হুইলচেয়ার প্রবেশগম্য বাস; একটি স্বপ্নের ইতিকথা...

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি
লিখেছেন সাবরিনা সুলতানা (তারিখ: রবি, ১২/০৫/২০১৩ - ৬:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার কতো স্বপ্ন! কতো চাহিদা! শেষ হয় না আর... গত শুক্রবার এমনই এক স্বপ্নেরর প্রজেক্ট বাস্তবায়নের প্রস্তুতি চলছিলো NAEM অডিটোরিয়ামে...যেখানে আমিই থাকতে পারি নি এবার। মনটা পড়ে ছিলো সেখানেই। সেদিন সারাদিন তাই স্মৃতিচারণ করলাম বসে বসে...

স্বপ্নের পথচলা...

তিন তিন বার নীলগিরির মেঘের ছোঁয়া পাবার সুযোগ পেয়েছিলাম। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত ভ্রমণে যাবার সুযোগও হারিয়েছি অনেকবার। শুধু বাসে উঠতে পারি না বলে এমন হাজারো শখের জলাঞ্জলী দিতে হয়েছে আমাকে। লিখে শেষ করা যাবে না এতো……

যেইটা সবাই করতে পারে সেইটা আমারো করতে পারার জেদ, আমার সাড়া জীবনের...... কিছু পারি। কিছু পারি না। কত্তোবার জেদ ধরেছি কিন্তু এই ঘুরান প্যাচান সিঁড়ি দিয়ে কেউ আমারে বাসে তুলে দিতে পারে নি। বাসের ভেতরটা ক্যামন আমার খুব দেখার ইচ্ছা। বাসে চড়ে যাতায়াতের ইচ্ছা। মানুষকে দেখি যখন ইচ্ছে টিকেট কেটে উঠে যায় বাসে। আর আমি কতো শতো বাঁধা ডিঙ্গিয়ে ট্রেনের টিকেট কাটি। তারপর ট্রেনের তলায় পড়ার ভয় বুকে চেপে রেখে টানা হ্যাচরা করে ট্রেনে তোলা হয় আমাকে। তারপর থেকেই স্বপ্নটা দেখতে শুরু করেছি... কত্তোদিনকার স্বপ্ন এই দেশে এমন একটা বাস হবে যেটায় আমি তরতর করে উঠে যেতে পারবো।

আমার তো কেবল এই সব টুকরা টাকরা শখ। কিন্তু চিন্তা করি গুটি কয়েক চাকুরীজীবী বা শিক্ষার্থী যারা জীবন যুদ্ধে নামার সাহস রেখেছেন তারা না জানি রোজ কতো ঝক্কি করে ঘর থেকে বেরুচ্ছেন। কেউ স্কুলে যাচ্ছেন। কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে। কেউ অফিসে। তারা ক্যামনে কি করেন! আর কতো হাজারো মানুষ হুইলচেয়ারের অভিশাপে ঘরবন্দী হয়ে আছেন তাদের কষ্টের কূল কিনারা খুঁজে পাই না আমি।

রাষ্ট্র বা সমাজ কবে ভাববে এই মানুষগুলোর কথা!

আমি হুইলচেয়ারে আছি। আমার বন্দী জীবনের যন্ত্রণা বোঝার জন্য 'মানুষ' যেনো হুইলচেয়ার ব্যবহারে বাধ্য হয় এমন অভিশাপই কি দিতে হবে শেষ পর্যন্ত !?

নাহ! অভিশাপ দিতে চাই না। হুইলচেয়ার প্রবেশগম্য অন্তত একটা যানবাহন চাই। গত দেড় বছরে অনেক কথা শুনতে হয়েছে এই চাওয়ার অপরাধে। এখনো শুনতে পাই ----- 'কি হবে এইটা করে' 'এই অসভ্য দেশে কোন লাভ নেই' 'বাসে ধাক্কাধাক্কি করে উঠি আমরা, তোমরা ক্যামনে পারবা' ব্লা ব্লা ব্লা...

এই সব নিয়ে মাথা ঘামানোর টাইম নাই। যারা এই সব বলে তারা কাজের কাজ কিছু করতে পারে না বলেই কথার খই ফুটায়। আহা... তাদের জন্য আমার মায়া হয়।

আমি জানি, এই দেশের মানুষগুলোর মনের গহীনে চাপা পড়ে আছে একটা শিশু মন। একটু টোকা দিলেই সেটি বেড়িয়ে আসবে। তবে এই টোকাটা ঘন ঘন দিতে হবে। আসলে কি, মানুষ হুইলচেয়ার বা ভিন্নভাবে সক্ষম মানুষগুলো কে দেখে অভ্যস্ত নয় বলেই তাদের সক্ষমতা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেন। বুঝতে পারেন না... দেখতে দেখতে দু'চোখ আর শুনতে শুনতে দু'কান অভ্যস্ত হয়ে গেলে তাদের এই ভয়টা কেটে যাবে। ততদিন পর্যন্ত আমাদের এইসবে কান না দিয়ে ঘর থেকে যুদ্ধ করেই বেরুতে হবে। আমরা এই যুদ্ধটা করতে পারলে আমাদের পরবর্তীরা চমৎকার একটা জীবন পাবেন। ইচ্ছে হলেই ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়বেন। যেখানে খুশী সেখানে যাবেন। আহা কি আনন্দময় জীবন! ভেবেই আমি আবেগী হয়ে পড়ছি। আবেগের ঠেলায় বকবক করেই যাচ্ছি কারণ আমি জানি এই আকাঙ্ক্ষাটা আমার মতোন আরো হাজারো হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীর...

মন্ত্রী সাহেবের ঘোষণাতেই তো আমরা গেলাম বিআরটিসির কাছে!

আপনাদের মনে আছে গত ২ মার্চ ২০১২ তে বি-স্ক্যান আয়োজিত হুইলচেয়ার র‍্যালীর কথা !?
ঘরবন্দী অগুনতি হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী এই মানুষগুলোর উপস্থিতি জানান দিতেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সিআরপি’র সহযোগিতায় এই র‍্যালীর আয়োজন করেছিলাম আমরা। যেখানে বিপুল সংখ্যক হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী ব্যক্তিগণ উপস্থিত হয়েছিলেন তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে।
সেদিন সেখানেই মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দেন বিআরটিসি কতৃক র‍্যাম্পযুক্ত বাস আমদানী করার কথা। মন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে আমরা নব উদ্যোমে ঝাপিয়ে পড়ি আমাদের স্বপ্নের প্রজেক্ট বাস্তবায়নের কাজে। তার কথার প্রেক্ষিতেই আমরা যোগাযোগ করি তৎকালীন বিআরটিসি চেয়ারম্যান মরহুম মেজর (অবঃ) এম এম ইকবাল স্যারের সাথে। চমৎকার একজন মানুষ ছিলেন তিনি। আমাদের আন্তরিকভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন এবং সাধ্য মতোন করেছিলেন। বি-স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুবসহ অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে কয়েক দফায় তার সাথে বৈঠক হয়। কিন্তু সমস্যা দেখা দিলো অশোক লেল্যান্ডের র‍্যাম্পযুক্ত বাসগুলো নিয়ে। তাদের ঐ ডিজাইনের বাসগুলো লো ফ্লোরের যা কোনভাবেই আমাদের রাস্তায় চলাচল উপযোগী নয়। ট্যাকনিকেল কারণে কোন রকম মডিফিকেশেনের অনুমতিও পাওয়া যায় নি।

এরপর ঘটনাগুলো দ্রুতই ঘটতে শুরু হলো। সিআরপি’র শরণাপন্ন হলাম আমরা কারণ তাদের নিজস্ব তৈরি র‍্যাম্প যুক্ত বাস রয়েছে যদিও সেই বাসের র‍্যাম্পটি এত লম্বা যে জনবহুল রাস্তায় ব্যবহারের উপযোগি নয় সেটি। সিস্টার ভ্যালেরি এ টেইলর অত্যান্ত আন্তরিক এ সব বিষয়ে। তিনি ইমেলের মাধ্যমে আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ান এক কোম্পানীর সাথে। শুরু হলো আলাপ আলোচনা। মেইল চালাচালি। সব জানার পরে তারা আমাদের কাছে অশোক লেল্যান্ডের বাসের লে আউটটি চাইলেন যেটার সাহায্যে তারা নিজেরাই ভলান্টিয়ারলি আমাদের দেশীয় প্রেক্ষাপটে এমন একটা ডিজাইন তৈরি করে দিতে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু নানাবিধ জটিলতার কারণে এইটাতে আর এগুনো সম্ভব হয় নি।

তাহলে কেনো আমরা ডিজাইন কন্টেস্টের আয়োজন করছি না !!
তবুও অল্পতেই হাল ছেড়ে দিতে চাই নি। বি-স্ক্যান ভলান্টিয়াররা রোদ – ঝড় –বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বাস ডিপোগুলো ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন এ্যাঙ্গেলের ছবিসহ তথ্য যোগার করে এনে দিলো। সিঙ্গেল ডেকারের বাসগুলোকেই আমরা বেছে নিলাম কাজ করার সুবিধার্থে। এরপরে বি-স্ক্যান এর বেশ কিছু শুভাকাঙ্খীর মাধ্যমে দেশের বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারের সাথে আলাপ শুরু হলো এ নিয়ে। বিআরটিসি’র ট্যাকনিকাল ডিরেক্টর কর্ণেল আব্দুল্লাহেল সাহেবও যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে সাহায্য পরামর্শ এবং ট্যাকনিক্যাল সাপোর্টেরও আশ্বাস দেন। কিন্তু কর্পোরেট লাইফের চাপে অতিষ্ট তাদের অভিযোগ করতে পারি নি যখন তারা সময় দিতে অপারগতা জানিয়েছিলেন। তবে আলাপ আলোচনা থেমে থাকে নি তাদের সাথে। আমাদের প্রয়োজনটা হচ্ছে দেশীয় প্রেক্ষাপটে বাস্তবধর্মী সমাধান। বাস স্টপেজে ফুটপাথ মডিফিকেশনের প্রস্তাবও এলো। কিন্তু সবচে সুবিধাজনক মনে হলো, বিআরটিসি’র আমদানিকৃত সিঙ্গেল ডেকারের এই বাসগুলোতে খুব বেশী পরিবর্তন না করে এবং দ্রুততম সময়ে সহজে হুইলচেয়ার প্রবেশগম্য একটি ডিজাইন। যেহেতু স্টুডেন্টরা ইনোভেটিভ কাজে খুব আগ্রহী তাদের মেধাকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় ভাবছিলাম আমরা। এই আলোচনার ফাঁকেই ডিজাইন কন্টেস্টের আইডিয়া বেড়িয়ে এলো।

অতঃপর যাত্রা শুরু...
নিতান্ত কাকতালীয়ভাবেই ঐ সময়েই আমাদের সাথে পরিচয় হয় এঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টস এসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশ (এসাব) সাথে। এতটুকুও দেরী না করে স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের কাজ কর্ম শুরু করে দেই আমরা। তারই ধারাবাহিকতায় পাবলিক ট্রান্সপোর্টে হুইলচেয়ার এক্সেসিবিলিটি বিষয়টি কে সামনে রেখে ‘আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ডিজাইন কন্টেস্ট’ শুরু হয় ২৪ মার্চ। রেজিস্ট্রেশনের শেষ তারিখ ছিলো ১৫ এপ্রিল। অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করলাম সারা দেশের সতেরো (১৭) টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২৯০ জনের বিরাশি (৮২) টি দল চমৎকার সব ডিজাইনের রূপকল্প জমা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে !! সত্যি কথা বলতে কি, রাজনৈতিক এই ডামাডোলের সময় বিশাল সংখ্যাক শিক্ষার্থীদের মাঝে এতোটাই সাড়া ফেলবে এই প্রতিযোগিতা আমরা ভাবতেই পারি নি!

প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনায় পরবর্তী ধাপের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করলাম আমরা। পর্যায়ক্রমে গ্রুপ স্টেজ রাউন্ড, ফিল্ড ট্রিপ ও গ্রুমিং সেশন রাউন্ড সফলতার সাথে শেষ করে গত ১০ মে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো সেমি ফাইনাল এবং গ্র্যান্ড ফিনালে। বিচারকদের রায়ে চ্যাম্পিয়ন দল বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েটে) থেকে ‘আলোকের যাত্রী’ এবং মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এ্যান্ড ট্যাকনোলজি ( এমআইএসটি) এর দল ‘বিজয়’ রানার আপ নির্বাচিত হয়। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর ‘চুয়েটো’ জিতে নেয় ইনোভেটিভ প্রাইজ।

এই ডিজাইন কন্টেস্টের প্রাণ হলো আমাদের গর্ব, ইঞ্জিনিয়ারিং এর তুখোর এই সব শিক্ষার্থীরা যাদের ছাড়া কিছুতেই সম্ভব হতো না স্বপ্ন পূরণের দোরগোড়ায় পৌছে যাওয়া। এই প্রতিযোগিতার প্রতিটি ধাপে আমরা অনুভব করেছি অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা এটিকে শুধু প্রতিযোগিতা হিসেবেই নেন নি। তারা হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছেন আমাদের স্বপ্নটিকে...বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞ বিচারকেরা তাদের নানান ঝুট ঝামেলা ফেলে রেখে দু’দুটো দিনের সকাল – সন্ধ্যা সবটাই আমাদের এই কন্টেস্টের পেছনে দিয়েছেন সবচে’ ভালো ডিজাইনটি বের করে আনতে। অপর একজন বিচারক মেজর জহিরুল ইসলাম ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন না করলেই নয় যিনি কিনা স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি পেশেন্ট এবং টানা দশ ঘন্টা হুইলচেয়ারে বসে থাকা অকল্পনীয় ব্যাপার যার জন্য। তিনি আমাদের জন্য বলতে গেলে দুঃসাহসই দেখিয়েছেন!

এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেছে বি-স্ক্যান ও এসাব এর স্বেচ্ছাসেবীরা। আসলে তাদের ধন্যবাদ জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। বিশেষত এসাব সাধারণ সম্পাদক আরিফ রায়হান মাহি। এই একটা ছেলে দেখলাম কি পরিমাণ পরিশ্রমী, চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল! দিন রাত এক করে খেটেছে সে আমাদের জন্য! অন্যরাও কম যায় না অবশ্যি চোখ টিপি সবচে বড় কথা হলো সকলেই মন প্রাণ দিয়ে খেটেছে কারণ তারা অনুভব করেছে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী মানুষের যন্ত্রণাটা।

যেখানে শেষ সেখান থেকেই শুরু...
সকলের আন্তরিকতা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে এইটুকুন পথ আসতে। প্রতিযোগিতা যেখানে শেষ হলো সেখান থেকে শুরু হলো আমাদের আসল কাজ। স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে হবে। সেই গত বছরের র‍্যালীর পর থেকে যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর সাথে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিলাম। এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের কথাও তাকে জানানো হয়েছে। বাছাইকৃত ডিজাইন নিয়ে বিআরটিসির চেয়ারম্যানের সাথে আমাদের দেখা করতে বলেছেন তিনি। গ্র্যান্ড ফিনালের পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিআরটিসি এর চেয়ারম্যান জনাব জসিম উদ্দিন আহমেদ আশ্বাস দেন, তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে আগামী বছর বিআরটিসি বাসে র‍্যাম্পযুক্ত করার। এই প্রতিযোগিতার ডিজাইন নিয়ে কাজ করারও আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।

আমাদের গত দেড় বছরের সাধনা সফলতার মুখ দেখতে যাচ্ছে খুব শিগ্যিরই! অন্তত নিজ চোখে দেখে যেতে পারবো হুইলচেয়ার প্রবেশগম্য বাস এইটুকুন তৃপ্তির বোধ দারুণ প্রশান্তি দিচ্ছে মনে...

ছবি: 
03/05/2010 - 6:08অপরাহ্ন

মন্তব্য

ঈয়াসীন এর ছবি

ভাল লাগলো। অনেক কিছু জানতে পেলাম।

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

নতুন কিছু জানাতে পেরে আমারো ভালো লাগছে হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

সুবোধ অবোধ

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

তারেক অণু এর ছবি
সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

আমার আঙিনায় আপনার ছাপ....... ভালো লাগাটা অন্যরকম হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

জার্মানি তে যাত্রীবাহি বাস আর ফুটপাথগুলো খুবই নিচু। এর কারণ, এখানে ফুটপাথেই গাড়ি পার্কিং করা হয় - দুই চাকা ফুটপাথে, বাকি ২টা রাস্তায়। আরেকটা কারণ, বাসগুলো যখন যাত্রী উঠায় বা নামায় তখন যাত্রীদের কষ্টটা কমানো। এই যাত্রী বলতে হুইল চেয়ার ওয়ালা বা ছাড়া দুইই। রাম্প যদিও আছে, অনেকেই রাম্প ছাড়াই এই অতি সামান্য উচ্চতার ফাঁরাকটুকু পেড়িয়ে উঠতে পারতেন। বিষয়টা সমন্বয়ের মাধ্যমেই সম্পন্ন করতে হবে। আমাদের দেশেও ওভাবেই করতে হবে।

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

আমাদের দেশীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রাখার চেষ্টা করছেন আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা....... শুধু প্রার্থণায় রাখুন চেষ্টার বাস্তবায়ন যেনো হয় হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অভিনন্দন

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

কৃতজ্ঞতা হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

ছাইপাঁশ  এর ছবি

খুব দ্রুতই বাংলাদেশের রাস্তাঘাটে এধরনের বাস চলাচল করবে এই আশা মনে জাগিয়ে রাখি। এবং ফুটপাথ গুলিও সেভাবেই হবে যাতে হুইল চেয়ারে করে সরাসরি ফুটপাথ থেকে কারো সাহায্য ছাড়া ভেতরে ঢুকতে পারে।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটি ছাত্রছাত্রীকে অভিনন্দন।

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

সেই চেষ্টাতেই এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হাসি
প্রার্থণায় রাখুন যেনো সফল হই

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

প্রতিযোগিতা যেখানে শেষ হলো সেখান থেকে শুরু হলো আমাদের আসল কাজ। স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে হবে।

স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবেই, সাবরিনা। কারণ আপনি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে জানেন।

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

ভাই কি সব যে বলেন!! আমি কেবল স্বপ্ন দেখতে জানি। স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ অন্যদের খাইছে

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

চরম উদাস এর ছবি

চলুক
হাততালি

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

দেঁতো হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

শিশিরকণা এর ছবি

আপনার অধ্যাবসায় নমস্য।
এদেশে হুইল চেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য নানান ডিজাইনের বাস দেখি। কোনটাতে ভাজ করা র‍্যাম্প থাকে, যেটা ফুটপাতে নামিয়ে দেয় চালক। আবার কিছু বাস আছে, যেগুলা একদিকে কাত হয়ে যায় ফুটপাতের সাথে লেভেল করার জন্য। আর সব বাসেই সামনের দুটা সীত ভাজ করে ফেলা যায় যাতে হুইল চেয়ার হুক দিয়ে আটকে রাখা যায়, ঝাকুনিতে যাতে গড়াগড়ি না করে। বিজয়ী ডিজাইনগুলো দেখতে আগ্রহী।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

কৃতজ্ঞতা হাসি
ডিজাইনগুলো পাঠানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। তবে আগে বিআরটিসি'র কাছে হস্তান্তর করি। এর মাঝে আপনার ইমেল আইডি কি দিয়ে রাখবেন?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

ফাহিম হাসান এর ছবি

অভিনন্দন! বি-স্ক্যান ও অন্যান্য সহকর্মীদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

সাবরীনা, স্যালুট আপনাকে, বি-স্ক্যানকে। জেনে রাখুন আমার মত সাধারণ একজন মানুষ দূর থেকে আপনাকে দেখে অনুপ্রানিত হই। এগিয়ে যান বোন অ...নে...ক... দূ...র এগিয়ে যান।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

দূর থেকে কেউ অনুপ্রাণিত হয় সেটা জেনে আমি আরো বেশী অনুপ্রাণিত হই দেঁতো হাসি
তবে আপুনি 'স্যালুট' শব্দটা অনেক ভারি মাপের। এতো ভারি জিনিষ মাথায় নিতে গেলে তাল সামলে চলতে না পারার দায়ে পড়তে হতে পারে মন খারাপ যদি শব্দটা ফিরায়ে নেন খুশী হই দেঁতো হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

সাবরীনা, আমি জেনে বুঝেই দিয়েছি ভারী শব্দটা আপনার মাথায়। নিজের জীবনের কষ্টকে অতিক্রম করে যে মানুষ এতদূর আসে, তাঁকে নিয়ে আমার কোন ভয় নেই।

ভাল থাকুন, বোন, ভাল থাকুন। আপনার কথা প্রথম আমাকে আমার এক বন্ধু বলেছিলেন। তার ছোট বোন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। সেই বোন কত বাঁধা অতিক্রম করে পড়াশোনা করেছেন, সেই কথা বলতে বলতেই আপনার কথা বলেছেন। সেই থেকে জানি আপনাকে।

নিজের শক্তিকে কখনো ছোট করে দেখবেন না। আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যান, অনেক দূর যেতে হবে।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

তাসনীম এর ছবি

খুব ভালো লাগলো। অনেক অভিনন্দন।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।