টরন্টোতে ভেস্তে গেল জামাতের দেশবিরোধী সেমিনার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৬/০৩/২০১৩ - ৪:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত ১৭ মাচর্ কানাডায় অবস্থিত টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স অ্যান্ড আর্টস ফ্যাকাল্টি ভবনে ‘বিডি ওয়াচ’ নামে পরিচালিত একটি সংগঠন ‘বাংলাদেশে গনতন্ত্র না ফ্যাসিজম’ শিরোনামে একটি সেমিনারের আয়োজন করে। তরুণ প্রজন্মের দর্শক শ্রোতাদের প্রশ্নের মুখে সেমিনারটি তড়িঘড়ি শেষ করতে হয়েছে। এমনকি সেমিনারের বক্তারা বক্তব্য রাখার সময় বক্তারা বিষয়বস্তু পাল্টে সাদামাটা বক্তৃতা করেছেন এবং পূর্ব নির্ধারিত বক্তাগণ সবাই বক্তৃতাও দেননি। ঘটনার বিবরণ এখানে শেয়ার করা হল যাতে বিশ্বের সবাই সজাগ হোন বিদেশের মাটিতে জামাতি প্রোপাগান্ডা ছড়ানো ঠেকাতে।

পুরো সেমিনারটির অডিও রেকর্ড এখান থেকে শুনতে পাবেন। নিচে সেমিনারটির মূল অংশ এবং প্রাসঙ্গিক কথাগুলি লিখছি।

কুচক্রি জামাতি মহল প্রথমে গোপনে ইমেইলের মাধ্যমে সেমিনারের প্রচার শুরু করেছিল প্রায় ২ সপ্তাহ আগে। সেমিনারের দুদিন আগে বাঙালি পাড়ায় তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল দোকানে সেমিনারের লিফলেট টাঙিয়ে দেয়। তারা ধারণা করেছিল এত তাড়াতাড়ি সেমিনারে আসতে লোকবল জোগাড় হবে না বা আমরা জামাতি সেমিনারে অংশগ্রহনে উৎসাহ পাবোনা।

ঘটনার দিন আমরা, প্রজন্ম কানাডা’র পক্ষ থেকে প্রায় ৩০ জন মানুষ নিয়ে উপস্থিত হই। আমাদের মধ্যে ছিলেন দুই জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, টরন্টো এবং ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচুর ছাত্রছাত্রী (স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর) এবং বিভিন্ন পেশাজীবি পুরুষ ও মহিলা। কিছু কানাডিয়ান বংশোদ্ভূতও ছিলেন আমাদের সঙ্গে। জামাতীদের পক্ষে টরন্টো এবং এর বাইরের প্রায় ৩০-৪০ জন মানুষ ছিলেন যার মধ্যে দুই একজনকে দেখে মধ্যপ্রাচ্যের মনে হয়েছে, তারা বাদে প্রায় সবাই বাংলাদেশী।

আড়াইটায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জামাতি গ্রুপটা সকাল থেকেই নির্দিষ্ট স্থানে এসে তাদের নিজেদের কার্যক্রম চালাচ্ছিল। আমরা অনুষ্ঠানস্থলে ঢোকার মুখে দেখতে পেলাম প্রচুর বাক্স-পেটরা পড়ে আছে। বোঝা গেল যে সেমিনার সফল করতে তারা টরন্টোর বাইরের শহরগুলো থেকেও মানুষ নিয়ে এসেছে। যাই হোক, আমাদের ঢোকার সময় জামাতি গ্রুপ দুপুরের খাবার খাচ্ছিল সেমিনার রুমের বাইরে একটা ক্যাফেটেরিয়াতে। আমরা গিয়ে যায়গা দখল করে বসলাম। তাই, জামাতিরা যখন খাবার শেষে ভিতরে ঢুকলো, তখন একেবারেই হকচকিয়ে গেল। সেমিনার শুরুর আগে বার বার হলের বাইরে গিয়ে মিটিংয়ে বসতে থাকলো। সিদ্ধান্তহীনতায় যে তাদেরকে ফেলতে পেরেছি সেটা বোঝা যাচ্ছিল।

একটু পর ঘোষনা দেয়া হল যে নির্ধারিত ৫ জন বক্তার মধ্যে ৪ জন কথা বলবেন। আরেকজন কেন বলবেন না সে বিষয়ে কোন কথা নাই। শেষপর্যন্ত মাত্র তিনজন বক্তৃতা দিয়েছেন, বোঝাই গেল আমাদের উপস্থিতির কারনে তাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আমরা প্রশ্ন করতে পারবো কিনা সেটা জিজ্ঞেস করাতে বলা হল সবগুলো লেকচার শেষে ১৫ মিনিট সময় দেয়া হবে, কিন্তু কারো বক্তৃতার পরপরই প্রশ্ন করতে দেয়া হবেনা। প্রশ্নের ব্যাপারে কিছুটা ভীতি কাজ করছে তাদের মধ্যে। বক্তৃতা শুরু হল।

এখানে পোস্টারে প্রচারিত বক্তাদের ব্যাপারে বলে রাখি একটু। বক্তারা হলেনঃ

১। ডঃ আবিদ বাহারঃ প্রফেসর, ডসন কলেজ, মনট্রিয়াল, কানাডা। কিনোট স্পিকার, দাবী করেছেন বাংলাদেশে ইতিহাস নিয়ে তার প্রচুর গবেষণা আছে। মূলতঃ মায়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তার কিছু লেখা, ইন্টারভিউ পাওয়া যায়।
২। ডঃ ইকবাল নাদভিঃ ভারতীয় বংশোদ্ভুত ইসলামিক স্কলার হিসেবে পরিচিত, কিন্তু তালিবান মুভমেন্টের সাপোর্টার। প্রশ্নোত্তর পর্বে পলায়ন করেন।
৩। আবদুল ওয়াদুদঃ Islamic Center of North America (ICNA), কানাডা শাখার প্রেসিডেন্ট, মূলতঃ এখন জামাত ঘরানার মানুষজন এর দায়িত্বে আছে।
৪। ইমাম ইব্রাহিম দাউনিঃ বক্তৃতা দেননি।
৫। শাহীন সিদ্দিকঃ বক্তৃতা দেননি।
এসব স্পিকারকে প্রায়ই একই ধরনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় এবং সবাই কানাডাবাসী।

অডিও ফাইলটি থেকে পুরো সেমিনারটি শুনতে পারবেন। আমরা সারাংশ এখানে লিখে দিচ্ছি। মূলতঃ কিনোট স্পিকার আবিদ বাহারকে নিয়েই এখানে বেশি লিখছি। কারন তার উদ্দেশ্যেই আমাদের প্রায় সব প্রশ্ন ছিল। অন্যদেরকে প্রশ্ন করার আগেই তড়িঘড়ি সেমিনার শেষ করে দেয়া হয়।

প্রথমেই আবিদ বাহার এসে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেসেন্টেশান শুরু করলেন, যার প্রথম স্লাইডটিই ছিল একটি মৃতদেহের ছবি যার মাথা থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। সেমিনারে মানুষ (তাদের পক্ষেরই) শিশুদের সঙ্গে নিয়ে এসেছিল। সঙ্গে সঙ্গেই এরকম ছবি শিশুদের সামনে দেখানোর প্রতিবাদ করি আমরা। আবিদ বাহার ভড়কিয়ে যান। কিন্তু একটি প্রায় ৬ বছর বয়সী শিশু বলে ওঠে ‘আমি ভীত নই এসব দেখতে’। তাড়াতাড়ি প্রেসেন্টেশান বন্ধ করে বাহার বললেন ‘শিশুটি যদিও এসব দেখতে ইচ্ছুক তবুও আমি প্রেসেন্টেশান বন্ধ করে দিচ্ছি।’ ভাবটা এমন যে নিজের পছন্দেই এটা বন্ধ করেছেন। কিন্তু একথায় আসলে ৬ বছরের শিশুর খুনোখুনির ছবি দেখতে চাওয়ার ইচ্ছাকে সাপোটর্ দিচ্ছেন কানাডার একজন কলেজ শিক্ষক!

আগে থেকে তৈরি করা স্লাইড শো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আবিদ সাহেবের মূল লেকচার বাধাগ্রস্থ হয় এবং আমাদের উপস্থিতির কারনে বক্তব্য পরিবর্তন করতে গিয়ে পুরোই অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বলা শুরু করলেন। প্রথমেই বললেন কোন এলাকা থেকে তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, কে কে ওনার এলাকায় রাজাকার ছিল এবং তারা কিভাবে এখন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে, তিনি মুক্তিযোদ্ধা হয়েও কেন রাজাকারের (তার বক্তব্য অনুযায়ী যারা আওয়ামী লীগ) ভয়ে দেশে যেতে পারেননা, মুক্তিযুদ্ধের ট্রেইনিং ভারতের কোথায় নিয়েছেন, সেখানে কি অবস্থা ছিল, আওয়ামী লীগ বা কমিউনিস্ট পাটর্ির কোন দলে ছিলেন এসব। আর এগুলো বলতে গিয়ে ভারতে কোন প্রদেশে ট্রেইনিং নিয়েছেন সেটা বলতে আমতা আমতা করেছেন, মনি সিং কিসের নেতা ছিলেন সেইটাও ভুল বলেছেন। পরে আমাদের পক্ষ থেকে একজন সম্মানিত মুক্তিযোদ্ধা তার ভুল ধরিয়ে দেন। আর উত্তরে আবিদ বলেন, ‘ধন্যবাদ, কিন্তু দয়া করে আমার লেকচার শেষ হলে কথা বলবেন।’ আবার বলে বসলেন, ‘দেশের রাজনীতি নিয়ে আমার অনেক গবেষণা আছে, তাই আমাকে কিছু বললে রেফারেন্স দিয়ে কথা বলবেন।’ নিজের রেফারেন্সের যে উল্টাপাল্টা অবস্থা সেটার খেয়াল নাই।

তারপর বলতে থাকলেন, দেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্র নাম থাকলেও ফ্যামিলি ডাইনেস্টি চলছে। যেমন শেখ পরিবার এবং জিয়া পরিবার দেশ চালায়- এটাই নাকি ফ্যাসিজম। দেশে ক্যাডার ভিত্তিক রাজনীতি চলছে, যেমন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির ক্যাডার বাহিনী আছে। লক্ষ্য করার মত ব্যাপার ছিল তিনি বারবার কৌশলে জামাতের নাম এড়িয়ে যাচ্ছিলেন এবং ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন যে জামাত ক্ষমতায় আসলে দেশে এসব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু দেশে শাহবাগ আন্দোলনকে ফ্যাসিস্ট আন্দোলন বলার সাহস করলেন না একবারও।

যেই সেমিনারের শিরোনাম হলো ‘ডেমোক্রেসি এবং ফ্যাসিজম’ তার কিনোট স্পিকার হয়েও দেশে কোথায়, কিভাবে ফ্যাসিজম হচ্ছে তার কোন সুস্পষ্ট উদাহরণ তো দিতেই পারেননি, বরং রাজনীতিতে ফ্যামিলি ডাইনেস্টিকে বারবার ফ্যাসিজম বলে কি বোঝাতে চাইলেন কিছুই বোঝা গেলনা। আসলে, প্রথমে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেসেন্টেশানটা করতে না দেয়া হওয়ায় এবং আমাদের সামনে শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে যথেচ্ছ মিথ্যাচার করতে না পেরে সম্পূর্ণ ধোঁয়াটে ভাবে বক্তব্য শেষ করলেন।

এরপর একে একে এলেন নাদভি এবং ওয়াদুদ। তারাও খুব আক্রমণাত্মক কিছু বলতে পারেননি। এবং ডেমোক্রেসি বা ফ্যাসিজম এর ধারে কাছেও যাননি। এখানে নাদভি সাহেবের কিছু কথা বেশ কৌতুককর। জামাতিরা কৌশলগত কারনে কি ধরনের যুক্তি ব্যবহার করে সেটা এদের বক্তব্য থেকে আঁচ পাওয়া যায়। যেমন, ইঙ্গিতে ট্রাইবুনালে রাজাকারদের বিচার নিয়ে বলতে চাইলেন এভাবে, ‘‘কোটর্ সিস্টেম’ (বিচার ব্যবস্থা বোঝাতে চেয়েছেন) কিছুই না, আপনি যে কাউকে হত্যা করতে পারেন ‘কোটর্ সিস্টেম’ ব্যবহার করে’। এখানে আমাদের প্রশ্ন করার ইচ্ছা ছিল- যেভাবে তিনি সাবর্িকভাবে ‘কোটর্ সিস্টেম’কে দুষছেন, কানাডিয়ান নাগরিক হয়ে কানাডার আইন ব্যবস্থা নিয়েও একইরকম ভাবনা তার আছে কিনা। যদি এরকমই ভাবেন তবে কানাডার আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হওয়ার কথা।

তিনি আরও বললেন যে- তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভুত। ভারত ১৯৪৭ সালে বিভাজিত হয়েছে। এখন যদি ভারতের জনগন ১৯৪৭ সালের আগের ঘটনা নিয়ে চিন্তা করে, প্রতিশোধ নিতে চায় তবে সমাজে, বিশ্বে বিশৃংখলা শুরু হবে। এসব করা সেজন্য উচিত নয়।- আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে আসলে ইঙ্গিত করছেন। তখন যা হয়েছে তা ভুলে সামনে এগোতে বলার আহ্বান। মনে পড়ল, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হীনা রব্বানী ঠিক একইরকম কথা বলেছিলেন বাংলাদেশ সফরকালে।

শেষ বক্তা জনাব ওয়াদুদ ছিলেন সবচেয়ে ধূর্ত। বলতে শুরু করলেন এভাবে- দেশে এখন যাওয়া যায়না। কি হচ্ছে এসব। বাইরে বেরুতে ভয় লাগে। এসবের জন্য কে দায়ী? দেশকে বাঁচাতে হবে। - প্রকারান্তরে বোঝাচ্ছেন শাহবাগ আন্দোলন না হলে এসব অরাজকতা হতই না।

বক্তৃতা শেষে আমাদের জন্য ৩০ মিনিট প্রশ্নের সময় দেয়া হবে ঘোষণা হল। প্রথমেই আমাদের পক্ষ থেকে অনেকেই আবিদ বাহারকে প্রশ্ন ছুড়তে থাকলেন কেন দেশে গণতন্ত্র বিপন্ন এবং ফ্যাসিজম আগুয়ান- তার কোন ব্যাখাই তিনি দেননি। উত্তরে শুধু প্যাঁচাতে থাকলেন আবিদ বাহার। দর্শকদের ধৈর্যে্যর বাঁধ ভেঙে গেল। সবাই আবিদ বাহারকে বারবার জিজ্ঞেস করতে থাকলেন- স্পষ্টভাবে কেন তিনি কিছু বলতে পারছেন না। ফাঁকতালে নাদভি সাহেব হল থেকে পলায়ন করলেন, প্রশ্ন এড়ানোর জন্য। প্রশ্নবানের মুখে আলোচকরা অগ্রহনযোগ্য উত্তর দিতে শুরু করলে সভাস্থলে হৈ চৈ শুরু হয়। অবস্থা সুবিধার না বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেয়া হলো সেমিনার। সেমিনারের শুরুতে আমাদেরকে একটি লিফলেট হাতে দেয়া হয়েছিল, ‘সেইভ বাংলাদেশ’ নামের। ‘বিডি এলাটর্’ নামক একটি ভুয়া গ্রুপের তৈরি করা। অনেকেই হয়তো দেখেছেন, না দেখে থাকলে নিচের লিংক থেকে দেখে নিতে পারেন। প্রোপাগান্ডা ও মিথ্যাচার কত ধরনের হতে পারে তার প্রমাণ এটা। আমরা এটারও প্রতিবাদ করি।

সেমিনারটিতে বাংলাদেশের পক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দর্শক এবং প্রশ্নকর্তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন টরন্টো এবং ইয়কর্ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনারত ছাত্রছাত্রীরা, যারা কেউই মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বল, দেশের ভাবমূর্তী রক্ষায় প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ সম্পর্কে অপপ্রচারের লক্ষ্য নিয়ে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিলো। কিন্তু দর্শক হিসেবে তরুন প্রজন্মের উপস্থিতির কারনে তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হতে পারেনি। সেমিনার রুম থেকে যখন বেরোই তখন শুনতে পেলাম এক তরুন দম্পতির কথপোকথন, জামাতপন্থী লোকটির সঙ্গে আসা তার স্ত্রী বলছেন, ‘আমাকে এই ধরনের সেমিনারে আর কক্ষনো আনবেনা।’ এটা আমাদের জন্য একটা অর্জন। দেশ নিয়ে জামাতিদের মিথ্যাচার প্রচার যেন সব পর্যায়েই প্রতিহত করা হয়। নিজের ঘর থেকেই শুরু হোক। দেশ-বিরোধী যুদ্ধাপরাধী দল জামাতের কোনধরনের প্রোপাগান্ডা যেন বিনা বাধায় চলতে না পারে। বিদেশের মাটিতে আপনাদের শহরগুলিতে খবর রাখুন। জামাতিদের সবধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে দিন। স্বাধীনতা দিবসে আমাদের অনেকগুলি প্রতিজ্ঞার মধ্যে এটাও যুক্ত হোক।

জয় বাংলা।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়
|প্রজন্ম কানাডা|

www.projonmocanada.com

https://www.facebook.com/projonmocanada
https://www.facebook.com/groups/projonmo.canada


মন্তব্য

ঈয়াসীন এর ছবি

জানিয়া প্রীত হইলাম।

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

বাপ্পীহায়াত এর ছবি

চলুক স্যালুট আপনাদের

মরুদ্যান এর ছবি

চলুক

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চরম লাগল। সব জায়গায় চলুক ছাগু নিধন।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তারেক অণু এর ছবি
সুজন চৌধুরী এর ছবি
রংতুলি এর ছবি

দারুণ! চলুক

সাব্বির রহমান এর ছবি

চলুক

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

চলুক

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

সাম্য এর ছবি

চলুক

--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!

পিয়াল এর ছবি

শাবাশ!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

জয় বাংলা

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অন্যকেউ এর ছবি

হাততালি হাততালি

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক
জয় বাংলা!

হাসিব এর ছবি

ইসলামিক সোসাইটি বাইরের বিশ্বে জামাতের উইঙ। ইওরোপেও এই নেটওয়ার্ক আছে।

বাউলিয়ানা এর ছবি

চলুক

নীল আকাশ এর ছবি

চলুক হাততালি হাততালি

আব্দুল্লাহ এম. এম. এর ছবি

সাব্বাশ! মাইরের উপর ওষুধ নাই!!

তারানা_শব্দ এর ছবি

চলুক

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

কৌস্তুভ এর ছবি

ব্যাটাদের উপর এইরকম পোঙামারু হামলাই চালানো দরকার চলুক

আহির ভৈরব এর ছবি

অনেক হতাশার মধ্যে একটু ভালো খবর। ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

নাফিসা এর ছবি

দারুণ! প্রতিরোধ ছড়িয়ে যাক স্ফুলিঙ্গের মতো।

অতিথি লেখক এর ছবি

অধিকার নিজে নিজে আসেনা। অধিকার আদায় করে নিতে হয়। চমৎকার একটা কাজ করেছেন। সবাইকে সজাগ হতে হবে। এভাবেই। প্রতিটি চক্রান্তের বিরুধ্যে।

Shah Waez (শাহ্‌ ওয়ায়েজ।)
Facebook

..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।