প্রোজেক্টঃ নাল পিরান

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০১/০৭/২০১২ - ১২:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২০১১ সালের আগস্ট মাসে আমাদের কাছে নতুন একটা কনসেপ্ট নিয়ে কাজ শুরু করি।

কাজটা করি বুয়েট ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হলের ক্যান্টিন এবং ক্যাফেতে কাজ করা বয়দের নিয়ে। রোজার ঈদকে সামনে রেখে আমরা ক্যাম্পাস এবং হলগুলো থেকে ফান্ড কালেক্ট করি। রোজার ঈদ উপলক্ষ্যে সেই ফান্ড দিয়ে প্রায় ১৩০ জন (স্মৃতি থেকে লিখছি, কিছু হেরফের হতে পারে!) ক্যাফে-ক্যান্টিন বয়কে আমরা শার্ট-টিশার্ট-বখশিশ দেই। পুরো প্রোজেক্টটার নাম দেই 'প্রোজেক্টঃ নাল পিরান'। সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আর উচ্চকিত প্রশংসার বিচারে 'প্রোজেক্টঃ নাল পিরান, ২০১১'কে বেশ সফল বলা যায়।

তবে এই প্রোজেক্ট বাস্তবায়নের সময়েই আমরা বেশকিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হই। আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কালেক্ট করা ফান্ডের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা। বাস্তবতা আমাদের কাছে অনেক সময়ই হতাশাব্যঞ্জক হয়ে দেখা দিলেও, 'প্রোজেক্টঃ নাল পিরান' এর ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ছিল একেবারেই বিপরীত। আমরা এতো বেশি সাড়া পাই যে মাত্র তিনদিনে টার্গেটের চেয়েও অনেক বেশি ফান্ড কালেক্ট হয়ে যায় এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আমরা ফান্ড সংগ্রহ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হই (ইচ্ছা ছিল সাত দিন কাজ করার!!!)। ফলাফল - এই ফান্ড কিভাবে ব্যবহার করা হবে সে বিষয়ে আমরা কিছুটা দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ি। আমাদের সামনে দুটো পথ খোলা ছিল। এক হল শুরুতে করা বাজেট অনুযায়ী খরচ করা এবং বাকি টাকা ভবিষ্যতের জন্য ফান্ড করে রেখে দেয়া; আরেকটা পথ ছিল মাথাপিছু বাজেট বাড়িয়ে যা ফান্ড কালেক্ট হয়েছে তার পুরোটাই খরচ করা। ফান্ড কালেক্ট করার সময় 'কিছু অংশ ভবিষ্যতের জন্য রেখে দেয়া হতে পারে' এরকম কিছু উল্লেখা না করায় আমরা সিদ্ধান্ত নেই দ্বিতীয় পথেই হাঁটার।

'প্রোজেক্টঃ নাল পিরান, ২০১১' এর কাজ শেষ করার পরে আমরা নতুন আরেকটা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হই। এবারের চ্যালেঞ্জটা ছিল আমাদের সামনের পথচলা ঠিক করা নিয়ে। সেসময় আমরা চিন্তা করি যে সামনের বার টার্গেটের চেয়ে বেশি টাকা সংগ্রহ হলে একটা 'মাল্টিপারপাস ফান্ড' তৈরি করব, যার মাধ্যমে কেবল উৎসবে উপহার দেয়ার মধ্যে আমাদের কার্যক্রমকে সীমাবদ্ধ না রেখে আরো বিস্তৃত পরিসরে কাজ করতে পারব। আরেকটা চিন্তা আমাদের বেশ নাড়া দিয়েছিল যে ক্যাম্পাসের পাশাপাশি আমরা গ্রামের দিকেও কাজ করতে পারি। সেখানে শুধু উৎসবের উপহার দেয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য আর পরিবেশ নিয়ে কাজ করার এক দুঃসাহসী চিন্তা করি আমরা। এইসব লক্ষ্য মাথায় রেখে আমরা গত ২০১১ এর নভেম্বরে 'প্রোজেক্টঃ নাল পিরান' এর কাজ আবার শুরু করার সিদ্ধান্ত নেই। এবার আমরা জুনিয়রদের দায়িত্ব দেই পুরো বিষয়টা কোঅর্ডিনেট করার জন্য। খোঁজ করা শুরু করি এমন একটা গ্রামের যেখানে দারিদ্র্য আছে, আবার কাছেপিঠে স্কুলও আছে! কিন্তু কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়ার ঠিক পরের দিন আমরা সিভিল'১০ ব্যাচের সাফায়েতের আম্মুর অসুস্থতার কথা জানতে পারি। তাই ক্যাম্পাসে বড় আকারের ফান্ড কালেক্ট করার চিন্তা থেকে আমরা ধীরে ধীরে পিছিয়ে যাই। ফলে 'প্রোজেক্টঃ নাল পিরান' এর দ্বিতীয় উদ্যোগ আর সেভাবে আলোর মুখ দেখেনি। এরপর ডিসেম্বারে টার্ম শেষ হওয়া, তিন মাসের টার্ম ফাইনাল আর টার্ম ব্রেকের মধ্যে 'প্রোজেক্টঃ নাল পিরান' নিয়ে আর চিন্তাভাবনা করা বা কাজ করা হয়ে উঠেনি।

http://www.sachalayatan.com/files/imagefield_thumbs/296732_2226106731060_542677_n.jpg?1341090718

এই তো গেল ভূমিকা!!! এবার কাজের কথায় আসি।

গত বেশ কিছুদিন ধরেই ভাবছিলাম 'প্রোজেক্টঃ নাল পিরান' নিয়ে কি করা যায়, ঢাকার বাইরে কাজ বিস্তৃত করা যায় কিনা এই বিষয়ে। শিক্ষা নিয়ে কাজ করার সুবাদে গ্রামের দিকে একটা নেটওয়ার্ক তৈরি হয়ে যাওয়ায় এবার অবশ্য আমাদের একটা বাড়তি সুবিধা ছিল। কিন্তু এবারের চ্যালেঞ্জটা ছিল আমরা এক্স্যাক্টলি কি করব, কোথায় কাজ করব সেটা ঠিক করা নিয়ে। এ পর্যায়ে এসে চিন্তা করা শুর করি 'প্রোজেক্টঃ নাল পিরান'কে নির্দিষ্ট একটা ডেফিনিশানের ভিতর নিয়ে আনা যায় কিনা। ক্যান্টিন বয়দের নিয়ে কাজ করার মধ্য দিয়েই এর জন্ম, তাই কেবল ক্যাম্পাসে কাজ করা বাচ্চাকাচ্চা বা ছিন্নমূল শিশুদের নিয়েই আমরা আমাদের কাজের পরিধি নির্দিষ্ট করে দিতে পারি। ফলে প্রতিবার কাদের নিয়ে কাজ করব এই ডিলেমা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তারমানে, 'প্রোজেক্টঃ নাল পিরান' হবে এমন একটা উদ্যোগ ক্যাম্পাসের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করাই যার কাজ! এখন ফাইনাল যে চ্যালেঞ্জটা বাকি থাকে তা হল এই ফান্ড নিয়ে আমরা কি করব??? প্রতিবার কি সেই ঈদ উপহারই দিয়ে যাব??? এর একটা সমাধান হতে পারে আমরা ওদের উৎসবে উপহার দিতে পারি, আর সারাবছর পড়াশোনা আর স্বাস্থ্য-চিকিৎসা নিয়ে কাজ করতে পারি।

আইডিয়াগুলো নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলেছি। ফলে চিন্তাগুলো আরো সুসংবদ্ধ হয়ে এসেছে। সবগুলো আইডিয়া আর প্রোপোজাল মাথায় রেখে এখানে 'প্রোজেক্টঃ নাল পিরান' ভবিষ্যৎ পথচলার একটা রূপরেখা দিচ্ছি -

১) আমরা মূলত ক্যাম্পাস থেকে ফান্ড যোগাড় করব, বছরে একবার বা দুইবার, কোন বড় উৎসবকে সামনে রেখে। তবে কেউ চাইলে যেকোনো সময়ই কন্ট্রিবিউট করতে পারবে।
২) ফান্ডের একটা অংশ ব্যয় হবে উপহার দেয়ার জন্য, বাকি অংশ সংরক্ষণ করা হবে নাইট স্কুল এবং চিকিৎসার জন্য।
৩) আমরা সবগুলো হলে একটা সমন্বিত নাইট স্কুল চালু করতে পারি। এক্ষেত্রে যেসব হলে অলরেডি স্কুল চালু আছে আমরা তাদের সাথে একত্রে কাজ করতে পারি।
৪) বয়দের বাস্তবতাকে মাথায় রেখে স্কুলের জন্য একটা কারিকুলাম তৈরি করতে হবে।
৫) ট্রেইনারদের সম্মিলিত একটা টিম তৈরি করা হবে যারা বাচ্চাদের পড়াবে; ট্রেইনারদের কোন ক্লাস নিবে তা আলাদা করে দেয়া হবে এবং ট্রেইনাররা নির্দিষ্ট কোন হলে পড়ানোর জন্য অ্যাসাইনড্‌ হবেনা। বরং রুটিন ধরে যেকোনো হলেই পড়াতে পারবে।
৬) মাঝেমাঝে ওদের জন্য ম্যুভি, নাটক বা গানবাজনার আয়োজন করা যেতে পারে; কখনো কখনো পার্ক, জাদুঘর, চিড়িয়াখানা এসব জায়গায় ঘুরাতে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে!
৭) কোন বয় অসুস্থ হলে ফান্ড থেকে সাধ্যমতো সহায়তা করা হবে।

এই বিষয়গুলো নিয়ে আরো আলাপ আলোচনা করে আমরা 'প্রোজেক্ট নাল পিরান' এর একটা স্ট্রাকচার দাঁড় করাতে চাইছি। সাথে মাথায় রাখতে হচ্ছে লংরানে এটা কাদের দ্বারা, কিভাবে পরিচালিত হবে, কিভাবে এর ফান্ডের স্বচ্ছতা বজায় রাখবে ইত্যাদি ইত্যাদি।

সবকিছু ঠিকমতো আগালে আমরা এই রোজার শুরুতেই কাজ শুরু করার বিষয়ে আশাবাদী। হাসি

(কমেন্টে আপনাদের আইডিয়াগুলো শেয়ার করতে পারেন! সাথে আমাদের চিন্তাগুলোর সংশোধনীও!!!)

- অন্যরকম ধ্রুব

ডেইলী স্টারের ম্যাগাজিনে 'প্রোজেক্টঃ নাল পিরান'

ছবি: 
08/24/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন

মন্তব্য

নিটোল এর ছবি

শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য। হাসি

_________________
[খোমাখাতা]

অন্যরকম ধ্রুব এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

অন্যরকম ধ্রুব

অতিথি লেখক এর ছবি

নতুন করে আর কি বলব? সাথে আছি মাম্মা হাততালি

অন্যরকম ধ্রুব এর ছবি

নাম কই?! অ্যাঁ

ক্রেসিডা এর ছবি

চলুক

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অমি_বন্যা এর ছবি

অনেক ভালো চিন্তা । স্বচ্ছভাবে আরও নতুন চিন্তাগুলো নিয়ে এগিয়ে যাক 'লাল পিরান' । শুভকামনা রইলো ।

অতিথি লেখক এর ছবি

হাততালি চলুক

সৌরভ কবীর

ক্রেসিডা এর ছবি

আপনাদের জন্যে শুভকামনা।

ঈদের জামা কাপড় এর সাথে সাথে আপনারা সমাজের অন্য সার্কেল নিয়েও ভাবতে পারেন। এবং অন্য সময়ের প্রয়োজন নিয়ে। যেমন, প্রচন্ড ঠান্ডায় পথশিশু বা ফুটপাথে বসবাসরত মানুষদের নিয়ে। ঐ সময়টায় তাদের আরো বেশী প্রয়োজন সাহায্যের। আমরা যেভাবে করতাম (যদিও সেটা বন্যার সময়ে করা), সেটা ট্রাই করতে পারেন ভালো কাজে দেয় অল্প সময়ে।

যেমন, আমি যদি অন্য একটা এলাকায় সাহায্য চাইতে যাই, সেই এলাকায় আমার এক্সেপটেন্স নাও থাকতে পারে। এই যুগে সবাই ভাবে ধান্দাবাজী। কিন্তু যেহেতু নিজের এলাকায় নিজের এক্সেপটেন্স থাকে অনেক বেশি, সেখানে এটা সম্ভব। আমি অবশ্য গুলশান, বনানী, বা ধানমন্ডি এর ব্যাপার জানি না, সেখানে সাধারনত, পাশের বিল্ডিং এ কে থাকে সেটাই জানে না অনেকে। তাই কেই ওই এলাকার বাসিন্দা হলে, তাকে এলাকার অনেকে চিনতেও না পারে। কিন্তু, অন্য অনেক এলাকা আছে যেখানে সবাই সবাইকে কম বেশি চিনে।

যাই হোক, আমরা যেটা করতাম, বাসায় বাসায় যেয়ে চাওয়াটা অনেক সময় সাপেক্ষ। আমরা তাই জম্মার দিনটাকে টার্গেট করতাম। মসজিদে ঐদিন মোটামুটি মেক্সিমাম লোক যায়। যে যার যার এলাকায় ঐ সময়টায় জুম্মার পরে ফান্ড কালেক্ট ব্ জামা-কাপড় সংগ্রহ করা, সেটা অন্তত আমরা বেশ সাড়া পেয়েছি। আমরা যদি ২০ জন থাকতাম, তবে দেখা যেত একই দিনে ২০টা এলাকা তে কভার করতে পারছি। আর যেহেতু নিজের এলাকা, এবং যদি সেখানে কারো ভালো ইমেজ থাকে, দেন আপনার কথায় অনেকেই আসবে, হাত বাড়াবে। আর সাথে তো নিজেদের বন্ট্রিবিউশন আছেই।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অন্যরকম ধ্রুব এর ছবি

আমাদের নিজের এলাকা বলতে আমাদের ক্যাম্পাস! বুয়েট ক্যাম্পাস আর হল থেকে গতবার তিন দিন আর দুই রাতে তিরানব্বই হাজার টাকা তুলে ফেলেছিলাম!!! দেঁতো হাসি আশা করি এবারও ভালোই সাড়া পাব।

তবে আমাদের বড় চিন্তা এই একটাই - টাকা কোথায়, কিভাবে খরচ করলে ম্যাক্সিমাম আউটপুট পাব, সাথে প্রোজেক্টটাও চালু থাকবে। এজন্যই ক্যাম্পাসের বাইরে কাজ করার চেয়ে ক্যাম্পাসেই নির্দিষ্ট একটা গোষ্ঠীকে টার্গেট করে কাজ করাটা বেশি ইফেক্টিভ মনে হচ্ছে। আর পথশিশু বা ফুটপাতে বাস করা মানুষদের নিয়ে ডেডিকেটেড অনেকেই কাজ করে, করছে। কিন্তু ক্যাম্পাসের সুবিধাবঞ্চিত শিশু, শিশু শ্রমিকদের নিয়ে ডেডিকেটেড কোন গ্রুপ চোখে পড়েনি!!! এজন্যই অন্য সার্কেল নিয়ে আপাতত ভাবছিনা।

আর কমেন্টের জন্য কি সবাইকে আলাদাভাবে ধন্যবাদ দেয়া লাগে??? দেঁতো হাসি

ক্রেসিডা এর ছবি

ধন্যবাদ সবাইকে সমান ভাবে বিলি করেন চোখ টিপি

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

বাপ্পীহায়াত এর ছবি

শুভকামনা রইল ধ্রুব

অন্যরকম ধ্রুব এর ছবি

দেঁতো হাসি

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

ভাল উদ্যোগ । শুভকামনা রইল।

অন্যরকম ধ্রুব এর ছবি

দেঁতো হাসি

দুর্দান্ত এর ছবি

শুভকামনা।

প্রজেক্ট 'লাল পিরান' কি শিশুশ্রম ও সামাজিক শ্রেনীপ্রথা সমর্থন করে? আপনারা কি ইউনিসেফ, ইউসেপ স্কুল, সুরভির মত প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আলোচনা করে দেখেছেন? একেবারে শুরু থেকে শুরু না করে তাদের কাছে 'অফ দা শেল্ফ' কোন পদ্ধতি আছে কিনা দেখতে পারেন। আমি ইউনিসেফের একটি প্রকল্পের কথা শুনেছিলাম যেখানে তারা কর্মী শিশুদের শিক্ষার একটি স্কুল কাঠামো বানিয়েছে ও সেটা এখন দেশব্য়াপি রোল-আউট করছে। ব্রাক-গ্রামীনেরও এরকম আছে। আপনাদের এলুমনাই দের যারা সরকারের স্থানীয় সরকার ও কারিগরি উন্নয়ন বা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে আছেন তারা বোধ করি আরো বড় আকারের প্রকল্পের খোজ দিতে পারবেন।

অনেকগুলো শিশুকে টিশার্ট দেবার বদলে ভাল করে খোজ খবর নিয়ে কিছু শিশুর পরিবারের আয়-রোজগারের ব্য়াবস্থা করতে পারেন, যাতে অন্তত সেই শিশুগুলোকে আর বয় হতেই আর না হয়। এই ভাবনাটার বাস্তবতাকে আমি নিজেই প্রশ্ন করছি।

অন্যরকম ধ্রুব এর ছবি

"প্রোজেক্টঃ নাল পিরান' আপাতত শিশুশ্রম বা সামাজিক শ্রেণিপ্রথা বন্ধে তো কোন কাজ করছে না, বা করতে পারছেনা! তাই জবাব দেয়া কঠিন!!! তবে হ্যাঁ, আমরা বৈষম্যটা কমিয়ে আনতে চাই। হয়তো নতুন কোন শিশুকে শ্রমিক হওয়া থেকে ফেরাতে পারবনা, কিন্তু শ্রমিক হয়ে যাওয়া একটা শিশুর ভবিষ্যৎটা যেন আরেকটু ভাল হয়, সেদিকে তো কিছু অবদান রাখতে পারব! এমন ছোট্ট ছোট্ট স্বপ্নকে পুঁজি করেই আমাদের পথচলা।

ইউনিসেফ-ইউসেপ-ব্র্যাক-গ্রামীণ আসলে আমাদের জন্য অনেক দূরের বস্তু। আমাদের বিচরণ এখনও কেবল আমাদের আঙিনাতেই, আমাদের ক্যাম্পাসে। তবে যদি একটা সাস্টেইনেবল স্ট্রাকচার দাঁড় করাতে পারি, এদের সাথে যোগাযোগ করা যায়। আমিও সবকিছু ঠেকে ঠেকে শেখার চেয়ে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে দেখে শেখার পক্ষপাতি।

আর আপনারাও কিন্তু আমাদের এই নেটওয়ার্কগুলোর সাথে যোগাযোগ স্থাপনে হেল্পাতে পারেন!!! হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার তো মনে হয় এই টাকা দিয়ে বাচ্চাগুলোকে স্বাবলম্বী করে তোলা সম্ভব। ওরা সাধারণত হিসেব বোঝে, তাই তাদের কিছু পুঁজি দিয়ে একটা পথ দেখিয়ে দেয়া যেতে পারে, পরিশ্রমী হলে বাকিটা নিজেই সাম্লে নিবে। কিছুদিন ধরে USAID বিভিন্ন খাবার দোকান, হাতের কাজ শিখিয়ে এমন একটা প্রোজেক্ট চালাচ্ছে।
তবে এ কাজে যথেষ্ট শ্রম ও আন্তরিকতা প্রয়জন।

-লাবণ্যপ্রভা

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

শুভেচ্ছা রইল।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।