প্রথম পাঠ আর কিছু অপ্রাসঙ্গিক প্রাসঙ্গিকতা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৭/০৭/২০১১ - ৮:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ক্লাস করতে যাবো।কেমন যেন একটা মিশ্র অনুভূতি টের পাচ্ছিলাম ভেতরে ভেতরে।প্রথম বার স্কুলে যাওয়ার সেই অনুভূতিটা ফিরে ফিরে আসছিল।দশটায় ক্লাস।তখন শান্তিনগরে ফুপুর বাসায় থাকতাম।প্রথম ক্লাস করতে যাবো সেই খুশিতে একটা রিক্সা চড়ে রওনা দিলাম।কলাভবনের সামনে এসে দাড়াতেই বুকের ভেতর কেমন যেন করে উঠলো।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বো কখনো ভাবিনি,আজ সেখানে আমি ছাত্র হিসেবে উপস্থিত।কলাভবনের বিরাট বিল্ডিংটার দিকে তাকাতেই কেমন যেন গর্ব হল।

উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট পাচতালায়।ওইটাই আমার ডিপার্টমেন্ট।লিফটে না গিয়ে সিড়ি দিয়েই উঠবো ডিসিশান নিলাম।পরে বুঝলাম খুব একটা ভালো সিদ্ধান্ত ছিলোনা। উঠতে গিয়ে মনে হলো পাচতালা নয়শো ছাব্বিশ মাইল দূরে।যাই হোক ডিপার্টমেন্টে গিয়ে ক্লাস খুজে বের করে একদম পিছনে গিয়ে বসলাম।আশেপাশে সব নতুন মুখ।সবাই দেখি নিজেদের মধ্যে পরিচিত হতে ব্যস্ত।আমাকে কেউ খেয়াল করেনি বোধহয়।আমিও আয়েশ করে বসে সবার ভাবভঙ্গি দেখতে লাগলাম।ছোটখাট ক্লাসরুম।ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যাই বেশী দেখলাম।ডিপার্টমেন্টের নাম এক্ষেত্রে কোন প্রভাব ফেলেছে নাকি বুঝলামনা।

কিছুক্ষণ পরে দেখি টি-শার্ট আর জিন্স পরা লম্বা-চওড়া ফর্সামতন একটা ছেলে ক্লাসে ঢুকলো।মনে করলাম আমাদেরই ক্লাসমেট হবে হয়তো।তবে তার ভাববঙ্গি দেখে আমি আড়চোখে খেয়াল করছিলাম।তারপর আমাকে সহ ক্লাসের সবাইকে অবাক করে দিয়ে ভরাট গলায় ঘোষণা দিল ”আমি অমুক,স্টুডেন্ট এডভাইজর এবং তোমাদের ওয়ান জিরো ফোর জেন্ডার এন্ড এনথ্রোপলজি লেকচারার।”ক্লাসের মোটামুটি সবারই তখন হতভম্ব অবস্থা।বিস্ময়ের রেশ ন কাটতেই দেখি উনি সটান আমার দিকে আঙুল তাক করে জিজ্ঞেস করলেন “ওই মিয়া এই সাবজেক্টে ক্যান পড়তে আসসো????’’আমিতো অবাক আগেই হইসি এইবার ভ্যাবাচেকা খাইলাম।কয় কি।আজকে প্রথম ক্লাস করতে আসলাম,কোথায় নামধাম-কুশলাদি জিজ্ঞেস করবে তা না...এক্কেরে ডাইরেক্ট একশান।দড়িয়ে কথা বলবো বসে এইটাই বুঝতে পারছিলাম না।অত্যাধুনিক কায়দার চেয়ার টেবিল।দাড়ালে সমস্যা হবে।কোনমতে আমতা আমতা করতে বল্লাম ”স্যার কোথাও চান্স পাইনি তো,ডি ইউনিটে কোনমতে টিকসিলাম।তাও সিরিয়াল বহুত পিছনে ছিল।যখন ভাইভা বোর্ডে ঢুকসি এইটা ছাড়া অন্য সাবজেক্টের নাম পছন্দ হয় নাই,তাই ফার্স্ট চয়েস এইটাই দিসিলাম।সেজন্য এই ডিপার্টমেন্টে আসছি।”
”ভালো করসো।দেশ ও জাতি তাতে উদ্ধার হইসে।তো এই সাবজেক্টে থাকবা না আগামী বছর উড়াল দিবা?”
’’না স্যার সেই সম্ভাবনা নাই।আগামী বছর পরীক্ষা দিলে উর্দু-ফার্সীতে যাইতে হবে।”
”সবাই তাই বলে।থাকে খুবই কম।সবাই ডিপা্র্টমেন্টের নাম নিয়ে লজ্জা পায়।আরে ব্যাটা এইখানে নারী অধিকার নিয়ে পড়ানো হয় তাদের বডি নিয়ে তো না,রাখসোতো তোমার মা-বোনরে খুব সুখে। এতো লজ্জাই যদি পাবা তো মায়ের পেট থেকে বাইর না হয়ে বাপের পেট থেকে বাইর হইতা।এখানে যারা উপস্থিত আসে সবারই মনে হয় এই ছেলেটার মতো একি অবস্থা।নতুন ডিপার্টমেন্ট।নামই জানেনা কেউ,স্বেচ্ছায় পড়তে আসবে কি?যাই হোক ভর্তি যখন হইসো আশা করি সাবজেক্টটার প্রতি ন্যুনতম শ্রদ্ধাবোধ থাকবে তোমাদের।প্রথম ক্লাস কিছু কথা বলতেই হয়,তাই বল্লাম।নামধাম পরে জানা হবে।”এইটা বলে আবার আমার দিকে ফিরলেন।”অ্যাই তুমি বলতো ‘সেক্স’ আর ’জেন্ডার’ এই দুইটার পার্থক্য কি?”....মনে মনে ভাবলাম আজকের দিনে আর কতোবার টাশকি খাবো,এইটা কি ধরণের প্রশ্ন হইতে পারে?ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ড ছিলো।তাও অতো ভালো ছাত্র ছিলাম যে তা না।সেই ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়েই বল্লাম “স্যার সেক্স হচ্ছে মানুষের জৈবিক পরিচয় মানে সে পুরুষ কি মহিলা সেটা আর জেন্ডার মানে বলতে পারবোনা”
”আর কেউ বলতে পারবে?এনিওয়ান ইন দ্যা ক্লাস?”
দেখলাম চশমা পড়া একটা মোটাসোটা মেয়ে দাড়ালো।জড়তাহীন ভাবে বললো “জেন্ডার মানে নারী-পুরুষের সামাজিক পরিচয়।মানে সামাজিক যে কাজকর্মগুলোর মাধ্যমে আমরা নারী বা পুরুষদের আলাদা করি।”স্যারকে খুশি মনে হল। “গুড,এখন উদাহরণ দিতে পারবা?”
”জ্বি স্যার,এই যেমন আমাদের সমাজব্যবস্থায় ধরে নেয়া হয় অর্তনৈতিক কাজের দায়িত্ব পুরুষদের আর গৃহস্থালি কাজের দায়িত্ব মহিলাদের।
”ভেরী গুড।অনেক ক্লোজ আনসার দিসো।এতটা আশা করি নাই।এখন সবার কাছে একটা প্রশ্ন....সেক্স হচ্ছে মানুষের ফিক্সড আইডেন্টিটি,জেন্ডারও কি তাই????”
আমি কিছুক্ষণ আশেপাশে তাকাইলাম।সবার দেখি আমার মতো খাবি খাওয়া দশা।স্যার তখন বল্লেন জেন্ডার কনস্ট্যান্ট না।মনে মনে আরেকবার চমকালাম।মানুষের সামাজিক পরিচয় কিভাবে কনস্ট্যান্ট না হয়?স্যার বল্লেন “ জেন্ডার মানে হচ্ছে সামাজিকভাবে নির্ধারিত সেই সব মানদন্ড যা নারী আর পুরুষকে আলাদা করে।মানে ধর একটা স্বীকৃত ধারণা হইল যে পুরুষ মানুষ দেশ চালাবে।কিন্ত আমাদের দেশে কাহিনীতো তথাকথিত ভাবে উল্টা।দেশ চালায় নারীরা।আবার ধর পিতৃহীন একটা পরিবারে উপার্জন করতেসে মা।তখন আবার জেন্ডার আইডেন্টিটি চেন্জ।পিতৃতান্ত্রিক পরিবারের প্রধান তখন মা.......এইভাবে আরো নানাভাবে এইসব জিনিস চেন্জ হচ্ছে।ক্রিটিক্যালি চিন্তা করলে আরো এরকম অনেক জিনিস পাবা।ইনট্রোডাকটরি ক্লাসের জন্য আজ যা বল্লাম তাই মনে হয় যথেষ্টে।এখন সবাই নামআর কোন কলেজ থেকে আসলা একজন একজন করে বল....এইখান থেকে শুরু কর......।”

সেই প্রথম ক্লাসটার কথা এখনও খেয়াল আছে।অলৌকিক ভাবে এই সাবজেক্টটার প্রেমে না পড়লেও একটা কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছিল।শুধুমাত্র পড়তে হবে বলেই পড়ি বা জানার আগ্রহে যাই হোক না কেন এখন মোটামুটিভাবে জানি যে জেন্ডার কি,জেন্ডার বৈষম্য কি,কত উপায়ে নারীকে নির্যাতন করা হয়েছে বা করা হচ্ছে।তারপর মাথায় চিন্তা আসে ঘর থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটতো বটেই ফেসবুকে পর্যন্ত দেখি কিভাবে মেয়েদের হেনস্তা করা হচ্ছে। একেকটা পেজের নাম দেখি “ওই ছেড়ি গলায় না দিয়া বুকে ওড়না দে”.”মাইয়া তোর লাইক বাটন চাপ দিসিলাম অন্য কোথাও তো না”......তখন ভাবি এই পেজগুলার যে এডমিন,যারা সদস্য তাদের মা অথবা বোন যখন কাজের খাতিরে আচলটা অথবা ওড়নাটা বেধে নেয় তখন কি এরা বলতে পারে ওই ছেড়ি ওড়না গলায় দে.........তখন স্যারের কথা মাথায় আসে,মানুষের জেন্ডার আইডেন্টিটি চেন্জ হোক বা না হোক ভেতরের পশুসত্ত্বাটা চেন্জ হয়না।

অরুপ নাহিয়ান


মন্তব্য

বন্দনা- এর ছবি

লিখা ভালো লাগলো নাহিয়ান। এই গ্রুপগুলো নোটিস করছি, আসলেই অবাক লাগে যখন দেখি মানুষজন এইসবে আবার লাইক দেয় মন খারাপ

তানিম এহসান এর ছবি

হ্যা, আসলেই সবার পশুভাব বদলায়না! তবে এভাবে কেউ না কেউ চোখে আঙুল তুলে দেখিয়ে দিতে থাকলে অন্তত বদলানোর প্রচেষ্টাটা সচল থাকে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনি কি এনথ্রোপলজির ষ্টুডেন্ট না জেন্ডার ষ্টাডিজ? আপনার জীবন সুন্দর হউক! শুভেচ্ছা,

নিবিড় এর ছবি

ইন্টারের পর ঢাবিতে যখন পড়তে আসি তখন ধারণা ছিল না কী পড়ব, কেন পড়ব। পড়তে চেয়েছিলাম ইকোনমিক্সে কিন্তু ভাইভা বোর্ডে ঢুকে দেখি সেখানে সিট শেষ। এরপর যে সাবজেক্টের নাম পছন্দ হল তাই নিয়ে নিলাম তবে পরে সেই সাবজেক্টে পড়তে যে খারাপ লাগছে তা না কিন্তু কথা হল আমাদের সঠিক ধারণার বড় অভাব। অনেক ক্লাসমেট কে দেখেছি এক সাবজেক্টে ভর্তি হবার পর অন্য সাবজেক্ট সম্পর্কে যখন জানল তখন আফসোস করতে কেন সেই সাবজেক্টে পড়ল না। বিশেষ করে সায়েন্সের ছেলেরা কলেজে মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং আর আইবিএ ছাড়া বেশির ক্ষেত্রেই অন্য সাবজেক্ট সম্পর্কে কোন ধারণা রাখে না। তাই কলা ভবনের মত অফট্র্যাক জায়গায় এসে পরে তখন ঠিক করে বুঝে উঠতে পারে না তার কোন বিষয়ে পড়া উচিত।

আপনার লেখা ভাল লাগল। আর আপনার সচল যাত্রা শুভ হোক হাসি

এম আব্দুল্লাহ এর ছবি

চমৎকার লেখা।
প্রশিক্ষণার্থীদের জেন্ডার সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য গল্পটা ব্যবহার করা যেতে পারে।
ধন্যবাদ।
এম আব্দুল্লাহ

অরুপ এর ছবি

বন্দনা.....এই পেজগুলো বন্ধ করারও একটা উদ্যোগ কিন্ত নেয়া হইসে।চাইলে যোগ দিতে পারেন।
তানিম আপনাকেও ধন্যবাদ,আমি জেন্ডার স্টাডিজের ছাত্র।
নিবিড় কলা আর সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বেশীরভাগ ছাত্রেরই এমন অভিজ্ঞতা আসে।
আব্দুল্লাহ এইটা আসলে ঠিক গল্প না.....এমনটাই হইসিল আমার সাথে.....
আর ধন্যবাদ সবাইকে মন্তব্য দেয়ার জন্য.........এই ব্যাপারগুলোকে আসলে ছড়িয়ে দেয়া দরকার।ভিতরের একটা তাগিদ আছে বলেই ব্লগ লেখা....দেখি আরও বড় কোন পদক্ষেপ নেয়া যায় কিনা.....সাথে থাকবেন।

এম আব্দুল্লাহ এর ছবি

অরুপ, এমনটাই হইলে তোমরা সাথে যে এটা গল্প হতে পারবেনা এমনতো কোন কথা নেই। লেখকরাতো জীবন থেকে নিয়েই গল্প লিখেন। চারপাশে যা হয় তাই নিয়েইতো গল্প।
ধন্যবাদ আপনাকে।
এম আব্দুল্লাহ

shoptorshi এর ছবি

শ্রদ্ধা

দিহান এর ছবি

বাংলা বিভাগে পারতপক্ষে কেউ ইচ্ছা করে পড়তে যায়না। 'নরেন চক্রবর্তী' নাকি উনার প্রথম ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের বলতেন 'এসেই যখন পড়েছো,ভালোবেসেই দেখোনা'! বাংলা বিভাগের একজন আপু এই গল্প বলেছিলো।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

'নরেন চক্রবর্তী' নন, তিনি নরেন বিশ্বাস।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ভালো লাগলো।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

অরুপ এর ছবি

বুঝতেই পারলাম আব্দুল্লাহ ভাইয়া....ধন্যবাদ
দিহান আপু আমি যখন ভাইভা বোর্ডে ঢুকসিলাম তখন একজনকে বাংলায় ভর্তি হওয়ার জন্য স্যারদের হাতে-পায়ে ধরতে দেখসিলাম......

কৌস্তুভ এর ছবি

চলুক

গত পোস্টের অনুরোধ রেখে যে এই নিয়ে লেখা দিয়েছেন তার জন্য ধন্যবাদ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভালো...
লেখা চলুক...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

লেখা, বিষয় - দুটোই ভাল্লাগলো। চলুক

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

আশফাক এর ছবি

পড়ছি। চালিয়ে যান বস। বাই দ্যা ওয়ে, আপনি ইন্টার কোন ব্যাচ জানতে পারি?

অরুপ এর ছবি

কৌস্তভ ভায়া,নজরুল ভায়া,শিমুল আপা এবং আশফাক ভায়া ধন্যবাদ.......লেখা চলবে ইনশাল্লা....আশফাক ভাই ইন্টার দিয়েছিনু দু’হাজার অষ্টম খ্রিস্টবর্ষে......

আশফাক এর ছবি

তাহলে তোমাকে তুমি করে বলি। আমি ০৬ এ। আর আমার ছোট ভাই তোমার ব্যাচমেট হাসি

বইখাতা এর ছবি

আপনার প্রথম ক্লাসের কাহিনী পড়ে তো আমার নিজেরই এখন আপনার সাবজেক্টের ক্লাস করতে ইচ্ছা করছে। হাসি যদিও বিশ্ববিদ্যালয় জীবন অনেক আগেই শেষ করে এসেছি!

গেরিলা এর ছবি

আহারে...ভালু

অরুপ এর ছবি

আশফাক ভাই অবশ্যই।কোন সমস্যা নাই হাসি .........বইখাতা ভায়া ধন্যবাদ......আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করার ইচ্ছা নাই....এইখানে আদুভাই হইতে পারাটা কামের কথা......ছাত্রদের দল অথবা লীগে একটা পোস্ট পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকতে পারে.....ধন্যবাদ আপনাকে.... আসলেই ভার্সিটির ক্লাসগুলা মজার খালি সকালবেলায় না হইলে দেঁতো হাসি
গেরিলা ভায়া সংগ্রামী ধন্যবাদ গুল্লি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

শ্রীকৃষ্ণ এর ছবি

ভার্সিটির প্রথম ক্লাস, আহ, সেই দশ বছর পিছনের সোনালী দিনগুলোর কথা মনে পরে গেল, লেখা পড়ে। ভাল লাগলো লেখা পড়ে, লিখতে থাকুন। চলুক

পুরাণ পাপী এর ছবি

বুজত্যাই পারলুম না দাদা, বেশ তো লিকেচেন : )। একটা ছোটখাট অনুপ্রেরণার মত পেলুম দাদা ।

নিরুদ্দেশ এর ছবি

ভালো লাগলো লেখাটি। পড়তে পড়তে নিজের চেনা কাহিনী মোনে পরে গেলো।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।