সময়কালের ক্যাঁচক্যাঁচানি (!)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৩/১১/২০১১ - ১২:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কিছুদিন ধরেই সময় পরিভ্রমন, আপেক্ষিক তত্ত্ব এসব নিয়ে লিখার বেশ ইচ্ছা করছিলো। কোন সমীকরন না ব্যবহার করে, চাঁপার জ়োরে এগুলো নিয়ে বকবক করা যে কতটা কষ্টকর, সেটা লিখতে গিয়ে টের পেলাম।

যাইহোক আপনাদের একটা প্রশ্ন করি, ধরুন আজকে আপনার জন্মদিন, ঠিক একবছর পর আপনার বয়স কয়দিন বাড়বে? সাধারন কথায় উত্তরটি খুবই সাদামাটা- 'একবছর'। এভাবে চিন্তা করলে শুধু আপনি কেন, একবছর পর আপনার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন, চেনা-অচেনা সবার বয়সই ঐ একবছরই বেড়ে যাবার কথা।

কিন্তু মজার ব্যাপার হলো আইনস্টাইন এই সাধারন ধারণাটিকে পুরোপুরি পাল্টে দিয়ে গেছেন। আইন্সস্টাইন হিসাব-কিতাব করে দেখিয়ে গেছেন সময়ের মাপ পর্যবেক্ষক ও যা পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে তাদের আপেক্ষিক গতি দ্বারা প্রভাবিত। এবং গতিশীল অবস্থায় থাকা ঘড়ি (the clock is moving) , স্থির ঘড়ি (clock is at rest) অপেক্ষা ধীরে চলবে।

সহজ বাংলায় যিনি বেশি ছোটাছুটি করবেন তার বয়স অল্প একটু হলেও কম (!) বাড়বে। । বিষয়টা এতো সহজে চোখে পড়বে না। কারন আমরা যেটুকু ছোটাছুটি করি তার বেগ খুবই কম। এ জিনিসটি চোখের সামনে নিয়ে আসতে হলে কাউকে আলোর বেগের কাছাকাছি গতিবেগে ছোটাছুটি করতে হবে (যদিও মানুষের পক্ষে এইমূহুর্তে সম্ভব না)।

এখন যদি একজন মহাকাশচারী (যার বয়স ২৮ বছর), একটা আধুনিক রকেটে চড়ে (ধরে নিলাম, রকেটের গতি আলোর বেগের কাছাকাছি ) মহাশূন্য ভ্রমনে বের হলেন।

এরপর পৃথিবীতে ৫০ বছর কেটে গেলো। ৫০ বছর পর মহাশূন্যচারী পৃথিবীতে ফিরে আসলেন। বলুনতো মহাশূন্যচারীর বয়স কত হবে? সাধারনভাবে তার বয়স হওয়া উচিত ছিল- ২৮+৫০= ৭৮ বছর। কিন্তু না, আইন্সস্টাইনের আপেক্ষিকতা বলে ঐ মহাকাশচারীর বয়স কখনই ৭৮ বছর হবেনা, তার বয়স হবে ৫৮ বছর। তিনি যে বেগে মহাকাশে ভ্রমন করেছেন তাতে পৃথিবীতে ৫০ বছর কেটে গেলেও মহাকাশযানের ভেতর সময়ের পরিবর্তন হবে মাত্র ৩০ বছর।

বিশ্বাস হচ্ছে না? আসুন নাহয় আমরাই এবার হিসাব কষে দেখি, এটা কতটুকু সম্ভব।

আইন্সটাইনের আপেক্ষিকতার কথা মনে আছে? ওখান থেকেই আমরা শুরু করবো। আপেক্ষিকতার কাল সংকোচনের সূত্র থেকে আমরা জানি-

যেখানে হচ্ছে স্থির ঘড়ির সময়, আর হচ্ছে গতিশীল ঘড়ির সময়।

সুতরাং আমাদের সমীকরনটি দাঁড়ায়-


অর্থাৎ পৃথিবীর ৫০ বছরে (আলোর বেগের কাছাকাছি বেগে) গতিশীল রকেটের মধ্যে সময় কেটেছে ৩০ বছর। তাহলে মহাকাশচারীর বয়স আসলে বেড়েছে ২৮(তার আগের বয়স)+৩০(রকেটে থাকাকালীন বয়স)=৫৮ বছর। অর্থাৎ তার বয়স ২০ বছর কম বেড়েছে। দেঁতো হাসি

তাহলে সময় পরিভ্রমন কি সম্ভব? হ্যাঁ, ঠিক এই তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে খুব সহজেই নিজের বয়সকে আটকে রেখে কিছুটা ভবিষ্যতে পাড়ি জমানো সম্ভব (তাত্ত্বিকভাবে)। এটি কিন্তু কোন সায়েন্সফিকশন নয়, এটি থিওরী অফ রিলেটিভিটির ভবিষ্যৎবানী । কিন্তু অতীতে পাড়ি জমানো সম্ভব? টাইমমেশিন তৈরি করা সম্ভব?? হ্যাঁ তত্ত্ব বলে এটা সম্ভব। ওয়ার্মহোল তৈরি করা মাধ্যমে সম্ভব।

সায়েন্সফিকশন গল্পে/ছবির দৌলতে আপনাদের অনেকেই ওয়ার্মহোল সম্পর্কে জানেন। ওয়ার্মহোল হচ্ছে মহাবিশ্বের দুটি ভিন্নজায়গা সংযুক্তকারী একটি শর্টকাট। যেমন, পৃথিবী থেকে কেউ প্লুটোতে যেতে হলে কাউকে কমপক্ষে 4.2 বিলিয়ন কিলোমিটার পাড়ি দিতে হবে (যখন প্লুটো, পৃথিবী আর সূর্য একলাইনে থাকে সেসময়ের দূরত্ব ধরা হয়েছে)।

ওয়ার্মহোলের দুটি মুখ থাকে। ধরাযাক ওয়ার্মহোলের একটি মুখ পৃথিবীতে আরেকটি মাথা প্লুটোতে রয়েছে। এখন কেউ যদি ওয়ার্মহোল ব্যবহার করে তাহলে হয়তো ওয়ার্মহোলের মধ্যে দিয়ে মাত্র ১০০ মিটার হেটে গেলেই প্লুটোতে পৌছে যেতে পারবে। (এরকম জিনিস বাংলাদেশের রাস্তায় এখন খুবই দরকার মন খারাপ )।

হিসাব কিতাব না দেখিয়ে বকবক করে যাচ্ছি দেখে ভাববেননা চাপা ছাড়ছি , Michael S. Morris, Kip Thorne এর মতন তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানীরা এটা নিয়ে পেপার লিখে গেছেন, হুঁ হুঁ।

তাদের মতে -"if the laws of physics permit an advanced civilization to create and maintain a wormhole in space for interstellar travel, then that wormhole can be converted into a time machine with which causality might be violatable"। সহজভাবে বলতে গেলে, দুটি সময়ের মধ্যেও এভাবে ওয়ার্মহোল তৈরি করে সময় পাড়ি দেয়া সম্ভব।

কিভাবে?? চিন্তিত মনে করুন একটি বিশাল পেটমোটা ডিকশনারীতে ৫০০০ পৃষ্ঠা আছে। এর ২০১১ নম্বর পাতার উপর একটা উইপোকা ঘুরাঘুরি করছে। সাধারনভাবে তাকে পরের পাতায় যেতে হলে এই পৃষ্ঠাটি খেয়ে ফেলতে হবে (ধরলাম পোকাটি আসলে ভদ্র, হাপুস-গুপুস করে খায়না খাইছে )। এভাবে মহাবিশ্ব আমাদেরকে সময়ের একটি পৃষ্ঠা শেষ করার পর পরের পৃষ্ঠায় যাবার সুযোগ করে দেয়।

এখন ধরুন ঐ উইপোকাটি ২০১১ নম্বর পৃষ্ঠার মাঝামাঝি ফুটো করে খাওয়া শুরু করলো, এবং লম্ব বরাবর খেতে খেতে বইয়ের পাতাগুলি মধ্যদিয়ে একটি লম্বা ছিদ্র করে ফেললো, তাহলে কি হবে?সে হয়তো মুখতুলে চেয়ে দেখবে (আমাদের উইপোকাটি পড়ালেখাও জানে দেঁতো হাসি ) সে বইয়ের ৩০০০ তম পৃষ্ঠায় চলে এসেছে। এভাবে দুটি সময়ের মধ্যে ওয়ার্মহোল এর মাধ্যমে ছিদ্র করে একজায়গা থেকে আরেকজায়গায় যাওয়া সম্ভব।

এইমূহুর্তে হয়তো এটি কল্পকাহিনীর মতো শুনাচ্ছে। কিন্তু একদিন সত্যিই হয়তো মানুষ একসময় থেকে আরেকসময়ে ঘুরে বেড়াতে পারবে। দেঁতো হাসি

frdayeen (দায়ীন)

------------------------------------------------------------------------
অফটপিকঃ সচলে কি সমীকরন লেখার কোন ব্যবস্থা আছে? Latex বা অন্য কিছু? কেউ এব্যাপারে help করতে পারবেন কি? কিছু বিষয় হিসাব কিতাব ছাড়া ব্যাখ্যা করা বেশ কষ্টকর হয়ে যায়। আমার আগের পোস্টে (একটি বজ্জাত নিউট্রিনো এবং...) কয়েকটি কমেন্টের উত্তর দিতে গিয়ে আটকে গেছি সমীকরন লিখতে না পেরে মন খারাপ

পাদটীকা


মন্তব্য

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ওয়াও সমীকরণগুলো কিসে লিখেছেন? ওপর দিয়ে মাউস পয়েন্টার ঘুরিয়ে দেখলাম ল্যাটেক এর কোড, সচলে ল্যাটেকের কোড কাজ করে??

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

হিমু এর ছবি

সচলায়তন নামেও সচলায়তন, কামেও ...

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

এই জিনিসটা সেইরকম দেঁতো হাসি পছন্দ হইছে

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

frdayeen(দায়ীন) এর ছবি

দেঁতো হাসি

frdayeen(দায়ীন) এর ছবি

নাহ ল্যাটেক সচলে কাজ করেনা :(।
এখান থেকে নিয়ে HTML ফরমেটে পোস্টে দিয়েছি। হাসি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ভাল জিনিস শিখলাম

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

নিটোল এর ছবি

অনেক সুন্দর লিখেছেন। তবে ওয়ার্ম হোলটা আরেকটু ব্যাখ্যা করতে পারতেন। টাইম ডায়ালেশন নিয়ে ব্লগে অনেক লেখা আছে। কিন্তু ওয়ার্ম হোল নিয়ে লেখার সংখ্যা অনেক কম।

_________________
[খোমাখাতা]

frdayeen (দায়ীন) এর ছবি

হাসি

উইপোকা এর ছবি

বোকার মত একটা প্রশ্ন করি।

উইপোকা আর বইয়ের ব্যাপারটা যেভাবে বললেন সেখানে তাহলে ধরে নিতে হচ্ছে যে বইয়ের প্রত্যেকটা পৃষ্ঠা এক একটা ভিন্ন সময়। যদি ধরে নেই একটা পাতা মানে এক একটা সময়ের ইউনিট তাহলে সময় পুরোটা একসাথে অবস্থান করে? মানে আমরা যেরকম ভাবি সময় প্রবাহমান, আজকের পরে আগামিকাল আসবে ব্যাপারটা আসলে সেরকম নাহ? মানে স্পেস যেমন পুরোটা একসাথে অবস্খান করে, টাইম্ও সেরকম?

কেন যেন মনে হচ্ছে প্রশ্নটা ঠিকমত করতে পারলাম নাহ। মন খারাপ

frdayeen(দায়ীন) এর ছবি

এখানে বইয়ের পাতা আসলে সময় না বরং স্থান-কাল অর্থাৎ space-time। আর স্পেস একসাথে অবস্থান করে বলতে যদি প্যারালাল ইউনিভার্স বোঝানো হয়েথাকে, সেক্ষেত্রে এখানে বইয়ের পাতা অবশ্য সেরকম প্যারালাল ইউনিভার্স না, পুরো একটি পৃষ্ঠা - একটি space-time কে নির্দেশ করবে । হাসি

লাবন্যপ্রভা এর ছবি

আচ্ছা, আমাদের স্কুল-কলেজ গুলতে এভাবে সহজ ভাবে পড়ায় না কেন?
অনেক ভাল লাগল...
চালিয়ে যাবেন আশাকরি... চলুক

frdayeen(দায়ীন) এর ছবি

ধন্যবাদ, ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো । হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

জটিল সব বিষয় যে এতো সহজ করে লেখা যায় তা এসব লেখা না পড়লে বুঝতে পারতাম না। আপনাদের লেখা নিয়মিত পড়লে টড়লে আমিও মনে হয় বিজ্ঞানী হয়ে যেতে পারি... হাসি
অনেক ধন্যবাদ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

frdayeen(দায়ীন) এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- দেঁতো হাসি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

খুব ইন্টারেষ্টিং বিষয়। আগামী একশো বছরের মধ্যে একরকম বাস্তবে চলে আসতে পারে এই তত্ত্বগুলো।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

frdayeen(দায়ীন) এর ছবি

Dr. Robert H. Goddard এর একটা কথা আছে "It is difficult to say what is impossible, for the dream of yesterday is the hope of today and the reality of tomorrow."
কাজেই আশা করতে অসুবিধা নেই। হাসি

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

পড়তে ভালো লাগছিল। আপনার সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করার ধরনটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। কিন্তু মাত্র একটা লেখায় শেষ হয়ে যাবে? একটা সিরিজ করা যায় না?

frdayeen(দায়ীন) এর ছবি

ভালো লাগার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

চেস্টা করবো।

মন মাঝি এর ছবি

আচ্ছা, বোকার মত কয়েকটা প্রশ্ন করি--

ভবিষ্যতের মানুষ যদি টাইম-ট্রাভেল করার মত প্রযুক্তি আবিষ্কার করতে পেরেই থাকে (বিশেষ করে অতীতমুখি), তাহলে কি এতদিনে আমাদের বর্তমান (এমনকি অতীতও) ভবিষ্যতের টাইম-ট্রাভেলারে ছেয়ে যাওয়ার কথা ছিল না?

আমাদের তো বর্তমানে অনেক ভবিষ্যতের টাইম-ট্রাভেলার দেখতে পাওয়ার কথা কারন টাইম-ট্রাভেল ভবিষ্যতে অলরেডি অর্জিত হয়েই গেছে। আর এভাবে কি বলা যায় না যে, সেরকম কিছু দেখতে পাচ্ছি না যেহেতু - তার মানে হচ্ছে অন্তত অতীতমুখি টাইম-ট্রাভেল ভবিষ্যতেও কখনো আবিষ্কৃত হবে না?

আরেকটা প্রশ্ন, আপনি সেই বিখ্যাত 'গ্র্যাণ্ডফাদার প্যারাডক্স'-টা কিভাবে সমাধান করবেন। মনে করেন, কেউ যদি অতীতে গিয়ে তার নিজের জন্মের আগেই নিজের মা-বাবা-দাদা-দাদিকে (কিম্বা এমনকি নিজেকেই) হত্যা করে আসে - তাহলে তার টাইম-ট্রাভেলটাই তো মিথ্যা হয়ে যায়, কেননা তার জন্মই হয়নি। কিম্বা ধরুন, কেউ যদি মানব-বিবর্তনের আদি পর্যায়ে গিয়ে মানব প্রজাতির পূর্ব-প্রাণীগুলিকেই নিকেশ করে দিয়ে আসল যাতে এই দুনিয়াতে আর কোন প্রাইমেটই না জন্মায় এবং ফলত মানবজাতির অভ্যুদয়ই না ঘটে - তখন টাইম-ট্রাভেলের কি হবে?

ভবিষ্যতমুখি টাইম-ট্রাভেলের বেলাতেও এরকম কথা চিন্তা করা যেতে পারে। টাইম-ট্রাভেলররা ভবিষ্যতে গিয়ে ভবিষ্যতের অবস্থা জেনে ফিরে এসে নিজেদের বর্তমানের কর্মকাণ্ড যদি এমন ভাবে বদলে ফেলে যাতে ঐ ভবিষ্যত আর আদৌ না আসে, তখন যে ভবিষ্যতে ওরা গিয়েছিল ওটার কি হবে? মিথ্যে হয়ে যাবে, নাকি ওদের টাইম-ট্রাভেলটাই মিথ্যে হয়ে যাবে?

একটা শেষ প্রশ্নঃ এই সচলায়তনেই কয়েক জন সচল ছদ্মবেশী ভবিষ্যতের টাইম-ট্রাভেলিং স্পাই বলে খবর পেয়েছি। আপনি কি তাদের একজন?

****************************************

frdayeen(দায়ীন) এর ছবি

ঠিক আপনার এই argument টিই স্টিফেন হকিং কোথাও দিয়েছিলেন সম্ভবত।

কিন্তু মানুষের ধর্ম চেস্টা করা। যেটা আসলে এখনও আমাদের হাতে আসেনি ওটার ফলাফল নিয়ে চিন্তা করাটা কষ্টকর। ওটা সম্ভব হলেই বোঝা যাবে আসলে ব্যাপারটা কেমন!!
এমনও হতে পারে অতীতের বিষয়গুলি পরিবর্তন করা গেলোনা।

বিষয়টি আসলে এখনও আমাদের অজানা। দেখাযাক ভবিষ্যৎ কি বলে। হাসি

একটা শেষ প্রশ্নঃ এই সচলায়তনেই কয়েক জন সচল ছদ্মবেশী ভবিষ্যতের টাইম-ট্রাভেলিং স্পাই বলে খবর পেয়েছি। আপনি কি তাদের একজন?

ডরাইসি ইয়ে, মানে...

দ্রোহী এর ছবি

হিউ এভারেট নামে এক ব্যাটার মাল্টিভার্স হাইপোথিসিসের "লেভেল ৩: মেনি ওয়ার্ল্ড ইন্টারপ্রিটেশন ইন কোয়ান্টাম মেকানিক্স" ব্যবহার করে গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্সের ব্যাখ্যা দেয়া হয়।

MWI এর হিসাবটা এমন: আমরা যে মহাবিশ্বে আছি সেরকম অসীম সংখ্যক মহাবিশ্ব বর্তমান। এই মহাবিশ্বগুলো প্রায় একই রকম কিন্তু একটু আলাদা। সেখানে আমি আপনি সবাই আছি কিন্তু একটু আলাদা ধরনের। ধরেন এই মহাবিশ্বে আমি ছাগু দেখতে পারি না। অন্য মহাবিশ্বে গেলে দেখা যাবে আমি গোলাম আযমের একনিষ্ঠ ভক্ত।

মনে করেন আমাদের মহাবিশ্বে আপনি একটা লুডুর ছক্কা ছুঁড়ে মারলেন। ছক্কাটা মাটিতে পড়ার পর আপনি দেখলেন উপরের পিঠে ৪ পড়েছে। অন্য মহাবিশ্বের অন্য আপনি দেখবেন উপরের পিঠে ৩। আরেক মহাবিশ্বের আরেক আপনি দেখবেন উপরের পিঠে ৬ পড়েছে.......................

সময় পরিভ্রমণ সম্ভব হলে তা হবে মূলত এক মহাবিশ্ব থেকে আরেক মহাবিশ্বে। অর্থাৎ সময় পরিভ্রমণ করে আপনি যদি অতীতে গিয়ে আপনার দাদাকে মেরে ফেলেন তাহলে মূলত যা ঘটবে তা হচ্ছে আপনি সময় পরিভ্রমণ করে আমাদের চেনাজানা মহাবিশ্ব থেকে অন্য মহাবিশ্বে চলে যাবেন। সেখানে গিয়ে উপস্থিত হওয়া মাত্র সেই মহাবিশ্বের গতিপ্রকৃতি পরিবর্তিত হয়ে যাবে। সময়ের সাথে সাথে আপনি যত বিশৃঙ্খলা তৈরি করবেন ততোই মহাবিশ্বদুটোর মধ্যে পার্থক্যের পরিমাণ বাড়তে থাকবে। একবার সময় পরিভ্রমণ শুরু হলে আপনি আর কোনভাবেই আপনার নিজের জগতে ফিরে আসতে পারবেন না।

এই ধারনার উপর ভিত্তি করে গাদা গাদা সায়েন্স ফিকশন লেখা হয়ে গেছে। দেঁতো হাসি

মন মাঝি এর ছবি

সেটাই, 'সায়েন্স' আর 'সায়েন্স ফিকশনে'-এর মধ্যে এটা মনে হয় একটা সায়েন্টিফিক পার্থক্য। সায়েন্সে ফিকশনকে সায়েন্স দিয়ে প্রমান করতে হয়, আর সায়েন্স ফিকশনে সায়েন্সকে ফিকশন দিয়ে প্রমান করা যায়। বড়ই বেরসিক ব্যাপারস্যাপার - ঐ সায়েন্টিস্ট ব্যাটারা যদি গাড়ির আগে ঘোড়া জোঁতার বদলে ঘোড়ার আগে গাড়ি লাগানোর অসামান্য বুদ্ধির মত ফিকশন দিয়ে সায়েন্স প্রমানের মাজেজাটা যদি একটু বুঝতো -- তাহলে আমরা কবেই টাইম-ট্রাভেলিং শুরু করে দিতাম!

জোক্স এপার্ট - হিউ এভারেস্টের নাম শুনিনি, কিন্তু বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও পদার্থবিদ পল ডেভিসের কিন্তু একটা প্যারাডক্স-সমাধান সংক্রান্ত তত্ত্ব আছে। তত্ত্বটা বিজ্ঞানীমহলে গৃহীত হয়েছে কিনা জানি না, কিন্তু অনেক আগে একটা টকশোতে আমি তাকে এই নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তার উত্তরটা এখন আর কিছুতেই মনে পড়ছে না, শুধু মনে আছে বেশি চালাকি করতে গিয়ে একটা ঝাড়ি খেয়েছিলাম। দেঁতো হাসি
প্রসঙ্গত, পল ডেভিসও মনে হয় মাল্টিভার্স তত্ত্বের প্রচারক।

তবে, আমার ব্যক্তিগত ধারণা বৌদ্ধধর্মে বরং এসবের চেয়ে অনেক বেশি পাওয়ারফুল সমাধান আছে, যা একাধারে সায়েন্টিফিক, ফিকশনাল এবং রিলিজিয়াস। কি বিশাল ব্যাপার বলুন দেখি! বিশ্বাসী ধার্মিকদের কাছে সায়েন্টিফিক, অবিশ্বাসীদের কাছে ফিকশনাল, আর ধর্মজাত যেহেতু সেহেতু রিলিজিয়াস। একদম পাক্কা রিলিওসায়েন্স ফিকশনালজিয়াস! আমার এক বুদ্ধিস্ট ফ্রেন্ডের সাথে এনিয়ে তর্ক হয়েছিল একবার। এ তত্ত্বটাও মনে নেই, তবে এটাও অনেকটা ঐ প্যারালেল এক্সিস্টেন্সে জাম্প করা মত কোন একটা ব্যাপার ছিল যদ্দুর মনে পড়ে, কিম্বা এক্সিস্টেন্স প্রতি মুহূর্তে অসংখ্য প্যারালেল সত্তায় বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে - এরকম কিছু। এখন আর ডিটেলস মনে নেই।

****************************************

দ্রোহী এর ছবি

আমি ধর্মগুলো সম্পর্কে যতটুকু পড়েছি তাতে করে দেখেছি প্রচলিত ধর্মগুলোর মধ্যে বৌদ্ধ ধর্ম সবচাইতে আধুনিক, সবচাইতে বিজ্ঞানসম্মত, সবচাইতে শান্তিকামী, এক কথায় সবচাইতে চমৎকার ধর্ম।

কিন্তু যে মানুষটা আত্মশুদ্ধির জন্য রাতের অন্ধকারে সংসার, রাজত্ব ছেড়ে ঘর ছেড়েছিলেন, চরম ত্যাগ তিতিক্ষার ভেতর দিয়ে জীবন অতিবাহিত করেছিলেন তার মূর্তি যখন দেখি সোনা দিয়ে গড়া হয় তখন বৌদ্ধ ধর্মটাকেও অন্য ধর্মগুলোর মত হঠকারী মনে হয়। চোখ টিপি

মন মাঝি এর ছবি

তুলনামূলকভাবে ও তাত্ত্বিক ভাবে সবচেয়ে শান্তিবাদী, এটুকুর সাথে মোটামুটি সহমত। বাকিগুলির ব্যাপারে ঠিক নিশ্চিত নই। আমার কাছে কোন ধর্মই বিজ্ঞানসম্মত নয়। অন্যান্য ব্যাপারেও দ্বিমত আছে। তবে সেগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়।

****************************************

মাহফুজ খান এর ছবি

MWI এর হিসাবটা এমন: আমরা যে মহাবিশ্বে আছি সেরকম অসীম সংখ্যক মহাবিশ্ব বর্তমান। এই মহাবিশ্বগুলো প্রায় একই রকম কিন্তু একটু আলাদা। সেখানে আমি আপনি সবাই আছি কিন্তু একটু আলাদা ধরনের। ধরেন এই মহাবিশ্বে আমি ছাগু দেখতে পারি না। অন্য মহাবিশ্বে গেলে দেখা যাবে আমি গোলাম আযমের একনিষ্ঠ ভক্ত।

কওকি ভাই, তার মানে আমার মত আরো কয়েকটা আছে, যাদের যে কেঊ আইন্সটাইনের মত বুদ্ধিমানও হইতে পারে, ইয়াহুউউউউউ!!!!!!!!!!!!!!

দ্রোহী এর ছবি

তা পারে। আবার অন্য মহাবিশ্বে গেলে দেখবি তোর বুদ্ধি আমাদের পরিচিত দুই চারজন চরম গিয়ানী লোকের মত। চোখ টিপি

কল্যাণF এর ছবি

এহহহহ, মাথা টাথা পুরা খারাপ করে দিচ্ছেন ভাই। উপরে উইপোকা যে প্রশ্নটা করেছেন সেটা যদি ধরতে পেরে থাকি ঠিক মত তাহলে আমারো প্রশ্ন সেটাই। ওয়ার্মহোল দিয়ে যদি যাতায়াত শুরু করি তাহলে ধরে নিতে হচ্ছে যে আমার এবং আমার সাথে সংস্লিষ্ট সব কিছু (এই সচলায়তন, হিমু ভাই, তারক অণু, মানব, শাকিল, চরম উদাস, মাপুতো, উগান্ডায় রাস্তার উপর বসে থাকা বেবুনের দাঁত ভেংচে খাবার দাবী ইত্যাদি ইত্যাদি) সহ অতীতের সব ঘটনা এখন জমা আছে এবং ইন্ডেক্স সহ এক্সেসেবল। আবার ভিবিষ্যতে কি ঘটবে তাও পূর্ব নির্ধারিত এবং ইতোমধ্যে ঘটে বসে আছে, খালি ওই সময়ে পৌছানোর অপেক্ষা। তাইলে আমি যদি কোন্মতে একটা ওয়ার্মহোল পাই এখন আর সেই ছিদ্রপথে যেয়ে ২০৩১ সালে চলে গিয়ে দেখলাম আমি তারেক অণু ফাউন্ডেশনের মালিক হয়ে মেলা টাকা পয়সা করছি, তাইলে কি আমি ওইটাইমের আমারে রিপ্লেস করে ২০৩১ এ থেকে যেতে পারবো? তা যদি না হয় তাইলে আমি আবার আমার ২০১১তে ফিরত এসে কাজ কাম বাদ দিয়ে ওই ২০৩১ এর জন্যে ওয়েট করতে পারি না? তারেক অণু ফাউন্ডেশনের মালিক হওয়ার জন্য যে পূর্ব প্রস্তুতি ও কাজ কর্ম করা দরকার তা কি আমাকে দিয়ে করাইয়া নেয়া হবে অটমেটিকালি? এর মধ্যে ধরেন ২০১২ তে যদি আমি মরে যাই তাইলে ওই ২০৩১ এ তারেক অণু ফাউন্ডেশনের কি হবে? ভালা মুশকিলে পড়লাম, আপনার লেখা পড়ে রবিবারটা নষ্ট হইল। শিজ্ঞির শিজ্ঞির উত্তর দ্যান কইলাম।

frdayeen (দায়ীন) এর ছবি

ভালো গিয়াঞ্জামে পইড়া গেলাম , তাইতো, তারেক অণু ফাউন্ডেশনের কি হবে? চিন্তিত

কল্যাণF এর ছবি

প্রশ্নগুলো শুনতে রসিকতা মনে হলেও আসলে কিন্তু জানার জন্যে করেছিলাম ইয়ে, মানে...

frdayeen(দায়ীন) এর ছবি

কোয়ান্টাম মেকানিক্স অনুযায়ী যদি ব্যাখ্যা করা হয়, তাহলে 'সময়' আপনাকে সুযোগ দেবে এবং আপনার পছন্দ করা পথের উপর নির্ভর করে আপনার ভবিষ্যত নির্ধারিত হবে।
কিন্তু General Relativity অনুযায়ী কে কোথায় কি করবে সেটা world line এ আগে থেকেই ঠিক হয়ে বসে আছে। এখন দেখেন আপনি কোন তত্ত্ব বিশ্বাস করবেন। খাইছে

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আমার একটা জিজ্ঞাসা ছিল। ২৮ বছরের যে লোকটা মহাশূন্যে চলে গেল তাকে নিয়ে। ধরি, ঐ লোকের কপালে লেখা আছে ৭৭ বছর বয়সে মারা যাবে। তাহলে রকেটে করে ৫০ বছর (পৃথিবীর হিসাবে) কাটানোর সময় কি ঐ লোকের মৃত্যু হতে পারে?
চিন্তিত

frdayeen(দায়ীন) এর ছবি

এটা আল্লাহই ভালো জানেন। হাসি

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আচ্ছা, ঠিক আছে মৃত্যু না। লোকটা রকেটে ৫০ বছর (পৃথিবীর হিসাবে) কাটানোর পরে তাকে দেখতে কেমন দেখাবে? ৫৮ বছরের পৌঢ় নাকি ৭৮ বছরের বৃদ্ধের মত? চিন্তিত

দ্রোহী এর ছবি

কপালে লেখা থাকে ক্যামনে? আমি তো জানতাম কপালে তো চামড়া থাকে।

দ্রোহী এর ছবি

চমৎকার!

হাত পা খুলে লিখতে থাকেন।

ল্যাটেকের সাইটটার খোঁজ দেবার জন্য ব্যাপক ধন্যবাদ।

সজল এর ছবি

চলুক
বই আর উইপোকার অ্যানালজিটা নিয়ে একটু বলি। স্পেস টাইম যেমন স্থানের তিন মাত্রা + সময়ের এক মাত্রা = চার মাত্রা, বই এর একেকটা পৃষ্ঠা এখানে সেই স্পেসকে বুঝাচ্ছে (দুই মাত্রার স্পেস) আর বইয়ের পাতা কেটে লম্ব বরাবর হচ্ছে সময়ের মাত্রা। আর সময়ের ডাইমেনশনে সুড়ঙ্গ কেটে সময় পরিভ্রমণ? ঠিক বুঝলাম?

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অতিথি লেখকঃ অতীত এর ছবি

সজল ভাই,
আপনার ব্যাখাটা চমকপ্রদ অনেকটা। আসলে এই বিষয়ে আমিও এক সময় বেশ কিছু ভাবতাম। কিন্তু শেষে এসে সব ভজঘট পাকায় ফেলি। ইয়ে, মানে... আপনি যেভাবে বললেন সেভাবে হয়তো ঠিক। তবে এইখানে আপনার লেখা পড়তে পড়তে পুরোনো একটা চিন্তা মাথায় আসলো। চারমাত্রায় স্পেসের তিনটা মাত্রা এবং টাইমের একটা মাত্রা, এবং মনে হয় আমরা সেই মাত্রায় আছি। এইবার দ্রোহীদা প্যারালেল ওয়ার্ল্ডের যে বর্ণনা দিলেন, সেইরকমভাবে আরও এমন টাইম ও স্পেসের কম্বিনেশন সমৃদ্ধ দুনিয়া থাকতে পারে বা হয়তো আছেই। এইখানে একটা সম্ভাব্যতা আমার মনে হয়, যেমন স্পেসের তিন+টাইমের এক; সেরকমভাবে হয়তো এমন কিছু থাকতে পারে যেখানে (অথবা "যখন") স্পেসের এক+টাইমের তিন। অর্থাৎ তিন ভিন্ন মাত্রার সময়ে একই স্পেস। সেক্ষেত্রে আমাদের এখনকার মতো সময় ভ্রমণ কল্পনা লাগবে না। হাসি বরং সেখানটার তারেক অনু হয়তো স্পেস ভ্রমণের চিন্তা করতে পারেন। দেঁতো হাসি ব্যাপারটা বুঝাতে পারছি কিনা জানি না। আর লক্ষ্য করুন, গ্রান্ডফাদার প্যারাডক্স বলেন আর যেই প্যারাডক্স হোক, আমি যদ্দুর বুঝতেছি আমাদের স্পেসএর একটা চলক বা রাশি অর্থাৎ বস্তুসত্ত্বার পরিবর্তন ঘটানোর চিন্তা করছি। খুন করে ফেলা মানে হতে পারে ভবিষ্যতের ঐ স্পেসে গরমিল ঢুকায় দেয়া এবং সেই অনুযায়ী তার সাথে সংশ্লিষ্ট টাইমের আবহ। কিন্তু এর বাইরে আমাদের আত্মা বা জীবনী বা যেই কল্পনাশক্তি সেটা কি আসলে স্পেসে বা টাইমে লিমিটেড কিনা আমি শিওর না, যদিও প্রভাবান্বিত। কিন্তু আমার ধারণা আমরা আমাদের অস্তিত্ব বলতে যা অনুভব করি সেইটা একটা রাশি বা চলক হতে পারে এবং তা হয়তো স্পেস বা টাইমের এই দোটানা হতে মুক্ত হলেও হতে পারে। অর্থাৎ হয়তো এমন কোনো আমি কোথাও একই স্পেসে দড়ি দিয়া তিনমাত্রার টাইম মাপতেসি। চিন্তিত

যাইহোক, কী কইলাম আর কী কইতে চাইলাম নিজেই মনে হয় ওয়ার্মহোল না, ওয়ার্ডহোলে আটকায় গেছি। ইয়ে, মানে... আর বাংলিশ জগাখিচুড়ির জন্যে দুঃখিত। আপনার চিন্তার সাথে হুট করে মাত্রার ব্যাপারটা মিলে যাওয়ায় এত কথার ফুলঝুরি ছটাইলাম। সব কথার শেষ কথা, শেষ বইলা কিছু নাই দেঁতো হাসি

অতীত

frdayeen(দায়ীন) এর ছবি

কিছুদিন আগে (22 Jun 2011) জগৎকে 4-dimensional (space+time) না বলে 3-dimensional হিসাবে দাবী করা হয়েছে। পেপারটা এখানে পাবেন । তাই আজকাল জগতটাকে চারমাত্রিক দাবী করতে গিয়ে থমকে যাচ্ছি। ইয়ে, মানে...

নৈষাদ এর ছবি

ইন্টারেস্টিং। খুব ভাল লাগল লেখাটা।

frdayeen(দায়ীন) এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

শাব্দিক এর ছবি

লেখাটা পড়তে পড়তে ভাবছিলাম লেখকের নাম হিসেবে আপনার নামটাই দেখব। আপনার লেখা দারুন লাগে।
লিখতে থাকুন এভাবেই (পপ্পন)।
আমরা পড়ে জ্ঞান আহরণ করতে থাকি হাসি আর মন্তব্যে বিভ্রান্ত হতে থাকি। চিন্তিত

frdayeen(দায়ীন) এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

Saima এর ছবি

খুব মজা পেলাম।এত সহজ করে এত জটিল ব্যাপার! এই প্রথম পেলাম। হাসি

frdayeen(দায়ীন) এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

দময়ন্তী এর ছবি

উরিত্তারা! এই লেখাটা হেব্বি পছন্দ হল৷
চলুক

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

frdayeen (দায়ীন) এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

বোধিসত্ত্ব এর ছবি

সহজ ও সুন্দর । হাততালি

আপেক্ষিক আমি এর ছবি

গুল্লি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।