ভাবনার নৈরাশ্যে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৩/০২/২০১১ - ১১:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আঁধারের পরে যে অন্ধকারে নিয়ে যায় আপনাকে
ক্রমাগত ক্ষয়ে যাওয়া অতীত, চেতনার মুখ
পূর্বাশার আলোতে ধরা পড়ে ছায়ার নিদারুণ আকুতি
কখনওবা উপেক্ষায় প্রাপ্তির সবটুকু সুখ।

নির্বিকার পদচিহ্নে ক্রমশ অস্পষ্ট হয়ে যেতে থাকে
ধুঁকে ধুঁকে এগিয়ে আসা গন্তব্য,
অনুভূতিতে আঁকড়ে থাকে হারানোর ইতিহাস
আর শূণ্যতার স্বরচিত মৃতকাব্য।

ভাবনার দেয়ালে মরচে পড়া পেরেকের অদেখা অংশ
বয়ে চলে বিবর্তনের বীভৎস স্তর;
সময়ের প্রয়োজনে হারিয়ে যায় অপেক্ষার আকাংক্ষা
বিশ্বাসে বদলাতে থাকে স্বপ্ন, ভয়, ঈশ্বর।

-অতীত


মন্তব্য

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি কবিতা। অসাধারণ এর ভাব ও দর্শন। সম্ভাবনাময় বলেছি এ কারণে যে, সামান্য মাজাঘষা করে কবিতাটির মিলান্ত চরণ ছ'টিকে (২, ৪, ৬, ৮, ১০ ও ১২ নম্বর চরণ) অনায়াসে ৪+৪+৪+৪+২=১৮ মাত্রার অক্ষরবৃত্তে বেঁধে ফেলা যায়। মনে হলো, “বিজোড়ে বিজোড় গাঁথ আর জোড়ে গাঁথ জোড়” এই নিয়ম মানা হয়নি, কয়েকটি চরণে মাত্রাফেরও হয়েছে।

ক্রমাগত(৪) ক্ষয়ে যাও(৪) য়া অতীত,(৪) চেতনার(৪) মুখ(২)

কখনও(৪) বা উপেক্ষা(৪) য় প্রাপ্তির(৪) সবটুকু(৪) সুখ(২)।

এরকম অনভিপ্রেত জায়গায় ভাংগলে অনেক সময় শ্রুতিমধুর হয় না।

আমি কবির স্বাধীনতার প্রতি চুড়ান্ত শ্রদ্ধায় বিশ্বাসী। ছন্দের বারান্দায় কবি কিভাবে হাঁটবেন, কিম্বা মাঝে মাঝে বারান্দা থেকে নেমে ঘাসের শিশিরে পা ধুয়ে নেবেন কি না সেটি তো কবিরই ইচ্ছে!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অতিথি লেখক এর ছবি

রোমেল ভাই, আপনার অসাধারণ গঠনমূলক মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ। আসলে লেখাটায় ছন্দ-মাত্রার দিকে তেমন নজর দেইনি লেখার সময়। মনের ভাবই মূল ভাবনায় ছিল। পরে দেখলাম প্রতিশব্দে পাল্টালে আমার কল্পিত অনুভূতি ঠিকমত আসছে না। তাই আর বদলালামনা। আর এ কারণেই ট্যাগ এ কবিতা লিখিনাই, আর ঠিক জানিওনা আদতে কবিতার মতো হয়েছে কিনা। চিন্তিত অন্ত্যমিলটা কেনোজানি এমনি এমনিই হয়ে গেছে লিখার তালে। জোর করে দেইনি।

তবে উচ্চারণের সময় মনে হলো একটু সেগমেন্ট অনুযায়ী করলে মনে হয় তেমন সমস্যা নাই। যেমন-
ক্রমাগত ক্ষয়ে যাওয়া অতীত, এবংচেতনার মুখ
কখনওবা উপেক্ষায় প্রাপ্তির এবং সবটুকু সুখ

আবার দ্বিতীয় প্যারায় ৬ আর ৮ নং লাইনের উচ্চারণ হবে একসাথে কোনো বিরতি না দিয়ে। তৃতীয় প্যারায় আবার আগের মতো। সেক্ষেত্রে যতিচিহ্নে কিছু গরমিল হতে পারে মনে হয়। যাইহোক এটা নিতান্তই আমার অভিব্যক্তি। এরকম করা সঠিক বা উচিত কিনা তাও নিশ্চিত জানিনা। তবু শেষ পর্যন্ত সাহস করে দিয়ে দিলাম। আমার ভুল হতে পারে। কিন্তু সচলে অনেক ঝানু লেখক আছেন আপনার মতো। আপনাদের দিক নির্দেশনাতেই না আস্তে আস্তে শিখবে আমার মতো বিগিনাররা।

তাছাড়া ভরসা তো পেলাম-

আমি কবির স্বাধীনতার প্রতি চুড়ান্ত শ্রদ্ধায় বিশ্বাসী। ছন্দের বারান্দায় কবি কিভাবে হাঁটবেন, কিম্বা মাঝে মাঝে বারান্দা থেকে নেমে ঘাসের শিশিরে পা ধুয়ে নেবেন কি না সেটি তো কবিরই ইচ্ছে!

-অতীত

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ভাই,
প্রকরণ না মেনেও কিন্তু দুর্দান্ত হয়েছে তোমার কবিতা। অভিনন্দন।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

ভালো লাগলো।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।