অচল আনি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২০/১০/২০১০ - ২:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ এটি একটি নির্দোষ মৌনপ্রিয় পদ্য। পাঠকেরা কল্পনার ডানায় ভাসিতে চাহিলে নিজ দায়িত্বে ভাসিবেন। পপাত ধরণীতলের জন্য পদ্যকার দায়ী থাকিবেন না।

অচল আনি সচল হবে পিষছে কলম জোরসে জোর
গদ্যজাত পদ্য লিখেই আনতে হবে নোতুন ভোর
দোলনা দোলা শিশুর মতোন থাকবে কদিন দুধভাতে?
শব্দস্রোতের উর্মিমালা খেই হারালো মাঝপথে

ভাবের খাতায় গাবের আঠায় আটকে রাখো লালিত্য
কুলীন হলে ছাড়তে হবে ছন্দজ্ঞান আর পালিত তো
পষ্ট কথা নষ্ট বেজায় ভাবটি করো জটিল বেশ
পুরাণ ফেড়ে রূপক জুড়ে আনতে পারো ক্লাসিক রেশ

নিভলো যখন নিজের আলো পরের পানেই বাড়াও হাত
রূপান্তরের মইটি ধরেই ছুঁইতে পারো চাঁদনী রাত
ভিন্নমতের সুখের দিনে মিলের নেশায় পগার পার
অচল আনির সচল হওয়া জুটলো নাতো ভাগ্যে আর।

রোমেল চৌধুরী


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

অচল আনির সচল হওয়া জুটলো নাতো ভাগ্যে আর।

বস, আমারও তো একই অবস্থা

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই,
সমবেদনা।
রোমেল চৌধুরী

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এখানে আপনার ছন্দের যে নিশ্ছিদ্র বুনটটা আছে, সেটা চালিয়ে যান। কখন সচল হয়ে গেছেন টেরও পাবেন না।



অজ্ঞাতবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই,
১০৮ টি নীলপদ্ম জোগাড় না করিতে পারিলেও ১৮ টি নীলপদ্য/আবজাব তো পোষ্টাইলাম, আবুল হাসানের মতো করে বলি, "আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি।"
রোমেল চৌধুরী

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এইটাই ভুল করলেন। বুইঝা ফালাইলেই সচলত্ব থিকা দূরত্ব বাড়তে থাকে। না বুঝলেই সুবিধা।



অজ্ঞাতবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইরে, এ তো দেহি মাইনক্যা চিপা.....বাঁচমু কেমনে?
রোমেল চৌধুরী

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আপনার এই বাঁচতে চাওয়াটাই ক্রমশ মডারেটরদের এবং সহসচলদের বিরক্ত করবে। এবং এর পুনরাবৃত্তি বিরক্তিকে চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়াবে। এটা ঘটবেই এমন না। তবে পরিসংখ্যান বলছে ঘটার সম্ভাবনা ৯৫%'র বেশী।



অজ্ঞাতবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার মনে হয় কথাগুলো অন্যভাবে বলা যেত। এভাবে মানুষকে আঘাত করা ঠিক না। কারণ সবারই আত্মসম্মনবোধ আছে। লেখকের কোনো কথাই কাউকে বিরক্ত করার মত নয়। আবার আপনি মডারেটরদের এবং সহসচলদের বিরক্ত হবার সম্ভাবনার ৯৫% ঘোষণা করে দিয়েছেন।(হয়ত আপনি মডারেটরদের একজন) সচলায়তন একটা খুবই ভালো জায়গা সন্দেহ নাই। কিন্তু এই ধরনের বক্তব্য এই ধারণা দেয় সচলায়তন অহেতুক আত্মগরিমায় ভোগে। যা মোটেই কাম্য নয়। এর খারাপ ফলাফল আপনি একদিনে বুঝবেন না। যখন বুঝবেন তখন দেরি হয়ে যাবে। সেটা আপনার বা আমার কারো জন্যই সুখকর হবে না।

অতিথি লেখক এর ছবি

সুমন ভাই,
সচল হবার প্রাপ্তির চাইতে বিরক্তি উৎপাদনের তিক্ততা আমাকে বেশীই পীড়িত করবে। আপনার উপদেশ যথার্থই সুউদ্দেশ্য প্রণোদিত, আমার ভালো লেগেছে। আপনাকে ধন্যবাদ।
রোমেল চৌধুরী

স্বপ্নাহত এর ছবি

আপনি কি আগে "অচল আনি" নামে কিছুদিন পোস্টাইসেন/কমেন্টাইসেন?
উত্তর যদি হ্যা হয় তাইলে প্রশ্ন- এতদিন কোথায় ছিলেন? চিন্তিত
আর উত্তর যদি না হয় তাইলেও প্রশ্ন - এতদিন কোথায় ছিলেন? দেঁতো হাসি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

অতিথি লেখক এর ছবি

না রে ভাই,
আমি জীবনানন্দ নই ! তাই বনলতা সেনের মতো "এতদিন কোথায় ছিলেন?" ভবিয়া স্বপ্নাহত হইবেন না দেঁতো হাসি
রোমেল চৌধুরী

অচল আনি [অতিথি] এর ছবি

দারুন লিখেন আপনি। অতিথি লেখক, হাচল, সচল এইসব না ভেবে লেখা চালিয়ে যান দেখবেন বদ্দা যেরকম বললেন কখন সচল হয়ে গেছেন টেরও পাবেন না।

তবে এই পোষ্টে কিন্তু আমারে ব্যক্তিগত আক্রমন করা হইছে... দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আরে তাইতো,
অচল আনি নিকনেমে আমাদের একজন অতিথি আছেন দেখছি! কিন্তু ভাই, এ যে পুষ্পশর নিক্ষেপে ব্যক্তিগত আক্রমন।
রোমেল চৌধুরী

কৌস্তুভ এর ছবি

চালিয়ে যান...

অতিথি লেখক এর ছবি

কৌস্তভ ভাই,
বরাবরের মতোই আমার লেখা পড়ার জন্য ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
রোমেল চৌধুরী

অতিথি লেখক এর ছবি

পষ্ট কথা নষ্ট বেজায় ভাবটি করো জটিল বেশ
পুরাণ ফেড়ে রূপক জুড়ে আনতে পারো ক্লাসিক রেশ

স্বল্পদৈর্ঘের জীবনে শোনা মূল্যবান কথাগুলোর মধ্যে এটাকে আপাততঃ প্রথম দিকেই রাখবো।

চালিয়ে যান, আপনার ছন্দজ্ঞ্যান তীক্ষ্ম। ফেসবুকে 'এমা'-'আআ' কবিকূলের অত্যাচারে খুব বিপদে আছি ভাই।

রাতঃস্মরণীয়

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই রাতঃস্মরণীয়, বস্তুত আপনাকে দিনে বা রাতে কখনোই স্মরণ করতে চাই না। তবু বাধ্য হচ্ছি বলতে আপনি শুধু শুধু মন্তব্য করেন কেন। মন্তব্য করেন কিন্তু জবাব দেন না। পাবলিকরে ছন্দজ্ঞানের সার্টিফিকেট না দিয়ে নিজের দায়িত্বজ্ঞাণ ঠিক করেন।
কর্কশ ভাষার জন্য দুঃখিত।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাষা কর্কশ না, আপনি যা সত্যি মনে করেছেন, তা'ই বলেছেন। আপনি আমাকে স্মরণ করবেন এটা কামনা করে মন্তব্য করিনি, মন্তব্য করেছি আপনার লেখাটা ভালো লেগেছে এজন্যে। আপনার কাছে যদি মনে হয়ে থাকে শুধু শুধু মন্তব্য করেছি তবে দয়া করে মডারেটরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমার মন্তব্য মুছে দিতে বলেন। আর কখন কোন মন্তব্যে জবাব দেইনি যদি কষ্ট করে একটু দেখিয়ে দেন তো কৃতজ্ঞ হই।

এখন পর্যন্ত আমার ধারণা যে আমার দায়িত্বজ্ঞ্যান ঠিকই আছে। তবে আপনার বোধের কিঞ্জিত পরিমার্জনা আবশ্যক বলেই আমার মনে হচ্ছে। নইলে আপনি আমার একটা মন্তব্য যাতে আপনার পংক্তিমালার প্রশংসা করেছি, তার অপব্যাখ্যা করলেন। আপনি অনেক বড় হোন ভাই।

রাতঃস্মরণীয়

অতিথি লেখক এর ছবি

রাতঃস্মরণীয় ভাই,
আমিও আপনার সাথে একমত। আপনার দায়িত্বজ্ঞান ঠিকই আছে। ছন্দের খেলা ভালো লাগলে আপনি তা ভয়শূণ্য চিত্তে বলতেই পারেন।

যেহেতু আপনার মন্তব্যের পিঠে করা মন্তব্যটি আমার নয়, তাই সেটি আমি মুছে দিতে চাই না। মডারেটরগণ এক্ষেত্রে ভুমিকা নিতে পারেন কি?
রোমেল চৌধুরী

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

পাবলিকরে ছন্দজ্ঞানের সার্টিফিকেট না দিয়ে নিজের দায়িত্বজ্ঞাণ ঠিক করেন।

ভাই আপনার সমস্যাটা কী? মন্তব্যকারী কোথায় আপনাকে ছন্দজ্ঞানের সার্টিফিকেট দিলেন?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতিথি লেখক এর ছবি

মাহবুব মুর্শেদ ভাই,
আমি খুব সম্ভবতঃ একটি ভুল বোঝাবুঝির মধ্যে পড়েছি। একটু লক্ষ্য করে দেখুন, সচলের পাতায় আমি এ পর্যন্ত যতগুলো মন্তব্য করেছি সবগুলোর শেষেই আমার নাম জুড়ে দিয়েছি। আমার নাম বিহীন কোন মন্তব্যই আমার নয় একথা দ্ব্যর্থহীন বলতে পারি। আরেকটু ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখবেন, আপনি যে মন্তব্যটির অংশ উদ্ধৃত করে মন্তব্যের জবাব লিখেছেন সেটির শেষেও আমার নাম উল্লেখ করা নেই, এটির ভাষাবিন্যাস এ যাবত সচলের পাতায় আমার করা কোন মন্তব্যের সাথেই এতটুকু মিলে না।

ছন্দজ্ঞানের প্রশংসা করে রাতঃস্মরণীয় ভাইয়ের মন্তব্য আমি এই মাত্র দেখেছি। সেটি আমাকে যুগপৎ আনন্দিত ও অনুপ্রাণিত করেছে। তার মন্তব্যের পিঠে করা মন্তব্যটি আমার নয়, সেটির শেষে আমার নামও জুড়ে দেয়া নেই। কে এই মন্তব্যটি করেছেন, সে সম্পর্কে আমি বিন্দুমাত্র ওয়াকেবহাল নই। তথাপি আমি এসব অনভিপ্রেত অঘটনের জন্য রাতঃস্মরণীয় ভাই ও সচলের সব পাঠক, হাচল, সচল সবার কাছেই করজোড়ে মার্জনা চাইছি। আমি এই পোষ্টটি না করলে হয়তো এতকিছু ঘটতো না। ভবিষ্যতে সচলায়তন যদি মন্তব্যগুলো সঠিক ব্যক্তির নিকট হতে এসেছে কিনা তা যাচাই করে তবে বোধহয় এমন নীচুমানের তর্ক এড়ানো সম্ভব। আমি ভীষন লজ্জিত ও বিব্রত বোধ করছি। ক্ষমা করবেন সবাই।

রোমেল চৌধুরী

কৌস্তুভ এর ছবি

মুর্শেদ ভাই, আপনাকে আগেও বলতে দেখেছি, নাম-ইমেল কিছুই না দিলে অতিথিদের লেখা বা মন্তব্য ছাড়া উচিত না। এখানেও এই অতিথি দেখছি নামধাম না উল্লেখ করে লোকজনকে এমনভাবে খোঁচা দিচ্ছেন যে মনে হতে পারে রোমেল ভাইই সেগুলো বলছেন। যদি হাচল হিসাবে বলার যোগ্যতা থাকে, তাহলে বলব, ওই মন্তব্যগুলো ছাড়া ঠিক ছিল না বোধহয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই,
এভাবে বলাটা বোধহয় ঠিক শোভনীয় হয় না। আমার তো রাতঃস্মরণীয় ভাইয়ের মন্তব্য খুব ভালো লেগেছে।
রোমেল চৌধুরী

অতিথি লেখক এর ছবি

রাতঃস্মরণীয় ভাই,

আমি খুব সম্ভবতঃ একটি ভুল বোঝাবুঝির মধ্যে পড়েছি। একটু লক্ষ্য করে দেখুন, সচলের পাতায় আমি এ পর্যন্ত যতগুলো মন্তব্য করেছি সবগুলোর শেষেই আমার নাম জুড়ে দিয়েছি। আমার নাম বিহীন কোন মন্তব্যই আমার নয় একথা দ্ব্যর্থহীন বলতে পারি।

ছন্দজ্ঞানের প্রশংসা করে আপনার মন্তব্য আমি এই মাত্র দেখেছি। সেটি আমাকে যুগপৎ আনন্দিত ও অনুপ্রাণিত করেছে। তার মন্তব্যের পিঠে করা মন্তব্যটি আমার নয়, সেটির শেষে আমার নামও জুড়ে দেয়া নেই। কে এই মন্তব্যটি করেছেন, সে সম্পর্কে আমি বিন্দুমাত্র ওয়াকেবহাল নই। তথাপি আমি এসব অনভিপ্রেত অঘটনের জন্য আপনার ও সচলের সব পাঠক, হাচল, সচল সবার কাছেই করজোড়ে মার্জনা চাইছি। আমি এই পোষ্টটি না করলে হয়তো এতকিছু ঘটতো না।

সোমালিয়া নিয়ে আপনার লেখাটি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার সাথে পরতে পরতে মিলে যাওয়ায় খুব ভালো লেগেছে। ভবিষ্যতে আপনার এ ধরনের আরো লেখা পড়তে চাই।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

রোমেল চৌধুরী

অতিথি লেখক এর ছবি

রোমেল ভাই, কবি বলেছেন-

মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক মানুষেই সূরাসূর

আপনাকে বিব্রত করে এখন আমিই লজ্জায় পড়ে গেছি। লেখকরা হচ্ছে শিক্ষকের মতো, পাঠকরা যাদের থেকে শেখে। সুতরাং একজন লেখকের পক্ষে শালীন মন্তব্যই সবার কাম্য থাকে। একটু হতবাকই হয়ে গিয়েছিলাম। চেয়েছিলাম কঠিন কিছু বলতে, কিন্তু সংযত হয়েছি। আপনি আমাকে ক্ষমা করবেন কারণ আপনাকে অকারণে সন্দেহ করায়। আমারও ভাবা উচিৎ ছিলো যে মন্তব্যকারী একজন ............ কি বলবো, নাম পরিচয়হীন/গোপনকারীকে কি বলা সমিচীন?

নিন্দার কাঁটা যদি না বিধলো পায়ে, প্রেমের কি সাধ আছে বলো

লালনের বলা কথাটা জানেন নিশ্চই। আরও লেখেন, লিখতে থাকেন, আমাদের বঞ্চিত করবেন না দয়াকরে।

সচলায়তন কর্তপক্ষের কাছে বিনীত নিবেদন নামবিহীন পোষ্ট না এ্যাপ্রুভ করার জন্যে। এছাড়া সুপারিশ করবো আমাদর মতো ব্রাজক লেখকদের জন্যেও যদি সিমপ্লিফাইড রেজিষ্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা যায়।

সোমালিয়া নিয়ে আপনার লেখাটি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার সাথে পরতে পরতে মিলে যাওয়ায় খুব ভালো লেগেছে।

কি ব্যাপার, আপনিও কি আ্যাবডাকটেড হয়েছিলেন নাকি?

রাতঃস্মরণীয়

নাজমুস সামস এর ছবি

ভাবের খাতায় গাবের আঠায় আটকে রাখো লালিত্য
ভালু !!

অতিথি লেখক এর ছবি

নাজমুস সামস ভাই,
ধন্যবাদ আপনাকে!
রোমেল চৌধুরী

স্পর্শ এর ছবি

ছড়াটা দারুণ জমাটি হয়েছে! চলুক
দ্রুত সচলত্ব লাভ করুন সে কামনা রইলো।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

শুভকামনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

মর্ম এর ছবি

সচলে যেসব লেখা সব সময়ের জন্য মনে গেঁথে গেছে তার মধ্যে একটা এই লেখাটা।

যখন পড়েছি তখন কিছু বলা হয়নি, যখন বলতে চেয়েছি তখন আপনার ব্লগে খুঁজে পাইনি। আজকে পেয়েছি আর বিব্রতকর সব মন্তব্য দেখে অবাক হয়েছি! একটা বাজে মন্তব্য আলোচনার মোড়টাই ঘুরিয়ে দিয়েছে পুরোপুরি!

এত দুর্দান্ত একটা লেখা যদি কখনো ফিরে দেখেন, আপনাকে এই মন্তব্যগুলোও দেখতে হবে ভেবে খারাপ লাগল। মন খারাপ

অট: ছড়ার গ্রামার তো জানি না, তবে প্রথম প্যারায় শেষ লাইনটায় এসে প্রথমবার আটকেছিলাম, অনেক দিন পর এসে আজকেও আটকালাম! একটু দেখবেন? ছড়াটা এত সুন্দর যে এই হোঁচট খাওয়াটা বড় অস্বস্তিতে ফেলছে! চাইলে কিন্তু আপনি এখন ঠিকঠাক করে নিতে পারেন এটা!

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

মর্ম এর ছবি

ডুপ্লি ঘ্যাচাং

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

নিবিষ্ট পাঠের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার কানে যখন দু'দুবার বেজেছে তবে নিশ্চয়ই কোন সুরপতন হয়েছে। আমি স্বরবৃত্তে চেষ্টা নিয়েছিলাম, ৪+৪+৪+৩ চালে। রুদ্ধদল একমাত্রা আর মুক্তদল অক্ষর গুণে গুণে মাত্রা পরিয়েছি। নিচে দেখুন,

দোল(১)না(১) দোলা(২)/ শি(১)শুর(১) ম(১)তোন(১)/ থাক(১)বে(১) ক(১)দিন(১)/ দুধ(১)ভাতে(২)?
শব্(১)দ(১) স্রো(১)তের(১)/ উর্(১)মি(১) মালা(২)/ খেই(১) হারালো(৩)/ মাঝ(১)পথে(২)

দোলনা দোলা (১+১+২=৪)/ শিশুর মতোন(১+১+১+১=৪)/ থাকবে কদিন(১+১+১+১=৪)/ দুধভাতে (১+২=৩)?
শব্দস্রোতের (১+১+১+১=৪)/ উর্মিমালা (১+১+২=৪)/ খেই হারালো (১+৩=৪)/ মাঝপথে (১+২=৩)

আপনি কি 'খেই' কে দুই মাত্রা দিতে চাইছেন?
তবে হ্যাঁ, এখানে একটি দূর্বল অন্ত্যঃমিল আছে, 'দুধভাতে-মাঝপথে' মানে 'আতে-অথে'।

আপনার খটকার জায়গাটা আরেকটু স্পেসিফিক্যালি চিহ্নিত করে বললে সত্যি বড়ই উপকৃত হবো।

আরে না, ওই মন্তব্যগুলো আমাকে অনেক উপকৃত করেছে, অনেক ম্যাচিউরড হতে সাহায্য করেছে। সেজন্য মন্তব্যকারীদের কাছে আমি কৃতার্থ!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

মর্ম এর ছবি

তবে হ্যাঁ, এখানে একটি দূর্বল অন্ত্যঃমিল আছে, 'দুধভাতে-মাঝপথে' মানে 'আতে-অথে'।

এ জায়গাটাতে খটকা ছিল- আমি শুধু নিশ্চিত হতে চাইছিলাম যে ভুল করিনি।

অটঃ আপনার প্রতিমন্তব্যটি আসলেই ভাল লেগেছে, অন্ততঃ মাত্রা ধরে বুঝিয়ে বললেন যেখানে। আমরা অনেকেই আছি যারা ছড়া/পদ্য/কবিতার ব্যাকরণ কিছুই জানি না। হ্যাঁ, কান খাড়া করলে 'খট' করে লাগে ঠিক, কিন্তু যুক্তিটা নিজের কাছেই মোক্ষম ঠেকে না। আমাদের বোঝার মত করে একদম সহজ সরল বাংলায় কি একটা পোস্ট আপনার কাছে চাইতে পারি না যেটা থেকে ব্যাপারগুলো একটু বুঝতে পারব? আর উদাহরণগুলো যদি হয় সুকুমার রায়, শামসুর রাহমান, লুৎফর রহমান রিটন বা পরিচিত কারো ছড়া বা এমনিভাবে পরিচিত কবিদের নামকরা সব কবিতা থেকে তাহলে তো সোনায় সোহাগা!

একটু ভেবে দেখবেন? এ অনুরোধটুকু করার মত আপনাকেই সঠিক মানুষ মনে হল! শুভেচ্ছা।

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

মর্ম ভাই,
কথা দিলাম, একটু গুছিয়ে নিয়ে লিখবো!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

কল্যাণF এর ছবি

রোমেল ভাই ভারি মুশকিলে পড়ে গেছি, গত কিছুদিন থেকে ছড়া/কবিতা দেখলেই এখন খালি অক্ষরগুলো গুনে ফেলতে ইচ্ছে যায়। এই ছড়াটা অসাধারন হয়েছে। মর্ম ভাইকেও ধন্যবাদ এটার লিঙ্ক দেওয়ার জন্য, ছড়াটা বেশ কিছুদিন আগে পড়লেও কিছু লেখা হয়ে ওঠেনি। ভাল থাকবেন আর আপনার লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

তানিম এহসান এর ছবি

রোমেল ভাই, এটি আগে পড়া হয়নি, অদ্ভুত ভালো লাগলো। মর্মকে অনেক ধন্যবাদ ‘অচলায়তন’ কবিতায় এটির লিংক দেয়ার জন্য হাসি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ জনাব। এটি একটি মিচকে দুষ্টুমি ছিল। আঠারোটা পোষ্ট দেবার পরও হাচল না হওয়ায় মনটা আইঢাই করছিল। এই পোষ্টটা দেবার পর আর তেমন সময় লাগেনি। তবে এস এম মাহবুব মোর্শেদ কিন্তু আমাকে আদর করে ই-মেল চেক করতে বলেন নি।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তানিম এহসান এর ছবি

কাজটা মুর্শেদ ভাই একদম ভালো করেননি দেঁতো হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।