স্ট্রিং তত্ত্ব নিয়ে কিছু কথা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০৭/২০১১ - ১২:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পদার্থবিদরা (রাদারফোর্ড,নীলস্ বোর )পরমাণুর যে মডেল বা কাঠামো দিয়েছেন,আমরা জানি যে তাতে ইলেক্ট্রন,প্রোটন ও নিউট্রন আছে।
প্রোটন ও নিউট্রন দিয়ে নিউক্লিয়াস গঠিত,আর ইলেক্ট্রন নিউক্লিয়াস কে কেন্দ্র করে বৃত্তাকার বা উপবৃত্তাকার পথে ঘুরে । ইলেক্ট্রন হচ্ছে মৌলিক কণিকা (অর্থাৎ একে আর ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করা যায় না) অথবা আমরা বলতে পারি যে এটি (Lapton) ল্যাপ্টোন পরিবারের একটি সদস্য । কিন্তু প্রোটন ও নিউট্রন , কোয়ার্ক নামক ক্ষুদ্র কণিকা দ্বারা গঠিত ।
কোয়ার্ক হচ্ছে অনেক অনেক ক্ষুদ্রতম কণিকা (Their size is about 10^-18 m) যারা আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞাত আছেন,তারা ভাল করেই জানেন তাই আমি আর বিশদ আলোচনায় যাচ্ছি না ।এখন মনে করা হয় যে কোয়ার্ক হচ্ছে Particle Physics এর ক্ষুদ্রতম কণা যা দিয়ে আমাদের এই বিশ্ব জগত বা ইউনিভার্স গঠিত বা কোয়ার্কে বলা যায় Foundamental Building Block (বাংলায় বলা যায় বস্তু সমূহ গঠনের একক) ।
১২টি Foundamental Building Block আছে,তার মধ্যে ৬টি হচ্ছে কোয়ার্ক আর ৬টি হচ্ছে ল্যাপ্টোন । ল্যাপ্টোন গুলো হচ্ছে Electron,Muon,Tauon এবং তিন ধরনের Neutrinos । কোয়ার্ক অনেক ধরনের আছে কিন্তু আমরা তা সংক্ষিপ্ত আকারে আলোচনা করবো , কেননা এটা বিশদভাবে আলোচনা করতে গেলে হয়তো লেখাটা বড় হয়ে যাবে ।আমরা যারা পদার্থবিজ্ঞান পরেছি তারা সবাই জানি যে এই বিশ্ব জগতে ৪ ধরনের মৌলিক বল (Force)আছে ।

১) মহাকর্ষ বল
২) ইলেক্ট্রোম্যাগ্নেটিক বল
৩) সবল নিউক্লিয় বল এবং
৪) দূর্বল নিউক্লিয় বল

এই প্রতিটি বলের উৎপত্তি স্তল বা বলগুলো তৈরি হয় Foundamental Particle হতে । আমরা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে যে বলগুলো দেখতে পাই তার বেশির ভাগই হচ্ছে ইলেক্ট্রোম্যাগ্নেটিক বল শুধু মহাকর্ষ বল ছাড়া । আমরা নবম-দশম শ্রেণীতে পড়েছি কোন বস্তুর আকারের জন্য আন্তঃআণবিক বল দ্বায়ী আবার ইলেক্ট্রন ও প্রোটন এর মধ্যে যে বল ,এ সবই ইলেক্ট্রোম্যাগ্নেটিক বল । মহাকর্ষ বল Graviton Particle এর জন্য উৎপন্ন হয় । সবল নিউক্লিয় বল Gluons নামক ৮ধরনের Particle বহন করে , এছাড়াও নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন মধ্যে যে বল তাও এই বলের অন্তর্ভূক্ত । সর্বশেষে দূর্বল নিউক্লিয় বল উৎপন্ন হয় W+,W- Z-Bosons particle হতে ।
পূর্বে মহাকর্ষ বলকে কখনই আমরা একটি ক্ষূদ্র স্কেলে প্রকাশ করতে পারতাম না , কারন মহাকর্ষ বলকে সকল বলের মৌলিক কাঠামো মনে করা হতো । আমরা যদি মহাকর্ষ বলকে Quantum Physics অথবা neutron ও proton এর মতো বল দিয়ে প্রকাশ করতে পারতাম , তা হলে হয়তো আমরা এই বিশ্বনিখীলের (Cosmos) সব বড়-ছোট বস্তু কে একটি সূত্রের মাধ্যমে বর্ণনা করতে পারতাম , Gravity এবং Quantum Physics এর মধ্যে একটি সম্পর্ক স্থাপিত হতো । তাহলে বিখ্যাত পদার্থবিদ আলবার্ট আইনস্টাইনের Theory of everything এর কথা আর চিন্তা করতে হতো না কারণ তখন quantum mechanics এবং Theory of relativity এর মধ্যে দা-কুমড়ার সম্পর্কটি আর থাকত না ।
এই বিখ্যাত দুইটি তত্ত্ব এর মধ্যে যে সংঘাত তা নিরসনের জন্য একটি নতূন তত্ত্বের প্রয়োজন হয়ে পড়ে আর তখনই String Theory এগিয়ে আসে । String Theory হচ্ছে Gravity এর Microscopic theory , এই theory এর সাহায্যে আমরা এই Universe এর মৌলিক গঠন খুব ভাল ভাবেই প্রকাশ করতে পারি । যেহেতু এই তত্ত্ব quantum mechanics এবং Theory of relativity এর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে তাই একে Theory of everything ও বলা হয় ।
স্ট্রিং তত্ত্ব প্রধানত এটা প্রমাণ করে যে ইলেক্ট্রন ও কোয়ার্ক শূন্য মাত্রিক নয় অর্থাৎ এদের মাত্রা আছে , আর এদের কে বলা যায় এক মাত্রিক কম্পমান সুতা বা রজ্জু (String অর্থ দড়ি ,ফিতা, রজ্জু , সুতা)। এটা হলো এমন এক ধরনের রজ্জু যার শুধু দৈর্ঘ্য আছে , কোন প্রস্থ নাই ।Basonic string theory হচ্ছে প্রাথমিক স্ট্রিং তত্ত্বের আভাস , যা ১৯৬০ সালে প্রকাশ করা হয় । এই তত্ত্ব দ্বারা Bosons গুলো কিভাবে একীভুত হয় তা ব্যাখ্যা করা হয় । Particle physics এ Bosons (Bosons কণাগুলোর নামকরণ করা হয়েছে বাঙালী বিজ্ঞানী সতেন্দ্রনাথ বোস এর নামানুসারে যে কিনা বেতার যন্ত্র আবিস্কার করে ছিলেন । IEEE তে বিজ্ঞানী মার্কনীর সাথে তার নামটিও বেতার যন্ত্রের জনক হিসাবে উল্লেখ করা আছে) হচ্ছে Subatomic particle যা বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান মেনে চলে । কিছু Bosons আছে যারা একই Quantum State এ থাকতে পারে অর্থাৎ এরা পাউলীর বর্জন নীতি মেনে চলে না । আর এই অভিমত হতেই String theory এর উৎপত্তি । Particle physics এ Fermions নামে আরেক ধরনের Particle আছে যা Fermi-Dirac পরিসংখ্যান মেনে চলে । Super string theory এই Bosons এবং Fermions এর মধ্যে একটি সম্পর্কের আভাস দেয় । string theory ব্যাখ্যা করার জন্য এমন একটি নতূন মাত্রার প্রয়োজন হয় , যা পর্যাবেক্ষণ করা যায় না বা অতিরিক্ত মাত্রা । যাকে আমরা বলতে পারি স্থান-কালের চতুর্মাত্রিক অবস্থা । ১৯৬৯ সালে Dual resonance model এর সাহায্যে সর্ব প্রথম string theory এর উৎপত্তি হয় । সেই সময়ে ৫টি string theory প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল , তাই সব string theory গুলোকে একত্রে করে একটি Super string theory দরকার হয়ে পড়েছিল । তাদের মধ্যে প্রধান পার্থক্য রজ্জু গুলোর প্রকৃতির এবং মাত্রা সংখ্যার । আসলে বলা যায় সবগুলো তত্ত্বই সঠিক ছিল ।১৯৯০ সালে সবগুলো String theory একত্রে করে একটি Theory প্রতিষ্ঠিত হয় যা M-theory(Maxwell's Theory) নামে পরিচিত । M-theory দৃঢ়ভাবে প্রস্তাব করে যে এই ৬-মাত্রিক রজ্জু , ১১-মাত্রিক স্থানে কম্পিত অবস্থায় অবস্থান করে , যা মূলত ২-মাত্রিক ছিল । এই স্ট্রিং তত্ত্ব এর সাহায্যে আমরা আমাদের বিশ্বব্রহ্মান্ডের একটি সঠিক কাঠামো দাড় করাতে পারি ।
আজ আমরা বলতে পারি স্ট্রিং তত্ত্ব Gravity ও Particle physics কে একত্রে করে অর্থাৎ এই তত্ত্বের সাহায্যে সব কিছুর সাথে যেমন মহাকর্ষ বলের সাথে Building block এর সম্পর্ক স্থাপিত করতে পারি ।
এক সময় আমরা স্বপ্ন দেখতাম এই বিশ্বব্রহ্মান্ডের গতিবিধি আমরা কটি তত্ত্বের সাহায্য ব্যাখ্যা করতে পারবো বিখ্যাত পদার্থবিদ আলবার্ট আইনস্টাইনেরও স্বপ্ন ছিল এমন একটি তত্ত্বের আর এই স্ট্রিং তত্ত্ব আমাদের স্বপ্ন বাস্তবের দোরগোড়ায় নিয়ে আসছে ।

MAHMUDUL HASAN NAYEEM


মন্তব্য

কৌস্তুভ এর ছবি

সচলে প্রথম কি? শুভেচ্ছা। এই বিষয় নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ, ভবিষ্যতে আরো গুছিয়ে লিখবেন নিশ্চয়ই। প্যারাগ্রাফের মাঝে ফাঁক, বানান (স্তল > স্থল, দূর্বল > দুর্বল, ক্ষূদ্র > ক্ষুদ্র, সুতা > সুতো ইত্যাদি) খেয়াল রাখবেন।

আপনি ভাষাকে একটু বেশি সাধু করতে গিয়ে মনেহয় একটু অস্বস্তিতে পড়েছেন, (এই যেমন সূতা লিখতে গিয়ে সুতা লিখেছেন, এর চেয়ে সুতো লিখলেই হত), সেটাও লিখতে লিখতে কেটে যাবে নিশ্চয়ই। "অনেক অনেক ক্ষুদ্রতম কণিকা" এইরকম বাক্যও একটু ইয়ে, ক্ষুদ্রতম বললে তার উপর আর বিশেষণের দরকার হয় না। হাসি

অনিকেত এর ছবি

সচলে বিজ্ঞান নিয়ে লেখা খুব বেশি একটা আসে না। তাই প্রায় হামলে পড়ে লেখাটা পড়লাম।
বেশ ভাল লেখা। কৌশিক'দা এর মাঝেই কিছু গঠনমূলক মন্তব্য করে গেছেন। আমি তার সাথে সামান্য কিছু যোগ করতে চাইঃ

১) এখানে অনেক পাঠক বিজ্ঞান-মনস্ক। কিন্তু বিজ্ঞানের অনেক ধারণার সাথে হয়ত তেমন ভাল করে পরিচিত নন। তাদের জন্যে আরেকটু বিস্তৃত করে লিখলে কম-বেশি সবাই উপকৃত হবেন।
২)

আমরা যদি মহাকর্ষ বলকে Quantum Physics অথবা neutron ও proton এর মতো বল দিয়ে প্রকাশ করতে পারতাম , তা হলে হয়তো আমরা এই বিশ্বনিখীলের (Cosmos) সব বড়-ছোট বস্তু কে একটি সূত্রের মাধ্যমে বর্ণনা করতে পারতাম , Gravity এবং Quantum Physics এর মধ্যে একটি সম্পর্ক স্থাপিত হতো ।

এই অংশটুকু ঠিক পরিষ্কার হয়নি। বেয়াদপি না নিলে বলতে পারি--অংশটুকু হয়ত এভাবে লেখা যেত
"quantum mechanics আর মহাকর্ষের মিল করিয়ে দেয়াটা জরুরি কারন আমরা চারটা মৌলিক বলগুলোর মাঝে একটা সমন্বয় খুঁজে বেড়াচ্ছি। তিনটা একসাথে মিলেছে খালি একজন এখনো দোনোমনো করে যাচ্ছে। সে লোক মহাকর্ষ। এর মূল কারণ মহাকর্ষ কাজ করে বড় বড় জিনিস নিয়ে-- গ্রহ-উপগ্রহ-নক্ষত্র এদের শাসন করে বেড়ানো তার কাজ। অন্যদিকে কোয়ান্টাম মেকানিক্স ব্যস্ত আছে ছোট ছোট জিনিস নিয়ে--অনু-পরমানু এইসব। চারটে বলকে এক করতে হলে আমাদের এই দুটো ঝগড়াটে লোকের হাত মিলিয়ে দেয়া দরকার "

৩)

এই তত্ত্ব দ্বারা Bosons গুলো কিভাবে একীভুত হয় তা ব্যাখ্যা করা হয় । Particle physics এ Bosons (Bosons কণাগুলোর নামকরণ করা হয়েছে বাঙালী বিজ্ঞানী সতেন্দ্রনাথ বোস এর নামানুসারে যে কিনা বেতার যন্ত্র আবিস্কার করে ছিলেন । IEEE তে বিজ্ঞানী মার্কনীর সাথে তার নামটিও বেতার যন্ত্রের জনক হিসাবে উল্লেখ করা আছে) হচ্ছে Subatomic particle যা বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান মেনে চলে ।

আমার মনে হয় আপনি দুই বোস-কে এইখানে মিলিয়ে দিয়েছেন। রেডিওর জন্যে জগদীশচন্দ্র বসু আর বোস-আইন্সটাইন পরিসংখ্যানের জন্যে সত্যেন বসু। দুইজনেই প্রতিভাধর বাঙ্গালী বিজ্ঞানী এবং সর্বতোভাবে পৃথক ব্যক্তিত্ব।

কৌস্তুভ এর ছবি

কৌশিক কারে কইলেন? চিন্তিত

কিন্তু বেতার যন্ত্রর ব্যাপারটা ভালো খেয়াল করেছেন! ওইটা আমার চোখ এড়িয়ে গেছিল...

অনিকেত এর ছবি

সরি কৌস্তুভ'দা--প্রিন্টিং মিসটেক লইজ্জা লাগে

তারাপ কোয়াস এর ছবি

আপনার এই লেখাটি সম্ভবত কণা পদার্থ বিজ্ঞানের উপর বিশেষায়িত জ্ঞান সম্পন্নদের জন্য। অন্তত আমার কাছে তাই মনে হয়েছে হাসি

লেখাটি পড়ে দুটি প্রশ্নের উদয় হলো, তাই সরাসরি লেখকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাচ্ছি:
১.

মহাকর্ষ বল Graviton Particle এর জন্য উৎপন্ন হয় ।

যতদূর জানি গ্রাভিটন পার্টিকেল এখনো প্রমাণিত নয়, এটি ধারণা করা হয় কিন্তু আপনার লেখা পড়ে মনে হতে পারে এটির বাস্তব অস্তিত্ত আছে। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি?

২.

M-theory(Maxwell's Theory)

এর তথ্য সুত্র জানাবেন কি? উইকিতে তো অন্য কথা লিখা দেখলাম।

শুভেচ্ছা


love the life you live. live the life you love.

তুলিরেখা এর ছবি

সচলে স্বাগতম।
লেখা ভালো তবে কয়েকটা ভুল চোখে করকর করলো।
১। ইলেকট্রন ইত্যাদিরা হলো লেপ্টন(Lepton), ল্যাপ্টন(lapton) না।
২। বোসন যার নামে সেই সত্যেন্দ্রনাথ বসু কিন্তু বেতার আবিষ্কারক নন, বেতার আবিষ্কারক হলেন জগদীশচন্দ্র বসু।
৩।একজায়গায় দেখলাম basonic string লিখেছেন, এটা নিশ্চয় টাইপো, তাই না? bosonic string বলতে চেয়েছিলেন?
৪। string এর জন্য স্থানকালের চতুর্মাত্রিক অবস্থার চেয়ে অনেক বেশী মাত্রা লাগে, এগুলো সব অতিরিক্ত স্থানিক মাত্রা। আসলে স্থানকালের চতুর্মাত্রিক ব্যাপারটা string ধারণার বহু আগেই সেই আইনস্টাইনের জেনারেল রিলেটিভিটির আমলেই এসে গেছে।
৫। string বা তার উন্নত রূপ superstring বা M Theory, সবের prediction ই এখনো পর্যবেক্ষণ-অসাধ্য, তাই সমাধান করে ফেলেছে বলা যায় না এখনই।

সচলে লেখা চালিয়ে যান, অভিনন্দন। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

গৌতম এর ছবি

১. উচ্চমাধ্যমিকের পর থেকে সীমিত পর্যায়ে পদার্থবিজ্ঞান পড়েছি। ফলে বেশিদূর এগুতো পারি নি। তাই বিজ্ঞানবিষয়ক লেখা দেখলে হামলে পড়ি। আপনার লেখাটি তাই আগ্রহভরে পড়লাম। এমন একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২. স্ট্রিং থিওরিকে কি এখনই থিওরি অব এভরিথিং বলা যাবে? আমি যতদূর শুনেছি, স্ট্রিং থিওরির মতোই আরো অনেক থিওরি এই 'থিওরি অব এভরিথিং' হবার অপেক্ষায় আছে। কিন্তু সমস্ত হিসেব-নিকেশ এখনো মেলানো যায় নি। কিন্তু আপনি বলেছেন এই থিওরি কোয়ান্টাম মেকানিকস আর থিওরি অব রিলেটিভিটির মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে। আসলেই কি তাই? অন্তত এই লেখাতে http://en.wikipedia.org/wiki/Theory_of_everything তেমন কোনো স্বীকৃতি দেখছি না, 'দাবিদার' বলা হয়েছে।

৩. খুঁজতে খুঁজতে এটিও পেলাম - http://www.pbs.org/wgbh/nova/physics/theory-of-everything.html । বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হল।

৪. পরের লেখায় এম থিওরি সম্পর্কে কিছু আলোকপাত করবেন? বিশেষত স্ট্রিং থিওরি, ম্যাট্রিক্স স্ট্রিং থিওরি ও সুপারস্ট্রিং থিওরি- এগুলোর মধ্যকার পার্থক্যগুলো আলোকপাত করলেও অনেককিছু পরিষ্কার হয়।

৫. এই বিষয়ে পড়ালেখা করতে হলে প্রচলিত অনেক ধ্যানধারণা মাথার বাইরে রেখে তারপর ভাবতে হয়। এই যেমন, দৈর্ঘ্য আছে প্রস্থ নাই। আমার মতো সাধারণ মানুষের কাছে বিষয়টি গোলমেলে ঠেকতে পারে। এটা কীভাবে সম্ভব?- এই বিষয়গুলো কি কিছুটা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে?

৬. নিশ্চয়ই বেশি দাবিদাওয়া করি নি! হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

পড়ার চেষ্টাও করলাম না...
শুধু স্বাগত জানিয়ে গেলাম
বিজ্ঞান নিয়ে প্রচুর লেখা হোক...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

NAYEEM এর ছবি

কৌস্তুভ দা'কে অনেক ধন্যবাদ....
আসলে কো্ন ব্লগে এই প্রথম লেখা,আমার উচিৎ ছিল লেখাটা কাউকে দিয়ে পড়ানো । ভুলের জন্য সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি ।

অনিকেত দা' কে অনেক ধন্যবাদ । অনেক বড় একটা ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য..

"রেডিওর জন্যে জগদীশচন্দ্র বসু আর বোস-আইন্সটাইন পরিসংখ্যানের জন্যে সত্যেন বসু। দুইজনেই প্রতিভাধর বাঙ্গালী বিজ্ঞানী এবং সর্বতোভাবে পৃথক ব্যক্তিত্ব।"

মাহমুদুল হাসান নাঈম এর ছবি

গৌতম ধন্যবাদ । আপনার সাথে আমিও একমত যে string theory কে Theory of Everything বলার এখনো সময় হয় নাই আর এই জন্যই আমি কিন্তু বলেছি "Theory of everything ও বলা হয় " । আসলে এই বাক্য দিয়ে বুঝাতে চেয়েছিলাম এখনো তা সবাই গ্রহন করেনি হয়তো আরো ভাল করে লেখা উচিৎ ছিল ।ভবিষ্যতে স্ট্রিং থিওরি, ম্যাট্রিক্স স্ট্রিং থিওরি ও সুপারস্ট্রিং থিওরি নিয়ে লিখার ইচ্ছা আছে এবং অবশ্যই তা যত্ন নিয়েই লিখবো।

মাহমুদুল হাসান নাঈম এর ছবি

নজরুল ইসলাম ভাইয়া ধন্যবাদ....

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

পদার্থবিজ্ঞান আমার কাছে স্বপ্নের মতো। মায়াময় কিন্তু ছোঁয়ার ক্ষমতা নেই! আপনার লেখাটা আগ্রহ নিয়ে পড়তে শুরু করেছিলাম কিন্তু বিজ্ঞানে আমার শেকড় দূর্বল বলে ঠিকঠাক ব্যপারটা স্পষ্ট হয়ে ওঠেনি।

তবে অবশ্যই আমার মন্তব্য আপনাকে হতাশ করার জন্য নয়, কেবল অনুরোধ করা যে আমার মতো বিজ্ঞানমূর্খ মানুষের জন্য আরেকটু বিস্তারিত এবং অবশ্যই আরো অনেক অনেক লেখা দিন। আমাদেরকে বাঁচালে বিজ্ঞানই বাঁচাবে!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।