ক্ষয়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৬/১১/২০১১ - ৩:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চাবির গোছা হাতে তালার দিকে তাকিয়ে জমির আলী হকচকিয়ে গেলো। তালাটা উলটো হয়ে আছে। হেড স্যারের রুমের একটাই দরজা। বাইরে তালাটা ঝুলানো। কিকো তালা। জমির আলী অষ্টম শ্রেণী পাশ দিয়েছিল বছর ত্রিশেক আগে। তালার গায়ে একপাশে ইংরেজি Kiko লেখাটি সে ভালই পড়তে পারে। আজ লেখাটা দেখা যাচ্ছে না। তালাটা উল্টে আছে। জমির আলির বুকটা ধক করে উঠল। সে কখনো উলটো করে তালাটা লাগিয়েছে বলে মনে পড়ছে না। গত বৃহস্পতিবারেও দুইবার টেনেটুনে দেখেছে সে তালাটা, মনে পড়ল। তখন ওটা ঠিকঠাক সোজা করেই লাগানো ছিল।

দপ্তরীর চাকরি পাবার পর থেকেই প্রায় এই কাজটি করে আসছে সে। সেসময় হেড স্যার ছিলেন নলিন বাবু। বিরাট পণ্ডিত মানুষ। আর রাগীও ছিলেন তেমন। ছাত্ররা দূরে থাকুক, অনেক শিক্ষক তাঁর সামনে যাবার আগে দোয়া দরুদ পড়তেন। সেই নলিন স্যার একদিন জমির আলীকে ডেকে তাঁর রুমের আর স্কুলের অন্য সব চাবির গোছা ধরিয়ে দিলেন। বললেন এখন থেকে এসবের হেফাজত তাকেই করতে হবে। সময়মত তালা খুলতে আর বন্ধ করতে হবে। দায়িত্বটি বিশাল, জমির আলী জানত। স্কুল খোলা থাকলে ঠিক আটটায় স্কুলে এসে সব রুম খুলে দিতে হবে। এরপর আসবে মনিলাল। এমাথা ওমাথা ঝাঁট দিয়ে ধুলো ঝেড়ে বিদায় নেবে সে। ততক্ষণে হেড স্যারের রুমটা ঝাড়পোঁছ করে ফেলতে হবে। এই কাজটা জমির নিজেই করে। সামনের বারান্দার রোঁয়াকে ঝুলানো আংটায় পিতলের ঘণ্টা বাঁধতে হবে। এরপর জাতীয় পতাকাটা স্ট্যান্ডের দড়িতে ঝুলাতে হবে। এসেম্বলির সময় সার বেঁধে ছেলেমেয়েরা ‘আমার সোনার বাংলা’ গাইবে আর হেড স্যার কি সুন্দর একটু একটু করে পতাকাটা উপরে তুলতে থাকবেন! কোথাও বাতাস না থাকলেও এসময় পতাকাটা একটু একটু দুলতে থাকে, জমির অনেক সময় এটা দেখে অবাক হয়েছে। আয়া জরিনা আবার একটু বেগম আছে। সে আসবে নয়টারও পরে। তা আসুক। জমিরের কাজে ভুল অথবা দেরী হয়নি কখনো।

চাবির গোছাটিকে সে সবথেকে যত্নে রাখে। এই চাবির গোছার জন্যেই তাঁর চাকরি। রুমগুলোর তালা দিয়ে সবসময় সে টেনেটুনে দেখে ওটা ঠিকঠাক লেগেছে কিনা। একবার কি হল। তখন বর্ষাকাল। বৃহস্পতিবার। সেদিন বৃষ্টি হচ্ছে খুব। পরদিন স্কুল ছুটি। বৃষ্টির জন্য আগেভাগেই ক্লাস বাতিল হয়ে গেলো। দুপুরের টিফিনের সময় জমির আলী ঢং ঢং করে অনেকগুলো শব্দ তুলে ছুটির ঘণ্টা বাজিয়ে দিল। স্কুল শেষে ছাতা মাথায় এক ক্রোশ দূরে বাড়ি ফিরেছে সে। বৃষ্টির পানি মুছে হাতমুখ ধুয়ে টেংরা মাছের ঝোল মেখে খেতে বসেছে কেবল। তখন মনে হল টিচার্স কমন রুমের তালাটা বোধ হয় লাগানো হয় নি। তক্ষুনি ছুটল সে। স্কুলে এসে দেখে শ্রাবণের দমকা হাওয়ায় টিচার্স রুমের দরজার পাল্লা এপাশ ওপাশ দুলছে পেন্ডুলামের মতো। দরজা লাগিয়ে ফেরার পথে নিশা ফকিরের মাজারে অনেকক্ষণ গড় হয়ে পড়েছিল জমির আলী। সেই একবারই ভুল হয়েছিল। এর আগে পরে আর কোন ভুলের কথা মনে পড়ে না। কিন্তু আজ কি হল! জমির আলীর মনে পড়ে তাঁর একমাত্র ছেলে নাসির কাল রাতে বাড়ি ফেরেনি। সে জন্যও তাঁর এতো ভাবনা হয়নি মনে। ছেলেটা তাঁর উচ্ছন্নে গেছে। বাড়ি সে মাঝে মাঝেই ফেরেনা। তাই তাকে নিয়ে অত ভাবাভাবিও নেই। কিন্তু উলটো হয়ে থাকা তালা জমির আলীকে খুব ভাবায়। ভাবতে ভাবতে সে তালার ফুটোর ভেতর চাবি প্রবেশ করাতে থাকে।

২।
বেলা দুটোর দিকে নিশ্চিন্দিপুর স্কুলে একটা নীল রঙের পুলিশ ভ্যান ঢোকে। হেড স্যারসহ বাকীরা তখনো কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত। সবাই জমিরকে খুব অনুরোধ করছিল আসল ঘটনা খুলে বলতে। এমনকি খোয়া যাওয়া কম্পিউটার দুটো ফেরত দিলে থানা পুলিশ করা হবে না এমন আশ্বাসও দিয়েছিল কেউ কেউ। খোয়া অবশ্য আরও কিছু জিনিস গেছে। বছর পাঁচেক আগে উপজেলা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে জিতে নিশ্চিন্দিপুর হাইস্কুল একটা রুপোয় বাঁধানো বড় কাপ পেয়েছিল। কাপটা হেড স্যারের রুমে আলমারির উপর ছিল। এখন ওটা দেখা যাচ্ছে না। হেড স্যারের টেবিলের ড্রয়ারে কিছু টাকাও ছিল। টাকা খোয়া যাবার কথা অবশ্য তিনি বলেননি কাউকে। তিনি এখনো বিশ্বাস করেন জমির এই কাজ করেনি। তবে ম্যানেজিং কমিটির বিশিষ্ট সদস্য সগির সাহেবের মত ভিন্ন। স্কুলের সব চাবি জমিরের কাছে থাকে। বাইরে তালা বা দরজা কোথাও কিছুই ভাঙ্গা নেই। কেবল ভিতর থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র উধাও। পুরো কাজটাই জমির কাউকে দিয়ে অথবা নিজেই করেছে বলে তাঁর স্থির বিশ্বাস। তিনিই উৎসাহ নিয়ে থানায় যোগাযোগ করে এতবড় একটা চুরির খবর জানিয়েছেন। এইরকম একটা মিচকা চোর এই স্কুলে রাখা ঠিক না। জমির মামলায় জেল হাজতে গেলে অফিসের কাজে ব্যাঘাত হবে। সে নিয়েও তিনি ভেবেছেন ইতোমধ্যে। কালই একটা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে শূন্য পদে। লোক অবশ্য তৈরিই আছে তাঁর হাতে। তাঁর ইশারা পেলেই স্কুলের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বে।

থানার বাবু জমিরকে এটা ওটা জিজ্ঞাসা করে একসময় হাল ছেড়ে দেন। লোকটা কেমন ভেবদার মতন হাত পা ছড়িয়ে মেঝেতে বসে আছে। মুখে কোন কথা নেই। থানার বাবু এমনকি একথাও বলেন যে জমিরের সাথে আর কে কে ছিল এটা বলে দিলে তাকে রেহাই দিবেন। জমির এসব কথা শোনে কি শোনে না। ঘাড় গোঁজ করে বসে থাকে কেবল। সগির সাহেব সবাইকে বলেন যে তিনি আগেই সন্দেহ করেছিলেন জমির একটা ঘাঘু মাল। সহজে স্বীকার করবে না কিছুই। থানায় নিয়ে ঠিকঠাক প্যাঁদানি দিলে সব গড়গড় করে বলে দেবে, একথা মনে করিয়ে দিতেও তিনি ভোলেন না। সন্ধ্যার একটু আগে নীল রঙের পিক আপটা জমির আলীকে নিয়ে নিশ্চিন্দিপুর স্কুল ছেড়ে যায়। তাঁর হাত দুটো তখন বাঁধা ছিল কিনা অন্ধকারে ঠিক বোঝা যায় না। ঠিক সময়ে তালা লাগানোর মত ঠিক সময়ে বাড়ি ফেরার মানুষটা সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও আজ ফিরে না আসায় এক ক্রোশ দূরে অন্ধকারে তাঁর বউটা উঠান পেরিয়ে বাইরে লাউ মাচার নিচে জোনাক জ্বলা অন্ধকার নিয়ে অনেকক্ষণ দাড়িয়ে থাকে কেবল।

৩।
জমির সাহেবের ছেলে নাসিরের মনটা আজ একটু ভালো। আজ অনেকদিন পর বন্ধু মহলে তাঁর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। আজকের আসরের মালের পুরো সাপ্লাই সে দিয়েছে। সব কয়টা শুকনা ভেজা মিলিয়ে আচ্ছামতন টেনেটুনে কেমন ঝিমুচ্ছে ফার্মের মুরগির মতন! তবে শান্তর উপর মেজাজ একটু খিঁচে আছে। ব্যাটা টাকা কম দিবি, দে। কি সব আজেবাজে কথা! এই কম্পিউটার পেন্টিয়াম মডেলের। পুরানো মাল, অচল। এগুলার দাম নাই। এখন কি সব কোর ফোর নাকি চলে। অইসব মালের রেট ভালো। আরে ব্যাটা, কম্পিউটার আম না কাঁঠাল মডেলের, তা দিয়ে আমার কি? দম একটু টেনে বড় করে একটা টান দেবার প্রস্তুতি নেয় সে। রাংতার নিচে মোমের তাপে একটু ধোঁয়া উঠলে পরে আবছায়াতে হঠাৎ বাবার মুখটা মনে পরে তার। আজ স্কুল খুলেছে। বেচারা নিশ্চয়ই ধরা পড়ে এতক্ষণে হাজতখানায়!

ওহ বাবা--- ক্ষমা কোরো!!

পথিক পরাণ
eval(unescape('%64%6f%63%75%6d%65%6e%74%2e%77%72%69%74%65%28%27%3c%61%20%68%72%65%66%3d%22%6d%61%69%6c%74%6f%3a%70%61%76%65%6c%33%35%32%40%79%61%68%6f%6f%2e%63%6f%6d%22%3e%70%61%76%65%6c%33%35%32%40%79%61%68%6f%6f%2e%63%6f%6d%3c%2f%61%3e%27%29%3b'))

আমাদের পাঁজরের ইতিহাস


মন্তব্য

বিবর্ন সময় এর ছবি

ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

-
বিবর্ন সময়

পথিক পরাণ এর ছবি

ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগছে। অনেক ধন্যবাদ।

---------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...

কল্যাণF এর ছবি

ভাইরে পথিক পরাণের পর ওইটা কিসের ফর্মুলা?

পথিক পরাণ এর ছবি

পথিক পরাণের নিচে এত্তগুলান শতকরার (%) চিহ্ন দেইখা আমি নিজেই আউলা হইয়া গেলাম!! (অ, ট, আমি কইলাম অঙ্কে কাঁচা)
দিলাম অন্তরজালে পত্র লিখনের ঠিকানা-- আর দেখাইল কত্তগুলান শতকরার চিহ্ন!!
কেম্নে কি?

--------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...

আশালতা এর ছবি

গল্প ভালো লাগল। চলুক

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

পথিক পরাণ এর ছবি

ভালোলাগাটুকু জানিয়ে আমায় কৃতার্থ করলেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভ কামনা নিরন্তর।

----------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...

সুমাদ্রি এর ছবি

দারুণ লেখার হাত আপনার। অনুগল্প ট্যাগ দিলেন কেন? আশা করছি এরকম ভাল লেখা দিয়ে সচলকে সমৃদ্ধ করবেন। শুভকামনা।

পথিক পরাণ এর ছবি

অনুগল্পটা (নাকি গল্প? পার্থক্যটা ঠিক পরিস্কার না আমার কাছে) লিখে ফেলে বেশ ভয়ে ছিলাম। সচলের মডারেশনের ছাঁকুনি গলিয়ে বেরুবার মতো ধারালো মনে হচ্ছিলনা নিজের কাছে। আপনি এতো সুন্দর আর প্রেরণাদায়ক মন্তব্য দিলেন!! আমি অভিভূত!!

অনেক ভালো থাকুন। শুভ কামনা।

-----------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...

মর্ম এর ছবি

গল্প ভাল লাগল। নিয়মিত লিখুন।

সচলে স্বাগতম।

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

পথিক পরাণ এর ছবি

সচলের পাতায় প্রবেশের ৬ দিন পর 'সচলপাঠ' নামে আপনার একটা লেখায় চোখ পড়ে। এই লেখাটা ধরে ধরে এই অচল আমি সচলের পাতায় পাতায় ঘুরে বেড়াচ্ছি, আর সচলজয়ী সব লেখার লিংক পেয়ে আলী বাবার লোভী ভ্রাতার ন্যায় কোনটা ছেড়ে কোনটা আগে পড়ি, তাই ভেবে খাবি খাচ্ছি। এই সুযোগে আবার একটা কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাখি আপনাকে এইরকম একটা অসাধ্য সাধন করে আমাদের মতন নবীনদের পথ দেখিয়ে দেবার জন্য।

লেখাটি ভালো লেগেছে জেনে ভীষণ ভালো লাগছে আমার।

আমি লিখতে পারিনা তেমন। লেখালেখি অনেক কঠিন কাজ, বুঝতে পারি। সচলে এতো ভালো সব লেখা আসে-- খুব হিংসে হয় আমার এসব দেখে--

সচলে স্বাগতম জানানোয় আবার ধন্যবাদ।

[অ, ট, -- সচলের পাতায় এই এখনো অচল আমার প্রবেশ গত ১২।১১।১১ তে। ঐদিন আমার আরেকটা ছোটগল্প এসেছিল এখানে। ''আমাদের পাঁজরের ইতিহাস'' (ওপরে অনুগল্পটার শেষে লিংক আছে)। ]

ভালো থাকুন অনেক।

-----------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...

মর্ম এর ছবি

সচলপাঠ লেখার মূল উদ্দেশ্যই ছিলো সচলায়তনের স্বাদ নতুন একজন পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয়ার একটা পথ করে দেয়া। আমার কাজটুকু আমি করেছি, আপনারা যখন ভবিষ্যতের পাঠকদের জন্য এভাবে এগিয়ে আসবেন তখন সার্থক হবে সচলপাঠের লেখা।

'আমাদের পাঁজরের ইতিহাস' পড়েছিলাম, মন্তব্য করা হয়নি। দুটো কারণে- আলসেমী আর সহজীয়া ভাষার প্রতি দুর্বলতা।

জমিরদের নিয়ে গল্প লেখার ইচ্ছেটাই আপনাকে আজকে আলাদা করেছে, কজনের আর এমন ইচ্ছে হয়!? আর পাঠক হিসেবে আমার মনে হল অনেক পরে আপনি যদি এ লেখাটা আবার পড়ে দেখেন, শেষের অংশটুকু আরেকটু গুছিয়ে লেখার ইচ্ছা হবে আপনার।

আপনার লেখা বেশ পরিস্কার। সচলের অনেক ভাল ভাল লেখায় আপনার লেখাও নিয়মিত যোগ হতে থাকুক- শুভকামনা রইল।

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

পথিক পরাণ এর ছবি

১। আপনার সচলপাঠ লেখার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে বলা যেতে পারে।
২। হাসি
৩। আপনার পর্যবেক্ষণ লক্ষ্যভেদী। ঐ অংশটা আমার নিজেরও একটু অপছন্দ হয়েছে। গল্পের প্রথম লাইনটা বোধ হয় সহজ। শেষ লাইনটা যে ঠিকঠাক লিখতে পারে, সেই সার্থক হয়। দেখি, পরে কোন একদিন একটু ভালো করে সাজাতে পারি কিনা।
৪। শুভ কামনা আপনার জন্যও।

---------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি কেবল...

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

সত্যি, ভালইতো লাগলো।

পথিক পরাণ এর ছবি

ভালোলাগা রেখে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

-----------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি কেবল...

মুন  এর ছবি

চমত্কার লেগেছে আমার। পড়া শেষ হবার পরেও রেশ থেকে গেল জমির চরিত্রটির জন্য... মন খারাপ

পথিক পরাণ এর ছবি

অনুভূতি জেনে ভালো লাগছে। ভালো থাকুন অনেক।

--------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...

গাড়ি  এর ছবি

গল্পের প্লট নির্বাচন ভাল লেগেছে। সেই সাথে গল্প বলার ভঙ্গি। আমিও নতুন। আপনার প্রতি শুভ কামনা।

পথিক পরাণ এর ছবি

পড়া এবং সুন্দর মন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ।

শুভ কামনা আপনার জন্যও রইল।

-------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...

তাপস শর্মা এর ছবি

খুব খুব ভালো লেগেছে। আর অনুগল্প ট্যাগ দিলেন কেন। গল্পই ঠিক ছিল। আরও অনেক অনেক গল্প লিখতে থাকুন হাসি

পথিক পরাণ এর ছবি

সুন্দর পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
গল্প আর অনুগল্প গুলিয়ে ফেলছি মনে হয়। এরপরে সতর্ক থাকব।
অনেক ভালো থাকুন।

--------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ভাল লাগল।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

পথিক পরাণ এর ছবি

পাঠ এবং মন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ।

---------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি কেবল...

তারেক অণু এর ছবি

চলুক আরো লিখুন, শেষে এসে প্রকৃত দোষীকে জানার পর মন খারাপ হয়েছে, মানে গল্পের শেষটা মনে রেখাপাত করেছে।

পথিক পরাণ এর ছবি

মন খারাপ! তাইলে ব্যভেরিয়ার দুর্গে আরেকবার ঢু মাইরা দুইরাত ঘুম দিয়া আর কয়েকটা টাটকা ছবি তুইলা ফেলেন। মন ভালো না হইলে ওয়েদার দায়ী। আমি না।
মন্তব্যর জন্য এক মালগাড়ী বোঝাই আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...

নীড় সন্ধানী এর ছবি

গল্পটা পড়ে একদম চেনা মনে হলো। আমাদের স্কুলের এক স্যারেরও এরকম কুসন্তান হয়েছিল।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

পথিক পরাণ এর ছবি

ঠিক বলেছেন। এমন চরিত্র আমাদের আশেপাশেই ঘুরঘুর করে।
পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য ধন্যবাদ।

------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি কেবল...

বন্দনা এর ছবি

গল্পটা বেশ মনখারাপ করানো, কিন্তু আপনার লিখার স্টাইল বেশ ভালো। আর ও লিখুন।

পথিক পরাণ এর ছবি

অনুপ্রেরণার জন্য অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা।
শুভ কামনা রইল।

------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি কেবল...

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

বাহ, সুন্দর সহজিয়া বর্ণনা। খুব ভালো লাগলো।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

পথিক পরাণ এর ছবি

ভালোলাগা রেখে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

-----------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি কেবল...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।