গজমোতির কূল থেকে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০৫/২০১১ - ১০:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গজমোতির কূল থেকে
-সুমাদ্রি শেখর
আফ্রিকার মাটিতে যখন প্রথম পা রাখি তখন মনে মনে বলেছিলাম, ‘ তোমায় প্রনতি জানাই আফ্রিকা, আমায় তোমাকে ভালবাসতে দাও।বাঁচিয়ে রেখো তোমার বুকে।‘ তারপর আবেগের বশে লাইবেরিয়ার মনরোভিয়ার সেই রবার্ট বিমানবন্দরের কিছুটা মাটি যখন বুকে লাগিয়ে দেশের মাটির কথা ভাবছি,কয়েকজন সহকর্মী দেখি আড়চোখে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছেন।অতএব, নাটিকা আর এগুলো না।আমার কার্যক্ষেত্র যদিও গজমোতির কূল(আইভরি কোস্ট),যেখানে আমি জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা মিশন এ কাজ করতে এসেছি, কিন্তু লাইবেরিয়াই আমায় প্রথম আফ্রিকার বাতাসের স্বাদ এনে দেয়,আর সে স্বাদ আমার পরিচিত নয়।বুনো,কড়া।কাছেই নাকি কোথাও বিখ্যাত একটা টায়ারের কারখানা আছে,বাঘ জাতীয় প্রাণীর গা থেকে ভেসে আসে যে গন্ধ এটা সেরকমই।প্রথমে তো ভেবেছিলাম আশেপাশেই বুঝি কোথাওবা ওতপেতে আছে সিংহের একটা পাল,আর ওই ভাবনা থেকে মনের এককোনায় একটু একটু ভয়ের ও আভাস পাচ্ছিলাম।শেষে ভয়কে জয় করে শ্বাপদের দলকে ধোঁকা দিয়ে আবার আকাশে ভেসে মেঘকেলি করে যখন আইভরি কোস্টের বুয়াকে নগরের বিমানবন্দরে নেমে দাঁড়ালাম তখন আফ্রিকার সূর্য তার সবটুকু তেজ দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছিল চারপাশ।ওফ, সে কি উত্তাপ!কিন্তু ব্যাপার কী,শিরদারা কিংবা কপাল বেয়ে কিছু গড়িয়ে পড়ছে না কেন?কেউ একজন বলল, ‘ আফ্রিকার বাতাসে আদ্রতা কম, তাই গরমে জ্বলে পুড়ে গেলেও ঘাম হবেনা তেমন।‘ এ আবার কী জ্বালারে বাবা!এতদিন যা জেনে এসেছি তা দেখছি এখানে উল্টো।না জানি আরও কতকিছু অদ্ভুতুরে দেখব, জানব।এই দেখার নেশা,জানার তৃষ্ণাই তো আমাকে নিয়ে এসেছে এতদূরের দেশে যুদ্ধ যার সমৃদ্ধিকে ধুলায় পরিনত করেছে।বুয়াকে থেকে আবার উড়ে এলাম দেশের অন্য প্রান্তে।শহরের নাম ওদিএনে।শহর বললে আসলে ভুল হবে,আমাদের দেশের মফস্বল এলাকার মতই,গৃহযুদ্ধের ডামাডোলে তার রুপ গেছে,এখন হাড় বের হয়ে আসা শরীর নিয়ে কোনমতে যেন বেঁচে আছে।তবে প্রকৃতি এখানে উদার।যেদিকে তাকাই শুধু দেখি বাগান আর বাগান, আর বাতাসে আম্রমুকুলের সুমিষ্ট গন্ধ।এখানে আসার আগেই নানামুখে শুনেছি এই আমগাছের প্রাচুর্য্যের কথা,এবার দেখে মন ভরে গেল।আর দেখলাম মাটি তার পাথুরে নুড়ি আর লাল রঙ নিয়ে সারাটা অঞ্চলজুড়ে ছড়ানো।ওদিয়েনে শহর ঘুরে যখন ক্যাম্প এ এলাম শরীরের রঙ তখন লাল।সারাটা পথের ধুলা আমাদের জামাকাপড়ের ওপর এমনভাবে রঙ ছিটিয়েছে যে আয়নায় নিজেকে দেখে নিজেই ভয় পেয়ে গেলাম।এখানে এসে গায়ের রংটা ও না আবার খোয়া যায়!ওদিয়েনে শহরে রাত্রিবাসের পর আবার যাত্রা করলাম আমার কর্মস্থল মঁ শহরের উদ্দেশ্যে, এবার আর শূন্যে নয়, সড়কপথে জীবন্ত আফ্রিকার ভেতর দিয়ে।ওদিয়েনে শহরের শত বছরের পুরনো ‘বড় মসজিদ’ দেখলে মুগ্ধ হয়ে যেতে হয়।এখানে বলে রাখা ভাল,আইভরী কোস্টের উত্তর ভাগে প্রধানত ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বাস, দক্ষিনে খ্রিস্টান ধর্মানুসারীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।তাই ওদিয়েনে বা এরকম উত্তরের শহরগুলোতে যাওয়ার পথে অনেক সুদৃশ্য কারুকাজ করা মসজিদ চোখে পড়ে।সাড়ে পাঁচ ঘন্টার দীর্ঘ যাত্রায় রাস্তার দুধারে দেখলাম শুধু জঙ্গল আর জঙ্গল।মাঝে মাঝে কিছু গ্রাম তাদের মাটির তৈরী গোলগোল বাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে মানববসতির প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছিল।ছোটোবেলায় দেশ পত্রিকার ভেতরে ‘অরন্যদেব’ এ দেখতাম এই ধরনের বাড়ি, এইবার নিজ চোখে দেখছি সব ভাবতেই একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয়।তবে কালো মানুষগুলোর দারিদ্র্য দেখলে সব ভালোলাগার অনুভূতিগুলো করুণ হয়ে যায়।শতশত বছরের বঞ্চনার ইতিহাস বয়ে চলেছে এখানের মানুষ, এদের দেখে বোঝার উপায় নেই এ দেশে কত সম্পদ জমা হয়ে আছে আজও মাটির উপরে নীচে।আইভরি কোস্টের অর্থনীতি মূলতঃ কৃষিনির্ভর।বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কোকো আর কফির উৎপাদন হয় এদেশে।আপনার প্রিয় চকোলেটটি কিন্তু প্রস্তুত হয় এই কোকো থেকেই।

মঁ শহর,যাকে আমরা এর ইংরেজী বানান MAN এর সাথে সংগতি রেখে বলি ‘মান’,তার উপকন্ঠে আমার অবস্থান।প্রথম দর্শনেই ভাল লেগে যাবার মত সুন্দর পাহাড়ী একটা জায়গা এই মঁ।চারদিকে বিশাল বিশাল পাথুরে পাহাড়,আর তাদের গায়ে চিরহরিৎ বন।অনেকটা আমাদের বান্দরবানের মতই।গৃহযুদ্ধের দামামা বাজার আগে এই শহর পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত ছিল বেশ বোঝা যায়,শহর জুড়ে থাকা বিভিন্ন হোটেলগুলো তারই প্রমাণ।একদিন আমরা দলবেঁধে গিয়েছিলাম এখানের সবচেয়ে ভাল হোটেল ‘লা কাস্‌কাদ্‌’ দেখতে।শহরের একটু বাইরে যে মনোরম ঝর্ণাটা আছে তারই নামে এর নাম।দীর্ঘকাল ফ্রান্সের উপনিবেশ থাকায় আইভরী কোস্টের সরকারী ভাষা ‘ফরাসী’ যদিও এখানের ছেষট্টি নৃ-গোষ্ঠীর প্রত্যেকেরই নিজস্ব ভাষা রয়েছে।তাই এখানে রাস্তাঘাট,দোকানপাট,স্কুল কলেজ সবকিছুর নাম ফরাসী ভাষায় লেখা।আপনার ইংরেজী জ্ঞান এখানে কোন কাজেই আসবেনা কারণ সর্বস্তরে শিক্ষার মাধ্যম এখানে ফরাসী হওয়ায় শিক্ষিত লোকেদের মাঝে ও ইংরেজী জানা লোকের সংখ্যা হাতেগোনা।এই অধমের ভাষাটা কিঞ্চিৎ জানা থাকায় কার্যক্ষেত্রে বেশ সুবিধা লাভ করি, সহকর্মীরা ও তাই আমায় ছাড়তে চায়না, মায় মোবাইলের বার্তাটা ও আমাকে অনুবাদ করে দেওয়ার জন্য জেঁকে ধরে।মঁ শহরের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে আছে এই শহরের দাঁত।কী, চমকে গেলেন তো!আসলে এটা একটা পাহাড়ের দুমাথাওলা চুড়া,দেখলে মনে হবে একটা আক্কেল দাঁত শহরের মাঝখানে সদম্ভে নিজের অস্তিত্ব ঘোষণা করছে।প্যারিসের যেমন আইফেল টাওয়ার, এখানের তেমনি এই দাঁত।অধিবাসীরা খুবই আমুদে,হুল্লোড় ভালোবাসে, নিজেদের মধ্যে যখন ওরা আলাপ করে তখন আমাদের কাছে মনে হয় যেন ওরা ঝগড়া করছে।এখানে ছুটির দিন রবিবার,তাই শনিবার সন্ধ্যা থেকেই ওদের আর পাওয়া যায়না।রাস্তার দুপাশে ছড়ানো ছিটানো আছে অসংখ্য বার,যেগুলোকে ওরা বলে মাকি,সেখানে সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয়ে যায় পানোৎসব,আর নৃত্য-গীত।একটা জনপ্রিয় বিয়ার এর নাম দিয়েছে এরা দ্রগবা।চেলসির এই খেলোয়াড় এদের জাতীয় বীর।এখানে দেখলাম পুরুষগুলো সব অকর্মার দল,এখানে ওখানে পড়ে থেকে কেবল আড্ডায় মশগুল আর মহিলারা দারুণ কর্মঠ,পিঠে কাপড় দিয়ে বিশেষ কায়দা করে বাচ্চাটাকে বেঁধে নিয়ে দিনরাত এরা খেটে যাচ্ছে।তবে একটা ব্যাপারে মহিলাদের তারিফ করতেই হয়, তা হল তাদের ফ্যাশন সচেতনতা,প্রায় অলিগলি সবখানেতেই রয়েছে বাহারি চুল কাটার দোকান,আর তাদের চুলের সেকি স্টাইল,ঘন কোকরানো চুলে বিচিত্র সব বিনি।ছেলেগুলো সব নোংরার হদ্দ,জামাকাপড় ময়লা,আদো স্নান করে কিনা কে জানে!আসলে এখানে পানির খুব অভাব,হতে পারে ওদের স্নানবিমুখতার এটা ও একটা অন্যতম কারণ।তবে আর যাই হোক,একটা ব্যাপারে আমাদের সবাইকেই এখানে অবাক হয়ে যেতে হয়,আর তা হল এখানের মানুষগুলোর সুস্বাস্থ্য।সুন্দর,সুঠাম,পেটানো শরীর এদের।রাস্তায় কখনো কোনো ভিখিরি বা পঙ্গু লোক দেখলাম না।সময় ও বোধহয় এখানে এসে থেমে গেছে কারণ বুড়ো লোকের দেখা মেলা এখানে বড়ই ভার। এ কদিনে বয়স্ক যত মানুষের সাথে কথা হয়েছে তাদের প্রায় সবাই বিভিন্ন গ্রামের মোড়ল,এরা বলে শেফ দো ভিলায।মোড়লরা প্রায়ই বিশেষ এক আলখাল্লা পরে থাকে যার নাম বোবো। আফ্রিকায় আসার আগে জেনেছি এখানের মানুষেরা অস্থিচর্মসার,রোগেশোকে ভুগে কাহিল।এখানে এসে আইভরিয়ানদের দেখে নিজেকেই অসুস্থ মনে হয়।আসলে আইভরী কোস্ট পশ্চিম আফ্রিকার সবচেয়ে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ।এদেশের প্রধান শহর আবিদজানকে আফ্রিকার প্যারিস বলা হয় এর নান্দনিক সৌন্দর্য আর ঐশ্বর্যের জন্য।শোনা যায় রাজনৈতিক অস্থিরতার আগে এখানের ধনকুবেরদের অনেকেই ফ্রান্সে প্রতি সপ্তাহে বেড়াতে যেত।রাজধানী ইয়ামাসুক্রুতে রয়েছে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম গীর্জা বাসিলিকা যার সৌন্দর্য বর্নণার অতীত।তবে অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিক থেকে দক্ষিনের শহরগুলোর সাথে উত্তরের শহরগুলোর আকাশ-পাতাল তফাত। দক্ষিনের শহরগুলো এদেশের বানিজ্যকেন্দ্র হওয়ায় বেশ জমজমাট, বড় আর ভরপুর; উত্তরের শহরগুলো ছোট, মলিন আর কমঘনবসতিপুর্ণ।

মঁ শহরের কাছেই একটি ছোট্ট গ্রামে একদিন ঘুরতে গিয়ে অবাক হয়ে গেলাম।নাম তার রূপসী বাংলা।আপনিও অবাক হচ্ছেন? আসলে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী এখানে একটা সুন্দর মসজিদ তৈরী করে তার নাম রেখেছিল রূপসী বাংলা আর সে নাম থেকেই এ গ্রামের নতুন এই নাম।যদিও স্থানীয়রা একে এর পুরোনো নাম ‘পোতি বিয়াপ্লো’ ডাকতেই ভালোবাসে।বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের কার্যকলাপ বরাবরের মতই এখানে প্রশংসনীয়।বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান, প্রত্যন্ত গ্রামে টিউবওয়েল স্থাপন, বস্ত্র ও খাবার বিতরণ ইত্যাদি মানবিক সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশীদের আইভরিয়ানরা ভালোবাসে।পশ্চিমদিকের শহর দানানেতে যাওয়ার পথে তাই চোখে পড়ে এই ভালোবাসার নিদর্শণ,বাংলাদেশ রোড।প্রায়ঃশই এখানে ওখানে যাওয়ার সময় দেখি লোকজন হাত নাড়িয়ে অভিবাদন জানায়, অনেকে বাংলায় বলে উঠে, “ হেই বাংলা,ভালো আছো?” আর বাচ্চারা সবখানেই ছুটে এসে হাত বাড়িয়ে দেই, বলে, “ বিস্কিই,বিস্কিই ” মানে বিস্কুট।এদের কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে সুস্বাদু খাবার হল এই বিস্কুট।আইভরিয়ানদের প্রধান একটা খাবার হল কাসাভা,ওরা বলে ইয়ামক।এটা আসলে একধরনের মেটে আলু যেটাকে ফালি ফালি করে কেটে,রোদে শুকিয়ে নিয়ে,তারপর গুড়ো করে ওরা তা দিয়ে হরেক রকমের খাবার তৈরী করে।একদিন এক গ্রামে একটুখানি চেখে দেখেছিলাম,খুব একটা সুস্বাদু বলবনা।পূবদিকের শহর দালোয়া যাওয়ার পথে পড়ে নয়নাভিরাম সাসান্দ্রা হ্রদ,মঁ বা আশেপাশের অন্য শহরগুলোর বাজারগুলোর সমস্ত মাছই কমবেশী এই হ্রদ থেকেই আসে।আমাদের দেশের কোরাল মাছকে এরা বলে কাপিতেন(ক্যাপ্টেন)মাছ, আর পাওয়া যায় তেলাপিয়া,এক একটা রুই মাছের মত বড়।সাসান্দ্রা’র স্বচ্ছ নীল জল আর হ্রদ জুড়ে থাকা বড় বড় গাছের অবশেষ আমাকে রাংগামাটি লেকের কথা মনে করিয়ে দেয় বারবার।

আইভরী কোস্ট-ই আমার কাছে প্রথম আফ্রিকা’র রূপ মেলে ধরলেও,এর লাল পাথুরে মাটি,কালো কালো মানুষ,বিশাল ইরোকো,পাম আর ফ্রাকে গাছের ঘন জঙ্গল,ইতিউতি দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড়ী গ্রাম,বাঁশঝাড়,ধানক্ষেত এসবকিছু আমার মাঝে একটাই অনুভূতির জন্ম দেয়-এই বিশাল বৈচিত্র্যময় পৃথিবীতে আমরা সকলেই আসলে এক অদ্ভুত আত্মীয়তায় বাঁধা,পুরো পৃথিবীই আসলে আমাদের বাসভূমি।


মন্তব্য

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সচলে স্বাগতম সুমাদ্রি শেখর! লেখার ফরম্যাটিং-এ একটু অসুবিধা থাকলেও লেখা পড়তে অসুবিধা হয়নি। নিয়মিত লিখতে থাকুন, সম্ভব হলে সাথে ছবি জুড়ে দিন। আপনজনহীন এই প্রবাসে সচলায়তন আর তাতে লেখালেখি আপনার দারুণ সঙ্গী হতে পারে।

আইভরি কোস্টের বিরোধের শুরু, স্থানীয়দের চোখে সেটার রূপ আর প্রতিকার নিয়ে লিখলে খুশি হবো।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

আপনার বর্ননা গুনে আফ্রিকা যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে চোখের সামনে!!! খুব ভালো লাগলো। আশা করি ভবিষ্যতে আরো লেখা পাবো। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

আপনার কাছ থেকে আরো লেখা পাবার আশায় থাকলাম। কতকিছু জানার আছে।

নৈষাদ এর ছবি

ভাল লেগেছে। আরও লেখা পড়ার প্রত্যাশা রইল।

ফাহিম হাসান এর ছবি

সচলায়তনে রেজিস্ট্রেশান করে ফেলুন। নিয়মিত এরকম লেখা উপহার দিন। সম্ভব হলে দুই-একটা ছবিও জুড়ে দিবেন। ওখানকার রান্না, পোষাক ও সংস্কৃতি নিয়ে জানার আগ্রহ আছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।