অতঃপর : একটি না হয়ে উঠা প্রেম

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৯/০৫/২০১৩ - ১২:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
ফোনের রিং বেজে উঠার সাথে সাথেই রিসিভ করলো আবির । কিন্তু ওইপাশ থেকে অভিমানের সুরে ভেসে আসলো প্রশ্ন ?

তুমি ফোন ধরতে দেরি করলে কেন ?

প্রশ্ন শুনে আবির একটুও বিচলিত না হয়ে স্বাভাবিক ভাবেই উত্তর দেয় । কোথায় দেরি করলাম , সাথে সাথেই তো ধরলাম ।

কে শোনে কার কথা , সপ্তর্ষি এবার মনে হয় আরও রেগে গেল ।

হা , আমার ফোন ধরার সময় কি তোমার আছে ? তোমার তো আমাকে দেয়ার সময়ই নেই । তোমাকে ফোন দেয়াই উচিত না আমার , তবুও কেন যে দেই !!

নীরবতা নেমে আসে দুজনের মাঝে । কেউ আগ বাড়িয়ে কথা বলতে রাজি নয় যেন। এবার সপ্তর্ষি বলে উঠলো , কথাই যদি না বলবে তাহলে ফোন রেখে দেই । এবার আবির ও স্বরূপে , আচ্ছা তুমি এমন কেন বলতো ?

- কেমন ?
- এই যে কোন কারন ছাড়াই রাগ কর ।
- আমি আবার রাগ করলাম কখন ?
- এই যে.......... ( আবির আর এই বিষয়ে কথা বাড়াতে আগ্রহী হল না , কারন সপ্তর্ষি এমনই । খেয়ালি মেয়ে । যা চাইবে তাই করবে এই ক দিনে তা বুঝতে আর বাকি নেই তার )

আমার আগামীকাল ফ্লাইট । এয়ারপোর্ট গিয়ে তোমাকে ফোন দিবো । এর আগে আর ফোন দিতে পারবো না । ব্যস্ত থাকবো সারা সকাল , সব কিছু গুছিয়ে নিতে হবে । তাই তোমাকে জানাতেই ফোন দিলাম । ( সপ্তর্ষি কিন্তু প্রতিদিনই ফোন দেয়, প্রতিবারই কোন না কোন কারনের কথা বলে সেই দিনকে সে বিশেষিত করে । কেন করে, এটা নিয়ে আবিরের তেমন কোন আগ্রহ নেই । )

আচ্ছা, দুপুরে ফ্লাইট , তোমাকে ফোন এ পাবো তো ? প্লিজ ফোন ধরো , যে কোন নাম্বার থেকেও ফোন দিতে পারি । সাথে ভাইয়া থাকবে তাই বেশী কথা বলতে পারবো না । কিছু মনে করবে না ঠিক আছে । আর আমি তো , এই ৭ মাসের ভিতরেই আবার বাংলাদেশে ফিরছি । তখন ইচ্ছে মত আড্ডা দেয়া যাবে । এই আবির আমি একা বক বক করে যাচ্ছি , তুমি কি শুনছো ?

ফোন এর এই প্রান্তে আবিরের চোখ ভিজে গেছে , অজানা এক কারনে । মনে ওকি দিচ্ছে হাজারটা প্রশ্ন ।

সে কি সপ্তর্ষিকে হারিয়ে ফেলছে ?

আচ্ছা , ও কি সত্যি আমাকে ভালোবাসে ? ওর মায়া মাখা চোখ গুলো কি আর দেখতে পারবো না ? ওর দুষ্টমি, হাসি আর পাগলামি ছাড়া আমার দিন গুলো কিভাবে চলবে ? সব কিছু ক্যামন যেন ফ্যাকাসে লাগছে আবিরের কাছে । ভিতরটা কেউ যেন বুল্ডুজার দিয়ে গুড়িয়ে দিচ্ছে কেউ । দুচোখের নোনা জল চোখ থেকে মুখে এসে তার উপস্থিতি জানিয়ে দিচ্ছে । গলা ভারি হয়ে গেছে ।

হ্যাঁ শুনছি , তুমি বল ?

- কি হয়েছে তোমার , গলা ভারী কেন ?

আবির অপ্রস্তুত হয়ে যায় , তাহলে কি সপ্তর্ষি বুঝতে পারছে যে সে কাঁদছে ? না , একটা ছেলে এভাবে কাদবে এটা হওয়া উচিত না । কিন্তু মনকে এই মুহূর্তে বুঝাতে ব্যর্থ হচ্ছে আবির । আচ্ছা, আল্লাহ মেয়েদের এতো ইন্দ্রিয় শক্তি দেয়ার কি দরকার ছিল , আমি নিজে যা কাছ থেকে দেখি না , একটা মেয়ে শত মাইল দূর থেকে কিভাবে বুঝতে পারছে ? কিভাবে ঝড়ের অস্তিত্ব সে পায় ? তাহলে মরুভূমির বুকে এক পশলা বৃষ্টির ঝড় কি লুকানো যায় না ? আবির আর ভাবতে পারে না । পিছনের মুহূর্ত গুলো এই মুহূর্তে নতুন করে আসছে সামনে ।

- না কিছু হয়নি । কালকে না গেলেই কি নয় ? ক্যানসেল করা যায় না কোনভাবে ?

রুদ্র সমুদ্র
13 May 2013


মন্তব্য

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ভালোবাসা এরকমই। কীভাবে কীভাবে যেন আড়ালো-অগোচরে ডালপালা মেলে বসে। পড়তে ভালো লাগল, তবে কাহিনি/পরিধি আরেকটু বিস্তৃত হতে পারত।

ক্যাটেগরিতে "উপন্যাস" কেন? ট্যাগ ব্যবহারে একটু যত্নবান হতে অনুরোধ করছি।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চিন্তিত

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ক্যাটাগরীতে 'উপন্যাস'

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কাজি মামুন এর ছবি

গল্পটির মাঝের কয়েকটি উক্তি পড়তে গিয়ে হোঁচট খেতে হয়েছিল, এমনকি কোটেশান মার্ক বা অন্য কোন চিহ্ন দিয়ে উক্তিটিকে নির্দিষ্ট করা হয়নি।

খুব সাধারণ কাহিনী, কিন্তু যে জিনিসটি ভাল লাগল, তা হল, অনুভূতিকে বর্ণনা করার ক্ষমতা রয়েছে লেখকের, যা জীবনের এই এক চিলতে চিত্রকেও করে তুলেছে বিশ্বাসযোগ্য!

শেষের লাইনটি আরও আকর্ষণীয় হতে পারত!

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

সহজ ভাষা । ভালো লাগলো। চালিয়ে যান। চলুক

শামীমা রিমা এর ছবি

লেখার গতি বেশ ভালো তবে গাঁথুনি আর একটু শক্ত হলে জমবে ভালো ।
চালিয়ে যান ।শুভ কামনা রইল ,রুদ্র ।

শামীমা রিমা এর ছবি

লেখার গতি ভাল,তবে গাঁথুনি আর একটু মজবুদ হলে বেশ জমবে ।
চালিয়ে যান ।

শাব্দিক এর ছবি

চলুক ভাল লাগল।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।