অমলকান্তি রোদ্দুর এর জন্যে

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি
লিখেছেন সাবরিনা সুলতানা (তারিখ: সোম, ২৩/০৪/২০১২ - ৪:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঝিম ধরা দুপুরের নিরবতা তোমার কেমন লাগে? হা হা হা... তোমাকেই জিজ্ঞেস করছি!? যার কাছে কিনা দুপুরের মানে জেনেছি! আজকাল আমার কাছে দুপুর মানেই তুমি। যেমন রুদ্রের কন্ঠে দুঃখু মিয়ার বিদ্রোহী আবৃত্তি। একটার সাথে আরেকটা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে যেনো।

আজকের দুপুরটা এখানে তেমনই সুন্দর। শান্ত নিস্তব্ধ প্রকৃতি। মৃদু মন্দ বাতাস বইছে থেকে থেকে। কে বলবে খানিক আগেই এক পশলা বৃষ্টি এসে মাঠ ঘাট সব ভিজিয়ে একাকার করে দিয়ে গেলো।

এখন আবার চনমনে রোদ্দুরের সোনালি আভা ঝিলিক মারতে শুরু করেছে মেঘের ফাঁক গলে গাছের আড়ালে আবডালে। পাখির কিচির মিচির শোনা যায়। কোথায় যেনো কাঠমিস্ত্রি হাতুড়ি পেটানো শুরু করেছে আবারো। এত কিছুর মাঝেও দেখতে পাই আমি... ধীরে ধীরে মেঘের নরম শরীর ভেদ করে রোদ্দুর ঢুকে যাচ্ছে পৃথিবীর গায়ে। ঢুকছে তো ঢুকছেই... মেহেদী পাতা রঙে লতাপাতা ঘাসফুলগুলো একে অপরকে জড়িয়ে ইতস্তত ছিটিয়ে আছে চারিপাশে। ঠিক মধ্যিখানে ধবধবে সাদা পায়রা মতোন হয়ে আছে ফুলটি। পরম মমতায় আগলে রাখার জন্যেই যেনো এক টুকরো রোদ্দুর এসে পড়েছে ঠিক তার ওপরটায়।

অমলকান্তি কি এমনি করেই রোদ্দুর হতে চেয়েছিলো? আগলে রাখার জন্যেই!

তুমিও কি তাই ??

হুমম... কেনো যেনো আমার বিশ্বাস করতে মন চায়, ওই নিষ্পাপ ফুলের ওপরে এক টুকরো রোদ্দুরালোকিত হবার জন্যেই তোমার আগমন এ ধরণীতে। আচ্ছা, থাক এসব। আগে বলো এই সূয্যিটা এক জায়গায় তার কোমল স্পর্শের ছোঁয়া রেখে অন্যখানেই গনগনে হয়ে উঠে কেনো! ঠিক যেনো প্রখর রোদ্দুরে তপ্ত ঠোঁটের ছোঁয়ার মতোনই।

আরো কত কি জানার-জানানোর ছিলো... এখন আর কিছুই মনে পড়ছে না।
আঁধার হলেই শব্দগুলো তুমুল বাজে কানের কাছে। তোমাকে শোনানোর জন্যেই গহীন কোথাও গিজগিজ করে অসংখ্য শব্দরাশি। তাদের অস্থির করা যন্ত্রনায় পাগলা ঘোড়ার তান্ডব চলে মাথার ভেতরে। অথচ দেখো জানি না কেনো সোনালী আঁচে পালিয়ে বেড়ায় তারা।
শুধু আমার সাথেই কি এমন হয়!
হয়তো সবার সাথেই...সূয্যি হয়েই একেক আঙ্গিকে দেখা দেয় একেক জনের কাছে। যেমন আমার ভেতরে এই মূহুর্তে সব হারিয়ে গিয়েছে কোন অজানায়। হয়তো প্রতীক্ষা করছে আরেকটি আঁধার ঘেরা রাত্তিরের...

ছবি: 
05/03/2010 - 6:08অপরাহ্ন

মন্তব্য

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

অসাধারণ !

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

কি যে লিখেছি নিজেও জানি না! অসাধারণ বললেন ভালো লাগলো হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ওয়াও!
কি সুন্দর, কি মিষ্টি করে লিখলেন!
ফুলটাকে দেখে বুঝতে পারছি, অমলকান্তি কেন রোদ্দুর হতে চেয়েছিল। হাসি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

লইজ্জা লাগে
খুবই লজ্জা পাচ্ছি .......
ফুলটাকে দেখেই যদি অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চায় আমার চেয়ে বেশি খুশি বোধহয় আর কেউ হবে না এ জগতে! কৃতজ্ঞতা আপি হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

তিথীডোর এর ছবি

চমৎকার!

'...সেই অমলকান্তি - রোদ্দুরের কথা ভাবতে-ভাবতে
ভাবতে-ভাবতে....
যে একদিন রোদ্দুর হতে চেয়েছিল।'

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

ধন্যবাদ আপুনি হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

‘প্রিয় আমার অনেক কিছুই; গম্ভীরতা
ভরদুপুরের, পুথিপাটার বিবর্ণতা
রহস্যময় বনের তিমির
শীতের শাদাকালো শিশির
অপ্রিয় খুব ছদ্মকথার নীরবতা’

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

তাপস শর্মা এর ছবি

সুন্দর।

কোন এক সময় অমলকে নিয়ে লিখতে চেষ্টা করতাম। একটা তুলে দিলাম।

অল্প সময় পর নিজেকে খুঁজতে শুরু করি
ঘরে ফিরে যাওয়ার আশায়
আলতো বাতাস এসে কানে কানে কয়
তুই ঘরে আয়, তুই ঘরে আয়
পুড়ছে বিশ্বাস, পুড়ছি আমি
পুড়ছে ভালোবাসা, পুড়ছে স্বপ্ন
ছাড়খার বোধ
ইতিহাস
দিনের শেষ লড়াই।

স্বর্ণলতার আশ্রয়ে খিস্তিবিলাস
ক্লান্ত তুই
নিজের থেকে বাঁচবি কি করে
আকাশ ভেঙে নেমে আসে
একটা সোনালী পাখি
তারপর রঙমশালে সারি সারি বাঞ্জারা
কোথায় যাবি তুই

অমল তুই ঘরে ফিরে আয়...

---------

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

চমৎকার লিখেছেন! এই কবিতা পড়তে পারলে অমল নিশ্চয় ঘরে ফিরে আসতো হাসি
আমি কিন্তু অমলকান্তিকে নিয়ে লিখিনি। আমার লেখাটা অমলকান্তির মতোনই রোদ্দুর হতে চাওয়া একজনকে নিয়ে। তাই শিরোনামটা অমন দিয়েছি!

অনেক ভালো থাকুন। আরো লিখুন।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

প্রখর-রোদ্দুর এর ছবি

হাসির ইমো আসে না।
আফসোস।

বুঝে নিন হাসি দিয়ে গেছি

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

বুঝে নেওয়ার চেষ্টাও আর আসে না। এমন লেখায় যদি দেখি শুধু হাসির ইমো- আপনিই বলুন শুনি, কেমন লাগে!!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

'মন কেমন করা' লেখা।

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

আপনি বুঝেছেন আমার লেখা হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

তাসনীম এর ছবি

চমৎকার

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

সুমাদ্রী এর ছবি

সুন্দর লেখা। সুন্দর ছবি।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

সৈয়দ ফয়সল আহমদ এর ছবি

অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারে নি |
অমলকান্তি তবুও তো হাল ছাড়ে নি |
অমলকান্তি সূর্যকে চায় ছুঁতে|
আমরা পারি নি অমলকান্তি হতে |

অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চেয়েছিল |
অমলকান্তি আলোর বার্তা পেয়েছিল |
আমরা আপোস করি আঁধারের সাথে |
আমরা পারি নি অমলকান্তি হতে |

ডাক্তারি করে কেউ নামভারী করে
পসার জমাল শহরের চেম্বারে |
শামলা চাপিয়ে মামলায় জিতে
পেয়ে খ্যাতি করে ওকালতি আদালতে |

ইঞ্জিনিয়ার হয়ে গেছে কেউ বিলেতে |
কেউ মাছ ধরে শেয়ারের ঘোলা জলেতে |
কর্পোরেটে কেউ পায় মোটা মাইনে |
কেউ নেতা হয়ে নেমে গেছে ভোটের লাইনে |

এসব কিছুই হয় নি অমলকান্তি |
দিনরাত খাটে প্রেসে, নেই কোনো ক্লান্তি |
ছাপার কালির গন্ধ মেখেছে গায়ে,
বুক ভরে যেন ফুলের সুবাস নেয় |

আমরা শুধু খাইদাই আর ঘুমাই |
ব্যাঙ্কে মোটা অঙ্কের টাকা জমাই |
জমার পাল্লা হচ্ছে ক্রমেই ভারী |
অমলকান্তি আমরা কি হতে পারি ?
।।।।।।।।।।।।।।।।।।রাজেশ দত্ত

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

বাহ! কি চমৎকার!

অমলকান্তি রোদ্দুর হবে একদিন। অন্তত তার ছায়াটুকুন হয়ে থাকার চেষ্টা করা উচিৎ আমাদের হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

কোমল বিষণ্ণতা রেখে গেল স্মৃতির পালক।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

মোখলেছুর রহমান সজল এর ছবি

শিশির ভেজা সবুজ ঘাসে নরম রোদের ছোঁয়ায় অস্থিত্বের ছাপ এঁকে এঁকে দল বেঁধে ছুটে যাচ্ছে এক ঝাঁক হাঁস। ঐ পথরেখা ধরেই হাঁটছি আমি, গন্তব্য ছায়াঘেরা সুশীতল পুকুর পাড়। নিরালায় ঝিম ধরে বসে থাকবো প্রকৃতির খুব কাছাকাছি। গাছের ফাঁক গলে কিছু নরম রোদের ছাঁট এসে মাঝে মাঝে আলতো করে ভিজিয়ে যাবে আমাকে।

মুগ্ধ বিভোরতায় আমি প্রতীক্ষায় থাকবো আরেকটি আঁধার ঘেরা রাত্তিরের . . . . . .

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

চমৎকার বলেছেন হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

পথখোঁজা পথিক  এর ছবি

ছবির সাথে লেখার সামঞ্জস্য অপূর্ব লাগলো

চলুক

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

কৃতজ্ঞতা আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

প্রখর-রোদ্দুর এর ছবি

প্রথমে কেবল হাসি দিয়ে চলে গিয়েছিলাম। আসলে যাইনি। বারে বারে এসে এসে পড়ে গিয়েছি। কেন বারে বারে পড়তে হচ্ছিলো আমি তার একটা কারণ খুঁজছিলাম মনে মনে।

এখনো খুব একটা খুজে পেয়েছি বলে বলবো না তবে এ বলতে পারেই স্বস্থি দিতে পারে এমন একটি উত্তর খুজে পেয়েছি। লেখার শুরু থেকে শেষ অবধি অদ্ভুত এক মৌন বিভোর আবেগের গুপ্ত রহস্য আছে। শব্দ গুলো অতিপরিচিত তার পরেও যেন মনে হয় পুরো অর্থ টুকু ধরা গেলনা যেন। কঠিন এর কাছে এসে চলে যাওয়া যায় না বুঝতে পারার দায় শিকার করে কিন্তু এতো সহজ কিন্তু তার পরেও রহস্যের ধোয়া পুরো উন্মোচিত না হলে মনের কোনায় কেমন খচখচ করতে থাকে। সেই উদঘাটনের তাগিদ নিয়েই এই বারে বারে ফিরে আসা।

যে শব্দগুচ্ছ তার অর্থ ছাড়িয়েও আরো অনন্য হয়ে উঠে তার সীমা অসীমে।

ছবির রহস্য তো আপনি জানেন আর তিন বছর ধরে এই ছবি জমিয়ে আবার এই ভাবে ফিরিয়ে আনার কৃতিত্ব টুকু পুরোটাই আপনার।

সে সবের আর কিছুই নয়, অমলকান্তি কেবলে রোদ্দুর হতে চেয়েছিলো -
কিছু পথহীন জীবন থাকে। খুব অদ্ভুত হয় তাদের ভাবনাগুলো। এদের কখনো কিছু খুঁজে ফেরা হয়না আবার হারাবারও কিছু থাকেনা। এরা কেমন করে যেন রোদ্দুর হয়ে যায় – অমল কান্তির হতে চাইবার রোদ্দুরের মত। ওদের মন বিস্তৃত হয় ঠিক ছোট বেলার হাতে হাত বেধে গোল্লাছুটের শিকলের মত, অথবা হয়ত দিগন্তের মত। স্বাভাবিক তথাকথিত জীবনের কাছে থেকে রুপান্তর খুঁজে ফেরা মানুষগুলো কষ্টের স্যাঁতস্যাতে অন্ধকারের গাঁয়ে ওই আলোর কাছেই রোদ পোহাতে আসে –

ওদের হাত ধরেই এগিয়ে চলে সৃষ্টি । রচনা হয় সুর-মূর্ছনা কবিতার ছন্দ গাঁথা । ওরা সৃষ্টি করে বলেই কিছু সময়ের রোদ্দুর নিয়ে আমরা গোলকধাঁধায় পথ খুঁজে পাই, ভুল গুলোকে ফুল ভেবে নেই ; কষ্ট গুলো হয় রঙ্গিন জামা । বেঁচে থাকার হতাশার মাঝেও কারণ খুঁজে পাই, কেউবা দায়িত্বের কেউবা সময়ের ।
যারা রোদ্দুর হতে পেরেছে তাদের আলোতে দেখি জীবনের অসাধারন রুপ, গন্ধ, গান – আবার গভীর এক শ্বাস নেই একটি সুন্দর গান, একটি সুন্দর ছবি, অথবা একটি সুন্দর গল্প পরে কি অপরূপ তৃপ্তির আলোয় আলোকিত হই আমরা । ঘুরে দাঁড়িয়ে বলি – একটাইতো জীবন!
বেঁচে থাকার মত শক্তি নিয়ে আবারো বাঁচার চেষ্টা করি।

অনেকের জীবনেই এমন রোদ্দুরের মত মানুষ গুলো তার চারপাশেই থাকে। সেই বন্ধুর মুখটি কি মনে পড়ছেনা ? যার কাছে কাঁদতে হলে ছুটে যাই, দুঃখ গুলোকে কি করে যেন অর্ধেক ভাগ করে নিয়ে নেয়, হাসতে গেলে তার সাথে আনন্দ দিগুন হয়, হারানোর পরে কিছু পেতে তার কাছেই হাত পেতে দিতে দ্বিধা হয়না । নিজের অন্ধকার তাকে দেখাতে লজ্জা হয়না । হয়তো সে আমার মা/বাবা, হয়তো আমার জীবন সঙ্গী, হয়তো সে আমার বন্ধু অথবা আমার আত্মজা । আবার বাঁচি, আবার একটি স্বপ্নকে ধারন করি, আজকের দিনের এই চাওয়াই হয়তো ফেলে আসা পুরো জীবনের যোগফল থেকেও বড় কোণ শক্তি হবে। আর চুপি চুপি হলেও সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই – আমাদের জীবনে রোদ্দুর করে পাশে থাকার জন্য কাউকে না কাউকে দিয়েছেন বলে।

আপনিও আমাদের কাছে রোদ্দুর এর মতো। এগিয়ে চলুন অনেক দূর, জীবনের থেকেও যেমন স্বপ্নের দূরত্ব আরো বেগবান তেমন করেই।

কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, লেখাটি শেষ করার পর কেবল মাত্র এমন একটি মন্তব্যের আশাতেই পোষ্ট করেছি আমি। একিভাবে প্রতীক্ষাও করেছি।
দু'দিন পরেই প্রত্যাশিত এই মন্তব্য পড়ে বোধ করি একি অবস্থা হয়েছিলো আমারো। হপ্তাধরে রোজ পাতাটা খুলি আর কেবল পড়ি। কি লিখবো! পড়ার উত্তেজনায় আমি অন্যরকম হয়েছিলাম। আমার চালাকি ধরা পড়ে এই ভয়ে লগইনও করিনি লইজ্জা লাগে

আপনার উপলব্ধি আমাকে সীমাহীন তৃপ্তি দিলো!
সত্যিটা কি জানেন! এই ছবি প্রথম দেখার ক্ষণ থেকেই আমার কাছে এমনি ছিলো। হ্যাঁ, হয়তো সেই অনুভূতির প্রকাশ ঘটাতে আমি পারি নি। কেনো যে বারে বারে মনে হতো এই ফুলটির উপরে পরে থাকা এক টুকরো রোদ্দুরটির কেবল আমার জন্যেই পৃথিবীতে আগমন। কেবল আমার জন্যেই তার চারিপাশে আলোকিত করে যাচ্ছে রোদ্দুরের টুকরোখানি। আর তাই আমি রোদ্দুর হতে চাই না। কেবল সে রোদ্দুরের ছায়া হয়ে বাঁচতে চাই। খুব ভালো করেই জানি, যত দূরেই যাই না কেনো রোদ্দুর আমার মাথার উপর থেকে আগলে রাখবে সযত্নে হাসি

ভালো থাকুন। ভালো রাখুন।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।