জাতিগত সংঘাত ও একজনের কিছু অভিজ্ঞতার বর্ণনা ( আইভরি কোস্ট টুকিটাকি- ৭)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১১/১১/২০১২ - ১২:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জাতিগত দাঙ্গা যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে তার অনেক উদাহরণ হয়তো আছে কিন্তু এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে যার প্রতিটি সময় কেটেছে তেমন মানুষের দেখা কিন্তু সহসায় পাওয়া যায় না। আইভরি কোস্টে এসে তেমন অনেকের সাথেই দেখা হয়েছে যারা এইরকম অবস্থার মধ্য দিয়ে গেছে। আবার জাতিগত বিদ্বেষের দুই একটি রক্তপাতও এখানে দেখেছি যেখানে এই সংঘাতের মূল্য তার দ্বিগুণ প্রাণ ও রক্ত দিয়ে শোধ করতে হয়েছে। এই ধরনের সংঘাতে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় বৃদ্ধ , নারী ও শিশুরা। কোন এক গোত্রের কাউকে খুন করা হলে এর প্রতিশোধ হিসেবে প্রতিপক্ষের পাড়ায় তার দ্বিগুণ লাশ ফেলতে সময় লাগে ২৪ ঘণ্টা।যদি ওই পাড়ার লোকেরা আগেই এই আক্রমণের ব্যাপারটাআঁচ করতে পারে তবে মুহূর্তেই পাড়া হয়ে যায় মানবশুন্য। আর যদি তা আঁচ করতে না পারে তবে তার মূল্য দিতে হয় ভয়ানক ভাবে। প্রথমেই পুরুষ মানুষদের কুপিয়ে হত্যা করা হয় আর জীবন্ত মানুষকে গায়ে কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে মারার একটা রীতি এখানে বেশ প্রচলিত। তারপর চলে ঘরে আগুন দেয়া, নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং সবশেষে লাশের উপর দাড়িয়ে আনন্দল্লাস। এটা হল এখানকার বিভিন্ন ট্রাইবের মধ্যে অন্তর দ্বন্দ্বের করুণ পরিণতি।

২০১১ সাল ছিল আইভরি কোস্টের জন্য বেশ উত্তাল। এটা এমন একটা সময় যখন গণহারে চলছিল বেতে ট্রাইবাল ও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাগবো সমর্থক নিধন। এই সময়ে সবচেয়ে বেশী মানুষ মারা গেছে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে যেখানে বাগবো সমর্থক ও তার গোত্রভুক্ত নারী পুরুষের আধিক্য ছিল। যারা ইতোপূর্বে রেবেল হিসেবে আখ্যায়িত ছিল তারা রাতারাতি হয়ে পড়ে দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী( এফ আর সি আই) আর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাগবোর সমর্থকেরা হয়ে পড়ে মিলিশিয়া। শুরু হয় নির্বিচারে মিলিশিয়া নিধন। সে সময় সবচেয়ে বেশী হত্যা করা হয়েছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলেদের। কারণ দেশটির অধিকাংশ ছাত্রের কাছে তথা একটু সচেতন শ্রেণীর মানুষের কাছে বাগবো ছিলেন অসম্ভব জনপ্রিয়। ফ্রান্সের একচেটিয়া আধিপত্যের বিরুদ্ধে তার কিছুটা সোচ্চার অবস্থান সচেতন মানুষদের কাছে বেশ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল।

সেরকম একজন বিশ্ব বিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রের সাথে আমার সেদিন কথা হচ্ছিল। কথা প্রসঙ্গে গণহত্যার ওই সময়ে সে কোথায় ছিল তা জানতে চাইলাম। প্রত্যুত্তরে জানা যায় সে তখন দেশটির অর্থনৈতিক রাজধানী আবিদজানে ছিল ।আলোচনার দীর্ঘ সুত্রিতায় তার সেই সময়কার বাস্তব কিছু মুহূর্তের মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা চলে আসলো। ছেলেটির নাম রবার্ট। বয়স ২৭-২৮ হবে। সে এখনও তার দেশ নিয়ে নতুন অনেক স্বপ্ন আর সম্ভাবনার কথা ভাবে।

রবার্ট তার চাচা আর দুইজন ছেলে মোট চারজন সেই সংকট কালীন সময়ে আবিদজানের একটি বাসায় থাকতো। সময়টা এপ্রিল ২০১১ এর মাঝামাঝি হবে। ওইসময় বর্তমান ক্ষমতাসীন ওয়াতারা সমর্থক সরকারী সামরিক বাহিনী (যারা সবেমাত্র রেবেল থেকে দেশটার দখল নিয়েছে ) ছাড়া আর কাউকেই রাস্তায় দেখা যেত না। প্রতিদিন প্রচণ্ড গুলির শব্দ আর অসহায় মানুষের আর্ত চিৎকারে তাদের ছোট্ট কক্ষের মধ্যে প্রবহমান বাতাস ভারী হয়ে উঠত। জানলা দিয়ে দিনের আলোয় উঁকি মারার সে সাহস তখনও তাদের ছিল না শুধু অন্ধকার রাতের কালো ভেদ করে আগুনের উড়ে যাওয়া ফুলকি ঝুল বারান্দার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে দেখা দিত। প্রথম যখন সে বাসায় তারা আশ্রয় নেয় তখন সামান্য কিছু খাদ্য সেখানে মজুদ ছিল। দোতলা ওই বাসার অন্যান্য ফ্ল্যাট ছিল জনমানবশূন্য। সারাদিন কাটতো নানাবিধ আশংকায় । কখন আসবে এফ আর সি আই আর বন্দুকের নলায় দিতে হবে প্রাণ।

সেদিন বাঁচার জন্যে তার বিশ্ব বিদ্যালয়ের পরিচয় পত্র ফেলে দিতে হয়েছিল। কম্পিউটারের সাহায্যে তৈরি করতে হয়েছিল একটা ফেক জাতীয় পরিচয় পত্র। কারণ প্রকৃত পরিচয় পত্রে তার ঠিকানা দেয়া ছিল দালোয়া যেটা প্রো বাগবো এলাকা নামে পরিচিত।এভাবেই কাটছিল দিন।দিনের বেলা সে অনেক মানুষকে জীবন্ত গায়ে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে দেখেছে। এই অবস্থা থেকে বাদ পড়েনি শিশুরাও। তখন তন্ন তন্ন করে প্রায় প্রতিটি বাড়ীই খোজা হচ্ছিল। একসময় খুঁজতে খুঁজতে চলে আসে তাদের পালা। প্রথমেই সবাইকে নীল ডাউন হতে বলা হয়। এরপর এক এক করে চেক করা হয় আই ডি কার্ড। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া রবার্টকে সেদিন জুতা সারাই করা শ্রমিকের পরিচয় দিতে হয়েছিল।

তিনজনকে জিজ্ঞাসা করার পর চতুর্থ জন বলে সে মিউজিসিয়ান। মিউজিসিয়ান শব্দটি সদ্য রেবেল এফ আর সি আই দের কাছে মিলিশিয়া মনে হয়। এরপর তার উপর নেমে আসে অমানিশা। একে-৪৭ এর বাট দিয়ে তার কাঁধ আর মুখ থিতলে দেয়া হয়। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় বাকীরা কোথায়। সে কিছুতেই বোঝাতে পারছিলনা যে সে একজন বাদ্য বাদক, মিউজিসিয়ান। তার হাত বেঁধে ফেলা হয় এবং তাকে নিয়েই সারা ঘর তন্ন তন্ন করে খোজা শুরু হয়। এইরকম একজন মিলিশিয়া নিয়ে কেন তারা এ বাসায় থাকছে সেই অপরাধে তাদের দিকেও ব্যারেল তাক করে রাখা হয়। রবার্ট কিছুতেই বোঝাতে পারছিল না যে সে মিলিশিয়া না মিউজিসিয়ান।

আসলে যে কোন রায়টের সময়ই মানুষ কেন জানি পশু হয়ে যায়। কোন কিছু বাচ বিচার করতে চাইনা। ওই মুহূর্তের জন্যে যা সে নিজে ভাবে সেটাকেই সঠিক মনে হয়। কে কি বলল তাতে কিছু যায় আসে না। তবে চতুর্থ জনকে সঙ্গে নিয়ে খুঁজতে খুঁজতে সেদিন একটা ভায়োলিন পাওয়া গিয়েছিল সে বাসায়। তখন সেটা দেখিয়ে তাকে প্রমাণ করতে হয়েছিল যে সে একজন মিউজিসিয়ান, মিলিশিয়া নয়। এরপরও সন্দেহের তীর কারো উপর থেকে তখনও সরেনি। রবার্টের চাচাকে মেঝেতে চিত করে শুইয়ে নির্বিচারে ছুরি চালানো হয়। তাকে দেখে নাকি কেমন জানি মিলিশিয়া মনে হয়েছিল। আসলে এইরকম অবস্থায় দুই একজন স্কেপ গোট হয়ে যায়। ওই সময়ের জন্য তিনি হলেন তার চাচা। রবার্টের মাথায় নল ঠেকিয়ে টাকা চাওয়া হয় নচেৎ গুলি করার হুমকি দেয়া হয়। তার কাছে কোন টাকা নেই , চাইলেই গুলি করতে পারে বলে সে জানিয়ে দেয়। আইভরিয়ানরা বেশ জেদি। অনেক কিছুর সাথেই তারা কম্প্রমাইস করতে চাই না। ঠিক যেমনটি চাইনি রবার্ট। অনেক চেষ্টা করেও যখন কিছুই আদায় করা গেল না তখন রাইফেলের বাট দিয়ে রক্তাক্ত করা হয় ওদের চারজনকেই। সেদিন রাতে ওদের ছেড়ে দেয়া হয়। ওই রাতের সেই মুহূর্ত গুলো ছিল কয়েক ঘণ্টার কিন্তু তার কাছে সেই সময় ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ সময়। সেদিন রাতে ঝুল বারান্দার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে বাঁচাও বাঁচাও করে নারী কণ্ঠের তীব্র আকুতি, ঘরবাড়ী পুড়িয়ে দেয়া আগুনের ফুলকি, জীবন্ত দগ্ধ হওয়া মানুষের চিৎকার আর ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়া রক্তের স্রোত আজও তার কাছে সবচেয়ে দুঃসহ স্মৃতি। কথাগুলো বলতে গিয়ে সে তার নিজের অশ্রু সংবরণ করতে পারছিল না। বারবার শুধু সে রাতে তাকেও মেরে ফেলতে পারতো বলে আঁতকে উঠছিল।

ওই রাতের পর আর কেউ আসেনি তাদের খুঁজতে। কিন্তু জীবন বাঁচানোর মত খাদ্য শেষ হয়ে গিয়েছিল ওদের। প্রায় এক সপ্তাহ তারা শুধু বিয়ার খেয়েই বেঁচে ছিল। ওই সময়ে বিয়ারই ছিল জীবন বাঁচিয়ে রাখার মত সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু। প্রচণ্ড খুদা পেত কিন্তু কোন দোকানই তখন খোলা ছিল না। তাদের সবার অবস্থায় অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়েছিল। সারাক্ষণ শুধু একটাই চাওয়া কবে শেষ হবে এই যুদ্ধ। কবে তারা এই চার দেয়াল থেকে বেরিয়ে মুক্ত হতে পারবে সেই প্রতীক্ষায় দিন গুনত। এর কয়েকদিন পর অবস্থা একটু শিথিল হয়ে আসে। জীর্ণ শীর্ণ চারটি মানুষ বের হয়ে আসে রাস্তায়। চারিদিকে জয়োল্লাস ক্ষমতাসীন রেবেলদের। মৃত্যুর কূপ থেকে বের হয়ে মুক্ত মাটির ওপর একটু দাড়িয়ে জোরে নিঃশ্বাস নিতে থাকে রবার্ট। তাহলে সে মরেনি এই যুদ্ধে – বেঁচে গেছে।

অমি_বন্যা


মন্তব্য

রংতুলি এর ছবি

গুরুত্বপূর্ন পোস্ট! ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার মানুষটির জন্য সমবেদনা। তার বর্ননায় এ অঞ্চলগুলোর সহিংসতার বাস্তব রূপ অনেকটা ধারণা করা যায়। এই বর্বতা দেখে ভাবতে কষ্ট হয় মাত্র কয়েক দশক আগেও এদের মধ্যে এই জাতিগত ভেদাভেদ এতোটা ভয়ংকর আকারে ছিলোনা, পশ্চিমা কলোনি প্রভুদের রেখে যাওয়া আর এক জ্বলন্ত আগুনের নাম এই 'জাতিগত সংঘাত'।

পশ্চিম আফ্রিকার অধিকাংশ দেশের মত আইভরি কোস্টেও জাতিগত দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে মূলত লাইবেরিয়া ও সিয়েরা লিওনের গৃহযুদ্ধের সময়কাল থেকেই। কুখ্যাত পালের গোদা চার্লস টেইলরের বদৌলতে সেসময় অকল্পনীয় পরিমাণ অস্ত্রের আন্তর্জাতিক যোগান ঢুকে পড়ে এ অঞ্চলটিতে, যার একটা বড় কারণ ছিলো সিয়েরা লিওনের হীরার খনি কব্জা আর লাইবেরিয়ায়, সিয়েরা লিয়নের হীরার কালোবাজারির ঐতিহাসিক বাজার দখল করা। যে অস্ত্রের অধিকাংশ রয়ে গেছে এখনো দুর্বৃত্তদের হাতে। আইভরি কোস্টের সহিংসতায়ও যার ব্যবহার দেখা যায়, এসব নিয়ে পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে অনেক দিনের, সময় সুযোগের অভাবে কিছুই করা হচ্ছে না!

আইভরি কোস্টে ঘটে যাওয়া কয়েকদফা গৃহযুদ্ধ নিয়ে আরো বিস্তারিত লিখুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, রংতুলি। দেখি লিখবো আরও ।

অমি_বন্যা

অতিথি লেখক এর ছবি

গায়ে কাঁটা দেয়া বর্ণনা। লেখা ভালো হয়েছে। চলুক।

ফারাসাত

অতিথি লেখক এর ছবি

মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ,ফারাসাত।

অমি_বন্যা

অতিথি লেখক এর ছবি

বনের পশুকে ভয় পাবার কিছু নেই, মানুষকে ভয় কর।।।
কথাটা অনেকবার শুনেছি, আবারো মনে পড়ল এই লেখার পর।
--বেচারাথেরিয়াম

অতিথি লেখক এর ছবি

মন খারাপ

অমি-বন্যা

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলেই ভয়ানক। লেখার ইচ্ছে আছে। তোমাকে ধন্যবাদ। ভালো থেকো।

অমি_বন্যা

কানিজ ফাতেমা  এর ছবি

ভয়ানক অভিজ্ঞতা রবার্টের জীবনে।গৃহযুদ্ধ নিয়ে আরও লেখ।

স্যাম এর ছবি

চলুক
চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- , স্যাম দা।
লেখা চলবে।

অমি_বন্যা

ঘাসফড়িং এর ছবি

বিশ্বজুড়ে হানাহানির সমাপ্তি হোক। মানবতার জয় হোক।

অতিথি লেখক এর ছবি

মানবতারা জয়ী হোক।

অমি_বন্যা

লালকমল এর ছবি

জাতিগত সংঘাত কোন ভাবেই কাম্য নয় ।

অতিথি লেখক এর ছবি

সকল ধরনের সংঘাতের অবসান হোক।

অমি_বন্যা

অতিথি লেখক এর ছবি

পড়তে পড়তে মনে হলো ফিরে গিয়েছি সেই আদিম দুনিয়ায়।

আব্দুল্লাহ এ.এম.

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলেই এ এক অমানবিক বর্বরতা ।

অমি_বন্যা

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ অনু দা।

অমি_বন্যা

অতিথি লেখক এর ছবি

দুঃসময়ের ভয়াবহ অমানবিক চিত্র। চলুক

আসমা খান

অতিথি লেখক এর ছবি

দুঃসময়, ভয়াবহ, অমানবিক - আসলেই ঠিক।

অমি_বন্যা

সুমাদ্রী এর ছবি

ভয়ানক অভিজ্ঞতা!!!

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অতিথি লেখক এর ছবি

মন খারাপ

অমি_বন্যা

সাফিনাজ আরজু  এর ছবি

মন খারাপ মন খারাপ মন খারাপ
মানুষে মানুষে এত বিভেদ আর ভালো লাগেনা ।

অতিথি লেখক এর ছবি

মন খারাপ দূর হোক সকল বিভেদ।

অমি_বন্যা

নীড় সন্ধানী এর ছবি

অদ্ভুত ভয়ানক রকম অভিজ্ঞতা মন খারাপ

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম ভয়ানক, নীড় দা।

অমি_বন্যা

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অমি_বন্যা

ক্রেসিডা এর ছবি

পড়েছি - জানিয়ে গেলাম। হাসি

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অতিথি লেখক এর ছবি

জেনে ভালো লাগলো , ক্রেসিডা। হাসি

অমি_বন্যা

কড়িকাঠুরে এর ছবি

চলুক

এর সূত্রপাত তো বাগবো যখন নির্বাচনী ফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়, এবং ক্ষমতা ছাড়তেও নারাজ ছিল সে। নিরাপত্তা বাহিনীকেও সে ব্যবহার করে, ভোটে জয়ী ওয়াতারাকে একটি হোটেলে বন্দি করে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীই ওয়াতারার নিরাপত্তা দিয়েছিল সে সময়। এপ্রিল ২০১১ এর আগের ঘটনা অর্থাৎ নভেম্বর ২০১০ থেকে এপ্রিল ২০১১ পর্যন্ত আবিদজান এ পুরো উল্টো ঘটনাও পাওয়া যাবে। যেখানে ওয়াতারার সমর্থক গোষ্ঠি নির্যাতিত আর নির্যাতনকারী বাগবোর সমর্থনকারী নিরাপত্তা বাহিনী।

আর একটা ব্যাপার আপনি আগেই বলেছিলেন, এখানেও বলছেন যে তারা অনেক বেশি জেদি। নিজের গোত্রের কারও উপর আঘাতের জন্য দ্বিগুণ মাশুল দিয়ে হলেও পাল্টা আঘাত করতে পিছপা হন না। আর যখন ক্ষমতা আর অস্ত্রও সহজলভ্য হয়ে যায় তখন তার ভয়ংকর-ভয়াবহ রূপই বাইরে থেকে আমরা দেখতে পারি।

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলে বাগবো এবং ওয়াতারা এই দুই জনই দুজনার প্রতিপক্ষ। ক্ষমতার লোভে উভয় পক্ষই বিভিন্ন সময়ে একে অপরকে আঘাত করেছে। এরা উভয়েই উভয়ের জন্য কখনও নির্যাতনকারী আবার কখনও নির্যাতিত হয়েছে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ,কড়িকাঠুরে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার লেখা থেকে। নির্বাচনের পর পরই আমার এক বান্ধবী এবং তার কয়েকজন সহকর্মীকে ইভাকুয়েট করে ডাকারে নিয়ে আসা হয়েছিলো। তার কাছ থেকে কিছু কিছু শুনেছিলাম।

চলুক

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ রাতঃ দা । ভালো থাকবেন।

অমি_বন্যা

কালো কাক  এর ছবি

বাংলাদেশের মানুষের জবানিতে আফ্রিকা সম্পর্কে জানা হয়নি তেমন আগে , আপনার লেখাগুলো ভালো লাগছে.

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে। প্রেরণা পেলাম আপনার কথায়। ভালো থাকবেন।

অমি_বন্যা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।