সিবলিং টুইনস

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৫/০৭/২০১৩ - ২:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৮টা প্যাকেট, একটু আগেই গুনে দেখেছি। সামনের টেবিলটাতে সুন্দর করে সাজানো আছে। একটার উপর একটা করে তিন সারিতে। পাশে দুটো গোলাপ আড়াআড়ি করে রাখা। নিখুত।
মুন্নী থাকলে এভাবেই সাজাতো। এই রকম নাটুকে চমক দেওয়াটা মেয়েটার হবি। এর আগে গত ৬/৭ বছর ধরে এই সারপ্রাইজ নাটকের দায়িত্ব সেই পালন করে এসেছে। লুকিয়ে কেকের অর্ডার দিয়ে নিয়ে আসা, সবার কাছ থেকে চুপি চুপি গিফট জোগার করে নিয়ে এভাবে সাজিয়ে রেখে- এমন একটা ভাব নিতো যে, সে কিছুই জানে না।
তারপর, সময়মতো ঘাড়ের উপর লাফিয়ে পরে চেঁচিয়ে বাড়ি মাথায় তুলতো,
হ্যাপি বার্থডে ভাইয়া।
কি সুন্দর ছিল সেই মুহূর্তগুলো!
এখন- আলসি লাগছিল; আবার নিজের পাওয়া গিফটগুলো সময়ের আগেই হ্যাংলার মতো তাকানোর লজ্জা কাটিয়ে চোখের কোনা দিয়ে তাকালাম - ৬টা তো নিশ্চিত বই হবে! না না , ৭ টা‍! একটা মনে হয় ডিকশনারী। ফুহ! এই ডিজিটাল যুগে ডিকশনারী গিফট করা তো বাইচলামি। শিট!
নানা রঙের রাপিং পেপারে মোড়ানো ছোট বড় নানান সাইজের প্যাকেটগুলো, একটা আবার গোল করে প্যাঁচানো; রাপিং পেপার গুলোর মধ্যে বেশিরভাগ সিলভার কালারের জিলজিলা একটা পেপারে একটা পান্ডা বাঁশের টুকরা কামড়ে দাঁত বের করে রেখেছে, এই ক্ষুদে ক্ষুদে সাইজের সার সার। আবার কোনটাতে নীলের উপর অসংখ্য গোলাপ আঁকা।
তারমানে, কলেজের সামনে বিপু ভাইয়ের দোকান থেকে কেনা। বইগুলোও নিশ্চই ঐ দোকান থেকেই কেনা! গত ৮ বছর ধরে বিপু ভাইয়ের দোকানে যাওয়া আসা আমার। সেখানে, ৩০০/৪০০ টাকা দামের বেশি কোন বই নেই, আমার জানা আছে।
মনটা খারাপ হয়ে গেল। আজ থেকেই আমি সাবালক।
চাইলে জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদন করতে পারি কিংবা...!
গতরাতেই আঠারো পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু, গিফটের সেই একই রকম আধিক্য আর আনন্দর হাতছানি তেমন টানছে না।
ডান থেকে বাম কাতে ঘুরেই কোলবালিশটা দু পায়ের ফাঁকে আরেকটু শক্ত করে চেপে ধরে হাত বাড়িয়ে কাঁথা খুঁজছি। নভেম্বরের ঠান্ডা আসবে আসবে ভাব করছে, এতদিনের তেজী যুবা পুরুষের মতো রোদ এই পড়ন্ত বেলায় লাজুক ষোড়শীর মতো ভীরু, বাতাসের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। জানালা দিয়ে তাকিয়ে রইলাম কিছুক্ষণ। উদাস উদার একটা ভাব আসছে।
কালকে রাতে আম্মার ফোন পেয়েছি। অথচ আম্মার সাথে কথা হয় কেবল শনি আর মঙ্গলবার! পরপর দুদিন ফোন মানেই কোন বিপদ। অবশ্য, জন্মদিনের জন্যও করতে পারে কিন্তু তাহলেও আরো ঘন্টা তিনেক পরে। উতকন্ঠার সাথে ধরেই বললাম, কেমন আছো আম্মা?
ওপাশ থেকে ফোঁপানোর আওয়াজ আসছিল, খসখস করছে সিল্কের কাপড়।
সভয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, কে?
ভাইয়া ভালো আছিস?
কিরে মুন্নী? কান্দস ক্যান? হইছে কি?
কিছু না ভাইয়া। ফোঁত ফোঁত শব্দ শুনে বুঝলাম মেয়েটা কাঁদছে।
আমার বুক থেকে ভারী একটা পাষাণ নেমে গেল।
মুন্নীর কান্না কোন নতুন খবর না।
ঠিক ১৭ বছর ৩৬৫ দিন আগে ভোর ৫.৩২ মিনিটে আমি পৃথিবীতে আসি, মুন্নী আসে ঠিক ৫.৪০ মিনিটে। এই আট মিনিটের বাহাদুরীতে সারাটাজীবন আমি দাদাভাই আর সে আমার আদরের ছোট বোন।
এমনকি আম্মাও তার পাশের বাসায় আসা নতুন ভাবীকে বলতেন, জানেন তো ভাবী; আমার বড় ছেলের নাম মুন্না আর ছোট মেয়েটার নাম মুন্নী।
কথার ধাঁধা কাটিয়ে আম্মার ভাবীদের বুঝতে সময় লাগতো যে আম্মার স্রেফ যজম দু্টি সন্তান।
আমি গম্ভীর প্রকৃতির হলেও মুন্নী খুবই ছটফটে। সারাক্ষণ আহলাদী আর খুকী সেজে থেকে রাজ্যের পাঁকা পাঁকা কথার তোড়ে আব্বা হাসতে হাসতে আমাদের দুজনকে একসাথে কোলে জড়িয়ে ধরে বলতেন, আমার পাগলী মা তো কথার রাণী। মাকে ডেকে বলতেন, শুনছো- তোমার মেয়ে তো সাংবাদিক হবে মনে হয়।
আম্মা তেমন খুশি হতেন না। নিম্নমধ্যবিত্ত সংসারের মানসিকতায় তিনি জানতেন, সুন্দরী মেয়ে নিয়েই সমাজে চলা বিপদ, তার উপর এঁচড়ে পাঁকা হলে – সব ঠ্যালা তাকেই সামলাতে হবে।
আম্মার মন বুঝেই আব্বা সুন্দর করে সুর বদলাতেন, আর আমার ভাবুক ছেলে হবে বিজ্ঞানী। এ কথাতে আম্মা হেসে তাকাতেন, তার চোখে ঐ বয়সেই আমি নিজেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতাম।
আব্বা একটা বীমা কোম্পানিতে চাকরী করতেন, বেতনে কুলাতো না বলে সন্ধায় একটা কোচিং সেন্টারে পড়াতে যেতেন। খাওয়ার কষ্ট কখনো হয় নি, তবে আমি অল্প বয়সেই বুঝে নিয়েছিলাম- খুব স্বার্থপর হতে হবে, খুব। নিজের মেধার উপরেই সমাজের উপরের স্তরে পিছলে উঠে যেতে হবে। আব্বা-আম্মা-মুন্নী এদের সাথে জড়িয়ে চিন্তা করলে সারাজীবন এইরকম কষ্টেই কাটাতে পারে।
তাই খুব পড়তাম, খেয়ে না খেয়ে। খেলাধুলা, আড্ডাবাজী সব বাদ। বন্ধুরা সবাই যখন কাড়াকাড়ি করে টিনটিন পড়তো, কার্টুন দেখতো- ফুটবল/ক্রিকে্ট নিয়ে মেতে থাকতো- আমি পড়ে গেছি।
নিজের মনেই এসএসসি পাশ করে ফেললাম, গোল্ডন ফাইভ তো পেয়েছি কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম মুন্নীর ইংরেজিতে এফ গ্রেড আসছে। আমি হতবাক হয়ে গেলাম, আরেহ! মুন্নী ইংরেজি পারে না! আমার কাছে তো শিওর সাজেশন ছিল..এগুলো পড়লেই তো..ইস! পরক্ষনেই নিজেকে সান্ত্বনা দিলাম, থাক। আমাকে বড় হতে হবে।
মু্ন্নী তো মেয়ে!
পড়তে চলে এলাম ঢাকা কলেজ। ইন্টারন্যাশনাল হলে সীট পেয়ে কলেজের অন্নান্য ছাত্রদের মতো হই-হল্লায় গা না ভাসিয়ে নাক-মুখ গুঁজে পড়তে লাগলাম।
একটু অবশ্য মিস করতাম মুন্নীকে।
আল্লাহর কসম, আব্বা বা আম্মার প্রতি আমার আলাদা কোন ভালবাসা ছিল না। মনে হতো, তারা যা করছে তাতো তাদের দায়িত্ব।
কিন্তু, পড়ার সময় হঠাত করে লাইট নিভিয়ে দেওয়া। অংক বইয়ের মাঝে (আমাদের প্রতি সাবজেক্টে একটা করেই বই ছিল) বড় বড় করে রনবীর কাপুর/শহীদ কাপুরের নাম লেখা, চুপি চুপি লুকানো জায়গা থেকে টাকা চুরি করে এমপিথ্রি কেনা- এগুলোকে আমি প্রশ্রয় দিতাম।
ভাল লাগতো। মুন্নীর প্রতি একটা মায়া অনুভব করতাম, খুব। কিন্তু, অনুভূতি প্রকাশ করা আমার স্বভাব না, রাগ করতাম; বকা-ঝকা চলতো। যখন, চোখ বড় বড় করে তার কোন বান্ধবীকে নিতে আসা এলিয়েনের বর্ণনা দিতো তখন আমি ওকে বোঝাতে চাইতাম। আমাদের জীবন সিএনজি-রিক্সাতে কাটানোর জন্য।
এসব জেনে লাভ কি? ও গোয়ারের মতো মাথা নাড়তো; বলতো দেখিস- ভাইয়া আমার অনেক টাকা হবে একদিন। আমার টাকা হলে তোকে একটা পালসার কিনে দেব।
ওর পাগলামিতে হতাশা প্রকাশ করলেও, মনে মনে ঠিক করে রেখেছিলাম, আগে বড় অফিসার হয়ে নেই; আমার বোনটাকে একটা এলিয়েন আমিই কিনে দেব! পারবো না? যদি খুব মন দিয়ে পড়াশোনা করি?
ভেবে কূল পেতাম না। পড়াশোনা আমার কাছে কঠিন না, তবে শুধু বইয়ের সব অংক ইংরেজি গুলে খেলেই আমার অনেক টাকা হবে, এই কানেকশান আমার কাছে পরিস্কার না। কিভাবে? আর কি, সবাই তো তাই বলে-
গতো বছর তাও শেষ মুহূর্তে উপস্থিত হয়েছিলাম, জন্মদিনের দিন আমার আর ওর ডান হাত একসাথে ছুড়ি ধরে না কাটলে নাকি মুন্নীর কান্না পায়। তাই গিয়েছিলাম, টেস্ট পরীক্ষার মাঝখানেই।
এ বছরটা অনেক ব্যস্ত কেটেছে; পরীক্ষার সময় আব্বা মারা গেল। যেতে পারলাম না; এইচএসসির রেজাল্ট দিল (যথারীতি গোল্ডেন পেয়েছি); তারপর বুয়েটের পরীক্ষায় ২১ তম হয়ে ভর্তি হয়ে হোস্টেলে এসে উঠেছি।
কালকের ফোনটার আগে পর্যন্ত শিওর ছিলাম আমি মোটামুটি সামলে উঠেছি। কোনভাবে পড়া শেষ হলেই, সংসারের সব দায়িত্ব আমার।
মুন্নী এইচএসসি একবারেই পাশ করেছে। সি গ্রেড। ওর জন্য অবশ্য এইটাই অনেক।
কিন্তু, এমন কান্দনি স্বভাব হয়েছে। আব্বা থাকতে ওর সব আবদার হাসিমুখে মেটাতেন আব্বা। আব্বার কলিজার টুকরা ছিল মুন্নী; মারা যাওয়ার পর জানতে পারলাম- এইসব করতে গিয়ে অনেক টাকা ধার করেছিলেন তিনি।
আম্মা অনেকটাই পাল্টে গেছেন। সারাদিন টাকা পয়সার হিসাব করেন আর ঘ্যানঘ্যান করে আশঙ্কার কথা বলেন। আমি প্রায়ই বোঝাই, এইতো তিনটা টিউশনি পাইছি- টাকা আমিও পাঠাতে পারমু।
কিন্তু, নিজের গলাতেই জোর পাইনা- আমার ধারনাই তো নাই- আমাদের সংসার খরচ কতো?
মুন্নীর কান্না তাই বেড়েই গেল। নানান বায়না না মিটলে, আম্মার সাথে ঝগড়া হলে- আমার কাছে নালিশ করতো, ভাইয়া তুই না আমার দাদাভাই! আমারে এইটা কিনে দিবি না?
আমি হাঁসফাস করতাম। ভালবাসা প্রকাশের অক্ষমতায়।
ফোনে আবার মনোযোগ দিলাম, কি হয়েছে মুন্নী? কি কিনতে চাস? কত টাকা লাগবে?
কান্না থামিয়ে উদাস গলায় বললো, ভাইয়ারে- টাকা আর লাগবে না। তুই আমাদের জন্য দোয়া করিস।
মানে?
ভাইয়া আজকে দুপুরে আমার বিয়ে হয়ে গেছে, এখন আমি এয়ারপোর্টে-
কই যাস? আমি বুঝে পাচ্ছিলাম না- কি হচ্চে কী!
ভাইয়া ওনার তো জ্যাকসন হাইডসে কাপড়ের দোকান, ওইখানেই থাকতে হবে।
গেলাম।
কি বলিস? এই মুন্নী, মুন্নী-
পরক্ষনেই আম্মার স্বর পেলাম ফোনের ওপাশে, খুশিতে বাক-বাকুম।
মুন্না, শুনলি তো, ভাল করছি না?
ভাল করছো মানে! ওরে বিয়া দিলা, চইলা যাইতেসে আর আমারে বললা না? আমি চেঁচিয়ে উঠলাম।
আচ্ছারে বাবা, পরে রাগ করিস। তোর মঞ্জুমামা সব ঠিক করেছে। তোর আর কতো টাকা ইনকাম, আমাদের তো বাঁচতে হবে। এই ভাল হইছে বাবা। তোর বোন সুখেই থাকবে।
আমি রাগে ফোন কেটে দিলাম।
প্রচন্ড মেজাজ খারাপ। হল থেকে বের হয়ে এসে পলাশীর মোড়ে চলে আসলাম। চা খাব।
একটা অচেনা নাম্বার থেকে বারে বারে ফোন আসছে।
আমি এখন কারো সাথেই কথা বলবো না। কেটে দিলাম; বারবার।
গরম মাথায় ঘুমিয়ে গেলাম।
সকালে দেখলাম, একটা এসএমএস এসেছে ঐ নাম্বার থেকেই।
লেখা, ভাইয়া। ফোন ধরলি না। তোর সাথে আবার কবে দেখা হবে জানিনা। তুই নিশ্চয়ই পড়া শেষ করে আমাকে দেখতে আমেরিকা আসবি?
পারবি না ভাইয়া।
মা আমার কথা শুনলো না। আমার পক্ষে বাবার বয়সী একজনকে স্বামী হিসেবে মেনে নেয়া সম্ভব না। চলে গেলাম ভাইয়া, একেবারেই। শেষ বারের মতো বলি, হ্যাপি বার্থডে ভাইয়া।
আমি হতবাক হয়ে পাগলের মতো বাসায় ফোন দিলাম। কেউ ধরছে না, দুপুরে মঞ্জু মামা ফোন দিয়ে জানালো, কালকে রাত্রেই ২০০ ইনোকটিন খেয়েছে মুন্নী।
আবার বিছানায় মোচড় দিলাম একটা; কোলবালিশটা শক্ত করে চেপে ধরলাম শরীরের সাথে। চোখ জ্বালা করছে, ভালবাসা প্রকাশের ক্ষমতা এতো কম কেন আমার! মুন্নীকে তো কখনো আদর করে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলাম না। বললাম না, ওর জন্য আমি কতো কতো স্বপ্ন দেখে রেখেছিলাম।

আমাকে ভেঙে পড়লে চলবে না, সংসার টানতে হবে; বড় হতে হবে। একমাত্র পিছুটান ছিল ভালবাসার দুর্বলতা বোনটার প্রতি। সেটাও চুঁকে গেল।
আমি এখন সাবালক। কেননা, দু:খ চেপে আগামীর দিকে তাকাতে পারছি।
আবার টেবিলটার দিকে তাকালাম। আমার পড়ার বইগুলো সুন্দর করে সাজানো।
সেখানে গিফট/টিফট কিচ্ছু নেই; আর কখনো থাকবে না।
যে দিনটা ছিল মুন্না-মুন্নীর জন্মদিন; সেই দিনটাতে এখন থেকে আমার শুধু মুন্নীর কথাই মনে হবে্।
জন্মদিন এলেই আমি দেখবো,
১৮টা প্যাকেট, একটু আগেই গুনে দেখেছি। সামনের টেবিলটাতে সুন্দর করে সাজানো আছে। একটার উপর একটা করে তিন সারিতে। পাশে দুটো গোলাপ আড়াআড়ি করে রাখা। নিখুত।
(উতসাহী পাঠকগণ শুরু থেকে- আবার পড়ে দেখতে পারেন..)

স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট
২৪/০৭/২০১৩

(যদিও অভিজ্ঞতাটা এক কলিগের কাছে শোনা। তবুও, কেন যেন মনে হলো, আমিও আমার বোনদুটোকে খুব মিস করি। তাইতো, কোথায় থাকে! কতদিন পরপর দেখা হয়, ইস!!)


মন্তব্য

মেঘা এর ছবি

শেষে এসে অসম্ভব মন খারাপ হয়ে গেলো! নিজের কোন ভাই নাই। ভাই ভালবাসে কিনা জানিও না। তবে গল্পের মুন্নার জন্য খারাপ লাগছে। মুন্নীর এমন বিয়ের জন্য খারাপ লাগছে। মন খারাপ

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

অতিথি লেখক এর ছবি

নিজের ভাই/পরের ভাই বলতে কোন কথা নাই! পৃথিবীতে সবাই এডাম-হাভা থেকে আসছে, তাই সবাই ভাই-বোন!! চিন্তিত

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

সাত সকালে মন খারাপ করিয়ে দেলান ভাই -

অতিথি লেখক এর ছবি

কেন মন ভালো হতে পারতো কিন্তু। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

না: এ গল্পে কি আর কিছু লেখা যায়!
- একলহমা

অতিথি লেখক এর ছবি

কেমন মনটা খারাপ হয় গেল মন খারাপ
ইসরাত

স্পর্শ এর ছবি

খুব গতিময় লেখনি আপনার। থামবেন না।

গল্পটা ভালো লেগেছে। শুধু একটা মন্তব্য, নিতান্ত অপরিহার্য না হলে গল্পের নাম বাংলায় দিলেই ভালো। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

এটার বাংলা নাম ভাল লাগতো না। যমজ ভাইবোন- ভাল লাগছে শুনতে? (স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট)

স্পর্শ এর ছবি

শব্দের সৌন্দর্য ব্যবহারে। আপেল, ম্যাঙ্গো নামেও ভুবন বিখ্যাত গ্লামারাস ব্রান্ড হয়।
বাংলা শব্দ ব্যাবহার না করলে শব্দের সৌন্দর্য তো দিনে দিনে হারাতে থাকবেই।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠিক, এভাবেই ভেবে দেখতে হবে। (স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এতদিনের তেজী যুবা পুরুষের মতো রোদ এই পড়ন্ত বেলায় লাজুক ষোড়শীর মতো ভীরু, বাতাসের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে

এই লাইনগুলো যে লেখক লিখতে পারে সে লেখক সিনেমাটিক বা ক্লিশে প্লট থেকে কেন বের হতে পারে না? আগের গল্পে যে মন্তব্য করেছিলাম সেটা আবার পড়ে দেখতে পারেন।

গল্প লিখতে আরেকটু সময় নিন। প্লট নিয়ে আরো ভাবুন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি জানতাম কেউ না কেউ বিষয়টা ধরবে। বিশ্বাস করুন- আমিও লেখার সময় এই লাইনটার জন্য মমতা অনুভব করেছি। চেষ্টা করবো। বহুদিন আগে আমার একটা গল্প মানজিরা- সচলে প্রকাশ করেছিলাম। খুবই জটিল ছিল। কিন্তু, পরে দেখলাম, সহজ ফিলজফি আর নাটুকে কাহিনী হলে পাঠকরা ভাল ভাবে নেয়। তাই নিজের জন্য লিখলে অন্য রকম লিখি। (স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট)

তারেক অণু এর ছবি

আপনি আপনার মত করেই লিখুন, সেইটাই জবরদস্ত হবে

অতিথি লেখক এর ছবি

চেষ্টা চলবে। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দুপুরে বিয়ে হয়ে সেদিনই এয়ারপোর্ট, জ্যাকসন হাইটস যাওয়ার জন্য? কিভাবে সম্ভব?
২০০ ঘুমের ঔষধ? কিভাবে সম্ভব?
যাহোক, ঢাকা কলেজের ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের প্রসঙ্গ এনে মাঝখানে এমন ইমোশনাল করে দিলেন। মাঝখানের অনেকটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়তেই পারিনি।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

সম্ভব হয়তো, যদি বিষয়টা কয়েকদিন ধরেই ঠিক করে রাখা হয়! আমি নিজেও ঢাকা কলেজ ইন্টারন্যাশ্নাল কোলাকুলি (স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট)

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।