মাইকেল লার্নস টু রক এবং একটি বোকা বালক

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২০/০৬/২০১২ - ৮:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক
সময়টা আজ থেকে আরো ১৮/২০ বছর আগের। যে যুগে ছিলো না ইন্টারনেট, ছিলো না মোবাইল, বা ডিশ (অন্যদের হয়তোবা ছিলো, কিন্তু আমাদের ছিলো না)। বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম ছিলো বিটিভি। হয়তোবা ক্লাস ৩/৪ এ পড়ি। গতকাল মাইকেল জ্যাকসনের নাক ভেঙে গেছে, এই খবর পরের দিন পেপার হাতে না আসা পর্যন্ত জানার উপায় অন্তত ১০/১২ বছর বয়সের সেই আমার ছিলো না। সেই যুগের কথা বলছি।
সেই যুগে দুপুর বেলা রেডিও শুনতাম, রাতে বিটিভিতে নাটক, ম্যাকগাইভার এগুলো দেখতাম। গান শোনার ক্ষেত্রে অবশ্য নিজস্ব তেমন কোন চয়েস ছিলো না। বাবা-মামা-চাচারা যে গান শুনতো, আমরাও সেই গানই শুনতাম। কাজেই, আমার গানের পরিধি ছিলো পুরানো দিনের বাংলা গান/রবীন্দ্র/নজরুল (বাবা- মা ক্যাটাগরি), কিংবা হাল আমলের হিন্দি গান যেমনঃ সাজন, দিল ইত্যাদি সিনের গান ( ছোট মামা ক্যাটাগরি)।
তখন আমার বড় চাচা থাকেন মধ্য প্রাচ্যে, চাকরী সূত্রে। উনি ২/৩ মাস পর পর কথা রেকর্ডিং করে পাঠান, আর আমরা আগ্রহ নিয়ে তার কথা শুনি। তার কাজের কথা, সেই দেশের কথা, ইত্যাদি ইত্যাদি। অলরেডি কয়েকবার শুনে ফেলেছি, তারপরও একটা মানুষ সেই কোন বিদেশে, আর আমরা যখন খুশি তখন তার কথা শুনতে পারছি, এই আনন্দেই তার নতুন কোন ক্যাসেট আসার আগে পুরানো গুলোই শুনতে থাকতাম।
এরকম এক ক্যাসেটে উনি হঠাত এক ইংরেজি গান রেকর্ডিং করে পাঠালেন। গানটা ব্রায়ান এডামসের, "এভরিথিং আই ডু"। এর আগে ইংরেজি গান খুব একটা শোনা হত না। তো হঠাত এই গান শুনে খুব মনে ধরে গেল। প্রতিদিন সময় পেলেই গানের ঐ অংশটুকু রিওয়াইন্ড করে করে শুনি। এভাবেই আমার সাথে ইংরেজি গানের সখ্যতা শুরু।

দুই
কথায় আছে, কান টানলে মাথা আসে। আমিও ব্রায়ান এডামসকে নিয়ে টানাটানি শুরু করলাম। শুধু একটা গান শুনে আর কতদিন মন ভরে? কিন্তু চাইলেই আরো গান আমি কোথায় পাবো? আজকালকার বাবা মারা আবদার করার আগেই অনেক কিছু দিয়ে দেয়, কিন্তু সেই আমলে কোন আবদার নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হতো। প্রথমে বড় বোনকে বলে দেখতাম, এটা মাকে বলা যাবে কিনা। বোন শুনে-টুনে বিশেষজ্ঞ মতামত দিলে মাকে গিয়ে বলতাম। মার কাছেও সেই জিনিস গ্রহনযোগ্য মনে হলেই কেবল তা বাবার দরবারে যেত।
তো, বাসায় এত এত গানের ক্যাসেট থাকতেও কেন ইংরেজি গানের ক্যাসেট কিনতে হবে (তাও শ্রোতা শুধু আমি, পরিবারের কনিষ্ঠতম সদস্য), সেই কথা যে একবারেই সবাই বুঝে যাবে, এটা আমিও আশা করিনি। যাহোক, কিছুদিন বিরামহীন ঘ্যান ঘ্যানের বিনিময়ে আমাকে ক্যাসেটের দোকানে নিয়ে যাওয়া হলো। ইংরেজি গানের জগতে মাইকেল জ্যাকসন, ম্যাডোনা ছাড়া আমি জানি শুধু ঐ ব্রায়ান এডামসের নাম।
আর এছাড়া কে/ কি বৃত্তান্ত আমি কিছুই জানি না।
সেই আমি ক্যাসেটের দোকানে গিয়ে খুঁজছি ইংরেজি গান। দোকানদার আমার কথাবার্তা শুনে টুনে বের করে দিলো বেশ কিছু মিক্সড লাভ সংসের এলবাম (তখন দোকানে ইংরেজি গানের কালেকশনও ছিলো হাতেগোনা)। তো, আমি সেখান থেকে বেছে টেছে একটা কিনলাম। এলবামের নাম ছিলো মনে হয় এভারগ্রীন লাভ সংস বা এইটাইপের কিছু।
এরপর বাসায় এসে শোনার পালা। শুনি, আর মুগ্ধ হই। লায়োনেল রিচি, স্টিভ ওয়ান্ডার, ফরেইনার, এল্টন জন ইত্যাদি গায়কের সায়হে তখনই আমার প্রথম পরিচয়। ক্যাসেটের সাথে সম্ভবত লিরিক্সও ছিলো। গানের সাথে লিরিক্স মিলিয়ে দেখি, আর গানও গাওয়ার চেষ্টা করি (এই পদ্ধতিতে বেশ অনেকদিন আমাদের এলাকা কুকুর মুক্ত রেখেছিলাম)
তো এইভাবে শুরু আমার নিজস্ব মতামতে গান শোনা।

তিন
এক লাভ সংসের এলবাম হেকে দুই, দুই থেকে তিন এভাবে চলছে আমার গান শোনা। যদিও দুই ক্যাসেট কিনার মধ্যবর্তী সময় প্রায় মাস তিনেক ছিলো। যখন পারিবারিক কোন প্রয়োজনে মার্কেটে যাওয়া পড়তো, তখনই আশায় আশায় থাকতাম বাবা-মা ক্যাসেটের দোকানের দিকে নিয়ে যান কিনা (ক্যাসেটের দোকানের দিকে কম কম যাওয়ার আরেকটা কারন ছিলো অবশ্য, প্রচুর বই, কমিকস ইত্যাদি কিনে বাবা-মা কে এম্নিতেই ফতুর করে রাখতাম। অর্থাৎ, ক্যাসেট কিনে দেয়া হতো বই কিনে কোন দিন বাবা মার মন মেজাজ ভালো থাকলে, কিংবা আমি স্কুলে ভালো রেজাল্ট করেছি, এই টাইপের কোন কারণ থাকলে)
এভাবে জমিয়ে জমিয়ে গান শুনতে শুনতে হঠাত শুনলাম মাইকেল লার্নস টু রকের "স্লিপিং চাইল্ড"। গান টা শুনেই আমার "এত দিন কই ছিলা মামু" টাইপ রিএকশন শুরু হলো। আমি যখনকার কথা বলছি, তখন ইন্ডিভিজুয়াল আর্টিস্টের এলবাম বেশ হাতেগোনা ছিলো। বেশিরভাগই হয় লাভ সংস কালেকশন, বা গ্রেটেস্ট হিটস, এই টাইপের। কিন্তু আমার তখন "মাইকেল লার্ন্স টু রক" এর পোকা মাথায় ঢুকে গেছে। মিক্সড এলবামে না, আমাকে ওদের এলবাম কিনে শুনতেই হবে। বাসা মগবাজারে থাকায় ঘুরলাম মৌচাক, আনারকলি ইত্যাদি মার্কেট। এর্পর ইস্টার্ন প্লাজা। যেই দোকানেই জিগাই, বেশিরভাগ দোকানদার ওদের নামই শোনে নাই, এই অবস্থা। আর দুনিয়ায় এত এত হিন্দি গানের ক্যাসেট, কিংবা পরিচিত ইংরেজি গায়ক গায়িকার গান থাকতে আমি কেন এরাম বিদ্ঘুটে নামের ব্যান্ডের ক্যাসেট খুঁজে বেড়াচ্ছি, এটা ভেবে বেশ অনেক দোকানদারকে বিরক্ত হতে দেখলাম।
ঘুরতে ঘুরতে অবশেষে এক দোকানী আমাকে উদ্ধার করলো। তার দোকানে নাকি আছে মাইকেল লার্নস টু রকের একক এলবাম! দোকানদারটাকে আমার তখন সাক্ষাত দেবতা মনে হতে থাকলো। (সেই অনুভূতির দামও অবশ্য আমি দিয়েছি এর পরের ৫/৭ বছর ঐ নির্দিষ্ট দোকান থেকে ক্যাসেট কিনে)
সেদিন সেই ক্যাসেট কিনে বাসায় এসে মনে হতে লাগল কোন গুপ্তধন বুঝি আমার হাতে চলে এসেছে! এলবামটির নাম ছিলি "কালারস"। শোনা শুরু করলাম। একে একে "সাম ডে" , " ২৫ মিনিটস" "ক্রেজি ড্রিমস" " ওয়াইল্ড ওম্যান" ইত্যাদি গান। সেই প্রথম এলবাম, যার প্রত্যেক্টা গানের লিরিক্স শুনতে শুনতে মুখস্থ করে ফেলেছিলাম।
সেই গানগুলো আমার কৈশরের অনেক বড় একটা অংশ। গানগুলো শুনতে শুনতে আকাশ কুশুম ভাবতাম। ঈশ, ওদের কনসার্টে যদি, জীবনে একবারের জন্যও যেতে পারতাম, আমার জীবনটাই সার্থক হয়ে যেত! (ওরা কোন দেশের ব্যান্ড তা অবশ্য তখন জানতাম না, তবে ইংলিশ যেহেতু গায়, আম্রিকা বা ইংল্যান্ডের কেউ হবে ভেবে নিয়েছিলাম)। আর যেহেতু ধরে নিয়েছিলাম আম্রিকা/ইংল্যান্ডের কোন ব্যান্ড, ওরা যে বাংলাদেশে কোন দিন আসবে না, আর ওদের কনসার্টও কোন দিন শোনা হবে না, সেটাও স্বপ্ন দেখার সময়ই বেশ ভালোভাবেই বুঝে গিয়েছিলাম। বড় বড় দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাতাম।

চার
এরপর অনেক সময় গিয়েছে। জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে, পছন্দেও পরিবর্তন এসেছে। এখন "কেটি পেরি" আগেরদিন একটা গান রিলিজ করলে কয়েক ঘন্টা পরই সেই গান ইউটিওবে গিয়ে শুনে ফেলি। সিডি কিনার কোন প্রয়োজন আজকে আর নেই।
সেই তখন, সেই অত্যাধুনিক যুগে হঠাত খবর চোখে পড়ে "মাইকেল লার্নস টু রক" বাংলাদেশে আসছে। বুকের কোথায় যেন একটা মোচড় দিয়ে ঊঠে!!!
সেই মাইকেল লার্ন্স টু রক!!!! যাদের গান শুনে একটা সময় কত সম্ভব-অসম্ভব স্বপ্ন দেখে কাটিয়েছি!!! কিন্তু মেঘপোড়া গরু কাকে দেখলে যেন ভয় পায় একটা কথা আছে না? গত বছর ব্রায়ান এডামস আসার পরও যেতে না পেরে এইবার মাইকেল লার্নস টু রকের আসার কথা শুনে একই কথা মনে হলো। গত বছর ৬ হাজার টাকার টিকেটের কথা শুনে প্রবল ইচ্ছা থাকতেও আর যাওয়া হয়নি। এবারো বোধহয় হবে না।
তারপরও চোখের কোনা কাঞ্চি দিয়ে খবর রাখি। খবর রেখেও কোন লাভ হবে না জেনেও রাখি।
কিন্তু এতদিনের ভালোবাসা কি আপনি চাইলেও ভুলতে পারেন? এই বুড়া বয়সে এসেও তাই সারাদিন মাইকেল লার্নস টু রক সারাদি মাথার ভেতর কুর-কুর করতে থাকলো।
যাই করি, যেদিকেই যাই, সারাদিন খালি ২২ তারিখই মাথায় ঘুরতে থাকে। মহা যন্ত্রণা! আমি তো কচি খোকা না, যে সামর্থ না থাকলেও সেটার চিন্তায় বিভোর থাকতে হবে। এতদিনে আমার শিখে ফেলা উচিত ছিলো এইসব ছাইপাশ চিন্তা বাদ দিয়ে কি করলে প্রমোশন হবে, বা আরো ভালো চাকরি হবে, ইত্যাদি। আর সেই আমি কিনা কাজ কাম বাদ দিয়ে খালি কনসার্টের চিন্তা করি।
একসময় গিয়ে মনে হলো ধুত্তোর শালা ৫০০০ টাকাই তো? দরকার পরে আগামী একমাস হেঁটে হেঁটে অফিসে যাবো, তারপরও আমি কনসার্টে যাবোই যাবো!
বাড়ির কাছে এসে এককালের ভালোবাসা এভাবে ঘুরে চলে যাবে, আর আমি আবারো দীর্ঘশ্বাস ফেলবো? এ হতে দেয়া যায় না। প্রাক্তন অনেক বান্ধবীদের বিয়ে হয়ে গেছে, আমি মোটেই মাইন্ড করিনি। কিন্তু এবার আর সহ্য করা গেল না। হয় এসপার, নাইলে ওসপার।
জীবনের ছোট ছোট স্বপ্নগুলো যদি পূরনই করতে না পারলাম, তাহলে ১০টা-৫টা অফিস করে আর কি লাভ? (তারমধ্যে শুক্রবার আবার আমার অফিস ডে)
যাহ শালা, গেলাম না অফিসে। গেল আমার ৫০০০ টাকা। তবুও কনসার্টে কনসার্টে যামুই যামু!
স্বপ্ন -পুরণের খুব কাছাকাছি আজ দাঁড়িয়ে। বিবাহিত মানুষদের ক্ষতি সবসময় ডাবলই হয়। তাই দুটো টিকেট কিনে আমি অপেক্ষায় দিন গুনছি।

Welcome to Bangladesh, Michael learns To Rock!

বাবু
Thatone4565এটgmail.com


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

এর লাইগ্যাই বলি, গুণী আর জ্ঞানী লোকের কথা শোনেন, বিয়া কৈরেন না। মনের খুশিতে কিছু করতে যাবেন? শান্তি নাই, সবসময় দুই দিয়া গুণ করতে হয়! আর নাইলে তো বুঝেনই... বারান্দায় দেখবেন সুন্দর খাটিয়া তৈরী হয়া আছে আপনার লাইগ্যা।

এমএলটিআর রকস! চলুক

ক্রেসিডা এর ছবি

হাততালি

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অতিথি লেখক এর ছবি

তারপরও দিল্লীর লাড্ডু খাইয়াই পস্তামু!!

-কাজী

তানভীর এর ছবি

দেশে থাকতে মাইকেল লার্নস টু রক ভালোই শুনতাম...আম্রিকা আইসা দেখলাম এদের এখানে কেউ চিনেনা, এমনকী এমএলটিআর, মডার্ন টকিং, বনিএম- এইসব ব্যান্ডের নামও কেউ কোনদিন শুনে নাই! ইউটিউব, ইস্নিপ্স না থাকলে আসলে খবরই ছিলো।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

এইটা আম্রিকানগো কমন সিন্ড্রোম। পরীক্ষার লাইগা তাগোরে জিগায়া দেখতে পারেন, ক) আম্রিকার অঙ্গরাজ্য কয়টা? খ) আম্রিকার রাজধানীর নাম কী? গ) অ্যাডেলেইড কোন অঙ্গরাজ্যের পাশে?

মজার ব্যাপার হলো আপনি তিনটা প্রশ্নেরই উত্তর পাবেন তাগো কাছ থেকে। উত্তর সঠিক না বেঠিক, সেইটা নিয়া আপনে নিজেই ধন্দে পড়ে যাবেন। এমএলটিআর, মডার্ন টকিং-এর নাম তো কোন ছাড়!

ইঁদুর এর ছবি

গান শুনতে শুনতে লিরিকস মুখস্ত হয়ে যাবার মত গান আসলে ইন্টারনেট আসার আগের আমলেই শুনা হইছে-আমি এম এল টি আর শুনছিলাম ক্লাস টেন এ থাকতে মনে হয়-ভাইয়ার থেকে সিডি নিয়ে-ব্লু নাইট অ্যালবাম-পরে আর কিছু গান জোগাড় করে শুনছিলাম। ক্লাসিক জিনিস-এখনো ভাল লাগে। স্টাক ইন দি হিট অফ হার আইস-=)-প্রথম মুখস্ত হয়ে যাওয়া প্রেমের গান মনে হয়!

সাবেকা  এর ছবি

আপনার লেখাটা পড়ে নিজেও স্মৃতিকাতর হয়ে গেলাম কিছু সময়ের জন্য মন খারাপ

তোফায়েল এর ছবি

আপনি আমি তো সমবয়সী মনে হচ্ছে! উপলব্দিগুলোও একই রকম!

সাফি এর ছবি

এলবামের নামগুলো দেখে আমিও উপলব্ধি করলাম আমাদের ইংরেজী গান শোনার বয়স কাছাকাছিই হবে। আমার ও ইংরেজী গানের শুরু এভারগ্রীণ লাভসংস এলবাম দিয়ে, সেখান থেকে মাইকেল লার্ন্সটুরকে থিতু হওয়া। এর পাশাপাশি বনি এম, এবা, (বাপের ক্যাসেট ছিল) আর এস অব বেস এর পাগল ছিলাম। এর পরে চ্যাংড়া পোলাপানগুলা আসার পর বয়জোনের দুই একটা গান ভাল লাগ্ত, কিন্তু এমএলটিআর এর মতন আর কাউকে পাইনাই।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

হায়রে পুলাপাইন, 'এভারগ্রিন লাভসংস' এর অনেকগুলো ভলিউম ছিলো, কোনটা দিয়ে শুরু করছিলেন দেওয়ান সাব?

সাফি এর ছবি

এক এক্কে এক দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সাফি এর ছবি

আমার তো মনে হৈতেছে মেরুন জাতীয় কাভার, এ সাইডের পয়লা নাম্বার ছিল কেয়ারলেস হুইসপার, দু"সরা নাম্বার ছিল স্যাক্রিফাইস। বয়স হৈছে কিছুই সহজে মনে পড়েনা মন খারাপ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

কী জানি! আমার মনে হচ্ছে হালকা সবুজ ছিলো প্রথমটা। তারপর হালকা গোলাপী বা মেরুন এবং অন্যান্য রং আসছে।

সাফি এর ছবি

হৈতে পারে, তয় ধরেন রেকর্ডিং কোম্পানি ভিন্ন হতে পারে। যেমন আমার যতদূর মনে পড়ে, মূলত যেই কোম্পানির ক্যাসেট কিনতাম সাউন্ড্টেক মনে হয় ওদের ইংরেজী সব ক্যাসেটই ছিল গাঢ় খয়েরী বা মেরুন গোছের। আরেট্টু বয়স হওনের পরে তো নিজেই টিডিকে৯০ এ রেকর্ড কৈরা নিতাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার ক্যাসেটের কোম্পানি মনে হয় সিডি সাউন্ড। খয়েরী রঙ এর কভার। অবশ্য আমারও অনেক কিছু আর মনে পড়ে না মন খারাপ

বাবু
Thatone4565এটgmail.com

সাফি এর ছবি

তাই হবে হয়ত, বুড়া হয়ে যাইতেছি (খুক খুক কাশির ইমো)

বন্দনা এর ছবি

কেয়ারলেস হুইস্পার আমরা ও শুনছি। হাসি

সাফি এর ছবি

হে হে আমনে নিজেরে ছুডু মনে করছিলেন নি?

বন্দনা এর ছবি

খাইছে । সাফিভাই , লোকে আমারে এখনো ছুডুমানুষই কয়,তয় আমার নিজের দাবী আমি বুড়ীমানুষ।

শাহেদ  এর ছবি

আপনার ছোট বেলার গান শোনার ধরণ হুবহু মিলে গেলো আমার সাথে :)। বাদ দেন একদিন অফিস , আর বেঁচে থাকলে টাকা পয়সা হবে| কিন্তু এই সুযোগ মিস কইরেন না ।

শাফায়েত এর ছবি

বাদ দেন একদিন অফিস , আর বেঁচে থাকলে টাকা পয়সা হবে| কিন্তু এই সুযোগ মিস কইরেন না ।

সেটাই,জীবনে যদি আনন্দই না থাকলো তাহলে কি হবে এত চাকরী করে আর টাকাপয়সা দিয়ে। জীবনটাকে যতটা সম্ভব উপভোগ করা উচিত। লেখক অবশ্য অলরেডি টিকেট কেটে ফেলেছেন,তিনি মিস করছেন না :)।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

দারুণ লাগল।
একদম সঠিক সিদ্ধান্ত।
প্যাশানের সাথে কোন আপস হবে না বস্‌ । হাততালি

আর ক্ষতি ডবল হইলে লাভও কোন না কোন দিক দিয়া ডবল হবই। খাইছে

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

এরকম লিখলে পড়ার মানুষের অভাব হবে না। লিখে যান।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সবজান্তা এর ছবি

আপনারা অনেকেই হয়তো শুনে চমৎকৃত হবেন যে, এভারগ্রীন লাভ সংসের গানগুলি এখনো সমান উদ্যমে আর্চিস, হলমার্ক, রেস্টুরেন্টসহ আরো অনেক দোকানে বাজে। পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম অমর অ্যালবামের একটা সম্ভবত এই অ্যালবাম।

আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো। এতো চিন্তা করে কী হবে... জীবনে যেহেতু একটাই, এতো চিন্তা করার দরকার নাই। নিশ্চিন্তে কনসার্ট দেখে আসেন !

রংধনুর কথা এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি

(গুড়)
খুব ভাল লাগল, প্রিয় স্মৃতি ঝাঁকেরা ছুয়ে গেল আরেকবার। ওদের কিছু গান বারবার শোনা হত।
কনসার্ট দেখে এসে একটা পোস্ট করে আমাদের জানাবেন কিন্তু!

তাসনীম এর ছবি

চমৎকার। কনসার্ট পরবর্তী পোস্টও দিবে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভালো লিখেছেন।
যদিও আমার কেন যেন কনসার্টটায় যেহে আগ্রহ হয়নি...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শাফায়েত এর ছবি

ব্রায়ান এডামসের নাম দেখে পুরো লেখাটা পরে ফেললাম। ব্রায়ান আমার খুবই খুবই পছন্দের গায়ক,ক্লাস এইট থেকে শুনি,৭-৮ বছর একেকটা গান অনেকবার করে শোনা হয়েছে এখনো পুরোনো লাগেনা। বিশ্বকাপের সময় গিয়েছিলাম স্টেডিয়াম, যখন সামার অফ ৬৯ এর গিটারের ঝংকার শুনলাম শরীরের প্রতিটা লোম মনে হয় উত্তেজনায় দাড়িয়ে গিয়েছিলো। তার কনসার্টের অনেক ভিডিও দেখেছি,দর্শকদের উপর এত নিয়ন্ত্রণ আর কাওকে নিতে দেখিনা। আমি তার পুরা অন্ধভক্ত,মাইকে ফু দিলেও সেই শব্দ ভালো লাগে।

মাইকেল লার্নস টু রকের অল্প কিছু গান শুনেছি,ভালোই লেগেছে। কনসার্ট কবে আর কোথায়?

শিশিরকণা এর ছবি

সঠিক সিদ্ধান্ত। বছর তিনেক আগে ব্রায়ান এডামসের কনসার্ট এ যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল, পকেটে নাই পয়সা, তাও যা আছে কপালে বলে দেখে এসেছি। টাকা পয়সা নিয়ে আফসোস তো হয়ই নি। কিন্তু যদি না যাইতাম তাইলে আজীবন হা পিত্যেশ করে যেতাম। সুযোগ পেয়ে ছেড়ে দেয়ার আফসোস অনেক বেশি।।।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।