অনেক ধন্যবাদ।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার মন্তব্যটা দেখে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া ।

আপনি ঠিকই বলেছেন মানুষকে, সমাজকে, সরকারকে সচেতন করতে যে পরিমান শক্তির ধাক্কার প্রয়োজন সেই পরিমান শক্তির যোগান দিতে আমাদের বহু জোড়া হাতের প্রয়োজন । সবাইকেই যার যার অবস্থান থেকে সচেষ্ট হতে হবে । হাল না ছেড়ে চেষ্টা করে যেতে হবে । এভাবেই তো একটু একটু করে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আসবে ।
নিজেকে ব্যর্থ বলে আমাকে লজ্জা দেবেন না ভাইয়া । যেই উৎসাহ ও সাহসটুকু আপনি যোগান দিয়েছেন এ পর্যন্ত সেটাই অনেক বড় শক্তি হয়ে কাজ করেছে আমার জন্যে । ঐটুক দিয়েই যদি আমি কিছু মানুষকে অন্তত জাগাতে পারি তাই বা কম কি বলুন হাসি
ভালো থাকুন ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ।

সাবরিনা সুলতানা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।