রক্তের সম্পর্ক

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১১/০৪/২০১২ - ৬:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হঠাৎ মাঝরাতে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। সুন্দরই তো একখানা স্বপ্ন দেখছিলাম, কি দরকারটা ছিল। কিন্তু ঘুম ভাঙ্গার কারণটা যাঁচাই করতে গিয়েই দেখি পেটের বামপাশটায় চিনচিনে তীক্ষ্ন ব্যথা। কি কারণ, কি কারণ, ভাবতে ভাবতে মনের অজান্তেই হাতটা চলে গেল সেই স্থানে। ভেজা-ভেজা লাগে কেন? একটু লজ্জা লাগাও শুরু করল। ছিঃ! তাই বলে এই বয়সে? ছোটবেলা হলে নাহয় একটা কথা ছিল? এরকমটি হওয়ার তো কথা ছিলনা।

নাহ্‌, লাইটটা না জ্বালালেই নয়। মোবাইলটা গুতিয়ে মোবাইল-টর্চটা অন করলাম।
কি? রক্ত? এবার লজ্জা পাওয়ার বদলে মাননীয় চপিকারড। ছিঃ! এরকমটি হওয়ারও তো কোন কথা ছিলনা।

মনে এরকম হাজারও প্রশ্নের ভীড়ে একটা প্রশ্ন কোথা থেকে জানি ঠাস করে বাড়ি মারল, আচ্ছা, তাই বলে ব্যথা কেন? এবার ভর করে আতংক। ইতোমধ্যে নাসারন্ধ্র পথে এক তীব্র গন্ধের উপস্থিতি টের পাচ্ছি। সবকিছুকে মনে হতে থাকে শার্লক হোমসের প্লট, গল্পের কাহিনী যাকে ঘিরে আবর্তিত হয় সে সবসময়ই চরম বিপদের মধ্যে থাকে। মেজাজ একথায় খুবই খ্রাপ।
তাই বলে এইভাবে খুন হয়ে যাব! ধুৎ! কালকে ওর সাথে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল। সব গেল।

হঠাৎ একটা আলতো স্পর্শ অনুভব করলাম, ঠিক গলার নীচ থেকে ধীরে ধীরে নীচে নামা শুরু করেছে। ঠান্ডা শিরশিরে একটা অনুভূতি।
‘দেখেই নেব আমি এর শেষ’ – এই মূলনীতি নিয়েই এগোব ঠিক করেছি। লাইটটা ফেললাম বুকের উপর। দেখি, একটা ছোট্ট অবয়ব খুবই ধীর গতিতে এগিয়ে চলেছে। চলার মধ্যে কোন তাড়াহুড়ো ভাব নেই, কিন্তু ক্ষীপ্রতা আছে। নির্বিকার চিত্তে আপন মনে সে একা একা হেঁটে চলেছে। ভাবখানা এমন যে আমার শরীরের সবটুকুই সে চিনে। বিব্রতকর পরিস্থিতি। ‘যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, দেখা হবে বিজয়ে’- এরকম একটা মূলনীতির সফল বাস্তবায়নও দেখলাম তার কর্মকান্ডে। কিন্তু তার সাথে তো আমার কোন পূর্বপরিচিতি নেই। কি করি, কি করি? এক টোকা মেরে অবয়বটাকে সরিয়ে সেরাতের মত ল্যাঠা চুকিয়ে ঘুমানোর সিদ্ধান্ত নিলাম।

পরদিন দুপুরের সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর রুমের বড়ভাইকে এরকম অদ্ভুত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা জানাতেই তিনি বললেন, ‘বাছা, ইহার নাম “ছারপোকা”, গো, গেট ইউজড টু ইট। “বড় ভাইরা কিছু করতে বললে একটাই উত্তরঃ অবশ্যই ভাইয়া” - ভার্সিটি জীবনের শুরুতে র্যাছগ খাওয়ার সময় শেখা মূলনীতি কাজে লাগিয়ে অনায়াসে বলে দিলাম, ‘অবশ্যই, ভাইয়া’। কিন্তু তখন যদি জানতাম যে ভাই কি কথা চিন্তা করে এই কথা বলেছিলো, তাহলে দিব্বি করে বলতে পারি যে সেইদিন জীবনেও ‘অবশ্যই ভাইয়া’ বলতাম না।

এ ছিল ছারপোকার সাথে আমার প্রথম পরিচয় পর্ব। তারপরে কত কাল যে চলে গেল কিন্তু এই জিনিসের মায়া আর কাটাতে পারলাম না। ঘুরে ফিরে তারা সেই আমার কাছেই আসে। কথা নাই, বার্তা নাই, তারা সেই ঘুরে ফিরে আমাকেই কামড়ায়। আর কি যে সেই কামড়ের তীব্রতা। উফফফফ্‌!!!
এই যে, এই যে, চিন্তা করতেই একটা হিমস্রোত শিড়দাঁড়া বেয়ে নেমে চলে গেল। কি বাচ্চা, কি বুড়া, কি মহিলা, কি পুরুষ, কি বাল, কি ছাল – সবাই সেই একই ভাবে কামড়ায়। আরে ভাই, তোর বয়স ক্যাবল একদিন, তোরতো এত বাজে ভাবে কামড়ানোর কোন দরকার নাই। শিশু আছিস, শিশুর মতই থাক। দাঁত উঠতেও তো কিছু সময় লাগে। কিন্তু না, ডিম ফুটে বেরুল তো শুরু করে দিল কামড়ানো।
এখন বাজে ভোর ৭টা, না ঘুমিয়ে কি নিয়ে লিখছি? ছারপোকা
ঘুম না আসার কারণ কি? ছারপোকা।
প্যান্টে কি? ছারপোকা
গেঞ্জীতে কি? ছারপোকা
বইয়ে কি? ছারপোকা
হেডফোনে কি? ছারপোকা
ল্যাপটপে কি? ছারপোকা

মানে জীবনের সাথে জিনিসটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। নিস্তার নাই, পালানোর কোন পথই নাই। তাই মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিলনা। সঁপে দিয়েছি নিজেকে তাদেরই সনে। নে নে, যত পারিস নে, আমি তোদের।

কিন্তু অ্যাট দ্য এন্ড অফ দ্য ডে - ‘শাসন করা তারই সাজে সোহাগ করে যে’। তোরা ভোগ করবি আবার ব্যথাও দিবি, এ জিনিস যে হবার নয়। নিজেকে তোদের নামে উৎসর্গ করেছি বলে তোরা কি ভদ্রতার মাথা-মুন্ডু খেয়ে বসবি নাকি রে? প্রথম দিনের সেই ছারপোকা ছাড়া আজ পর্যন্ত আর কোন ব্যাটাই আমার হাত থেকে বেঁচে ফিরতে পারেনি, আলহামদুলিল্লাহ্‌! শুধু প্রতিটি জীবহত্যার আগে আগে দেশীয় সংস্কৃতি বহনকারী এক মূলনীতি আউড়াইঃ ‘ইচ্ছে হইলে করিও পাপ, সময় থাকিতে চাহিও মাপ’। তারপর সবাইকেই '2 taka Coin Crushing System' পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু এই নিষ্ঠুরতাও মনে হয় কামড়ের তীব্রতাকে হার মানায়।

একবার কি মনে করে জানি খাটের তোষকটা উলটালাম। এটাও কি সম্ভব? চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে নতুন এক সভ্যতা। কি নাই? বাড়ি-গাড়ি থেকে শুরু করে হাল আমলের আই-প্যাডও সেখানে স্থান পেয়েছে মনে হল। সবাই খুবই কর্মব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে, আর কাটাবে নাই বা কেন? পেটে তো আর ক্ষুধা নাই, দারিদ্র-ক্ষুধা-মংগার কি বুঝবে তারা? তাদের দেশের জিডিপি তো আকাশ-ছোঁয়া। নিজের রক্তের বিনিময়ে তৈরী হচ্ছে নতুন রাজত্ব, গড়ে উঠছে নতুন দেশ – এই তথ্যটুকু একই সাথে হতাশাবাদী ও আশাবাদী করে তোলে মনকে।

বড়রা সারারাত কাজ করে ক্লান্ত, এখন একটু জিরিয়ে নিচ্ছে – কচিকাচারা হুটোপুটি খাচ্ছে এক পাশে – কেউ কেউ আবার বর্ডারে পাহারা দিচ্ছে – পুরাই জেরবার অবস্থা। তোষকের অন্ধকার মতন এক জায়গায় আবার গোপন অভিসারও দেখলাম। আমার উপস্থিতি টের পেয়ে লজ্জায় কে কোথায় মুখ লুকাবে এটাই ভেবে পাচ্ছেনা মনে হল। “সে ‘নো’ টু প্রাইভেসি ইনভ্যাশন” মূলনীতি অবলম্বন করে তোষকটাকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনলাম।

এতো গেল আমার খাটের কথা, আমার রুমের বাকি তিনটা খাটের ইতিহাসই তো এখনো বাকি। জেনে রাখুন, আমার বরাদ্দের প্রতি একটি ছারপোকার জন্য প্রতি অন্য একটি খাটে ২০০০টি বসবাস করে। তাহলে বুঝুন অবস্থাটা! কিছুক্ষন লাইটটা অফ রাখলেই হল, অন করলেই দেখা যাবে বাকিখাটগুলো থেকে সমরবাহিনী পিলপিল করে আমার দিকে আসছে। সেই মুহুর্তে এক একটা ছারপোকাকে ‘ট্রয়’ মুভির এক একটা জাহাজের মত মনে হয়, মনে হয় সামনের সমুদ্রের যতটুকু দেখা যায় পুরোটা জুড়েই খালি জাহাজ আর জাহাজ, এ এক অদ্ভুত অনুভূতি!

একদিন হঠাৎ রুমে ঢুকেই দেখি সামনে এক বিশাল বালতি। অবাক বিস্ময়ে জুনিয়রটাকে জিজ্ঞেস করলাম, “কিরে? তোর এই অবস্থা কবে থেকে হলো, যে এখন বালতি লাগে?”
পিচ্চিটা আমার কথা কতটুকুন বুঝেছিলো তা এখনো অজানাই রয়ে গেছে, কিন্তু জানতে পারলাম এটা নাকি ছারপোকা নিধনের ‘বালতি মেথড’। অ্যাপ্লাই করার জন্য প্রথমেই লাগবে বিশাল সাইজের একটি বালতি। প্রথম কাজ, বালতির গায়ে একটু নারিকেল/সরিষার তেল মাখিয়ে নেওয়া, তারপর তোষকটা উল্টিয়েই যেখানে যত ছারপোকা দেখ, সবগুলোকে ধরে ধরে বালতিতে ফেলো – মূলনীতি খুব কঠিন কিছু না। আর তেল দেওয়ার কারণ হচ্ছে বালতি বেয়ে ছারপোকাগুলো যেন উপরে উঠতে না পারে।
বুকটা গর্বের সাথে ফুলিয়ে জুনিয়রটা বলল, “ভাই, দশ মিনিটে ২২২টা ইন”।
আমি বললাম, “তো ছারপোকাগুলো দিয়ে কি করবি, শুনি?”
তার নির্বিকার উত্তর, “দ্যাখ এবার খিদা লাগলে ক্যামন লাগে”।
তারপরে আরো হাজার খানের ছারপোকা মনে হয় ঢুকেছিল সেই বালতিতে। সেখানে তারা সাতদিন ছিল। সেদিন থেকে হরহামেশাই আমাদের রুমে ‘বালতি মেথড’ এর ব্যবহার শুরু হয় এবং সেই রীতি জারি আছে এখনো।

অতি সম্প্রতি ছারপোকাগুলো খাট থেকে ক্লিয়ারেন্স নেওয়া শুরু করেছে। সেই একই পুরাতন রক্ত তাদের আর মুখে রুচেনা। আর মাত্র কয়েকটা দিন পরেই তো নতুন রক্ত এই জায়গায় আসবে, তার জন্যই মনে হয় এই সাময়িক ক্লিয়ারেন্স নেওয়া। ‘যে যেতে চায়, তাকে যেতে দেওয়াই ভাল’ – মূলনীতি অবলম্বন করে আমিও আর কিছু বলিনা। কিন্তু ছারপোকাগুলোর মনে রাখা উচিত, তাদের সাথে আমার রক্তের সম্পর্ক।

-কিংশুক


মন্তব্য

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হাহাহা
আমি তো আপনার লেখার পাংখা হয়ে গেলাম। দেঁতো হাসি
আমার মেমোরি ভাল না। সচলায়তনে যদি এর আগেও লিখে থাকেন, তাহলে লিংক দেবেন, প্লিজ?

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

কিংশুক এর ছবি

অনেক কষ্টে-সৃষ্টে আরেকবার লিখেছিলাম। এই যে লিংকঃ http://www.sachalayatan.com/guest_writer/43764

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ওটা পড়েছিলাম।
মন্তব্য করা হয়নি। হাসি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

হিল্লোল এর ছবি

ভাই! আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমিও অনেকগুলো সভ্যতার জনক। যেহেতু হলে আছি আরও বছর দেড়েক সুতরাং আরও কিছু সভ্যতা বিকাশে আমার রক্তের সক্রিয় অংশগ্রহন থাকবে ইনশাল্লাহ।

কিংশুক এর ছবি

ইনশাল্লাহ, আপনার রক্তেই গড়ে উঠবে নয়া মায়া নগরী। দেঁতো হাসি

সত্যপীর এর ছবি

ফাডায়ালাইসেন কিংশুক ভাই, সকালবেলাটা শুরু করলাম এইরকম উপাদেয় একটা লিখা পড়ে। সাব্বাস। নয়া সভ্যতার কথা পড়ে হাসতে হাসতে শেষ!

শিমুলাপার মতন আমিও লিংক চাই যদি আগের লিখা থাকে।

..................................................................
#Banshibir.

কিংশুক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।
আর লিংক প্রথম কমেন্টে পোস্ট করে দিলাম।

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

হা হা হা। প্রথম প্যারা পড়তে গিয়ে চিন্তাও করি নাই। চ্রম

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

কিংশুক এর ছবি

লইজ্জা লাগে

অতিথি এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি চলুক

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ঠিক হ্যায় শুকরাজা !! হাত উজাড় করে পাগলু লেখা নামা আরো !!

কিংশুক এর ছবি

গুরু গুরু

আনোয়ার এর ছবি

হো হো হো

বন্ধন চৌধুরী এর ছবি

গো অন কবি, তুই পারবি।

কিংশুক এর ছবি

চোখ টিপি

চরম উদাস এর ছবি

দেঁতো হাসি

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

অনেক ভালো লিখেন। চলুক
চলুক।

কিংশুক এর ছবি

ধন্যবাদ

তারেক অণু এর ছবি

চলুক , দারুণ

কিংশুক এর ছবি

তারেক অণু ভাই, সম্মান!

প্রীনন এর ছবি

কি বিগাড় হো হো হো

আব্দুর রহমান এর ছবি

আমি বোতল থেরাপি দিছিলাম। ছারপোকা পিষে ফেললে হাতে গন্ধ হয়, তার চাইতে আলতো করে ধরে একটা সেভেন আপ এর বোতলে রেখে দিতাম। আর ওটাকে বিছানার পাশে রেখে বাকি ছারপোকাদের হুমকি দেবার একটা ব্যাপার ও ছিলো।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

কিংশুক এর ছবি

সেই জন্যই তো 'টু টাকা কয়েন ক্রাশিং সিস্টেম' পদ্ধতি! চোখ টিপি

ক্যাপ্টেন নিমো এর ছবি

রাজাশুক ভাই,
অতি উপাদেয় হইয়াছে আপনার ছারপোকা রন্ধন প্রক্রিয়া।

অপ্পদা এর ছবি

মাখন হইয়াছে

কিংশুক এর ছবি

চলুক

সীমানা  এর ছবি

রক্তের সম্পর্ক শুরু হয় ২/২ তে, টার্ম ফাইনালের মধ্যে। এরপর, ছারপোকা নিয়ে মোটামুটি থিসিস করা হয়ে গেছে। এমন কিছু নাই যে উনাদের কে প্রতিহত করার জন্য করা হয় নি। পলাশীর বাজারের এক ধরণের চক, কীটনাশক, আগুন ধরানো, তোষক ছাদে রোদে শুকানো কিছুতেই কিছু হয় না। সবশেষে, একটা ভাল পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলাম, তাতে টানা দু'তিন দিন ভাল কাটানো যেত। কেরোসিন চিকিৎসা। ফার্মেসী থেকে একটা ১০ সিসি সিরিঞ্জ কিনে সেটা দিয়ে প্রতিটা রন্ধ্রে রন্ধ্রে একটু কেরোসিন স্প্রে। রাত টা আরামে ঘুমানো যেত।
তবে, আরেকটা মানসিক ব্যাপার আছে। মানে, অনেকেই বলত আমার বেড এ ছারপোকা নাই। তাই সে রাতে কামড়ও টের পেত না। অথচ বিছানা তুললে দেখা যেত পুরো কলোনী। একবার এক বসকে হোমিওপ্যাথের ছোট্ট শিশিতে আটকে রেখেছিলাম। ২১ দিন পরে দেখলাম, সে দিব্যি নাতি-পুতি-ছাতি-লাডি পয়দা করে পুরো সুখী সংসার পেতে বসেছে। তখন মনে, হয়েছিল, ব্যাটাদের অঙ্গজ জনন হয় নাকি!!

কিংশুক এর ছবি

আমরাও অনেক কিছু অ্যাপ্লাই করেছি, শেষমেষ হাল ছেড়ে দিলাম।
ছারপোকার অঙ্গজ জনন নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে। দেঁতো হাসি

কিংশুক এর ছবি

চাখিয়া দেখিবার জন্য ধন্যবাদ হাসি

অপ্পদা এর ছবি

মাখন হৈয়াছে

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

হো হো হো
লেখা খুব ভাল লাগল। চলুক

কিন্তু আমার তো এখন ভয়ই করতেছে। ইয়ে, মানে...

কিংশুক এর ছবি

ভয় পাওয়ার কিছুই নাই, নিজের রক্তকে তাদের নামে উৎসর্গ করে দিন, মজা আসা শুরু করবে। হাসি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

কিছুদিন আগে কক্সবাজার গিয়ে এক তিন তারকা হোটেলে ঘুমাবার সময় টের পেলাম রক্তের সম্পর্ক গড়ার জন্য আকুল হয়ে বসে আছে কয়েকটা সেরাম পরিবার। ধবল শুভ্র বিছানার নীচে একটা ভিন্ন সভ্যতার বিকাশ ঘটে গেছে তা হোটেল কতৃপক্ষের অজানাই ছিল। রাত বারোটার সময় যখন হোটেল কতৃপক্ষকে ঘর বদলে দেবার দাবী জানালাম, তখন ওরা অবাক হয়ে জানালো, ওরা যদি থাকেই, এতদিন কেউ বললো না কেন? আমি বললাম, আগে যারা ঘুমিয়েছে এখানে, ওরা হয়তো মধুচন্দ্রিমার যাত্রী ছিল যারা নিজেদের নিয়ে এত ব্যস্ত ছিল যে বহিঃশত্রুর রক্তপান টের পাননি। আমার মধুচন্দ্রিমার দশ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে বলেই আমি টের পেয়ে গেছি। হো হো হো

চরম মজারু লেখা। নিয়মিত লিখতে থাকুন। চলুক

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

কিংশুক এর ছবি

হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো

নিলয় নন্দী এর ছবি

হো হো হো

দারুণ ! শিবরামের সেই ছারপোকার গল্পটা মনে করিয়ে দিলেন।
লেখা চলুক। চলুক

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ভাল লেখেন আপনি। হোম্পেজে টীজার অংশটা দেখে আগ্রহ নিয়ে ঢুকলাম। ঢুকে ভুল করিনি। লেখা চলুক।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

কিংশুক এর ছবি

ধন্যবাদ

মৌনকুহর এর ছবি

নামকরণটা দুর্দান্ত হয়েছে হাসি চলুক

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

কিংশুক এর ছবি

আর যেকোন নামই মনে হয় অশ্লীল হয়ে যেত। চিন্তিত

কর্ণজয় এর ছবি

*****

কিংশুক এর ছবি

কি যে লুকিয়ে আছে তারাগুলোর মধ্যে!!!

সাবেকা এর ছবি

হো হো হো

দুর্দান্ত এর ছবি

ঘরে কয়েক ডজন ঢাউস মাকড়সা আমদানি করেন। মাকড়সা ছাড়পোকার গোস্ত ভালু পায়। আর মাকড়সা সচরাচর মানুষকে ত্য়াক্ত করেনা।

কিংশুক এর ছবি

তাই নাকি? নতুন তথ্য ! চপাইডারম্যান হওয়ার সম্ভাবনাও আবার উড়িয়ে দেওয়া যায় না। হাসি

ন এর ছবি

দারুণ মজার লেখা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।