প্রত্যাবর্তন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২৪/১০/২০১০ - ৯:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রত্যাবর্তন

শাহেদের আজকে বড়ই আনন্দের দিন। জীবনের প্রথম formal shirt pant shoe পরে অফিসে যাচ্ছে সে। পাশ করার পর যখন সবার মধ্যে ভালো বেতনের চাকরি পাওয়ার অদৃশ্য অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল, সেই দলে অন্যন্যদের মত সেও ছিল। engineer wanted লেখা দেখলেই সাথে সাথে cv দিয়ে আসতে কখনও-ই ভুল করতনা সে। সময়ের সাথে সাথে “ভালো বেতন” বিশেষণ টি উঠে গিয়ে শুধু যেকোনো একটি “চাকরি” পাবার বাসনাই মুখ্য হয়ে উঠেছিল। তিন মাস বেকার থাকার পর আজ ঠিক এই মুহূর্তে সে একজন চাকুরিজীবী।

অফিসের ফিটফাট খারাপ না। বিষাদ বদনে, হাল ছেড়ে দেওয়ার ভঙ্গিতে নিরস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন senior structural engineer হাফিয সাহেব এবং অফিসের একমাত্র architect সোবহান সাহেব। শাহেদ অফিসে ঢোকায় কাজে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ পেয়ে সবাই তাকে উষ্ণ আমন্ত্রন জানালো। সেজন্যে খুশি না হওয়ার কোনো কারণ ছিলনা শাহেদের। মৃদু ধুলো জমা টেবিলটা একটু পরিষ্কার করে, revolving chair-এ বসে 360 degree rotate করতে করতে অফিসের গোছগাছ দেখতে ভালই লাগছিলো তার।

সময়ের সাথে সাথে কাজের চাপ বেড়ে গেল। যেকোনো design-ই CAD operator দিতে ভয় লাগে তার, মনে হয় building ভেঙ্গে পড়বে। senior engineer এর কাছে গিয়ে কাজের certificate চাইলে উত্তর আসে, “steel বাড়ায় দাও, safety আগে, খরচ কোনো ব্যাপার না।” আর beam column dimension আর steel বাড়িয়ে দিলেই শোনা লাগে মোল্লা বসের ঝারি। এসব এর চাইতে university life এর স্যার দের ঝারি কতইনা মধুর ছিল।.

কোনো একদিন। সকাল সাতটা। কোনোভাবেই আরামের বিছানা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছা হচ্ছেনা। গতকাল খাচ্চর বসটা বিকেল চারটায় কাজ দিয়ে বললেন, আজকেই শেষ করে দিতে হবে। মেজাজ খারাপ হয়ে গেলেও কিছুই করার নেই। varsity life-এ এমন শেষ মুহুর্তে কাজ এলে, “হলে গিয়ে করবনি স্যার”-বলে পার পাওয়া যেত। তারপর হলে ফিরে কোনো আতেল solution বের করলে তা copy করে নির্দ্দিষ্ট দিনে জমা দিলে সেটাই হয়ে যেত sessional report। এখন সে option নেই। বিছানায় কিছুক্ষণ গড়াগড়ি করে tension মুক্ত হতে না পেরে উঠেই পড়তে হল শাহেদকে। চাপা ক্ষোভে ভাবতে লাগলো uni life-এ earthquake specialist Dr. Jahangir Alam এর class কে গুলি মেরে ঘুমাতে ইচ্ছা হলে ঘুমিয়েছি। আর এখন দশ মিনিট দেরি হলেও সমস্যা। class-এ দশ মিনিট দেরি করে এলে যদি স্যার ঢুকতে না দিতেন, তাহলে যৌ্নতৃপ্তি পাওয়া যেত। আর এখন জাগে বেতন কাটার ভয়।

বিকৃত মুখে অফিসে ঢুকতে না ঢুকতেই শোনে আজ M.D sir আগেই চলে এসেছেন এবং তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ২০ মিনিট দেরির ভয়ে মুখ শুকিয়ে গেল শাহেদের। বসের রুমে ঢুকতেই Managing Director আহসান চৌধুরি বললেন, “আরে young man, বোস।” একটু আশ্বস্ত হলো সে। বস আবার বললেন, “তারপর কাজ কেমন লাগছে?” আবার ভয় পেল শাহেদ। কাল রাতে শেষের দিকে calculation না করেই ধারণা থেকে steel number বসিয়ে দিয়েছিল সে। মৃদু স্বরে বলল, “জ্বি স্যার, ভালো।” হঠাৎ ই আহসান চৌধুরি বললেন, “তা শাহেদুর রহমান, সময় লাগিয়েছ কখনও?” এই রে, সেরেছে! এ তো দেখি পুরা university-র তবলিগ ভাইদের মতো কথা বলছে-ভাবলো শাহেদ। উত্তর দিল, “না স্যার, কখনও যাওয়া হয়নি তবলিগে। “বল কি! আল্লাহর রাস্তায় সময় দিতে হবেনা! তোমাদের university-র তবলিগ তো বেশ active, কখনও তোমাকে যাওয়ার জন্যে বলেনি?”-প্রশ্ন করলেন আহসান সাহেব। বলেনি আবার!-শাহেদ ভাবতে লাগল-1st year এ যখন সবাই এক বিশাল রুমে গাদাগাদি করে থাকতো তখন প্রতি ওয়াক্তে তাদের আগমন ঘটতো। নামাযে নিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত তাদেরকে থামানো যেতনা। আর মঙ্গলবারের গাশ্ত ও শুক্রবারের city central mosque এ থাকার জন্যে জোরাজুরির কথা মনে হলে এখনও বিরক্ত লাগে শাহেদের।

শাহেদ university তে ক্লাশ শুরু হবার কিছুদিন পর গিয়েছিল। প্রথম রাতে সবাই যখন বিশাল সেই রুমে বসে গল্প করছিল তখন এশার আযান দিল এবং ঠিক তার পরেই বাইরে কতিপয় যুবকের গলার আওয়াজ পেতেই সে লক্ষ্য করল আশেপাশের নতুন বন্ধুগুলো নিমিষেই ঘুমিয়ে পড়ল। campus এ প্রথম রাতেই তবলিগদের পাল্লায় পড়ে বহুদিন পর এশার নামায পড়েছিল সে। ফিরে আসার পর বন্ধুরা বলল, “শোন, ওরা তবলিগ, ওরা ফযর, যোহর, আসর, মাগরিব যে ওয়াক্তেই আসুক না কেন সাথে সাথে ঘুমায় পড়বি।”

Uni life এ তাদের friend circle কে সবচাইতে কড়া তবলিগের লোকজনও কখনও কোথাও নিয়ে যেতে পারেনি। 4th year-এ তারা সব বন্ধুরা মিলে ঠিক করল, একবার যাওয়া দরকার তবলিগের সাথে। সারা রাত তাদের আড্ডার যন্ত্রনায়, সব কথায় ফাযলামি করা এবং একটু পর পর বাইরে সিগারেট খেয়ে আসার কারণে ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে পরের দিন তবলিগের ছেলেরা বলেছিল, “ভাই, তোমরা আজ না হয় চলেই যাও।”

বাস্তবে ফিরে এল শাহেদ, বসের প্রশ্নের উত্তরে বলল, জ্বি স্যার, দেখি যাব কোনো একদিন।
-কোনো একদিন কেন? শোনো, আমি কাল যাচ্ছি, চলো আমার সাথে।
হঠাৎ-ই যেন কাজ পাগল হয়ে উঠলো শাহেদ। বলল, অনেক কাজ পড়ে আছে স্যার। due time-এ করে ফেরত দিতে হবে। মানুষের সবচাইতে বড় স্বপ্ন হলো বাড়ি। safety, economy এসব চিন্তা করতে হবে স্যার। এমনি এমনি তো আর dimension আর steel no. বসিয়ে দেয়া ঠিক না। তাইলে তো গুনাহ হবে স্যার।
-না না, তুমি এসব চিন্তা করনা, হাফিয সাহেব ওসব দেখবেন।

কোনো excuse ই কাজে আসলনা। যে শাহেদ কে চার বছরের varsity life এ কেউ তবলিগে নিতে পারেনি তাকে আজ যেতেই হলো আহসান চৌধুরির সাথে।

তবলিগ থেকে ফিরে এসে চুপচাপ টেবিলে বসে আছে শাহেদ। বড়ই দুঃস্বপ্নে গিয়েছে শেষ সাতদিন। সুর করে বলা ইমামের কথা শুনতে শুনতে সেও সব কথা সুর করে বলা শুরু করে দিয়েছিল। তবে একমাত্র প্রাপ্তি হল বস তার উপর খুব খুশি। তাই আজ সে বেশ ফুরফুরে মেজাজে কাজে ফাঁকি দিচ্ছে।

এমন সময় ভয়াবহ এক রূপবতী মেয়ে এল অফিসে। varsity life এর অভ্যাস বশত একটু tease করে ফেলল সে। আশেপাশে senior কেউ ছিলনা, সেজন্যে tease করতে বাঁধেনি। কিছুক্ষণ পর M.D sir এর রুম থেকে ডাক এল। প্রচন্ড sexy মেয়েটা বলল, “হ্যা বাবা, ইনিই।”

আকাশ থেকে পড়ল শাহেদ। এই মোল্লা বাপের মেয়ে যে এরকম বিশাল বক্ষ নিয়ে ওড়না ছাড়া হাঁটার তালে তালে বুকে ছন্দ তুলে অফিসে হাঁটবে সেটা ভুলেও তার মাথায় আসেনি। আহসান সাহেব গম্ভীর মুখে বললেন, “আমি তোমাকে স্নেহ করতাম। আর কাল-ই তুমি তবলিগ থেকে ফিরেছ। আমি তোমার কাছ থেকে এরকম আচরণ আশা করিনি।” শাহেদ চুপ করে রইল।

ওইদিন বিকাল ৫টায় তাকে বেতন দিয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল। চাকরি চলে যাওয়ায় হাসির সাথে সাথে কেমন যেন একটা খুশি লাগলো তার। uni life এর স্বর্ণালী সময়গুলোর মর্ম নতুন করে বুঝতে পারলো সে। ওইদিন আর বাড়ি না ফিরে রাতের বাসে রওনা দিল তার university-র উদ্দেশ্যে।

অনেক সকালে সে পৌছল তার বিশ্ববিদ্যালয়ে। মাত্র সাড়ে পাঁচ মাস আগে সে এখান থেকে চলে গিয়েছিল। অথচ মনে হচ্ছে যে, এর মধ্যেই অনেক পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে তার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়টি। কেমন যেন মলিন আর বিষন্ন মনে হচ্ছে ক্যাম্পাসটিকে। মনে হচ্ছে building গুলো পুরানো হয়ে গিয়েছে, ঘাস গুলো বড় হয়ে গেছে অনেক। কোথাও কোনো প্রাণ নেই, সবদিকে শুধু নস্টালজিকের ছোয়া।

ক্যান্টিনের ম্যানেজারের সাথে কথা বলার মাঝেই হঠাৎ কোনো এক ছোট ভাইয়ের উচ্ছ্বাস-“আরে শাহেদ ভাই! আছ কেমন? কখন আসলা? শুনলাম খুব ভালো চাকরি পাইছ বলে ভাই? কেমন লাগে Job life?” শাহেদ মৃদু হাসলো। জবাব দিলনা। এই ক্যান্টিনে বসে এই ছোট ভাইদের সাথে কত চা, সিগারেট খেয়েছে একসাথে! কিছুক্ষ্ণ কথা বলার পর ছোট ভাইটি বলল, “তা ভাই আছ কয়দিন? শোনো, রাতে গল্প হইব। এখন Class test আছে, যাই ভাই, তোমারে অনেক দিন পর দেখে খুব ভাল লাগল।”

এরপর শাহেদ গেল স্যারদের সাথে দেখা করতে। স্যাররা অনেক স্নেহ করলেন। যে কোম্পানী তাকে বের করে দিয়েছে সেখানেই সে আপাতত চাকরি করছে বলে জানালো স্যার দের কে। স্যাররা ব্যস্ত। চা খাও-বলে ক্লাশ নিতে চলে গেলেন তারা।

ক্যাম্পাসে বেশ কিছু নতুন মুখ, স্বপ্ন আর গর্ব নিয়ে পথ চলছে। অনেকেই তার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিল। একা একা সে হাঁটতে থাকলো ক্যাম্পাসের নানা পরিচিত পথে। আর প্রতিটা জায়াগায় থেমে থেমে করল স্মৃতি রোমন্থন। এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে স্মৃতি নেই।

দুপুর বেলা হলের রুমটিতে গেল। এ রুমে সে শেষ তিন বছর ছিল। এখনকার বাসিন্দা 1st year এর চার জন ছেলে সব শুনে তাকে শ্রদ্ধার সাথে আমন্ত্রন জানালো রুমে। নিজের পরিচিত বিছানায় অপরিচিত bed cover এর উপর বসে মিনিট দশেক গল্প করলো সে। তারপর মনে হল, ওদেরকে আর বিরক্ত করা উচিৎ হবেনা। এ রুমে তার আর কোনো অধিকার নেই। বিদায় নিয়ে চলে গেল সে ডাইনিং রুমে। বন্ধুবান্ধবরা সব আড্ডায় মেতেছে খাওয়ার মাঝে। খাওয়ার স্বাদ কেমন তা নিয়ে কেউ বিন্দুমাত্র বিচলিত না। sessional এর আগের সময়টুকু নিশ্চিন্তে গল্প করে কাটিয়ে দিতেই তারা ব্যস্ত।

বিকেলে মাঠের এক কোণায় বসে একটি সিগারেট ধরালো সে। হঠাৎ ফুটবলটি এল তার কাছে। সজোরে কিক করে পাঠিয়ে দিল সে বলটি। কেউ খেলায় ডাকলনা তাকে। খেলা শেষে কিছু ছেলে পুকুর ঘাটে গেল গোসল করতে। মৃদু হেসে শাহেদ রওনা দিল ঢাকা ফেরার জন্যে।

তার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়টি আসলে এখনও প্রাণবন্তই আছে। কিন্তু তার সাথে শাহদের প্রাণের বন্ধনটুকু ছিড়ে গেছে। শুধু আছে স্মৃতির তলানি। যে চার বছর সে এখানে ছিল সেই সময়টুকুতে এই ক্যাম্পাস তাকে সবকিছু দিয়ে তার প্রতিটি ক্ষুদ্র অংশেও শাহেদকে পূর্ণ অধিকার দিয়েছিল। আর পাশ করে একপাতার একটি certificate পাবার সাথে সাথে-নিমেষেই যেন তার কাছ থেকে অধিকারটুকু হরণ করে নতুন আরেকজনের কাছে অর্পণ করেছে।

তীব্র বেগে বাস ছুটে চলেছে ঢাকার পথে। জানালায় মাথা ঠেকিয়ে শাহেদ ভাবছে-এ এমন এক সময় ছিল যেখানে প্রত্যাবর্তন আর করা যায়না। শুধু সেই সময়টুকুর স্মৃতি আঁকড়ে ধরে পাড়ি দিতে হবে দীর্ঘ একটি পথ।

সাদ মাহবুব (saad7565@hotmail.com)
উৎসর্গঃ চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়


মন্তব্য

তিথীডোর এর ছবি

এটা কি আপনার প্রথম লেখা? সচলে স্বাগতম! হাসি

লেখায় ইংরেজি -বাংলার এই মিশ্রণ ভাল্লাগলো না!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আমার প্রথম লেখা দুটো উপন্যাস আকারে এই বছরের বইমেলায় বের হয়েছে। আর সচলে এটা আমার দ্বিতীয় লেখা।
আপনার মন্তব্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করব হাসি

রাফি এর ছবি

আরে 'বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে'র সাদ নাকি? অ্যাঁ
আছো কেমন?

লেখা সাবলীল; কিন্তু বাংলা ইংরেজির গোলমালটা সামলানো দরকার।
যে সব ইংরেজি শব্দ লিখেছো এর বেশিরভাগই আমরা চলতি কথায় ব্যবহার করি, সেদিক থেকে চিন্তা করলে ঠিকাছে; কিন্তু সেক্ষেত্রে বাংলা হরফে ইংরেজি লেখাটাই ভালো। বাংলা লেখায় কিছুক্ষন পরপর রোমান হরফ চোখের জন্য পীড়াদায়ক...হাসি সেফটি, ভার্সিটি লাইফ, সেশনাল, টেনশন, বেড কাভার, ক্লাসটেস্ট, সার্টিফিকেট, বিল্ডিং এগুলো বাংলা হরফে দেখে তো আমরা অভ্যস্তই।।

লেখা চলুক।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

অতিথি লেখক এর ছবি

অবশ্যই কোনো না কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এর সাদ ( ছাদ না আবার) তো আমি বটেই। কিন্তু কোন রাফি তুমি সেটা বুঝলাম না।
উপদেশ সাদরে গৃহীত হল বন্ধু
-সাদ

দিগন্ত বাহার [অতিথি] এর ছবি

শিখাইয়া মুশ্‌কিলে পরলাম নাকি সাদ? লিখতে পারি না বলে হিংসা করি খুব... খাইছে
সচলে সচল হয়ে গেলে আমরাও একটু ভরসা পাই... হাসি
লেখাটার ব্যাপারে তো আগেই বলছি... উত্তম নস্টালজিয়া...চলুক আরো... হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

দেঁতো হাসি
তমার ভরসাতেই ত লেখা শুরু করলাম দোস্ত। তোমার নতুন কোনো লেখা আসলে আওয়াজ দিও। ভাষার কিছু ব্যাবহার শিখতে পারব। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লেগেছে। বাস্তবতার সাথে অনেক মিল। ভাগ্যিস শাহেদের পিঠে দু'ঘা পড়েনি। হাজার হোক বসের মেয়ের সাথে টিজিং তা'ও আবার তবলিগ থেকে ফেরার পরদিনই। ধন্যবাদ আপনাকে।

রাতঃস্মরণীয়

অতিথি লেখক এর ছবি

সেটাই ভাই, কুকুরের লেজ তো সোজা হয়না। tease করার অভ্যাস না ছাড়লে এমন পরিণতি খারাপ না খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

সব ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদেরই আসলে একই অবস্থা।
অনেকদিন পরে দেশে ফিরে যেদিন ইউনিভার্সিটিতে গেলাম, আমারো একই রকম মনে হয়েছিল। সাথে আমার ওয়াইফ থাকাতে অবশ্য ভার্সিটি লাইফের স্মৃতি কিছুটা ফিরিয়ে আনতে পেরেছিলাম, দু'জনে একসাথে ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি করেই দিনটা কাটিয়েছিলাম। হলে যাওয়া হয়নি এজন্য মনে একটা দুঃখ আছে অবশ্য।
লেখা ভালো লেগেছে।

পাগল মন

অতিথি লেখক এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আমি জানি, সেজন্যেই নিজের varsityর নামটা ব্যাবহার করিনি। কারণ জানি সবারই একি অবস্থা হয় হাসি
পাশ করার পর একবার গিয়েছিলাম, এরকম লেগেছিল, আর ভাগ করে নেওয়ার কেউ ছিলনা মন খারাপ

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বাংলা ইংরেজির এমন খিচুড়ি দৃষ্টিকটু, আশাকরি পরবর্তীতে আরো যত্নবান হবেন

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ সাইফ ভাই। ইংরেজী শদ গুলো ইংরেজীতেই লেখা আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হত। কিন্তু সবাই যেভাবে বিরোধিতা করল এর পরে আসলেও যত্নবান হতে হবে হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

লেখা চলে যায়, কিন্তু এটা রম্যরচনা হল কি?

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলে শেষের কয়েকটা প্যারা বাদ দিলে কিছুটা রম্য হিসেবে চালানো যায় বলে দিয়েছিলাম, এখন মনে হচ্ছে উচিৎ হয়নি

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লেগেছে। ইংরেজী-বাংলার মিশ্রন না করাই ভালো। শুভ কামনা রইল।
---শাহেদ সেলিম

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ সেলিম ভাই হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।