নগরবাউল জেমস ও ব্যাক্তিগত ভাবনা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১২/০৪/২০১৩ - ৯:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জেমস,নগর বাউল, গুরু, দ্য লিভিং লিজেন্ড,গড অফ বেঙ্গলি সাইকাডেলিক, তিনি অনেক নামেই খ্যাত। এই মানুষটা এবং তার সঙ্গীত আমার জীবনে আত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বলা যায় তিনি আমার সঙ্গীত ভুবনের প্রবেশের সিঁড়ি, যে সাইকাডেলিক, পিঙ্কফ্লয়েড, লেড জেপলিন পান করে বেঁচে আছি গুরু ছিলেন সেই সাইকাডেলিক এর প্রথম ধাপ। তার অর্থ এই নয় যে তিনি কেবল সাইকাডেলিক ই গেয়েছেন, বরং তিনি বিচরন করেছেন আধুনিক সঙ্গিতের প্রায় সকল শাখায়, পপ মিউজিক থেকে শুরু করে ফোক, রক, অল্টারনেটিভ রক, মেটাল, জ্যাজ,কান্ট্রি, প্রত্যেক ধরনের ই কোন না কোন গান গেয়েছেন তিনি। তার সবচেয়ে বড় ব্যাপারটা হচ্ছে তিনি প্রথম আমাকে সঙ্গীতের মুক্ত পথ দ্যাখান, তিনি দেখিয়েছেন সঙ্গীত কেবল লুতুপুতু প্রেম ভালোবাসা প্রকাশের গোলাপ নয়, বরং আর দশটা শিল্পের মতই সঙ্গীত হচ্ছে হাতিয়ার, যুদ্ধাস্ত্র, সঙ্গীত কেবল প্রেমিক প্রেমিকায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং সঙ্গীত ছড়িয়ে আছে সেই আদীম নিসঙ্গতায়, মানুষের প্রতি মানুষের প্রাচীন ভালবাসায়, ঈশ্বরে, মানবে, সমাজে, ধর্মে, শোষণে নিপীড়নে। তিনি তার সঙ্গীতে প্রেমের কথা যেমন বলেছেন তেমনি বলেছেন মানুষের কথা, মানুষের শোষণের কথা, দুঃখীর কথা, বিপ্লবের কথা, এলোমেলো কিশোরের বা কিশোরীর পথ চলার কথা। সঙ্গীতে তিনি তুলে এনেছেন নিম্নমধ্যবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত মানুষের সফলতা ব্যর্থতা।

তিনি বলেছেন প্রকৃতির কথা, সবুজের কথা, তার ভালোবাসার উপমায় আসে ফুল, পাখি, সবুজ, পাতা বৃক্ষ, তিনি স্বপ্ন দেখিয়েছেন সেই চিরহরিৎ এর সেই বনানীর যা মানুষ ধংস করে দিয়েছে, ফিরে চেয়েছেন সেই অরন্য , তিনি গেয়েছেন-

“আশাবাদী রাতের চোখে বনানীর মুগ্ধতা
পথ হেটে যায় সবুজ কার্পেট জুড়ে
যতদুর দৃষ্টি যায়- চিরহরিৎ, চিরহরিৎ”
- চিরহরিৎ

তিনি কেবল প্রকৃতিবাদেই থেমে থাকেন নি বরং প্রকৃতির অলঙ্ঘনীয় আইন মেনে ফিরে এসেছেন মানুষের জীবনযাপনে, বলেছেন এই কলুষিত সমজব্যবস্থার শিকার শোষিত মানুষের কথা, তার ‘রিকশাওয়ালা’ ‘লেস ফিতা লেইস’ ‘সেলাই দিদিমনি’ ‘জেল থেকে বলছি’‘স্টেশন রোড’ –এ পাই এই সকল মানুষের কথা, জরিনা বিবির কথা-

“স্টেশন রোডে জীবন ধারা,ফুটপাথের ওই নগর নটীরা
ভাতের আশায় দিচ্ছে শরীর,যেন ত্রিমাত্রিক জীবন্ত ছবি”
- স্টেশন রোড

“লোভী দৃষ্টি এখানে সেখানে, ছড়িয়ে আছে কিছু মাংশপিন্ড
আসহায় মানুষের আর্তনাদে মেঘনা যমুনার পাড় ভাঙে”
- স্টেশন রোড

তিনি কেবল যে মানুষের অসহায়ত্তের বিবরন দিয়েছেন তাই নয় বরং বিপ্লবের কথা ও বর্জনের কথাও বলেছেন-

“এসো সবাই মিলে গড়ে তুলি আনকোরা এক নতুন সমাজ
ধর্মের ব্যারিকেড ভেঙ্গে ফ্যালো- স্বাধীন ভাবে কিছু ভাবতে শেখ”
- স্টেশন রোড

এই সাম্রাজ্যবাদের প্রহসন, মিছে অহমিকা, ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার লড়াই, যুদ্ধে তিনিও আমাদের মত বিচলিত হয়েছেন। এই সকল যুদ্ধ মৃত্যু তাঁকে ব্যাথিত করেছে তিনি গেয়েছেন-

“আর নয় যুদ্ধ, আর নয় ধংস
আর নয় হিংসা বিদ্বেষ
আর নয় মৃত্যু, আর নয় হত্যা
আর নয় রক্ত প্লাবন”
-আর নয় যুদ্ধ

প্রচলিত ঈশ্বর ধারনা কে তিনি সে কালেই অস্বীকার করতে বলেছিলেন এমনকি এ সমাজের ঈশ্বর যে খেটে খাওয়া মানুষেরা তার কথাও ‘ঈশ্বর’ গানে তিনি গেয়েছেন-

“খেটে খাওয়া মজুরের ঘামে ভেজা ফসলে
-ঈশ্বর আছে
ঈশ্বর আছে- দুঃখিনী মায়ের একমুঠো সম্বলে
ঈশ্বর আছে- ঈশ্বর আছে- ঈশ্বর আছে”

তার ‘সত্যের সন্ধানে’ এর মত গানে তিনি যেমন আন্তর আত্মাকে আলোকিত করতে চেয়েছেন, করতে চেয়েছেন পাপমুক্ত তেমনি আবার বাস্তবতায় ফিরে সরল স্বীকারোক্তির মাধ্যমে গেয়েছেন ‘পাপী’ এর মত গান-

“নিষ্পাপ আমি কি করে বলিস-
কি করে বলিস কোন অন্যায় আমি করিনাই?
নিষ্পাপ আমি- চোখে চোখ রেখে বল
বুকে হাত দিয়ে বল- কোন অন্যায় আমি করিনাই”

“ও আমায় একটা মানুষ দ্যাখা যে পাপ করে নাই
ও আমায় একটা মানুষ দ্যাখা যে পাপী না”
- পাপী

তারপর আরো আছে, তিনি মধ্যবিত্ত শ্রেনীর ইতস্তত ছুটে চলা অলীকের পিছনে দৌড়ানো, এই সমাজ ব্যবস্থায় মানবকুল যে অন্ধের মত চিলের পিছনে দঊড়াচ্ছে তাদেরকেও তিনি যথেষ্ট কঠাক্ষ করেছেন-

“কানে কানে বলি শোন- এযে মিনি ম্যারাথন
গতি আছে যতক্ষন দে দৌড়।
আঁকাবাঁকা সোজা পথে দলেবলে যেতে যেতে
ফিরে আসা নেই তাই দে দৌড়-
চলছে জীবন রথ, যত মত তত পথ
কার আগে কি পাব কি হারাবো, দে দৌড়”
-দে দৌড়

আবার তিনি আমার মত নিসঙ্গ পথহারা, থেমে যাওয়া মানুষ কে চলতে শিখিয়েছেন, নিষেধ করেছেন অন্ধের মত অনুসরন না করে নিজের সৃষ্ট পথে চলতে, তিনিও বুঝেছিলেন আমার মত বাউন্ডুলের একমাত্র ঈশ্বর হচ্ছে পথ

“পথের বাপ ই বাপ রে মনা
পথের মা ই মা, পথের মাঝেই খুজে পাবি
আপন ঠিকানা”
-পথের বাপ

সেই থেকে এখনও চলতেই আছি ঈশ্বরের বুকে, বিবাগী পথিক হয়ে-

“সবুজ ঘাসে একা একা, শুধু পথ চলা
সারা রাত তারা দেখে নির্ঘুম ডানা ম্যালা
বৃষ্টির আধারে এই অবিরাম ভিজে চলা
সব ভুলে চিৎকারে- এসো হোক প্রার্থনা-
বড়ো হও,দীর্ঘ হও,শুধু বেড়ে ওঠো শুধু বেড়ে।

ইতিহাস মনে রেখে আ সামনে দ্যাখো
অভিমান ভুলে গিয়ে একা তুমি এগিয়ে চল
আকাশের উচ্চতায় কালো পীঠ খাড়া করে
বৃক্ষের প্রশাখায় খোলা চুল মেলে ধরে
বড় হও, দীর্ঘ হও, শুধু বেড়ে ওঠো শুধু বেড়ে”
- শুধু পথ চলা

আর আমরা যখন দুঃখ ভারাক্রান্ত , জীবনের কষ্টে জর্জরিত তখন তিনি আশা জাগিয়েছেন ভালো থাকার সুখে থাকার-

“দুঃখ কেন কর রে মন
দুঃখ তোমার ঘুচবে না রে
দুঃখ যদি নাইবা পাবে, সুখের কদর বুঝতে নারে
কাঁদতে কেন চাওরে ও মন
কান্না তোমার রবেনা যখন
কাঁদতে গিয়ে হেসো এবার, শোকের লগন মিল্বে না আর
কান্না দিয়েই জীবন শুরু, কান্না দিয়েই জীবন শেষ
মধ্যেখানেই থাকনা শুধু আনন্দ আর হাসির রেশ”
- দুঃখ কেন কর রে মন

গুরুর স্মৃতিচারণমূলক গান ‘আজিজ বোর্ডিং’ তো আমাদের মত ব্যচেলর দের রীতিমত জাতীয় সঙ্গীত, আমাদের প্রত্যেকের ই একটা না একটা ব্যক্তিগত ‘আজীজ বোর্ডিং’ আছে। প্রিয় আজিজ বোর্ডিং।

এখানেই শেষ নয় তিনি কেবল তরুন, কিশোর, বা পুরুষ দেরকেই রিপ্রেজেন্ট করেন নি বরং তিনি নারী আন্দোলন, নারীর মুক্তির কথাও বলেছেন, বলেছেন আধুনিক নারী , নারী সংগ্রাম,বিমুক্ত পাখির মত হউয়ার কথা, নারীর সাহসী হবার কথা, সকল শেকল ছিড়ে বেরিয়ে আসার কথা-

“আঁধারের শিধ কেটে আলোতে এসো
চোখের বোরখা নামিয়ে দ্যাখো জোছোনার গালিচা
ঘর ছেড়ে তুমি বাইরে এস- চেয়ে দ্যাখো সাত রঙ
মিছিলের ভীর ঠেলে সামনে এসো
দুখের পৃষ্ঠা উলটে দ্যাখো স্বপ্নের বাগিচা
ঘরে বসে থেকে লাভ কি বল
এসো হাতে হাত রাখি এসো গান করি
দুঃখিনী দুঃখ করোনা, দুঃখিনী”
- দুঃখিনী দুঃখ করোনা

আর প্রেম! প্রেমের ক্ষেত্রে গুরু তো অতুলনীয়। বলা যায় আমার কৈশোর এর প্রেম, বিরহ, বেদনা, ব্যর্থতা তার কাছ থেকেই শেখা তিনি আমাকে দিয়েছেন ‘প্রেম আমার’ ‘সারথি’ ‘দেয়াল’ ‘অনন্যা’ ‘সুস্মিতার সবুজ ওড়না’ এর মত গানগুলো। এমনকি এখনও সুস্মিতার সবুজ ওড়নায় আমার প্রেম ভাসতে থাকে। তার কাছ থেকেই শিখেছি প্রথম চুম্বনের আলাদা মোহ থাকে। সবচে বড় কথা তিনি এমন কিছু ব্যতিক্রমী গান দিয়ে গেছেন আমাদের যার জন্য গুরু বেঁচে থাকবেন আরো বহু বছর। যেমন ‘সুলতানা বিবিয়ানা’ ‘প্রিয় আকাশী’ ‘হাউজি’ ‘মোন্নান মিয়ার তিতাস মলম’ গুরুর জয় হোক সঙ্গীতের জয় হোক। সঙ্গীত হয়ে উঠুক জীবনের কথা মানুষের কথা। এ দেশে মানুষের কথা বলার মত ব্যান্ড অনেক কম, তবু যে কজন আছেন তাঁদের প্রতি সবসময় ই শ্রদ্ধাশীল, এবং গুরু নিঃসন্দেহে তাঁদের মাঝে অন্যতম। তবে আফশোস হচ্ছে আমার শৈশবে কৈশোরে যে জেমস কে আমি চিনেছি , জেনেছি, ভালবেসেছি সেই জেমস কে এখন আর আমি খুজে পাইনা কোথাও । আমি জানিনা গুরু কেন তার স্বকীয়তা থেকে বেরিয়ে এসেছেন, জানিনা এখন তার এই অধঃপতন কেন তারপরেও বিশ্বাস করি একদিন তিনি ফিরে আসবেন আমাদের মাঝে , সেই পুরোন দিনের মত হাতা গোটা কালো পাঞ্জাবী পরে এক হাত ওপরে তুলে বলবেন – ‘ঠিক আছে বন্ধু দ্যাখা হবে’ ‘আমি তোমাদের ই লোক’

*যারা আমার মত জেমসের সেই প্রাচীন শ্রোতা, যারা এখনও পুরোন জেমস শুনতে শুনতে কৈশোর এর স্মৃতিচারণ করেন এই লেখাটা তাঁদের উৎসর্গ করে।*

- পিনাক পাণি (নিবন্ধিত নাম)

ছবি: 
31/05/2007 - 2:46অপরাহ্ন

মন্তব্য

অপ্রকৃতিস্থ এর ছবি

"এক গ্লাস জোছনা আর এক গ্লাস অন্ধকার হাতে

"

অতিথি লেখক এর ছবি

যে পথে পথিক নেই, বসে আছি সেই পথে।

- পিনাক পাণি

সৈয়দ নাঈম গাজী এর ছবি

খুব ভালো লাগল…

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি ধন্যবাদ।

- পিনাক পাণি

অতিথি লেখক এর ছবি

গুরু তো গুরু ই...

সুবোধ অবোধ

অতিথি লেখক এর ছবি

গুরুকে প্রনাম ।

- পিনাক পাণি

রাহী এর ছবি

আসলেই খুব মিস করি উনাকে মন খারাপ
লেখায় চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি
- পিনাক পাণি

অবনীল এর ছবি

চলুক

তবে আফশোস হচ্ছে আমার শৈশবে কৈশোরে যে জেমস কে আমি চিনেছি , জেনেছি, ভালবেসেছি সেই জেমস কে এখন আর আমি খুজে পাইনা কোথাও । আমি জানিনা গুরু কেন তার স্বকীয়তা থেকে বেরিয়ে এসেছেন, জানিনা এখন তার এই অধঃপতন কেন তারপরেও বিশ্বাস করি একদিন তিনি ফিরে আসবেন আমাদের মাঝে , সেই পুরোন দিনের মত হাতা গোটা কালো পাঞ্জাবী পরে এক হাত ওপরে তুলে বলবেন – ‘ঠিক আছে বন্ধু দ্যাখা হবে’ ‘আমি তোমাদের ই লোক’

সহমত।

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

অতিথি লেখক এর ছবি

মন খারাপ

- পিনাক পাণি

আরাফাত এর ছবি

"আমার ফেলে আসা পলাশপুরে,
লাজুক ঝুমকো লতা, বুঝি ঘুমিয়ে পড়েছে,
চোখে স্বপ্নিল সুখের ছোঁয়া,
আর এক বুক যন্ত্রণা নিয়ে....."

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি
- পিনাক পাণি

অতিথি লেখক এর ছবি

গানগুলোর কথার জন্যে গানের গীতিকারের কাছে ঋণী থাকা উচিত। আমি ঠিক জানিনা গানগুলোর গীতিকারও জেমস কী না? গীতিকার এবং সুরকার ব্যাতিত জেমস এই গানগুলোর জন্যে একক কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন না।

ঝুমন

দিগন্ত বাহার এর ছবি

গীতিকারের নামোল্লেখের ব্যাপারে একমত। জেমসের নিজেরও কিছু লিরিক আছে বটে, তবে এ লেখার লিরিকগুলি মুলত লতিফুল ইসলাম শিবলী এবং দেহলভীর লেখা।

পিনাক পাণি এর ছবি

ধন্যবাদ এটা ভুল হয়েছে বুঝতে পারছি হাসি

আমিনুল ইসলাম এর ছবি

সহমত । গীতিকার কিন্তু জেমস নয় । সে শুধু তৈরী করা কথা ও সুরে কন্ঠটা দিয়েছে । এতেই তাকে দার্শনিক বানানোর মেকি চেষ্টা হয়েছে । হাস্যকর ।

তানজির এর ছবি

অনেক গানই জেমস নিজে লিখেছেন। এবং অন্যান্য গীতিকাররাও লিখেছেন তবে বেশিরভাগই জেমসের নিজের দেওয়া কনসেপ্ট অনুযায়ী তারা লিখে দিয়েছেন। মূল ভাবনা ছিল জেমসেরই।

কিশোর এর ছবি

এখানের দুই একটা গানের লিরিক প্রিন্স মাহমুদ, লতিফুল ইসলাম শিবলী এবং দেহলভীর লেখা।। আর "দুঃখ কর কেনো মন" এটা জেমসের গাওয়া নয় মোটেও। পাবলো নামের ফিলিংস এর অন্যতম সদস্যের গাওয়া।

পিনাক পাণি এর ছবি

এটা ভুলে গিয়েছিলাম পুরোন স্মৃতির ওপর নিরভর করে লেখাটা লিখেছি। ভুল তথ্য দেয়ার জন্য দুঃখিত।

অবনীল এর ছবি

আপনি গানগুলো সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। এবং জেমসের বৈচিত্রময় প্রতিভাকে তুলে ধরতে পেরেছেন তার বিভিন্ন গানের মাধ্যমে। কিন্তু অন্যরা যেটা বলেছেন - গীতিকার এবং সুরকার উল্লেখ না করাতে অসম্পূর্ন হয়ে গেল লেখাটা। আপনি বলেছেন স্মৃতি থেকে লিখেছেন সেটা ঠিক আছে কিন্তু লেখাটা ত রয়ে যাচ্ছে, তথ্য সংগ্রহ করে যোগ করে দিন না। পাঁচ বছর আগের লেখা আমি আজকে পড়লাম। আরো পাঁচ বছর পরে মানুষ পড়বে - তাই এটাকে তথ্যসমৃদ্ধ করলে কোন ক্ষতি নেই।

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

পিনাক পাণি এর ছবি

জেমসের সে সময়ের অ্যালবাম কাভারগুলো আমার কাছে নাই, থাকলে অবশ্যই গীতিকারের নাম উল্লেখ করতাম। সেজন্য দুখিত, আর আমি যতদুর জানি সে সময় জেমস অনেক বেছে বেছে গান করেছেম, যে কোন লিরিকে তিনি গান করতে চান নি এবং কোন লিরিকে গান করবেন এ ব্যাপারে তার নিজস্ব মত ছিল এ কারনেই মুলত এখানে জেমসের কথাই কথাই বলেছি তারপরেও গীতিকার দের নাম বলা উচিৎ ছিল । ব্যর্থতা প্রকাশ করছি। লইজ্জা লাগে

অতিথি লেখক এর ছবি

জেমস তার প্রথম এ্যালবামে অসাধারণ কিছু গান গেয়েছেন। কন্ঠটাও এখানে অন্যরকম। এ্যালবামের নাম সম্ভবত 'অনন্যা'।

তারেক অণু এর ছবি

চলুক অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল

পিনাক পাণি এর ছবি

হাসি

মনির এর ছবি

"সবটুকু দোষ দিলি আমার এই ঘাড়ে " গান আমার খুব ভাল লাগে ।

গ্যাব্রিয়েল সুমন এর ছবি

দুঃখ কেন করো রে মন , ফান্টির গাওয়া। অই ক্যাসেটা রুপ সাগরে ঝলক মারিয়া, এটা ফান্টির গাওয়া।।। আরো দুইটা আংরেজি গান আছিল পাবলোর গাওয়া ।।।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।