একটিই গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৬/০৬/২০১২ - ৮:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গতকাল থেকে দুটো গল্প মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। এর মধ্যে ঠিক কোনটাকে লিখে ফেলব সেই সিদ্ধান্ত নিতে বেশ সমস্যা হচ্ছিল। প্রথম গল্পের নায়ক হচ্ছেন পূর্ব রামপুরার এরিক ভাই। এরিক ভাইয়ের সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন পরিচয় নেই। তবে তার পাগলামির অনেক গল্প লোকেমুখে শুনেছি। উদাহরণ স্বরূপ, এরিক ভাই একবার কুরবানীর দিন সকাল বেলা কুরবানীর ছাগলটাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কান্নাকাটি শুরু করে দিলেন। কিছুতেই ছাগলটাকে তিনি জবাই করতে দেবেন না। তার বাবা তাকে বললেন, “তুই ছাগল পুষতে পারবি? প্রতিদিন দুইবেলা কাঁঠাল পাতা খাওয়াবি আর একবেলা ছাগলের গোবর পরিষ্কার করবি। পারবি?” এরিক ভাই চোখের পানি ফেলতে ফেলতে বললেন, “পারবো।” তারপরও অবশ্য ছাগলটা কুরবানী দেয়া হয়েছিল। কিন্তু শোনা যায় এ ঘটনার পর থেকে উনি ছাগলের গোশত খাওয়া পুরোপুরি ছেড়ে দেন। এই এরিক ভাইকে নিয়ে লিখতে গেলে সমস্যা যেটা হচ্ছে, তার জন্য ছোট ছোট অনেক গুলি গল্প লিখতে হবে। সবগুলি গল্প শোনার পর পাঠকদের মনে হবে, এরকম নগন্য একজন লোকের কথা শুনে কি লাভ? ছাগল নিয়ে কান্নাকাটি করা এরিক ভাইদের মত লোকের কথা কেউ শুনতে চায়না। সবাই শুনতে চায় নামীদামী মানুষের কথা। তাই ঠিক করলাম পূর্ব রামপুরার এরিক ভাই এবারের মত বাদ। আজ বরং অন্য আরেক এরিকের কথা বলব। এই এরিক হচ্ছেন আমেরিকার ক্যালটেক ইউনিভার্সিটির পদার্থবিদ্যার খ্যাতনামা প্রফেসর -- ডক্টর এরিক।

২০১১ সালের নভেম্বর মাসের শুরুর দিকের একটি দিন। ক্যালটেক ইউনিভার্সিটির বেকম্যান অডিটরিয়ামে ডক্টর এরিক তার মাল্টিভার্স কমিউনিকেশন্স তত্ত্বটি প্রথমবারের মত জনসম্মুখে প্রকাশ করতে যাচ্ছেন। তত্ত্বটি নিয়ে বিজ্ঞানী মহলে অনেক বছর ধরেই জল্পনা-কল্পনা ও তর্ক-বিতর্ক চলেছে। আজ তার অবসান ঘটানোর জন্যই ঘটা করে এই আয়োজন। ডক্টর এরিক তার বক্তব্য শুরু করলেন এভাবে— “মহাবিশ্বে আমরা পৃথিবীবাসিরা একা নই। আমাদের পৃথিবীর মত আরও অগণিত প্যারালাল জগৎ দূর মহাকাষে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। প্রতিনিয়তই অসংখ্য নতুন নতুন পৃথিবী সৃষ্টি হচ্ছে আবার ধ্বংসও হচ্ছে। এই পৃথিবী গুলো সৃষ্টির কারণ হচ্ছে আমাদের জীবনের বহুবিধ ‘অপশন’। এই ধরুন, আপনি যদি আলসেমি করে আজ সকালে ঘুম থেকে এক মিনিট পর উঠতেন, তবে আপনার দিনটি সামান্য হলেও একটু ভিন্ন হতো। মজার বিষয় হচ্ছে, মাল্টিভার্স থিওরী অনুযায়ী আপনার ঘুম থেকে ওঠার এই দুটো অপশন থেকে ইতিমধ্যেই দুটো পৃথিবী সৃষ্টি হয়ে গেছে। এর ফলে একটা পৃথিবীতে আপনি অফিসে আজ এক মিনিট লেট আর আরেক পৃথিবীতে দুমিনিট লেট।” প্রফেসর এরিক এইটুকু বলে থামা মাত্রই পেছন থেকে একজন ফাজিল ছাত্র প্রশ্ন করলো—“ডক্টর, তবে কি এটাও সম্ভব যে, এই মূহুর্তে অন্য কোন একটা পৃথিবীতে আমি আপনার মেয়ের সাথে ডেট করছি?” ডক্টর এরিক প্রশ্নকারীর দিকে তাকিয়ে বললেন, “সেটার সম্ভাবনা যতটুকু না আছে, তার চেয়ে অনেক বেশি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি যে, আমার পায়ের যে বাদামী জুতোটা দেখতে পাচ্ছ, এখান থেকে ঠিক ছাব্বিশ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবিকল আমাদের মতই আরেকটা পৃথিবীতে এই মূহুর্তে সেটা তোমার চোয়ালে আঘাত করছে।” হো হো করে উপস্থিত সবাই হেসে উঠল। এর পরের মন্তব্যটা আসলো সামনের সারিতে বসে থাকা বর্ষিয়ান প্রফেসর রবার্ট ব্র্যাডির কাছ থেকে। প্রফেসর ব্র্যাডি বললেন, “এরিক, তোমার মাল্টিভার্স কমিউনিকেশন্স প্রজেক্টের কথা আমি দীর্ঘ এক যুগ ধরে তোমার কাছে শুনে আসছি। গেল বছর তুমি দাবি করেছিলে এইসব প্যারালাল ওয়ার্ল্ডের নিখুঁত অবস্থান তুমি নির্ণয় করতে সক্ষম। শুধুমাত্র অঙ্ক কষে অনেক কিছুই তুমি দেখিয়েছো। কিন্তু তোমার এই দাবীর কোনই বাস্তবতা তুমি প্রমাণ করতে পারনি কখনও।” এরিক পালটা প্রশ্ন করে বসলো, “কি করতে পারলে আপনি আমার থিওরির বাস্তবতা মেনে নেবেন, প্রফেসর ব্র্যাডি?” ব্রাডি বলল, “যদি তোমার কথা সত্যিই হয়ে থেকে থাকে, তবে অমন এক প্যারালাল ওয়ার্ল্ডের সাথে যোগাযোগ করে দেখাও। আমি জানি তুমি তা পারবেনা। কারণ তোমার অদ্ভূত মাথার কাল্পনিক জগতের সাথে যোগাযোগের কোন ফিজিকাল মাধ্যম নেই। আর ছাব্বিশ হাজার আলোকবর্ষ পর্যন্ত হেঁটে গিয়ে তোমার উড়ন্ত চটি দেখে তত্ত্বের প্রমাণ চাক্ষুষ করার মত যথেষ্ট আয়ু আমার নেই।” এরিক বলল, “মাননীয়, আপনাকে কষ্ট করে যেতে হবে না। প্যারালাল ওয়ার্ল্ডের সাথে কমিউনিকেশন করার মত যন্ত্র আমি বানিয়ে ফেলেছি এবং আজ এই অডিটরিয়ামে সকলের সামনে সেই যন্ত্রটারই কার্যকারীতা দেখাব আমি।”

প্রফেসর এরিক টেবিলের ওপর রাখা কিম্ভূতকিমাকার যন্ত্রটার দিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। এরিক বলতে লাগলেন, “আপনারা যে যন্ত্রটি দেখতে পাচ্ছেন, তাতে দুটো সুইচ আছে। একটা দিয়ে সেকেন্ডে জিলিওন আলোকবর্ষ দূরের কোন প্যারালাল ওয়ার্ল্ডে ঠিক এরকমই আরেকটি যন্ত্রের কাছে সিগন্যাল ট্রান্সমিট করা যায়। আর আরেকটা সুইচ দিয়ে বহুদূরের কোন প্যারালাল ওয়ার্ল্ড থেকে কেউ যদি এর উদ্দেশ্য করে কোন সিগন্যাল পাঠায়, তবে সেটিকে প্রতিফলিত করে আবার ফেরত পাঠানো যায়। এখন আমি ছোট্ট একটি পরীক্ষা করব। লক্ষ করুন, আমার যন্ত্রের মাঝে দুটো সুইচ। তার অর্থ, আমার কাছে এখন দুটো অপশন। আমি এখন প্রথম অপশনটি অর্থাৎ প্রথম সুইচটি অন করবো। আমার থিওরি যদি সত্যি হয়, তবে বহু দূরের অন্য কোন এক প্যারালাল ওয়ার্ল্ডে এই মুহুর্তে আমারই একজন প্রতিলিপি এরিক দ্বিতীয় অপশনটি অর্থাৎ দ্বিতীয় সুইচটি অন করবে। আর তাতে যা ঘটবে সেটাই হচ্ছে বিস্ময়কর। আমি যে সিগনালটি এই পৃথিবী থেকে পাঠাবো, সেটাই আবার দূরের অন্য প্যারালাল পৃথিবী থেকে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসবে ঠিক পাঁচ দশমিক ষোল সেকেন্ড পর।”

এরিক এবার যন্ত্রটা চালু করে ট্রান্সমিশন সুইচটি অন করলেন। এরপরের কয়েক সেকেন্ড গোটা অডিটরিয়ামে পিন পতন নীরবতা। সব নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে ঠিক পাঁচ দশমিক ষোল সেকেন্ড পর রিসিভার বাতিটি জ্বলে উঠল! দর্শকদের মাঝে গুঞ্জন শুরু হয়ে গেল। কারো কাছেই পুরোপুরি বিশ্বাস হচ্ছিলনা যে লক্ষ-কোটি আলোকবর্ষ দূরের আরেক দুনিয়া থেকে কেউ বার্তা পাঠাবে! প্রফেসর ব্র্যাডি সকলের গুঞ্জনকে ছাপিয়ে জোর গলায় বলতে লাগলেন, “এরিক, আমি তোমাকে এতদিন বদ্ধ উন্মাদ ভাবতাম, আসলে তুমি একজন ডাহা মিথ্যেবাদী ছাড়া আর কিছুই নও। তোমার এই বাতি জ্বালানো আমার স্কুল পড়ুয়া বাচ্চাও দেখাতে পারবে।” ব্র্যাডির পাশে বসা ডক্টর মাথুর আরেকটু তাচ্ছিল্য যোগ করে বলল, “তোমার এই ভেল্কিবাজির চাইতে ঋত্বিক রোশনের কোহি মিল গেয়া সিনেমাটাও বেশি বিশ্বাসযোগ্য। এরপর কি আমাদের ভিনগ্রহের প্রাণীর নর্তন-কুর্দন দেখাবে নাকি বাপু?” পেছনের সারি থেকে কেউ একজন একটা দলাপাকানো কাগজ ছুড়ে মারল এরিকের মুখে, আর বলতে লাগল, “প্রফেসর এটা আমি নই, এটা প্যারালাল ওয়ার্ল্ড থেকে অন্য কেউ মেরেছে।” নিমেষের মাঝেই গোটা অডিটরিয়াম হৈ-হট্টগোলে ভরে গেল।

প্রফেসর এরিক অপমান আর সহ্য করতে না পেরে রাগে-দুঃখে-অপমানে হল ছেড়ে বেরিয়ে নিজের রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দিলেন। তার এত বড় আবিষ্কার কতগুলো মূর্খ লোক চাক্ষুষ দেখার পরও বিশ্বাস করলনা। আজীবন গবেষণা করে তিনি চেয়েছিলেন অগণিত প্যারালাল ওয়ার্ল্ডের মাঝে যোগাযোগের মাধ্যমে একটি পৃথিবীটা খুঁজে বের করা যেখানে কোন দুঃখ-দারিদ্র-অনাহার নেই, যেখানে সবাই সুখী। সামান্য সিগন্যাল পাঠানোটাই যারা বিশ্বাস করল না, তাদের আর এসব বলে লাভ কি! তার খুব ইচ্ছে করছে এই মুহুর্তে সবকিছু ছেড়ে অন্য আরেক পৃথিবীতে চলে যেতে, যেখানে তিনি একাই সবচেয়ে সুখী। তার মত মেধাবীর কাছে ব্যাপারটা অবশ্য খুব কঠিন কিছুনা। ছোট্ট একটা এক্সপেরিমেন্ট তিনি করে দেখতেই পারেন!

ঝুম বৃষ্টি পড়ছে। এরিক ভাই বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে গাবতলীর হাট থেকে পদব্রজে বাড়ি ফিরছেন। দীর্ঘ রাস্তা হাঁটার ফলে তার দু-পা অবশ হয়ে আসছে। তারপরও তার চোখে মুখে বিজয়ের হাসি। আগামীকাল কুরবানীর ঈদ। খুব সস্তায় একটা রোগা-পটকা গরু কিনতে পেরেছেন। গরুটা অবশ্য জবাই হবার আগ পর্যন্ত বেঁচে থাকলেই হয়। রাস্তাঘাটের সবাই তাকে জিজ্ঞাসা করছে, “ভাই কত পড়ছে?” এরিক ভাই ইচ্ছে করেই গরুর দাম বাড়িয়ে বলছেন, “ছাব্বিশ হাজার টাকা। এবার হাটে আগুন।” তার কথা শুনে লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়ছে, আর তিনি তাতে খুব মজা পাচ্ছেন। রাত বারোটায় তিনি পূর্ব রামপুরায় ঢুকলেন। গলির মাথায় তাকে দেখা মাত্রই এরিক ভাইয়ের চার বছরের বাচ্চা মেয়ে মিতু দোতলা থেকে চিৎকার করে উঠল, “বাবা, বাবা, বাবা এসেছে। সঙ্গে গরু।” এরিক ভাই উপরে তাকিয়ে বলেন, “নেমে আয়, দেখ কত বড় গরু কিনেছি।” মিতু সিঁড়ি দিয়ে ছুটে এসে বাবাকে জড়িয়ে ধরল। এরিক ভাই মেয়েকে গরুর পিঠের ওপর উঠিয়ে দিয়ে বললেন, “পছন্দ হয়েছে গরু?” মিতু বলে, “খুব পছন্দ হয়েছে। বাবা, গরুটা আমরা পুষবো। বলনা বাবা, গরুটা আমরা পুষবো।” মেয়ের চোখের দিকে চেয়ে এরিক ভাইয়ের চোখ ছলছল করে উঠলো। তিনি মিতুকে বললেন, “ঠিক আছে মা, আমরা গরুটা পুষব। তবে শর্ত হচ্ছে, এটাকে তুই প্রতিদিন দুইবেলা খড় খাওয়াবি আর একবেলা গোবর পরিষ্কার করবি।” মিতু বলে, “ছিঃ বাবা, আমি কিভাবে গোবর পরিষ্কার করব, তুমি করে দেবে।” এরিক ভাই হাসতে হাসতে বললেন, “ঠিক আছে, আমিই পরিষ্কার করব। চল এবার উপরে যাই, খুব ক্ষুধা পেয়েছে।”

সদস্যনাম: Shahriar Nirjon
শাহরিয়ার নির্জন
ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়া

ছবি: 
08/24/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন

মন্তব্য

মরুদ্যান এর ছবি

ইয়ে, মানে... ইয়ে, মানে...

বিজ্ঞানী এরিক কি সুখী হওয়ার জন্য আরেক ওয়ার্ল্ডে চলে এসে গরু কুরবানি দিচ্ছে? তাহলে এই ওয়ার্ল্ডে যে এরিক আগে থেকে ছিল তার কি হল???

আমার থিওরি যদি সত্যি হয়, তবে বহু দূরের অন্য কোন এক প্যারালাল ওয়ার্ল্ডে এই মুহুর্তে আমারই একজন প্রতিলিপি এরিক দ্বিতীয় অপশনটি অর্থাৎ দ্বিতীয় সুইচটি অন করবে। আর তাতে যা ঘটবে সেটাই হচ্ছে বিস্ময়কর। আমি যে সিগনালটি এই পৃথিবী থেকে পাঠাবো, সেটাই আবার দূরের অন্য প্যারালাল পৃথিবী থেকে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসবে ঠিক পাঁচ দশমিক ষোল সেকেন্ড পর।

এই হিসাবে অসীম সংখ্যক প্যারালাল ওয়ার্ল্ড আছে সেটা ঠিক, তাহলে ধরে নিলাম কোন একটাতে একি সময়ে প্রতিলিপি এরিক দ্বিতীয় অপশনটি নিল, কিন্তু সেটা কোন্ ওয়ার্ল্ড বুঝার উপায় কি? সেটা না বুঝলে পাঁচ দশমিক ষোল সেকেন্ডের হিসাব কোত্থেকে আসল?? একটা ব্যাখ্যা দিলে ভাল হইত না?

ওভারঅল গল্পের বক্তব্য কি? নাকি আমিই মাথামুণ্ডু কিছু বুঝলাম না!!! ইয়ে, মানে... মন খারাপ

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

সজল এর ছবি

স্যার, সচলায়তনে স্বাগতম।

গল্পে কিছু ইনকনসিস্টেন্সি দেখতে পাচ্ছি কিন্তু। Parallel Universe এর মানে কিন্তু অনেকগুলা সমান্তরাল মহাবিশ্ব। পৃথিবী একটা world, কিন্তু একটা বিশ্ব না।

মহাবিশ্বে আমরা পৃথিবীবাসিরা একা নই। আমাদের পৃথিবীর মত আরও অগণিত প্যারালাল জগৎ দূর মহাকাষে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

প্রতিটা সমান্তরাল মহাবিশ্বের নিজস্ব "দূর মহাকাশ" রয়েছে। প্রতিটা মহাবিশ্বে আমাদের পৃথিবীর মত আরো পৃথিবী রয়েছে, এর মানে হলো পৃথিবীর মত আরো অনেক গ্রহ রয়েছে, এটা Multiverse এর আলোচ্য বিষয় না।

সম্ভবত স্লিপ অফ মাইন্ডে বিশ্ব আর পৃথিবী গুলিয়ে ফেলেছেন। The Fabrics of The Cosmos: Universe or Multiverse দেখতে পারেন মাল্টিভার্স থিওরীর বর্তমান অবস্থা জানতে।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

সচলায়তনে স্বাগতম, স্যার।


_____________________
Give Her Freedom!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এরকম আরো লেখা আসুক।

দ্রোহী এর ছবি

এই এরিক ভাই কি এরিক এরশাদ? চোখ টিপি

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

চলুক।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।