প্রজাপতিকাল

শিশিরকণা এর ছবি
লিখেছেন শিশিরকণা (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৯/০৯/২০১০ - ৩:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী সচল হতে হলে আমাকে গড়পড়তা আরো সাড়ে তেইশখানা পোস্ট দিতে হবে। ব্লগর ব্লগর করতে আমার মহা উৎসাহ, কিন্তু সেটা নিজের ব্লগে, যেটা কেউ পড়বে না। দেঁতো হাসি কিন্তু সচলের মডূদের হাতে লেখা জমা দিয়ে পাস-ফেলে টেনশন করতে লেখার হাত সরে না। কিন্তু গত ক'দিন ধরে সম্প্রতি দেখা সিনেমাটা নিয়ে দু'টা কথা কিছু চিন্তাভাবনা বের হবার জন্য আকুলি বিকুলি করছে, তাই কীবোর্ডে আঙ্গুল ছুটালাম।

আমার একা সিনেমা দেখতে ভালো লাগে না। ইমনের সাথে বসে দেখলে সাম্প্রতিক জনপ্রিয় সিনেমাগুলাই চলে। সেদিন সেলাই এর ফ্রেম হাতে নিয়ে মনে হলো একটা সিনেমা দেখি। আমি আবার জলদস্যুগিরিতে খুবি কাঁচা, তাই কোথায় ফ্রী মুভি পাওয়া যায়, খুঁজতে ইচ্ছাও হলো না। হুলু,কম এ ঢুকে খুঁজতে লাগলাম। এ মা, সব দেখি হিন্দি ছবিতে সয়লাব! (এখানে বলে রাখি, "হুলু"তে অনেক আমেরিকান টিভি সিরিজ ও সিনেমা ফ্রী দেখা যায় যদি মাঝখানে ৩০ সেকেন্ডের ৪-৫টা বিজ্ঞাপন সহ্য করতে রাজি থাকেন - বাংলাদেশে কাজ করে কি না জানি না) হঠাৎ একটা ছবির পোস্টারে চোখ আটকালো, সালমা হায়েক আর মার্ক এন্থনি আছে, নামটা আগে শুনিনি কিন্তু ভালো লাগলো, " In the time of the butterflies" - প্রজাপতিকাল।
সিনেমার কাহিনী সত্য ঘটনা অবলম্বনে, পঞ্চাশের দশকে ডমিনিকান রিপাব্লিকের একনায়ক জেনারেল ত্রুহিয়ো (Rafael Trujillo) এর অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো তিন বোনের জীবনীকে উপপাদ্য করে লেখিকা জুলিয়া আলভারেজ যে কাহিনীটি লিখেছিলেন তার চিত্ররূপ। ছবি শুরু হয় মিরাবাল বোনদের উঠোন থেকে। বড় বোন মিনার্ভা পড়াশোনায় সবসময় আগ্রহী, মেঝ বোন পাত্রিয়া একদম ঘরোয়া, সেজ বোন যাকে ওরা আদর করে দেদে বলে ডাকে, তার মনটা বড়, সে যে মানবসেবায় আত্মনিবেদন করবে সেটা সবাই ধরে নিয়েছে, আর সবচে ছোট্টটি, মারিয়া তেরেসা, সংক্ষেপে মাতে হয়ত চুপচাপ, কিন্তু চোখে কিসের যেন ঝিলিক। খাবার টেবিলে বসে মিনু যখন শহরে পড়তে যাবার জন্য বাবাকে রাজি করায় তখন মাথার পিছে ঝুলে থাকা দামী ফ্রেমে বাঁধানো জেনারেল ত্রুহিয়োর ছবিটা যেন মিটমিটিয়ে হাসে।
শহরে মেয়েদের স্কুলে এসে ভর্তি হয় মিনু। পথে ট্রেনে শেকলে বাধা এক বন্দীর চোখের ভাষা সে পড়তে গিয়েও এড়িয়ে যায় অস্বস্তিতে। এতদিন বাবার ডানার আড়ালে থাকা মিনু একটু যেন আভাস পায় কিছু একটা গোলমেলে আছে, উড়ো শুনতে পায় যারা ত্রুহিয়োর বিরোধিতা করে, তারা নাকি সবার মাঝ থেকে হারিয়ে যায়, কিন্তু বিশ্বাস করতে পারে না। ছুটিতে বাড়ি এসে পরিচয় হয় শহর থেকে বেড়াতে আসা আইনের শিক্ষক লিওর (মার্ক এন্থনি) সাথে। মনের সাথে দেয়া নেয়া হয়ে যায় কম্যুনিস্ট চিন্তা চেতনা, নতুন করে সব কিছু দেখতে শেখে মিনার্ভা, আর মিনুর প্রানবন্ত চরিত্রের মাঝে লিও খুঁজে পায় এক প্রজাপতিকে, যে এখনো কোকুনের মাঝে বাড়ছে। ত্রুহিয়োর বাহিনীর হাত থেকে পালাতে গিয়ে যখন লিওর মৃত্যু হয় তখনি সে প্রজাপতি পাখা মেলে।
এর মাঝে মিনুকে লড়তে হয় ত্রুহিয়োর সাথে মেয়ে হয়ে আইন পড়ার অনুমতি আদায়ের জন্য, একনায়কের লালসা থেকে নিজের সম্মান আর বাবার জীবন বাঁচাতে। যখন আরেক আন্ডারগ্রাউন্ড কম্যুনিস্ট নেতা মানোলো তাকে জিজ্ঞেস করে স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে তার একার যুদ্ধজয়ের গোপন রহস্য, মিনু হেসে জবাব দেয়, " আমি শয়তানের সাথে জুয়া খেলে জিতেছি। " মানোলোর সাথে সাথে মিনু সক্রিয়ভাবে বিপ্লবে জড়িয়ে পড়ে। বোনের সাথে দেখা করতে এসে মাতেও জড়িয়ে পড়ে আন্দোলনে। বিপ্লবীদের মাঝে তার আশার আলোর মত, লিওর দেয়া নামটিতেই তারা আপন করে নেয় এই দুই বোনকে, "Las Mariposas"- প্রজাপতি।
বাবার জীবনের বিনিময়ে মিনু জোগাড় করেছিল, আইন পড়ার অনুমতি। অনেক পথ পেরিয়ে যেদিন অবশেষে ডিগ্রী নেবার দিন, সবার সামনে ত্রুহিয়ো মিনার্ভা মিরাবালকে আইন এর ডিগ্রী দিতে অস্বীকার করলো। সেই মূহুর্তটিতে মিনু, তার বোনেরা আর তাদের নিভৃতচারী মা জেনারেল ত্রুহিয়োর দিকে যে আগুন দৃষ্টি বর্ষণ করেছিল, স্বৈরশাসকের বিদায় ঘন্টা ঐ মুহুর্তেই বেজে গেছে।
কিন্তু এরপর মিনু কেমন যেন হাল ছেড়ে দেয়, স্বামী সন্তান নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চায়, কিন্তু একসময় তার বিপ্লবের কমরেড দের একের পর এক কুকুরের মত গুলি করে মারতে থাকলে তারাও সশস্ত্র সংগ্রামের পথ খোঁজে। মেঝ বোন সব সময় সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে আন্দোলনের বিরোধিতা করলেও এবার সেই অস্ত্রসহ বোনদেরকে আশ্রয় দেয়। এর পরের কাহিনীকে মিরাবাল বোন দের স্বামী সহ ত্রুহিয়োর কারাগারে অত্যাচারিত হওয়ার, তার মাঝেও সাধারন মানুষের গোপন সমর্থনে মনোবল জিইয়ে রাখার। শেষ একটা চাল চালতে জেনারেল ত্রুহিয়ো মিরাবালদের স্বামীদের আটকে রেখে বোনদেরকে মুক্তি দেন। স্বামীদেরকে মুক্তি দেয়ার শর্তে মিনার্ভাকে বাধ্য করান তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে যাতে জনগণের কাছে তার ইমেজ ক্ষুণ্ণ হয়। কিছুতেই মিনার্ভা মিরাবালকে দমাতে না পেরে অবশেষে তাকে গুপ্তহত্যার আশ্রয় নিতে হয়। ১৯৬০ সালের ২৫শে নভেম্বর কারাগারে আটক স্বামীদের সাথে দেখা করে ফেরার পথে মিনার্ভা, পাত্রিয়া আর মাতে মিরাবাল কে পিটিয়ে হত্যা করা হয়, সংবাদপত্রে প্রচারিত হয় তাদের বহনকারী গাড়ি দুর্ঘটনা কবলিত হবার খবর, গাড়ি আর লাশ পাওয়া যায় পাহাড়ের পাদদেশে।
এর ছ'মাস পর জেনারেল ত্রুহিয়ো আততায়ীর হাতে নিহত হন। ১৯৯৯ সন থেকে ২৫শে নভেম্বর কে "আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন রোধ দিবস" হিসেবে পালন করা হয়।
সিনেমাটা দেখার পর তার সাথে কতগুলা ভাবনা চিন্তা যুক্ত হলো।
১. যেকোন আন্দোলনে নারী নেতৃত্বের ভূমিকা অপরিহার্য। শুধু রক্ত ঘাম, শ্লোগান, অস্ত্র এসব দিয়ে আন্দোলন হয় না। আন্দোলনের পিছে যে আবেগ প্রয়োজন তার অন্যতম জোগানদার নারী, আরো ভালো যদি সে হয় সহযোদ্ধা। ঘরের আরাম সুখের সংসার ছেড়ে একজন পুরুষ খালি রক্ত গরমের নেশায় কয়দিন আন্দোলন করবে, যদি ঘরনীর সায় না থাকে। ঘরের বাইরে আপনি দেশোদ্ধার করে ফিরলেন, বাড়িতে ফিরে স্ত্রী যদি খুন্তি হাতে ঝাড়ি দিতে আসে, ঘরে বাজার নাই বলে দেশোদ্ধারের আনন্দ কই উবে যাবে!! একজন জাহানারা ইমামের মত আরো কত মা, স্ত্রী প্রিয়জনদের বিদায় দিয়েছিল স্বাধীন দেশ নিয়ে আসার জন্য, আশ্রয়, খাদ্য, সম্ভ্রম দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আগলে রেখেছিল এই নারীরা বলেই আজ এই দেশ।
২. নারী নেতৃত্বের ইস্পাত কাঠিন্যও একটা লক্ষ্যনীয় ব্যাপার। যেমন ধরুন মতিয়া চৌধুরী, সত্তরের সেসব নেতাদের মাঝে অনেকেই নানারকম আপোষ করে মিইয়ে গেছেন। মতিয়া চৌধুরী এখনো সমানে দাপটে যাচ্ছেন। আমাদের দুই ফিক্সড প্রধানমন্ত্রী খালার কথাই ভাবি, বিশাল পারিবারিক বিপর্যয়ের পরও তারা দু'টি রাজনৈতিক দলের হাল ( সে যে হাওয়াতেই হোক না কেন) ধরে আছেন। হিলারী ক্লিন্টন, এঞ্জেলা মার্কার, জুলিয়া গিলার্ড এদের তো দেখলেই ভয় লাগে।
৩. সিনেমাতে জনগণকে স্বৈরশাসকের অপকর্ম সম্পর্কে জানানোর জন্য মিরাবাল বোনেরা বেছে নিয়েছিলো চার্চকে। চার্চের সাপ্তাহিক প্রার্থনার সময়টাতে যাজকেরা কথা বলতেন একনায়কের অন্যার অনাচার সমন্ধে। চার্চ বেছে নেয়ার কারণ ছিল যত ক্ষমতা শালীই হোক ধর্মের জায়গাটিতে আঘাত করতে পারবে না। বাংলাদেশে সাধারন অল্পশিক্ষিত, অশিক্ষিত মানুষকে যুদ্ধপরাধী, দেশদ্রোহী, দূর্নীতিবাজ সরকার সমন্ধে সচেতন করার খুব ভালো জায়গা হতে পারত জুম্মার নামাজের পর খুতবা পরবর্তী আলোচনায়। নবীজীর শিক্ষায় মসজিদে নামাজ পড়ার পিছনে সামাজিক যোগাযোগ ও সচেতনতাও কি একটা কারণ ছিলো না। কিন্তু হায়, আমাদের এই জায়গাটাই এখন নষ্টদের দখলে চলে গেছে/ যাচ্ছে। আমরা কি খুব বেশী অভাগা?
-শিশিরকণা-
(আমিহিমি@জিমেইল,কম)


মন্তব্য

হাসান মোরশেদ এর ছবি

বাহ।
পরপর দুটো ভালো পোষ্ট।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ
-শিশিরকণা-

জাহামজেদ এর ছবি

অনেক ভালো একটা লেখা, সিনেমাটা দেখতেই হবে।

বাংলাদেশে সাধারন অল্পশিক্ষিত, অশিক্ষিত মানুষকে যুদ্ধপরাধী, দেশদ্রোহী, দূর্নীতিবাজ সরকার সমন্ধে সচেতন করার খুব ভালো জায়গা হতে পারত জুম্মার নামাজের পর খুতবা পরবর্তী আলোচনায়

এই ভাবনাটা আমার মাঝেও আসে, মনে হয়, মসজিদের হুজুররা যদি খুতবার সময় দেশ নিয়ে কথা বলেন তাহলে তাদের কথা সবাই শুনবে। কিন্তু আবার এটা ভাবলেও চিন্তাটা মাথা থেকে ফেলে দিতে হয়, তারা তো রাষ্ট্রের চাকরি করেন, অথবা পাড়া মহল্লার, আর যুদ্ধাপরাধী, দেশচিন্তা এগুলো নিয়ে কথা বলার জন্য যতটুকু জানাশোনার প্রয়োজন, সেটা কি তাদের আছে ?
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

দেশে মসজিদের খুতবার বর্ণনা শুনেছি বাবা- ভাই এর কাছে। তারা হুর পরীর সেবা আর তরমুজ সাইজের আঙ্গুর, আকাশে উড়তে থাকা পাখি রোস্ট হয়ে এসে মুখে ঢুকে যাবে, এইসব আলোচনায় বেশি আগ্রহী। হুজুরেরা যেখান থেকে শিক্ষা সমাপ্ত করে আসেন, সেখানে অলরেডি তাদের ব্রেইনওয়াশ হয়ে যায়। মুক্ত মনের সত্যিকার জ্ঞানী ইমামের সংখ্যা হাতে গোনা (পড়ুন 'নেই'), তবে হ্যাঁ, তাদের কে এখনো সমাজের মানুষ যে শ্রদ্ধার আসনটি দেয়, তার কারনে, তাদের যুক্তিযুক্ত কথা মানুষ শুনবে।
-শিশিরকণা-

কৌস্তুভ এর ছবি

লেখা ভাল লাগল।
সাইটেশন পেয়ে আরো ভাল লাগল হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ।
আপনার পরিসংখ্যান বিষয়ক পোস্ট দেখার পর মডুদের গালি দেয়া বাদ দিয়ে লিখতে বসলাম। অলস অতিথি লেখককে সচল করার পিছে আপনার পোস্টের অবদান অনস্বীকার্য।
-শিশিরকণা-

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনার লেখার জন্য। রেফারেন্স পড়ে ছবিটা দেখার জন্য উন্মুখ।

মসজিদ ভিত্তিক রাজনীতির গ্রহনযোগ্যতা মনে হয় রাজনীতিবিদদের কারনেই নেই। এরা বারেবারেই মিয়ারবেটা ফেলুমিয়ার চেয়ে রমজানের কথা বেশী মনে করায়।

অমিত্রাক্ষর
অমিত্রাক্ষর @ জিমেইল ডট কম

অতিথি লেখক এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
-শিশিরকণা-

অতিথি লেখক এর ছবি

শেষ দৃশ্যে গাড়ী থেকে নামিয়ে সালমা হায়েক কে যখন নিয়ে যায় সেই দৃশ্যটা অনেকক্ষন চোখে লেগে ছিলো। ছবিটা ভালো ,আর ও ভালো
লাগলো আপনার লেখার ধরনটি।
ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি এরকম দৃশ্যগুলা সহ্য করতে পারি না। শাবানার দুঃখে আমার চোখে পানি চলে আসে। খাইছে
আমি লেখক না, চেষ্টা করছি জাতে ওঠার, পড়তে ভালো লেগেছে শুনে বিগলিত হলাম। অনেক ধন্যবাদ।
-শিশিরকণা-

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আপনার লেখাটা ভালো লাগলো। ভালো কথা, এই মুভি নিয়ে পান্ডবদাও একবার পোস্ট দিয়েছিলেন- দেখতে পারেন...

_________________________________________

সেরিওজা

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি সচলে নতুন বলে পুরানো পোস্টের খবর জানতাম না, তবে একবার গুগ্লায়তনে ঢুঁ মেরে দেখে নেয়া উচিত ছিলো। পান্ডবদার পোস্ট পড়ে ইলা মিত্র সমন্ধে জানার তাগিদ হচ্ছে।
লেখা পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
-শিশিরকণা-

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ডাউনলোডে বসাইলাম
ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

হ, দেখেন, দেখার মত সিনেমাটা, পরিচালকের কাজ ভালো লাগছে, তার উপর সালমা আপা আছেন।
-শিশিরকনা-

অতিথি লেখক এর ছবি

হ, দেখেন, দেখার মত সিনেমাটা, পরিচালকের কাজ ভালো লাগছে, তার উপর সালমা আপা আছেন।
-শিশিরকনা-

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লেগেছে ধন্যবাদ।

তানু

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ।

অদ্রোহ এর ছবি

সিনেমা নিয়ে দুপয়সা লেখায় আসলেই খুশী হলাম, চালিয়ে যান। বাই দ্য ওয়ে, আপনার পর্যবেক্ষণ ভাল।

----------------------------------

আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ।
-শিশিরকণা-

তারানা_শব্দ এর ছবি

বাহ! খুব সুন্দর লিখেছেন তো। ভালো লাগলো। হাসি

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

অতিথি লেখক এর ছবি

সময় নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
-শিশিরকণা-

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সিনেমা লেখকরা পোষ্টকে রঙ্গীন করতে পারেন। মানে সিনেমার পোষ্টার সেঁটে দিতে পারেন। সহজ পথ- ফ্লিকারে একাউন্ট করে পোষ্টারের ছবি আপলোড করুন তারপর এইচটিএমএল কোড পোষ্টে এমবেড করে দিন।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

চলুক
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

বাউলিয়ানা এর ছবি

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী সচল হতে হলে আমাকে গড়পড়তা আরো সাড়ে তেইশখানা পোস্ট দিতে হবে

হা হা...কৌস্তুভ মিয়া আমাদের একটা টেনশনে ফালায়া দিসে।

রিভিউ ভাল লেগেছে। মুভিটা দেখিনি, দেখার ইচ্ছে আছে।

আয়নামতি এর ছবি

হেহেহে শিশিরকণা দেখি মুভির পুরো গল্পটাই বলে দিয়েছেন! দেখা মুভি তাই পড়ে অনেক বেশি কানেকটেড হতে পেরেছি!
আপনার চিন্তাভাবনার কাছাকাছিই এসেছিল এমন কিছু চিন্তা! জানিনা এই মন্তব্যটা আপনার চোখে পড়বে কিনা।
শুধু স্বামীদের বেলাতেই স্ত্রীরা অনুপ্রেরণা দিয়ে যাবেন এটা একতরফা হয়ে যায়। উচিৎ দু'জনেরই দু'জনকে উৎসাহ অনুপ্রেরণা দেয়া সেটা দেশোদ্ধার থেকে চণ্ডীপাঠ পর্যন্ত হতে পারে। 'The Lady' দেখেছেন শিশির? আজকে যে সূচী/সুকি কে পৃথিবী দেখছে(আদতে মহিলা চ্রম স্বার্থপর) তার পেছনে সুকির স্বামীর রয়েছে বিশাল অবদান। কী কথায় কিসব এসে গেলো! আপনার লেখাটা ভালো লেগেছে। আপনি এখন তেমন লিখেনই না। সময় সুযোগ করে লিখুন আবার।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।