জা-মা-ই-কা-মা-ল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৬/১০/২০১২ - ২:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শুনিয়াছি বিলগেটস্ সাহেব একদা বলিয়াছিলেন-‘ আমি কঠিন কর্মটি সম্পাদন করিতে সবচাইতে অলস ব্যক্তিটিকে নিয়োগ দিই। কারন তিনি কাজটি সহজ উপায়ে সম্পন্ন করিবার চেষ্টা করেন। ’

এরূপ অলসদিগের কাতারে নিজের নামটিও জ্বলজ্বল করিয়া ফুঁটিয়া রহিয়াছে তাহা বহুকাল পুর্বেই অনুধাবন করিয়াছি। শুধু কর্ম সম্পাদনের ক্ষেত্রেই নহে , কথা-বার্তা কহিতেও নিরলসভাবে বহুবার অলসতার প্রমান আমি রাখিয়াছি। এই যেমন ধরুন একটি বাক্যের মাধ্যমেই একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া লইয়া কতবার কতজনকে বিপাকে ফেলিয়াছি তাহার ইয়ত্তা নাই। কিন্তু হায় ! জাতিকে কলাটি ছুলিয়া না দিলে যেন খাইতেই চায় না! বাধ্য হইয়া পরমুহূর্তেই বাক্যের শানে-নযুল করিয়া শুনাইতে হইয়াছে।

যাহা হউক, কিয়ৎকাল পূর্বে আমার সহিত এরূপ এক ঘটনার সম্মুখীন হইয়া এক বৃদ্ধ চরম না হইলেও অন্তত মধ্যমমানের বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতেই পরিয়া গিয়াছিলেন।

কাহিনীটা এইরকম যে আমি গিয়াছিলাম আমার এক বন্ধুর জ্যেষ্ঠ বোনের বিবাহের অনুষ্ঠানে। যথারীতি আমার আগমনে বিলম্বের কারনেই বন্ধুটি কহিল–‘ আগে খেয়ে নে। পরে আপু-দুলাভাইয়ের সাথে দেখা করিস। ’ তো ভাল কথা, আগের কাজ আগে সারাই শ্রেয়। অতঃপর উদরপূর্তি সারিয়া হেলিয়া-দুলিয়া চলিলাম সদ্য বিবাহিত বর-কন্যা দর্শণে। ধীর গতিতে পা জোড়া চালাইয়া হল রুমে প্রবেশ করিবা মাত্রই যেন নিস্তব্ধ বনিয়া গেলাম! ইহা কি দেখিতেছি! যেন মেঘ বিনেই ভারী বর্ষণ, প্রবল বজ্রপাত, ঝড়ো হাওয়া ও জলোচ্ছাস তাহাও আবার কোনরূপ পূর্বাভাস ছাড়াই শুরু হইয়া গিয়াছে।

বন্ধুর বোনটিকে আমি ইতোপূর্বে বহুবার দেখিয়াছি। অসম্ভব রূপবতী কহিলেও খুব একটা আসিবে-যাইবে না তবুও সেই রূপ যেন পারসোনা ও সৌন্দর্যবর্ধক প্রসাধনীর কল্যাণে বহুগুন বাড়িয়া গিয়াছে।
কিন্তু বন্ধুর বোনটির পাশে এ-কে!! কোথা হতে উঠিয়া আসিয়াছে! পুরু ঠোঁটওয়ালা কৃষ্ণবর্ণের এ অমায়িক চেহারা বিশিষ্ট প্রাণীটির সহিত কিছুতেই পাশে বসিয়া থাকা রূপবতীটিকে মিলাইতে পারিলাম না। সদ্য গলধঃকৃত খাদ্যের উপর বিশেষ নিয়ন্ত্রণ রাখিবার ফলে উহা উদগীরণের প্রকোপ না হইলেও ঘটনার আকস্মিকতা সামাল দিয়া উঠিতেই ছুটিলাম বন্ধুটির নিকট। তাহাকে দেখিলাম অতিথি তদারকীতে মহাব্যস্ত। সহসা কাছে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম–‘ দুলামিয়ার নাম কি রে? ’
- ‘ জি.এম. মোশাররফ উদ্দিন (কামাল)। ’
- ‘ কি করেন? ’
- ‘ ব্যবসা-পাতি। বিশাল মানুষ। গাজীপুর আর সাভারে-এ দুইটা গার্মেন্টস আছে। ’

যাহা বুঝিবার বুঝিয়া গিয়াছি। সামাজিক কর্মে বর্তমানে মহাব্যাস্ত এ বন্ধুটির সহিত উহা লইয়া আর ঘাটাঘাটি না করিয়া চলিয়া আসিলাম। যথারীতি খাদ্যগ্রহন পরবর্তী বিশ্রামের জন্য হল রুমের অতিথি আসনগুলির একটিতে গা এলাইয়া বসিয়া পরিলাম। শুরু করিলাম কিয়ৎক্ষণপূর্বে গলধঃকৃত খাদ্য বিশ্লেষণ। খাদ্য তালিকায় সচরাচর যাহা থাকে তাহার প্রায় সবই ছিলো, কেবল ডিম ছিলোনা। কেন? ডিমের উৎপাদন নাকি মূল্যবৃদ্ধি কোনটি এরূপ ডিমামিষহীন(ডিম হইতে প্রাপ্ত আমিষহীন) খাদ্য তালিকার প্রধান কারন? আমার গবেষণা প্রাপ্ত ফল ডিমের মূল্যের ঊর্ধ্ব গতিকেই দোষী সাব্যস্ত করিল। ডিমের মূল্যবৃদ্ধি ও বিজ্ঞান গবেষকগনের করনীয় বিষয়ক চিন্তায় যখন মগ্ন হইয়া রহিয়াছি তখন হঠাৎ লক্ষ্য করিলাম বয়সের ভারে কুঁচকাইয়া যাওয়া চর্ম ও পুরু চশমা বিশিষ্ট এক বৃদ্ধ ধীর পায়ে হল রুমে প্রবেশ করিতেছেন। আমার আসনের সারিটিই প্রবেশ মুখের সবচাইতে নিকটবর্তী সারি হওয়ায় বৃদ্ধটিকে দেখিলাম অল্পবয়স্ক এক ছেলের হাত ধরিয়া কোনক্রমে হাতড়াইতে-হাতড়াইতে আমার পার্শ্ববর্তী আসনটিতেই বসিলেন। বৃদ্ধ ভদ্রলোককে বসিতে বলিয়া তৎক্ষণাৎ যুবকটি প্রস্থান করিল। ইতোমধ্যে বৃদ্ধের চলনভঙ্গির উপর বিজ্ঞদৃষ্টি চালাইয়া বুঝিয়া গিয়াছি বৃদ্ধের দৃষ্টিশক্তি বড়ই ক্ষীণ। যখন পুনরায় আত্মজগতে প্রবেশ করিলাম ও ইলেক্ট্রনিক-কপোট্রনিক চিন্তাভাবনা লইয়া মগ্ন হইয়া পরিয়াছি তখনই চিন্তার ব্যঘাত ঘটাইয়া বৃদ্ধ আমায় কহিলেন-‘ বাবা কোন পক্ষের থেকা আসছ? ’
আচমকা মেজাজ না বিগড়াইলেও বুঝিলাম যে পক্ষপাতিত্ত্ব শুরু হইয়া গিয়াছে। আমার ধারনা আমি কনো পক্ষ হইতেই আসি নাই। আমি নিজ পক্ষ হইতে বন্ধুর নিমন্ত্রণে আসিয়াছি। তবে আমার ধারনা বন্ধু সম্ভবত কন্যা পক্ষেরই হইবে। তাই উত্তর দিবার খাতিরেই কহিলাম-‘জ্বি, মেয়ে পক্ষের।’
দেখিলাম এইবার ভদ্রলোক বর-কন্যাকে দেখিতে চোখ পিট-পিট করিতেছেন। তবে কদ্দুর দেখিতে পাহিলেন তাহার কিছুই কহিতে পারিব না। যাহা হউক বৃদ্ধ এইবার আমার পানে না চাহিয়াই কহিলেন-‘ জমাইর নাম জানো? ’
বিজ্ঞব্যক্তির মতন তাহার এই প্রশ্ন হইতেই অবলীলায় ধারনা করিয়া লইলাম তিনিও কন্যা পক্ষেরই লোক, সুতরাং আমাকে কষ্ট করিয়া আর তাহাকে বিষয়টি জিজ্ঞেসা করিতে হইল না। যদিও জিজ্ঞেস করিবার কনো ইচ্ছেও ছিল না। বৃদ্ধের প্রশ্নের জবাবে বন্ধু বর্ণীত বিশাল সেই নাম তৎক্ষণাৎ মনে করিতে পারিলাম না। ডাক নামটিই কেবল মনে রহিয়াছে। সুতরাং কহিলাম-‘ জামাই কামাল। ’
লক্ষ্য করিলাম বৃদ্ধের জিজ্ঞাসু দৃষ্টি এখনো ইতি-উতি করিতেছে কোন প্রশ্নের উত্তরের আকাঙ্খায়। কোন সেই প্রশ্ন তাহা তখনই কহিতে পারিব না তবে হঠাৎ করিয়াই নিজের বিচক্ষণতা ও জ্ঞানগর্ভ ঢালিয়া উজার করিয়া দিতে প্রবল টান অনুভব করিলাম। এমতাবস্থায় বৃদ্ধ পুনরায় জিজ্ঞেস করিলেন-‘ জামাইকে দেখতে কেমন লাগতেছে? ’ আহা! আচমকাই পাহিয়া গিয়াছি আকাঙ্খিত সেই সুযোগ। উথলাইয়া উঠিল জ্ঞান সমুদ্র।

বৃদ্ধের কথায় স্পষ্টত বুঝিলাম চোখ টানিয়া-টুনিয়া, ব্যাকা-ত্যাড়া করিয়া বৃদ্ধ এতক্ষন যাহা দেখিতে কসরত করিয়াছেন তাহার কিছুই তিনি দেখিতে পান নি। অতএব বেশি কথা না বাড়াইয়া জবাবে কহিলাম-‘ জামাইকা মাল। ’
বৃদ্ধ এইবার এমন দৃষ্টিতে তাকাইলেন এবং কান পাতিলেন যেন তিনি আমার কথা ঠিক মতন শুনিতেই পান নি। অতঃপর আমাকে উত্তরের পুনরাবৃত্তি করিতে হইল। দেখিতে পাইলাম বৃদ্ধের প্রশ্নবিদ্ধ চোখ। বিস্তারিত জানার আকাঙ্খা যেথায় বহুগুণ বাড়িয়া গিয়াছে। বুঝিলাম তরজমা করিবার সময় হইয়াছে। ঝাপাইয়া পরিলাম শানে-নযুলসহ তরজমা পেশ করিতে। কহিলাম-‘ মানে, জামাই তো কালো, মাথায় আবার চুল কম, গরুর মত বিশাল-বিশাল চোখ। পুরাই উসাইন বোল্ট। তবে ভুরিটা একটু বাইর হয়ে গেছে। ওইটা ছাড়া পুরাই আফ্রিকান বা জামাইকান টাইপের নিগ্রো। ’

এইবার মনে হইল খনিকের জন্য বৃদ্ধ আড়ষ্ট হইলেন। তবে পরমুহুর্তেই কিঞ্চিৎ হাসি ও বিস্ময় মাখা মুখে যৎসামান্য নিচু স্বরে কহিলেন-‘ মেয়েতো জানি সুন্দর ছিল, তাহিলে এই ছেলের সাথে বিয়া দিল ক্যান? ’
আবার বিচক্ষণতা প্রদর্শন স্বরূপ কোনরূপ চিন্তা-ভাবনা এবং সংশয় ছাড়াই কহিলাম-‘ জামাইকা মাল। ’
এইবার মনে হইল বৃদ্ধ বিভ্রান্তিতে পরিয়াছেন বুঝিলাম It’s the time to তরজমা।
- ‘ জামাইর মাল-পানি ভালো। শুনলাম মিল-ফ্যাক্টরী আছে। তাই হয়তো...। ’
মনে মনে কহিলাম ‘যাহা শুনিয়াছি তাহাই কহিয়াছি। তবু বাঙালি স্বভাবতো তাই বিনামূল্যের আলকাতরা যত্র-তত্র মন ভরিয়া লাগাইবার পারদর্শিতা দেখাইতে কার্পণ্য করি নাই! ’

মনে হইল বৃদ্ধ হয়তো এইবার হতভম্ব হইয়া গিয়াছেন। অদ্ভুত দৃষ্টিতে চারপাশে চাহিতে চাহিতে তিনি অন্যমনষ্ক হইবার ভান ধরিলেন। এমতাবস্থায় দেখিলাম বৃদ্ধ লোকটির পাশে আসিয়া এক ভদ্রলোক বসিলেন। বোধগম্য হইল যে ভদ্রলোক বৃদ্ধের পরিচিত। বৃদ্ধলোকটি মনে হইল যেন কিছুটা হাফ ছাড়িয়া বাঁচিলেন। নবাগত ব্যক্তিটির সহিত বৃদ্ধ বাতচিতে মশগুল হইয়া পরিলেন। আচমকাই আমাদের কথপকথনের সমাপ্তি ঘটিল। আমিও ধীরেধীরে পুনরায় দেশ-জাতির ও সমাজিক উন্নয়নের চিন্তায় ডুবিয়া গেলাম । পরবর্তীতে আমার সহিত তাহার আর কোন কথা হয় নাই।

প্রথমেই উল্লেখ করিয়াছি আমি অলস এবং এতটুকু সময়েই বেশ কিছুবার সফলতার সহিত ইহার নিদর্শন রাখিয়াছি। এবং যেহেতু অনেক লিখিয়া ফেলিয়াছি, আর লিখিতে পারিব না সুতরাং উপসংহার আর বিস্তৃত না করিয়া আচমকাই শেষ করিয়া দিলাম। ধন্যবাদ।

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

( সিফাতস্কি আলমাস )


মন্তব্য

ব্রুনো এর ছবি

'সুন্দরী' মেয়ের সাথে কালো 'আফ্রিকান বা জ্যামাইকান নিগ্রো টাইপের' ছেলের বিয়ে হলে সমস্যা কোথায়? লেখাটা আমার কাছে বর্ণবাদী বলে মনে হইছে।

সাইদ এর ছবি

সহমত

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

চলুক

ফাহিম হাসান এর ছবি

ব্রুনোর মন্তব্যে চলুক

guest_writer এর ছবি

লেখাটা আমার কাছে বর্ণবাদী বলে মনে হইছে।- সহমত

অতিথি লেখক এর ছবি

রম্যরচনা তবে কেন জানি হাসি পাইনি। মন খারাপ

অমি_বন্যা

হিল্লোল এর ছবি

হাসির কথা বাদই দিলাম, বর্ণবাদের প্রকোপ দেখে ক্ষেত্রবিশেষে কান্না চলে আসার উপক্রম হইছে। কষে মাইনাস অফ যা

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

imli এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি আপনার লেখা বেশ মজার, এ রকম আরো গলপ শুনতে চাই।সুন্দরী মেয়ের সাথে নিগ্রো টাইপের ছেলের বিয়ে হলে সমস্যা কারো নয়।
"বুনো" গলপের রস বুঝতে না পারলে চুপচাপ থায়েন , নিজেরে বলদ বোঝানর দরকার কি? গলপে যদি ফরসা মেয়ের সাথে ফরসা ছেলের বিয়ে হোতো তবে আপনার মত গানডু বলত- কালো মানুষদের উপেক্ষা করা হচ্ছে। এখানে ত কাওকে অপমান করা হয় নি। আপ্নেও কি আমার মত কাল, আর আপ্নার গারলফেরেন্ড কি খুব ফরসা ? দেঁতো হাসি

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

জনাব/জনাবা ইম্লি,
আপনার ভাষা খুবই আপত্তিকর, ব্রুনো গল্প বুঝেছেন কিনা, সেটা আপনার ঠিক করে দেবার কোন প্রয়োজন দেখি না। তবে এইরকম গল্প আরও শুনতে চান দেখে আপনার বোঝার দৌড় বেশ পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। অপরিচিত একজন মানুষকে কোন ধারণা ছাড়াই গান্ডু সম্বোধন করে প্রমাণ করেছেন, আপনি ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন। মন্তব্য করার আগে (সেটাও আপনি ঠিকমতো পারেন না দেখা যাচ্ছে, প্রচুর টাইপো) ভদ্রতা শিখুন।

সত্যপীর এর ছবি

আরেকজনরে বলদ কওয়াও দরকার নাই কিন্তু।

..................................................................
#Banshibir.

ব্রুনো এর ছবি

বিভ্রান্ত হয়ে গেলাম! আমারে বলতেছেন? আমার নিক তো ব্রুনো, বুনো না।

কালো পাত্রকে কালো পুরু ঠোঁটওয়ালা বিশিষ্ট প্রাণী বলার পরও বলতেছেন কাওকে অপমান করা হয় নি? ভাগ্যিস আপনার মতো গল্পের রস বুঝতে পারি না! অবশ্য 'সুন্দরী' মেয়ের পাশে কালো বর দেখলেই 'ক্যান বিয়ে দিতেছে' চিন্তা আসাটাই যে বর্ণবাদী- এইটা না বুঝলে বাক্যব্যয় বৃথা।

বলদ আর গানডু শব্দ দুইটার জন্য রাগ হওয়ার কথা ছিলো, ক্যান জানি হাসি আসতেছে হাসি

songjukta  এর ছবি

মন খারাপ

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

নিগ্রো শব্দটি একটি রেসিস্ট গালি। আপনি সম্ভবত না বুঝেই শব্দটি ব্যবহার করেছেন।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমার ধারণা বুঝেই করেছে। অশুভকে কালো বলার সংস্কৃতিকে আমার কাছে অসচেতন কিছু মনে হয় না।

phoenix এর ছবি

অফ যা

এক জোনাকি এর ছবি

গল্পটা ভালই লাগছিল, কিন্তু মাঝপাথে এসে হোঁচট খেলাম।
আপনার লেখার স্টাইল ভাল লেগেছে, পরবর্তী গল্প ভাল হবে আশা করছি।

মেঘা এর ছবি

বিরক্ত হলাম ভীষণ রকম। রম্য পড়ে বিরক্ত হবার ঘটনা বিরল অফ যা

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

রম্য হিসেবে ভালো লেগেছে। তাছাড়া শাস্ত্রে আছে, রম্য- সেটা আপনি যাই নিয়েই করেন না কেনো, অসামান্য তাকে হতেই হবে। কারো পাছায় হুদাই রম্যের নামে মশাল জ্বেলে ঠেসে ধরলেও সেইটা রম্যই। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নাই। এইটা নিয়ে পাছায় হুরমতির ছ্যাঁক খাওয়া পাবলিক হাউকাউ করলে সেইটা তার নিতান্ত-ব্যক্তিগত-আন্তর্গ্যালাক্টিক- মানসিক সমস্যা। তারে ধরে দোররা মারা হবে। ব্যাটা শাখামৃগ, রম্য বুঝে না!

প্রথমের 'জামাইকা মাল' বুঝতে কয়েক মিলি সেকেন্ড সময় লাগছে, সেটাও বানানের কারণে। শব্দটা বোধ'য় 'জ্যামাইকা মাল' হবে। আপনি লিখতে থাকেন। লিখে ফাডায়ালান। আই লাইক্স দিছ।

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

আলমাস সাহেব,
আপনার গল্পটা কলায় খোসায় পা পিছলে পড়ার রম্যের মত লেগেছে। এক লাইনের ঘটনা, অহরহ ঘটছে। কেউ পিছলে পড়লে হাসা উচিৎ নয়, তাও অনেকেই হাসে। এখানেও এমন কিছু পাঠক পেয়ে যেতে পারেন।

আপনি দু হাতে লিখুন, কিন্তু একটু বেশি সময় দিন লেখালেখিতে। এক বসায় লেখা শেষ করতে পারলে আনন্দ লাগে বটে, কিন্তু প্রায় সময়ই সেগুলোতে ফাঁক থেকে যায়। আপনার হাত ধরে সুপাঠ্য রম্য গল্প আসুক ভবিষ্যতে, এই শুভকামনা।

মারুফ সরকার এর ছবি

গল্পের ভাষা রীতি ঠিক আছে । কিন্তু এটাকে আমার কাছে ভ্রমণ কাহিনী মনে হল । বর্নবাদ মূলক তো বটেই । লেখক নিজে নিছক কাউকে অপমান মূলক বর্ণনা দেয়া লেখক গুনের পরিপন্থী ।

Guest_Writer নীলকমলিনী এর ছবি

সৌন্দর্যের সংজ্ঞা যে রঙ নয়, সেটা বহু বাঙ্গালীই জানেনা। লেখাটি এত রঙ বিদ্বেষী যে রম্য বুঝতে পারিনি। সচলে যারা লেখেন তারা এইসবের বাইরে হবেন আশা করেছিলাম। নিগ্রো কথাটি একটি গালি। হয়তো এই কালো মানুষটি একজন অসাধারন প্রেমিক, সহানুভুতিশীল স্বামী, মুক্তমনা। এই রকম একটি স্বামীই মেয়েরা চায়।
আমার জানা মতে, আমরা মেয়েরা কিন্তু কালো ছেলেই বেশী পছন্দ করি।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

আমার জানা মতে, আমরা মেয়েরা কিন্তু কালো ছেলেই বেশী পছন্দ করি।

কাল থেইকা সিদা খালি গায়ে রোদে দাঁড়ায়া থাকুম। দেঁতো হাসি

সাফিনাজ আরজু  এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ফাহিম হাসান এর ছবি

ভুল বানান, টাইপো আর বিদঘুটে রম্য অফ যা

আরো ভালো লেখার চেষ্টা করুন।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

সিফাতস্কি আলমাস,

আপনার এই পোস্টটা ভাল লাগল না।
অবশ্য তা ব্যাপার না। একজন লেখকের সব লেখাই ভাল হবে, এমন কোন কথা নেই।

আপনার পরবর্তী লেখা দিয়ে আপনি সবাইকে মুগ্ধতার তাক লাগিয়ে দেবেন, এমনটা আশা করি।
ভাল থাকুন।

কালো কাক এর ছবি

একজন মানুষকে দেখে আরেকজন মানুষের বমি এসে গেলো ? দুঃখিত নই জানাতে, খুবই কুরুচিপূর্ণ লেখা।

শিশিরকণা এর ছবি

আহেম, এইযে জামাইকা মাল...
http://www.youtube.com/watch?v=8yCP1phpN3o

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ফালতু।

সজল এর ছবি

আমি আপনার লেখার হাত নিয়ে অত চিন্তিত না, যতটা আপনার মানসিকতা নিয়ে! বর্ণবাদের নগ্ন প্রকাশ।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

সত্যপীর এর ছবি

মারুফ সরকারের মন্তব্যের শেষ লাইনে চরম সহমত, "লেখক নিজে নিছক কাউকে অপমান মূলক বর্ণনা দেয়া লেখক গুনের পরিপন্থী ।" রম্য লেখায় অন্যকে নিয়ে হাসার আগে নিজেকে নিয়ে হাসতে হবে, নইলে পুরো রসই বরবাদ। আমি বড় সে ছোট টাইপ ব্যাপার থাকলেই আর মজা থাকে না।

মনে করি এই লেখায় লেখক যদি "জামাই তো কালো... পুরাই উসাইন বোল্ট।" বলার বদলে এরকম কিছু বলতেন "জামাইয়ের চেহারাছবি আমার মতই ঘুটঘুটে অন্ধকার" তাহলে উত্রে যেত দুইটি কারনে। এক, আপনি অন্য কাউকে নিজের চেয়ে নিচু দেখাচ্ছেন না (আবার যা বলতে চাচ্ছেন তাও বলা হল)...দুই, কারো নাম উল্লেখ করা হল না। নাম উল্লেখ করা বারণ তা নয়, খিয়াল কৈরা এই আর কি।

রম্য লেখা সহজ নয়। লেগে থাকুন, হো জায়গা।

..................................................................
#Banshibir.

guest_writer এর ছবি

দুর্গন্ধযুক্ত বর্ণবাদি লেখা। অতি নিম্ন শ্রেণীর কুখাদ্য রচনা করেছেন মশায়, আপনার মাথায় ইটা রাইখ্যা গেলাম... ভাংতে পারলে শান্তি পেতাম। আমার সময়ের দাম দ্যান মিয়া।

নীরা এর ছবি

আমার জামাই ও কালো... কিন্তু আমার নয়নের আলো...লুল...

নীরা

Rashed Moorad এর ছবি

আলমাস সাহেবের লেখাটি পুরোপুরি পড়া গেলো না, ‌যদ্দুর পড়লাম তাতে আবারো বুঝলাম রম্য লেখা সহজ কম্ম নয়।

ছোট নদী  এর ছবি

হুম

আনন্দী  এর ছবি

যারা এখানে লেখকের সমালোচনা করছেন তারা কতজন নিজে সুপুরুষ হয়েও কুৎসিত দর্শন নারী কে জীবনসঙ্গিনী করবেন সৎ ভাবে জানাবেন?? এখানে যাই বলুন না কেনও বাস্তবে তার উল্টোটাই দেখা যায় কিন্তু. আর তাছাড়া বহু মেয়ের পরিবার থেকে পাত্রের নিজের রূপ-গুন বা যোগ্যতা বিচার না করেই শুধু পাত্রের অর্থ -ধন-সম্পদ দেখেই সুন্দরী-অল্পবয়সী মেয়েকে তার হাতে তুলে দেওয়া হয়. এখানেও তাই ই হয়েছে.সেই লোভী স্বভাব টাকেই এই রম্যে হালকা সুরে কটাক্ষ করা হয়েছে. আর তাছাড়া ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয় একজন সুন্দরী নারীর সুন্দর পুরুষকে বিয়ে করার ইচ্ছে থাকাই স্বাভাবিক. সেটা বিকৃত শোনাবে তাদের কাছেই যারা উল্টো ইচ্ছেটি পোষণ করেন মনে মনে. আর মেয়েদের ইচ্ছে-অনিচ্ছে -কাম-ভালবাসা-বাসনা ইত্যাদির কথা শুনলেই তেলেবেগুনে হয়ে জ্বলে ওঠেন. পৃথিবীর অনেক জায়গাতেই তো ইউরোপিয়ান-এশিয়ান , বা এশিয়ান-আফ্রিকান বিয়ে হয়েই থাকে, সেটার দিকে তো রচনায় আঙ্গুল তোলা হয়নি? আর পাত্রর মানবিক গুন গুলি থাকলে তো খুব ই ভালো. কিন্তু আছেই তার কোনো guaranty ও এখানে দেওয়া হয়নি বা সেটা নিয়ে আলোচনাও হয়নি. কন্যাপক্ষ থেকে সেটার সন্ধান যে পাত্রের মধ্যে করা হয়েছে তাও নয়. শুধুই পাত্রের সচ্চ্লোতাটাই আমাদের সমাজে প্রধান বিবেচ্য এখনো পর্যন্ত .একটা নিখাদ রম্য রচনাকে বর্ণবিদ্বেষমূলক উপাধি দেওয়াটা শিশুসুলভ .

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।