সমান্তরাল জগতের ক্যারিক্যাচার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০৫/১২/২০১১ - ৫:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মনে করুন আপনার চেনা জগতের পাশাপাশি এমন একটি জগৎ রয়েছে, যেখানে ঠিক আপনার মতই ঠিক আরেকজন রয়েছে? অথবা এমন কি হতে পারে যে আমাদের এই পৃথিবীর মতই আরেকটি পৃথিবীর অস্তিত্ব আছে? ঠিক ধরেছেন, আমি প্যারালাল ইউনিভার্সের কথাই বলছি।

সায়েন্স ফিকশন মুভিতে সমান্তরাল জগত নিয়ে যে পরিমান ক্যারিক্যাচার করা হয়েছে তা মনে হয় আর কোন জায়গায় করা হয় নাই! ইয়ে, মানে... কিন্তু সমান্তরাল জগত কি শুধুই কল্পনা? নাকি আসলেই সম্ভব?

মজার ব্যাপার হলো সমান্তরাল জগতের ধারনাকে কিন্তু তাত্ত্বিক পদার্থবিদরা একদম উড়িয়ে দেননি। এমনকি স্টিফেন হকিং থেকে শুরু করে MIT এর Max Tegmark,Alan Guth এর মতো কসমোলজিস্টরাও প্যারালাল ইউনিভার্স নিয়ে বেশ কাজ করেছেন।

১৯৯৫ সালে আমেরিকায় ৭২ জন নামী-দামি পদার্থবিদদের নিয়ে একটি ভোট করা হয়। দেখা যায় প্রায় প্রায় ৫৮% পদার্থবিদ সমান্তরাল জগতের অস্তিত্বকে সমর্থন করে ভোট প্রদান করেন। আসুন তবে এতসব জল্পনা-কল্পনাকে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে দেখা যাক।

সমান্তরাল জগতটি আসলে কেমন? এসম্পর্ক তিন ধরনের মতামত পাওয়া যায়। যারা বিজ্ঞান নিয়ে চর্চা করেন তারা সকলেই জানেন, আমাদের সৌর জগতের বাইরেও একাধিক সৌর জগত রয়েছে। এভাবে একাধিক সৌরজগতের সমন্নয়ে সৃষ্টি গ্যালাক্সি। এবং সমস্ত মহাবিশ্ব এরকম আরও অনেক গ্যালাক্সি রয়েছে, যাদের অস্তিত্ব আমরা এখনো জানিনা।

কসমোলজিস্টদের দৃষ্টিতে মহাবিশ্বের এই সংজ্ঞাটি একটু ভিন্ন। তাদের মতে আমরা মহাবিশ্বে ঠিক যেটুকু অংশকে দেখতে পাই ঠিক সেটুকুই আমাদের মহাবিশ্ব, অর্থাৎ যদি যদি কোন বস্তু আমাদের বিশ্বে অবস্থান করে তবেই আমরা শুধু তা দেখতে পারবো (সেখান থেকে আলো পৌছাতে যত দেরীই হোকনা কেন), আর যেটুকু আমরা দেখতে পারবোনা সেটি আসলে আমাদের বিশ্বের বাইরে অবস্থিত।

এভাবে চিন্তা করলে আমাদের মহাবিশ্বটিকে একটি আকৃতি দিতে সুবিধা হয়। মনে করুন আমাদের মহাবিশ্বটি এরকম একটি স্ফেয়ারের এর মত-

এই স্ফেয়ারের ভেতর যা কিছু আছে (গ্রহ-নক্ষত্র) সব কিছুই আমাদের পক্ষে দেখা সম্ভব। কিন্তু ঠিক এই স্ফেয়ারটির পাশেও আরও একাধিক স্ফেয়ার থাকতে পারে যাদের আকার-আকৃতি একরকম কিন্তু যাদের মধ্যে পদার্থবিজ্ঞানের মূলসূত্রগুলি কাজ করে থাকে, এবং একটি স্ফেয়ারে মধ্যে অবস্থিত বাসিন্দারা অন্য স্ফেয়ারটি সম্পর্কে জানেনা!

অন্য স্ফেয়ারগুলিও (মহাবিশ্ব) ঠিক আমাদের মহাবিশ্বের মতো 'বিগ ব্যাং' থেকে সৃষ্টি হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে এক মহাবিশ্ব থেকে অন্য মহাবিশ্বে ভ্রমন করতে যে পরিমান শক্তি প্রয়োজন তা অর্জন করা প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি (যদিনা দুই মহাবিশ্বের মাঝে একটি ওয়ার্মহোল তৈরি করা যায় তা ছাড়া)।

দ্বিতীয় ধারনাটি কি? এধারনা অনুযায়ী প্রতিনিয়তই একটি নতুন বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে নতুন নতুন মহাবিশ্ব সৃষ্টি হচ্ছে। অর্থাৎ যে মূহুর্তে সচলে আপনি এই লিখাটি পরছেন হয়তো ঠিক সেই মূহুর্তেই মহাবিশ্বের কোন জায়গায় বিগব্যাং ঘটে নতুন মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে। নতুন এই মহাবিশ্বটিকে বলা হয় 'Baby Universe'

সৃষ্টির ঠিক ঐ অবস্থায় দুটি বিশ্বের মধ্যে একটি সেতু তৈরি হয় খুবই কম সময়ের জন্য এসময়ে ওখান দিয়ে কেউ ইচ্ছে করলে নতুন baby universe এ প্রবেশ করতে পারবেন।

কল্পনা করতে সমস্যা হচ্ছে? আচ্ছা ধরুন আমাদের জগতটি সাবানের bubble এর মতো'


একটি বড় বাবল আমাদের বিশ্ব আর আশে-পাশের বাবলগুলি সমান্তরাল মহাবিশ্ব।

এখন একটি বুদবুদ থেকে আরেকটি বুদবুদ (শিশু মহাবিশ্ব) তৈরি হবার ঠিক আগ মূহুর্তে দুটি বুদবুদের মাঝে যেরকম সংযুক্তি থাকে সেরকম বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে আলাদা হয়ে যাওয়া দুটি বিশ্বের মাঝেও খুব অল্প সময়ের জন্য ( সেকেন্ড মাত্র) সেরকম সংযুক্তি থাকবে।

সমস্যা হলো এই দুই মহাবিশ্বে মধ্যকার এই সেতুটি প্রস্থ খুবই কম। এবং মাত্র সেকেন্ডে এতো অল্প জায়গা দিয়ে ঐ বিশ্ব প্রবেশ করা সহজ কোন কাজ নয়! ইয়ে, মানে...

তৃতীয় ধারনাটি একটু সুবিধাজনক। এধারনা অনুযায়ী আমদের জগতের পাশাপাশি সমান্তরাল জগতগুলি অবস্থিত। দুই জগতের মাঝামাঝি একটি dimensional membrane বা পর্দা দুটি জগতকে আলাদা করে রেখেছে। অন্য জগতে যাবার সবচেয়ে সহজ উপায়টি হলো, কোন একটি ধারালো ছুরি (লেজারের তৈরি) দিয়ে এই পর্দাটিকে ছিদ্র করে ফেলা।

পর্দাটিকে ছিড়ে-ফুড়ে ফেলার জন্য যতটুকু ধারালো লেজার-চাকু দরকার খাইছে তা এই মূহুর্তে মানুষের কাছে নেই অবশ্য। তাতে কি! হয়তো কোন একদিন আমরা সেটাও তৈরি করে ফেলতে পারবো। আশা করতে দোষ কথায়? হাসি

দায়ীন (frdayeen)

পাদটীকা

ছবি: 
24/08/2007 - 2:03am

মন্তব্য

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

সহজ করে লেখার জন্যে অভিনন্দন।

বিষয়ে যাই।

অন্যবিশ্বের অস্তিত্ব কীভাবে যাচাই করা যায়? অন্যবিশ্বের অস্তিত্বটা আনার কেনো প্রয়োজন পড়লো বিজ্ঞানে? এমন কি প্রমাণ হতে পারে যে অন্যবিশ্ব নেই? জানলে জানাতে কার্পণ্য করবেন না। হাসি

দ্রোহী এর ছবি

এমন কি প্রমাণ হতে পারে যে অন্যবিশ্ব নেই?

এখনো তো প্রমাণ হয়নি যে অন্যবিশ্ব আছে। দেঁতো হাসি

অন্যবিশ্বের অস্তিত্ব কীভাবে যাচাই করা যায়?

আপাতত মনে হয় গণিত ছাড়া আর কোন অস্ত্র মানুষের হাত নাই। মন খারাপ

অন্যবিশ্বের অস্তিত্বটা আনার কেনো প্রয়োজন পড়লো বিজ্ঞানে?

“While the Copernican principle comes with no guarantees that it will forever guide us to cosmic truths, it's worked quite well so far: not only is Earth not in the center of the solar system, but the solar system is not in the center of the Milky Way galaxy, the Milky Way galaxy is not in the center of the universe, and it may come to pass that our universe is just one of many that comprise a multiverse. And in case you're one of those people who thinks that the edge may be a special place, we are not at the edge of anything either.” ― Neil deGrasse Tyson

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ উত্তর করার জন্য।

এমন কি প্রমাণ হতে পারে যে অন্যবিশ্ব নেই?

এখনো তো প্রমাণ হয়নি যে অন্যবিশ্ব আছে।

ভাবছি যে তারপরেও "এমন কি প্রমাণ হতে পারে যে অন্যবিশ্ব নেই" একটি ভ্যালিড প্রশ্ন।

আপাতত মনে হয় গণিত ছাড়া আর কোন অস্ত্র মানুষের হাত নাই। মন খারাপ

যেসব বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব পর্যবেক্ষণ দিয়ে যাচাই করা যায় না (অন্তত এই মুহূর্তে), তাদের সাথে ইতোমধ্যে যাচাইকৃত প্রতিষ্ঠিত তত্ত্বের গুণগত বা স্ট্যাটাসগত পার্থক্য আছে না? সেরকমই তো আমার মনে হয়।

আর সৌরজগতের মডেল, গ্যালাক্সির অস্তিত্ব এইসবের ধারণাই তো পর্যবেক্ষণের কারণে আনয়ন হয়েছে। পৃথিবীকে কেন্দ্র থেকে বিতাড়ণের প্রয়োজনও পড়েছিলো পর্যবেক্ষণের সাথে পৃথিবীকেন্দ্রিক মডেলের অসামাঞ্জস্যতা দূর করার জন্য। এই সবের আনয়ন পর্যবেক্ষণ তাড়িত। মানে প্রয়োজনে। এর বাইরেও অনেক কিছু প্রস্তাবিত হয়েছে যা পরে পর্যবেক্ষণ করা গেছে। কিন্তু পর্যবেক্ষণ করার আগেই তার অস্তিত্ব নিয়ে একধরনের ছদ্মনিশ্চয়তা প্রকাশ করা হয়, যেটা ওটার প্রপোনেন্ট থেকে চালিত হয়ে মিডিয়ায় আর বিজ্ঞানউৎসুক জনগণের মাঝে পরিব্যপ্ত। আগের দিনে পর্যবেক্ষণ দ্বারা প্রমাণ না হলে আইনস্টাইনের কথাও কেউ মানতো না। এখন প্রমাণ আসার আগেই মিডিয়াতে তত্ত্বগুলো কল্পবাস্তবতা লাভ করে।

দায়ীন (frdayeen) এর ছবি

দ্রোহী অনেক ধন্যবাদ! হাসি

ধ্রুব বর্ণন:

"এমন কি প্রমাণ হতে পারে যে অন্যবিশ্ব নেই" একটি ভ্যালিড প্রশ্ন।

সহমত।

আপাতত মনে হয় গণিত ছাড়া আর কোন অস্ত্র মানুষের হাত নাই। মন খারাপ

যেসব বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব পর্যবেক্ষণ দিয়ে যাচাই করা যায় না (অন্তত এই মুহূর্তে), তাদের সাথে ইতোমধ্যে যাচাইকৃত প্রতিষ্ঠিত তত্ত্বের গুণগত বা স্ট্যাটাসগত পার্থক্য আছে না? সেরকমই তো আমার মনে হয়।

একথাটির সাথে ঠিক ১০০ভাগ সহমত নই। কারন এটা আগেও প্রমান হয়েছে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানীরা কোন কিছু হয়তো কাগজে কলমে প্রমান করে গেছেন, কিন্তু পরীক্ষামূলকভাবে সেটা পেতে বেশ কিছুদিন লেগে গেছে। সুতরাং কখনই এটির সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছেনা।
যেটা এখন রূপকথার মতো লাগছে বলে বিশ্বাস করতে গিয়ে বাধা আসছে, সেটা হয়তো কাল বাস্তবে রূপ নিবে।

আর সমান্তরাল জগতে যে আমাদের প্রতিরূপই থাকতে হবে এমন কোন কথা কিন্তু নেই। সেখানে অন্য ধরনের প্রাণীও থাকতে পারে।

এখন প্রমাণ আসার আগেই মিডিয়াতে তত্ত্বগুলো কল্পবাস্তবতা লাভ করে।

মিডিয়াতে বাস্তবতা লাভ করা আর বৈজ্ঞানিকদের কাছে সেটার স্বীকৃতি পাওয়া দুইয়ের মধ্যে একটু পার্থক্য রয়েছে। আপনার যদি তবুও মনে হয়, চাইলে arxiv এ গিয়ে multiverse লিখে search করে দেখতে পারেন। এপর্যন্ত প্রায় ১৫০+ রিসার্চ পেপার লেখা হয়ে গিয়েছে এব্যাপারটি নিয়ে। হাসি

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

যেসব বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব পর্যবেক্ষণ দিয়ে যাচাই করা যায় না (অন্তত এই মুহূর্তে), তাদের সাথে ইতোমধ্যে যাচাইকৃত প্রতিষ্ঠিত তত্ত্বের গুণগত বা স্ট্যাটাসগত পার্থক্য আছে না? সেরকমই তো আমার মনে হয়।

একথাটির সাথে ঠিক ১০০ভাগ সহমত নই। কারন এটা আগেও প্রমান হয়েছে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানীরা কোন কিছু হয়তো কাগজে কলমে প্রমান করে গেছেন, কিন্তু পরীক্ষামূলকভাবে সেটা পেতে বেশ কিছুদিন লেগে গেছে। সুতরাং কখনই এটির সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছেনা।

যেটা এখন রূপকথার মতো লাগছে বলে বিশ্বাস করতে গিয়ে বাধা আসছে, সেটা হয়তো কাল বাস্তবে রূপ নিবে।

আমারো তো কথা সেটাই। হয়তো। তার মানে হয়তো নাও হতে পারে। ঠিক কি না? নাকি নিশ্চিত যে হবেই, যেহেতু তত্ত্বে দেখানো হয়ে গেছে। পর্যবেক্ষণ খালি সময়ের ব্যাপার? প্রতিষ্ঠিত তত্ত্বগুলো নিয়ে কিন্তু আমরা এই ধরনের হয়তো মার্কা স্টেটমেন্ট দেই না, তাই না? ওগুলো প্রমাণিত হয়ে গেছে। এটা কি এই দুই ধরনের তত্ত্ব সম্পর্কে একটা গুণগত পার্থক্য নির্দেশ করছে না? একটা প্রতিষ্ঠিত, আরেকটা হয়তো - হয়তো না? এই পার্থক্যটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যবেক্ষণের আগে তত্ত্ব বিজ্ঞান হয় না। এই পার্থক্যটা অনেকেই স্বীকার করেন না এইগুলি নিয়ে কথা বলার সময়।

মিডিয়াতে বাস্তবতা লাভ করা আর বৈজ্ঞানিকদের কাছে সেটার স্বীকৃতি পাওয়া দুইয়ের মধ্যে একটু পার্থক্য রয়েছে। আপনার যদি তবুও মনে হয়, চাইলে arxiv এ গিয়ে multiverse লিখে search করে দেখতে পারেন। এপর্যন্ত প্রায় ১৫০+ রিসার্চ পেপার লেখা হয়ে গিয়েছে এব্যাপারটি নিয়ে।

অবশ্যই। আমি তো আর বলছি না যে মিডিয়া থেকে এটা সৃষ্টি। হাইপোথিসিসটা দেয়ার জন্যে পেপার তো লিখতেই হবে। তা পেপার বা বিজ্ঞানীর স্বীকৃতি মানেই বিজ্ঞানের বাস্তবতা না। বিজ্ঞানে তত্ত্ব প্রমাণ করার জন্যে এক হাজারটা পেপার বা এক হাজারটা বিজ্ঞানীর স্বীকৃতি লাগে না। একটা মোক্ষম পুনরুৎপাদনযোগ্য পর্যবেক্ষণগত প্রমাণের প্রয়োজন পরে খালি।

দায়ীন (frdayeen) এর ছবি

একটা মোক্ষম পুনরুৎপাদনযোগ্য পর্যবেক্ষণগত প্রমাণের প্রয়োজন পরে খালি।

এবার বুঝেছি। আপনি জানতে চাচ্ছেন এটির অস্তিত্ব পরীক্ষা করার কোন উপায় আছে কিনা! হ্যাঁ রয়েছে। CMB (Cosmic microwave background radiation) এর মাধ্যমে এর অস্তিত্ব আছে কি নেই সেটা প্রমান করা সম্ভব।

CMB এর মাধ্যমে প্রাপ্ত Data বিশ্লেষন করা অনেক দীর্ঘ ও জটিলতর একটি প্রক্রিয়া। ঠিক এজন্যই 'আছেই' বলে কেউ দাবী করছেনা। কিন্তু অস্তিত্ব থাকলে সেটা CMB এর মাধ্যমে নির্ণয় করা সম্ভব। হাসি

উচ্ছলা এর ছবি
দায়ীন (frdayeen) এর ছবি

আপনাকে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নিটোল এর ছবি

অনেক ভালো। তবে লেখা এতো ছোট ক্যানে? আরো বড়ো করে লিখুন। আরো জানতে মঞ্চায়!

_________________
[খোমাখাতা]

দায়ীন (frdayeen) এর ছবি

ধন্যবাদ, চেস্টা করবো হাসি

চিলতে রোদ এর ছবি

একজন বিজ্ঞান বিষয়ক লেখকের সবচেয়ে বড় সাফল্য আমি মনে করি তার লেখাটি আমজনতার কাছে আনন্দদায়ক করে তোলা। আপনি সেই ক্ষেত্রে ১০০ভাগ সফল।
হাততালি

দায়ীন (frdayeen) এর ছবি

আপনাকে অনেক অনেক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

রাব্বানী এর ছবি

এই দেখেন দ্বিতীয় পৃথিবী
http://www.bbc.co.uk/news/science-environment-16040655

দায়ীন (frdayeen) এর ছবি

চলুক

KamrulHasan এর ছবি

তিন, চার, দশ না এগারো? ডাইমেনশনের তো ডি ও দেখলাম না! পড়তে এসে আশাহত হলাম। কল্পনার ডানা মেলতেই দিলেন না। আরো গোছালো আরো ব্যাপক জানতে চাই।

দায়ীন (frdayeen) এর ছবি

ডাইমেনশনের বিষয়টা নির্ভর করবে আপনি কোন থিওরী বিশ্বাস করেন তার উপর। স্ট্রিংথিওরীস্টদের মতে ডাইমেনশন ১১টি। যদিও একসময় (বা কেউ কেউ এখনও) বিশ্বাস করে ডাইমেনশন ২৫ টি। ইয়ে, মানে...

যদি আপনি সময়কে ডাইমেনশন হিসাবে ধরতে চান, তাহলে ডাইমেনশন ৪টি।

যদিও কিছুদিন আগে একটি পেপার প্রকাশ হয়েছে- arxiv.org/abs/1106.4548 এটা অনুযায়ী ডাইমেনশন ৩টি। সুতরাং আপনি কয়টি ডাইমেনশন চান? খাইছে

দ্রোহী এর ছবি

সুন্দর লেখা। তবে একটু ছোট হয়ে গেছে।

দায়ীন (frdayeen) এর ছবি

পড়ার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আর আমার হয়ে উত্তর দিয়ে দেয়ার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- দেঁতো হাসি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আরও বিস্তারিত চাই। লেখাটা কেবল একটা ভাল রান্নার সময়ের সুগন্ধের মত, যেটা ক্ষুধা কেবল বাড়িয়েই দেয়। এখন বাকি খাবার পরিবেশনের দায়িত্ব কিন্তু আপনার হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

দায়ীন (frdayeen) এর ছবি

দেঁতো হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সুন্দর উপস্থাপনা।
সূচনা হলে ঠিক আছে। নাহলে কিন্ত মাইনাস।

দায়ীন (frdayeen) এর ছবি

ইয়ে, মানে...

রুমা এর ছবি

ছোটবেলায় সমান্তরাল জগত নিয়ে সিনেমা দেখা যত মজা পেতাম, সেইরকম মজা পেলাম পড়ে । খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে থাকলাম আরও বিস্তারিত জানার আশায় । চলুক

দায়ীন (frdayeen) এর ছবি

আপনাকে অনেকগুলি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

পড়ুয়া এর ছবি

মাঝে মধ্যে আমার বুড়োর সাথে ব্যাপক ঝগড়াঝাটি হইলে মন চায় সব ছেড়ে দুরে বহুদুরে চলে যাই। বুড়োকে ভয়ও দেখাই-গেলাম গা- বলে।তেমন জুত মতন জায়গা পাইনা। ভাইরে, ভালো করে লেখেন। বিশ্বাসে মেলায় বস্তু - বলে কথা। পরেরবার ক্যাচাল হলে চেষ্টা চালাতে পারবো। অনু ভাইয়ের মতো শুরু করবো।

দায়ীন (frdayeen) এর ছবি

খাইছে

তারাপ কোয়াস এর ছবি

চলুক চমৎকার শুরু।
মাল্টিভার্স সম্পর্কে ব্রায়ান গ্রীণের বইটি খুবই ভালো লেগেছিলো। বাংলায় এ বিষয়ের উপর লেখা পেয়ে সেই ভাললাগার মাত্রাটা আরও বাড়লো।


love the life you live. live the life you love.

দায়ীন (frdayeen) এর ছবি

আপনার অনুবাদটি আমি পড়েছি। চমৎকার। চলুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।